Ajker Patrika

মির্জাগঞ্জে গ্রেড জটিলতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা

প্রতিনিধি, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)
মির্জাগঞ্জে গ্রেড জটিলতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা

মির্জাগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ১৩ তম গ্রেডের নির্ধারিত বেতন না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি কর্মচারীদের বেতন ভাতা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সফটওয়্যার, ‘আইবাস প্লাস প্লাস সিস্টেমে’ ১৩ তম গ্রেডে বেতন নির্ধারিত সংক্রান্ত বিষয়টি সংযোজন করা হয়েছে। শিক্ষকেরা এ গ্রেড পাওয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসে আবেদন করেছেন। তবুও এই গ্রেড থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ বঞ্চিত প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক। ফলে প্রাপ্য গ্রেডে বেতন না পাওয়ার হতাশায় ভুগছেন শিক্ষকেরা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, এ গ্রেড শুধু সহকারী শিক্ষকরাই পাবেন তা নয়। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে চলতি দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষকেরাও পাবেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের অবহেলার কারণে ১৩ তম গ্রেড ঘোষণার দেড় বছর পার হলেও এখনো এ গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন না তাঁরা। 

উপজেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজি মো. মনিরুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মো. লিটন হাওলাদারের চাওয়া অনৈতিক লেনদেন দিতে রাজি না হওয়ায় ১৩ তম গ্রেড প্রাপ্য শিক্ষকদের কার্যক্রম স্থবির করে রাখা হয়েছে। 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় ৪১২ জন শিক্ষক এ গ্রেড পাবেন। ১৩ তম গ্রেড পাওয়ার উপযুক্ত যারা আবেদন করছেন তাদের কাগজপত্র প্রস্তুত করে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে পাঠানো হয়েছে। 

উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, শিক্ষকদের ১৩ তম গ্রেডের কাজ চলমান রয়েছে। গ্রেড প্রাপ্যতায় যাদের কোন জটিলতা নেই তাঁদের কাজ করে দেওয়া হচ্ছে। তবে নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে সকল শিক্ষকেরা টাইমস্কেল পেয়েছেন তাঁদের বিষয়টি নিয়ে একটু জটিলতা রয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত