Ajker Patrika

তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান, দুই ইউপি চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ মে ২০২৪, ১৮: ১৬
Thumbnail image

বরগুনার তালতলীর উপজেলা চেয়ারম্যান, দুই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণের মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী এক নারীর বাবা বাদী হয়ে আজ বুধবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু, পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু।

তাঁদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি আইনেও মামলা হয়েছে বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আনিচুর রহমান মিলন জানান।

আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পিবিআইকে তদন্ত করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক মোঃ মশিউর রহমান খাঁন।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে বাদীর মেয়ের ফোনে সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে মেয়েটিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন বাচ্চু। কিন্তু পরে তাকে বিয়ে না করে টালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে চাপের মুখে বিয়ে করার বিষয়ে স্ট্যাম্পে লিখে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন এবং পরে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করেন। গোপনে মোবাইলে সেগুলোর ছবি তুলেন। ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। চেয়ারম্যান রাজ্জাক তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন এবং তিনিও মোবাইলে নগ্ন ছবি ধারণ করে রাখেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, রাজ্জাক পরে মেয়েটিকে ব্ল্যাকমেইল করে তালতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে বাধ্য করে। তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেন। উপজেলা চেয়ারম্যান তাকে বিভিন্ন হোটেল ও লঞ্চে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ওই মেয়ে মামলা করার হুমকি দিলে তিন চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মিলে ওই ধর্ষিতার বিরুদ্ধে উল্টো পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করে। ওই মামলায় ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার মেয়েটি জেল হাজতে রয়েছে।

এবিষয়ে রেজবি উল কবির জোমাদ্দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমি ও অন্য দুই চেয়ারম্যানের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি আইনগতভাবে মোকাবেলা করব।’

আরও পড়ুন: 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত