Ajker Patrika

চাঁদাবাজি: পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১: ১০
চাঁদাবাজি: পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে এক বছর ও সাধারণ সম্পাদককে দুই বছর একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা এবং উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। হোস্টেলে গণপূর্ত বিভাগের মালামাল সরবরাহ কাজে বাধা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁদের এই শাস্তি দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। 

গতকাল বৃহস্পতিবার কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় উপস্থাপিত তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বহিষ্কৃত শাখা ছাত্রলীগ সভাপতির মো. সাদিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইফাদুল ইসলাম। 

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের আওতায় সম্প্রতি ছাত্র ও ছাত্রী হোস্টেলে কাঠের আসবাবপত্র সেটিং ও ফিটিংয়ে মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এতে একাধিকবার ঢাকা থেকে আগত টেকনিশিয়ানরা ফেরত যেতে বাধ্য হন। ছাত্রলীগের চাঁদা দাবির ঘটনায় আসবাব সরবরাহের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান ঢাকাস্থ গণপূর্ত কাঠের কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজেদুল ইসলাম গত ৯ জুলাই পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইফাদুল ইসলাম বলেন, তাঁরা ষড়যন্ত্রের শিকার। মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা একতরফা। 

এ ব্যাপারে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন, ‘গতকাল একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় হোস্টেলে মালামাল সরবরাহে বাধা এবং চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদিককে এক বছর ও সাধারণ সম্পাদক ইফাদুল ইসলামকে দুই বছর একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা এবং উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত