Ajker Patrika

নারী সহকর্মীকে পদোন্নতির জন্য ‘সময় দেওয়ার’ আবদার, আলোচনায় পবিপ্রবি কর্মকর্তার ‘ফোনালাপ’

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২৩, ২২: ০৮
নারী সহকর্মীকে পদোন্নতির জন্য ‘সময় দেওয়ার’ আবদার, আলোচনায় পবিপ্রবি কর্মকর্তার ‘ফোনালাপ’

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) দুই কর্মকর্তার ফোনালাপের অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে এক নারীকে পদোন্নতির আশ্বাস দিয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দিতে শোনা যায় অপরজনকে। ফেসবুকে ভিডিও আকারে ছড়িয়ে পড়া ফোনালাপে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়া পুরুষ কণ্ঠের ব্যক্তি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির দুই দফায় পদধারী নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। 

অভিযোগ উঠেছে, নেতা পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সেল শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান টমাস। তবে এটিকে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার বলে দাবি করেছেন মিজানুর। 

গতকাল রোববার ১৪ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের ওই ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে। এতে এক নারীকে ডেটা এন্ট্রি পদ থেকে সেকশন অফিসার এবং পরে আরও উচ্চ পদে পদোন্নতির আশ্বাস দিয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়া হয়। অপরজন সে প্রস্তাব নাকচ করেন। 

এরপর বলতে শোনা যায়, ‘আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাডার লাইনে রাজনীতি করেছি। এ ছাড়া পবিপ্রবি কর্মকর্তা সমিতির দুবার গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলাম।’ 

ছড়িয়ে পড়া ওই ফোনালাপ নিয়ে আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনা শুরু হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পবিপ্রবির একাধিক কর্মকর্তা বলেন, একজন নারী সহকর্মীর প্রতি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার এমন দৃষ্টিভঙ্গি নিন্দনীয়। অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। 

এ বিষয়ে মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র। যারা এ কাজটি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর সন্তোষ কুমার বসু বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। একটি কমিটি করে তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত