বরগুনা প্রতিনিধি
‘ছোট মাইয়াডা অনেক দিন ধইরা ইলিশ মাছ কেনতে কয়, প্রেত্যেক দিন সহাল-বিহাল বাজারে যাই, ঘুরেফিরে ইলিশ দেইখ্যা চইল্লা আই। যে দাম চায়, হেই টাহা দিয়া মোগো পক্ষে এক দিন ইলিশ খাওয়া সম্ভব না। বড় ইলিশ না হোক, একটা ছোট জাটকা মাইয়াডারে খাওয়ামু, কিন্তু হেই জাটকার দামও মোগো সামর্থ্যের বাইরে। যে টাহা আয় হরি, হ্যা দিয়া ইলিশ কেনলে চাউল জোটবে না।’ ইলিশ নিয়ে এমন আক্ষেপ করে এসব কথা বলেন বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী গ্রামের দিনমজুর লিটন দাস।
চলতি ইলিশের মৌসুমে বরগুনার বিভিন্ন হাটবাজারে মিলছে না পর্যাপ্ত ইলিশ। বাজারগুলোতে যে ইলিশ পাওয়া যায়, তারও দাম আকাশচুম্বী। ফলে ইলিশ ভাজার তেল দিয়ে গরম ভাত মেখে খাওয়া সাধারণ মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদের কাছে এখন স্বপ্নের মতো হয়ে গেছে।
বরগুনা সদরের মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে ইলিশের সংখ্যা খুবই কম। দুই থেকে তিনজন ডালায় কয়েকটি মাছ নিয়ে বসে রয়েছে। তবে বাজারগুলোতে সামুদ্রিক ইলিশ নেই। যে ইলিশ পাওয়া গেছে, সেগুলো পায়রা ও বিষখালী নদীর। দাম জানতে চাইলে বিক্রেতা খলিল মিয়া জানান, ১ কেজি ২০০ থেকে ৩০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে। ১ কেজি ১০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ টাকা, ১ কেজির ইলিশ ২২০০ ও ৯০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা, ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হয় ১ হাজার ৮০০ টাকায়। এদিকে চারটিতে এক কেজি ওজনের জাটকা ইলিশ বরগুনার বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকা দরে।
এদিকে চলতি ইলিশের ভরা মৌসুমেও বরগুনার পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীতে জেলেদের জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা না পড়ায় হতাশ জেলেরা। পর্যাপ্ত মাছ না পাওয়ায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন জেলেরা।
বরগুনার বামনা উপজেলার বিষখালী নদীর জেলে বরুন দাস বলেন, এ বছর ৫০ হাজার টাকা একজন মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়েছি। নদীতে জাল ফেলে দু-একটি মাছ পেলেও ওই দাদনের টাকা শোধ করে নিজের জন্য কিছুই থাকে না। উপায় না পেয়ে এ বছর আবার এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে সংসার চালাচ্ছি। এ বছর ইলিশ ধরা না পড়লে হয়তো ভিটেমাটি বিক্রি করে দেনা শোধ করতে হবে।
ভরা মৌসুমে বরগুনার নদ-নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ায় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সাগর মোহনায় শিল্পায়ন সৃষ্টি করা, নদীগুলোর প্রবেশপথ ভরাট হওয়ায় এবং নদীর মোহনায় অসংখ্য ট্রলারে জাল ফেলার কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে মা ইলিশ নদীতে প্রবেশ করতে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে ইলিশ অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এ ছাড়া নদ-নদীতে নির্বিচারে ইলিশের পোনা নিধন করে চাপিলা বলে বিক্রি করার কারণে নদীর ইলিশ ধ্বংস হচ্ছে।
জেলেরা বলেন, নদীতে ইলিশের প্রবেশপথে ও সাগরমোহনার ডুবোচরে অসাধু জেলেরা বেহুন্দি, চরঘেরা, পিটানো, খরছি, জাম খরছি নামের অবৈধ জাল পাতছেন। এসব জাল অনেকটা বেড়ার মতো। পাথরঘাটা উপজেলার সাগরগামী জেলে মকবুল মাঝি (৪৫) বলেন, সাগর মোহনার যেসব চ্যানেল বা লোঙ্গা দিয়ে ইলিশ নদীতে ওঠে, সেসব লোঙ্গায় জাম খরচি নামের অবৈধ জাল পেতে রাখেন প্রভাবশালী জেলেরা। এসব জালে ইলিশ বাধা পেয়ে আবার সাগরে ফেরত যায়। আর এসব অবৈধ জাল যেখানে পাতা হয়, সেখানে কিছুদিনের মধ্যেই চর পড়ে যায়।
শুধু এ কারণই নয়, কেন মিলছে না নদীর ইলিশ জানতে কথা হয় বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ইলিশের এই সংকটের জন্য দায়ী অবাধে জাটকা শিকার। তিনি আরও বলেন ‘বাজারে চাপিলা নামে যে মাছটি বিক্রি হয়, সেটি আসলে ছোট ইলিশ। সরকার ও মৎস্য বিভাগ জাটকা নিধন প্রতিরোধে কাজ করলেও চাপিলা নামে যে লাখ লাখ টন ইলিশের বাচ্চা বিক্রি হচ্ছে, সেদিকে কোনো নজর নেই। বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় টনকে টন চাপিলা বেচাকেনা হয় প্রতিদিন। চাপিলা বাঁচানো না গেলে বাঁচবে না নদীর ইলিশ।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন বলেন, সমুদ্রে ইলিশ আছে, তবে বর্তমানে জেলেরা ইলিশ কম পাচ্ছেন। কম বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় নদীতে ইলিশ আসেনি। এখন যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসছে। আশা করা যায়, সামনের সময়ে ইলিশ উপকূলীয় নদীতে ধরা পড়বে।
‘ছোট মাইয়াডা অনেক দিন ধইরা ইলিশ মাছ কেনতে কয়, প্রেত্যেক দিন সহাল-বিহাল বাজারে যাই, ঘুরেফিরে ইলিশ দেইখ্যা চইল্লা আই। যে দাম চায়, হেই টাহা দিয়া মোগো পক্ষে এক দিন ইলিশ খাওয়া সম্ভব না। বড় ইলিশ না হোক, একটা ছোট জাটকা মাইয়াডারে খাওয়ামু, কিন্তু হেই জাটকার দামও মোগো সামর্থ্যের বাইরে। যে টাহা আয় হরি, হ্যা দিয়া ইলিশ কেনলে চাউল জোটবে না।’ ইলিশ নিয়ে এমন আক্ষেপ করে এসব কথা বলেন বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী গ্রামের দিনমজুর লিটন দাস।
চলতি ইলিশের মৌসুমে বরগুনার বিভিন্ন হাটবাজারে মিলছে না পর্যাপ্ত ইলিশ। বাজারগুলোতে যে ইলিশ পাওয়া যায়, তারও দাম আকাশচুম্বী। ফলে ইলিশ ভাজার তেল দিয়ে গরম ভাত মেখে খাওয়া সাধারণ মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদের কাছে এখন স্বপ্নের মতো হয়ে গেছে।
বরগুনা সদরের মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে ইলিশের সংখ্যা খুবই কম। দুই থেকে তিনজন ডালায় কয়েকটি মাছ নিয়ে বসে রয়েছে। তবে বাজারগুলোতে সামুদ্রিক ইলিশ নেই। যে ইলিশ পাওয়া গেছে, সেগুলো পায়রা ও বিষখালী নদীর। দাম জানতে চাইলে বিক্রেতা খলিল মিয়া জানান, ১ কেজি ২০০ থেকে ৩০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে। ১ কেজি ১০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ টাকা, ১ কেজির ইলিশ ২২০০ ও ৯০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা, ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হয় ১ হাজার ৮০০ টাকায়। এদিকে চারটিতে এক কেজি ওজনের জাটকা ইলিশ বরগুনার বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকা দরে।
এদিকে চলতি ইলিশের ভরা মৌসুমেও বরগুনার পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীতে জেলেদের জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা না পড়ায় হতাশ জেলেরা। পর্যাপ্ত মাছ না পাওয়ায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন জেলেরা।
বরগুনার বামনা উপজেলার বিষখালী নদীর জেলে বরুন দাস বলেন, এ বছর ৫০ হাজার টাকা একজন মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়েছি। নদীতে জাল ফেলে দু-একটি মাছ পেলেও ওই দাদনের টাকা শোধ করে নিজের জন্য কিছুই থাকে না। উপায় না পেয়ে এ বছর আবার এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে সংসার চালাচ্ছি। এ বছর ইলিশ ধরা না পড়লে হয়তো ভিটেমাটি বিক্রি করে দেনা শোধ করতে হবে।
ভরা মৌসুমে বরগুনার নদ-নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ায় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সাগর মোহনায় শিল্পায়ন সৃষ্টি করা, নদীগুলোর প্রবেশপথ ভরাট হওয়ায় এবং নদীর মোহনায় অসংখ্য ট্রলারে জাল ফেলার কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে মা ইলিশ নদীতে প্রবেশ করতে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে ইলিশ অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এ ছাড়া নদ-নদীতে নির্বিচারে ইলিশের পোনা নিধন করে চাপিলা বলে বিক্রি করার কারণে নদীর ইলিশ ধ্বংস হচ্ছে।
জেলেরা বলেন, নদীতে ইলিশের প্রবেশপথে ও সাগরমোহনার ডুবোচরে অসাধু জেলেরা বেহুন্দি, চরঘেরা, পিটানো, খরছি, জাম খরছি নামের অবৈধ জাল পাতছেন। এসব জাল অনেকটা বেড়ার মতো। পাথরঘাটা উপজেলার সাগরগামী জেলে মকবুল মাঝি (৪৫) বলেন, সাগর মোহনার যেসব চ্যানেল বা লোঙ্গা দিয়ে ইলিশ নদীতে ওঠে, সেসব লোঙ্গায় জাম খরচি নামের অবৈধ জাল পেতে রাখেন প্রভাবশালী জেলেরা। এসব জালে ইলিশ বাধা পেয়ে আবার সাগরে ফেরত যায়। আর এসব অবৈধ জাল যেখানে পাতা হয়, সেখানে কিছুদিনের মধ্যেই চর পড়ে যায়।
শুধু এ কারণই নয়, কেন মিলছে না নদীর ইলিশ জানতে কথা হয় বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ইলিশের এই সংকটের জন্য দায়ী অবাধে জাটকা শিকার। তিনি আরও বলেন ‘বাজারে চাপিলা নামে যে মাছটি বিক্রি হয়, সেটি আসলে ছোট ইলিশ। সরকার ও মৎস্য বিভাগ জাটকা নিধন প্রতিরোধে কাজ করলেও চাপিলা নামে যে লাখ লাখ টন ইলিশের বাচ্চা বিক্রি হচ্ছে, সেদিকে কোনো নজর নেই। বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় টনকে টন চাপিলা বেচাকেনা হয় প্রতিদিন। চাপিলা বাঁচানো না গেলে বাঁচবে না নদীর ইলিশ।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন বলেন, সমুদ্রে ইলিশ আছে, তবে বর্তমানে জেলেরা ইলিশ কম পাচ্ছেন। কম বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় নদীতে ইলিশ আসেনি। এখন যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসছে। আশা করা যায়, সামনের সময়ে ইলিশ উপকূলীয় নদীতে ধরা পড়বে।
বরগুনা প্রতিনিধি
‘ছোট মাইয়াডা অনেক দিন ধইরা ইলিশ মাছ কেনতে কয়, প্রেত্যেক দিন সহাল-বিহাল বাজারে যাই, ঘুরেফিরে ইলিশ দেইখ্যা চইল্লা আই। যে দাম চায়, হেই টাহা দিয়া মোগো পক্ষে এক দিন ইলিশ খাওয়া সম্ভব না। বড় ইলিশ না হোক, একটা ছোট জাটকা মাইয়াডারে খাওয়ামু, কিন্তু হেই জাটকার দামও মোগো সামর্থ্যের বাইরে। যে টাহা আয় হরি, হ্যা দিয়া ইলিশ কেনলে চাউল জোটবে না।’ ইলিশ নিয়ে এমন আক্ষেপ করে এসব কথা বলেন বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী গ্রামের দিনমজুর লিটন দাস।
চলতি ইলিশের মৌসুমে বরগুনার বিভিন্ন হাটবাজারে মিলছে না পর্যাপ্ত ইলিশ। বাজারগুলোতে যে ইলিশ পাওয়া যায়, তারও দাম আকাশচুম্বী। ফলে ইলিশ ভাজার তেল দিয়ে গরম ভাত মেখে খাওয়া সাধারণ মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদের কাছে এখন স্বপ্নের মতো হয়ে গেছে।
বরগুনা সদরের মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে ইলিশের সংখ্যা খুবই কম। দুই থেকে তিনজন ডালায় কয়েকটি মাছ নিয়ে বসে রয়েছে। তবে বাজারগুলোতে সামুদ্রিক ইলিশ নেই। যে ইলিশ পাওয়া গেছে, সেগুলো পায়রা ও বিষখালী নদীর। দাম জানতে চাইলে বিক্রেতা খলিল মিয়া জানান, ১ কেজি ২০০ থেকে ৩০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে। ১ কেজি ১০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ টাকা, ১ কেজির ইলিশ ২২০০ ও ৯০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা, ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হয় ১ হাজার ৮০০ টাকায়। এদিকে চারটিতে এক কেজি ওজনের জাটকা ইলিশ বরগুনার বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকা দরে।
এদিকে চলতি ইলিশের ভরা মৌসুমেও বরগুনার পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীতে জেলেদের জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা না পড়ায় হতাশ জেলেরা। পর্যাপ্ত মাছ না পাওয়ায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন জেলেরা।
বরগুনার বামনা উপজেলার বিষখালী নদীর জেলে বরুন দাস বলেন, এ বছর ৫০ হাজার টাকা একজন মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়েছি। নদীতে জাল ফেলে দু-একটি মাছ পেলেও ওই দাদনের টাকা শোধ করে নিজের জন্য কিছুই থাকে না। উপায় না পেয়ে এ বছর আবার এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে সংসার চালাচ্ছি। এ বছর ইলিশ ধরা না পড়লে হয়তো ভিটেমাটি বিক্রি করে দেনা শোধ করতে হবে।
ভরা মৌসুমে বরগুনার নদ-নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ায় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সাগর মোহনায় শিল্পায়ন সৃষ্টি করা, নদীগুলোর প্রবেশপথ ভরাট হওয়ায় এবং নদীর মোহনায় অসংখ্য ট্রলারে জাল ফেলার কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে মা ইলিশ নদীতে প্রবেশ করতে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে ইলিশ অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এ ছাড়া নদ-নদীতে নির্বিচারে ইলিশের পোনা নিধন করে চাপিলা বলে বিক্রি করার কারণে নদীর ইলিশ ধ্বংস হচ্ছে।
জেলেরা বলেন, নদীতে ইলিশের প্রবেশপথে ও সাগরমোহনার ডুবোচরে অসাধু জেলেরা বেহুন্দি, চরঘেরা, পিটানো, খরছি, জাম খরছি নামের অবৈধ জাল পাতছেন। এসব জাল অনেকটা বেড়ার মতো। পাথরঘাটা উপজেলার সাগরগামী জেলে মকবুল মাঝি (৪৫) বলেন, সাগর মোহনার যেসব চ্যানেল বা লোঙ্গা দিয়ে ইলিশ নদীতে ওঠে, সেসব লোঙ্গায় জাম খরচি নামের অবৈধ জাল পেতে রাখেন প্রভাবশালী জেলেরা। এসব জালে ইলিশ বাধা পেয়ে আবার সাগরে ফেরত যায়। আর এসব অবৈধ জাল যেখানে পাতা হয়, সেখানে কিছুদিনের মধ্যেই চর পড়ে যায়।
শুধু এ কারণই নয়, কেন মিলছে না নদীর ইলিশ জানতে কথা হয় বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ইলিশের এই সংকটের জন্য দায়ী অবাধে জাটকা শিকার। তিনি আরও বলেন ‘বাজারে চাপিলা নামে যে মাছটি বিক্রি হয়, সেটি আসলে ছোট ইলিশ। সরকার ও মৎস্য বিভাগ জাটকা নিধন প্রতিরোধে কাজ করলেও চাপিলা নামে যে লাখ লাখ টন ইলিশের বাচ্চা বিক্রি হচ্ছে, সেদিকে কোনো নজর নেই। বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় টনকে টন চাপিলা বেচাকেনা হয় প্রতিদিন। চাপিলা বাঁচানো না গেলে বাঁচবে না নদীর ইলিশ।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন বলেন, সমুদ্রে ইলিশ আছে, তবে বর্তমানে জেলেরা ইলিশ কম পাচ্ছেন। কম বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় নদীতে ইলিশ আসেনি। এখন যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসছে। আশা করা যায়, সামনের সময়ে ইলিশ উপকূলীয় নদীতে ধরা পড়বে।
‘ছোট মাইয়াডা অনেক দিন ধইরা ইলিশ মাছ কেনতে কয়, প্রেত্যেক দিন সহাল-বিহাল বাজারে যাই, ঘুরেফিরে ইলিশ দেইখ্যা চইল্লা আই। যে দাম চায়, হেই টাহা দিয়া মোগো পক্ষে এক দিন ইলিশ খাওয়া সম্ভব না। বড় ইলিশ না হোক, একটা ছোট জাটকা মাইয়াডারে খাওয়ামু, কিন্তু হেই জাটকার দামও মোগো সামর্থ্যের বাইরে। যে টাহা আয় হরি, হ্যা দিয়া ইলিশ কেনলে চাউল জোটবে না।’ ইলিশ নিয়ে এমন আক্ষেপ করে এসব কথা বলেন বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী গ্রামের দিনমজুর লিটন দাস।
চলতি ইলিশের মৌসুমে বরগুনার বিভিন্ন হাটবাজারে মিলছে না পর্যাপ্ত ইলিশ। বাজারগুলোতে যে ইলিশ পাওয়া যায়, তারও দাম আকাশচুম্বী। ফলে ইলিশ ভাজার তেল দিয়ে গরম ভাত মেখে খাওয়া সাধারণ মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদের কাছে এখন স্বপ্নের মতো হয়ে গেছে।
বরগুনা সদরের মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে ইলিশের সংখ্যা খুবই কম। দুই থেকে তিনজন ডালায় কয়েকটি মাছ নিয়ে বসে রয়েছে। তবে বাজারগুলোতে সামুদ্রিক ইলিশ নেই। যে ইলিশ পাওয়া গেছে, সেগুলো পায়রা ও বিষখালী নদীর। দাম জানতে চাইলে বিক্রেতা খলিল মিয়া জানান, ১ কেজি ২০০ থেকে ৩০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে। ১ কেজি ১০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ টাকা, ১ কেজির ইলিশ ২২০০ ও ৯০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা, ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হয় ১ হাজার ৮০০ টাকায়। এদিকে চারটিতে এক কেজি ওজনের জাটকা ইলিশ বরগুনার বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকা দরে।
এদিকে চলতি ইলিশের ভরা মৌসুমেও বরগুনার পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীতে জেলেদের জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা না পড়ায় হতাশ জেলেরা। পর্যাপ্ত মাছ না পাওয়ায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন জেলেরা।
বরগুনার বামনা উপজেলার বিষখালী নদীর জেলে বরুন দাস বলেন, এ বছর ৫০ হাজার টাকা একজন মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়েছি। নদীতে জাল ফেলে দু-একটি মাছ পেলেও ওই দাদনের টাকা শোধ করে নিজের জন্য কিছুই থাকে না। উপায় না পেয়ে এ বছর আবার এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে সংসার চালাচ্ছি। এ বছর ইলিশ ধরা না পড়লে হয়তো ভিটেমাটি বিক্রি করে দেনা শোধ করতে হবে।
ভরা মৌসুমে বরগুনার নদ-নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ায় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সাগর মোহনায় শিল্পায়ন সৃষ্টি করা, নদীগুলোর প্রবেশপথ ভরাট হওয়ায় এবং নদীর মোহনায় অসংখ্য ট্রলারে জাল ফেলার কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে মা ইলিশ নদীতে প্রবেশ করতে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে ইলিশ অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এ ছাড়া নদ-নদীতে নির্বিচারে ইলিশের পোনা নিধন করে চাপিলা বলে বিক্রি করার কারণে নদীর ইলিশ ধ্বংস হচ্ছে।
জেলেরা বলেন, নদীতে ইলিশের প্রবেশপথে ও সাগরমোহনার ডুবোচরে অসাধু জেলেরা বেহুন্দি, চরঘেরা, পিটানো, খরছি, জাম খরছি নামের অবৈধ জাল পাতছেন। এসব জাল অনেকটা বেড়ার মতো। পাথরঘাটা উপজেলার সাগরগামী জেলে মকবুল মাঝি (৪৫) বলেন, সাগর মোহনার যেসব চ্যানেল বা লোঙ্গা দিয়ে ইলিশ নদীতে ওঠে, সেসব লোঙ্গায় জাম খরচি নামের অবৈধ জাল পেতে রাখেন প্রভাবশালী জেলেরা। এসব জালে ইলিশ বাধা পেয়ে আবার সাগরে ফেরত যায়। আর এসব অবৈধ জাল যেখানে পাতা হয়, সেখানে কিছুদিনের মধ্যেই চর পড়ে যায়।
শুধু এ কারণই নয়, কেন মিলছে না নদীর ইলিশ জানতে কথা হয় বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ইলিশের এই সংকটের জন্য দায়ী অবাধে জাটকা শিকার। তিনি আরও বলেন ‘বাজারে চাপিলা নামে যে মাছটি বিক্রি হয়, সেটি আসলে ছোট ইলিশ। সরকার ও মৎস্য বিভাগ জাটকা নিধন প্রতিরোধে কাজ করলেও চাপিলা নামে যে লাখ লাখ টন ইলিশের বাচ্চা বিক্রি হচ্ছে, সেদিকে কোনো নজর নেই। বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় টনকে টন চাপিলা বেচাকেনা হয় প্রতিদিন। চাপিলা বাঁচানো না গেলে বাঁচবে না নদীর ইলিশ।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন বলেন, সমুদ্রে ইলিশ আছে, তবে বর্তমানে জেলেরা ইলিশ কম পাচ্ছেন। কম বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় নদীতে ইলিশ আসেনি। এখন যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসছে। আশা করা যায়, সামনের সময়ে ইলিশ উপকূলীয় নদীতে ধরা পড়বে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জুবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বংশাল থানায় মামলা করেন জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত। সকালে আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী।
৪ মিনিট আগেপিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পিরোজপুর-২ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী।
৬ মিনিট আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে দাহ্য পদার্থই আগুনের তীব্রতা বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক। তিনি জানান, দাহ্য পদার্থের উপস্থিতির কারণে প্রাথমিক পর্যায়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়েছিল।
১২ মিনিট আগেজাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) উদ্যোগে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) সম্মেলনকক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে। ‘প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সিবিও সদস্যদের সক্ষমতা উন্নয়ন’ শীর্ষক কর্মশালাটি আজ মঙ্গলবার সকালে শুরু হয়।
৩০ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জুবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বংশাল থানায় মামলা করেন জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত। সকালে আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী।
ডিসি মল্লিক আহসান বলেন, ছাত্রদলের নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় তাঁর বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এতে মাহিরসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকায় টিউশনি করতে গিয়ে খুন হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেন। তিনি এক বছর ধরে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় ১৫, নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলা নামে একটি বাড়িতে এক ছাত্রীকে (এইচএসসি শিক্ষার্থী) পড়াতেন। ওই বাড়ির সিঁড়িতেই তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে রৌশান ভিলার সিঁড়িতে জোবায়েদের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে রৌশান ভিলা থেকে ওই ছাত্রীকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
জোবায়েদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের ১৫ তম ব্যাচের পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বাসার সামনে জড়ো হন জোবায়েদের সহপাঠী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক, বর্তমান শিক্ষার্থীসহ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জুবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বংশাল থানায় মামলা করেন জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত। সকালে আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী।
ডিসি মল্লিক আহসান বলেন, ছাত্রদলের নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় তাঁর বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এতে মাহিরসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকায় টিউশনি করতে গিয়ে খুন হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেন। তিনি এক বছর ধরে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় ১৫, নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলা নামে একটি বাড়িতে এক ছাত্রীকে (এইচএসসি শিক্ষার্থী) পড়াতেন। ওই বাড়ির সিঁড়িতেই তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে রৌশান ভিলার সিঁড়িতে জোবায়েদের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে রৌশান ভিলা থেকে ওই ছাত্রীকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
জোবায়েদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের ১৫ তম ব্যাচের পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বাসার সামনে জড়ো হন জোবায়েদের সহপাঠী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক, বর্তমান শিক্ষার্থীসহ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।
চলতি ইলিশের মৌসুমে বরগুনা বিভিন্ন হাটবাজারে মিলছে না পর্যাপ্ত ইলিশ। বাজারগুলোতে যে ইলিশ পাওয়া যায়, তারও দাম আকাশচুম্বি। ফলে ইলিশ ভাজার তেল দিয়ে গরম ভাত মেখে খাওয়া সাধারণ মধ্যবিত্ত, নিন্মবিত্তদের কাছে এখন স্বপ্নের মতন হয়ে গেছে।
২৭ আগস্ট ২০২৫পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পিরোজপুর-২ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী।
৬ মিনিট আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে দাহ্য পদার্থই আগুনের তীব্রতা বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক। তিনি জানান, দাহ্য পদার্থের উপস্থিতির কারণে প্রাথমিক পর্যায়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়েছিল।
১২ মিনিট আগেজাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) উদ্যোগে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) সম্মেলনকক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে। ‘প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সিবিও সদস্যদের সক্ষমতা উন্নয়ন’ শীর্ষক কর্মশালাটি আজ মঙ্গলবার সকালে শুরু হয়।
৩০ মিনিট আগেনেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পিরোজপুর-২ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী।
শামীম বিন সাঈদী বলেন, ‘আমরা পূর্ব থেকেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছি। তবে যেহেতু এটি প্রথমবার, আমার মনে হয় প্রাথমিকভাবে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে।’ মঙ্গলবার সকালে নেছারাবাদ উপজেলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এ সময় সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে শামীম বিন সাঈদী বলেন, ‘পিরোজপুর-২ আসনের নেছারাবাদ, ভান্ডারিয়া ও ইন্দুরকানি থেকে কিছু লোককে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাচ্ছে বলে শুনছি। তবে সাদাপোশাকে এসে কাউকে তুলে নেওয়া আমি সমর্থন করি না। কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে পরিচয় প্রকাশ করে এবং নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা উচিত। গ্রেপ্তারের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তাঁর অপরাধ সম্পর্কে অবহিত করা প্রয়োজন। নিরীহ ও নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হলে তা আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করব না।’
উল্লেখ্য, পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া, কাউখালী ও নেছারাবাদ) আসনে এখনো বিএনপি কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। ফলে এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী এককভাবে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন এবং নিয়মিতভাবে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার তিনি নেছারাবাদে গণসংযোগে অংশ নেন।
পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পিরোজপুর-২ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী।
শামীম বিন সাঈদী বলেন, ‘আমরা পূর্ব থেকেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছি। তবে যেহেতু এটি প্রথমবার, আমার মনে হয় প্রাথমিকভাবে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে।’ মঙ্গলবার সকালে নেছারাবাদ উপজেলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এ সময় সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে শামীম বিন সাঈদী বলেন, ‘পিরোজপুর-২ আসনের নেছারাবাদ, ভান্ডারিয়া ও ইন্দুরকানি থেকে কিছু লোককে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাচ্ছে বলে শুনছি। তবে সাদাপোশাকে এসে কাউকে তুলে নেওয়া আমি সমর্থন করি না। কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে পরিচয় প্রকাশ করে এবং নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা উচিত। গ্রেপ্তারের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তাঁর অপরাধ সম্পর্কে অবহিত করা প্রয়োজন। নিরীহ ও নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হলে তা আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করব না।’
উল্লেখ্য, পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া, কাউখালী ও নেছারাবাদ) আসনে এখনো বিএনপি কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। ফলে এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী এককভাবে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন এবং নিয়মিতভাবে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার তিনি নেছারাবাদে গণসংযোগে অংশ নেন।
চলতি ইলিশের মৌসুমে বরগুনা বিভিন্ন হাটবাজারে মিলছে না পর্যাপ্ত ইলিশ। বাজারগুলোতে যে ইলিশ পাওয়া যায়, তারও দাম আকাশচুম্বি। ফলে ইলিশ ভাজার তেল দিয়ে গরম ভাত মেখে খাওয়া সাধারণ মধ্যবিত্ত, নিন্মবিত্তদের কাছে এখন স্বপ্নের মতন হয়ে গেছে।
২৭ আগস্ট ২০২৫জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জুবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বংশাল থানায় মামলা করেন জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত। সকালে আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী।
৪ মিনিট আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে দাহ্য পদার্থই আগুনের তীব্রতা বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক। তিনি জানান, দাহ্য পদার্থের উপস্থিতির কারণে প্রাথমিক পর্যায়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়েছিল।
১২ মিনিট আগেজাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) উদ্যোগে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) সম্মেলনকক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে। ‘প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সিবিও সদস্যদের সক্ষমতা উন্নয়ন’ শীর্ষক কর্মশালাটি আজ মঙ্গলবার সকালে শুরু হয়।
৩০ মিনিট আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে দাহ্য পদার্থই আগুনের তীব্রতা বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক। তিনি জানান, দাহ্য পদার্থের উপস্থিতির কারণে প্রাথমিক পর্যায়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়েছিল। কোনো অগ্নিনির্বাপণ যানকে ঘটনাস্থলে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়নি।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বেবিচক সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আগুন নেভাতে আসা কোনো ফায়ার ভেহিকেলকে বাধা দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন মহল থেকে কিছু গুজব ছড়ানো হচ্ছে, যা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে পরিহার করা উচিত।’
বেবিচক চেয়ারম্যান জানান, আমদানি কুরিয়ার সেকশন থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এটি এখনো নিশ্চিত নয়, তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো সংস্থা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। নির্ভরযোগ্য তথ্য ছাড়া আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, ‘দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে কার্গো টার্মিনালে প্রথম ধোঁয়া দেখা যায়। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের দল যোগ দেয়। সব মিলিয়ে ৪০টির বেশি ফায়ার ফাইটিং ভেহিকল আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগুন লাগার সময় টার্মিনালের ভেতরে কয়েকটি উড়োজাহাজ ছিল। আমরা দ্রুত সেগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সক্ষম হই। উত্তর ও দক্ষিণ উভয় পাশে কাট-অফ মেকানিজম (দাহ্য পদার্থকে আগুন থেকে বিচ্ছিন্ন করা) ব্যবহার করে আগুনের বিস্তার রোধ করা হয়। আল্লাহর রহমতে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।’
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আইকাও স্ট্যান্ডার্ড মেনেই আমাদের সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আমাদের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট নিয়মিত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং দ্রুত সাড়া দিতে সক্ষম। এবারও তাদের পেশাদারি বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো গেছে।’
তিনি জানান, আগুনের সময় বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ থাকায় ১৫টি ফ্লাইট অন্য রুটে পাঠানো হয়। পরদিন বিকেল ৪টার মধ্যে আটকে পড়া যাত্রীদের নিজ নিজ গন্তব্যে পাঠানো হয়।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে দাহ্য পদার্থই আগুনের তীব্রতা বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক। তিনি জানান, দাহ্য পদার্থের উপস্থিতির কারণে প্রাথমিক পর্যায়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়েছিল। কোনো অগ্নিনির্বাপণ যানকে ঘটনাস্থলে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়নি।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বেবিচক সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আগুন নেভাতে আসা কোনো ফায়ার ভেহিকেলকে বাধা দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন মহল থেকে কিছু গুজব ছড়ানো হচ্ছে, যা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে পরিহার করা উচিত।’
বেবিচক চেয়ারম্যান জানান, আমদানি কুরিয়ার সেকশন থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এটি এখনো নিশ্চিত নয়, তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো সংস্থা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। নির্ভরযোগ্য তথ্য ছাড়া আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, ‘দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে কার্গো টার্মিনালে প্রথম ধোঁয়া দেখা যায়। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের দল যোগ দেয়। সব মিলিয়ে ৪০টির বেশি ফায়ার ফাইটিং ভেহিকল আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগুন লাগার সময় টার্মিনালের ভেতরে কয়েকটি উড়োজাহাজ ছিল। আমরা দ্রুত সেগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সক্ষম হই। উত্তর ও দক্ষিণ উভয় পাশে কাট-অফ মেকানিজম (দাহ্য পদার্থকে আগুন থেকে বিচ্ছিন্ন করা) ব্যবহার করে আগুনের বিস্তার রোধ করা হয়। আল্লাহর রহমতে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।’
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আইকাও স্ট্যান্ডার্ড মেনেই আমাদের সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আমাদের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট নিয়মিত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং দ্রুত সাড়া দিতে সক্ষম। এবারও তাদের পেশাদারি বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো গেছে।’
তিনি জানান, আগুনের সময় বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ থাকায় ১৫টি ফ্লাইট অন্য রুটে পাঠানো হয়। পরদিন বিকেল ৪টার মধ্যে আটকে পড়া যাত্রীদের নিজ নিজ গন্তব্যে পাঠানো হয়।
চলতি ইলিশের মৌসুমে বরগুনা বিভিন্ন হাটবাজারে মিলছে না পর্যাপ্ত ইলিশ। বাজারগুলোতে যে ইলিশ পাওয়া যায়, তারও দাম আকাশচুম্বি। ফলে ইলিশ ভাজার তেল দিয়ে গরম ভাত মেখে খাওয়া সাধারণ মধ্যবিত্ত, নিন্মবিত্তদের কাছে এখন স্বপ্নের মতন হয়ে গেছে।
২৭ আগস্ট ২০২৫জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জুবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বংশাল থানায় মামলা করেন জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত। সকালে আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী।
৪ মিনিট আগেপিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পিরোজপুর-২ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী।
৬ মিনিট আগেজাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) উদ্যোগে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) সম্মেলনকক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে। ‘প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সিবিও সদস্যদের সক্ষমতা উন্নয়ন’ শীর্ষক কর্মশালাটি আজ মঙ্গলবার সকালে শুরু হয়।
৩০ মিনিট আগেবাকৃবি প্রতিনিধি
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) উদ্যোগে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) সম্মেলনকক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে। ‘প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সিবিও সদস্যদের সক্ষমতা উন্নয়ন’ শীর্ষক কর্মশালাটি আজ মঙ্গলবার সকালে শুরু হয়।
বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফএওর জাতীয় সক্ষমতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ কিংকর চন্দ্র সাহা, বিএফআরআইয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কেন্দ্রপ্রধান (ফ্রেশ ওয়াটার স্টেশন) ড. মো. হারুনুর রশিদ এবং প্রশিক্ষণ শাখার প্রধান ড. মো. শরীফুল ইসলাম।
প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি আয়োজিত হয়েছে বাংলাদেশে কমিউনিটিভিত্তিক জলবায়ু সহনশীল মৎস্য ও অ্যাকুয়াকালচার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায়, যা যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে মৎস্য অধিদপ্তর (ডিওএফ), বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। প্রকল্পটি অর্থায়ন করছে গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)।
প্রশিক্ষণে বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন কমিউনিটিভিত্তিক সংগঠনের (CBOs) ২১ জন সদস্য অংশগ্রহণ করছেন। প্রশিক্ষণ চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
প্রশিক্ষণার্থীরা মাছের খাবার তৈরি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহৃত মেশিনের কার্যকর পরিচালনা, ত্রুটি শনাক্তকরণ ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করে টেকসই মাছের খাদ্য প্রণয়ন সম্পর্কেও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), মৎস্য অধিদপ্তর এবং বেসরকারি মাছের খাদ্য শিল্পের বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষণে তাত্ত্বিক সেশন ও ব্যবহারিক প্রদর্শন পরিচালনা করবেন।
আয়োজকেরা জানান, এই উদ্যোগ অংশগ্রহণকারীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্যোক্তা সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এর ফলে তাঁরা নিজ নিজ এলাকায় কার্যকরভাবে ফিড মেশিন পরিচালনা করতে পারবেন এবং জলবায়ু সহনশীল, টেকসই মৎস্য চাষ সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখতে পারবেন।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) উদ্যোগে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) সম্মেলনকক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে। ‘প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সিবিও সদস্যদের সক্ষমতা উন্নয়ন’ শীর্ষক কর্মশালাটি আজ মঙ্গলবার সকালে শুরু হয়।
বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফএওর জাতীয় সক্ষমতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ কিংকর চন্দ্র সাহা, বিএফআরআইয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কেন্দ্রপ্রধান (ফ্রেশ ওয়াটার স্টেশন) ড. মো. হারুনুর রশিদ এবং প্রশিক্ষণ শাখার প্রধান ড. মো. শরীফুল ইসলাম।
প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি আয়োজিত হয়েছে বাংলাদেশে কমিউনিটিভিত্তিক জলবায়ু সহনশীল মৎস্য ও অ্যাকুয়াকালচার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায়, যা যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে মৎস্য অধিদপ্তর (ডিওএফ), বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। প্রকল্পটি অর্থায়ন করছে গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)।
প্রশিক্ষণে বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন কমিউনিটিভিত্তিক সংগঠনের (CBOs) ২১ জন সদস্য অংশগ্রহণ করছেন। প্রশিক্ষণ চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
প্রশিক্ষণার্থীরা মাছের খাবার তৈরি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহৃত মেশিনের কার্যকর পরিচালনা, ত্রুটি শনাক্তকরণ ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করে টেকসই মাছের খাদ্য প্রণয়ন সম্পর্কেও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), মৎস্য অধিদপ্তর এবং বেসরকারি মাছের খাদ্য শিল্পের বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষণে তাত্ত্বিক সেশন ও ব্যবহারিক প্রদর্শন পরিচালনা করবেন।
আয়োজকেরা জানান, এই উদ্যোগ অংশগ্রহণকারীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্যোক্তা সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এর ফলে তাঁরা নিজ নিজ এলাকায় কার্যকরভাবে ফিড মেশিন পরিচালনা করতে পারবেন এবং জলবায়ু সহনশীল, টেকসই মৎস্য চাষ সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখতে পারবেন।
চলতি ইলিশের মৌসুমে বরগুনা বিভিন্ন হাটবাজারে মিলছে না পর্যাপ্ত ইলিশ। বাজারগুলোতে যে ইলিশ পাওয়া যায়, তারও দাম আকাশচুম্বি। ফলে ইলিশ ভাজার তেল দিয়ে গরম ভাত মেখে খাওয়া সাধারণ মধ্যবিত্ত, নিন্মবিত্তদের কাছে এখন স্বপ্নের মতন হয়ে গেছে।
২৭ আগস্ট ২০২৫জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জুবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বংশাল থানায় মামলা করেন জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত। সকালে আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী।
৪ মিনিট আগেপিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পিরোজপুর-২ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী।
৬ মিনিট আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে দাহ্য পদার্থই আগুনের তীব্রতা বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক। তিনি জানান, দাহ্য পদার্থের উপস্থিতির কারণে প্রাথমিক পর্যায়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়েছিল।
১২ মিনিট আগে