বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের লামা উপজেলায় নির্বাহী অফিসের সহকারী কাম কম্পিউটার নাজমুল আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণসহ বিভিন্ন এলাকায় তিনি নামে-বেনামে কিনেছেন কোটি টাকার জমি ও পর্যটন স্পট। তাঁর বেতনের সঙ্গে সম্পদের নজিরবিহীন বৈসাদৃশ্য এখন এলাকার মানুষের মুখে মুখে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে সালে লামা উপজেলায় নির্বাহী অফিসের সহকারী কাম কম্পিউটার (মুদ্রাক্ষরিক অপারেটর) হিসেবে ৯,৩০০-২২, ৪৯০ টাকা বেতনের চাকরিতে যোগদান করেন নাজমুল আলম। এরপর থেকে তিনি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সরকারি দপ্তরের পদবি ব্যবহার করে অবৈধ পন্থায় রাতারাতি বনে গেছেন আঙুল ফুলে কলাগাছ। তাঁর বাবা ওসমান গনি দুলাল উপজেলা ভূমি অফিসের চেইনম্যান। বাবা-ছেলে যোগসাজশে অবৈধ পন্থায় গড়ে তুলেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি।
স্থানীয়রা জানান, ২০-২৫ বছর আগে চাকরি সূত্রে নোয়াখালী থেকে বান্দরবনের লামায় আসেন নাজমুলের বাবা। লামায় এসে পৌরসভার বড় নূনারবিল ৭ নম্বর ওয়ার্ড বাড়ির জন্য ৫ শতক জায়গা কেনেন। পরবর্তীতে নাজমুল চাকরিতে যোগদান করার পর রাতারাতি বদলে যেতে থাকে সবকিছু। হঠাৎ এমন বিত্তশালী হওয়ার প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে। নাজমুল আলমের ছোট ভাই লামা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। বড় ভাইয়ের সঙ্গে যোগসাজশে অফিসের সবাইকে ম্যানেজ করে ঠিকাদারি কাজ করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
নাজমুল আলম যেসব সম্পদের মালিক
লামার ব্যবসায়ী ও আস্থাভাজন সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার মিরিংঞ্জা মুরুং পাড়ার পাশে নাজমুলের আম ও সেগুন বাগান রয়েছে ৫ একর, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২০ লক্ষ টাকা। কলেজের সামনে মার্কেটসহ ৫ শতক জায়গা, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১০ লক্ষ টাকা। লামা থানার সামনে টাইলসের দোকান, যার বাজার মূল্য ২০ লক্ষ টাকা। একটি এক্স নোহা, চট্টগ্রাম মেট্রো-চ ১২-০১৪৭, যার বাজারমূল্য ৩০ লক্ষ টাকা। একটি চান্দের গাড়ি, যার বাজার মূল্য ৪ লক্ষ টাকা। দুটি টাটা কোম্পানির ট্রাক গাড়ি যার মধ্যে একটি গাড়ির নম্বর চট্ট মেট্রো ট-১২-১৩২৭, বাজার মূল্য ২৫ লক্ষ টাকা।

লামা সাবেক বিলছড়ির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সিলেটীপাড়া এলাকায় ৬ একর পাহাড়জুড়ে সেগুন বাগানসহ ৪ কানি খেতের জায়গা রয়েছে তাঁর নামে, যার বাজার মূল্য কোটি টাকা। এই জায়গা ছাড়াও ৪ বছর আগে ২০ শতক জায়গা ১০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছেন লামার মুখ এলাকায় ব্রিটিশ টোব্যাকোর ফ্লিডম্যান হান্নানের কাছে।
এ ছাড়াও সিলেটীপাড়ার সাবেক বিলছড়িতে পাহাড়ের এক কানি বিক্রি করেছেন ৪ লক্ষ টাকায়। পাহাড়ে তাঁর ৬ একরের সেগুন বাগানের বাজারমূল্য ৬০ লক্ষ টাকা। ১ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করেছেন দোতলা ডুপ্লেক্স বাড়ি। তিনি লামা বাজারের মধ্যে সানা ফ্রেব্রিক্স ও শাহ্ জব্বারিয়া ক্লথ স্টোর নামে দুটি কাপড়ের দোকানের অংশীদার। লামা পর্যটন খাতের ৩ একর জায়গাজুড়ে মারাইংছা হিল ও ১০ একর জায়গাজুড়ে রিভার ভিউ নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার। মারাইংছা হিলের সঙ্গে ব্যক্তিগত আরও ৫ একর জায়গা কিনেছেন ৫ লক্ষ টাকায়।

তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বান্দরবানের বাসিন্দা না হওয়া সত্ত্বেও পার্বত্য আইন অমান্য করে ৩০৩ নম্বর ডলুছড়ি মৌজায় ৩য় শ্রেণির ২৫ একর জায়গা ক্রয় করেন। অবৈধ এই কাজে সহায়তা করে সাবেক মন্ত্রীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন নাজমুল আলম। তা ছাড়া নাজমুল আলম সরকারি দপ্তরে পদবি ব্যবহার করে লামা ছাগলখাইয়্যা এলাকায় বালুর পয়েন্টের অংশীদার।
যা বলছেন স্থানীয়রা
লামার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সিলেটী পাড়ার বাসিন্দা আলী আহম্মেদ বলেন, ‘নাজমুলরা গত বছর অবৈধভাবে মিয়ানমার থেকে আসা গরু ব্যবসা থেকে টাকাওয়ালা হয়ে গেছেন। ওখান থেকেই টাকা কামায়ছে, তারা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক, জিরো থেকে হিরো হয়ে গেছে।’

বড় নূনারবিল চহ্লাচিং মার্মা (৬৮) বলেন, ‘শূন্য থেকে তাঁরা আজ অনেক টাকার মালিক। বাপ-দাদাদের কোনো সহায়-সম্পত্তি ছিল না। ২০ বছরে তাঁর বাবা বাড়ির জায়গা কিনেছেন। এত সম্পদ কীভাবে হলো তদন্ত হওয়া দরকার।’
বিস্তর এসব অভিযোগের বিষয়ে নাজমুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মারাংছা হিল রিসোর্ট ব্যতীত আর কোনো সম্পদ আমার নয়। এসব সম্পদ বাবা-মা ও ভাইয়ের নামে। আমার নামে কোনো সম্পদ নেই। আমার ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।’

এ বিষয়ে জানতে বান্দরবানের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাজমুল অনেক সম্পদের মালিক কিনা জানি না। লিখিত কোনো অভিযোগ পেলে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’

বান্দরবানের লামা উপজেলায় নির্বাহী অফিসের সহকারী কাম কম্পিউটার নাজমুল আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণসহ বিভিন্ন এলাকায় তিনি নামে-বেনামে কিনেছেন কোটি টাকার জমি ও পর্যটন স্পট। তাঁর বেতনের সঙ্গে সম্পদের নজিরবিহীন বৈসাদৃশ্য এখন এলাকার মানুষের মুখে মুখে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে সালে লামা উপজেলায় নির্বাহী অফিসের সহকারী কাম কম্পিউটার (মুদ্রাক্ষরিক অপারেটর) হিসেবে ৯,৩০০-২২, ৪৯০ টাকা বেতনের চাকরিতে যোগদান করেন নাজমুল আলম। এরপর থেকে তিনি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সরকারি দপ্তরের পদবি ব্যবহার করে অবৈধ পন্থায় রাতারাতি বনে গেছেন আঙুল ফুলে কলাগাছ। তাঁর বাবা ওসমান গনি দুলাল উপজেলা ভূমি অফিসের চেইনম্যান। বাবা-ছেলে যোগসাজশে অবৈধ পন্থায় গড়ে তুলেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি।
স্থানীয়রা জানান, ২০-২৫ বছর আগে চাকরি সূত্রে নোয়াখালী থেকে বান্দরবনের লামায় আসেন নাজমুলের বাবা। লামায় এসে পৌরসভার বড় নূনারবিল ৭ নম্বর ওয়ার্ড বাড়ির জন্য ৫ শতক জায়গা কেনেন। পরবর্তীতে নাজমুল চাকরিতে যোগদান করার পর রাতারাতি বদলে যেতে থাকে সবকিছু। হঠাৎ এমন বিত্তশালী হওয়ার প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে। নাজমুল আলমের ছোট ভাই লামা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। বড় ভাইয়ের সঙ্গে যোগসাজশে অফিসের সবাইকে ম্যানেজ করে ঠিকাদারি কাজ করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
নাজমুল আলম যেসব সম্পদের মালিক
লামার ব্যবসায়ী ও আস্থাভাজন সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার মিরিংঞ্জা মুরুং পাড়ার পাশে নাজমুলের আম ও সেগুন বাগান রয়েছে ৫ একর, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২০ লক্ষ টাকা। কলেজের সামনে মার্কেটসহ ৫ শতক জায়গা, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১০ লক্ষ টাকা। লামা থানার সামনে টাইলসের দোকান, যার বাজার মূল্য ২০ লক্ষ টাকা। একটি এক্স নোহা, চট্টগ্রাম মেট্রো-চ ১২-০১৪৭, যার বাজারমূল্য ৩০ লক্ষ টাকা। একটি চান্দের গাড়ি, যার বাজার মূল্য ৪ লক্ষ টাকা। দুটি টাটা কোম্পানির ট্রাক গাড়ি যার মধ্যে একটি গাড়ির নম্বর চট্ট মেট্রো ট-১২-১৩২৭, বাজার মূল্য ২৫ লক্ষ টাকা।

লামা সাবেক বিলছড়ির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সিলেটীপাড়া এলাকায় ৬ একর পাহাড়জুড়ে সেগুন বাগানসহ ৪ কানি খেতের জায়গা রয়েছে তাঁর নামে, যার বাজার মূল্য কোটি টাকা। এই জায়গা ছাড়াও ৪ বছর আগে ২০ শতক জায়গা ১০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছেন লামার মুখ এলাকায় ব্রিটিশ টোব্যাকোর ফ্লিডম্যান হান্নানের কাছে।
এ ছাড়াও সিলেটীপাড়ার সাবেক বিলছড়িতে পাহাড়ের এক কানি বিক্রি করেছেন ৪ লক্ষ টাকায়। পাহাড়ে তাঁর ৬ একরের সেগুন বাগানের বাজারমূল্য ৬০ লক্ষ টাকা। ১ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করেছেন দোতলা ডুপ্লেক্স বাড়ি। তিনি লামা বাজারের মধ্যে সানা ফ্রেব্রিক্স ও শাহ্ জব্বারিয়া ক্লথ স্টোর নামে দুটি কাপড়ের দোকানের অংশীদার। লামা পর্যটন খাতের ৩ একর জায়গাজুড়ে মারাইংছা হিল ও ১০ একর জায়গাজুড়ে রিভার ভিউ নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার। মারাইংছা হিলের সঙ্গে ব্যক্তিগত আরও ৫ একর জায়গা কিনেছেন ৫ লক্ষ টাকায়।

তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বান্দরবানের বাসিন্দা না হওয়া সত্ত্বেও পার্বত্য আইন অমান্য করে ৩০৩ নম্বর ডলুছড়ি মৌজায় ৩য় শ্রেণির ২৫ একর জায়গা ক্রয় করেন। অবৈধ এই কাজে সহায়তা করে সাবেক মন্ত্রীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন নাজমুল আলম। তা ছাড়া নাজমুল আলম সরকারি দপ্তরে পদবি ব্যবহার করে লামা ছাগলখাইয়্যা এলাকায় বালুর পয়েন্টের অংশীদার।
যা বলছেন স্থানীয়রা
লামার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সিলেটী পাড়ার বাসিন্দা আলী আহম্মেদ বলেন, ‘নাজমুলরা গত বছর অবৈধভাবে মিয়ানমার থেকে আসা গরু ব্যবসা থেকে টাকাওয়ালা হয়ে গেছেন। ওখান থেকেই টাকা কামায়ছে, তারা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক, জিরো থেকে হিরো হয়ে গেছে।’

বড় নূনারবিল চহ্লাচিং মার্মা (৬৮) বলেন, ‘শূন্য থেকে তাঁরা আজ অনেক টাকার মালিক। বাপ-দাদাদের কোনো সহায়-সম্পত্তি ছিল না। ২০ বছরে তাঁর বাবা বাড়ির জায়গা কিনেছেন। এত সম্পদ কীভাবে হলো তদন্ত হওয়া দরকার।’
বিস্তর এসব অভিযোগের বিষয়ে নাজমুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মারাংছা হিল রিসোর্ট ব্যতীত আর কোনো সম্পদ আমার নয়। এসব সম্পদ বাবা-মা ও ভাইয়ের নামে। আমার নামে কোনো সম্পদ নেই। আমার ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।’

এ বিষয়ে জানতে বান্দরবানের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাজমুল অনেক সম্পদের মালিক কিনা জানি না। লিখিত কোনো অভিযোগ পেলে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’
বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের লামা উপজেলায় নির্বাহী অফিসের সহকারী কাম কম্পিউটার নাজমুল আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণসহ বিভিন্ন এলাকায় তিনি নামে-বেনামে কিনেছেন কোটি টাকার জমি ও পর্যটন স্পট। তাঁর বেতনের সঙ্গে সম্পদের নজিরবিহীন বৈসাদৃশ্য এখন এলাকার মানুষের মুখে মুখে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে সালে লামা উপজেলায় নির্বাহী অফিসের সহকারী কাম কম্পিউটার (মুদ্রাক্ষরিক অপারেটর) হিসেবে ৯,৩০০-২২, ৪৯০ টাকা বেতনের চাকরিতে যোগদান করেন নাজমুল আলম। এরপর থেকে তিনি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সরকারি দপ্তরের পদবি ব্যবহার করে অবৈধ পন্থায় রাতারাতি বনে গেছেন আঙুল ফুলে কলাগাছ। তাঁর বাবা ওসমান গনি দুলাল উপজেলা ভূমি অফিসের চেইনম্যান। বাবা-ছেলে যোগসাজশে অবৈধ পন্থায় গড়ে তুলেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি।
স্থানীয়রা জানান, ২০-২৫ বছর আগে চাকরি সূত্রে নোয়াখালী থেকে বান্দরবনের লামায় আসেন নাজমুলের বাবা। লামায় এসে পৌরসভার বড় নূনারবিল ৭ নম্বর ওয়ার্ড বাড়ির জন্য ৫ শতক জায়গা কেনেন। পরবর্তীতে নাজমুল চাকরিতে যোগদান করার পর রাতারাতি বদলে যেতে থাকে সবকিছু। হঠাৎ এমন বিত্তশালী হওয়ার প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে। নাজমুল আলমের ছোট ভাই লামা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। বড় ভাইয়ের সঙ্গে যোগসাজশে অফিসের সবাইকে ম্যানেজ করে ঠিকাদারি কাজ করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
নাজমুল আলম যেসব সম্পদের মালিক
লামার ব্যবসায়ী ও আস্থাভাজন সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার মিরিংঞ্জা মুরুং পাড়ার পাশে নাজমুলের আম ও সেগুন বাগান রয়েছে ৫ একর, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২০ লক্ষ টাকা। কলেজের সামনে মার্কেটসহ ৫ শতক জায়গা, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১০ লক্ষ টাকা। লামা থানার সামনে টাইলসের দোকান, যার বাজার মূল্য ২০ লক্ষ টাকা। একটি এক্স নোহা, চট্টগ্রাম মেট্রো-চ ১২-০১৪৭, যার বাজারমূল্য ৩০ লক্ষ টাকা। একটি চান্দের গাড়ি, যার বাজার মূল্য ৪ লক্ষ টাকা। দুটি টাটা কোম্পানির ট্রাক গাড়ি যার মধ্যে একটি গাড়ির নম্বর চট্ট মেট্রো ট-১২-১৩২৭, বাজার মূল্য ২৫ লক্ষ টাকা।

লামা সাবেক বিলছড়ির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সিলেটীপাড়া এলাকায় ৬ একর পাহাড়জুড়ে সেগুন বাগানসহ ৪ কানি খেতের জায়গা রয়েছে তাঁর নামে, যার বাজার মূল্য কোটি টাকা। এই জায়গা ছাড়াও ৪ বছর আগে ২০ শতক জায়গা ১০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছেন লামার মুখ এলাকায় ব্রিটিশ টোব্যাকোর ফ্লিডম্যান হান্নানের কাছে।
এ ছাড়াও সিলেটীপাড়ার সাবেক বিলছড়িতে পাহাড়ের এক কানি বিক্রি করেছেন ৪ লক্ষ টাকায়। পাহাড়ে তাঁর ৬ একরের সেগুন বাগানের বাজারমূল্য ৬০ লক্ষ টাকা। ১ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করেছেন দোতলা ডুপ্লেক্স বাড়ি। তিনি লামা বাজারের মধ্যে সানা ফ্রেব্রিক্স ও শাহ্ জব্বারিয়া ক্লথ স্টোর নামে দুটি কাপড়ের দোকানের অংশীদার। লামা পর্যটন খাতের ৩ একর জায়গাজুড়ে মারাইংছা হিল ও ১০ একর জায়গাজুড়ে রিভার ভিউ নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার। মারাইংছা হিলের সঙ্গে ব্যক্তিগত আরও ৫ একর জায়গা কিনেছেন ৫ লক্ষ টাকায়।

তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বান্দরবানের বাসিন্দা না হওয়া সত্ত্বেও পার্বত্য আইন অমান্য করে ৩০৩ নম্বর ডলুছড়ি মৌজায় ৩য় শ্রেণির ২৫ একর জায়গা ক্রয় করেন। অবৈধ এই কাজে সহায়তা করে সাবেক মন্ত্রীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন নাজমুল আলম। তা ছাড়া নাজমুল আলম সরকারি দপ্তরে পদবি ব্যবহার করে লামা ছাগলখাইয়্যা এলাকায় বালুর পয়েন্টের অংশীদার।
যা বলছেন স্থানীয়রা
লামার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সিলেটী পাড়ার বাসিন্দা আলী আহম্মেদ বলেন, ‘নাজমুলরা গত বছর অবৈধভাবে মিয়ানমার থেকে আসা গরু ব্যবসা থেকে টাকাওয়ালা হয়ে গেছেন। ওখান থেকেই টাকা কামায়ছে, তারা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক, জিরো থেকে হিরো হয়ে গেছে।’

বড় নূনারবিল চহ্লাচিং মার্মা (৬৮) বলেন, ‘শূন্য থেকে তাঁরা আজ অনেক টাকার মালিক। বাপ-দাদাদের কোনো সহায়-সম্পত্তি ছিল না। ২০ বছরে তাঁর বাবা বাড়ির জায়গা কিনেছেন। এত সম্পদ কীভাবে হলো তদন্ত হওয়া দরকার।’
বিস্তর এসব অভিযোগের বিষয়ে নাজমুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মারাংছা হিল রিসোর্ট ব্যতীত আর কোনো সম্পদ আমার নয়। এসব সম্পদ বাবা-মা ও ভাইয়ের নামে। আমার নামে কোনো সম্পদ নেই। আমার ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।’

এ বিষয়ে জানতে বান্দরবানের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাজমুল অনেক সম্পদের মালিক কিনা জানি না। লিখিত কোনো অভিযোগ পেলে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’

বান্দরবানের লামা উপজেলায় নির্বাহী অফিসের সহকারী কাম কম্পিউটার নাজমুল আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণসহ বিভিন্ন এলাকায় তিনি নামে-বেনামে কিনেছেন কোটি টাকার জমি ও পর্যটন স্পট। তাঁর বেতনের সঙ্গে সম্পদের নজিরবিহীন বৈসাদৃশ্য এখন এলাকার মানুষের মুখে মুখে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে সালে লামা উপজেলায় নির্বাহী অফিসের সহকারী কাম কম্পিউটার (মুদ্রাক্ষরিক অপারেটর) হিসেবে ৯,৩০০-২২, ৪৯০ টাকা বেতনের চাকরিতে যোগদান করেন নাজমুল আলম। এরপর থেকে তিনি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সরকারি দপ্তরের পদবি ব্যবহার করে অবৈধ পন্থায় রাতারাতি বনে গেছেন আঙুল ফুলে কলাগাছ। তাঁর বাবা ওসমান গনি দুলাল উপজেলা ভূমি অফিসের চেইনম্যান। বাবা-ছেলে যোগসাজশে অবৈধ পন্থায় গড়ে তুলেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি।
স্থানীয়রা জানান, ২০-২৫ বছর আগে চাকরি সূত্রে নোয়াখালী থেকে বান্দরবনের লামায় আসেন নাজমুলের বাবা। লামায় এসে পৌরসভার বড় নূনারবিল ৭ নম্বর ওয়ার্ড বাড়ির জন্য ৫ শতক জায়গা কেনেন। পরবর্তীতে নাজমুল চাকরিতে যোগদান করার পর রাতারাতি বদলে যেতে থাকে সবকিছু। হঠাৎ এমন বিত্তশালী হওয়ার প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে। নাজমুল আলমের ছোট ভাই লামা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। বড় ভাইয়ের সঙ্গে যোগসাজশে অফিসের সবাইকে ম্যানেজ করে ঠিকাদারি কাজ করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
নাজমুল আলম যেসব সম্পদের মালিক
লামার ব্যবসায়ী ও আস্থাভাজন সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার মিরিংঞ্জা মুরুং পাড়ার পাশে নাজমুলের আম ও সেগুন বাগান রয়েছে ৫ একর, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২০ লক্ষ টাকা। কলেজের সামনে মার্কেটসহ ৫ শতক জায়গা, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১০ লক্ষ টাকা। লামা থানার সামনে টাইলসের দোকান, যার বাজার মূল্য ২০ লক্ষ টাকা। একটি এক্স নোহা, চট্টগ্রাম মেট্রো-চ ১২-০১৪৭, যার বাজারমূল্য ৩০ লক্ষ টাকা। একটি চান্দের গাড়ি, যার বাজার মূল্য ৪ লক্ষ টাকা। দুটি টাটা কোম্পানির ট্রাক গাড়ি যার মধ্যে একটি গাড়ির নম্বর চট্ট মেট্রো ট-১২-১৩২৭, বাজার মূল্য ২৫ লক্ষ টাকা।

লামা সাবেক বিলছড়ির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সিলেটীপাড়া এলাকায় ৬ একর পাহাড়জুড়ে সেগুন বাগানসহ ৪ কানি খেতের জায়গা রয়েছে তাঁর নামে, যার বাজার মূল্য কোটি টাকা। এই জায়গা ছাড়াও ৪ বছর আগে ২০ শতক জায়গা ১০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছেন লামার মুখ এলাকায় ব্রিটিশ টোব্যাকোর ফ্লিডম্যান হান্নানের কাছে।
এ ছাড়াও সিলেটীপাড়ার সাবেক বিলছড়িতে পাহাড়ের এক কানি বিক্রি করেছেন ৪ লক্ষ টাকায়। পাহাড়ে তাঁর ৬ একরের সেগুন বাগানের বাজারমূল্য ৬০ লক্ষ টাকা। ১ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করেছেন দোতলা ডুপ্লেক্স বাড়ি। তিনি লামা বাজারের মধ্যে সানা ফ্রেব্রিক্স ও শাহ্ জব্বারিয়া ক্লথ স্টোর নামে দুটি কাপড়ের দোকানের অংশীদার। লামা পর্যটন খাতের ৩ একর জায়গাজুড়ে মারাইংছা হিল ও ১০ একর জায়গাজুড়ে রিভার ভিউ নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার। মারাইংছা হিলের সঙ্গে ব্যক্তিগত আরও ৫ একর জায়গা কিনেছেন ৫ লক্ষ টাকায়।

তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বান্দরবানের বাসিন্দা না হওয়া সত্ত্বেও পার্বত্য আইন অমান্য করে ৩০৩ নম্বর ডলুছড়ি মৌজায় ৩য় শ্রেণির ২৫ একর জায়গা ক্রয় করেন। অবৈধ এই কাজে সহায়তা করে সাবেক মন্ত্রীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন নাজমুল আলম। তা ছাড়া নাজমুল আলম সরকারি দপ্তরে পদবি ব্যবহার করে লামা ছাগলখাইয়্যা এলাকায় বালুর পয়েন্টের অংশীদার।
যা বলছেন স্থানীয়রা
লামার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সিলেটী পাড়ার বাসিন্দা আলী আহম্মেদ বলেন, ‘নাজমুলরা গত বছর অবৈধভাবে মিয়ানমার থেকে আসা গরু ব্যবসা থেকে টাকাওয়ালা হয়ে গেছেন। ওখান থেকেই টাকা কামায়ছে, তারা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক, জিরো থেকে হিরো হয়ে গেছে।’

বড় নূনারবিল চহ্লাচিং মার্মা (৬৮) বলেন, ‘শূন্য থেকে তাঁরা আজ অনেক টাকার মালিক। বাপ-দাদাদের কোনো সহায়-সম্পত্তি ছিল না। ২০ বছরে তাঁর বাবা বাড়ির জায়গা কিনেছেন। এত সম্পদ কীভাবে হলো তদন্ত হওয়া দরকার।’
বিস্তর এসব অভিযোগের বিষয়ে নাজমুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মারাংছা হিল রিসোর্ট ব্যতীত আর কোনো সম্পদ আমার নয়। এসব সম্পদ বাবা-মা ও ভাইয়ের নামে। আমার নামে কোনো সম্পদ নেই। আমার ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।’

এ বিষয়ে জানতে বান্দরবানের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাজমুল অনেক সম্পদের মালিক কিনা জানি না। লিখিত কোনো অভিযোগ পেলে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় বিএনপির বহিষ্কৃত এক নেতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শনিবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক লুৎফর রহমান তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি দৈনিক কালবেলা ও স্থানীয় দৈনিক সোনার দেশে পত্রিকার তানোর উপজেলা প্রতিনিধি। পুলিশ তাঁর অভিযোগ....
১ মিনিট আগে
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বন্যা রানী নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাঁর নাম সৌরভ কুমার দাস (২২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, বন্যাকে তাঁর মা আটকে রেখে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৌরভ
৬ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আমরণ অনশনে বসেছেন দুই শিক্ষার্থী। গতকাল শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন তাঁরা। এর আগে দুদিন প্রতীকী অনশন করেন তাঁরা। আমরণ অনশনে থাকা শিক্ষার্থীরা হলেন নাট্যকলা...
১০ মিনিট আগে
ফাতেমা বেগম তাঁর নিজ বাড়ি থেকে একই উপজেলার উকিলবাড়ি এলাকায় মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। আজ দুপুরে মেয়ের বাড়িতে তাঁর কাজির ভাত খাওয়ার দাওয়াত ছিল।
১৬ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় বিএনপির বহিষ্কৃত এক নেতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শনিবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক লুৎফর রহমান তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি দৈনিক কালবেলা ও স্থানীয় দৈনিক সোনার দেশে পত্রিকার তানোর উপজেলা প্রতিনিধি। পুলিশ তাঁর অভিযোগ তদন্ত করছে।
লুৎফর রহমান যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁরা হলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বহিষ্কৃত সদস্য ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান (৫০), জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম কুসুম (৪০) ও তানোর পৌর বিএনপির নেতা মো. ইয়াসিন (৫২)।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা অভিযোগটা পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা আছে। ফুটেজ সংগ্রহ করে আমরা দেখব। সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে লুৎফর রহমান উল্লেখ করেন, ২৩ অক্টোবর তানোরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান ভুঁইয়া এসেছিলেন। তিনি একজন সাংবাদিক হিসেবে সেখানে যান। এ সময় পূর্বশত্রুতার জেরে মিজানুর রহমান তাঁকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগাল শুরু করেন। পরে অন্য আসামিদের হুকুম দিয়ে বলেন, ‘...জনমের মতো সাংবাদিকতা শিখিয়ে দে।’ হুকুম পেয়ে রবিউল ইসলাম কুসুম তাঁর গালে সজোরে থাপ্পড় মারেন।’
অভিযোগে সাংবাদিক লুৎফর লেখেন, ‘আমি অতর্কিত হামলায় হতভম্ব হয়ে পড়ি এবং কিছু বুঝে ওঠার আগেই ইয়াসিন আমাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছিলা, ফোলা ও কালশিরা জখম করেন। একপর্যায়ে কুসুম হুমকি দিয়ে বলেন, গাড়ি থেকে অস্ত্র নিয়ে এসে চিরদিনের মতো শেষ করে দে। যা হয় পরে দেখা যাবে।’ ইয়াসিন গলা চেয়ে ধরে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন। তখন মিজানুর রহমান বলেন, ‘এখানে সিসি ক্যামেরা আছে, ধরা পড়ে যাবি।’ প্রায় ১০ মিনিট ধরে আসামিরা আমাকে কিল, ঘুষি ও থাপ্পড় মারার পর মিজানুর রহমান আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং বলেন, ‘এ মুহূর্তে এলাকা ছেড়ে যাবি, নতুবা এখানেই তোর লাশ পড়ে যাবে।’ পরে অনেকে ছুটে এসে আমাকে আসামিদের হাত থেকে রক্ষা করেন।’
অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘চড়-থাপ্পড়ের কারণে আমি বাম কানের শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলি।’ পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছেন সাংবাদিক লুৎফর রহমান।
অভিযোগের বিষয়ে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম কুসুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। জেলা যুবদলের সদস্যসচিব রেজাউল করিম টুটুল বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমিও অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিও বিষয়টি জেনে আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করে দেখব।’
অভিযোগের বিষয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান বলেন, ‘সেদিন কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনার কার্ড দেওয়া হচ্ছিল। লুৎফর রহমান বিএনপির লোক পরিচয়ে কার্ড নিতে এসেছিলেন। তখন আমাদের লোকজন জিজ্ঞেস করেন, তিনি কীসের বিএনপি। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। দলের লোকজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। আমি সেখানে ছিলাম বলে তাঁকে বাঁচিয়েছি। তা না হলে তো তাঁকে মেরেই ফেলত।’
উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিল ছিল। সেদিন প্রধান অতিথি হিসেবে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিনকে বরণ করা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন। এ ঘটনায় সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করা হয়। পরে মিজানুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় বিএনপির বহিষ্কৃত এক নেতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শনিবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক লুৎফর রহমান তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি দৈনিক কালবেলা ও স্থানীয় দৈনিক সোনার দেশে পত্রিকার তানোর উপজেলা প্রতিনিধি। পুলিশ তাঁর অভিযোগ তদন্ত করছে।
লুৎফর রহমান যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁরা হলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বহিষ্কৃত সদস্য ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান (৫০), জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম কুসুম (৪০) ও তানোর পৌর বিএনপির নেতা মো. ইয়াসিন (৫২)।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা অভিযোগটা পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা আছে। ফুটেজ সংগ্রহ করে আমরা দেখব। সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে লুৎফর রহমান উল্লেখ করেন, ২৩ অক্টোবর তানোরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান ভুঁইয়া এসেছিলেন। তিনি একজন সাংবাদিক হিসেবে সেখানে যান। এ সময় পূর্বশত্রুতার জেরে মিজানুর রহমান তাঁকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগাল শুরু করেন। পরে অন্য আসামিদের হুকুম দিয়ে বলেন, ‘...জনমের মতো সাংবাদিকতা শিখিয়ে দে।’ হুকুম পেয়ে রবিউল ইসলাম কুসুম তাঁর গালে সজোরে থাপ্পড় মারেন।’
অভিযোগে সাংবাদিক লুৎফর লেখেন, ‘আমি অতর্কিত হামলায় হতভম্ব হয়ে পড়ি এবং কিছু বুঝে ওঠার আগেই ইয়াসিন আমাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছিলা, ফোলা ও কালশিরা জখম করেন। একপর্যায়ে কুসুম হুমকি দিয়ে বলেন, গাড়ি থেকে অস্ত্র নিয়ে এসে চিরদিনের মতো শেষ করে দে। যা হয় পরে দেখা যাবে।’ ইয়াসিন গলা চেয়ে ধরে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন। তখন মিজানুর রহমান বলেন, ‘এখানে সিসি ক্যামেরা আছে, ধরা পড়ে যাবি।’ প্রায় ১০ মিনিট ধরে আসামিরা আমাকে কিল, ঘুষি ও থাপ্পড় মারার পর মিজানুর রহমান আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং বলেন, ‘এ মুহূর্তে এলাকা ছেড়ে যাবি, নতুবা এখানেই তোর লাশ পড়ে যাবে।’ পরে অনেকে ছুটে এসে আমাকে আসামিদের হাত থেকে রক্ষা করেন।’
অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘চড়-থাপ্পড়ের কারণে আমি বাম কানের শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলি।’ পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছেন সাংবাদিক লুৎফর রহমান।
অভিযোগের বিষয়ে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম কুসুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। জেলা যুবদলের সদস্যসচিব রেজাউল করিম টুটুল বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমিও অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিও বিষয়টি জেনে আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করে দেখব।’
অভিযোগের বিষয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান বলেন, ‘সেদিন কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনার কার্ড দেওয়া হচ্ছিল। লুৎফর রহমান বিএনপির লোক পরিচয়ে কার্ড নিতে এসেছিলেন। তখন আমাদের লোকজন জিজ্ঞেস করেন, তিনি কীসের বিএনপি। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। দলের লোকজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। আমি সেখানে ছিলাম বলে তাঁকে বাঁচিয়েছি। তা না হলে তো তাঁকে মেরেই ফেলত।’
উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিল ছিল। সেদিন প্রধান অতিথি হিসেবে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিনকে বরণ করা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন। এ ঘটনায় সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করা হয়। পরে মিজানুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

বান্দরবানের লামা উপজেলায় নির্বাহী অফিসের সহকারী কাম কম্পিউটার নাজমুল আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ উঠেছে।
১৭ নভেম্বর ২০২৪
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বন্যা রানী নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাঁর নাম সৌরভ কুমার দাস (২২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, বন্যাকে তাঁর মা আটকে রেখে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৌরভ
৬ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আমরণ অনশনে বসেছেন দুই শিক্ষার্থী। গতকাল শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন তাঁরা। এর আগে দুদিন প্রতীকী অনশন করেন তাঁরা। আমরণ অনশনে থাকা শিক্ষার্থীরা হলেন নাট্যকলা...
১০ মিনিট আগে
ফাতেমা বেগম তাঁর নিজ বাড়ি থেকে একই উপজেলার উকিলবাড়ি এলাকায় মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। আজ দুপুরে মেয়ের বাড়িতে তাঁর কাজির ভাত খাওয়ার দাওয়াত ছিল।
১৬ মিনিট আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বন্যা রানী নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাঁর নাম সৌরভ কুমার দাস (২২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, বন্যাকে তাঁর মা আটকে রেখে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৌরভ তাঁর স্ত্রীকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান।
আজ রোববার দুপুরে ফরিদপুর র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার ও স্কোয়াড্রন লিডার তারিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
এর আগে সকালে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া এলাকা থেকে মামলার একমাত্র আসামি সৌরভ কুমার দাসকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনি ফরিদপুর সদরের বঙ্গেশ্বরদি গ্রামের বাসুদেব দাসের ছেলে এবং পেশায় গ্যারেজের মিস্ত্রি।
তারিকুল ইসলাম জানান, ২০ অক্টোবর সকালে মধুখালী পৌরসভার গাড়াখোলা এলাকায় শাশুড়ির ভাড়াবাসায় ঢুকে বন্যাকে শ্বাস রোধ করে পালিয়ে যান সৌরভ। পরদিন ২১ অক্টোবর মধুখালী থানায় সৌরভকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন বন্যার মা শেফালী রানী।
হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের তথ্য তুলে ধরে তারিকুল ইসলাম বলেন, চার বছর আগে পালিয়ে বিয়ে করেন সৌরভ ও বন্যা। বিষয়টি তখন বন্যার মা মেনে নেননি। সৌরভ ও বন্যা দুই বছর ধরে ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তাঁদের একটি পুত্রসন্তান হয়, যার বয়স দুই বছর। সম্প্রতি তাঁরা এলাকায় ফিরে আসেন। বিভিন্ন সময় বন্যা তাঁর মায়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে তাঁকে আটকে রাখা হয়। সর্বশেষ দুর্গাপূজার আগে বন্যা তাঁর মায়ের বাড়িতে যাওয়ার পর সৌরভের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে সৌরভ জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রীকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন শাশুড়ি।
র্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পেরে ২০ অক্টোবর শাশুড়ির বাসায় যান সৌরভ। এ সময় বাইরে থেকে বন্যাকে অশ্লীল ভঙ্গিতে কথা বলতে দেখে তিনি ঘরে ঢুকে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে সন্তানকে নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। ওই সময় তাঁকে পেছন থেকে কিল-ঘুষি দিতে থাকেন স্ত্রী। এ নিয়ে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বন্যাকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান সৌরভ। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে মধুখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর নিহতের মা শেফালী রানী অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ের পর থেকে সৌরভ অন্য নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে কলহের জের ধরে বন্যাকে হত্যা করা হয়।

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বন্যা রানী নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাঁর নাম সৌরভ কুমার দাস (২২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, বন্যাকে তাঁর মা আটকে রেখে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৌরভ তাঁর স্ত্রীকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান।
আজ রোববার দুপুরে ফরিদপুর র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার ও স্কোয়াড্রন লিডার তারিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
এর আগে সকালে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া এলাকা থেকে মামলার একমাত্র আসামি সৌরভ কুমার দাসকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনি ফরিদপুর সদরের বঙ্গেশ্বরদি গ্রামের বাসুদেব দাসের ছেলে এবং পেশায় গ্যারেজের মিস্ত্রি।
তারিকুল ইসলাম জানান, ২০ অক্টোবর সকালে মধুখালী পৌরসভার গাড়াখোলা এলাকায় শাশুড়ির ভাড়াবাসায় ঢুকে বন্যাকে শ্বাস রোধ করে পালিয়ে যান সৌরভ। পরদিন ২১ অক্টোবর মধুখালী থানায় সৌরভকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন বন্যার মা শেফালী রানী।
হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের তথ্য তুলে ধরে তারিকুল ইসলাম বলেন, চার বছর আগে পালিয়ে বিয়ে করেন সৌরভ ও বন্যা। বিষয়টি তখন বন্যার মা মেনে নেননি। সৌরভ ও বন্যা দুই বছর ধরে ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তাঁদের একটি পুত্রসন্তান হয়, যার বয়স দুই বছর। সম্প্রতি তাঁরা এলাকায় ফিরে আসেন। বিভিন্ন সময় বন্যা তাঁর মায়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে তাঁকে আটকে রাখা হয়। সর্বশেষ দুর্গাপূজার আগে বন্যা তাঁর মায়ের বাড়িতে যাওয়ার পর সৌরভের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে সৌরভ জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রীকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন শাশুড়ি।
র্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পেরে ২০ অক্টোবর শাশুড়ির বাসায় যান সৌরভ। এ সময় বাইরে থেকে বন্যাকে অশ্লীল ভঙ্গিতে কথা বলতে দেখে তিনি ঘরে ঢুকে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে সন্তানকে নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। ওই সময় তাঁকে পেছন থেকে কিল-ঘুষি দিতে থাকেন স্ত্রী। এ নিয়ে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বন্যাকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান সৌরভ। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে মধুখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর নিহতের মা শেফালী রানী অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ের পর থেকে সৌরভ অন্য নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে কলহের জের ধরে বন্যাকে হত্যা করা হয়।

বান্দরবানের লামা উপজেলায় নির্বাহী অফিসের সহকারী কাম কম্পিউটার নাজমুল আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ উঠেছে।
১৭ নভেম্বর ২০২৪
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় বিএনপির বহিষ্কৃত এক নেতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শনিবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক লুৎফর রহমান তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি দৈনিক কালবেলা ও স্থানীয় দৈনিক সোনার দেশে পত্রিকার তানোর উপজেলা প্রতিনিধি। পুলিশ তাঁর অভিযোগ....
১ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আমরণ অনশনে বসেছেন দুই শিক্ষার্থী। গতকাল শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন তাঁরা। এর আগে দুদিন প্রতীকী অনশন করেন তাঁরা। আমরণ অনশনে থাকা শিক্ষার্থীরা হলেন নাট্যকলা...
১০ মিনিট আগে
ফাতেমা বেগম তাঁর নিজ বাড়ি থেকে একই উপজেলার উকিলবাড়ি এলাকায় মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। আজ দুপুরে মেয়ের বাড়িতে তাঁর কাজির ভাত খাওয়ার দাওয়াত ছিল।
১৬ মিনিট আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আমরণ অনশনে বসেছেন দুই শিক্ষার্থী। গতকাল শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন তাঁরা। এর আগে দুদিন প্রতীকী অনশন করেন তাঁরা।
আমরণ অনশনে থাকা শিক্ষার্থীরা হলেন নাট্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সাদেক রহমান এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও দর্শন বিভাগের ফুয়াদ রাতুল।
ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের কল রেকর্ড প্রকাশ হওয়ার পরও প্রশাসন বিষয়টি এআই নির্মিত বলে ধামাচাপা দেয়। লিখিত পরীক্ষায়ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা আমরণ অনশনে বসেছি।’
অন্য অনশনরত শিক্ষার্থী সাদেক রহমান বলেন, ‘শখ করে কেউ আমরণ অনশনে বসে না। যখন সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়, তখনই মানুষ এ পথ বেছে নেয়। আমরা মব সৃষ্টি করিনি, নিয়মের পথেই লড়াই করছি। দাবি পূরণ না হলে প্রশাসনকে আমাদের লাশের ওপর দিয়েই সিন্ডিকেট সভায় বসতে হবে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ৪ ঘণ্টা এবং শুক্রবার ৮ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন করেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে গতকাল উপস্থিত হয়েছিলেন নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক হাবিব জাকারিয়া ও সহযোগী অধ্যাপক কাজী সুস্মিন আফসানা।
অধ্যাপক হাবিব জাকারিয়া বলেন, ‘অভিযোগ ওঠার পরও বিভাগের সভাপতি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসেননি। আমি প্রশাসনের ওপর আস্থা রেখে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানাচ্ছি।’ এ বিষয়ে নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মীর মেহবুবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
তবে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার। জনসংযোগ দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে যেসব সংবাদ ও ফোনালাপের অডিও প্রকাশিত হয়েছে, সে সম্পর্কে তদন্তের জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম আসাদুল হককে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে উপাচার্যসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক প্রার্থী। গত ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছিলেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আমরণ অনশনে বসেছেন দুই শিক্ষার্থী। গতকাল শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন তাঁরা। এর আগে দুদিন প্রতীকী অনশন করেন তাঁরা।
আমরণ অনশনে থাকা শিক্ষার্থীরা হলেন নাট্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সাদেক রহমান এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও দর্শন বিভাগের ফুয়াদ রাতুল।
ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের কল রেকর্ড প্রকাশ হওয়ার পরও প্রশাসন বিষয়টি এআই নির্মিত বলে ধামাচাপা দেয়। লিখিত পরীক্ষায়ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা আমরণ অনশনে বসেছি।’
অন্য অনশনরত শিক্ষার্থী সাদেক রহমান বলেন, ‘শখ করে কেউ আমরণ অনশনে বসে না। যখন সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়, তখনই মানুষ এ পথ বেছে নেয়। আমরা মব সৃষ্টি করিনি, নিয়মের পথেই লড়াই করছি। দাবি পূরণ না হলে প্রশাসনকে আমাদের লাশের ওপর দিয়েই সিন্ডিকেট সভায় বসতে হবে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ৪ ঘণ্টা এবং শুক্রবার ৮ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন করেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে গতকাল উপস্থিত হয়েছিলেন নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক হাবিব জাকারিয়া ও সহযোগী অধ্যাপক কাজী সুস্মিন আফসানা।
অধ্যাপক হাবিব জাকারিয়া বলেন, ‘অভিযোগ ওঠার পরও বিভাগের সভাপতি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসেননি। আমি প্রশাসনের ওপর আস্থা রেখে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানাচ্ছি।’ এ বিষয়ে নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মীর মেহবুবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
তবে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার। জনসংযোগ দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে যেসব সংবাদ ও ফোনালাপের অডিও প্রকাশিত হয়েছে, সে সম্পর্কে তদন্তের জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম আসাদুল হককে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে উপাচার্যসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক প্রার্থী। গত ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছিলেন।

বান্দরবানের লামা উপজেলায় নির্বাহী অফিসের সহকারী কাম কম্পিউটার নাজমুল আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ উঠেছে।
১৭ নভেম্বর ২০২৪
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় বিএনপির বহিষ্কৃত এক নেতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শনিবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক লুৎফর রহমান তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি দৈনিক কালবেলা ও স্থানীয় দৈনিক সোনার দেশে পত্রিকার তানোর উপজেলা প্রতিনিধি। পুলিশ তাঁর অভিযোগ....
১ মিনিট আগে
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বন্যা রানী নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাঁর নাম সৌরভ কুমার দাস (২২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, বন্যাকে তাঁর মা আটকে রেখে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৌরভ
৬ মিনিট আগে
ফাতেমা বেগম তাঁর নিজ বাড়ি থেকে একই উপজেলার উকিলবাড়ি এলাকায় মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। আজ দুপুরে মেয়ের বাড়িতে তাঁর কাজির ভাত খাওয়ার দাওয়াত ছিল।
১৬ মিনিট আগেমাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় এক নারী পথচারী মারা গেছেন। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের উকিলবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নারী পথচারী হলেন ফাতেমা বেগম (৫৫)। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের চতুরপারা মোল্লাকান্দি এলাকার জব্বার মোল্লার স্ত্রী।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ফাতেমা বেগম তাঁর নিজ বাড়ি থেকে একই উপজেলার উকিলবাড়ি এলাকায় মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। আজ দুপুরে মেয়ের বাড়িতে তাঁর কাজির ভাত খাওয়ার দাওয়াত ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উকিলবাড়ি এলাকায় একটি লোকাল বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়ার সময় পথচারী ফাতেমা বেগমকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর শেখ আহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। আমাদের দুটি ইউনিট গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে এক পথচারী নারী মারা গেছেন।’

মাদারীপুরে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় এক নারী পথচারী মারা গেছেন। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের উকিলবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নারী পথচারী হলেন ফাতেমা বেগম (৫৫)। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের চতুরপারা মোল্লাকান্দি এলাকার জব্বার মোল্লার স্ত্রী।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ফাতেমা বেগম তাঁর নিজ বাড়ি থেকে একই উপজেলার উকিলবাড়ি এলাকায় মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। আজ দুপুরে মেয়ের বাড়িতে তাঁর কাজির ভাত খাওয়ার দাওয়াত ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উকিলবাড়ি এলাকায় একটি লোকাল বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়ার সময় পথচারী ফাতেমা বেগমকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর শেখ আহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। আমাদের দুটি ইউনিট গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে এক পথচারী নারী মারা গেছেন।’

বান্দরবানের লামা উপজেলায় নির্বাহী অফিসের সহকারী কাম কম্পিউটার নাজমুল আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ উঠেছে।
১৭ নভেম্বর ২০২৪
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় বিএনপির বহিষ্কৃত এক নেতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শনিবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক লুৎফর রহমান তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি দৈনিক কালবেলা ও স্থানীয় দৈনিক সোনার দেশে পত্রিকার তানোর উপজেলা প্রতিনিধি। পুলিশ তাঁর অভিযোগ....
১ মিনিট আগে
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বন্যা রানী নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাঁর নাম সৌরভ কুমার দাস (২২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, বন্যাকে তাঁর মা আটকে রেখে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৌরভ
৬ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আমরণ অনশনে বসেছেন দুই শিক্ষার্থী। গতকাল শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন তাঁরা। এর আগে দুদিন প্রতীকী অনশন করেন তাঁরা। আমরণ অনশনে থাকা শিক্ষার্থীরা হলেন নাট্যকলা...
১০ মিনিট আগে