Ajker Patrika

বকেয়া টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ব্যবসায়ী খুন

পাবনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

দোকানের বকেয়া ১০ হাজার টাকা দিতে না পারায় পাবনার আটঘরিয়ায় নাফিজ কামাল (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আটঘরিয়া পৌর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে অভিযান চালিয়ে রিপন হোসেন (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটক রিপন আটঘরিয়া পৌরসভার ব্র্যাকপাড়া এলাকার আবু তালেবের ছেলে।

নিহত নাফিজ কামাল আটঘরিয়া পৌরসভার রুস্তমপুর মহল্লার নাজমুল হুদার ছেলে। রুস্তমপুর বাজারে তাঁর ভুসির দোকান রয়েছে। অভিযুক্ত দোকানমালিক জাহিদুল ইসলাম আটঘরিয়া পৌরসভার কুষ্টিয়াপাড়া মহল্লার আমানত আলীর ছেলে। তিনি আটঘরিয়া বাজারের মুদিদোকান ব্যবসায়ী।

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ব্যক্তির মা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মুদিদোকানি জাহিদুল ইসলামের দোকানে বাকিতে নিত্যপণ্য নিতেন অপর ব্যবসায়ী নাফিজ কামাল। এভাবে নাফিজ কামালের প্রায় ১০ হাজার টাকা বকেয়া পড়ে যায় জাহিদুল ইসলামের দোকানে। এ নিয়ে নাফিজ কামালের কাছে বেশ কয়েকবার দোকানের বকেয়া টাকা চেয়েছিলেন জাহিদুল ইসলাম। কিন্তু তিনি টাকা দেননি। গতকাল সোমবার সকালে জাহিদুল ইসলাম বেশ কিছু লোক নিয়ে রুস্তমপুর বাজারে নাফিজ কামালের দোকানে গিয়ে বকেয়া টাকা চান। টাকা না পেয়ে একপর্যায়ে নাফিজ কামালকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান জাহিদুল ও তাঁর লোকজন। পরে রাতে জাহিদুলের দোকানের সামনে যান নাফিজ কামাল। এ সময় বকেয়ার টাকা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দোকান থেকে বেরিয়ে জাহিদুল ইসলাম আশপাশে থাকা তাঁর লোকজন নিয়ে নাফিজ কামালকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। মারধরের একপর্যায়ে নাফিজ কামালকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

তাঁর চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত নাফিজ কামালকে উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আটঘরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও জানান, মঙ্গলবার সকালে নিহত নাফিজ কামালের মা বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। এর আগে ভোররাতে অভিযান চালিয়ে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে রিপন নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টাকা চুরির জন্য সন্দেহ করায় মা-মেয়েকে হত্যা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

টাকা চুরির বিষয়ে সন্দেহ করায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে গৃহকর্মী আয়েশা আক্তার খুন করেছেন। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশের সূত্র।

আয়েশাকে (২০) আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়ারচর থেকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ। এ সময় তাঁর স্বামী জামাল সিকদার রাব্বিকেও আটক করে পুলিশ।

মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি ১৪ তলা আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় নিজেদের ফ্ল্যাটে গত সোমবার সকালে ছুরিকাঘাতে খুন হন গৃহবধূ লায়লা আফরোজ ও তাঁর নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে নাফিসা। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন চার দিন আগে গৃহকর্মী হিসেবে যোগ দেওয়া আয়েশা। লায়লার স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম উত্তরার সানবীমস স্কুলের শিক্ষক। সেদিন সকালে তিনি স্কুলে চলে যাওয়ায় বাসায় স্ত্রী ও একমাত্র মেয়ে ছিলেন।

পুলিশের সূত্র জানায়, আয়েশা মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে চাচা-চাচির সঙ্গে থাকার কথা বললেও তা সত্যি নয়। ঘটনার চার দিন আগে তিনি ওই বাসায় কাজ নেন। এর দুদিন পর ওই বাসা থেকে দুই হাজার টাকা চুরি করেন। এ নিয়ে তাঁকে বাসার লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু আয়েশা চুরির কথা অস্বীকার করেন এবং এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। চুরি প্রমাণ হলে তাঁকে পুলিশে দেওয়ার কথা বলেন লায়লা ও নাফিসা। পরদিন সকালে আয়েশা অনেকটা প্রস্তুতি নিয়েই সঙ্গে একটি ছুরি নিয়ে ওই বাসায় যান। চুরির বিষয়ে আবার তাঁরা জানতে চাইলে আয়েশা অস্বীকার করলে তাঁকে বাসায় থাকতে বলা হয় এবং গৃহকর্তা আজিজুল ইসলাম স্কুল থেকে বাসায় এলে পুলিশে দেওয়ার কথা বলেন। আয়েশা তাতে সম্মতি দেন। এরপর যে যাঁর মতো বাসায় ব্যস্ত থাকেন। একপর্যায়ে লায়লাকে ছুরিকাঘাত করেন আয়েশা। তাঁকে ধরে রাখায় লায়লার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে নাফিসাকেও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন আয়েশা।

পুলিশ জানায়, আয়েশা জেনেভা ক্যাম্পে থাকতেন না। কাজ পাওয়ার জন্য জেনেভা ক্যাম্পে থাকার ভুল তথ্য দেন। তিনি কাজের জন্য ঢাকায় আসেন। স্বামী ও এক সন্তান নিয়ে থাকতেন সাভারের হেমায়েতপুরে। দুজনকে হত্যার পর ওই বাসা থেকে বেরিয়ে আয়েশা হেমায়েতপুরে যান। ওই বাসা থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন নদীতে ফেলে দেন। কোনো ফোন, নাম, পরিচয় না থাকায় তাঁকে খুঁজে পেতে সব ধরনের চেষ্টা চালাতে হয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের। দুদিন পুলিশের তৎপরতা ও গণমাধ্যমে বিষয়টি ব্যাপকভাবে আসায় স্বামী জামালকে ঘটনা জানান আয়েশা। গ্রেপ্তারের ভয়ে তাঁরা গতকাল সকালে সাভার থেকে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কয়রাচরে গ্রামের বাড়িতে চলে যান। সেখান থেকেই দুপুরে আয়েশাকে গ্রেপ্তার ও তাঁর স্বামীকে আটক করা হয়।

হত্যার ঘটনায় সোমবার রাতে সন্দেহভাজন গৃহকর্মী আয়েশাকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত লায়লার স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে বলেন, চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা-মেয়েকে হত্যা করেন গৃহকর্মী আয়েশা। তাঁকে ঝালকাঠি থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর আরও বিস্তারিত জানা যাবে।

প্রথমবার শ্বশুরবাড়িতে আয়েশা এবং গ্রেপ্তার

জোড়া খুনের মামলার আসামি আয়েশাকে নিয়ে গতকাল প্রথম ঝালকাঠির নলছিটিতে নিজ গ্রামের বাড়িতে যান জামাল সিকদার রাব্বি। ১৫ বছর আগে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হলে তিনি বাড়ি ছেড়েছিলেন। গতকাল সকালে হঠাৎ আয়েশাকে নিয়ে বাড়িতে গিয়ে সবার সঙ্গে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওই বাড়িতে হাজির হয় মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর প্রতিবেশীরা জানতে পারেন, আয়েশা মোহাম্মদপুরে মা–মেয়ে হত্যা মামলার পলাতক আসামি।

পুলিশ ও গ্রামের লোকজন জানান, আয়েশা নরসিংদীর সলিমগঞ্জের রবিউল ইসলামের মেয়ে। জামালের বাবার নাম জাকির সিকদার। এক সময় কারখানার শ্রমিক ছিলেন জামাল।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাব্বি তাঁর নানার সহায়তায় চাচার বাড়িতে ওঠেন। তিনি নিজেই বাবার বাড়ি চিনতে পারছিলেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘পেছনে ঘুরে দেখি ছেলে নেই, শুধু মা মা ডাক শুনছি’

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
কাঁদছেন সাজিদের মা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কাঁদছেন সাজিদের মা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর তানোরে প্রায় ৩৫ ফুট মাটির গভীরে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে উদ্ধার তৎপরতা দেখতে কয়েক হাজার মানুষ ভিড় করছেন। এক পাশে পুরুষ, অন্য পাশে নারীরা অবস্থান করছেন। নারীদের মাঝে চুপচাপ বসে আছেন সাজিদের মা রুনা খাতুন।

সাজিদের মা জানান, তাঁর তিন ছেলে। দুই বছরের সাজিদ মেজ। তাঁদের একটি ট্রলি দেবে গেলে ছোট ছেলে সাদমানকে কোলে নিয়ে আর সাজিদের হাত ধরে তিনি আসেন। ফেরার সময় সাজিদ ওই গর্তে পড়ে যায়।

রুনা বলেন, ‘আমি সামনে হাঁটছি, সাজিদ পেছনে। একটু পর পেছনে ঘুরে দেখি, সাজিদ নাই। শুধু মা মা ডাক শুনছি।’

সাজিদের মা জানান, গর্তের মুখে খড় ছিল। তাই গর্ত বোঝা যায়নি।

দুপুরে তানোরের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সাজিদের বাবার নাম রাকিবুল ইসলাম। তিনি ঢাকায় থাকেন। গুদামের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন।

রাত ১০টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট সাজিদকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে। গর্তের পাশে এক্সকাভেটর দিয়ে খনন করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৩০ ফুট গভীর গর্তে দুই বছরের শিশু

  • নলকূপের জন্য খোঁড়া হয়েছিল গর্ত। সেটি আর ভরাট করা হয়নি।
  • গতকাল রাতে ফায়ার সার্ভিস জানায়, গর্তে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।
  • গর্তটির পাশে রাত ৮ পর্যন্ত ১৫ ফুট খনন, উদ্ধারকাজ চলছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
শিশু সাজিদকে উদ্ধারে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। পাশে ভিড় করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় শিশুটিকে জীবিত রাখতে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিশু সাজিদকে উদ্ধারে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। পাশে ভিড় করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় শিশুটিকে জীবিত রাখতে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নলকূপ বসাতে করা হয়েছিল গর্ত। গভীরতা ৩০-৩৫ ফুট। তবে সেখানে নলকূপ বসানো হয়নি। সেই গর্তে পড়ে গেছে দুই বছরের শিশু। কীভাবে শিশুটি পড়েছে, তা কেউ বলতে পারছে না। শিশুটিকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে আজ বুধবার বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটির নাম সাজিদ। বাবার নাম রাকিব। ওই গ্রামেই তাদের বাড়ি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গর্তটি ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জমিটির মালিক কছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। এক বছর আগে তিনি এই জমিতে সেচের জন্য একটি সেমিডিপ নলকূপ বসানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ৩৫ ফুট বোরিং করার পর সেখানে পানি পাননি। তাই নলকূপ বসানো হয়নি। এক বছর গর্তটি সেভাবেই পড়ে ছিল। গতকাল দুপুরে শিশুটির মা ওই মাঠে খড় আনতে যান। ওই সময় সাজিদ খেলতে গিয়ে গর্তে পড়ে যায়। স্থানীয়রা প্রথমে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।

পরে ফায়ার সার্ভিসের তানোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী সদর স্টেশনের তিনটি ইউনিট গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। শিশুটিকে জীবিত রাখতে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। গর্তের পাশে এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি খনন করা হচ্ছে। বেড়েছে স্থানীয়দের ভিড়।

ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী স্টেশনের সহকারী পরিচালক দিদারুল ইসলাম গতকাল রাত ৯টার দিকে আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা আসার আগেই স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তখন কিছু মাটি গর্তে পড়ে গেছে। তাঁরা ক্যামেরা পাঠিয়ে দেখার চেষ্টা করেছেন। মানুষের কোলাহলের কারণে শিশুটির কোনো সাড়া বুঝতে পারছেন না। শিশুটিকে জীবিত উদ্ধারের জন্য তাঁরা অক্সিজেন পাঠাচ্ছেন। পাশে এক্সকাভেটর দিয়ে খনন করছেন। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাত ৮ নাগাদ ১৫ ফুটের মতো খনন করা হয়েছে। আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে এনসিপির ৩ কর্মীকে ছুরিকাঘাত

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
আহত এনসিপির কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
আহত এনসিপির কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে এনসিপির তিন কর্মীকে ছুরিকাঘাতে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।  

আহতরা হলেন জেলা ছাত্রশক্তির রিয়াদ (২৪), বায়েজিদ (২১) ও তামিম (২৩)। তাঁদের প্রথমে স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে এবং পরে খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে এনসিপির জেলা সদস্য রাইসুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে এনসিপির দলীয় প্রার্থী আবদুল্লাহ আল আমিনের পোস্টারিং চলছিল। সাইনবোর্ডের মিতালী মার্কেট এলাকায় পোস্টারিং করার সময় অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ব্যক্তি বাধা দেয়। তখন এর প্রতিবাদ করলে ছাত্রশক্তির কর্মী তামিমকে মারধর করে এবং তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।

পরবর্তী সময়ে বুধবার অজ্ঞাতনামা সেই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে বেলা ২টায় মিতালী মার্কেটে যান তামিম, রিয়াদ ও বায়েজিদ। ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করতে গেলে হঠাৎ ২৫-৩০ জনের একটি দল সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে তাঁদের।

পরে এনসিপির নেতা-কর্মীরা গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে সাইনবোর্ডের একটি হাসপাতালে এবং পরে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের মনোনীত প্রার্থী আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, ‘দলীয় নেতারা গত রাতে আমার পোস্টার লাগানোর সময় মারধরের শিকার হয়। পরে আজ কারা মারধর করেছে, সেই ফুটেজ সংগ্রহ করতে গেলে ফের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে। ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে, আমি এখনো নিশ্চিত হইনি, তথ্য নিচ্ছি। এই ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আমরা মামলা করব।’ 

ঘটনার বিষয়টি অবগত হয়েছেন জানিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুল বারিক বলেন, ‘ভুক্তভোগীরাসহ এনসিপির নেতা-কর্মীরা থানায় এসেছেন। তাঁদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত জেনে নিচ্ছি। তথ্যপ্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত