রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
নীলফামারীর সৈয়দপুর-চিলাহাটি রেলপথের দৈর্ঘ্য ৫৯ কিলোমিটার। এই পথের বিভিন্ন স্থানে ফাঁকে ফাঁকে স্লিপারের সঙ্গে রেললাইনের পাত আটকে রাখার ইলাসটিক রেল ক্লিপ (ইআরসি) নেই। একই অবস্থা স্টেশনসংলগ্ন সম্প্রতি বসানো লুপ লাইনগুলোরও, যার দৈর্ঘ্য ৩ কিলোমিটার। লুপ লাইনসহ সৈয়দপুর-চিলাহাটির ৬২ কিলোমিটার রেলপথে প্রায় ১২ হাজার ইআরসি ক্লিপ নেই বলে জানা গেছে রেলওয়ের হিসাবেই। বাস্তবে তা আরও বেশি হতে পারে মনে করছেন রেলওয়ের স্থানীয় কর্মীরা।
রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, কিছু ক্লিপ পুরোনো হয়ে ভেঙে গেছে। বাকিগুলো দুর্বৃত্তরা চুরি করে নিয়ে গেছে। তবে স্থানীয় লোকজন বলছে, সংস্কার করা হলেও রেললাইনে ক্লিপগুলো লাগানোই হয়নি। এ অবস্থায় এসব পথে যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বলে জানিয়েছেন চালকেরা।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, কাঠ, লোহা বা সিমেন্টের স্লিপারের সঙ্গে রেললাইনের পাত আটকে রাখতে ক্লিপ ব্যবহার করা হয়। একটি স্লিপারের দুপাশে দুটি ও যেখানে দুই রেললাইনের সংযোগ রয়েছে, সেখানে চারটি করে ক্লিপ থাকে।
২ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের উত্তরে বার্মাসেল, ইসলামবাগ, ঘোড়াঘাট, গোলাহাটসহ প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিভিন্ন স্থানে রেললাইনে শতাধিক ইআরসি ক্লিপ নেই। এসব জায়গার খানিক পরপর ক্লিপ উধাও।
রেলওয়ের সৈয়দপুর প্রকৌশল (পথ) বিভাগ জানায়, ভৌগোলিক কারণে সৈয়দপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন।
সৈয়দপুর থেকে ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহী রুটে নিত্যদিন ছয়টি আন্তনগর ও একটি মেইল ট্রেন চলাচল করে। তা ছাড়া ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুরের খানসামা, রংপুরের তারাগঞ্জের যাত্রীরা সৈয়দপুর থেকেই যাতায়াত করেন।
প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর-চিলাহাটি রেলপথের ৫৯ কিলোমিটারের পাশাপাশি ৪টি লুপ লাইন ৩ কিলোমিটারের। এই রেলপথগুলো সৈয়দপুর প্রকৌশল বিভাগের অধীন। ২০১২ সালে সৈয়দপুর-চিলাহাটি রেলপথটি সংস্কার করে নতুন লাইন বসানো হয়। আর লুপ লাইনগুলো সংস্কার করা হয় সম্প্রতি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী প্রতি কিলোমিটার রেলপথে ১ হাজার ৪০০ স্লিপার থাকে। আর প্রতিটি স্লিপারের সঙ্গে রেললাইনের পাত আটকাতে চারটি করে ক্লিপ লাগানো হয়। প্রতিটি ক্লিপের সঙ্গে থাকে লাইনার ও রাবার প্যাড। সেই হিসাবে এসব রেলপথে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৪০০ ক্লিপ থাকার কথা। এর মধ্যে ১২ হাজার ক্লিপ নেই। প্রতিটি ইআরসির দাম ২৬০ টাকা হিসাবে চুরি যাওয়া ক্লিপগুলোর দাম প্রায় ৩১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
শুরু থেকেই ক্লিপ বসানো হয়নি দাবি করে রেলস্টেশন এলাকার ইসলামবাগ বড় মসজিদ এলাকার ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘নতুন রেললাইন বসানোর পর থেকেই এমনই দেখছি। স্লিপারের সঙ্গে রেললাইনের পাত আটকে রাখার জন্য যে ক্লিপ ব্যবহার করা হয়, তা অনেক জায়গায় লাগানো হয়নি। আর এ অবস্থাতেই এ পথে বছরের পর বছর ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রেনচালক বলেন, ক্লিপ না থাকায় রেললাইন নড়বড়ে হয়ে পড়ে। যেকোনো সময় ট্রেন লাইনচ্যুত হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) সুলতান মৃধা আজকের পত্রিকাকে বলেন, লাগানোর পরপরই ক্লিপ চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আবার দীর্ঘদিন ধরে ট্রেন চলাচলের কারণে বেশ কিছু ক্লিপ ভেঙে গেছে। হিসাব করে দেখা গেছে, লুপ লাইনসহ সৈয়দপুর-চিলাহাটি রেলপথে প্রায় ১২ হাজার ইআরসি ক্লিপ নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যেসব জায়গায় ক্লিপ নেই, সেখানে দ্রুত ক্লিপ লাগানোর কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন নবী বলেন, ‘এ কর্মস্থলে আমি নতুন। ক্লিপ চুরির বিষয়টি কিংবা এ ধরনের কোনো অভিযোগ হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই। তবে যেহেতু বিষয়টি নজরে এনেছেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা হয় রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ (পথ) বীরবল মণ্ডলের সঙ্গে। তিনি বলেন, রেললাইনের ক্লিপ না থাকার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ফিটিংসসহ রেলপথের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ সুপারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে রেললাইনের যে ফিটিংস, তাতে ট্রেন চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে তিনি দাবি করেন।
ওই প্রকৌশলী আরও বলেন, ‘আমার জানামতে, ক্লিপ লাগানোর পর কিছু ক্লিপ চুরি হয়ে যায়।’ এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
নীলফামারীর সৈয়দপুর-চিলাহাটি রেলপথের দৈর্ঘ্য ৫৯ কিলোমিটার। এই পথের বিভিন্ন স্থানে ফাঁকে ফাঁকে স্লিপারের সঙ্গে রেললাইনের পাত আটকে রাখার ইলাসটিক রেল ক্লিপ (ইআরসি) নেই। একই অবস্থা স্টেশনসংলগ্ন সম্প্রতি বসানো লুপ লাইনগুলোরও, যার দৈর্ঘ্য ৩ কিলোমিটার। লুপ লাইনসহ সৈয়দপুর-চিলাহাটির ৬২ কিলোমিটার রেলপথে প্রায় ১২ হাজার ইআরসি ক্লিপ নেই বলে জানা গেছে রেলওয়ের হিসাবেই। বাস্তবে তা আরও বেশি হতে পারে মনে করছেন রেলওয়ের স্থানীয় কর্মীরা।
রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, কিছু ক্লিপ পুরোনো হয়ে ভেঙে গেছে। বাকিগুলো দুর্বৃত্তরা চুরি করে নিয়ে গেছে। তবে স্থানীয় লোকজন বলছে, সংস্কার করা হলেও রেললাইনে ক্লিপগুলো লাগানোই হয়নি। এ অবস্থায় এসব পথে যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বলে জানিয়েছেন চালকেরা।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, কাঠ, লোহা বা সিমেন্টের স্লিপারের সঙ্গে রেললাইনের পাত আটকে রাখতে ক্লিপ ব্যবহার করা হয়। একটি স্লিপারের দুপাশে দুটি ও যেখানে দুই রেললাইনের সংযোগ রয়েছে, সেখানে চারটি করে ক্লিপ থাকে।
২ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের উত্তরে বার্মাসেল, ইসলামবাগ, ঘোড়াঘাট, গোলাহাটসহ প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিভিন্ন স্থানে রেললাইনে শতাধিক ইআরসি ক্লিপ নেই। এসব জায়গার খানিক পরপর ক্লিপ উধাও।
রেলওয়ের সৈয়দপুর প্রকৌশল (পথ) বিভাগ জানায়, ভৌগোলিক কারণে সৈয়দপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন।
সৈয়দপুর থেকে ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহী রুটে নিত্যদিন ছয়টি আন্তনগর ও একটি মেইল ট্রেন চলাচল করে। তা ছাড়া ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুরের খানসামা, রংপুরের তারাগঞ্জের যাত্রীরা সৈয়দপুর থেকেই যাতায়াত করেন।
প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর-চিলাহাটি রেলপথের ৫৯ কিলোমিটারের পাশাপাশি ৪টি লুপ লাইন ৩ কিলোমিটারের। এই রেলপথগুলো সৈয়দপুর প্রকৌশল বিভাগের অধীন। ২০১২ সালে সৈয়দপুর-চিলাহাটি রেলপথটি সংস্কার করে নতুন লাইন বসানো হয়। আর লুপ লাইনগুলো সংস্কার করা হয় সম্প্রতি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী প্রতি কিলোমিটার রেলপথে ১ হাজার ৪০০ স্লিপার থাকে। আর প্রতিটি স্লিপারের সঙ্গে রেললাইনের পাত আটকাতে চারটি করে ক্লিপ লাগানো হয়। প্রতিটি ক্লিপের সঙ্গে থাকে লাইনার ও রাবার প্যাড। সেই হিসাবে এসব রেলপথে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৪০০ ক্লিপ থাকার কথা। এর মধ্যে ১২ হাজার ক্লিপ নেই। প্রতিটি ইআরসির দাম ২৬০ টাকা হিসাবে চুরি যাওয়া ক্লিপগুলোর দাম প্রায় ৩১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
শুরু থেকেই ক্লিপ বসানো হয়নি দাবি করে রেলস্টেশন এলাকার ইসলামবাগ বড় মসজিদ এলাকার ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘নতুন রেললাইন বসানোর পর থেকেই এমনই দেখছি। স্লিপারের সঙ্গে রেললাইনের পাত আটকে রাখার জন্য যে ক্লিপ ব্যবহার করা হয়, তা অনেক জায়গায় লাগানো হয়নি। আর এ অবস্থাতেই এ পথে বছরের পর বছর ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রেনচালক বলেন, ক্লিপ না থাকায় রেললাইন নড়বড়ে হয়ে পড়ে। যেকোনো সময় ট্রেন লাইনচ্যুত হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) সুলতান মৃধা আজকের পত্রিকাকে বলেন, লাগানোর পরপরই ক্লিপ চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আবার দীর্ঘদিন ধরে ট্রেন চলাচলের কারণে বেশ কিছু ক্লিপ ভেঙে গেছে। হিসাব করে দেখা গেছে, লুপ লাইনসহ সৈয়দপুর-চিলাহাটি রেলপথে প্রায় ১২ হাজার ইআরসি ক্লিপ নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যেসব জায়গায় ক্লিপ নেই, সেখানে দ্রুত ক্লিপ লাগানোর কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন নবী বলেন, ‘এ কর্মস্থলে আমি নতুন। ক্লিপ চুরির বিষয়টি কিংবা এ ধরনের কোনো অভিযোগ হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই। তবে যেহেতু বিষয়টি নজরে এনেছেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা হয় রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ (পথ) বীরবল মণ্ডলের সঙ্গে। তিনি বলেন, রেললাইনের ক্লিপ না থাকার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ফিটিংসসহ রেলপথের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ সুপারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে রেললাইনের যে ফিটিংস, তাতে ট্রেন চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে তিনি দাবি করেন।
ওই প্রকৌশলী আরও বলেন, ‘আমার জানামতে, ক্লিপ লাগানোর পর কিছু ক্লিপ চুরি হয়ে যায়।’ এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
ময়মনসিংহ নগরীর গাঙ্গিনারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন শতাধিক। কিন্তু শ্রেণিকক্ষ মাত্র চারটি। এগুলোর মধ্যে একটি আকারে অনেক ছোট। দুই শিফটে ক্লাস পরিচালনা করেও জায়গার সংকুলান হয় না। বেঞ্চে গাদাগাদি করে বসায় ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম। শুধু এই একটি বিদ্যালয় নয়...
৩ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরায় চলছে বোরো ধান চাষের মৌসুম। কৃষকেরা খেতের পোকামাকড় আর আগাছা দমনে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে মাস্ক বা গ্লাভস পরার মতো স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। ফলে শ্বাসকষ্ট, ফুসকুড়ি, চুলকানিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন কৃষকেরা।
৩ ঘণ্টা আগেবগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকায় গুঁড়িয়ে দেওয়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) জেলা কার্যালয়ের জমি ব্যক্তিমালিকানাধীন বলে দাবি করা হয়েছে। এদিকে কার্যালয়টির স্থানে মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।
৪ ঘণ্টা আগেনদের নাম শিব। পাল আমলে এর ধারেই গড়ে উঠেছিল সভ্যতা। নদের প্রস্থ কম হলেও গভীরতা এখনো ভালো। গত শুক্রবার সকালে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কৃষ্ণপুর এলাকার সেতুর ওপর দুপাশে দেখা গেল, শিব নদে পানি নেই। প্রাণহীন সেই নদের বুকে ধান চাষ করা হয়েছে। কিন্তু পানির অভাবে ধানখেত চৌচির।
৪ ঘণ্টা আগে