চিত্রশিল্পী ভ্যান গঘের নাম শুনেননি এমন মানুষ বিরল। তাঁর মতো প্রতিভাধর শিল্পী খুব কমই জন্ম নিয়েছেন পৃথিবীতে। যদিও ভ্যান গঘের জীবিত অবস্থায় মানুষ তাঁর মূল্য দেয়নি। জীবদ্দশায় তিনি মাত্র একটি চিত্রকর্ম বিক্রি করতে পেরেছিলেন। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৮৯০ সালের ২৯ জুলাই পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন তিনি।
১৮৫৩ সালের ৩০ মার্চ নেদারল্যান্ডসের ঘুত-জুনদার্তে জন্ম ভিনসেন্ট ভ্যান গঘের। বাবা থিওদরিস ছিলেন একজন যাজক। মা আনা করনেলিয়া কারবেন্তাস ছিলেন শিল্পী। বলা চলে তাঁর প্রকৃতি, ছবি আঁকা ও জল রঙের প্রতি ভালোবাসা পরে ছেলে ভ্যান গঘের মধ্যেও ছড়িয়ে পরে।
ভ্যান গঘের বয়স যখন পনেরো, তখন পরিবারের আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে স্কুল ছাড়তে হয়। চাকরি নেন দ্য হেগে আর্ট ডিলারদের একটি ফার্মে। এ সময় ডাচের পাশাপাশি ফ্রেঞ্চ, জার্মান ও ইংরেজি ভাষাটাও ভালোই রপ্ত করেন ভ্যান গঘ।
১৮৭৩ সালের জুনে আর্ট গ্যালারিটির লন্ডনের শাখায় বদলি হলে ইংরেজ সংস্কৃতি ভ্যান গঘকে আকৃষ্ট করে। পরে এই চাকরি ছেড়ে দিয়ে এক স্কুলে পড়ান কিছুদিন। বিভিন্ন পেশা ও কাজে ব্যর্থ হয়ে ১৮৮০ সালে তিনি একজন শিল্পী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ওই সময়ে তাঁর করা কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ‘দ্য পটেটো ইটারস’ (১৮৮৫)।
১৮৮৬ সালে ভ্যান গঘ প্যারিসে চলে আসেন। সেখানে তাঁর ছোট ভাই থিও থাকতেন। আর্ট ডিলার থিও ভাইকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার পাশাপাশি কয়েকজন চিত্রশিল্পীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তাঁদের একজন আরেক বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পল গগা। এখানে অন্যান্য চিত্রশিল্পীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভ্যান গঘের আঁকায় কিছু পরিবর্তন আসে। তিনি চিত্রকর্মে বেশি রং ব্যবহার করতে শুরু করেন।
১৮৮৮ সালে ভ্যান গঘ ফ্রান্সের দক্ষিণে আর্লসে একটি বাড়ি ভাড়া নেন। উদ্দেশ্য শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো এবং ভাইয়ের বোঝা হয়ে না থাকা। আর্লসে ভ্যান গঘ তার বিখ্যাত সানফ্লাওয়ার সিরিজসহ গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন দৃশ্য আঁকায় ফুটিয়ে তুলতে থাকেন।
তাঁর সানফ্লাওয়ার সিরিজের চিত্রকর্মগুলি এখন লন্ডন, আমস্টারডাম, টোকিও, মিউনিখ ও ফিলাডেলফিয়ার বিভিন্ন জাদুঘরে শোভা পায়।
গগা আর্লসে ভ্যান গঘের সঙ্গে বাস করতে আসেন। দুজন প্রায় দুই মাস একসঙ্গে কাজ করেছিলেন। যদ্দুর জানা যায়, এ সময় কোনো কারণে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ভ্যান গঘের সঙ্গে পল গগার। ১৮৮৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর ভ্যান গঘ অনেকটা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ সময় একটি ক্ষুর দিয়ে নিজের কানের লতি কেটে ফেলেন। অবশ্য ভ্যান গঘের কান কাটার কারণ নিয়ে বিতর্ক আছে। কানের কতটুকু কেটেছিলেন, সেটা নিয়েও আছে ধোঁয়াশা। পরে অবশ্য এই কান কাটার বিষয় নিয়ে কিছু মনে করতে পারেননি তিনি।
সেই ঘটনার পর ভ্যান গঘকে আর্লসের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর সেন্ট-রেমির একটি মানসিক প্রতিষ্ঠানে এক বছরের বেশি থাকেন। ওই সময়টা উন্মাদনা ও সৃজনশীলতার মধ্যে কাটে তাঁর সময়। সেখানে থাকা অবস্থায় নিজের সেরা এবং সবচেয়ে পরিচিত চিত্রকর্মগুলির কয়েকটি আঁকেন, যার মধ্যে রয়েছে ‘দ্য স্টারি নাইট’।
মজার ঘটনা হলো, পরবর্তী সময়ে সেলফ পোর্ট্রেট ওইথ ব্যান্ডেজড এয়ার নামে এক ছবিতে ভ্যান গঘ তাঁর কাটা কানের বিষয়টি তুলে ধরেন।
ভ্যান গঘ গোটা জীবনে ২ হাজার ১০০-র বেশি চিত্রকর্ম আঁকেন। যদিও এগুলো ভ্যান গঘের জীবদ্দশায় বিক্রি না হওয়ায় দরিদ্রতাই ছিল তাঁর সঙ্গী।
১৮৯০ সালের মে মাসে ভ্যান গঘ প্যারিসের কাছে অভেরস-সুর-অয়েজে চলে যান। যেখানে হতাশা ও একাকিত্বে জর্জরিত হয়ে ২৭ জুলাই আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে নিজেকে গুলি করেন। এই আঘাতে দুই দিন পর অর্থাৎ ১৮৯০ সালের ২৯ জুলাই মৃত্যু হয় তাঁর, এ সময় এই শিল্পীর বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৭ বছর।
সূত্র: হিস্ট্রি চ্যানেল, ভ্যান গঘ মিউজিয়াম, সিএনএন
চিত্রশিল্পী ভ্যান গঘের নাম শুনেননি এমন মানুষ বিরল। তাঁর মতো প্রতিভাধর শিল্পী খুব কমই জন্ম নিয়েছেন পৃথিবীতে। যদিও ভ্যান গঘের জীবিত অবস্থায় মানুষ তাঁর মূল্য দেয়নি। জীবদ্দশায় তিনি মাত্র একটি চিত্রকর্ম বিক্রি করতে পেরেছিলেন। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৮৯০ সালের ২৯ জুলাই পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন তিনি।
১৮৫৩ সালের ৩০ মার্চ নেদারল্যান্ডসের ঘুত-জুনদার্তে জন্ম ভিনসেন্ট ভ্যান গঘের। বাবা থিওদরিস ছিলেন একজন যাজক। মা আনা করনেলিয়া কারবেন্তাস ছিলেন শিল্পী। বলা চলে তাঁর প্রকৃতি, ছবি আঁকা ও জল রঙের প্রতি ভালোবাসা পরে ছেলে ভ্যান গঘের মধ্যেও ছড়িয়ে পরে।
ভ্যান গঘের বয়স যখন পনেরো, তখন পরিবারের আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে স্কুল ছাড়তে হয়। চাকরি নেন দ্য হেগে আর্ট ডিলারদের একটি ফার্মে। এ সময় ডাচের পাশাপাশি ফ্রেঞ্চ, জার্মান ও ইংরেজি ভাষাটাও ভালোই রপ্ত করেন ভ্যান গঘ।
১৮৭৩ সালের জুনে আর্ট গ্যালারিটির লন্ডনের শাখায় বদলি হলে ইংরেজ সংস্কৃতি ভ্যান গঘকে আকৃষ্ট করে। পরে এই চাকরি ছেড়ে দিয়ে এক স্কুলে পড়ান কিছুদিন। বিভিন্ন পেশা ও কাজে ব্যর্থ হয়ে ১৮৮০ সালে তিনি একজন শিল্পী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ওই সময়ে তাঁর করা কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ‘দ্য পটেটো ইটারস’ (১৮৮৫)।
১৮৮৬ সালে ভ্যান গঘ প্যারিসে চলে আসেন। সেখানে তাঁর ছোট ভাই থিও থাকতেন। আর্ট ডিলার থিও ভাইকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার পাশাপাশি কয়েকজন চিত্রশিল্পীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তাঁদের একজন আরেক বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পল গগা। এখানে অন্যান্য চিত্রশিল্পীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভ্যান গঘের আঁকায় কিছু পরিবর্তন আসে। তিনি চিত্রকর্মে বেশি রং ব্যবহার করতে শুরু করেন।
১৮৮৮ সালে ভ্যান গঘ ফ্রান্সের দক্ষিণে আর্লসে একটি বাড়ি ভাড়া নেন। উদ্দেশ্য শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো এবং ভাইয়ের বোঝা হয়ে না থাকা। আর্লসে ভ্যান গঘ তার বিখ্যাত সানফ্লাওয়ার সিরিজসহ গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন দৃশ্য আঁকায় ফুটিয়ে তুলতে থাকেন।
তাঁর সানফ্লাওয়ার সিরিজের চিত্রকর্মগুলি এখন লন্ডন, আমস্টারডাম, টোকিও, মিউনিখ ও ফিলাডেলফিয়ার বিভিন্ন জাদুঘরে শোভা পায়।
গগা আর্লসে ভ্যান গঘের সঙ্গে বাস করতে আসেন। দুজন প্রায় দুই মাস একসঙ্গে কাজ করেছিলেন। যদ্দুর জানা যায়, এ সময় কোনো কারণে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ভ্যান গঘের সঙ্গে পল গগার। ১৮৮৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর ভ্যান গঘ অনেকটা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ সময় একটি ক্ষুর দিয়ে নিজের কানের লতি কেটে ফেলেন। অবশ্য ভ্যান গঘের কান কাটার কারণ নিয়ে বিতর্ক আছে। কানের কতটুকু কেটেছিলেন, সেটা নিয়েও আছে ধোঁয়াশা। পরে অবশ্য এই কান কাটার বিষয় নিয়ে কিছু মনে করতে পারেননি তিনি।
সেই ঘটনার পর ভ্যান গঘকে আর্লসের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর সেন্ট-রেমির একটি মানসিক প্রতিষ্ঠানে এক বছরের বেশি থাকেন। ওই সময়টা উন্মাদনা ও সৃজনশীলতার মধ্যে কাটে তাঁর সময়। সেখানে থাকা অবস্থায় নিজের সেরা এবং সবচেয়ে পরিচিত চিত্রকর্মগুলির কয়েকটি আঁকেন, যার মধ্যে রয়েছে ‘দ্য স্টারি নাইট’।
মজার ঘটনা হলো, পরবর্তী সময়ে সেলফ পোর্ট্রেট ওইথ ব্যান্ডেজড এয়ার নামে এক ছবিতে ভ্যান গঘ তাঁর কাটা কানের বিষয়টি তুলে ধরেন।
ভ্যান গঘ গোটা জীবনে ২ হাজার ১০০-র বেশি চিত্রকর্ম আঁকেন। যদিও এগুলো ভ্যান গঘের জীবদ্দশায় বিক্রি না হওয়ায় দরিদ্রতাই ছিল তাঁর সঙ্গী।
১৮৯০ সালের মে মাসে ভ্যান গঘ প্যারিসের কাছে অভেরস-সুর-অয়েজে চলে যান। যেখানে হতাশা ও একাকিত্বে জর্জরিত হয়ে ২৭ জুলাই আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে নিজেকে গুলি করেন। এই আঘাতে দুই দিন পর অর্থাৎ ১৮৯০ সালের ২৯ জুলাই মৃত্যু হয় তাঁর, এ সময় এই শিল্পীর বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৭ বছর।
সূত্র: হিস্ট্রি চ্যানেল, ভ্যান গঘ মিউজিয়াম, সিএনএন
গতবছরের আন্দোলন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল সারা বিশ্বের প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে। প্রবাসীরা নানা জায়গা থেকে একাত্মতা প্রকাশ করেছিলেন, কেউ সরাসরি আন্দোলনে যোগ দিতে দেশে এসেছিলেন, কেউ বা বিদেশ থেকেই আর্থিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সহায়তা দিয়ে আন্দোলনকে শক্তিশালী করেছিলেন। প্রবাসীদের এমন ভূমিকা
১১ ঘণ্টা আগেচোখ মেলে দেখি সাদা পরী আকাশি রঙের খাম হাতে দাঁড়িয়ে আছে। সামনে বিস্তীর্ণ জলরাশি। সমুদ্র পাড়ের বেঞ্চে শরীর এলিয়ে শুয়ে আছি। হাতে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর “সাঁতারু ও জলকন্যা”। সমুদ্রের ঢেউ এর আছড়ে পড়ার শব্দ আর ঝিরি ঝিরি বাতাসে খুব বেশিক্ষণ বইটার দিকে তাকিয়ে থাকতে পারিনি।
৮ দিন আগেবাংলা সাহিত্যের শক্তিমান কবি মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদের স্মৃতিকে সম্মান জানাতে গুলশানে নির্মিত ‘কবি আল মাহমুদ পাঠাগার’ উদ্বোধন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ পার্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পাঠাগারটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
১৪ দিন আগেকাচের আচ্ছাদনের ভেতর অনেক পুরোনো একটা ডায়েরি। তার একটি পাতা মেলে ধরা। পাতাটিতে লেখা রয়েছে এস এম সুলতানের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, নাম-ঠিকানা। সে পাতারই নিচের দিকে লেখা—‘আপনি কেন ছবি আঁকেন? বিশ্ব প্রকৃতিকে ভালোবাসি বলে’। নিচে শিল্পীর নাম লেখা।
১৮ দিন আগে