বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের ‘বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আগামীর করণীয়: জাতীয় সপ্তবার্ষিক কর্মপরিকল্পনার একটি প্রস্তাবিত রূপরেখা’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) প্রকাশিত এই বই নিয়ে গতকাল সোমবার রাজধানীতে ইউপিএলের প্রধান কার্যালয়ে উৎসব হয়।
প্রকাশনা উৎসবের আলোচনায় মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘মুদ্রা পাচার, ঋণ খেলাপি ও মধ্যস্বত্বভোগীরা বাংলাদেশের মূল সমস্যা। এদের কারণে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। এখনো তাঁদের কারণে প্রতি বছর বাংলাদেশের ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়। সরকারের আমলা থাকার সুবাদে ভেতরের অনেক খবর জানা ছিল। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে ও আস্থাভাজন হিসেবে কাজ করেছি। পড়ালেখা ও শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে মনে করি বিষয়গুলো নিয়ে জনপরিসরে আলোচনা হওয়া দরকার।’
সিপিডির ডিস্টিংগুইশড ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহান বলেন, ‘ফরাসউদ্দিনের বইটি নীতি নির্ধারকদের জন্য লেখা হলেও পাঠাকেরাও উপকৃত হবেন। তাঁর বইয়ে উল্লিখিত ঋণখেলাপির বিষয়ে আশির দশক থেকে কথা হচ্ছে, ব্যাংকিং কমিশনের বিষয়ে বলেছেন লেখক। বহু বছর ধরে আমরা অনেক কথা বলছি, কিন্তু সেসব নিয়ে সরকার কিছু করছে না।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও সাবেক উপাচার্য আব্দুল বায়েস বলেন, ‘এই বইয়ে ১৪টি বিষয় নিয়ে লেখক আলোচনা করেছেন। এখন সর্বত্র আলোচনার বিষয় মূল্যস্ফীতি। এর নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থার কার্যকরী ভূমিকা রাখার পরামর্শ লেখক দিয়েছেন। বড় বড় করদাতার কাছ থেকে কর আদায় করা গেলে দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতি অনেক বাড়বে বলে উল্লেখ করেছেন।’
একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, ‘বইটি “সুশাসনের নির্দেশিকা”। দেশে এখন অসুস্থ মুক্তবাজার বিরাজ করছে। দেশের সব সেক্টরের যা কিছু অর্জন হচ্ছে তা ফুটো দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। এই লিকেজ বন্ধ না করা গেলে উন্নয়ন ধরে রাখা যাবে না।’ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইউপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহ্রুখ মহিউদ্দীন।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের ‘বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আগামীর করণীয়: জাতীয় সপ্তবার্ষিক কর্মপরিকল্পনার একটি প্রস্তাবিত রূপরেখা’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) প্রকাশিত এই বই নিয়ে গতকাল সোমবার রাজধানীতে ইউপিএলের প্রধান কার্যালয়ে উৎসব হয়।
প্রকাশনা উৎসবের আলোচনায় মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘মুদ্রা পাচার, ঋণ খেলাপি ও মধ্যস্বত্বভোগীরা বাংলাদেশের মূল সমস্যা। এদের কারণে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। এখনো তাঁদের কারণে প্রতি বছর বাংলাদেশের ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়। সরকারের আমলা থাকার সুবাদে ভেতরের অনেক খবর জানা ছিল। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে ও আস্থাভাজন হিসেবে কাজ করেছি। পড়ালেখা ও শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে মনে করি বিষয়গুলো নিয়ে জনপরিসরে আলোচনা হওয়া দরকার।’
সিপিডির ডিস্টিংগুইশড ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহান বলেন, ‘ফরাসউদ্দিনের বইটি নীতি নির্ধারকদের জন্য লেখা হলেও পাঠাকেরাও উপকৃত হবেন। তাঁর বইয়ে উল্লিখিত ঋণখেলাপির বিষয়ে আশির দশক থেকে কথা হচ্ছে, ব্যাংকিং কমিশনের বিষয়ে বলেছেন লেখক। বহু বছর ধরে আমরা অনেক কথা বলছি, কিন্তু সেসব নিয়ে সরকার কিছু করছে না।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও সাবেক উপাচার্য আব্দুল বায়েস বলেন, ‘এই বইয়ে ১৪টি বিষয় নিয়ে লেখক আলোচনা করেছেন। এখন সর্বত্র আলোচনার বিষয় মূল্যস্ফীতি। এর নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থার কার্যকরী ভূমিকা রাখার পরামর্শ লেখক দিয়েছেন। বড় বড় করদাতার কাছ থেকে কর আদায় করা গেলে দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতি অনেক বাড়বে বলে উল্লেখ করেছেন।’
একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, ‘বইটি “সুশাসনের নির্দেশিকা”। দেশে এখন অসুস্থ মুক্তবাজার বিরাজ করছে। দেশের সব সেক্টরের যা কিছু অর্জন হচ্ছে তা ফুটো দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। এই লিকেজ বন্ধ না করা গেলে উন্নয়ন ধরে রাখা যাবে না।’ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইউপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহ্রুখ মহিউদ্দীন।
সামগ্রিকভাবে পশ্চিমা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিল্পকর্মকে ‘বুর্জোয়া’ ও ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ বলে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করা হয় চীনে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই শেকসপিয়ারের সব সাহিত্যকর্ম—যেমন হ্যামলেট, ম্যাকবেথ, রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট, ওথেলো ইত্যাদি—চীনে নিষিদ্ধ হয়, কারণ সেগুলোতে চীনা কমিউনিস্ট আদর্শের ‘সঠিক রাজনৈতিক
২৫ মে ২০২৫কবি নজরুল ইসলামের বহুল পরিচিতি ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে, কিন্তু নজরুল উঁচুমার্গের ‘সাম্যবাদী কবি’ও বটেন। নজরুলের সাম্যচিন্তা তাঁর জীবনের বাস্তবতা থেকে উদ্ভূত। তাঁর শৈশব-কৈশোরের জীবন-অভিজ্ঞতা, তাঁর যৌবনের যাপিত জীবন তাঁকে বাস্তব পৃথিবীর দারিদ্র্য, অসমতা ও অসাম্যের সঙ্গে পরিচিত করেছে অত্যন্ত নগ্নভাবে...
২৫ মে ২০২৫বাংলা সাহিত্যে জনপ্রিয় সাহিত্যিকদের মধ্যে নজরুল অন্যতম। সাধারণত জনপ্রিয় সাহিত্যিকদের বেলায় দেখা যায় কালের সীমা অতিক্রম করলে তাঁদের নাম ইতিহাসের পাতায় আর পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে নজরুলের জীবন ও সাহিত্য কালের সীমা অতিক্রম করে আজও পাঠকপ্রিয় হয়ে আছে। এর মূলে রয়েছে তাঁর সচেতন জীবনবোধ...
২৫ মে ২০২৫নজরুলকে ভুল ভাবে পড়ার আরেকটি বড় উদাহরণ হলো তাঁকে প্রায়শই রবীন্দ্রনাথের ‘প্রতিপক্ষ’ হিসেবে দাঁড় করানোর রাজনৈতিক প্রবণতা। এই আইডেনটিটি পলিটিকস শুধু বিভাজন তৈরি করে না, নজরুলের মৌলিক অবস্থানকেও বিকৃত করে।
২৪ মে ২০২৫