তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করার জন্য পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে রাখা হয়েছে। কারাদণ্ড ছাড়াও এক লাখ রুপি জরিমানা ও পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইমরানকে।
কয়েক মাস ধরে পাকিস্তানের রাজনীতিতে একের পর এক নাটকীতার সর্বশেষ ঘটনাটি হলো ইমরান খানের কারাবরণ। দেখা গেছে, সাম্প্রতিক সব নাটকীয় ঘটনার কেন্দ্রে ছিলেন তিনি। অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীও তাঁকে রাজনীতির মঞ্চ থেকে সরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। এর কারণ দেশটির তরুণ ভোটারদের মধ্যে ইমরান খানের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা।
প্রশ্ন হলো, ইমরানের কারাবরণের মধ্য দিয়েই কি পাকিস্তানের রাজনৈতিক নাটকীয়তার আপাত সমাপ্তি ঘটেছে। তাঁর রাজনীতিও কি শেষ হয়ে গেছে? তিনি কি পারবেন রাজনীতির মঞ্চে আবার স্বমহিমায় আবির্ভূত হতে?
পাকিস্তানের রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন, কারাদণ্ডের পরও দেশটির রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকবেন ইমরান খান। ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্ব ছাড়াও বিপুল জনপ্রিয়তার জন্যই এমনটি সম্ভব হবে।
পাকিস্তানের রাজনীতিতে যাঁরা ইমরান খান পর্বের শেষ দেখছেন না, তাঁদের মধ্যে দেশটির রাজনীতি বিশ্লেষক ইমতিয়াজ গুল অন্যতম।
ইসলামাবাদভিত্তিক থিংক ট্যাংক ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ’-এর প্রধান ইমতিয়াজ গুল মনে করেন, আপিলের মাধ্যমে ইমরান খানের কারাদণ্ডের রায় ঘুরিয়ে দিতে পারে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট।
ইমতিয়াজ গুল মনে করেন, ইমরানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা গুরুতর নয়। মূলত কৌশলগত ভুলের কারণেই তাঁকে কারাগারে যেতে হয়েছে।
এদিকে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানা গেছে। এ অবস্থায় সামনের দিনগুলোতে নাটকীয় আরেকটি ঘটনার অবতারণা হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
আরেকটি বিষয় হলো পাকিস্তানের বর্তমান তথ্যমন্ত্রী মারিয়াম আওরঙ্গজেব এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, ইমরান খানের কারাদণ্ডের পর তাঁর জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করেছে।
বিবৃতিতে মারিয়াম বলেছেন, ‘তিনি (ইমরান) কিছু নির্বোধ, ভোলা সমর্থককে প্রতারিত করতে পারেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ এখন তাঁর আসল চরিত্রটিকে চিনতে পেরেছে।’
তবে দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, কারাগারে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ইমরান খানের জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। এ ছাড়া কারাবরণের বিষয়টি ইমরানের জনপ্রিয়তাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। রাজনীতিতে ইমরান খান নিষিদ্ধ হলেও তাঁর দল পিটিআই নিষিদ্ধ হয়নি। ফলে ইমরান খানের জনপ্রিয়তা তাঁর অনুপস্থিতি সত্ত্বেও সামনের দিনগুলোতে দলের সাফল্যে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
এ বিষয়ে পাকিস্তানের রাজনীতি বিশ্লেষক আজিম চৌধুরী বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে পরবর্তী নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকায় থাকবেন না ইমরান খান। কিন্তু জেলে থেকেও দলের প্রার্থীদের প্রচারণায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন।’
তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করার জন্য পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে রাখা হয়েছে। কারাদণ্ড ছাড়াও এক লাখ রুপি জরিমানা ও পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইমরানকে।
কয়েক মাস ধরে পাকিস্তানের রাজনীতিতে একের পর এক নাটকীতার সর্বশেষ ঘটনাটি হলো ইমরান খানের কারাবরণ। দেখা গেছে, সাম্প্রতিক সব নাটকীয় ঘটনার কেন্দ্রে ছিলেন তিনি। অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীও তাঁকে রাজনীতির মঞ্চ থেকে সরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। এর কারণ দেশটির তরুণ ভোটারদের মধ্যে ইমরান খানের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা।
প্রশ্ন হলো, ইমরানের কারাবরণের মধ্য দিয়েই কি পাকিস্তানের রাজনৈতিক নাটকীয়তার আপাত সমাপ্তি ঘটেছে। তাঁর রাজনীতিও কি শেষ হয়ে গেছে? তিনি কি পারবেন রাজনীতির মঞ্চে আবার স্বমহিমায় আবির্ভূত হতে?
পাকিস্তানের রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন, কারাদণ্ডের পরও দেশটির রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকবেন ইমরান খান। ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্ব ছাড়াও বিপুল জনপ্রিয়তার জন্যই এমনটি সম্ভব হবে।
পাকিস্তানের রাজনীতিতে যাঁরা ইমরান খান পর্বের শেষ দেখছেন না, তাঁদের মধ্যে দেশটির রাজনীতি বিশ্লেষক ইমতিয়াজ গুল অন্যতম।
ইসলামাবাদভিত্তিক থিংক ট্যাংক ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ’-এর প্রধান ইমতিয়াজ গুল মনে করেন, আপিলের মাধ্যমে ইমরান খানের কারাদণ্ডের রায় ঘুরিয়ে দিতে পারে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট।
ইমতিয়াজ গুল মনে করেন, ইমরানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা গুরুতর নয়। মূলত কৌশলগত ভুলের কারণেই তাঁকে কারাগারে যেতে হয়েছে।
এদিকে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানা গেছে। এ অবস্থায় সামনের দিনগুলোতে নাটকীয় আরেকটি ঘটনার অবতারণা হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
আরেকটি বিষয় হলো পাকিস্তানের বর্তমান তথ্যমন্ত্রী মারিয়াম আওরঙ্গজেব এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, ইমরান খানের কারাদণ্ডের পর তাঁর জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করেছে।
বিবৃতিতে মারিয়াম বলেছেন, ‘তিনি (ইমরান) কিছু নির্বোধ, ভোলা সমর্থককে প্রতারিত করতে পারেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ এখন তাঁর আসল চরিত্রটিকে চিনতে পেরেছে।’
তবে দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, কারাগারে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ইমরান খানের জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। এ ছাড়া কারাবরণের বিষয়টি ইমরানের জনপ্রিয়তাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। রাজনীতিতে ইমরান খান নিষিদ্ধ হলেও তাঁর দল পিটিআই নিষিদ্ধ হয়নি। ফলে ইমরান খানের জনপ্রিয়তা তাঁর অনুপস্থিতি সত্ত্বেও সামনের দিনগুলোতে দলের সাফল্যে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
এ বিষয়ে পাকিস্তানের রাজনীতি বিশ্লেষক আজিম চৌধুরী বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে পরবর্তী নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকায় থাকবেন না ইমরান খান। কিন্তু জেলে থেকেও দলের প্রার্থীদের প্রচারণায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক যুদ্ধ-ইতিহাস দেখলে বোঝা যাবে, নতুন করে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কতটা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। ইরাক যুদ্ধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রাণহানি ও বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়েছিল।
৫ ঘণ্টা আগেআমেরিকার রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক নীতিতে এক প্রভাব বিস্তারকারী ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম ইভানজেলিক্যাল খ্রিষ্টান। এদের মধ্যেই রয়েছে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ—খ্রিষ্টান জায়নবাদী, যারা আধুনিক ইসরায়েল রাষ্ট্রের দৃঢ় সমর্থক। তারা আসলে কারা, তাদের বিশ্বাস কী এবং কেন ইসরায়েল প্রসঙ্গে বারবার উঠে আসে তাদের নাম?
৮ ঘণ্টা আগেমার্কিন সংবিধানের প্রথম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, যুদ্ধ ঘোষণা করার ক্ষমতা কংগ্রেসের। অনেক আইনজীবী এটিকে এভাবে ব্যাখ্যা করেন, দেশের সামরিক হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার চূড়ান্ত অধিকার কংগ্রেসের, প্রেসিডেন্টের নয়। অর্থাৎ, যুদ্ধের ব্যাপারে প্রধান নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে আইন প্রণয়নকারী শাখা এবং চূড়ান্ত...
৯ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল সংঘাত কেবল সামরিক হামলা বা পাল্টা হামলার বিষয় নয়—এটি এক দীর্ঘকালীন আদর্শিক, ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক সংঘর্ষ। যখন দুই নেতা নিজেদের জাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য অতীতের ধর্মীয় প্রতীক ও যুদ্ধগাথা তুলে আনেন, তখন বোঝা যায়, সংঘাতের এই ক্ষেত্র কেবল আকাশপথে বা ভূখণ্ডে সীমাবদ্ধ নয়।
৯ ঘণ্টা আগে