পরাগ মাঝি
তিন বছরের কারাদণ্ড আর পাঁচ বছরের রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে দিন গুনছেন ইমরান খান। দেড় বছর আগে তিনি যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন কেউ কি ঘুণাক্ষরেও ভেবেছিল তাঁর এমন পরিণতি হবে? সে সময় শুধু দেশের ভেতরেই নয়, ভূরাজনীতির বৈশ্বিক মঞ্চেও দাবার চালে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। অথচ আজ এমন পরিণতি!
খবর ফাঁস হয়েছে, গত বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে সে সময় ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন তিনি।
জানা গেছে, ইমরান খান ক্ষমতা হারানোর মাসখানেক আগেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত তৎকালীন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজিদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইন্টারসেপ্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া সফর করেছিলেন ইমরান খান। এর দুই সপ্তাহ পরই মাজিদ ও ডোনাল্ড লুর মধ্যে সেই কথোপকথনটি হয়।
ইমরান যেদিন রাশিয়া সফর করেন সেই দিনই ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক ও কূটনৈতিক মিত্রতা সত্ত্বেও ইউক্রেনে হামলার বিষয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, যা প্রকারান্তরে রাশিয়াকে সমর্থনেরই শামিল।
বিষয়টিকে সহজভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। মাজিদ আর লুর মধ্যে হওয়া সেই কথোপকথনেও এটি স্পষ্ট। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পাকিস্তানের নিরপেক্ষ অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন লু।
সেই কথোপকথনের এক মাস পরই পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান।
শুধু যে রাশিয়ার সঙ্গেই যোগসূত্র তা নয়। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের দিকেও ঝুঁকে পড়েছিলেন ইমরান খান। ২০২১ সালের অক্টোবরে চীন সফর করেছিলেন তিনি। চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিন পিন-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও মজবুত করার বার্তা দিয়েছিলেন।
বলা যায়, মার্কিন ও পশ্চিমা বলয় থেকে বেরিয়ে চীন-রাশিয়ার দিকে চলে যাওয়াই ইমরান খানের কাল হয়েছে। পরিণতিও ভয়ংকর।
কিন্তু যার জন্য এমন পরিণতি—সেই চীন-রাশিয়া ইমরান খানের কারাদণ্ড কিংবা ক্ষমতা হারানোর বিষয়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে, এমন খবর কি কারও জানা আছে?
তিন বছরের কারাদণ্ড আর পাঁচ বছরের রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে দিন গুনছেন ইমরান খান। দেড় বছর আগে তিনি যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন কেউ কি ঘুণাক্ষরেও ভেবেছিল তাঁর এমন পরিণতি হবে? সে সময় শুধু দেশের ভেতরেই নয়, ভূরাজনীতির বৈশ্বিক মঞ্চেও দাবার চালে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। অথচ আজ এমন পরিণতি!
খবর ফাঁস হয়েছে, গত বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে সে সময় ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন তিনি।
জানা গেছে, ইমরান খান ক্ষমতা হারানোর মাসখানেক আগেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত তৎকালীন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজিদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইন্টারসেপ্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া সফর করেছিলেন ইমরান খান। এর দুই সপ্তাহ পরই মাজিদ ও ডোনাল্ড লুর মধ্যে সেই কথোপকথনটি হয়।
ইমরান যেদিন রাশিয়া সফর করেন সেই দিনই ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক ও কূটনৈতিক মিত্রতা সত্ত্বেও ইউক্রেনে হামলার বিষয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, যা প্রকারান্তরে রাশিয়াকে সমর্থনেরই শামিল।
বিষয়টিকে সহজভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। মাজিদ আর লুর মধ্যে হওয়া সেই কথোপকথনেও এটি স্পষ্ট। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পাকিস্তানের নিরপেক্ষ অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন লু।
সেই কথোপকথনের এক মাস পরই পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান।
শুধু যে রাশিয়ার সঙ্গেই যোগসূত্র তা নয়। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের দিকেও ঝুঁকে পড়েছিলেন ইমরান খান। ২০২১ সালের অক্টোবরে চীন সফর করেছিলেন তিনি। চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিন পিন-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও মজবুত করার বার্তা দিয়েছিলেন।
বলা যায়, মার্কিন ও পশ্চিমা বলয় থেকে বেরিয়ে চীন-রাশিয়ার দিকে চলে যাওয়াই ইমরান খানের কাল হয়েছে। পরিণতিও ভয়ংকর।
কিন্তু যার জন্য এমন পরিণতি—সেই চীন-রাশিয়া ইমরান খানের কারাদণ্ড কিংবা ক্ষমতা হারানোর বিষয়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে, এমন খবর কি কারও জানা আছে?
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক যুদ্ধ-ইতিহাস দেখলে বোঝা যাবে, নতুন করে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কতটা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। ইরাক যুদ্ধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রাণহানি ও বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়েছিল।
৫ ঘণ্টা আগেআমেরিকার রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক নীতিতে এক প্রভাব বিস্তারকারী ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম ইভানজেলিক্যাল খ্রিষ্টান। এদের মধ্যেই রয়েছে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ—খ্রিষ্টান জায়নবাদী, যারা আধুনিক ইসরায়েল রাষ্ট্রের দৃঢ় সমর্থক। তারা আসলে কারা, তাদের বিশ্বাস কী এবং কেন ইসরায়েল প্রসঙ্গে বারবার উঠে আসে তাদের নাম?
৮ ঘণ্টা আগেমার্কিন সংবিধানের প্রথম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, যুদ্ধ ঘোষণা করার ক্ষমতা কংগ্রেসের। অনেক আইনজীবী এটিকে এভাবে ব্যাখ্যা করেন, দেশের সামরিক হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার চূড়ান্ত অধিকার কংগ্রেসের, প্রেসিডেন্টের নয়। অর্থাৎ, যুদ্ধের ব্যাপারে প্রধান নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে আইন প্রণয়নকারী শাখা এবং চূড়ান্ত...
৮ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল সংঘাত কেবল সামরিক হামলা বা পাল্টা হামলার বিষয় নয়—এটি এক দীর্ঘকালীন আদর্শিক, ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক সংঘর্ষ। যখন দুই নেতা নিজেদের জাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য অতীতের ধর্মীয় প্রতীক ও যুদ্ধগাথা তুলে আনেন, তখন বোঝা যায়, সংঘাতের এই ক্ষেত্র কেবল আকাশপথে বা ভূখণ্ডে সীমাবদ্ধ নয়।
৯ ঘণ্টা আগে