অনলাইন ডেস্ক
সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের জেরে ক’দিন আগেও চাপে ছিলেন দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তবে কয়েক মাসের ব্যবধানেই গত সপ্তাহে আরব লীগের শীর্ষ সম্মেলনে মধ্যমণি হয়ে ওঠেন তিনি। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনেই এক যুগ পর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে বরণ করে নিয়েছে আরব দেশগুলো।
সম্মেলনে বাশারের গালে চুমু খেয়ে উষ্ণ আলিঙ্গনে এক আবেগমাখা অভ্যর্থনা জানান মোহাম্মদ বিন সালমান। দুই নেতার হ্যান্ডশেক শিরোনাম হয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতেও। কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলো বিবেচনায় নিলে এই সম্মিলন তেলে-জলে মিশে যাওয়ার মতো একটি ঘটনা। বিশেষ করে দুই দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়টি বিবেচনায় নিলে তা একটি অসম্ভব ঘটনাই বটে।
বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র যে ভালো চোখে দেখছে না তা দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কথায় স্পষ্ট। আরব লীগের সম্মেলনে বাশারের যোগ দেওয়ার বিষয়টি তাৎপর্যহীন বলে মন্তব্য করেছিলেন ব্লিঙ্কেন। বলেছিলেন, ‘আমরা আমাদের আঞ্চলিক মিত্রদের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার করেছিলাম, কিন্তু তারা নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাদের অবস্থানও পরিষ্কার—আমরা বাশারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছি না।’
এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সিরিয়া বিষয়ে আরব দেশগুলোর নীতি পরিবর্তন বিশেষ করে সৌদি আরবের ভূমিকা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের বহু বছরের পুরোনো সম্পর্ক নতুন কোনো দিকে মোড় নিতে পারে বলেও মনে হচ্ছে। আর এর নেপথ্যে মোহাম্মদ বিন সালমান তথা এমবিএসই যে বড় ভূমিকা রাখছেন-তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বুধবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজের অবস্থান এবং ইউক্রেন যুদ্ধে তেল নির্ভর টালমাটাল বিশ্ব পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে সৌদি আরবকে একটি আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান মোহাম্মদ বিন সালমান।
এ অবস্থায় সৌদি আরবের নিরাপত্তা প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সন্দেহ এবং বড়ভাই সুলভ আচরণে বিরক্ত হয়ে বিশ্বের অন্য শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে জোর দিয়েছেন এমবিএস।
দেখা গেছে, চাপের মধ্যে থাকলেও গত বছরের মাঝামাঝিতে এমবিএস-এর অবস্থান বদলে যেতে শুরু করে। কারণ ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অস্থিতিশীল তেলের বাজারকে স্বাভাবিক করতে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন তিনি। এমন পরিস্থিতি তাকে কূটনৈতিক বিষয়গুলোতে আবারও সক্রিয় করে তোলে এবং বেশ কিছু উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেয়।
এমবিএস আরও সক্রিয় হয়ে ওঠেন যখন সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড থেকে তাকে দায় মুক্তি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যদিও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার যোগসূত্র নিশ্চিত করেছিল।
গত বছরের জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সৌদি আরব সফর রিয়াদের প্রভাব পুনরুদ্ধারে জোর দিয়েছিল। এ সফর থেকে বাইডেন খালি হাতে ফিরলেও সৌদি আরবের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সমর্থন আদায় করে নেন যুবরাজ।
কিন্তু চলতি বছরই চীনের মধ্যস্থতায় ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের একটি সমঝোতা হয়। এর মধ্য দিয়ে সৌদি আরবের মার্কিন নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সৌদি আরবের নেতাদের সঙ্গে আমাদের দেশের সম্পর্কটি আট দশকের পুরোনো এবং গুরুত্বপূর্ণ। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এ সম্পর্ক চলে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের একাধিক স্বার্থ রয়েছে। আমাদের নীতি এবং ব্যস্ততা নিশ্চিত করতে চাইবে যে আমাদের সম্পর্ক সুদৃঢ় আছে এবং ভবিষ্যতে আমাদের যৌথ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে আমরা সক্ষম হব।’
সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের জেরে ক’দিন আগেও চাপে ছিলেন দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তবে কয়েক মাসের ব্যবধানেই গত সপ্তাহে আরব লীগের শীর্ষ সম্মেলনে মধ্যমণি হয়ে ওঠেন তিনি। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনেই এক যুগ পর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে বরণ করে নিয়েছে আরব দেশগুলো।
সম্মেলনে বাশারের গালে চুমু খেয়ে উষ্ণ আলিঙ্গনে এক আবেগমাখা অভ্যর্থনা জানান মোহাম্মদ বিন সালমান। দুই নেতার হ্যান্ডশেক শিরোনাম হয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতেও। কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলো বিবেচনায় নিলে এই সম্মিলন তেলে-জলে মিশে যাওয়ার মতো একটি ঘটনা। বিশেষ করে দুই দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়টি বিবেচনায় নিলে তা একটি অসম্ভব ঘটনাই বটে।
বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র যে ভালো চোখে দেখছে না তা দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কথায় স্পষ্ট। আরব লীগের সম্মেলনে বাশারের যোগ দেওয়ার বিষয়টি তাৎপর্যহীন বলে মন্তব্য করেছিলেন ব্লিঙ্কেন। বলেছিলেন, ‘আমরা আমাদের আঞ্চলিক মিত্রদের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার করেছিলাম, কিন্তু তারা নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাদের অবস্থানও পরিষ্কার—আমরা বাশারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছি না।’
এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সিরিয়া বিষয়ে আরব দেশগুলোর নীতি পরিবর্তন বিশেষ করে সৌদি আরবের ভূমিকা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের বহু বছরের পুরোনো সম্পর্ক নতুন কোনো দিকে মোড় নিতে পারে বলেও মনে হচ্ছে। আর এর নেপথ্যে মোহাম্মদ বিন সালমান তথা এমবিএসই যে বড় ভূমিকা রাখছেন-তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বুধবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজের অবস্থান এবং ইউক্রেন যুদ্ধে তেল নির্ভর টালমাটাল বিশ্ব পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে সৌদি আরবকে একটি আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান মোহাম্মদ বিন সালমান।
এ অবস্থায় সৌদি আরবের নিরাপত্তা প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সন্দেহ এবং বড়ভাই সুলভ আচরণে বিরক্ত হয়ে বিশ্বের অন্য শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে জোর দিয়েছেন এমবিএস।
দেখা গেছে, চাপের মধ্যে থাকলেও গত বছরের মাঝামাঝিতে এমবিএস-এর অবস্থান বদলে যেতে শুরু করে। কারণ ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অস্থিতিশীল তেলের বাজারকে স্বাভাবিক করতে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন তিনি। এমন পরিস্থিতি তাকে কূটনৈতিক বিষয়গুলোতে আবারও সক্রিয় করে তোলে এবং বেশ কিছু উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেয়।
এমবিএস আরও সক্রিয় হয়ে ওঠেন যখন সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড থেকে তাকে দায় মুক্তি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যদিও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার যোগসূত্র নিশ্চিত করেছিল।
গত বছরের জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সৌদি আরব সফর রিয়াদের প্রভাব পুনরুদ্ধারে জোর দিয়েছিল। এ সফর থেকে বাইডেন খালি হাতে ফিরলেও সৌদি আরবের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সমর্থন আদায় করে নেন যুবরাজ।
কিন্তু চলতি বছরই চীনের মধ্যস্থতায় ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের একটি সমঝোতা হয়। এর মধ্য দিয়ে সৌদি আরবের মার্কিন নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সৌদি আরবের নেতাদের সঙ্গে আমাদের দেশের সম্পর্কটি আট দশকের পুরোনো এবং গুরুত্বপূর্ণ। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এ সম্পর্ক চলে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের একাধিক স্বার্থ রয়েছে। আমাদের নীতি এবং ব্যস্ততা নিশ্চিত করতে চাইবে যে আমাদের সম্পর্ক সুদৃঢ় আছে এবং ভবিষ্যতে আমাদের যৌথ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে আমরা সক্ষম হব।’
হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত বিলিয়নিয়ার জর্জ সরোসের ছেলে অ্যালেক্স সরোস ঢাকায় নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই বৈঠক এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হয়েছে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদেশে সমস্ত আর্থিক সহায়তা স্থগিত করেছেন। এর ফলে বাংলাদেশেও মার্কিন সহায়তা বন্ধ হয়ে গেছে।
১ দিন আগেহাংঝৌভিত্তিক এই স্টার্টআপ বা উদ্যোগটি দাবি করেছে, তারা ডিপসিক আর১ মডেলটি সিলিকন ভ্যালির সাম্প্রতিকতম মডেলগুলোর তুলনায় অনেক কম খরচে তৈরি করেছে। এই ঘোষণা এআই দুনিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রাধান্য ও শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর...
২ দিন আগে২০১১ সালে টেক্সাসের অস্টিন থেকে আসা একজন ইগল স্কাউট রস উলব্রিচট ‘সিল্ক রোড’ প্রতিষ্ঠা করেন। এটি একটি অনলাইন কালোবাজার, যেখানে মাদক, অর্থ পাচার এবং সাইবার অপরাধমূলক লেনদেন পরিচালিত হতো। ২০১৩ সালে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত সাইটটি কয়েক মিলিয়ন ডলারের রাজস্ব সংগ্রহ করেছিল।
৪ দিন আগেঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি বাংলাদেশে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এর মাধ্যমে ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে চলা শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতার অবসান ঘটে।
৮ দিন আগে