আবদুল বাছেদ, ঢাকা
বিশ্ব ইতিহাসে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে পুরনো শাসনব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে নতুন সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভিত্তিতে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ বা দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র গঠিত হয়েছে। এটি সাধারণত স্বৈরশাসন, দমনমূলক শাসনব্যবস্থা বা ব্যর্থ গণতন্ত্রের পতনের পর গণআকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেকেন্ড রিপাবলিকের ধারণা নতুন শাসন কাঠামোর মাধ্যমে রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও প্রতিনিধিত্বমূলক করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের সামনে থাকা ছাত্র নেতৃত্ব একে ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের’ সূচনা হিসেবে দেখছে। দীর্ঘ দেড় দশকের কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসানের পর সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা জনগণের প্রত্যাশা। সেই প্রত্যাশা পূরণের প্রতিশ্রুতি হিসেবে গণঅভ্যুত্থানের সামনের সারিতে থাকা তরুণরা গতকালই নতুন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নতুন দল গঠন করেছে।
আত্মপ্রকাশের দিনে দলের ঘোষণাপত্রে ‘নতুন সংবিধান’ প্রণয়নের মাধ্যমে সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সকল সম্ভাবনার অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে। সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়নকে অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছে এনসিপি। সেকেন্ড রিপাবলিকে জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, ভেঙে পড়া রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় গড়ে তোলা ও তাদের গণতান্ত্রিক চরিত্র রক্ষার অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অনেক দেশেই সেকেন্ড রিপাবলিক নামে নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। সাধারণত ব্যর্থ প্রজাতন্ত্র বা স্বৈরশাসনের পতনের পর নতুন সংবিধান ও শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে নতুন রিপাবলিক প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে বিশ্বজুড়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেকেন্ড রিপাবলিক ক্ষণস্থায়ী হয়েছে। কোথাও কোথাও স্বল্পস্থায়ী হয়ে পুনরায় একনায়কত্ব বা সামরিক শাসনের পথে চলে গেছে। তবে, প্রতিটি সেকেন্ড রিপাবলিকই সংশ্লিষ্ট দেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়। এই প্রেক্ষাপটে বিশ্বের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সেকেন্ড রিপাবলিকের ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হলো।
ফ্রান্সে সেকেন্ড রিপাবলিক থেকে রাজতন্ত্র
ইউরোপের দেশ ফ্রান্স একসময় রাজতন্ত্রের অধীন ছিল। ১৭৮৯ থেকে ১৭৯৯ সাল পর্যন্ত ফরাসি বিপ্লব চলে। এর মধ্য দিয়ে রাজতন্ত্রের পতন ঘটে। তবে বিপ্লব চলার মধ্যেই ১৭৯২ সালে ফ্রান্সে প্রথম রিপাবলিক ঘোষণা করা হয়। ফ্রান্সে ১৮০৪ সাল পর্যন্ত প্রথম রিপাবলিক টিকে ছিল। এরপর আবার রাজতন্ত্র শুরু হয়। এ পর্ব চলে ১৮৪৮ সাল পর্যন্ত। ওই বছর ফ্রান্সে দ্বিতীয় রিপাবলিক ঘোষণা করা হয়। এটি টিকে ছিল মাত্র চার বছর। ১৮৫২ সালেই এর পতন ঘটে।
ফ্রান্সের সেকেন্ড রিপাবলিকের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল—সর্বপ্রথম সার্বজনীন পুরুষ ভোটাধিকার চালু। এতে লুই-নেপোলিয়ন বোনাপার্ট প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হন। শ্রমিকদের জন্য জাতীয় কর্মশালা চালু করা হয়। এটি ক্ষণস্থায়ী হয়। ১৮৫১ সালে লুই-নেপোলিয়ন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৮৫২ সালে নিজেকে নেপোলিয়ন তৃতীয় ঘোষণা করে দ্বিতীয় রাজতন্ত্রের সূচনা করেন। এরপর দফায় দফায় রিপাবলিক বদলে ফ্রান্সে এখন চলছে পঞ্চম রিপাবলিক।
স্পেনের সেকেন্ড রিপাবলিক থেকে গৃহযুদ্ধ ও একনায়কতন্ত্র
১৯৩১ সালে রাজা আলফোনসো অষ্টম গণভোটের মাধ্যমে সিংহাসন ত্যাগ করলে দ্বিতীয় স্প্যানিশ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। স্পেনের সেকেন্ড রিপাবলিক (১৯৩১-১৯৩৯) গণতান্ত্রিক সংস্কারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হলেও এটি রাজনৈতিক বিভাজন, অস্থিরতা ও সহিংসতার কারণে স্পেনকে গৃহযুদ্ধ ও অবশেষে একনায়কতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেয়।
স্পেনের সেকেন্ড রিপাবলিকের নতুন সরকার ধর্মনিরপেক্ষতা, ভূমি সংস্কার ও সামরিক পুনর্গঠন নিয়ে কাজ শুরু করে। তবে এটি দেশকে দুই শিবিরে ভাগ করে ফেলে। বামপন্থী ও রিপাবলিকানরা (সমাজতন্ত্রী, কমিউনিস্ট, শ্রমিক সংগঠন) সংস্কারের পক্ষে ছিল। আর ডানপন্থীরা (রাজতন্ত্রবাদী, ক্যাথলিক চার্চ, সামরিক ও ধনী শ্রেণি) পরিবর্তনের বিরোধিতা করছিল।
১৯৩৬ সালের নির্বাচনে বামপন্থী ‘পিপলস ফ্রন্ট’ (Frente Popular) সরকার গঠন করলে ডানপন্থীরা বিদ্রোহ শুরু করে। এতে জেনারেল ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কোর নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ১৯৩৬ সালের জুলাইয়ে অভ্যুত্থান ঘটায়, যা স্পেনের গৃহযুদ্ধের (Spanish Civil War) সূচনা করে।
রিপাবলিকানরা শ্রমিক ও কমিউনিস্টদের সমর্থন পায়, আর ফ্রাঙ্কোর সেনারা জার্মানি ও ইতালির কাছ থেকে সামরিক সহায়তা নেয়। তিন বছর ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৩৯ সালে ফ্রাঙ্কোর বাহিনী জয়ী হয় এবং রিপাবলিকান সরকারের পতন ঘটে। শুরু হয় ফ্রাঙ্কোর একনায়কতন্ত্র। গৃহযুদ্ধের পর জেনারেল ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কো একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং সব বিরোধী দল নিষিদ্ধ করেন। ক্যাথলিক চার্চ ও সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা বাড়ানো হয় এবং গণমাধ্যম কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা হয়। ১৯৭৫ সালে ফ্রাঙ্কোর মৃত্যু পর্যন্ত স্পেন সামরিক একনায়কতন্ত্রের শাসনে ছিল।
ইতালির সেকেন্ড রিপাবলিকে উগ্র-ডানপন্থীদের উত্থান
ইতালির ফার্স্ট রিপাবলিক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৪৬ সালে। এরপর ১৯৯২ সালে বড় ধরনের দুর্নীতি কেলেঙ্কারি (Tangentopoli) ও রাজনৈতিক সংস্কারের কারণে সেকেন্ড রিপাবলিকের জন্ম হয়। তবে সেকেন্ড রিপাবলিকের অধীনে ইতালির রাজনীতিতে চরম অস্থিরতা দেখা যায়। ১৯৯৪ সাল থেকে একাধিকবার সরকার পরিবর্তিত হয়েছে এবং প্রায় দেড় থেকে ২ বছরে একবার করে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিতে হয়েছে।
দলগুলোর মধ্যে একে অপরের প্রতি অবিশ্বাস এবং কোনো একক দল সরকারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারেনি। বার্লুসকোনির নেতৃত্বে ফোরজা ইতালিয়া (Forza Italia) ও বামপন্থী জোটের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই ক্রমাগত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
প্রথম রিপাবলিকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘মণি পুলিতে’ অভিযান পরিচালিত হলেও, সেকেন্ড রিপাবলিকেও রাজনৈতিক দুর্নীতি কমেনি। প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অসংখ্য অভিযোগ ওঠে এবং তিনি একাধিকবার বিচারের মুখোমুখি হন। বিভিন্ন সরকার প্রশাসন রাজনৈতিক সুবিধা, ঘুষ এবং সরকারি তহবিলের অপব্যবহারের জন্য অভিযুক্ত হয়।
ইতালির সেকেন্ড রিপাবলিক আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন সংবিধান পায়নি, বরং ১৯৪৮ সালের সংবিধানের ওপর নির্ভর করে চলে। নির্বাচনী পদ্ধতি একাধিকবার পরিবর্তন করা হলেও এটি কখনোই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে পারেনি। প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করা যায়নি, ফলে সরকার ও সংসদ প্রায়ই অচলাবস্থায় পড়ে গেছে।
সেকেন্ড রিপাবলিকের সময় ইতালি বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হয়। উচ্চ বেকারত্বের হার, অনিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাত, বর্ধিত জাতীয় ঋণ (GDP-র তুলনায় ঋণের হার ১৩০% ছাড়িয়ে যায়) এবং ২০০৮ সালের বৈশ্বিক মন্দার ফলে ইতালির অর্থনীতি চরম দুর্বল হয়ে পড়ে। দেশটির জনগণ মনে করে, রাজনীতিবিদরা অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের চেয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা ও ক্ষমতা ধরে রাখার প্রতিযোগিতায় বেশি ব্যস্ত ছিল।
ইতালির সেকেন্ড রিপাবলিক দুর্বল হতে থাকায় পপুলিস্ট দল ও উগ্র ডানপন্থী রাজনীতির উত্থান ঘটে। লিগা নর্ড (Lega Nord) এবং ফাইভ স্টার মুভমেন্ট (M5S)-এর মতো দলগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নবিরোধী, অভিবাসনবিরোধী এবং জাতীয়তাবাদী রাজনীতি নিয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করে। ২০১৮ সালে ফাইভ স্টার মুভমেন্ট ও লিগা নর্ডের জোট সরকার ক্ষমতায় আসে, যা ইতালির রাজনীতিতে নতুন এক অনিশ্চয়তা তৈরি করে।
নাইজেরিয়ার সেকেন্ড রিপাবলিক থেকে সামরিক শাসন
স্বাধীনতা লাভের পর নাইজেরিয়ার ফার্স্ট রিপাবলিক শুরু হয় ১৯৬৩ সালে। তবে ১৯৬৬ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এর ইতি ঘটে। ১৯৭৯ সালে নতুন সংবিধানের মাধ্যমে সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠিত হয়। নাইজেরিয়ার সেকেন্ড রিপাবলিক গণতান্ত্রিক শাসনের একটি প্রচেষ্টা ছিল। তবে মাত্র চার বছরের মাথায় ১৯৮৩ সালে একে সামরিক অভ্যুত্থান গিলে ফেলে।
১৯৭৯ সালে অলিখিত ব্রিটিশ সংসদীয় পদ্ধতির পরিবর্তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট শাসিত কাঠামো গ্রহণ করা হয়। শেগারি সরকার (President Shehu Shagari) দুর্নীতি দমন ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে প্রশাসনিক দুর্বলতা, দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ওঠে। ১৯৮৩ সালের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে বিরোধী দলগুলো সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে।
ফলে ১৯৮৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর মেজর জেনারেল মুহাম্মদু বুহারি নেতৃত্বে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে, যা দ্বিতীয় রিপাবলিকের অবসান ঘটায়। সামরিক বাহিনী দুর্নীতি, অর্থনৈতিক সংকট ও দুর্বল শাসনকে কারণ দেখিয়ে গণতন্ত্র বিলুপ্ত করে। এরপর নাইজেরিয়া দীর্ঘ ১৬ বছর (১৯৮৩-১৯৯৯) সামরিক শাসনের অধীনে থাকে।
পর্তুগালে সেকেন্ড রিপাবলিক ও স্বৈরশাসনের দীর্ঘ অধ্যায়
পর্তুগালের ফার্স্ট রিপাবলিক (১৯১০-১৯২৬) রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলায় ভেঙে পড়লে ১৯২৬ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি পরে এস্তাদো নোভো (Estado Novo) বা নতুন রাষ্ট্র নামে পরিচিতি পায়। অ্যান্টোনিও সালাজার ১৯৩২ সালে প্রধানমন্ত্রী হন এবং তার শাসনব্যবস্থা দ্রুতই স্বৈরশাসনে পরিণত হয়।
সালাজার ন্যাশনাল ইউনিয়ন (União Nacional) দলকে একমাত্র বৈধ রাজনৈতিক দল হিসেবে ঘোষণা করেন। সংবাদপত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করে কঠোর সেন্সরশিপ আরোপ করা হয়। গুপ্ত পুলিশ (PIDE) বাহিনী দিয়ে ভিন্নমতাবলম্বীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়। দীর্ঘ ৪১ বছর ধরে চলে সালাজারের স্বৈরশাসন।
সালাজার পর্তুগিজ উপনিবেশগুলো (আঙ্গোলা, মোজাম্বিক, গিনি-বিসাউ) দখলে রাখার চেষ্টা করেন। এটি দীর্ঘমেয়াদি গৃহযুদ্ধের সূচনা করে। ১৯৭৪ সালের ‘কার্নেশন বিপ্লবে’র মাধ্যমে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। এর মাধ্যমে সালাজারের উত্তরসূরিদের সরকার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে এবং পর্তুগালের তৃতীয় রিপাবলিক প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিশ্ব ইতিহাসে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে পুরনো শাসনব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে নতুন সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভিত্তিতে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ বা দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র গঠিত হয়েছে। এটি সাধারণত স্বৈরশাসন, দমনমূলক শাসনব্যবস্থা বা ব্যর্থ গণতন্ত্রের পতনের পর গণআকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেকেন্ড রিপাবলিকের ধারণা নতুন শাসন কাঠামোর মাধ্যমে রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও প্রতিনিধিত্বমূলক করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের সামনে থাকা ছাত্র নেতৃত্ব একে ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের’ সূচনা হিসেবে দেখছে। দীর্ঘ দেড় দশকের কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসানের পর সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা জনগণের প্রত্যাশা। সেই প্রত্যাশা পূরণের প্রতিশ্রুতি হিসেবে গণঅভ্যুত্থানের সামনের সারিতে থাকা তরুণরা গতকালই নতুন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নতুন দল গঠন করেছে।
আত্মপ্রকাশের দিনে দলের ঘোষণাপত্রে ‘নতুন সংবিধান’ প্রণয়নের মাধ্যমে সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সকল সম্ভাবনার অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে। সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়নকে অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছে এনসিপি। সেকেন্ড রিপাবলিকে জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, ভেঙে পড়া রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় গড়ে তোলা ও তাদের গণতান্ত্রিক চরিত্র রক্ষার অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অনেক দেশেই সেকেন্ড রিপাবলিক নামে নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। সাধারণত ব্যর্থ প্রজাতন্ত্র বা স্বৈরশাসনের পতনের পর নতুন সংবিধান ও শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে নতুন রিপাবলিক প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে বিশ্বজুড়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেকেন্ড রিপাবলিক ক্ষণস্থায়ী হয়েছে। কোথাও কোথাও স্বল্পস্থায়ী হয়ে পুনরায় একনায়কত্ব বা সামরিক শাসনের পথে চলে গেছে। তবে, প্রতিটি সেকেন্ড রিপাবলিকই সংশ্লিষ্ট দেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়। এই প্রেক্ষাপটে বিশ্বের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সেকেন্ড রিপাবলিকের ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হলো।
ফ্রান্সে সেকেন্ড রিপাবলিক থেকে রাজতন্ত্র
ইউরোপের দেশ ফ্রান্স একসময় রাজতন্ত্রের অধীন ছিল। ১৭৮৯ থেকে ১৭৯৯ সাল পর্যন্ত ফরাসি বিপ্লব চলে। এর মধ্য দিয়ে রাজতন্ত্রের পতন ঘটে। তবে বিপ্লব চলার মধ্যেই ১৭৯২ সালে ফ্রান্সে প্রথম রিপাবলিক ঘোষণা করা হয়। ফ্রান্সে ১৮০৪ সাল পর্যন্ত প্রথম রিপাবলিক টিকে ছিল। এরপর আবার রাজতন্ত্র শুরু হয়। এ পর্ব চলে ১৮৪৮ সাল পর্যন্ত। ওই বছর ফ্রান্সে দ্বিতীয় রিপাবলিক ঘোষণা করা হয়। এটি টিকে ছিল মাত্র চার বছর। ১৮৫২ সালেই এর পতন ঘটে।
ফ্রান্সের সেকেন্ড রিপাবলিকের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল—সর্বপ্রথম সার্বজনীন পুরুষ ভোটাধিকার চালু। এতে লুই-নেপোলিয়ন বোনাপার্ট প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হন। শ্রমিকদের জন্য জাতীয় কর্মশালা চালু করা হয়। এটি ক্ষণস্থায়ী হয়। ১৮৫১ সালে লুই-নেপোলিয়ন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৮৫২ সালে নিজেকে নেপোলিয়ন তৃতীয় ঘোষণা করে দ্বিতীয় রাজতন্ত্রের সূচনা করেন। এরপর দফায় দফায় রিপাবলিক বদলে ফ্রান্সে এখন চলছে পঞ্চম রিপাবলিক।
স্পেনের সেকেন্ড রিপাবলিক থেকে গৃহযুদ্ধ ও একনায়কতন্ত্র
১৯৩১ সালে রাজা আলফোনসো অষ্টম গণভোটের মাধ্যমে সিংহাসন ত্যাগ করলে দ্বিতীয় স্প্যানিশ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। স্পেনের সেকেন্ড রিপাবলিক (১৯৩১-১৯৩৯) গণতান্ত্রিক সংস্কারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হলেও এটি রাজনৈতিক বিভাজন, অস্থিরতা ও সহিংসতার কারণে স্পেনকে গৃহযুদ্ধ ও অবশেষে একনায়কতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেয়।
স্পেনের সেকেন্ড রিপাবলিকের নতুন সরকার ধর্মনিরপেক্ষতা, ভূমি সংস্কার ও সামরিক পুনর্গঠন নিয়ে কাজ শুরু করে। তবে এটি দেশকে দুই শিবিরে ভাগ করে ফেলে। বামপন্থী ও রিপাবলিকানরা (সমাজতন্ত্রী, কমিউনিস্ট, শ্রমিক সংগঠন) সংস্কারের পক্ষে ছিল। আর ডানপন্থীরা (রাজতন্ত্রবাদী, ক্যাথলিক চার্চ, সামরিক ও ধনী শ্রেণি) পরিবর্তনের বিরোধিতা করছিল।
১৯৩৬ সালের নির্বাচনে বামপন্থী ‘পিপলস ফ্রন্ট’ (Frente Popular) সরকার গঠন করলে ডানপন্থীরা বিদ্রোহ শুরু করে। এতে জেনারেল ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কোর নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ১৯৩৬ সালের জুলাইয়ে অভ্যুত্থান ঘটায়, যা স্পেনের গৃহযুদ্ধের (Spanish Civil War) সূচনা করে।
রিপাবলিকানরা শ্রমিক ও কমিউনিস্টদের সমর্থন পায়, আর ফ্রাঙ্কোর সেনারা জার্মানি ও ইতালির কাছ থেকে সামরিক সহায়তা নেয়। তিন বছর ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৩৯ সালে ফ্রাঙ্কোর বাহিনী জয়ী হয় এবং রিপাবলিকান সরকারের পতন ঘটে। শুরু হয় ফ্রাঙ্কোর একনায়কতন্ত্র। গৃহযুদ্ধের পর জেনারেল ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কো একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং সব বিরোধী দল নিষিদ্ধ করেন। ক্যাথলিক চার্চ ও সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা বাড়ানো হয় এবং গণমাধ্যম কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা হয়। ১৯৭৫ সালে ফ্রাঙ্কোর মৃত্যু পর্যন্ত স্পেন সামরিক একনায়কতন্ত্রের শাসনে ছিল।
ইতালির সেকেন্ড রিপাবলিকে উগ্র-ডানপন্থীদের উত্থান
ইতালির ফার্স্ট রিপাবলিক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৪৬ সালে। এরপর ১৯৯২ সালে বড় ধরনের দুর্নীতি কেলেঙ্কারি (Tangentopoli) ও রাজনৈতিক সংস্কারের কারণে সেকেন্ড রিপাবলিকের জন্ম হয়। তবে সেকেন্ড রিপাবলিকের অধীনে ইতালির রাজনীতিতে চরম অস্থিরতা দেখা যায়। ১৯৯৪ সাল থেকে একাধিকবার সরকার পরিবর্তিত হয়েছে এবং প্রায় দেড় থেকে ২ বছরে একবার করে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিতে হয়েছে।
দলগুলোর মধ্যে একে অপরের প্রতি অবিশ্বাস এবং কোনো একক দল সরকারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারেনি। বার্লুসকোনির নেতৃত্বে ফোরজা ইতালিয়া (Forza Italia) ও বামপন্থী জোটের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই ক্রমাগত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
প্রথম রিপাবলিকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘মণি পুলিতে’ অভিযান পরিচালিত হলেও, সেকেন্ড রিপাবলিকেও রাজনৈতিক দুর্নীতি কমেনি। প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অসংখ্য অভিযোগ ওঠে এবং তিনি একাধিকবার বিচারের মুখোমুখি হন। বিভিন্ন সরকার প্রশাসন রাজনৈতিক সুবিধা, ঘুষ এবং সরকারি তহবিলের অপব্যবহারের জন্য অভিযুক্ত হয়।
ইতালির সেকেন্ড রিপাবলিক আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন সংবিধান পায়নি, বরং ১৯৪৮ সালের সংবিধানের ওপর নির্ভর করে চলে। নির্বাচনী পদ্ধতি একাধিকবার পরিবর্তন করা হলেও এটি কখনোই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে পারেনি। প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করা যায়নি, ফলে সরকার ও সংসদ প্রায়ই অচলাবস্থায় পড়ে গেছে।
সেকেন্ড রিপাবলিকের সময় ইতালি বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হয়। উচ্চ বেকারত্বের হার, অনিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাত, বর্ধিত জাতীয় ঋণ (GDP-র তুলনায় ঋণের হার ১৩০% ছাড়িয়ে যায়) এবং ২০০৮ সালের বৈশ্বিক মন্দার ফলে ইতালির অর্থনীতি চরম দুর্বল হয়ে পড়ে। দেশটির জনগণ মনে করে, রাজনীতিবিদরা অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের চেয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা ও ক্ষমতা ধরে রাখার প্রতিযোগিতায় বেশি ব্যস্ত ছিল।
ইতালির সেকেন্ড রিপাবলিক দুর্বল হতে থাকায় পপুলিস্ট দল ও উগ্র ডানপন্থী রাজনীতির উত্থান ঘটে। লিগা নর্ড (Lega Nord) এবং ফাইভ স্টার মুভমেন্ট (M5S)-এর মতো দলগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নবিরোধী, অভিবাসনবিরোধী এবং জাতীয়তাবাদী রাজনীতি নিয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করে। ২০১৮ সালে ফাইভ স্টার মুভমেন্ট ও লিগা নর্ডের জোট সরকার ক্ষমতায় আসে, যা ইতালির রাজনীতিতে নতুন এক অনিশ্চয়তা তৈরি করে।
নাইজেরিয়ার সেকেন্ড রিপাবলিক থেকে সামরিক শাসন
স্বাধীনতা লাভের পর নাইজেরিয়ার ফার্স্ট রিপাবলিক শুরু হয় ১৯৬৩ সালে। তবে ১৯৬৬ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এর ইতি ঘটে। ১৯৭৯ সালে নতুন সংবিধানের মাধ্যমে সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠিত হয়। নাইজেরিয়ার সেকেন্ড রিপাবলিক গণতান্ত্রিক শাসনের একটি প্রচেষ্টা ছিল। তবে মাত্র চার বছরের মাথায় ১৯৮৩ সালে একে সামরিক অভ্যুত্থান গিলে ফেলে।
১৯৭৯ সালে অলিখিত ব্রিটিশ সংসদীয় পদ্ধতির পরিবর্তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট শাসিত কাঠামো গ্রহণ করা হয়। শেগারি সরকার (President Shehu Shagari) দুর্নীতি দমন ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে প্রশাসনিক দুর্বলতা, দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ওঠে। ১৯৮৩ সালের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে বিরোধী দলগুলো সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে।
ফলে ১৯৮৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর মেজর জেনারেল মুহাম্মদু বুহারি নেতৃত্বে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে, যা দ্বিতীয় রিপাবলিকের অবসান ঘটায়। সামরিক বাহিনী দুর্নীতি, অর্থনৈতিক সংকট ও দুর্বল শাসনকে কারণ দেখিয়ে গণতন্ত্র বিলুপ্ত করে। এরপর নাইজেরিয়া দীর্ঘ ১৬ বছর (১৯৮৩-১৯৯৯) সামরিক শাসনের অধীনে থাকে।
পর্তুগালে সেকেন্ড রিপাবলিক ও স্বৈরশাসনের দীর্ঘ অধ্যায়
পর্তুগালের ফার্স্ট রিপাবলিক (১৯১০-১৯২৬) রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলায় ভেঙে পড়লে ১৯২৬ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি পরে এস্তাদো নোভো (Estado Novo) বা নতুন রাষ্ট্র নামে পরিচিতি পায়। অ্যান্টোনিও সালাজার ১৯৩২ সালে প্রধানমন্ত্রী হন এবং তার শাসনব্যবস্থা দ্রুতই স্বৈরশাসনে পরিণত হয়।
সালাজার ন্যাশনাল ইউনিয়ন (União Nacional) দলকে একমাত্র বৈধ রাজনৈতিক দল হিসেবে ঘোষণা করেন। সংবাদপত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করে কঠোর সেন্সরশিপ আরোপ করা হয়। গুপ্ত পুলিশ (PIDE) বাহিনী দিয়ে ভিন্নমতাবলম্বীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়। দীর্ঘ ৪১ বছর ধরে চলে সালাজারের স্বৈরশাসন।
সালাজার পর্তুগিজ উপনিবেশগুলো (আঙ্গোলা, মোজাম্বিক, গিনি-বিসাউ) দখলে রাখার চেষ্টা করেন। এটি দীর্ঘমেয়াদি গৃহযুদ্ধের সূচনা করে। ১৯৭৪ সালের ‘কার্নেশন বিপ্লবে’র মাধ্যমে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। এর মাধ্যমে সালাজারের উত্তরসূরিদের সরকার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে এবং পর্তুগালের তৃতীয় রিপাবলিক প্রতিষ্ঠিত হয়।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করেছে। এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের জন্য যখন পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন আরও বেশি প্রয়োজন, ঠিক তখনই এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু বৈঠকের শুরু থেকেই পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত নাজুক। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্ব লাভের আশায়...
১ দিন আগেশ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েকে ক্ষমতায় আসার পর প্রথম বাজেট পাস করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। ২০২৫ সালের এই বাজেটে দিসানায়েকের সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে চলা এবং দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে সূক্ষ্ম ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করেছে।
১ দিন আগেভারতের বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির পরিকল্পনায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন টেক মোগল ইলন মাস্ক। রাজধানী নয়াদিল্লি ও মুম্বাইয়ে শোরুম স্থাপনের জন্য স্থান নির্ধারণ করেছে টেসলা। পাশাপাশি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়াও জোরদার করছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মাস্কের
২ দিন আগেবাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলো রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, দুর্নীতি এবং উচ্চ বৈদেশিক ঋণের চাপে রয়েছে, সামগ্রিক পরিস্থিতি এসব দেশের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা ও উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার সক্ষমতাকে সীমিত করছে।
৩ দিন আগে