পরাগ মাঝি
বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা ধরনের অভিমত পাওয়া যায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডিজিটাল এই মুদ্রাটির নানা উত্থান-পতন দেখা গেছে। ফলে এক বছর পর মুদ্রাটির অবস্থান কী হবে—তা আগে থেকে অনুমান করা কঠিন।
সম্প্রতি বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ জানতে চারজন বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইলের প্রতিবেদক নেরিন গ্রে দেশাই। মূলত আসন্ন বছর ২০২৪ সালে মুদ্রাটির অবস্থান কী হবে—তা জানতে চাওয়া হয়েছিল বিশেষজ্ঞদের কাছে। এখানেও সম্পূর্ণ বিপরীত যুক্তি ও মত পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞদের কেউ বলছেন, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে বিটকয়েনের মূল্য পড়ে গিয়ে অর্ধেক হয়ে যাবে। আবার কেউ দেখছেন বিপুল সম্ভাবনা। তাঁদের মতে, মুদ্রাটির মূল্য বর্তমানের দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যাবে।
বিটকয়েনের বর্তমান মূল্য যাচাই করতে গিয়ে দেখা গেছে, চলতি মাসের (ডিসেম্বর) শুরুর দিকেই হঠাৎ করে অস্বাভাবিক উত্থানের মধ্য দিয়ে শিরোনাম হয়েছে বিতর্কিত এই মুদ্রাটি। গত সপ্তাহেই এটির মূল্য ৪৪ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল; দুই বছরের মধ্যে যা কি-না সর্বোচ্চ। কিন্তু গত রোববার ঘটে আরেক কাণ্ড! মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই মুদ্রাটির মূল্য সাড়ে ৬ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে দেখা গেছে। এর ফলে সেদিন মুদ্রাটির মূল্য ৪১ হাজার ডলারেরও নিচে নেমে যায়।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে ২০২৪ সালে মুদ্রাটির অবস্থান কী হবে তা অনুমান করা সত্যিই খুব কঠিন। তবে এই বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ফরেন এক্সচেঞ্জ রিসার্চের প্রধান জিওফ কেন্ডরিক মনে করেন, ২০২৪ সালে বিটকয়েনের মূল্যে বিপুল উত্থান দেখা যাবে। কেন্ডরিকের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, আগামী বছরেই বিটকয়েন তার অতীতের রেকর্ড মূল্যকেও ছাড়িয়ে যাবে। এমনও হতে পারে এর মূল্য তখন ১ লাখ ডলারেরও বেশি হবে।
যে বিবেচনায় কেন্ডরিক এমন মত দিয়েছেন তা হলো—নতুন বছরেই ক্রিপটো মুদ্রাকে মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) দ্বারা অনুমোদন করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এই অনুমোদন পেয়ে গেলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিটকয়েন দিয়ে তাদের তহবিল আদান-প্রদান শুরু করবে। ফলে নিশ্চিতভাবেই বিপুল চাহিদা তৈরি হবে ডিজিটাল এই মুদ্রাটির।
এখন পর্যন্ত বিটকয়েন তার সর্বোচ্চ মূল্যে পৌঁছেছিল ২০২১ সালে। সেই বছর মুদ্রাটির মূল্য ৬৯ হাজার ডলার পর্যন্ত উঠেছিল। যদিও পরের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে বিটকয়েনের মূল্যে ধস নামে। মাত্র ১৭ হাজার ডলার মূল্য নিয়ে ২০২২ সাল শেষ করেছিল মুদ্রাটি। তবে চলতি বছর মুদ্রাটির মূল্য আবার ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। আজ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ৪৩ হাজার ৬০৬ ডলারের সমান মূল্য মান নিয়ে দাঁড়িয়েছিল বিটকয়েন।
মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন দ্বারা বিটকয়েনের অনুমোদন লাভের বিষয়ে আশাবাদী বৈশ্বিক ক্রিপটো কারেন্সি এক্সচেঞ্জ ‘জেমিনি’-এর প্রধান কৌশল কর্মকর্তা মার্শাল বেয়ার্ড। বিটকয়েন ধীরে ধীরে মূলধারার অর্থনীতিতে প্রবেশ করবে বলে মনে করেন তিনি। বেয়ার্ডের মতে, মূলধারার অর্থনীতির ‘স্বর্ণমান’-এর সঙ্গে ডিজিটাল সম্পদের ক্ষেত্রে বিটকয়েনকে তুলনা করা যায়।
এদিকে বিটকয়েনের ভাগ্যে আরও বড় বড় উত্থান-পতন অপেক্ষা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ ‘ডেরিবিট’-এর প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা লুক স্ট্রিজার্স। আগামী জানুয়ারিতে বিটকয়েনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। লুক মনে করেন, অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসার আগেই অর্থাৎ চলতি ডিসেম্বরের মধ্যেই বেশ কয়েকবার উত্থান-পতন হবে মুদ্রাটির।
বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ নিয়ে সবচেয়ে হতাশাবাদী মন্তব্যটি করেছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘ড্যাটোস ইনসাইট’-এর কৌশলগত উপদেষ্টা গিলস উবাগস। বিটকয়েনের কয়েকটি দুর্বলতা বের করছেন তিনি। তাঁর মতে—ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থা কিছুটা জটিল, এই মুদ্রা খরচ এবং কাগুজে টাকায় রূপান্তর করা কঠিন, রেপুটেশনও ভালো নয়, আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো—এটি অস্থির। ফলে বিটকয়েনকে প্রকৃত মুদ্রা হিসেবে কখনোই ভাবা হয়নি এবং দীর্ঘদিন মান ধরে রাখার ক্ষমতাও নেই এটির।
গিলস বলেন, ‘বর্তমানে ৪০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের বিটকয়েন যে আবারও ২০ হাজার ডলারে নামবে না—তা জোর গলায় বলার উপায় নেই।’
বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা ধরনের অভিমত পাওয়া যায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডিজিটাল এই মুদ্রাটির নানা উত্থান-পতন দেখা গেছে। ফলে এক বছর পর মুদ্রাটির অবস্থান কী হবে—তা আগে থেকে অনুমান করা কঠিন।
সম্প্রতি বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ জানতে চারজন বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইলের প্রতিবেদক নেরিন গ্রে দেশাই। মূলত আসন্ন বছর ২০২৪ সালে মুদ্রাটির অবস্থান কী হবে—তা জানতে চাওয়া হয়েছিল বিশেষজ্ঞদের কাছে। এখানেও সম্পূর্ণ বিপরীত যুক্তি ও মত পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞদের কেউ বলছেন, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে বিটকয়েনের মূল্য পড়ে গিয়ে অর্ধেক হয়ে যাবে। আবার কেউ দেখছেন বিপুল সম্ভাবনা। তাঁদের মতে, মুদ্রাটির মূল্য বর্তমানের দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যাবে।
বিটকয়েনের বর্তমান মূল্য যাচাই করতে গিয়ে দেখা গেছে, চলতি মাসের (ডিসেম্বর) শুরুর দিকেই হঠাৎ করে অস্বাভাবিক উত্থানের মধ্য দিয়ে শিরোনাম হয়েছে বিতর্কিত এই মুদ্রাটি। গত সপ্তাহেই এটির মূল্য ৪৪ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল; দুই বছরের মধ্যে যা কি-না সর্বোচ্চ। কিন্তু গত রোববার ঘটে আরেক কাণ্ড! মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই মুদ্রাটির মূল্য সাড়ে ৬ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে দেখা গেছে। এর ফলে সেদিন মুদ্রাটির মূল্য ৪১ হাজার ডলারেরও নিচে নেমে যায়।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে ২০২৪ সালে মুদ্রাটির অবস্থান কী হবে তা অনুমান করা সত্যিই খুব কঠিন। তবে এই বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ফরেন এক্সচেঞ্জ রিসার্চের প্রধান জিওফ কেন্ডরিক মনে করেন, ২০২৪ সালে বিটকয়েনের মূল্যে বিপুল উত্থান দেখা যাবে। কেন্ডরিকের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, আগামী বছরেই বিটকয়েন তার অতীতের রেকর্ড মূল্যকেও ছাড়িয়ে যাবে। এমনও হতে পারে এর মূল্য তখন ১ লাখ ডলারেরও বেশি হবে।
যে বিবেচনায় কেন্ডরিক এমন মত দিয়েছেন তা হলো—নতুন বছরেই ক্রিপটো মুদ্রাকে মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) দ্বারা অনুমোদন করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এই অনুমোদন পেয়ে গেলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিটকয়েন দিয়ে তাদের তহবিল আদান-প্রদান শুরু করবে। ফলে নিশ্চিতভাবেই বিপুল চাহিদা তৈরি হবে ডিজিটাল এই মুদ্রাটির।
এখন পর্যন্ত বিটকয়েন তার সর্বোচ্চ মূল্যে পৌঁছেছিল ২০২১ সালে। সেই বছর মুদ্রাটির মূল্য ৬৯ হাজার ডলার পর্যন্ত উঠেছিল। যদিও পরের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে বিটকয়েনের মূল্যে ধস নামে। মাত্র ১৭ হাজার ডলার মূল্য নিয়ে ২০২২ সাল শেষ করেছিল মুদ্রাটি। তবে চলতি বছর মুদ্রাটির মূল্য আবার ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। আজ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ৪৩ হাজার ৬০৬ ডলারের সমান মূল্য মান নিয়ে দাঁড়িয়েছিল বিটকয়েন।
মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন দ্বারা বিটকয়েনের অনুমোদন লাভের বিষয়ে আশাবাদী বৈশ্বিক ক্রিপটো কারেন্সি এক্সচেঞ্জ ‘জেমিনি’-এর প্রধান কৌশল কর্মকর্তা মার্শাল বেয়ার্ড। বিটকয়েন ধীরে ধীরে মূলধারার অর্থনীতিতে প্রবেশ করবে বলে মনে করেন তিনি। বেয়ার্ডের মতে, মূলধারার অর্থনীতির ‘স্বর্ণমান’-এর সঙ্গে ডিজিটাল সম্পদের ক্ষেত্রে বিটকয়েনকে তুলনা করা যায়।
এদিকে বিটকয়েনের ভাগ্যে আরও বড় বড় উত্থান-পতন অপেক্ষা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ ‘ডেরিবিট’-এর প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা লুক স্ট্রিজার্স। আগামী জানুয়ারিতে বিটকয়েনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। লুক মনে করেন, অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসার আগেই অর্থাৎ চলতি ডিসেম্বরের মধ্যেই বেশ কয়েকবার উত্থান-পতন হবে মুদ্রাটির।
বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ নিয়ে সবচেয়ে হতাশাবাদী মন্তব্যটি করেছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘ড্যাটোস ইনসাইট’-এর কৌশলগত উপদেষ্টা গিলস উবাগস। বিটকয়েনের কয়েকটি দুর্বলতা বের করছেন তিনি। তাঁর মতে—ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থা কিছুটা জটিল, এই মুদ্রা খরচ এবং কাগুজে টাকায় রূপান্তর করা কঠিন, রেপুটেশনও ভালো নয়, আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো—এটি অস্থির। ফলে বিটকয়েনকে প্রকৃত মুদ্রা হিসেবে কখনোই ভাবা হয়নি এবং দীর্ঘদিন মান ধরে রাখার ক্ষমতাও নেই এটির।
গিলস বলেন, ‘বর্তমানে ৪০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের বিটকয়েন যে আবারও ২০ হাজার ডলারে নামবে না—তা জোর গলায় বলার উপায় নেই।’
বিশ্ব ইতিহাসে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে পুরনো শাসনব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে নতুন সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভিত্তিতে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ বা দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র গঠিত হয়েছে। এটি সাধারণত স্বৈরশাসন, দমনমূলক শাসনব্যবস্থা বা ব্যর্থ গণতন্ত্রের পতনের পর গণআকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়।
২৭ মিনিট আগেসাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করেছে। এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের জন্য যখন পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন আরও বেশি প্রয়োজন, ঠিক তখনই এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু বৈঠকের শুরু থেকেই পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত নাজুক। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্ব লাভের আশায়...
২ ঘণ্টা আগেশ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েকে ক্ষমতায় আসার পর প্রথম বাজেট পাস করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। ২০২৫ সালের এই বাজেটে দিসানায়েকের সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে চলা এবং দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে সূক্ষ্ম ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করেছে।
৯ ঘণ্টা আগেভারতের বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির পরিকল্পনায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন টেক মোগল ইলন মাস্ক। রাজধানী নয়াদিল্লি ও মুম্বাইয়ে শোরুম স্থাপনের জন্য স্থান নির্ধারণ করেছে টেসলা। পাশাপাশি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়াও জোরদার করছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মাস্কের
১ দিন আগে