আজকের পত্রিকা ডেস্ক
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো ইসরায়েল–ফিলিস্তিনের মধ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে সময় হোয়াইট হাউস সতর্ক করে বলেছিল, তিনি তো ‘সুপারম্যান ও না’ এবং ‘তাঁর কোনো কেফিয়াও নেই।’
সেই দায়িত্বে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাতে না পারলেও ব্লেয়ার আবারও বিশ্বের সবচেয়ে জটিল দ্বন্দ্ব-সংঘাতের একটিকে সমাধানের চ্যালেঞ্জ নিতে চলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে গাজা পরিচালনার জন্য যে কমিটি গঠিত হচ্ছে, তাতে তিনি যোগ দিতে রাজি হয়েছেন।
ব্লেয়ারের অন্তর্ভুক্তি ফিলিস্তিনি রাজনীতিক ও বিশ্লেষকদের পাশাপাশি ব্রিটেনে লেবার পার্টির বার্ষিক সম্মেলনে অনেক অংশগ্রহণকারীর মধ্যেও বিস্ময় তৈরি করেছে। ২০০৩ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশের নেতৃত্বে ইরাক আক্রমণকে সমর্থন করার কারণে তাঁর সুনাম তখন থেকেই কলঙ্কিত হয়ে আছে।
সাবেক কয়েকজন কূটনীতিক ও তাঁর সহকর্মীরা এই নিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, ব্লেয়ারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও উপসাগরীয় অনেক দেশের আস্থা আছে। আর সব পক্ষকে এক করার মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন। তাঁর সমর্থকেরা আরও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ব্লেয়ার উত্তর আয়ারল্যান্ডে ৩০ বছরের সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
তবে ব্লেয়ারকে নিয়ে হামাসের আপত্তি আছে। গোষ্ঠীটির কর্মকর্তা তাহের আল-নুনু বলেছেন, ব্লেয়ারের কোনো ভূমিকা তারা মেনে নেবে না। তিনি বলেন, ‘আমাদের জনগণের ওপর বিদেশি অভিভাবক চাপিয়ে দেওয়া আমরা মেনে নেব না। আমাদের জনগণ নিজেরাই নিজেদের বিষয় সামলাতে সক্ষম।’
ট্রাম্পের ২০ দফা গাজা শান্তি প্রস্তাবে ব্লেয়ারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শেষ হবে এবং আন্তর্জাতিক অভিভাবকদের একটি ‘শান্তি বোর্ড’ ভূমিকা পালন করবে। এর নেতৃত্ব দেবেন ট্রাম্প এবং ব্লেয়ার থাকবেন একটি অনির্দিষ্ট ভূমিকায়।
ট্রাম্প বলেছেন, ব্লেয়ার নিজে পরিচালনা পরিষদে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেছেন এবং তাঁকে ‘খুব ভালো মানুষ’ বলে বর্ণনা করেছেন। ব্লেয়ারের কার্যালয় এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য না করে এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রস্তাবটি ‘সাহসী ও বুদ্ধিদীপ্ত পরিকল্পনা’, যা যুদ্ধ শেষ করার সর্বোত্তম সুযোগ এনে দেবে।
৭২ বছর বয়সী ব্লেয়ার ব্রিটেনে ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৭ সালে পদত্যাগ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে মধ্যপ্রাচ্যের দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সে সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিত্ব করতেন। তাঁর দায়িত্ব ছিল ফিলিস্তিনি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়া।
কিন্তু দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের যে লক্ষ্য তিনি নিয়েছিলেন, তাতে কোনো অগ্রগতি হয়নি। ২০১৪ সালে শান্তি আলোচনা ভেঙে পড়ে। অনেক ফিলিস্তিনি এখনো তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখেন, কারণ তারা মনে করেন তাঁর মধ্যস্থতা সব সময় ইসরায়েলের পক্ষপাতী ছিল।
২০১৫ সালে দূতের পদ ছাড়ার পর তিনি ‘টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট’ চালু করেন। এ প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সরকারকে পরামর্শ দেয়। এর পেছনে অর্থ জোগান দিয়েছেন ওরাকল প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন। ২০০৮ সাল থেকে ব্লেয়ার জেপিমরগানেরও উপদেষ্টা, যেখানে তিনি আন্তর্জাতিক কাউন্সিলে বসেন এবং ভূরাজনীতি বিষয়ে পরামর্শ দেন।
ব্লেয়ারের অতীত রেকর্ড ফিলিস্তিনিদের ক্ষুব্ধ করতে পারে। তারা মনে করে, ব্লেয়ার যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পক্ষপাতী। অনেক আরবও ইরাক যুদ্ধকে যুদ্ধাপরাধ মনে করেন। ফিলিস্তিনি বিশ্লেষক হানি আল-মাসরি বলেন, ‘টনি ব্লেয়ার একেবারেই হাস্যকর ব্যাপার। ফিলিস্তিনিদের কাছে তার ভাবমূর্তি একেবারে কালো।’
তবে মধ্যপ্রাচ্যে ব্লেয়ারের অধীনে কাজ করা সাবেক এক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের মতে, ব্লেয়ারকে ইসরায়েলের পক্ষপাতী বলা ঠিক নয় বরং তিনি বুঝতেন যে, যেকোনো সমাধান ইসরায়েলের নির্বাচিত নেতৃত্বের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। ওই রাষ্ট্রদূতের ভাষায়, ‘তিনি বোঝেন, সব ত্রুটি সত্ত্বেও ইসরায়েল একটি গণতান্ত্রিক দেশ। আপনারা ইসরায়েলের সঙ্গেই কাজ করবেন—ভালো বা মন্দ যাই হোক না কেন। আর সাম্প্রতিক সময়ে সেটি বেশির ভাগ সময় মন্দই হয়েছে। তবে তিনি সেটি করতেও রাজি।’
ব্লেয়ারের সাবেক মুখপাত্র টম কেলি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে সবার কাছে সমান জনপ্রিয় কাউকে খুঁজতে গেলে অনেক সময় লাগবে। তবে ব্লেয়ারের বিশেষত্ব হলো তিনি সব দিক বোঝেন এবং একটি ভালো ভবিষ্যতের ছবি তুলে ধরতে পারেন।
লেবার মিডল ইস্ট কাউন্সিলের পরিচালক মিরান হাসান বলেছেন, জনপ্রিয় না হলেও ব্লেয়ার এখনো ভালো পছন্দ হতে পারেন। তাঁর ভাষায়, ‘খুব উচ্চপর্যায়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার দক্ষতা আছে ব্লেয়ারের। যেখানে সিদ্ধান্ত হয়, সেখানে তিনি সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারেন। আমার মনে হয়, এটা কাজে লাগবে।’
তবে লেবার পার্টির অনেক এমপি ও সমর্থক ইরাক যুদ্ধের বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারছেন না। লেবার এমপি কিম জনসন রয়টার্সকে বলেন, ব্লেয়ারের সম্পৃক্ততা তাঁর কাছে ‘জঘন্য ও নিন্দনীয়’ বলে মনে হচ্ছে। তাঁর ভাষায়, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে তিনি একেবারেই ভুল মানুষ।’
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো ইসরায়েল–ফিলিস্তিনের মধ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে সময় হোয়াইট হাউস সতর্ক করে বলেছিল, তিনি তো ‘সুপারম্যান ও না’ এবং ‘তাঁর কোনো কেফিয়াও নেই।’
সেই দায়িত্বে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাতে না পারলেও ব্লেয়ার আবারও বিশ্বের সবচেয়ে জটিল দ্বন্দ্ব-সংঘাতের একটিকে সমাধানের চ্যালেঞ্জ নিতে চলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে গাজা পরিচালনার জন্য যে কমিটি গঠিত হচ্ছে, তাতে তিনি যোগ দিতে রাজি হয়েছেন।
ব্লেয়ারের অন্তর্ভুক্তি ফিলিস্তিনি রাজনীতিক ও বিশ্লেষকদের পাশাপাশি ব্রিটেনে লেবার পার্টির বার্ষিক সম্মেলনে অনেক অংশগ্রহণকারীর মধ্যেও বিস্ময় তৈরি করেছে। ২০০৩ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশের নেতৃত্বে ইরাক আক্রমণকে সমর্থন করার কারণে তাঁর সুনাম তখন থেকেই কলঙ্কিত হয়ে আছে।
সাবেক কয়েকজন কূটনীতিক ও তাঁর সহকর্মীরা এই নিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, ব্লেয়ারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও উপসাগরীয় অনেক দেশের আস্থা আছে। আর সব পক্ষকে এক করার মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন। তাঁর সমর্থকেরা আরও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ব্লেয়ার উত্তর আয়ারল্যান্ডে ৩০ বছরের সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
তবে ব্লেয়ারকে নিয়ে হামাসের আপত্তি আছে। গোষ্ঠীটির কর্মকর্তা তাহের আল-নুনু বলেছেন, ব্লেয়ারের কোনো ভূমিকা তারা মেনে নেবে না। তিনি বলেন, ‘আমাদের জনগণের ওপর বিদেশি অভিভাবক চাপিয়ে দেওয়া আমরা মেনে নেব না। আমাদের জনগণ নিজেরাই নিজেদের বিষয় সামলাতে সক্ষম।’
ট্রাম্পের ২০ দফা গাজা শান্তি প্রস্তাবে ব্লেয়ারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শেষ হবে এবং আন্তর্জাতিক অভিভাবকদের একটি ‘শান্তি বোর্ড’ ভূমিকা পালন করবে। এর নেতৃত্ব দেবেন ট্রাম্প এবং ব্লেয়ার থাকবেন একটি অনির্দিষ্ট ভূমিকায়।
ট্রাম্প বলেছেন, ব্লেয়ার নিজে পরিচালনা পরিষদে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেছেন এবং তাঁকে ‘খুব ভালো মানুষ’ বলে বর্ণনা করেছেন। ব্লেয়ারের কার্যালয় এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য না করে এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রস্তাবটি ‘সাহসী ও বুদ্ধিদীপ্ত পরিকল্পনা’, যা যুদ্ধ শেষ করার সর্বোত্তম সুযোগ এনে দেবে।
৭২ বছর বয়সী ব্লেয়ার ব্রিটেনে ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৭ সালে পদত্যাগ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে মধ্যপ্রাচ্যের দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সে সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিত্ব করতেন। তাঁর দায়িত্ব ছিল ফিলিস্তিনি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়া।
কিন্তু দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের যে লক্ষ্য তিনি নিয়েছিলেন, তাতে কোনো অগ্রগতি হয়নি। ২০১৪ সালে শান্তি আলোচনা ভেঙে পড়ে। অনেক ফিলিস্তিনি এখনো তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখেন, কারণ তারা মনে করেন তাঁর মধ্যস্থতা সব সময় ইসরায়েলের পক্ষপাতী ছিল।
২০১৫ সালে দূতের পদ ছাড়ার পর তিনি ‘টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট’ চালু করেন। এ প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সরকারকে পরামর্শ দেয়। এর পেছনে অর্থ জোগান দিয়েছেন ওরাকল প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন। ২০০৮ সাল থেকে ব্লেয়ার জেপিমরগানেরও উপদেষ্টা, যেখানে তিনি আন্তর্জাতিক কাউন্সিলে বসেন এবং ভূরাজনীতি বিষয়ে পরামর্শ দেন।
ব্লেয়ারের অতীত রেকর্ড ফিলিস্তিনিদের ক্ষুব্ধ করতে পারে। তারা মনে করে, ব্লেয়ার যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পক্ষপাতী। অনেক আরবও ইরাক যুদ্ধকে যুদ্ধাপরাধ মনে করেন। ফিলিস্তিনি বিশ্লেষক হানি আল-মাসরি বলেন, ‘টনি ব্লেয়ার একেবারেই হাস্যকর ব্যাপার। ফিলিস্তিনিদের কাছে তার ভাবমূর্তি একেবারে কালো।’
তবে মধ্যপ্রাচ্যে ব্লেয়ারের অধীনে কাজ করা সাবেক এক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের মতে, ব্লেয়ারকে ইসরায়েলের পক্ষপাতী বলা ঠিক নয় বরং তিনি বুঝতেন যে, যেকোনো সমাধান ইসরায়েলের নির্বাচিত নেতৃত্বের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। ওই রাষ্ট্রদূতের ভাষায়, ‘তিনি বোঝেন, সব ত্রুটি সত্ত্বেও ইসরায়েল একটি গণতান্ত্রিক দেশ। আপনারা ইসরায়েলের সঙ্গেই কাজ করবেন—ভালো বা মন্দ যাই হোক না কেন। আর সাম্প্রতিক সময়ে সেটি বেশির ভাগ সময় মন্দই হয়েছে। তবে তিনি সেটি করতেও রাজি।’
ব্লেয়ারের সাবেক মুখপাত্র টম কেলি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে সবার কাছে সমান জনপ্রিয় কাউকে খুঁজতে গেলে অনেক সময় লাগবে। তবে ব্লেয়ারের বিশেষত্ব হলো তিনি সব দিক বোঝেন এবং একটি ভালো ভবিষ্যতের ছবি তুলে ধরতে পারেন।
লেবার মিডল ইস্ট কাউন্সিলের পরিচালক মিরান হাসান বলেছেন, জনপ্রিয় না হলেও ব্লেয়ার এখনো ভালো পছন্দ হতে পারেন। তাঁর ভাষায়, ‘খুব উচ্চপর্যায়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার দক্ষতা আছে ব্লেয়ারের। যেখানে সিদ্ধান্ত হয়, সেখানে তিনি সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারেন। আমার মনে হয়, এটা কাজে লাগবে।’
তবে লেবার পার্টির অনেক এমপি ও সমর্থক ইরাক যুদ্ধের বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারছেন না। লেবার এমপি কিম জনসন রয়টার্সকে বলেন, ব্লেয়ারের সম্পৃক্ততা তাঁর কাছে ‘জঘন্য ও নিন্দনীয়’ বলে মনে হচ্ছে। তাঁর ভাষায়, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে তিনি একেবারেই ভুল মানুষ।’
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি যেন উল্টোপাল্টা এক দাবার ছক, যেখানে পুরোনো মিত্ররা দূরে সরে যাচ্ছে, আর আগে যাদের ‘শত্রু’ ভাবা হতো, তারাই এখন হোয়াইট হাউসে জায়গা পাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তান একেবারে আদর্শ উদাহরণ তৈরি করেছে।
৬ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ এশিয়া এখন সার্বভৌম ঋণ তথা সরকারের ঋণ ও রাজস্ব ঘাটতির ভারসাম্য রক্ষায় হিমশিম খাচ্ছে। স্থায়ী বাজেট ঘাটতির কারণে এ অঞ্চলের ঋণ বিশ্বের অন্যান্য উদীয়মান অর্থনীতির তুলনায় দ্রুত বেড়ে গেছে। ২০২৩ সালে সরকারগুলোর গড় ঋণের পরিমাণ পৌঁছেছে মোট জিডিপির ৭৭ শতাংশে।
১৩ ঘণ্টা আগেগাজায় বিধ্বংসী যুদ্ধের দুই বছর পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। কিন্তু শান্তির এই মুহূর্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জন্য আশীর্বাদ নয়, বরং নতুন ছয়টি বড় রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জের সূচনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
২ দিন আগেএ বছরের শুরুতে মাদাগাস্কারের আনতানানারিভো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পানির কল শুকিয়ে যায়। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ২৫ বছর বয়সী মেডিকেল শিক্ষার্থী আনজান্দ্রাইনা আন্দ্রিয়ানাইভো বলেন, ‘এক ফোঁটাও পানি ছিল না, গোসল করার উপায় নেই, টয়লেট ফ্লাশ করা যাচ্ছিল না, এমনকি হাত ধোয়ার পানিও নেই।
২ দিন আগে