অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়ার কর্ম-শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় পড়তে যান অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী। বিভিন্ন খাতে বিদেশি শ্রমিকও যাচ্ছেন। কিন্তু তাদের বেশির ভাগই ইরানি প্রযুক্তির ড্রোন তৈরির কারখানায় কাজ করতে আগ্রহী নন। এর কারণ, স্বেচ্ছায় সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি কে নিতে চায়! এর পরও শত শত আফ্রিকান তরুণী, যাদের কেউ কেউ আবার ১৮ বছরের কম বয়সী, হয়তো অজান্তেই নিজেদের এমন পরিস্থিতিতে আবিষ্কার করছেন!
গত ২৩ এপ্রিল ইউক্রেনীয় ড্রোন রাশিয়ার তাতারস্তান অঞ্চলের আলাবুগা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে হামলা চালায়, যেখানে ইরানি প্রযুক্তির আত্মঘাতী ড্রোন তৈরি করা হয়। এই হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে গত বছর একই ধরনের হামলায় বেশ কয়েকজন আফ্রিকান নারী আহত হয়েছিলেন। সে সময় তাঁদের ডরমিটরি আক্রান্ত হয়েছিল।
বারবার এই হামলা আলাবুগার সামরিক গুরুত্বকেই তুলে ধরে। এই অঞ্চল ২০১৪ সাল থেকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। রুশ প্রোডাকশন লাইনে আফ্রিকান কর্মীদের অস্বাভাবিক উপস্থিতির প্রমাণ রয়েছে। এটি আফ্রিকার সরকারগুলোর জন্যও উদ্বেগের।
কেন তাঁদের নাগরিকেরা ভ্লাদিমির পুতিনের সমরাস্ত্র সাম্রাজ্যের কেন্দ্রে কাজ করছে? তাদের সেখানে কাজটা কী?
রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করার পর আলাবুগায় ড্রোন উৎপাদন শুরু হয়। প্রথমে, এটি স্থানীয় শিক্ষার্থীদের কর্মী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল। অনেককে জোরপূর্বক নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু যুদ্ধের অংশ হতে রুশদের অনাগ্রহের কারণে ঘাটতি মেটাতে কারখানার মালিকেরা সস্তা বিদেশি শ্রমিকের সন্ধানে নামেন। তাঁরা ‘আলাবুগা স্টার্ট’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেন। এতে ক্যাটারিং এবং আতিথেয়তার মতো ক্ষেত্রে উৎসাহব্যাঞ্জক পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ রেখে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। যদিও এটি ‘সারা বিশ্বের প্রতিভাবান ব্যক্তিদের জন্য’ উন্মুক্ত বলে মনে করা হয়েছিল, তবে বাস্তবে এই প্রকল্পের লক্ষ্যবস্তু আফ্রিকার মানুষ। সম্প্রতি, দক্ষিণ আমেরিকাও এ ধরনের বিজ্ঞাপনের বাজার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, নিয়োগকারীদের লক্ষ্য একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর জনগণ—১৮ থেকে ২২ বছর বয়সী নারী।
কেন এমনটা করা হয়েছে তার কোনো স্পষ্ট কারণ প্রকাশ্যে আসেনি। তবে অলাভজনক সংস্থা গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অ্যাগেইনস্ট ট্রান্সন্যাশনাল অর্গানাইজড ক্রাইমের প্রতিবেদন অনুসারে, বিদেশি কর্মীদের বেশির ভাগ ড্রোন তৈরিতে সম্পৃক্ত। এর একটি বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা হলো—তরুণীদের সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আলাবুগার প্রধান তিমুর শাগিভালেভ বলেছেন, আফ্রিকান পুরুষেরা ‘খুব আক্রমণাত্মক এবং বিপজ্জনক’, তাই তারা নমনীয় কর্মী হতে পারে না।
অনেক কর্মীই কাজের প্রকৃত ধরন সম্পর্কে অজ্ঞ বলেই মনে হয়। সম্ভবত এর কারণ, কর্মীদের কাজ সম্পর্কে বাইরের কারও সঙ্গে কথা বলার অনুমতি নেই। অনলাইনে কারখানা সম্পর্কে জানার পর আবেদন প্রত্যাহার করা ইথিওপিয়ার এক নারী বলেন, ‘আমি মনে করি না অনেকে এই সংস্থার বাজে শ্রম পরিবেশ সম্পর্কে জানে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে প্রচারিত বিজ্ঞাপনগুলো এতটাই প্রতারণামূলক যে, জাতিসংঘ বলছে, এই প্রকল্প মানব পাচারের জন্য পরিচালিত হয়ে থাকতে পারে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আফ্রিকার দেশগুলোকে তাদের দেশে এসব বিজ্ঞাপনের বিপরীতে নিয়োগ বন্ধ করার জন্য চাপ দিয়েছেন। কিন্তু খুব একটা সফল হননি।
কিছু আফ্রিকান দেশ আলাবুগার সঙ্গেই আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। আফ্রিকার কূটনীতিকেরা কারখানা পরিদর্শন করেছেন। আলাবুগা স্টার্টের বিজ্ঞাপন আফ্রিকান সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও প্রচার করেছে। কেনিয়ার সংবাদমাধ্যমে কয়েকটি সমালোচনামূলক নিবন্ধ প্রকাশের পর দেশটিতে অবস্থিত রুশ দূতাবাস জোর দিয়ে বলে যে, কেনিয়া সরকার এই ‘কর্মসূচিতে তরুণ কেনীয়দের অংশগ্রহণের একটি সুস্পষ্ট সুবিধা দেখেছে এবং এর তালিকাভুক্তি বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।’
কেনিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয় বলেছে, মাত্র ১২ জন কেনীয় এই প্রকল্পে অংশ নিচ্ছিল এবং কেউই ড্রোন তৈরিতে জড়িত ছিল না। এখন পর্যন্ত শুধু বুরকিনা ফাসো গুরুত্বসহকারে নিয়োগ বন্ধ করার চেষ্টা করেছে।
এটা সম্ভব যে, আরও অনেকেই এ ধরনের বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হবে। বেশির ভাগ আফ্রিকান বেকার যুবকের একটা চাকরি দরকার, সেটা যতই অপ্রীতিকর হোক না কেন। আবার অনেকে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন করে। রাশিয়া অস্ত্র উৎপাদন সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে। এক ইউক্রেনীয় কূটনীতিকের মতে, সম্ভাব্য এবং মর্মান্তিক পরিণতি হলো, ‘কোনো এক পর্যায়ে একজন আফ্রিকান নারী ইউক্রেনীয় ক্ষেপণাস্ত্রের বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবেন।’
রাশিয়ার কর্ম-শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় পড়তে যান অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী। বিভিন্ন খাতে বিদেশি শ্রমিকও যাচ্ছেন। কিন্তু তাদের বেশির ভাগই ইরানি প্রযুক্তির ড্রোন তৈরির কারখানায় কাজ করতে আগ্রহী নন। এর কারণ, স্বেচ্ছায় সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি কে নিতে চায়! এর পরও শত শত আফ্রিকান তরুণী, যাদের কেউ কেউ আবার ১৮ বছরের কম বয়সী, হয়তো অজান্তেই নিজেদের এমন পরিস্থিতিতে আবিষ্কার করছেন!
গত ২৩ এপ্রিল ইউক্রেনীয় ড্রোন রাশিয়ার তাতারস্তান অঞ্চলের আলাবুগা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে হামলা চালায়, যেখানে ইরানি প্রযুক্তির আত্মঘাতী ড্রোন তৈরি করা হয়। এই হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে গত বছর একই ধরনের হামলায় বেশ কয়েকজন আফ্রিকান নারী আহত হয়েছিলেন। সে সময় তাঁদের ডরমিটরি আক্রান্ত হয়েছিল।
বারবার এই হামলা আলাবুগার সামরিক গুরুত্বকেই তুলে ধরে। এই অঞ্চল ২০১৪ সাল থেকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। রুশ প্রোডাকশন লাইনে আফ্রিকান কর্মীদের অস্বাভাবিক উপস্থিতির প্রমাণ রয়েছে। এটি আফ্রিকার সরকারগুলোর জন্যও উদ্বেগের।
কেন তাঁদের নাগরিকেরা ভ্লাদিমির পুতিনের সমরাস্ত্র সাম্রাজ্যের কেন্দ্রে কাজ করছে? তাদের সেখানে কাজটা কী?
রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করার পর আলাবুগায় ড্রোন উৎপাদন শুরু হয়। প্রথমে, এটি স্থানীয় শিক্ষার্থীদের কর্মী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল। অনেককে জোরপূর্বক নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু যুদ্ধের অংশ হতে রুশদের অনাগ্রহের কারণে ঘাটতি মেটাতে কারখানার মালিকেরা সস্তা বিদেশি শ্রমিকের সন্ধানে নামেন। তাঁরা ‘আলাবুগা স্টার্ট’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেন। এতে ক্যাটারিং এবং আতিথেয়তার মতো ক্ষেত্রে উৎসাহব্যাঞ্জক পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ রেখে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। যদিও এটি ‘সারা বিশ্বের প্রতিভাবান ব্যক্তিদের জন্য’ উন্মুক্ত বলে মনে করা হয়েছিল, তবে বাস্তবে এই প্রকল্পের লক্ষ্যবস্তু আফ্রিকার মানুষ। সম্প্রতি, দক্ষিণ আমেরিকাও এ ধরনের বিজ্ঞাপনের বাজার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, নিয়োগকারীদের লক্ষ্য একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর জনগণ—১৮ থেকে ২২ বছর বয়সী নারী।
কেন এমনটা করা হয়েছে তার কোনো স্পষ্ট কারণ প্রকাশ্যে আসেনি। তবে অলাভজনক সংস্থা গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অ্যাগেইনস্ট ট্রান্সন্যাশনাল অর্গানাইজড ক্রাইমের প্রতিবেদন অনুসারে, বিদেশি কর্মীদের বেশির ভাগ ড্রোন তৈরিতে সম্পৃক্ত। এর একটি বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা হলো—তরুণীদের সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আলাবুগার প্রধান তিমুর শাগিভালেভ বলেছেন, আফ্রিকান পুরুষেরা ‘খুব আক্রমণাত্মক এবং বিপজ্জনক’, তাই তারা নমনীয় কর্মী হতে পারে না।
অনেক কর্মীই কাজের প্রকৃত ধরন সম্পর্কে অজ্ঞ বলেই মনে হয়। সম্ভবত এর কারণ, কর্মীদের কাজ সম্পর্কে বাইরের কারও সঙ্গে কথা বলার অনুমতি নেই। অনলাইনে কারখানা সম্পর্কে জানার পর আবেদন প্রত্যাহার করা ইথিওপিয়ার এক নারী বলেন, ‘আমি মনে করি না অনেকে এই সংস্থার বাজে শ্রম পরিবেশ সম্পর্কে জানে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে প্রচারিত বিজ্ঞাপনগুলো এতটাই প্রতারণামূলক যে, জাতিসংঘ বলছে, এই প্রকল্প মানব পাচারের জন্য পরিচালিত হয়ে থাকতে পারে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আফ্রিকার দেশগুলোকে তাদের দেশে এসব বিজ্ঞাপনের বিপরীতে নিয়োগ বন্ধ করার জন্য চাপ দিয়েছেন। কিন্তু খুব একটা সফল হননি।
কিছু আফ্রিকান দেশ আলাবুগার সঙ্গেই আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। আফ্রিকার কূটনীতিকেরা কারখানা পরিদর্শন করেছেন। আলাবুগা স্টার্টের বিজ্ঞাপন আফ্রিকান সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও প্রচার করেছে। কেনিয়ার সংবাদমাধ্যমে কয়েকটি সমালোচনামূলক নিবন্ধ প্রকাশের পর দেশটিতে অবস্থিত রুশ দূতাবাস জোর দিয়ে বলে যে, কেনিয়া সরকার এই ‘কর্মসূচিতে তরুণ কেনীয়দের অংশগ্রহণের একটি সুস্পষ্ট সুবিধা দেখেছে এবং এর তালিকাভুক্তি বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।’
কেনিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয় বলেছে, মাত্র ১২ জন কেনীয় এই প্রকল্পে অংশ নিচ্ছিল এবং কেউই ড্রোন তৈরিতে জড়িত ছিল না। এখন পর্যন্ত শুধু বুরকিনা ফাসো গুরুত্বসহকারে নিয়োগ বন্ধ করার চেষ্টা করেছে।
এটা সম্ভব যে, আরও অনেকেই এ ধরনের বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হবে। বেশির ভাগ আফ্রিকান বেকার যুবকের একটা চাকরি দরকার, সেটা যতই অপ্রীতিকর হোক না কেন। আবার অনেকে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন করে। রাশিয়া অস্ত্র উৎপাদন সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে। এক ইউক্রেনীয় কূটনীতিকের মতে, সম্ভাব্য এবং মর্মান্তিক পরিণতি হলো, ‘কোনো এক পর্যায়ে একজন আফ্রিকান নারী ইউক্রেনীয় ক্ষেপণাস্ত্রের বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবেন।’
ডিজিটাল যুগে আমরা কেবল প্রযুক্তি ব্যবহার করছি না—আমরা প্রযুক্তির কাছে নিজেদের মনোযোগ, অনুভূতি, এমনকি চিন্তার স্বাধীনতাও তুলে দিচ্ছি। অ্যালগরিদম এখন আমাদের সিদ্ধান্ত, সম্পর্ক ও চেতনার গভীর স্তরে হস্তক্ষেপ করছে। শোষণ আজ আর কেবল শ্রমের ওপর নির্ভরশীল নয়—এখন তা মন ও মনোযোগের বাণিজ্যে রূপ নিয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেপুতিন যখন যুদ্ধে জয় নিয়ে খুব আত্মবিশ্বাসী মনোভাব দেখাচ্ছেন, ঠিক তখনই রাশিয়ার ভেতরে ড্রোন হামলা চালিয়ে অন্তত ৪০টি বোমারু বিমান ধ্বংস করে দিয়েছে ইউক্রেন। এগুলোর মধ্যে কিছু পারমাণবিক অস্ত্রবাহী যুদ্ধবিমানও ছিল।
১ দিন আগেবিশ্বের ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা ও ‘রুশ আগ্রাসনের নতুন যুগে’ প্রতিরক্ষা খাতে বড় পরিসরে বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। গত সোমবার (২ জুন) প্রকাশিত যুক্তরাজ্যের কৌশলগত প্রতিরক্ষা পর্যালোচনায় (এসডিআর) উঠে এসেছে পারমাণবিক অস্ত্র, সাবমেরিন ও গোলাবারুদ তৈরির নতুন কারখানায় বিনিয়োগের পরিকল্পনা।
২ দিন আগেসত্য কী? অধিকাংশ মানুষের কাছে সত্য মানে হলো, যা বাস্তব তথ্যের সঙ্গে মিলে। অবশ্য আজকাল ‘বিকল্প সত্য’ নামে নতুন এক ধারণা অনেকে হাজির করছেন। সে যাই হোক, অভিজ্ঞতা বলে, সত্য শুধু বস্তুনিষ্ঠ হওয়াটাই যথেষ্ট নয়, সত্য প্রকাশের উপযুক্ত লগ্ন, সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য খুবই জরুরি।
২ দিন আগে