ঢাকা: করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতের দিকে সাহায্যে হাত বাড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। গত সপ্তাহে দিল্লি বিমানবন্দরে বিভিন্ন দেশ থেকে উড়োজাহাজভর্তি হয়ে আসে ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেশন এবং অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ। তবে এই চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধপত্র কোন রাজ্যের কোন হাসপাতাল কতো বরাদ্দ পেল সে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও শশী থারুর।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্র যে ভারতে সহায়তা পাঠাচ্ছে তা বিতরণের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে কিনা।
বিদেশি সহায়তা রোগীদের পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে না গত মঙ্গলবার এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারত সরকার। সরকার বলছে, সহায়তা বরাদ্দ করার জন্য তারা একটি ‘নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়ার’ ব্যবস্থা করেছেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ নিয়ে একটি বিবৃতিতে জানায়, এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ সহায়তা পণ্য ২৪টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ৩৮টি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সারাদেশে পাঠানো হয়েছে।
তবে বিভিন্ন রাজ্য এবং স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কীভাবে এই বিদেশি সহায়তা পাওয়া যাবে তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
রাজস্থান রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রঘু শর্মা বলেন, আমরা সরকারের কাছে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলাম অক্সিজেন, ওষুধ এবং ভ্যাকসিন কার্যক্রম নিয়ে জানার জন্য। কিন্তু আমাদের কিছু বলা হয়নি। বিদেশি সহায়তা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের অন্ধকারের মধ্যে রেখেছে।
এ নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গত মঙ্গলবার রাজস্থানের জোধপুর এবং জয়পুরের হাসপাতালে সহায়তা পাঠিয়েছেন তাঁরা।
সহায়তা পৌঁছতে বিলম্ব হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হলো ভারতের আমলাতন্ত্র, মানবিক ভুল এবং সময় নষ্ট করা প্রটোকল ব্যবস্থা। তবে যারা নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) রয়েছেন তাদের জন্য এই বিলম্ব বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অন্তত আইসিইউতে থাকা রোগীদের জন্য দ্রুত সহায়তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা যাতে করা যায় সে দাবি সবার।
ভারতে আজ শুক্রবারও চার লাখ ১৪ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। যা একদিনে করোনা রোগী শনাক্তের বিশ্বরেকর্ড। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৩ হাজার ৯১৫ জন।
সবচেয়ে বেশি অক্সিজেন সঙ্কটে রয়েছে দিল্লি। দিল্লিতে অক্সিজেন উৎপাদনের ব্যবস্থা না থাকায় কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজ্যের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
এ নিয়ে নয়াদিল্লির বাত্রা হাসপাতালের পরিচালক ড. এসসিএল গুপ্ত বলেন, সরকারের দায়িত্ব আমাদের অক্সিজেন সরবরাহ করা। রোগীরা আমাদের সামনেই মারা যাচ্ছে। আমি দুঃখিত, তাঁদের বাঁচাতে পারছি না।
ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বিদেশি সহায়তার সুষ্ঠু বিতরণের অভাবের অন্যতম কারণ হলো সহায়তাগুলো পাওয়ার আগে কোনো প্রটোকল তৈরি করেনি কেন্দ্র সরকার। সহায়তা পাওয়ার পর দ্রুত তাদেরকে বিতরণের জন্য নির্দেশিকা তৈরি এবং সমন্বয় করতে হয়েছে।
বিদেশি সহায়তাগুলো যখন পৌঁছয় সেগুলো গ্রহণ করে ইন্ডিয়ান রেড ক্রস সোসাইটি। এই সংস্থাটি ভারত সরকারের সঙ্গে কাজ করে। বন্দরে আসার পর সহায়তা সামগ্রীগুলোর অনুমোদনের জন্য কাস্টম কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করছে রেড ক্রস। এ নিয়ে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, কাস্টম কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে।
কাস্টম থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর সামগ্রীগুলো মন্ত্রণালয় এবং সরকার মালিকানাধীন চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এইচএলএল লাইফকেয়ারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরাই সহায়তা পৌঁছনোর পরিবহন ব্যবস্থাটি নিয়ন্ত্রণ করে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার বিবৃতিতে বলেন, সহায়তা পৌঁছানোর কর্মযজ্ঞ বিশাল। কারণ এখন সহায়তাগুলো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংখ্যায় পাঠানো হচ্ছে। এতে বেশ কয়েকটি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই, সহায়তা সরবরাহের সংখ্যা বিদেশি দাতাদের তালিকার সাথে মেলে না। এ জন্য কর্তৃপক্ষকে মূল্যবান সময় নষ্ট করতে হয়। পরে কাগজপত্র হালনাগাদ করে সেগুলোর বিতরণ শুরু করতে হয়।
১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতের বেশিরভাগ বিদেশি সহায়তা দিল্লিতে আসে। পরে সেখান থেকে বিভিন্ন রাজ্যে পাঠানো হয়। এ প্রক্রিয়ায় ভারতের সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনীকে নিয়োজিত করা হয়েছে।
অধিক সংক্রমণ এলাকা বা মেডিকেল হাবগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহায়তা পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আবার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পাঠানো হয়। তবে এ পর্যন্ত কোথায় কতোখানি সহায়তা পৌঁছে সেটির হিসাব দিতে পারেনি মন্ত্রণালয়। তবে গত সপ্তাহ থেকে বিভিন্ন জায়গায় সহায়তা পৌঁছানোর ছবি প্রকাশ হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে থেকে আসা প্রথম ব্যাচের ৪৫০ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার চেন্নাইতে ভারতের বিমানবাহিনীর মাধ্যমে পৌঁছয়। এছাড়া বুধবার হংকং থেকে আসা ৩৫০টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর মুম্বাইতে পৌঁছেছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী এই সরবরাহ খুবই সামান্য। চেন্নাইতে প্রায় ৩২ হাজারের বেশি সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছে। আর মুম্বাইয়ে এই সংখ্যা ৫৬ হাজারের বেশি। দুই শহরেই হাসপাতালে প্রতিদিন বহু রোগীর মৃত্যু হচ্ছে।
বিদেশি সহায়তার বেশিরভাগই অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি সরকার দেশে অক্সিজেন সংকটের কথা মানতে নারাজ। পর্যাপ্ত অক্সিজেনর সরবরাহ আছে বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন ভিন্ন কথা। ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরাটের এক পরিবার মার্কিন সম্প্রচায় মাধ্যম সিএনএনকে জানায়, তাদের ৫৫ বছর বয়সী মায়ের জন্য ভেন্টিলেটর পেতে ছয়দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হয়েছে নিজেদের।
এদিকে ভারতের উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোর্ট সম্প্রতি বলেছেন, হাসপাতালগুলোতে শুধু অক্সিজেনের অভাবে করোনা রোগীর মৃত্যু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা এবং একটি অপরাধমূলক কাজ। এটি ‘গণহত্যার চেয়ে কম কিছু নয়’।
ঢাকা: করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতের দিকে সাহায্যে হাত বাড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। গত সপ্তাহে দিল্লি বিমানবন্দরে বিভিন্ন দেশ থেকে উড়োজাহাজভর্তি হয়ে আসে ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেশন এবং অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ। তবে এই চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধপত্র কোন রাজ্যের কোন হাসপাতাল কতো বরাদ্দ পেল সে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও শশী থারুর।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্র যে ভারতে সহায়তা পাঠাচ্ছে তা বিতরণের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে কিনা।
বিদেশি সহায়তা রোগীদের পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে না গত মঙ্গলবার এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারত সরকার। সরকার বলছে, সহায়তা বরাদ্দ করার জন্য তারা একটি ‘নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়ার’ ব্যবস্থা করেছেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ নিয়ে একটি বিবৃতিতে জানায়, এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ সহায়তা পণ্য ২৪টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ৩৮টি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সারাদেশে পাঠানো হয়েছে।
তবে বিভিন্ন রাজ্য এবং স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কীভাবে এই বিদেশি সহায়তা পাওয়া যাবে তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
রাজস্থান রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রঘু শর্মা বলেন, আমরা সরকারের কাছে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলাম অক্সিজেন, ওষুধ এবং ভ্যাকসিন কার্যক্রম নিয়ে জানার জন্য। কিন্তু আমাদের কিছু বলা হয়নি। বিদেশি সহায়তা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের অন্ধকারের মধ্যে রেখেছে।
এ নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গত মঙ্গলবার রাজস্থানের জোধপুর এবং জয়পুরের হাসপাতালে সহায়তা পাঠিয়েছেন তাঁরা।
সহায়তা পৌঁছতে বিলম্ব হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হলো ভারতের আমলাতন্ত্র, মানবিক ভুল এবং সময় নষ্ট করা প্রটোকল ব্যবস্থা। তবে যারা নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) রয়েছেন তাদের জন্য এই বিলম্ব বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অন্তত আইসিইউতে থাকা রোগীদের জন্য দ্রুত সহায়তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা যাতে করা যায় সে দাবি সবার।
ভারতে আজ শুক্রবারও চার লাখ ১৪ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। যা একদিনে করোনা রোগী শনাক্তের বিশ্বরেকর্ড। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৩ হাজার ৯১৫ জন।
সবচেয়ে বেশি অক্সিজেন সঙ্কটে রয়েছে দিল্লি। দিল্লিতে অক্সিজেন উৎপাদনের ব্যবস্থা না থাকায় কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজ্যের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
এ নিয়ে নয়াদিল্লির বাত্রা হাসপাতালের পরিচালক ড. এসসিএল গুপ্ত বলেন, সরকারের দায়িত্ব আমাদের অক্সিজেন সরবরাহ করা। রোগীরা আমাদের সামনেই মারা যাচ্ছে। আমি দুঃখিত, তাঁদের বাঁচাতে পারছি না।
ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বিদেশি সহায়তার সুষ্ঠু বিতরণের অভাবের অন্যতম কারণ হলো সহায়তাগুলো পাওয়ার আগে কোনো প্রটোকল তৈরি করেনি কেন্দ্র সরকার। সহায়তা পাওয়ার পর দ্রুত তাদেরকে বিতরণের জন্য নির্দেশিকা তৈরি এবং সমন্বয় করতে হয়েছে।
বিদেশি সহায়তাগুলো যখন পৌঁছয় সেগুলো গ্রহণ করে ইন্ডিয়ান রেড ক্রস সোসাইটি। এই সংস্থাটি ভারত সরকারের সঙ্গে কাজ করে। বন্দরে আসার পর সহায়তা সামগ্রীগুলোর অনুমোদনের জন্য কাস্টম কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করছে রেড ক্রস। এ নিয়ে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, কাস্টম কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে।
কাস্টম থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর সামগ্রীগুলো মন্ত্রণালয় এবং সরকার মালিকানাধীন চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এইচএলএল লাইফকেয়ারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরাই সহায়তা পৌঁছনোর পরিবহন ব্যবস্থাটি নিয়ন্ত্রণ করে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার বিবৃতিতে বলেন, সহায়তা পৌঁছানোর কর্মযজ্ঞ বিশাল। কারণ এখন সহায়তাগুলো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংখ্যায় পাঠানো হচ্ছে। এতে বেশ কয়েকটি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই, সহায়তা সরবরাহের সংখ্যা বিদেশি দাতাদের তালিকার সাথে মেলে না। এ জন্য কর্তৃপক্ষকে মূল্যবান সময় নষ্ট করতে হয়। পরে কাগজপত্র হালনাগাদ করে সেগুলোর বিতরণ শুরু করতে হয়।
১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতের বেশিরভাগ বিদেশি সহায়তা দিল্লিতে আসে। পরে সেখান থেকে বিভিন্ন রাজ্যে পাঠানো হয়। এ প্রক্রিয়ায় ভারতের সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনীকে নিয়োজিত করা হয়েছে।
অধিক সংক্রমণ এলাকা বা মেডিকেল হাবগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহায়তা পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আবার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পাঠানো হয়। তবে এ পর্যন্ত কোথায় কতোখানি সহায়তা পৌঁছে সেটির হিসাব দিতে পারেনি মন্ত্রণালয়। তবে গত সপ্তাহ থেকে বিভিন্ন জায়গায় সহায়তা পৌঁছানোর ছবি প্রকাশ হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে থেকে আসা প্রথম ব্যাচের ৪৫০ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার চেন্নাইতে ভারতের বিমানবাহিনীর মাধ্যমে পৌঁছয়। এছাড়া বুধবার হংকং থেকে আসা ৩৫০টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর মুম্বাইতে পৌঁছেছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী এই সরবরাহ খুবই সামান্য। চেন্নাইতে প্রায় ৩২ হাজারের বেশি সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছে। আর মুম্বাইয়ে এই সংখ্যা ৫৬ হাজারের বেশি। দুই শহরেই হাসপাতালে প্রতিদিন বহু রোগীর মৃত্যু হচ্ছে।
বিদেশি সহায়তার বেশিরভাগই অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি সরকার দেশে অক্সিজেন সংকটের কথা মানতে নারাজ। পর্যাপ্ত অক্সিজেনর সরবরাহ আছে বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন ভিন্ন কথা। ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরাটের এক পরিবার মার্কিন সম্প্রচায় মাধ্যম সিএনএনকে জানায়, তাদের ৫৫ বছর বয়সী মায়ের জন্য ভেন্টিলেটর পেতে ছয়দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হয়েছে নিজেদের।
এদিকে ভারতের উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোর্ট সম্প্রতি বলেছেন, হাসপাতালগুলোতে শুধু অক্সিজেনের অভাবে করোনা রোগীর মৃত্যু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা এবং একটি অপরাধমূলক কাজ। এটি ‘গণহত্যার চেয়ে কম কিছু নয়’।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাকে ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেছিলেন, সেই ডোনাল্ড ট্রাম্পই তাঁর দেশের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক এবং ‘পেনাল্টি’ আরোপ করেছেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই শুল্কের খামখেয়ালিপনার মুখে ভারত ভয় পাবে না, তবে কৌশল বদলাতে পারে—বলে মনে করেন শশী থারুর। কংগ্রেসের এই এমপি...
১ দিন আগেরাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের এই সম্পর্কের টানাপোড়েন সরাসরি আগের স্নায়ুযুদ্ধের মতো নয়। স্নায়ুযুদ্ধের সময় আদর্শিক দ্বন্দ্ব ছিল—একদিকে মার্কিন পুঁজিবাদ, অন্যদিকে সোভিয়েত সমাজতন্ত্র। কিন্তু বর্তমান দ্বন্দ্বের পেছনে মূলত কৌশলগত আধিপত্য, অর্থনৈতিক স্বার্থ এবং প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা কাজ করছে।
১ দিন আগেভারতের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের স্বাক্ষরিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। দীর্ঘ সময় আলোচনার পর এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও এর বাণিজ্যিক গুরুত্ব তুলনামূলকভাবে কম। কারণ, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দুই দেশের মোট রপ্তানির ২ দশমিক ৫ শতাংশের কম। তা সত্ত্বেও দুই সরকার একে ‘ঐতিহাসিক’ বলে প্রচার করছ
২ দিন আগেচলতি বছরের প্রথমার্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির গতি কিছুটা কমে এলেও তা তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। কিন্তু গত শুক্রবার প্রকাশিত জুলাই মাসের পরিসংখ্যানে চাকরির হার ব্যাপক কম দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ট্রাম্প। ওই পরিসংখ্যানকে ‘জাল’ দাবি করে এর জন্য দায়িত্বশীল সরকারি সংস্থার প্রধানকে
২ দিন আগে