গোলাম ওয়াদুদ, ঢাকা
বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে একজন ডাক্তার ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন। তিনি হলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এটা শুধু একটি নাম নয়, একটি আবেগ। তিনি নিজেই এক ইতিহাস। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে তাঁর অনন্য অবদান। যুদ্ধ-পরবর্তী দেশে স্বাস্থ্য খাতে পরিবর্তনে ব্যাপকভাবে কাজ করেন তিনি। জাফরুল্লাহ চৌধুরী শুধু স্বাস্থ্য খাতের এক যোদ্ধা নন, তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধেরও একজন যোদ্ধা।
তখন তিনি বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনসে এফআরসিএস পড়ছিলেন। সেই সময় শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। চূড়ান্ত পর্ব শেষ না করে লন্ডন থেকে ভারতে ফিরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি গেরিলা ট্রেনিং করেন। সেখানেই ডা. এম এ মবিনের সঙ্গে মিলে ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট বাংলাদেশ ‘ফিল্ড হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন।
এই যোদ্ধা গতকাল রাত সোয়া ১১টায় নিজের গড়া প্রতিষ্ঠান ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। দলমত-নির্বিশেষে সবাই শোক জানাতে থাকে। তিনি যে মানুষের মনে কতটুকু জায়গা করে নিয়েছেন, তা মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখলেই বোঝা যায়।
তিনি মানুষের মনে কেমন জায়গা করে নিয়েছেন, তা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গত রাতের চিত্র দেখলেই কিছুটা পরখ করা যায়। টিভির পর্দায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুর সংবাদ দেখছিলাম, সেখানে হাসপাতালের চিত্র দেখাচ্ছিল। অসংখ্য মানুষ কান্না করছে। দেখে মনে হবে, যাঁরা কান্না করছেন তাঁদের বাবা-মা অথবা প্রিয়জন মারা গেছেন। কিন্তু না, যাঁরা কান্না করছেন, তাঁদের কেউ হাসপাতালের চিকিৎসক, কেউ নার্স, কেউ পরিচ্ছন্নকর্মী, আবার কেউ এসেছেন তাঁকে দেখতে। তিনি যা করে গেছেন তা ভুলবার নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তাঁর মৃত্যুর শোক, স্মৃতিচারণে ভরে গেছে। এই গুণী মানুষটির সঙ্গে বলার মতো আমার স্মৃতি আছে, তা নিয়ে একটু বলি—
সালটা ২০১৮। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্ত। তখন বিএনপিসহ কয়েকটি দল মিলে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে, আর সেই ফ্রন্টের অন্যতম নেতা ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
ওই সময় নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন টকশোতে কথা বলতেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তেমনি একদিন এক বেসরকারি টেলিভিশনে কথা বলবেন তিনি, আর সেখানে নতুন ভোটার হিসেবে কথা বলতে এবং তাঁকে প্রশ্ন করতে আমাকেও ডাকা হয়েছিল। তাঁকে অন-ক্যামেরায় বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেছিলাম—স্মার্টলি সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন তিনি। টকশো থেকে বেরিয়ে আমাকে ডেকে নাম জিজ্ঞেস করলেন এবং তাঁর প্যাডে আমার নম্বরটি টুকে নিলেন। বলেছিলেন ফোন দিও।
আমার নম্বর যখন লিখছিলেন, তখন তাঁকে প্রশ্ন করেছিলাম যে, ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে জিতলে আপনি কি রাষ্ট্রপতি হবেন? তিনি মুচকি হেসে বলেছিলেন, ‘এমন মনোবাসনা আমার নেই। আমি একটি সুন্দর দেশ চাই। আমি চাই সাধারণ মানুষ ভালো থাকুক। আর ভালো কাজের সঙ্গে আমি সব সময় থাকব।’
তিনি যে দেশের ভালো চাইতেন, ক্ষমতার মোহ তাঁর মধ্যে কাজ করত না, সেটা তাঁর কর্মকাণ্ডে বারবার ফুটে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে করোনা মহামারি—সব সময় তিনি অবদান রেখে গেছেন। এ দেশের মানুষ ভালো থাকুক, ভালোভাবে বাঁচুক—এটাই তাঁর ব্রত ছিল। ভালো কাজে যে যখন ডেকেছে, তিনি সেখানেই ছুটে গেছেন। শেষ কয়েক মাস তিনি তেমন হাঁটতে পারতেন না, কিন্তু দেশের জন্য মানুষের ডাকে যেকোনো আন্দোলন, মানববন্ধনে হুইল চেয়ারে সবার আগে থাকতেন। সবার সমস্যায় এগিয়ে যেতেন। সত্য কথা বলতে ভয় পেতেন না। আর এ কারণেই তাঁকে সর্বস্তরের মানুষ পছন্দ করত।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সব সময় চেয়েছেন দেশে একটি কার্যকর সুলভ স্বাস্থ্যব্যবস্থা। নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নামের একটি সাশ্রয়ী সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি এখানেই চিকিৎসা নিয়েছেন। শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন এই হাসপাতালেই। এমনকি বাইরে থেকে কোনো চিকিৎসকও নিতে রাজি হননি।
যেখানে একটু সামর্থ্যবান, রাজনীতিবিদ বা আমলারা একটু অসুস্থ হলেই বিদেশে যান চিকিৎসা নিতে, সেখানে ব্যতিক্রম ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ। করোনার সময় তাঁর অবস্থা অনেক বেশি খারাপ ছিল। তখন তাঁকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, কিন্তু তিনি তা এক বাক্যে নাকচ করে দেন। গণস্বাস্থ্যের বাইরে কোনো চিকিৎসা নেবেন না। এমনকি দেশের বাইরেও চিকিৎসার জন্য যাবেন না, এটিই তাঁর শেষ কথা ছিল।
২০২০ সালে প্রথম আলোয় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ থেকেই বোঝা যায় তিনি নিজের জন্য নয়, দেশের মানুষের জন্য ভাবতেন। তাঁর কিডনি অকেজো হয়ে গেলে কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেটি করেননি কেন? জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বাইরে করাব না। বিদেশে যাব না।’
তাঁর ভাষ্যমতে, তাঁর কিডনিতে প্রথম সমস্যা শুরু হয় ২০১৪ সালের দিকে। এরপর বিদেশি বন্ধুরাও তাঁকে কিডনি প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন—সেটি স্মরণ করিয়ে দিলে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘হ্যাঁ। আমাকে হার্ভার্ড বলেছিল, বিনা পয়সায় কিডনি প্রতিস্থাপন করে দেবে। আমি বলেছি, তুমি বাকিদের করবা? খালি আমার তো করবা। আমি বলেছি, আমি আমার দেশে চিকিৎসা করাতে চাই, চিকিৎসা উন্নত করতে চাই। সবাই যেন সুযোগটা পায়।’
এটাই একজন ‘গরিবের ডাক্তার’ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে একজন ডাক্তার ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন। তিনি হলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এটা শুধু একটি নাম নয়, একটি আবেগ। তিনি নিজেই এক ইতিহাস। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে তাঁর অনন্য অবদান। যুদ্ধ-পরবর্তী দেশে স্বাস্থ্য খাতে পরিবর্তনে ব্যাপকভাবে কাজ করেন তিনি। জাফরুল্লাহ চৌধুরী শুধু স্বাস্থ্য খাতের এক যোদ্ধা নন, তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধেরও একজন যোদ্ধা।
তখন তিনি বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনসে এফআরসিএস পড়ছিলেন। সেই সময় শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। চূড়ান্ত পর্ব শেষ না করে লন্ডন থেকে ভারতে ফিরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি গেরিলা ট্রেনিং করেন। সেখানেই ডা. এম এ মবিনের সঙ্গে মিলে ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট বাংলাদেশ ‘ফিল্ড হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন।
এই যোদ্ধা গতকাল রাত সোয়া ১১টায় নিজের গড়া প্রতিষ্ঠান ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। দলমত-নির্বিশেষে সবাই শোক জানাতে থাকে। তিনি যে মানুষের মনে কতটুকু জায়গা করে নিয়েছেন, তা মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখলেই বোঝা যায়।
তিনি মানুষের মনে কেমন জায়গা করে নিয়েছেন, তা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গত রাতের চিত্র দেখলেই কিছুটা পরখ করা যায়। টিভির পর্দায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুর সংবাদ দেখছিলাম, সেখানে হাসপাতালের চিত্র দেখাচ্ছিল। অসংখ্য মানুষ কান্না করছে। দেখে মনে হবে, যাঁরা কান্না করছেন তাঁদের বাবা-মা অথবা প্রিয়জন মারা গেছেন। কিন্তু না, যাঁরা কান্না করছেন, তাঁদের কেউ হাসপাতালের চিকিৎসক, কেউ নার্স, কেউ পরিচ্ছন্নকর্মী, আবার কেউ এসেছেন তাঁকে দেখতে। তিনি যা করে গেছেন তা ভুলবার নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তাঁর মৃত্যুর শোক, স্মৃতিচারণে ভরে গেছে। এই গুণী মানুষটির সঙ্গে বলার মতো আমার স্মৃতি আছে, তা নিয়ে একটু বলি—
সালটা ২০১৮। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্ত। তখন বিএনপিসহ কয়েকটি দল মিলে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে, আর সেই ফ্রন্টের অন্যতম নেতা ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
ওই সময় নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন টকশোতে কথা বলতেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তেমনি একদিন এক বেসরকারি টেলিভিশনে কথা বলবেন তিনি, আর সেখানে নতুন ভোটার হিসেবে কথা বলতে এবং তাঁকে প্রশ্ন করতে আমাকেও ডাকা হয়েছিল। তাঁকে অন-ক্যামেরায় বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেছিলাম—স্মার্টলি সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন তিনি। টকশো থেকে বেরিয়ে আমাকে ডেকে নাম জিজ্ঞেস করলেন এবং তাঁর প্যাডে আমার নম্বরটি টুকে নিলেন। বলেছিলেন ফোন দিও।
আমার নম্বর যখন লিখছিলেন, তখন তাঁকে প্রশ্ন করেছিলাম যে, ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে জিতলে আপনি কি রাষ্ট্রপতি হবেন? তিনি মুচকি হেসে বলেছিলেন, ‘এমন মনোবাসনা আমার নেই। আমি একটি সুন্দর দেশ চাই। আমি চাই সাধারণ মানুষ ভালো থাকুক। আর ভালো কাজের সঙ্গে আমি সব সময় থাকব।’
তিনি যে দেশের ভালো চাইতেন, ক্ষমতার মোহ তাঁর মধ্যে কাজ করত না, সেটা তাঁর কর্মকাণ্ডে বারবার ফুটে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে করোনা মহামারি—সব সময় তিনি অবদান রেখে গেছেন। এ দেশের মানুষ ভালো থাকুক, ভালোভাবে বাঁচুক—এটাই তাঁর ব্রত ছিল। ভালো কাজে যে যখন ডেকেছে, তিনি সেখানেই ছুটে গেছেন। শেষ কয়েক মাস তিনি তেমন হাঁটতে পারতেন না, কিন্তু দেশের জন্য মানুষের ডাকে যেকোনো আন্দোলন, মানববন্ধনে হুইল চেয়ারে সবার আগে থাকতেন। সবার সমস্যায় এগিয়ে যেতেন। সত্য কথা বলতে ভয় পেতেন না। আর এ কারণেই তাঁকে সর্বস্তরের মানুষ পছন্দ করত।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সব সময় চেয়েছেন দেশে একটি কার্যকর সুলভ স্বাস্থ্যব্যবস্থা। নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নামের একটি সাশ্রয়ী সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি এখানেই চিকিৎসা নিয়েছেন। শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন এই হাসপাতালেই। এমনকি বাইরে থেকে কোনো চিকিৎসকও নিতে রাজি হননি।
যেখানে একটু সামর্থ্যবান, রাজনীতিবিদ বা আমলারা একটু অসুস্থ হলেই বিদেশে যান চিকিৎসা নিতে, সেখানে ব্যতিক্রম ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ। করোনার সময় তাঁর অবস্থা অনেক বেশি খারাপ ছিল। তখন তাঁকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, কিন্তু তিনি তা এক বাক্যে নাকচ করে দেন। গণস্বাস্থ্যের বাইরে কোনো চিকিৎসা নেবেন না। এমনকি দেশের বাইরেও চিকিৎসার জন্য যাবেন না, এটিই তাঁর শেষ কথা ছিল।
২০২০ সালে প্রথম আলোয় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ থেকেই বোঝা যায় তিনি নিজের জন্য নয়, দেশের মানুষের জন্য ভাবতেন। তাঁর কিডনি অকেজো হয়ে গেলে কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেটি করেননি কেন? জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বাইরে করাব না। বিদেশে যাব না।’
তাঁর ভাষ্যমতে, তাঁর কিডনিতে প্রথম সমস্যা শুরু হয় ২০১৪ সালের দিকে। এরপর বিদেশি বন্ধুরাও তাঁকে কিডনি প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন—সেটি স্মরণ করিয়ে দিলে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘হ্যাঁ। আমাকে হার্ভার্ড বলেছিল, বিনা পয়সায় কিডনি প্রতিস্থাপন করে দেবে। আমি বলেছি, তুমি বাকিদের করবা? খালি আমার তো করবা। আমি বলেছি, আমি আমার দেশে চিকিৎসা করাতে চাই, চিকিৎসা উন্নত করতে চাই। সবাই যেন সুযোগটা পায়।’
এটাই একজন ‘গরিবের ডাক্তার’ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
পঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
৩ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
৭ দিন আগে...সাধারণ মানুষের অসীম দুঃখ-দুর্দশা আর বুর্জোয়া শাসকশ্রেণির অন্তর্গত কুৎসিত ক্ষমতালিপ্সা ও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতি উচ্ছেদ করার নির্মম কর্মকাণ্ড দেখার পর, যেকোনো পরিণত কিশোর কোনো না কোনো প্রগতিশীল বামপন্থী রাজনৈতিক ভাবাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হবে—সমসাময়িক কালে সেটাই নিতান্ত স্বাভাবিক ছিল।
৮ দিন আগে২০০১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাত্র কয়েক ঘণ্টায় অ্যানা কুর্নিকোভা ভাইরাসটি তৈরি করেন নেদারল্যান্ডসের এক তরুণ, জান ডে উইট। ভাইরাসটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার কিছু দিন পর তিনি বুঝতে পারেন—তাঁর তৈরি এই ভাইরাস অনেক মানুষকে বিপদে ফেলেছে এবং বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করেছে। তখন তিনি বিষয়টি বাবা-মাকে জানান এবং নিজেই
১১ দিন আগে