সম্পাদকীয়
মাত্র ৩৯ বছর বয়সে ডা. ফজলে রাব্বি হয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রফেসর অব ক্লিনিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড কার্ডিওলজিস্ট।
স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন দেখতেন বলেই মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় তিনি আহত মানুষের সেবা দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেলে বসে। আহত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় গোপন রেখে চিকিৎসা দিয়েছিলেন। তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহৃত হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের কাজে। ঝুঁকি এড়াতে তিনি গাড়িতে করে নিজেই ওষুধপত্র পৌঁছে দিতেন মুক্তিযোদ্ধাদের গোপন আস্তানায়। তিনি নিজের সন্তানদেরও স্বাধীনতার মর্মবাণী বোঝাতে পেরেছিলেন বলেই তাঁর মাত্র ১৩ বছর বয়সী ছেলে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল।
তিনি অসম্ভব মেধাবী ছিলেন। তিনি শুধু একাডেমিক পড়াশোনায় প্রচণ্ড মেধাবী ছিলেন না, ঢাকা মেডিকেলে অধ্যয়নকালে যোগ দিয়েছিলেন ভাষা আন্দোলনে। মেডিকেলের সব সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ছিলেন অগ্রভাগে। তিনি ভালো কবিতা আবৃত্তি করতে পারতেন আর সংগীতেও ছিল ভীষণ আগ্রহ। সর্বোপরি তিনি ছিলেন একজন প্রগতিশীল চিন্তার মানুষ।
তিনি ঢাকা মেডিকেলের এমবিবিএস চূড়ান্ত পরীক্ষায় সমগ্র পাকিস্তানের মধ্যে শীর্ষস্থান অধিকার করেছিলেন। মাত্র ৩২ বছর বয়সে মেডিসিনের ওপর তাঁর বিখ্যাত কেসস্টাডি প্রকাশিত হয়েছিল বিশ্বখ্যাত ‘জার্নাল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন হাইজিন’-এ। আর ৩৮ বছর বয়সে তাঁর আরেকটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছিল ব্রিটিশ জার্নাল অব দ্য ডিজিজ অব চেস্ট ও ল্যানসেট ম্যাগাজিনে। ১৯৭০ সালেই তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন পাকিস্তানের সেরা অধ্যাপক হিসেবে। পাকিস্তানের ইতিহাসে এত কম বয়সে সেরা অধ্যাপকের পুরস্কার তিনি বাদে আর কেউ পাননি। তবে তিনি ঘৃণাভরে সেই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
’৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে তাঁকে সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ১৮ ডিসেম্বর তাঁর মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে। দুই চোখ উপড়ানো, শরীরজুড়ে বেয়নেট দিয়ে খোঁচানোর চিহ্ন, দু-হাত পেছনে গামছা দিয়ে বাঁধা। লুঙ্গি ঊরুর ওপর আটকানো। তাঁর হৃৎপিণ্ড ও কলিজা ছিঁড়ে ফেলেছিল পাষণ্ড পাকিস্তানিরা।
মাত্র ৩৯ বছর বয়সে ডা. ফজলে রাব্বি হয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রফেসর অব ক্লিনিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড কার্ডিওলজিস্ট।
স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন দেখতেন বলেই মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় তিনি আহত মানুষের সেবা দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেলে বসে। আহত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় গোপন রেখে চিকিৎসা দিয়েছিলেন। তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহৃত হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের কাজে। ঝুঁকি এড়াতে তিনি গাড়িতে করে নিজেই ওষুধপত্র পৌঁছে দিতেন মুক্তিযোদ্ধাদের গোপন আস্তানায়। তিনি নিজের সন্তানদেরও স্বাধীনতার মর্মবাণী বোঝাতে পেরেছিলেন বলেই তাঁর মাত্র ১৩ বছর বয়সী ছেলে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল।
তিনি অসম্ভব মেধাবী ছিলেন। তিনি শুধু একাডেমিক পড়াশোনায় প্রচণ্ড মেধাবী ছিলেন না, ঢাকা মেডিকেলে অধ্যয়নকালে যোগ দিয়েছিলেন ভাষা আন্দোলনে। মেডিকেলের সব সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ছিলেন অগ্রভাগে। তিনি ভালো কবিতা আবৃত্তি করতে পারতেন আর সংগীতেও ছিল ভীষণ আগ্রহ। সর্বোপরি তিনি ছিলেন একজন প্রগতিশীল চিন্তার মানুষ।
তিনি ঢাকা মেডিকেলের এমবিবিএস চূড়ান্ত পরীক্ষায় সমগ্র পাকিস্তানের মধ্যে শীর্ষস্থান অধিকার করেছিলেন। মাত্র ৩২ বছর বয়সে মেডিসিনের ওপর তাঁর বিখ্যাত কেসস্টাডি প্রকাশিত হয়েছিল বিশ্বখ্যাত ‘জার্নাল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন হাইজিন’-এ। আর ৩৮ বছর বয়সে তাঁর আরেকটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছিল ব্রিটিশ জার্নাল অব দ্য ডিজিজ অব চেস্ট ও ল্যানসেট ম্যাগাজিনে। ১৯৭০ সালেই তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন পাকিস্তানের সেরা অধ্যাপক হিসেবে। পাকিস্তানের ইতিহাসে এত কম বয়সে সেরা অধ্যাপকের পুরস্কার তিনি বাদে আর কেউ পাননি। তবে তিনি ঘৃণাভরে সেই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
’৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে তাঁকে সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ১৮ ডিসেম্বর তাঁর মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে। দুই চোখ উপড়ানো, শরীরজুড়ে বেয়নেট দিয়ে খোঁচানোর চিহ্ন, দু-হাত পেছনে গামছা দিয়ে বাঁধা। লুঙ্গি ঊরুর ওপর আটকানো। তাঁর হৃৎপিণ্ড ও কলিজা ছিঁড়ে ফেলেছিল পাষণ্ড পাকিস্তানিরা।
১৬৪৯ সালে যশোরের ফৌজদার হিসেবে নিযুক্ত হন বাংলার সুবেদার শাহ সুজার শ্যালকপুত্র মীর্জা সাফসি খান। কপোতাক্ষ নদের তীরে যে মীর্জানগর গ্রাম, সেটি কিন্তু তাঁরই নামানুসারে। সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে ফৌজদার হন নুরল্লা খাঁ। তিনি এই গ্রামে বুড়িভদ্রা নদীর তীরে সুবিস্তৃত পরিখা খনন করে আট-দশ ফুট উঁচু...
৫ দিন আগেঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার গোরকই গ্রামে রয়েছে প্রাচীন এক মন্দির। গোরক্ষনাথ মন্দির বা গোরকই মন্দির নামেই এটি পরিচিত। মন্দির প্রাঙ্গণে তিনটি শিবমন্দির, একটি কালীমন্দির ও একটি নাথমন্দির ও নাথ আশ্রমের পাশাপাশি রয়েছে বড় বড় কালো পাথর দিয়ে নির্মিত রহস্যময় এক কূপ। কথিত আছে, গুপ্ত যুগ থেকে সেন...
৮ দিন আগেআর এক বছর পর ৪০-এর কোঠায় পৌঁছাবে বয়স। হঠাৎ পদোন্নতি হলো পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করা ক্যারেন উডসের। এখন থেকে ই-মেইল লিখতে হবে তাঁকে। কিন্তু তিনি তো নিরক্ষর। কীভাবে পড়তে-লিখতে হয় জানেন না। প্রথমে বেশ লজ্জায় পড়ে যান। সবাই জেনে ফেললে কী ভাববে! তবে, সেই লজ্জা-ভয় তাঁকে আটকে রাখেনি। বরং নতুন পথ...
১২ দিন আগেতখন দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ আর বাংলার সুবেদার ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ। সেই সময় হজরত শাহজালাল (রহ.) ও অন্যান্য আউলিয়ার সঙ্গে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৩৫১ সালে এ দেশে আসেন হজরত রাস্তি শাহ (র.)। তিনি ছিলেন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানির আত্মীয়। কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করতে এসে রাস্তি...
১৬ দিন আগে