ইজাজুল হক, ঢাকা

ফিলিস্তিনি কবি গাসসান জাকতানের বেড়ে ওঠা এবং তাঁর কবি হয়ে ওঠার পথটি নিয়ে গেল পর্বেই আলাপ হয়েছে। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন থেকে এই কবিকে আলাদা করা যায় না। আবির্ভাব দিয়েই বুঝিয়েছিলেন নিজের উচ্চতা।
কবিতাশৈলীতে গাসসান জাকতান পঞ্চাশের দশক থেকে আরবি কবিতার নেতৃত্ব দিয়ে আসা কবি প্রজন্মকে ছাড়িয়ে গেছেন এরই মধ্যে। যেসব আরবি কবির কবিতা আধুনিক চিন্তা ও প্রযুক্তির মৌলিক চিহ্নবাহী, তাঁদের মধ্যে সেরা কবি গাসসান জাকতান। তাঁর কবিতা উজ্জ্বল চকচকে মনোরম দৃশ্যে সজ্জিত, যা কবিতার শরীরকে জীবন্ত করে তোলে। তাতে ফুটে ওঠে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব ঘটনাপ্রবাহ; মানুষের যাপিত জীবনের সবকিছুই। ফলে তাঁর কবিতা সাধারণভাবে সমকালীন আরবদের জীবনের ওপর আলো ফেললেও বিশেষভাবে ফিলিস্তিনি মানুষের জীবনপ্রবাহের প্রতিনিধিত্ব করে।
শাস্ত্রীয় দৃষ্টিকোণে, ভাষা ও উপস্থাপনের অকৃত্রিমতাই গাসসান জাকতানের কবিতার সাধারণ বৈশিষ্ট্য। তাঁর কবিতা যথাসম্ভব অলংকার ও রূপক থেকে মুক্ত। মুক্ত ছন্দে লেখা পঙ্ক্তিগুলো উচ্চাঙ্গ ভাব ও অতি দুঃখবোধের ঊর্ধ্বে। বেশি আবেগমথিত ও অনুভূতিকে নাড়িয়ে দেওয়ার মতো হুজুগেও নেই তাঁর কবিতার মর্ম। তাঁর কবিতা মানেই স্রেফ বুদ্ধিবৃত্তিক আধুনিকতম পদ্য। রূপক থেকে বেরিয়ে এসে, শব্দসংখ্যা কমিয়ে, চারপাশের ছোট ছোট উপাদানগুলো মহান করে তোলাই তাঁর কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য।
গাসসান তাঁর কবিতা রচনার ক্ষেত্রে মাহমুদ দারবিশ দ্বারা ভীষণভাবে প্রভাবিত। তবে তাঁর প্রভাব খুব একটা সাদাসিধে, সরল বা গল্প বলার ঢঙে সীমাবদ্ধ নয়; বরং তার চেয়ে আরও গভীর ও জটিল। মাহমুদ দারবিশ ও আদোনিসের মতো খ্যাতিমান পূর্বসূরিদের সুষম নান্দনিকতাকেও ছাড়িয়ে যান গাসসান। দৈনন্দিন জীবনের সূক্ষ্ম আখ্যান দিয়ে নতুন একটি ধারা তৈরি করেছেন তিনি, যা আজকের তরুণ আরব কবিদের একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ ছাড়া তাঁর কবিতায় সমকালীন কবিদের ছাপও রয়েছে। কবি আমজাদ নাসের, কবি নুরি আল-জাররাহ্, কবি আব্বাস ইয়াবদুন, কবি বাসসাম হাজজার, কবি ইনায়া জাবির প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
দুই.
গ্রিফিন পোয়েট্রি প্রাইজের অন্যতম বিচারক চাইনিজ-আমেরিকান কবি ওয়াং পিং (১৯৫৭-বর্তমান) গাসসানের কবিতায় দারুণ মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। তাঁর দাবি, গাসসানের দুর্বার কাব্যপ্রতিভা তাঁকেও ব্যাপকভাবে সংক্রমিত করে। গাসসানের কবিতার মূল্যায়ন করে তিনি বলেন, ‘কবিতার কাজ কী? কিছুই না; আবার কবিতাই সবকিছু। এই মাটি, বাতাস, জল, পাখি, মাছ, বৃক্ষ, প্রেম, হৃদয় থেকে শুরু করে সবকিছুই কবিতা। কবিতা নিয়ত আমাদের সঙ্গে বসবাস করে; আমাদের ভেতরে-বাইরে সর্বত্র বিরাজ করে। এত কিছুর পরেও আমরা প্রায়ই কবিতার মতো মূল্যবান উপহারের কথা ভুলে যাই। তাই কবিতাকে উপহারের মতো করে পরিবেশন করাই কবিদের কাজ। কবির শব্দই আমাদের ফের মানুষ করে তোলে। গাসসান সে কাজই করেছেন। তাঁর কবিতা ফুলের বাগানে, হৃদয়ে কিংবা অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের গভীরে সমাহিত আমাদের ঘুমন্ত বিবেককে জাগিয়ে তোলে। যুদ্ধ, হতাশা ও বৈশ্বিক বিবর্তনের মধ্যেও আমরা কেন বাঁচি এবং কীভাবে—গাসসানের আবৃত্তি আমাদের তা স্মরণ করিয়ে দেয়। তাঁর কথা অন্ধকারকে আলোয়, ঘৃণাকে ভালোবাসায় এবং মৃত্যুকে জীবনে পরিণত করে। তাঁর কবিতার জাদু আমাদের একটি আশাজাগানিয়া পরিষ্কার দৃষ্টিভঙ্গির পথ দেখায়।...এটিই জাকতানের একমাত্র ‘পেশা’ এবং এখন থেকে তা আমাদেরও পেশা।’
মার্কিন কবি ও সাহিত্য সমালোচক লরেন্স জোসেফ (১৯৪৮-বর্তমান) গাসসানকে ফিলিস্তিনের জীবন্ত কবিদের মধ্যে শুধু সেরাই মনে করেন না, বরং বিশ্বসাহিত্যেরও অনিবার্য কবিসত্তাও মনে করেন। তিনি বলেন, ‘জাকতান ফিলিস্তিনের জীবন্ত কবিদের মধ্যেই কেবল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কবি নন, বরং তিনি একালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কবিদের একজন। উত্তরাধুনিক কবিতার ধারায় আবেগ-অনুভূতি, প্রাত্যহিক জটিলতা ও জীবনের গভীরতাকে তিনি তুলনারহিত সর্বজনীন ভাষায় মূর্ত করে তোলেন।’
ইউক্রেন বংশোদ্ভূত মার্কিন কবি ও সমালোচক ইলিয়া কামিনস্কি (১৯৭৭-বর্তমান) গাসসানকে যুগোস্লাভিয়ার মহান কবি ভাস্কো পোপার (১৯২২-১৯৯১) সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ফাদি জাওদাহর অসাধারণ অনুবাদে গাসসান জাকতানকে পড়ে যুগোস্লাভিয়ার মহান কবি ভাস্কো পোপার কথা মনে পড়ে গেল। তিনিও সহিংসতা দেখেছিলেন এবং জাতির স্বপ্নের সময়টি কবিতায় তুলে এনেছিলেন। পোপার মতো জাকতানও তাঁর শেকড়ের পরিচয় দিতে ভয় পান না। যখন “ক্যাভাফির জাগিয়ে তোলা গুপ্ত নির্মাতারা/পাহাড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল”, তখন তারা কবিরই বালিশ দিয়ে তা খোঁড়া শুরু করে—এমন দৃশ্য দেখতেও কবি ভয় পান না। তাঁর এমন সাহসিকতা ও কাব্যিক দক্ষতার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’
উল্লেখ্য, ‘ক্যাভাফির জাগিয়ে তোলা গুপ্ত নির্মাতারা...’ বলে ইলিয়া কামিনস্কি এখানে গাসসানের একটি কবিতার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। ক্যাভাফি ছিলেন গ্রিক কবি, সাংবাদিক ও সরকারি কর্মকর্তা। পুরো নাম কনস্টান্টাইন পিটার ক্যাভাফি (১৮৬৩-১৯৩৩)। ইহুদি দখলদারি ও অবৈধ বসতি স্থাপন কার্যক্রমকে কবিতায় তিনি ক্যাভাফির উসকিয়ে দেওয়া নির্মাণ কার্যক্রমের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ‘ক্যাভাফির নির্মাতারা’ শিরোনামের কবিতাটির অনুবাদ—
আমার কণ্ঠে এক সুর আছে
কখনো তার স্পর্শ পাইনি আমি—
তবে তা-ই আমার একমাত্র সোনার টুকরো
এবং তা-ই আমার অবলম্বন
তাতে আছে উপস্থিত রচনার সম্ভাবনা
আছে ক্রিয়াপদের কোমলতা
এবং আছে বর্ণনার দৃঢ়তা
যেন ক্যাভাফির জাগিয়ে তোলা গুপ্ত নির্মাতারা
পাহাড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল
এবং তা খোঁড়া শুরু করে দেয় আমারই বালিশ দিয়ে!
(খড়ের পাখির মতো তা আমার পিছু নেয়, ২০০৮)
তিন.
ইলিয়া কামিনস্কির কথার সূত্র ধরে গাসসানের সাহসী কণ্ঠের আরেকটি দৃষ্টান্ত এখানে তুলে ধরছি। মোটেও আত্মপরিচয়ের সংকটে ভোগেন না তিনি। ইস্পাতসম দৃঢ়তার সঙ্গেই তাঁর ফিলিস্তিনি হওয়ার কথা ব্যক্ত করেছেন কবিতায়। কানাডার গ্রিফিন পোয়েট্রি প্রাইজের সম্মাননা অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে কবি গাসসান তাঁর ভরাট কণ্ঠে এমন বার্তা দিয়ে আবৃত্তি করা কবিতাটির অনুবাদ পাঠকদের পাতে তুলে দিচ্ছি। তার আগে কবিতার সারাংশটি বলে যাই—
পশ্চিম তীরের অধিকৃত পার্বত্য এলাকা ‘জাবালে নাজমা’র এক বিশেষ আবহে কবিতাটি লেখা হয়। প্রাকৃতিক দৃশ্যকল্পের পাশাপাশি ফিলিস্তিন অঞ্চলের পূর্বপুরুষদের অনুসন্ধান করেন তিনি। আজকের দখলদারদের বীভৎস চেহারাও বুড়ো সাইপ্রাস বৃক্ষের ওপর প্রেতাত্মার রূপে দেখতে পান কবি। শেষের দিকে তিনি দৃপ্তকণ্ঠে নিজের পরিচয় তুলে ধরেন। বাবা খলিল জাকতান, উমাইয়া যুগের বিখ্যাত ফিলিস্তিনি কবি মালিক আর-রাইব এবং বিশ শতকের বিখ্যাত কবি ও সমালোচক হুসাইন জামিল বারগৌসির পরম্পরায় নিজের পরিচয়হীন হওয়ার অভিযোগ বেশ আত্মপ্রত্যয়ের সুরে উড়িয়ে দেন।
চলুন এবার কবিতাটি পড়া যাক—
একা নও তুমি বিজন বনে
জাবালে নাজমায়, বনের ধারে, জাদুকর পথ আগলে দাঁড়াবে আমার
কালো মাস্তুলের নৌকা চলে যে পথে
খড়ের মুখোশ আর শোকের বসনে মৃতেরা যেখানে বসে থাকে ভোরের আগ থেকে,
যে পথ পাড়ি দেয় পাখি
যেখানে সাঁতরে বেড়ায় সাদা কুয়াশা আর ঝোপেরা খুলে রাখে দরজা সকল
যেখানে ঢাল থেকে ভেসে আসে কারও কণ্ঠ
এবং শোনা যায় ঘণ্টাধ্বনি, ডানা ঝাপটানোর শব্দ
রাতের খাঁজ কেটে এ বন যেন উড়ে চলেছে সব পর্বত বেয়ে!
...কৃষক, জেলে, শিকারি ও বিস্মিত সৈন্য,
মোয়াবি, আসিরি, কুর্দি, মামলুক,
মিসর থেকে আসা কথিত হিব্রু,
সোনার রথে চড়া মিসরি,
সাদা দ্বীপের জাতিগোষ্ঠী, কালো পাগড়িপরা পারসিয়ান,
বেত-ভাঁজ-করা মূর্তিপূজক দার্শনিক
এবং অসুখের শেকড় খুঁজে-ফেরা সুফির দল…
ডানার ঝাপটানি বনকে টেনে নেয় অন্ধকারের ধারে!
জাবালে নাজমায়, বনের ধারে
যেখানে অনুপস্থিতের নামাজ বিছিয়ে দেয় শুদ্ধতার জায়নামাজ
এবং দেখা যায় গিরিখাতটির শেষ প্রান্ত,
অতি সন্তর্পণে পাশ দিয়ে বয়ে যায় সমুদ্রের ঘ্রাণ
ফাটলগুলি যেন জিনের ফসল
এবং আলো ছড়ায় সন্ন্যাসীদের প্রার্থনা—
তখন আমি জীর্ণ সাইপ্রাসের ওপর ঘুমিয়ে থাকা কুষ্ঠরোগীদের ভূত দেখি
জাবালে নাজমায়, বনের ধারে
পুরোনো এক চেনা কণ্ঠস্বর শুনতে পাব,
আমার দিকে পাশা ছুড়ে দেওয়া আমার বাবার কণ্ঠস্বর
কিংবা মালিকের—
এপিটাফে তিনি হাঁকাচ্ছেন স্বর্ণকেশী ঘোড়া
অথবা হুসাইন আল-বারগৌসির কণ্ঠস্বর—
বাদামগাছের নিচে ঘুমিয়ে আছেন যিনি
তাঁর লিখে যাওয়া অসিয়ত মোতাবেক
এবং আমার কণ্ঠস্বর—
একা নও তুমি বিজন বনে।
(খড়ের পাখির মতো তা আমার পিছু নেয়, ২০০৮)
পরের পর্ব পড়ুন আগামীকাল: গাসসানের কবিতার বিষয়বস্তু

ফিলিস্তিনি কবি গাসসান জাকতানের বেড়ে ওঠা এবং তাঁর কবি হয়ে ওঠার পথটি নিয়ে গেল পর্বেই আলাপ হয়েছে। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন থেকে এই কবিকে আলাদা করা যায় না। আবির্ভাব দিয়েই বুঝিয়েছিলেন নিজের উচ্চতা।
কবিতাশৈলীতে গাসসান জাকতান পঞ্চাশের দশক থেকে আরবি কবিতার নেতৃত্ব দিয়ে আসা কবি প্রজন্মকে ছাড়িয়ে গেছেন এরই মধ্যে। যেসব আরবি কবির কবিতা আধুনিক চিন্তা ও প্রযুক্তির মৌলিক চিহ্নবাহী, তাঁদের মধ্যে সেরা কবি গাসসান জাকতান। তাঁর কবিতা উজ্জ্বল চকচকে মনোরম দৃশ্যে সজ্জিত, যা কবিতার শরীরকে জীবন্ত করে তোলে। তাতে ফুটে ওঠে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব ঘটনাপ্রবাহ; মানুষের যাপিত জীবনের সবকিছুই। ফলে তাঁর কবিতা সাধারণভাবে সমকালীন আরবদের জীবনের ওপর আলো ফেললেও বিশেষভাবে ফিলিস্তিনি মানুষের জীবনপ্রবাহের প্রতিনিধিত্ব করে।
শাস্ত্রীয় দৃষ্টিকোণে, ভাষা ও উপস্থাপনের অকৃত্রিমতাই গাসসান জাকতানের কবিতার সাধারণ বৈশিষ্ট্য। তাঁর কবিতা যথাসম্ভব অলংকার ও রূপক থেকে মুক্ত। মুক্ত ছন্দে লেখা পঙ্ক্তিগুলো উচ্চাঙ্গ ভাব ও অতি দুঃখবোধের ঊর্ধ্বে। বেশি আবেগমথিত ও অনুভূতিকে নাড়িয়ে দেওয়ার মতো হুজুগেও নেই তাঁর কবিতার মর্ম। তাঁর কবিতা মানেই স্রেফ বুদ্ধিবৃত্তিক আধুনিকতম পদ্য। রূপক থেকে বেরিয়ে এসে, শব্দসংখ্যা কমিয়ে, চারপাশের ছোট ছোট উপাদানগুলো মহান করে তোলাই তাঁর কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য।
গাসসান তাঁর কবিতা রচনার ক্ষেত্রে মাহমুদ দারবিশ দ্বারা ভীষণভাবে প্রভাবিত। তবে তাঁর প্রভাব খুব একটা সাদাসিধে, সরল বা গল্প বলার ঢঙে সীমাবদ্ধ নয়; বরং তার চেয়ে আরও গভীর ও জটিল। মাহমুদ দারবিশ ও আদোনিসের মতো খ্যাতিমান পূর্বসূরিদের সুষম নান্দনিকতাকেও ছাড়িয়ে যান গাসসান। দৈনন্দিন জীবনের সূক্ষ্ম আখ্যান দিয়ে নতুন একটি ধারা তৈরি করেছেন তিনি, যা আজকের তরুণ আরব কবিদের একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ ছাড়া তাঁর কবিতায় সমকালীন কবিদের ছাপও রয়েছে। কবি আমজাদ নাসের, কবি নুরি আল-জাররাহ্, কবি আব্বাস ইয়াবদুন, কবি বাসসাম হাজজার, কবি ইনায়া জাবির প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
দুই.
গ্রিফিন পোয়েট্রি প্রাইজের অন্যতম বিচারক চাইনিজ-আমেরিকান কবি ওয়াং পিং (১৯৫৭-বর্তমান) গাসসানের কবিতায় দারুণ মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। তাঁর দাবি, গাসসানের দুর্বার কাব্যপ্রতিভা তাঁকেও ব্যাপকভাবে সংক্রমিত করে। গাসসানের কবিতার মূল্যায়ন করে তিনি বলেন, ‘কবিতার কাজ কী? কিছুই না; আবার কবিতাই সবকিছু। এই মাটি, বাতাস, জল, পাখি, মাছ, বৃক্ষ, প্রেম, হৃদয় থেকে শুরু করে সবকিছুই কবিতা। কবিতা নিয়ত আমাদের সঙ্গে বসবাস করে; আমাদের ভেতরে-বাইরে সর্বত্র বিরাজ করে। এত কিছুর পরেও আমরা প্রায়ই কবিতার মতো মূল্যবান উপহারের কথা ভুলে যাই। তাই কবিতাকে উপহারের মতো করে পরিবেশন করাই কবিদের কাজ। কবির শব্দই আমাদের ফের মানুষ করে তোলে। গাসসান সে কাজই করেছেন। তাঁর কবিতা ফুলের বাগানে, হৃদয়ে কিংবা অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের গভীরে সমাহিত আমাদের ঘুমন্ত বিবেককে জাগিয়ে তোলে। যুদ্ধ, হতাশা ও বৈশ্বিক বিবর্তনের মধ্যেও আমরা কেন বাঁচি এবং কীভাবে—গাসসানের আবৃত্তি আমাদের তা স্মরণ করিয়ে দেয়। তাঁর কথা অন্ধকারকে আলোয়, ঘৃণাকে ভালোবাসায় এবং মৃত্যুকে জীবনে পরিণত করে। তাঁর কবিতার জাদু আমাদের একটি আশাজাগানিয়া পরিষ্কার দৃষ্টিভঙ্গির পথ দেখায়।...এটিই জাকতানের একমাত্র ‘পেশা’ এবং এখন থেকে তা আমাদেরও পেশা।’
মার্কিন কবি ও সাহিত্য সমালোচক লরেন্স জোসেফ (১৯৪৮-বর্তমান) গাসসানকে ফিলিস্তিনের জীবন্ত কবিদের মধ্যে শুধু সেরাই মনে করেন না, বরং বিশ্বসাহিত্যেরও অনিবার্য কবিসত্তাও মনে করেন। তিনি বলেন, ‘জাকতান ফিলিস্তিনের জীবন্ত কবিদের মধ্যেই কেবল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কবি নন, বরং তিনি একালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কবিদের একজন। উত্তরাধুনিক কবিতার ধারায় আবেগ-অনুভূতি, প্রাত্যহিক জটিলতা ও জীবনের গভীরতাকে তিনি তুলনারহিত সর্বজনীন ভাষায় মূর্ত করে তোলেন।’
ইউক্রেন বংশোদ্ভূত মার্কিন কবি ও সমালোচক ইলিয়া কামিনস্কি (১৯৭৭-বর্তমান) গাসসানকে যুগোস্লাভিয়ার মহান কবি ভাস্কো পোপার (১৯২২-১৯৯১) সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ফাদি জাওদাহর অসাধারণ অনুবাদে গাসসান জাকতানকে পড়ে যুগোস্লাভিয়ার মহান কবি ভাস্কো পোপার কথা মনে পড়ে গেল। তিনিও সহিংসতা দেখেছিলেন এবং জাতির স্বপ্নের সময়টি কবিতায় তুলে এনেছিলেন। পোপার মতো জাকতানও তাঁর শেকড়ের পরিচয় দিতে ভয় পান না। যখন “ক্যাভাফির জাগিয়ে তোলা গুপ্ত নির্মাতারা/পাহাড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল”, তখন তারা কবিরই বালিশ দিয়ে তা খোঁড়া শুরু করে—এমন দৃশ্য দেখতেও কবি ভয় পান না। তাঁর এমন সাহসিকতা ও কাব্যিক দক্ষতার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’
উল্লেখ্য, ‘ক্যাভাফির জাগিয়ে তোলা গুপ্ত নির্মাতারা...’ বলে ইলিয়া কামিনস্কি এখানে গাসসানের একটি কবিতার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। ক্যাভাফি ছিলেন গ্রিক কবি, সাংবাদিক ও সরকারি কর্মকর্তা। পুরো নাম কনস্টান্টাইন পিটার ক্যাভাফি (১৮৬৩-১৯৩৩)। ইহুদি দখলদারি ও অবৈধ বসতি স্থাপন কার্যক্রমকে কবিতায় তিনি ক্যাভাফির উসকিয়ে দেওয়া নির্মাণ কার্যক্রমের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ‘ক্যাভাফির নির্মাতারা’ শিরোনামের কবিতাটির অনুবাদ—
আমার কণ্ঠে এক সুর আছে
কখনো তার স্পর্শ পাইনি আমি—
তবে তা-ই আমার একমাত্র সোনার টুকরো
এবং তা-ই আমার অবলম্বন
তাতে আছে উপস্থিত রচনার সম্ভাবনা
আছে ক্রিয়াপদের কোমলতা
এবং আছে বর্ণনার দৃঢ়তা
যেন ক্যাভাফির জাগিয়ে তোলা গুপ্ত নির্মাতারা
পাহাড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল
এবং তা খোঁড়া শুরু করে দেয় আমারই বালিশ দিয়ে!
(খড়ের পাখির মতো তা আমার পিছু নেয়, ২০০৮)
তিন.
ইলিয়া কামিনস্কির কথার সূত্র ধরে গাসসানের সাহসী কণ্ঠের আরেকটি দৃষ্টান্ত এখানে তুলে ধরছি। মোটেও আত্মপরিচয়ের সংকটে ভোগেন না তিনি। ইস্পাতসম দৃঢ়তার সঙ্গেই তাঁর ফিলিস্তিনি হওয়ার কথা ব্যক্ত করেছেন কবিতায়। কানাডার গ্রিফিন পোয়েট্রি প্রাইজের সম্মাননা অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে কবি গাসসান তাঁর ভরাট কণ্ঠে এমন বার্তা দিয়ে আবৃত্তি করা কবিতাটির অনুবাদ পাঠকদের পাতে তুলে দিচ্ছি। তার আগে কবিতার সারাংশটি বলে যাই—
পশ্চিম তীরের অধিকৃত পার্বত্য এলাকা ‘জাবালে নাজমা’র এক বিশেষ আবহে কবিতাটি লেখা হয়। প্রাকৃতিক দৃশ্যকল্পের পাশাপাশি ফিলিস্তিন অঞ্চলের পূর্বপুরুষদের অনুসন্ধান করেন তিনি। আজকের দখলদারদের বীভৎস চেহারাও বুড়ো সাইপ্রাস বৃক্ষের ওপর প্রেতাত্মার রূপে দেখতে পান কবি। শেষের দিকে তিনি দৃপ্তকণ্ঠে নিজের পরিচয় তুলে ধরেন। বাবা খলিল জাকতান, উমাইয়া যুগের বিখ্যাত ফিলিস্তিনি কবি মালিক আর-রাইব এবং বিশ শতকের বিখ্যাত কবি ও সমালোচক হুসাইন জামিল বারগৌসির পরম্পরায় নিজের পরিচয়হীন হওয়ার অভিযোগ বেশ আত্মপ্রত্যয়ের সুরে উড়িয়ে দেন।
চলুন এবার কবিতাটি পড়া যাক—
একা নও তুমি বিজন বনে
জাবালে নাজমায়, বনের ধারে, জাদুকর পথ আগলে দাঁড়াবে আমার
কালো মাস্তুলের নৌকা চলে যে পথে
খড়ের মুখোশ আর শোকের বসনে মৃতেরা যেখানে বসে থাকে ভোরের আগ থেকে,
যে পথ পাড়ি দেয় পাখি
যেখানে সাঁতরে বেড়ায় সাদা কুয়াশা আর ঝোপেরা খুলে রাখে দরজা সকল
যেখানে ঢাল থেকে ভেসে আসে কারও কণ্ঠ
এবং শোনা যায় ঘণ্টাধ্বনি, ডানা ঝাপটানোর শব্দ
রাতের খাঁজ কেটে এ বন যেন উড়ে চলেছে সব পর্বত বেয়ে!
...কৃষক, জেলে, শিকারি ও বিস্মিত সৈন্য,
মোয়াবি, আসিরি, কুর্দি, মামলুক,
মিসর থেকে আসা কথিত হিব্রু,
সোনার রথে চড়া মিসরি,
সাদা দ্বীপের জাতিগোষ্ঠী, কালো পাগড়িপরা পারসিয়ান,
বেত-ভাঁজ-করা মূর্তিপূজক দার্শনিক
এবং অসুখের শেকড় খুঁজে-ফেরা সুফির দল…
ডানার ঝাপটানি বনকে টেনে নেয় অন্ধকারের ধারে!
জাবালে নাজমায়, বনের ধারে
যেখানে অনুপস্থিতের নামাজ বিছিয়ে দেয় শুদ্ধতার জায়নামাজ
এবং দেখা যায় গিরিখাতটির শেষ প্রান্ত,
অতি সন্তর্পণে পাশ দিয়ে বয়ে যায় সমুদ্রের ঘ্রাণ
ফাটলগুলি যেন জিনের ফসল
এবং আলো ছড়ায় সন্ন্যাসীদের প্রার্থনা—
তখন আমি জীর্ণ সাইপ্রাসের ওপর ঘুমিয়ে থাকা কুষ্ঠরোগীদের ভূত দেখি
জাবালে নাজমায়, বনের ধারে
পুরোনো এক চেনা কণ্ঠস্বর শুনতে পাব,
আমার দিকে পাশা ছুড়ে দেওয়া আমার বাবার কণ্ঠস্বর
কিংবা মালিকের—
এপিটাফে তিনি হাঁকাচ্ছেন স্বর্ণকেশী ঘোড়া
অথবা হুসাইন আল-বারগৌসির কণ্ঠস্বর—
বাদামগাছের নিচে ঘুমিয়ে আছেন যিনি
তাঁর লিখে যাওয়া অসিয়ত মোতাবেক
এবং আমার কণ্ঠস্বর—
একা নও তুমি বিজন বনে।
(খড়ের পাখির মতো তা আমার পিছু নেয়, ২০০৮)
পরের পর্ব পড়ুন আগামীকাল: গাসসানের কবিতার বিষয়বস্তু

মামুন বিরিয়ানি হাউসের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০ সালে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পুরান ঢাকার এই রেস্তোরাঁটি গরুর তেহারি বিক্রি করে সুনাম কুড়িয়ে নেয়। শুরুর দিকে এক প্লেট তেহারির দাম ছিল মাত্র ১২ টাকা! তাদের তেহারিভর্তি হাঁড়ি খালি হতে বেশি সময় লাগে না। তাই তো মামুন বিরিয়ানির চারটি শাখা পরিচালনা করতে হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত মাদক সম্রাট কে? হয়তো আপনি পাবলো এস্কোবার বা এল চ্যাপোর নাম বলবেন, কিন্তু আপনি ভুল! তাঁদের জন্মের প্রায় ১০০ বছর আগে এমন একজন অবিশ্বাস্য ক্ষমতাধর নারী ছিলেন, যিনি বিশাল এক মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর কাছে একালের এস্কোবার এবং এল চ্যাপোকে ছ্যাঁচড়া মাদককারবারি মনে হবে।
৫ দিন আগে
শিশুসাহিত্যে চিলড্রেনস বুকার পুরস্কার চালু করেছে বুকার পুরস্কার ফাউন্ডেশন। আগামী বছর থেকে এই পুরস্কার চালু হবে এবং প্রথম বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে ২০২৭ সালের শুরুর দিকে। ৮ থেকে ১২ বছর বয়সী পাঠকদের জন্য লেখা সেরা কথাসাহিত্যের জন্য ৫০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৪৫ টাকা) দেওয়া
৫ দিন আগে
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ঢাকায় খুব কম দোকানেই মিলত গ্রিল চিকেন। এ তালিকার শীর্ষে হয়তো অনেকে রাখতে পারেন সায়েন্স ল্যাবের ছায়ানীড় কনফেকশনারি অ্যান্ড ফাস্ট ফুড নামের রেস্তোরাঁটিকে। এখন তো বহু রেস্তোরাঁতেই পাওয়া যায় খাবারটি। কিন্তু ছায়ানীড়ের গ্রিল চিকেন কিংবা চিকেন শর্মার কাছে হয়তো স্বাদে হেরে যেতে...
৫ দিন আগেসম্পাদকীয়

মামুন বিরিয়ানি হাউসের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০ সালে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পুরান ঢাকার এই রেস্তোরাঁটি গরুর তেহারি বিক্রি করে সুনাম কুড়িয়ে নেয়। শুরুর দিকে এক প্লেট তেহারির দাম ছিল মাত্র ১২ টাকা! তাদের তেহারিভর্তি হাঁড়ি খালি হতে বেশি সময় লাগে না। তাই তো মামুন বিরিয়ানির চারটি শাখা পরিচালনা করতে হচ্ছে।
একই নামে ঢাকায় আরও বিরিয়ানির দোকান থাকলেও শর্ষের তেলে তৈরি মামুনের তেহারির স্বাদ পাওয়া যায় কেবল নাজিমুদ্দীন রোডের দুটি, নাজিরাবাজার ও এলিফ্যান্ট রোডের একটি করে শাখায়। মামুন বিরিয়ানি হাউসের নব্য সংযোজন গরু ও খাসির কাচ্চি কিংবা মোরগ পোলাও হলেও তেহারির সুঘ্রাণেই সেখানে ছুটে যান ভোজনরসিকেরা। পুরান ঢাকাবাসীর জন্য হোম ডেলিভারির বিশেষ সুবিধা দেয় এই রেস্তোরাঁটি। বিয়েশাদিতে তেহারির ‘ডেগ’ ভাড়া নেবেন? তা-ও সম্ভব।
ছবি: জাহিদুল ইসলাম

মামুন বিরিয়ানি হাউসের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০ সালে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পুরান ঢাকার এই রেস্তোরাঁটি গরুর তেহারি বিক্রি করে সুনাম কুড়িয়ে নেয়। শুরুর দিকে এক প্লেট তেহারির দাম ছিল মাত্র ১২ টাকা! তাদের তেহারিভর্তি হাঁড়ি খালি হতে বেশি সময় লাগে না। তাই তো মামুন বিরিয়ানির চারটি শাখা পরিচালনা করতে হচ্ছে।
একই নামে ঢাকায় আরও বিরিয়ানির দোকান থাকলেও শর্ষের তেলে তৈরি মামুনের তেহারির স্বাদ পাওয়া যায় কেবল নাজিমুদ্দীন রোডের দুটি, নাজিরাবাজার ও এলিফ্যান্ট রোডের একটি করে শাখায়। মামুন বিরিয়ানি হাউসের নব্য সংযোজন গরু ও খাসির কাচ্চি কিংবা মোরগ পোলাও হলেও তেহারির সুঘ্রাণেই সেখানে ছুটে যান ভোজনরসিকেরা। পুরান ঢাকাবাসীর জন্য হোম ডেলিভারির বিশেষ সুবিধা দেয় এই রেস্তোরাঁটি। বিয়েশাদিতে তেহারির ‘ডেগ’ ভাড়া নেবেন? তা-ও সম্ভব।
ছবি: জাহিদুল ইসলাম

গাসসান তাঁর কবিতা রচনার ক্ষেত্রে মাহমুদ দারবিশ দ্বারা ভীষণভাবে প্রভাবিত। তবে তাঁর প্রভাব খুব একটা সাদাসিধে, সরল বা গল্প বলার ঢঙে সীমাবদ্ধ নয়; বরং তার চেয়ে আরও গভীর ও জটিল। মাহমুদ দারবিশ ও আদোনিসের মতো খ্যাতিমান পূর্বসূরিদের সুষম নান্দনিকতাকেও ছাড়িয়ে যান গাসসান।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত মাদক সম্রাট কে? হয়তো আপনি পাবলো এস্কোবার বা এল চ্যাপোর নাম বলবেন, কিন্তু আপনি ভুল! তাঁদের জন্মের প্রায় ১০০ বছর আগে এমন একজন অবিশ্বাস্য ক্ষমতাধর নারী ছিলেন, যিনি বিশাল এক মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর কাছে একালের এস্কোবার এবং এল চ্যাপোকে ছ্যাঁচড়া মাদককারবারি মনে হবে।
৫ দিন আগে
শিশুসাহিত্যে চিলড্রেনস বুকার পুরস্কার চালু করেছে বুকার পুরস্কার ফাউন্ডেশন। আগামী বছর থেকে এই পুরস্কার চালু হবে এবং প্রথম বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে ২০২৭ সালের শুরুর দিকে। ৮ থেকে ১২ বছর বয়সী পাঠকদের জন্য লেখা সেরা কথাসাহিত্যের জন্য ৫০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৪৫ টাকা) দেওয়া
৫ দিন আগে
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ঢাকায় খুব কম দোকানেই মিলত গ্রিল চিকেন। এ তালিকার শীর্ষে হয়তো অনেকে রাখতে পারেন সায়েন্স ল্যাবের ছায়ানীড় কনফেকশনারি অ্যান্ড ফাস্ট ফুড নামের রেস্তোরাঁটিকে। এখন তো বহু রেস্তোরাঁতেই পাওয়া যায় খাবারটি। কিন্তু ছায়ানীড়ের গ্রিল চিকেন কিংবা চিকেন শর্মার কাছে হয়তো স্বাদে হেরে যেতে...
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত মাদক সম্রাট কে? হয়তো আপনি পাবলো এস্কোবার বা এল চ্যাপোর নাম বলবেন, কিন্তু আপনি ভুল! তাঁদের জন্মের প্রায় ১০০ বছর আগে এমন একজন অবিশ্বাস্য ক্ষমতাধর নারী ছিলেন, যিনি বিশাল এক মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর কাছে একালের এস্কোবার এবং এল চ্যাপোকে ছ্যাঁচড়া মাদককারবারি মনে হবে। শুধু তা-ই নয়, তাঁকে কিন্তু কখনো গহিন অরণ্যের আস্তানায় সশস্ত্র রক্ষীবেষ্টিত হয়ে আত্মগোপনে থাকতে হয়নি। তাঁর মাদক কারবারের আয় গোটা দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখত। আর তাঁকে কখনো জেলে যাওয়ার চিন্তা করতে হয়নি। কারণ, মাদক-সংক্রান্ত অপরাধের শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা যাঁদের ছিল, তাঁরা সবাই ছিলেন তাঁর বেতনভুক্ত কর্মচারী!
তিনি আর কেউ নন, তিনি রানি ভিক্টোরিয়া। তাঁর হাতে ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দণ্ড।
রানি ভিক্টোরিয়া শুধু সাম্রাজ্য পরিচালনাতেই মাদক ব্যবহার করেননি, ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি ছিলেন বিভিন্ন ধরনের ড্রাগের ভক্ত। সিংহাসনে আরোহণের সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।
ভিক্টোরিয়ার অন্যতম প্রিয় মাদক ছিল আফিম। ঊনবিংশ শতাব্দীর ব্রিটেনে আফিম সেবনের ফ্যাশনেবল উপায় ছিল—অ্যালকোহলের সঙ্গে মিশিয়ে লডেনাম আকারে পান করা। তীব্র ব্যথা বা অস্বস্তি দূর করতে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো। এমনকি দাঁত ওঠার সময় শিশুদের জন্যও এটি সুপারিশ করতেন চিকিৎসকেরা। রানি ভিক্টোরিয়াও প্রতিদিন সকালে এক ঢোক লডেনাম পান করে দিন শুরু করতেন।
এ ছাড়া তিনি সেবন করতেন কোকেন। এটি তখন ছিল সম্পূর্ণ নতুন এবং বৈধ। দাঁতের ব্যথা উপশম এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য রানি কোকেন মিশ্রিত চুইংগাম ও ওয়াইন পছন্দ করতেন। প্রসবের সময় অসহনীয় যন্ত্রণা কমাতে তিনি সানন্দে ক্লোরোফর্ম গ্রহণ করেন এবং এই অভিজ্ঞতাটিকে ‘স্বর্গীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন।
১৮৩৭ সালে যখন ভিক্টোরিয়া সিংহাসনে বসেন, উত্তরাধিকারসূত্রে একটি বড় সংকটের বোঝা তাঁর ঘাড়ে চাপে—ব্রিটিশরা চীন থেকে বিপুল পরিমাণ চা আমদানি করত। এর ফলে ব্রিটেনের সব অর্থ চীনে চলে যাচ্ছিল। আর ওই সময় ব্রিটিশদের হাতে চীনে রপ্তানি করার মতো কিছু ছিল না। ব্রিটেন মরিয়া হয়ে এমন একটি পণ্যের সন্ধান করছিল, যা চীনের লোকেরা চাইবে।
এ সমস্যার সমাধান ছিল আফিম। ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত ভারতে প্রচুর আফিম উৎপাদিত হতো। এটি ছিল অত্যন্ত কার্যকর ব্যথানাশক এবং মারাত্মকভাবে আসক্তি সৃষ্টিকারী। ফলে চীনের লোকেরা এর জন্য প্রচুর দাম দিতে প্রস্তুত ছিল। রানি ভিক্টোরিয়ার শাসন শুরু হওয়ার পর, চীনে আফিমের চালান দ্রুত বাড়তে থাকে। আফিমের কল্যাণে রাতারাতি বাণিজ্য ভারসাম্য বদলে যায়। চীনই ব্রিটিশদের কাছে ঋণী হতে শুরু করে। মাদক কারবার থেকে আসা অর্থ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মোট বার্ষিক আয়ের ১৫ থেকে ২০ শতাংশে দাঁড়ায়।
চীন সরকার মরিয়া হয়ে আফিমের প্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা করে। চীনের সম্রাট এই কাজের জন্য প্রশাসক লিন জেক্সুকে নিয়োগ করেন। জেক্সু রানি ভিক্টোরিয়ার কাছে একটি চিঠি লিখে ব্রিটিশদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন—চীন যেখানে চা, রেশম ও মৃৎপাত্রের মতো উপকারী পণ্য পাঠাচ্ছে, সেখানে ব্রিটেন কেন তার বিনিময়ে কোটি কোটি মানুষকে ক্ষতিকর মাদক পাঠাচ্ছে?
রানি সেই চিঠি পড়ারও প্রয়োজন বোধ করেননি। ফলে ১৮৩৯ সালের বসন্তে লিন জেক্সু ব্রিটিশ জাহাজ বহর আটক করেন এবং প্রায় আড়াই মিলিয়ন পাউন্ড আফিম দক্ষিণ চীন সাগরে ফেলে দেন।
মাত্র ২০ বছর বয়সী রানি ভিক্টোরিয়া এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন। যেকোনো ক্ষমতাধর সাম্রাজ্যবাদী কিশোরীর মতো তাঁর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল প্রত্যাশিতই—তিনি চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এটিই ইতিহাসে প্রথম ‘আফিম যুদ্ধ’ নামে পরিচিত।
ব্রিটিশ বাহিনী চীনা সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করে এবং হাজার হাজার চীনা নাগরিককে হত্যা করে। সম্রাট বাধ্য হয়ে একটি অসম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির ফলে হংকংকে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দিতে হয়। চীনে আফিম ঢোকার জন্য আরও বন্দর খুলে দেওয়া হয় এবং চীনে বসবাসকারী ব্রিটিশ নাগরিকেরা আইনি সুরক্ষা পান।
এ ঘটনা বিশ্বজুড়ে চীন সাম্রাজ্যের অজেয় ভাবমূর্তি ভেঙে দেয়। এভাবেই একজন একগুঁয়ে কিশোরী রানি একটি প্রাচীন, মর্যাদাপূর্ণ সভ্যতাকে তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য করেন। এই নির্মম, নির্লজ্জ আত্মস্বার্থই রানি ভিক্টোরিয়াকে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল মাদক সম্রাট বানিয়ে তোলে!
তথ্যসূত্র: টাইম

ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত মাদক সম্রাট কে? হয়তো আপনি পাবলো এস্কোবার বা এল চ্যাপোর নাম বলবেন, কিন্তু আপনি ভুল! তাঁদের জন্মের প্রায় ১০০ বছর আগে এমন একজন অবিশ্বাস্য ক্ষমতাধর নারী ছিলেন, যিনি বিশাল এক মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর কাছে একালের এস্কোবার এবং এল চ্যাপোকে ছ্যাঁচড়া মাদককারবারি মনে হবে। শুধু তা-ই নয়, তাঁকে কিন্তু কখনো গহিন অরণ্যের আস্তানায় সশস্ত্র রক্ষীবেষ্টিত হয়ে আত্মগোপনে থাকতে হয়নি। তাঁর মাদক কারবারের আয় গোটা দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখত। আর তাঁকে কখনো জেলে যাওয়ার চিন্তা করতে হয়নি। কারণ, মাদক-সংক্রান্ত অপরাধের শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা যাঁদের ছিল, তাঁরা সবাই ছিলেন তাঁর বেতনভুক্ত কর্মচারী!
তিনি আর কেউ নন, তিনি রানি ভিক্টোরিয়া। তাঁর হাতে ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দণ্ড।
রানি ভিক্টোরিয়া শুধু সাম্রাজ্য পরিচালনাতেই মাদক ব্যবহার করেননি, ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি ছিলেন বিভিন্ন ধরনের ড্রাগের ভক্ত। সিংহাসনে আরোহণের সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।
ভিক্টোরিয়ার অন্যতম প্রিয় মাদক ছিল আফিম। ঊনবিংশ শতাব্দীর ব্রিটেনে আফিম সেবনের ফ্যাশনেবল উপায় ছিল—অ্যালকোহলের সঙ্গে মিশিয়ে লডেনাম আকারে পান করা। তীব্র ব্যথা বা অস্বস্তি দূর করতে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো। এমনকি দাঁত ওঠার সময় শিশুদের জন্যও এটি সুপারিশ করতেন চিকিৎসকেরা। রানি ভিক্টোরিয়াও প্রতিদিন সকালে এক ঢোক লডেনাম পান করে দিন শুরু করতেন।
এ ছাড়া তিনি সেবন করতেন কোকেন। এটি তখন ছিল সম্পূর্ণ নতুন এবং বৈধ। দাঁতের ব্যথা উপশম এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য রানি কোকেন মিশ্রিত চুইংগাম ও ওয়াইন পছন্দ করতেন। প্রসবের সময় অসহনীয় যন্ত্রণা কমাতে তিনি সানন্দে ক্লোরোফর্ম গ্রহণ করেন এবং এই অভিজ্ঞতাটিকে ‘স্বর্গীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন।
১৮৩৭ সালে যখন ভিক্টোরিয়া সিংহাসনে বসেন, উত্তরাধিকারসূত্রে একটি বড় সংকটের বোঝা তাঁর ঘাড়ে চাপে—ব্রিটিশরা চীন থেকে বিপুল পরিমাণ চা আমদানি করত। এর ফলে ব্রিটেনের সব অর্থ চীনে চলে যাচ্ছিল। আর ওই সময় ব্রিটিশদের হাতে চীনে রপ্তানি করার মতো কিছু ছিল না। ব্রিটেন মরিয়া হয়ে এমন একটি পণ্যের সন্ধান করছিল, যা চীনের লোকেরা চাইবে।
এ সমস্যার সমাধান ছিল আফিম। ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত ভারতে প্রচুর আফিম উৎপাদিত হতো। এটি ছিল অত্যন্ত কার্যকর ব্যথানাশক এবং মারাত্মকভাবে আসক্তি সৃষ্টিকারী। ফলে চীনের লোকেরা এর জন্য প্রচুর দাম দিতে প্রস্তুত ছিল। রানি ভিক্টোরিয়ার শাসন শুরু হওয়ার পর, চীনে আফিমের চালান দ্রুত বাড়তে থাকে। আফিমের কল্যাণে রাতারাতি বাণিজ্য ভারসাম্য বদলে যায়। চীনই ব্রিটিশদের কাছে ঋণী হতে শুরু করে। মাদক কারবার থেকে আসা অর্থ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মোট বার্ষিক আয়ের ১৫ থেকে ২০ শতাংশে দাঁড়ায়।
চীন সরকার মরিয়া হয়ে আফিমের প্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা করে। চীনের সম্রাট এই কাজের জন্য প্রশাসক লিন জেক্সুকে নিয়োগ করেন। জেক্সু রানি ভিক্টোরিয়ার কাছে একটি চিঠি লিখে ব্রিটিশদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন—চীন যেখানে চা, রেশম ও মৃৎপাত্রের মতো উপকারী পণ্য পাঠাচ্ছে, সেখানে ব্রিটেন কেন তার বিনিময়ে কোটি কোটি মানুষকে ক্ষতিকর মাদক পাঠাচ্ছে?
রানি সেই চিঠি পড়ারও প্রয়োজন বোধ করেননি। ফলে ১৮৩৯ সালের বসন্তে লিন জেক্সু ব্রিটিশ জাহাজ বহর আটক করেন এবং প্রায় আড়াই মিলিয়ন পাউন্ড আফিম দক্ষিণ চীন সাগরে ফেলে দেন।
মাত্র ২০ বছর বয়সী রানি ভিক্টোরিয়া এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন। যেকোনো ক্ষমতাধর সাম্রাজ্যবাদী কিশোরীর মতো তাঁর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল প্রত্যাশিতই—তিনি চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এটিই ইতিহাসে প্রথম ‘আফিম যুদ্ধ’ নামে পরিচিত।
ব্রিটিশ বাহিনী চীনা সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করে এবং হাজার হাজার চীনা নাগরিককে হত্যা করে। সম্রাট বাধ্য হয়ে একটি অসম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির ফলে হংকংকে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দিতে হয়। চীনে আফিম ঢোকার জন্য আরও বন্দর খুলে দেওয়া হয় এবং চীনে বসবাসকারী ব্রিটিশ নাগরিকেরা আইনি সুরক্ষা পান।
এ ঘটনা বিশ্বজুড়ে চীন সাম্রাজ্যের অজেয় ভাবমূর্তি ভেঙে দেয়। এভাবেই একজন একগুঁয়ে কিশোরী রানি একটি প্রাচীন, মর্যাদাপূর্ণ সভ্যতাকে তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য করেন। এই নির্মম, নির্লজ্জ আত্মস্বার্থই রানি ভিক্টোরিয়াকে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল মাদক সম্রাট বানিয়ে তোলে!
তথ্যসূত্র: টাইম

গাসসান তাঁর কবিতা রচনার ক্ষেত্রে মাহমুদ দারবিশ দ্বারা ভীষণভাবে প্রভাবিত। তবে তাঁর প্রভাব খুব একটা সাদাসিধে, সরল বা গল্প বলার ঢঙে সীমাবদ্ধ নয়; বরং তার চেয়ে আরও গভীর ও জটিল। মাহমুদ দারবিশ ও আদোনিসের মতো খ্যাতিমান পূর্বসূরিদের সুষম নান্দনিকতাকেও ছাড়িয়ে যান গাসসান।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
মামুন বিরিয়ানি হাউসের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০ সালে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পুরান ঢাকার এই রেস্তোরাঁটি গরুর তেহারি বিক্রি করে সুনাম কুড়িয়ে নেয়। শুরুর দিকে এক প্লেট তেহারির দাম ছিল মাত্র ১২ টাকা! তাদের তেহারিভর্তি হাঁড়ি খালি হতে বেশি সময় লাগে না। তাই তো মামুন বিরিয়ানির চারটি শাখা পরিচালনা করতে হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
শিশুসাহিত্যে চিলড্রেনস বুকার পুরস্কার চালু করেছে বুকার পুরস্কার ফাউন্ডেশন। আগামী বছর থেকে এই পুরস্কার চালু হবে এবং প্রথম বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে ২০২৭ সালের শুরুর দিকে। ৮ থেকে ১২ বছর বয়সী পাঠকদের জন্য লেখা সেরা কথাসাহিত্যের জন্য ৫০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৪৫ টাকা) দেওয়া
৫ দিন আগে
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ঢাকায় খুব কম দোকানেই মিলত গ্রিল চিকেন। এ তালিকার শীর্ষে হয়তো অনেকে রাখতে পারেন সায়েন্স ল্যাবের ছায়ানীড় কনফেকশনারি অ্যান্ড ফাস্ট ফুড নামের রেস্তোরাঁটিকে। এখন তো বহু রেস্তোরাঁতেই পাওয়া যায় খাবারটি। কিন্তু ছায়ানীড়ের গ্রিল চিকেন কিংবা চিকেন শর্মার কাছে হয়তো স্বাদে হেরে যেতে...
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শিশুসাহিত্যে চিলড্রেনস বুকার পুরস্কার চালু করেছে বুকার পুরস্কার ফাউন্ডেশন। আগামী বছর থেকে এই পুরস্কার চালু হবে এবং প্রথম বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে ২০২৭ সালের শুরুর দিকে। ৮ থেকে ১২ বছর বয়সী পাঠকদের জন্য লেখা সেরা কথাসাহিত্যের জন্য ৫০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৪৫ টাকা) দেওয়া হবে।
বুকার পুরস্কারের ইতিহাসে এই প্রথমবার বিচারক প্যানেলে থাকবে শিশুরাও। বর্তমান চিলড্রেনস লরিয়েট শিশুসাহিত্যিক ফ্রাঙ্ক কটরেল-বয়েস বিচারকদের উদ্বোধনী প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর সঙ্গে আরও দুজন প্রাপ্তবয়স্ক বিচারক থাকবেন, যাঁরা প্রথমে আটটি বইয়ের একটি শর্টলিস্ট তৈরি করবেন। এরপর বিজয়ী নির্ধারণে সহায়তা করার জন্য তিনজন শিশু বিচারক নির্বাচিত হবেন।
বুকার প্রাইজ ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, প্রতিবছর চিলড্রেনস বুকার প্রাইজের জন্য শর্টলিস্টেড হওয়া এবং বিজয়ী বইগুলোর ৩০ হাজার কপি শিশুদের উপহার দেওয়া হবে। ন্যাশনাল লিটারেসি ট্রাস্ট, দ্য রিডিং এজেন্সি, বুকব্যাংকস এবং চিলড্রেনস বুক প্রজেক্টসহ বিভিন্ন সহযোগী সংস্থাদের মাধ্যমে এ বইগুলো দেওয়া হবে। গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে শিশুদের ‘আনন্দ নিয়ে পড়া’র প্রবণতা। এমন সময় বুকার প্রাইজ ফাউন্ডেশন এ উদ্যোগটি নিল।
কটরেল-বয়েস বলেন, এই পুরস্কার শিশুদের উপভোগ করার মতো বই খুঁজে বের করা সহজ করে তুলবে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি শিশুরই বইয়ের জগতে ডুব দেওয়ার যে আনন্দ, তা উপভোগ করার সুযোগ পাওয়া উচিত। বিচারক প্যানেলে তাদের আমন্ত্রণ জানানোর মাধ্যমে এবং মনোনীত বইগুলো উপহার দেওয়ার মাধ্যমে হাজার হাজার শিশুকে বই পড়ার চমৎকার দুনিয়ায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটা বেশ দারুণ আয়োজন হতে যাচ্ছে।’ তিনি মজা করে বলেন, ‘চলুন, হইচই শুরু করা যাক!’
শিশুসাহিত্য জগতের শীর্ষ লেখকদের ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে এ ঘোষণা। সাবেক শিশুসাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত মালরি ব্ল্যাকম্যান, জ্যাকলিন উইলসন, মাইকেল মরপুরগো, ক্রেসিডা কাউয়েল, অ্যান ফাইন এবং জোসেফ কোয়েলোরা—সবাই নতুন এই পুরস্কারকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ইংরেজিতে লেখা বা ইংরেজিতে অনূদিত এবং যুক্তরাজ্য বা আয়ারল্যান্ডে প্রকাশিত সমসাময়িক শিশুসাহিত্যগুলোতে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের বুকার এবং আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কারের মতোই বিজয়ী লেখক ৫০ হাজার পাউন্ড এবং শর্টলিস্টেড লেখকেরা প্রত্যেকে ২ হাজার ৫০০ পাউন্ড পাবেন।
প্রথম চিলড্রেনস বুকার পুরস্কারের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ২০২৬ সালের বসন্তে। বিচারক হতে শিশুদের আবেদন প্রক্রিয়াও এই সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। সেই বছরের নভেম্বরে ঘোষণা করা হবে শর্টলিস্ট এবং শিশু বিচারকদের নাম। বিজয়ীর নাম প্রকাশ করা হবে ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে তরুণ পাঠকদের জন্য আয়োজিত একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে। ২০২৭ সালের পুরস্কারের জন্য ২০২৫ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে প্রকাশিত বই হতে হবে।
শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিল্পকলায় সমর্থন এবং জলবায়ু-সংকট মোকাবিলায় কাজ করা দাতব্য সংস্থা একেও ফাউন্ডেশনের (AKO Foundation) সহযোগিতায় এ পুরস্কার পরিচালিত হবে।
বুকার প্রাইজ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) গ্যাবি উড বলেন, ‘২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক বুকার প্রাইজ চালুর পর গত ২০ বছরে আমাদের সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী উদ্যোগ চিলড্রেনস বুকার। এর একাধিক লক্ষ্য রয়েছে। একদিকে এটি শিশুদের জন্য লেখা ভবিষ্যৎ ক্লাসিক সাহিত্যকে সম্মান জানাবে, অন্যদিকে এটি এমন একটি সামাজিক উদ্যোগ, যা তরুণদের আরও বেশি করে পড়াশোনায় অনুপ্রাণিত করবে। এর মাধ্যমেই আমরা এমন এক বীজ রোপণ করতে চাই, যেখান থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আজীবন পাঠকেরা বিকশিত হবে। আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি, শিশুদের বিশেষ করে শিশুসাহিত্যের আসল বিচারকদের মতামত শোনার জন্য।
একেও ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী ফিলিপ ল-ফোর্ড বলেন, ‘এই অংশীদারত্ব ফাউন্ডেশনের সাক্ষরতা বৃদ্ধি ও সামাজিক গতিশীলতা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। আমরা গর্বিত যে এমন একটি প্রকল্পে অবদান রাখতে পারছি, যা তরুণ পাঠকদের অনুপ্রাণিত ও ক্ষমতায়িত করবে।’
বিনো ব্রেইন নামের একটি যুব গবেষণা সংস্থা ও ন্যাশনাল লিটারেসি ট্রাস্টের সহযোগিতায় নিয়মিত পরামর্শ সেশনের মাধ্যমে শিশুরা এই পুরস্কারের গঠন প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে। ন্যাশনাল লিটারেসি ট্রাস্ট শিশুদের পড়ার অভ্যাসের দীর্ঘমেয়াদি প্রবণতা মূল্যায়নে সহায়তা করবে।
বুকার ফাউন্ডেশনের মতে, এই নতুন পুরস্কারটি শিশুসাহিত্যকে ‘সংস্কৃতির কেন্দ্রে স্থাপন’ করার একটি প্রচেষ্টা। সিইও গ্যাবি উড বলেন, ‘এই উদ্যোগের লক্ষ্য শুধু শিশুসাহিত্যে উৎকর্ষকে স্বীকৃতি দেওয়া নয়, বরং আরও বেশি তরুণকে এমন গল্প ও চরিত্র আবিষ্কারে সহায়তা করা ‘যারা তাদের সারা জীবনের সঙ্গী হয়ে থাকবে।’
বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী সাহিত্য পুরস্কার বুকার প্রাইজ প্রথম প্রদান করা হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। যুক্তরাজ্য বা আয়ারল্যান্ডে প্রকাশিত ইংরেজিতে রচিত অসাধারণ কথাসাহিত্যকে সম্মান জানাতে এই পুরস্কার প্রবর্তিত হয়।

শিশুসাহিত্যে চিলড্রেনস বুকার পুরস্কার চালু করেছে বুকার পুরস্কার ফাউন্ডেশন। আগামী বছর থেকে এই পুরস্কার চালু হবে এবং প্রথম বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে ২০২৭ সালের শুরুর দিকে। ৮ থেকে ১২ বছর বয়সী পাঠকদের জন্য লেখা সেরা কথাসাহিত্যের জন্য ৫০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৪৫ টাকা) দেওয়া হবে।
বুকার পুরস্কারের ইতিহাসে এই প্রথমবার বিচারক প্যানেলে থাকবে শিশুরাও। বর্তমান চিলড্রেনস লরিয়েট শিশুসাহিত্যিক ফ্রাঙ্ক কটরেল-বয়েস বিচারকদের উদ্বোধনী প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর সঙ্গে আরও দুজন প্রাপ্তবয়স্ক বিচারক থাকবেন, যাঁরা প্রথমে আটটি বইয়ের একটি শর্টলিস্ট তৈরি করবেন। এরপর বিজয়ী নির্ধারণে সহায়তা করার জন্য তিনজন শিশু বিচারক নির্বাচিত হবেন।
বুকার প্রাইজ ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, প্রতিবছর চিলড্রেনস বুকার প্রাইজের জন্য শর্টলিস্টেড হওয়া এবং বিজয়ী বইগুলোর ৩০ হাজার কপি শিশুদের উপহার দেওয়া হবে। ন্যাশনাল লিটারেসি ট্রাস্ট, দ্য রিডিং এজেন্সি, বুকব্যাংকস এবং চিলড্রেনস বুক প্রজেক্টসহ বিভিন্ন সহযোগী সংস্থাদের মাধ্যমে এ বইগুলো দেওয়া হবে। গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে শিশুদের ‘আনন্দ নিয়ে পড়া’র প্রবণতা। এমন সময় বুকার প্রাইজ ফাউন্ডেশন এ উদ্যোগটি নিল।
কটরেল-বয়েস বলেন, এই পুরস্কার শিশুদের উপভোগ করার মতো বই খুঁজে বের করা সহজ করে তুলবে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি শিশুরই বইয়ের জগতে ডুব দেওয়ার যে আনন্দ, তা উপভোগ করার সুযোগ পাওয়া উচিত। বিচারক প্যানেলে তাদের আমন্ত্রণ জানানোর মাধ্যমে এবং মনোনীত বইগুলো উপহার দেওয়ার মাধ্যমে হাজার হাজার শিশুকে বই পড়ার চমৎকার দুনিয়ায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটা বেশ দারুণ আয়োজন হতে যাচ্ছে।’ তিনি মজা করে বলেন, ‘চলুন, হইচই শুরু করা যাক!’
শিশুসাহিত্য জগতের শীর্ষ লেখকদের ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে এ ঘোষণা। সাবেক শিশুসাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত মালরি ব্ল্যাকম্যান, জ্যাকলিন উইলসন, মাইকেল মরপুরগো, ক্রেসিডা কাউয়েল, অ্যান ফাইন এবং জোসেফ কোয়েলোরা—সবাই নতুন এই পুরস্কারকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ইংরেজিতে লেখা বা ইংরেজিতে অনূদিত এবং যুক্তরাজ্য বা আয়ারল্যান্ডে প্রকাশিত সমসাময়িক শিশুসাহিত্যগুলোতে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের বুকার এবং আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কারের মতোই বিজয়ী লেখক ৫০ হাজার পাউন্ড এবং শর্টলিস্টেড লেখকেরা প্রত্যেকে ২ হাজার ৫০০ পাউন্ড পাবেন।
প্রথম চিলড্রেনস বুকার পুরস্কারের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ২০২৬ সালের বসন্তে। বিচারক হতে শিশুদের আবেদন প্রক্রিয়াও এই সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। সেই বছরের নভেম্বরে ঘোষণা করা হবে শর্টলিস্ট এবং শিশু বিচারকদের নাম। বিজয়ীর নাম প্রকাশ করা হবে ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে তরুণ পাঠকদের জন্য আয়োজিত একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে। ২০২৭ সালের পুরস্কারের জন্য ২০২৫ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে প্রকাশিত বই হতে হবে।
শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিল্পকলায় সমর্থন এবং জলবায়ু-সংকট মোকাবিলায় কাজ করা দাতব্য সংস্থা একেও ফাউন্ডেশনের (AKO Foundation) সহযোগিতায় এ পুরস্কার পরিচালিত হবে।
বুকার প্রাইজ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) গ্যাবি উড বলেন, ‘২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক বুকার প্রাইজ চালুর পর গত ২০ বছরে আমাদের সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী উদ্যোগ চিলড্রেনস বুকার। এর একাধিক লক্ষ্য রয়েছে। একদিকে এটি শিশুদের জন্য লেখা ভবিষ্যৎ ক্লাসিক সাহিত্যকে সম্মান জানাবে, অন্যদিকে এটি এমন একটি সামাজিক উদ্যোগ, যা তরুণদের আরও বেশি করে পড়াশোনায় অনুপ্রাণিত করবে। এর মাধ্যমেই আমরা এমন এক বীজ রোপণ করতে চাই, যেখান থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আজীবন পাঠকেরা বিকশিত হবে। আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি, শিশুদের বিশেষ করে শিশুসাহিত্যের আসল বিচারকদের মতামত শোনার জন্য।
একেও ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী ফিলিপ ল-ফোর্ড বলেন, ‘এই অংশীদারত্ব ফাউন্ডেশনের সাক্ষরতা বৃদ্ধি ও সামাজিক গতিশীলতা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। আমরা গর্বিত যে এমন একটি প্রকল্পে অবদান রাখতে পারছি, যা তরুণ পাঠকদের অনুপ্রাণিত ও ক্ষমতায়িত করবে।’
বিনো ব্রেইন নামের একটি যুব গবেষণা সংস্থা ও ন্যাশনাল লিটারেসি ট্রাস্টের সহযোগিতায় নিয়মিত পরামর্শ সেশনের মাধ্যমে শিশুরা এই পুরস্কারের গঠন প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে। ন্যাশনাল লিটারেসি ট্রাস্ট শিশুদের পড়ার অভ্যাসের দীর্ঘমেয়াদি প্রবণতা মূল্যায়নে সহায়তা করবে।
বুকার ফাউন্ডেশনের মতে, এই নতুন পুরস্কারটি শিশুসাহিত্যকে ‘সংস্কৃতির কেন্দ্রে স্থাপন’ করার একটি প্রচেষ্টা। সিইও গ্যাবি উড বলেন, ‘এই উদ্যোগের লক্ষ্য শুধু শিশুসাহিত্যে উৎকর্ষকে স্বীকৃতি দেওয়া নয়, বরং আরও বেশি তরুণকে এমন গল্প ও চরিত্র আবিষ্কারে সহায়তা করা ‘যারা তাদের সারা জীবনের সঙ্গী হয়ে থাকবে।’
বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী সাহিত্য পুরস্কার বুকার প্রাইজ প্রথম প্রদান করা হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। যুক্তরাজ্য বা আয়ারল্যান্ডে প্রকাশিত ইংরেজিতে রচিত অসাধারণ কথাসাহিত্যকে সম্মান জানাতে এই পুরস্কার প্রবর্তিত হয়।

গাসসান তাঁর কবিতা রচনার ক্ষেত্রে মাহমুদ দারবিশ দ্বারা ভীষণভাবে প্রভাবিত। তবে তাঁর প্রভাব খুব একটা সাদাসিধে, সরল বা গল্প বলার ঢঙে সীমাবদ্ধ নয়; বরং তার চেয়ে আরও গভীর ও জটিল। মাহমুদ দারবিশ ও আদোনিসের মতো খ্যাতিমান পূর্বসূরিদের সুষম নান্দনিকতাকেও ছাড়িয়ে যান গাসসান।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
মামুন বিরিয়ানি হাউসের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০ সালে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পুরান ঢাকার এই রেস্তোরাঁটি গরুর তেহারি বিক্রি করে সুনাম কুড়িয়ে নেয়। শুরুর দিকে এক প্লেট তেহারির দাম ছিল মাত্র ১২ টাকা! তাদের তেহারিভর্তি হাঁড়ি খালি হতে বেশি সময় লাগে না। তাই তো মামুন বিরিয়ানির চারটি শাখা পরিচালনা করতে হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত মাদক সম্রাট কে? হয়তো আপনি পাবলো এস্কোবার বা এল চ্যাপোর নাম বলবেন, কিন্তু আপনি ভুল! তাঁদের জন্মের প্রায় ১০০ বছর আগে এমন একজন অবিশ্বাস্য ক্ষমতাধর নারী ছিলেন, যিনি বিশাল এক মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর কাছে একালের এস্কোবার এবং এল চ্যাপোকে ছ্যাঁচড়া মাদককারবারি মনে হবে।
৫ দিন আগে
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ঢাকায় খুব কম দোকানেই মিলত গ্রিল চিকেন। এ তালিকার শীর্ষে হয়তো অনেকে রাখতে পারেন সায়েন্স ল্যাবের ছায়ানীড় কনফেকশনারি অ্যান্ড ফাস্ট ফুড নামের রেস্তোরাঁটিকে। এখন তো বহু রেস্তোরাঁতেই পাওয়া যায় খাবারটি। কিন্তু ছায়ানীড়ের গ্রিল চিকেন কিংবা চিকেন শর্মার কাছে হয়তো স্বাদে হেরে যেতে...
৫ দিন আগেসম্পাদকীয়

নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ঢাকায় খুব কম দোকানেই মিলত গ্রিল চিকেন। এ তালিকার শীর্ষে হয়তো অনেকে রাখতে পারেন সায়েন্স ল্যাবের ছায়ানীড় কনফেকশনারি অ্যান্ড ফাস্ট ফুড নামের রেস্তোরাঁটিকে। এখন তো বহু রেস্তোরাঁতেই পাওয়া যায় খাবারটি। কিন্তু ছায়ানীড়ের গ্রিল চিকেন কিংবা চিকেন শর্মার কাছে হয়তো স্বাদে হেরে যেতে পারে অন্য জায়গার এসব খাবার। অন্তত ছায়ানীড়ের নিয়মিত ভক্ত-গ্রাহকেরা এমন দাবি করতেই পারেন। তাতে দোষের কিছু নেই।
তাই হয়তো এখনো রেস্তোরাঁটির সামনে ভিড় লেগে থাকে। ব্যস্ত সড়কের পাশ থেকে যখন মুরগি পোড়ার সুঘ্রাণ পাওয়া যায়, তখন পথে যেতে অনেকেই হয়তো বিরতি নিয়ে কিনে নেন ছায়ানীড়ের শর্মা বা গ্রিল চিকেন। ভেতরে বসে খেতে হলে লম্বা লাইনে যেমন দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, আবার পার্সেল নিতে গেলেও অপেক্ষা করতে হয়। প্রাত্যহিক এ দৃশ্য ছায়ানীড়ের জনপ্রিয়তার প্রমাণ। বিরিয়ানি ও অন্যান্য ফাস্ট ফুড খাবারও পাওয়া যায় এখানে।
ছবি: ওমর ফারুক

নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ঢাকায় খুব কম দোকানেই মিলত গ্রিল চিকেন। এ তালিকার শীর্ষে হয়তো অনেকে রাখতে পারেন সায়েন্স ল্যাবের ছায়ানীড় কনফেকশনারি অ্যান্ড ফাস্ট ফুড নামের রেস্তোরাঁটিকে। এখন তো বহু রেস্তোরাঁতেই পাওয়া যায় খাবারটি। কিন্তু ছায়ানীড়ের গ্রিল চিকেন কিংবা চিকেন শর্মার কাছে হয়তো স্বাদে হেরে যেতে পারে অন্য জায়গার এসব খাবার। অন্তত ছায়ানীড়ের নিয়মিত ভক্ত-গ্রাহকেরা এমন দাবি করতেই পারেন। তাতে দোষের কিছু নেই।
তাই হয়তো এখনো রেস্তোরাঁটির সামনে ভিড় লেগে থাকে। ব্যস্ত সড়কের পাশ থেকে যখন মুরগি পোড়ার সুঘ্রাণ পাওয়া যায়, তখন পথে যেতে অনেকেই হয়তো বিরতি নিয়ে কিনে নেন ছায়ানীড়ের শর্মা বা গ্রিল চিকেন। ভেতরে বসে খেতে হলে লম্বা লাইনে যেমন দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, আবার পার্সেল নিতে গেলেও অপেক্ষা করতে হয়। প্রাত্যহিক এ দৃশ্য ছায়ানীড়ের জনপ্রিয়তার প্রমাণ। বিরিয়ানি ও অন্যান্য ফাস্ট ফুড খাবারও পাওয়া যায় এখানে।
ছবি: ওমর ফারুক

গাসসান তাঁর কবিতা রচনার ক্ষেত্রে মাহমুদ দারবিশ দ্বারা ভীষণভাবে প্রভাবিত। তবে তাঁর প্রভাব খুব একটা সাদাসিধে, সরল বা গল্প বলার ঢঙে সীমাবদ্ধ নয়; বরং তার চেয়ে আরও গভীর ও জটিল। মাহমুদ দারবিশ ও আদোনিসের মতো খ্যাতিমান পূর্বসূরিদের সুষম নান্দনিকতাকেও ছাড়িয়ে যান গাসসান।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
মামুন বিরিয়ানি হাউসের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০ সালে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পুরান ঢাকার এই রেস্তোরাঁটি গরুর তেহারি বিক্রি করে সুনাম কুড়িয়ে নেয়। শুরুর দিকে এক প্লেট তেহারির দাম ছিল মাত্র ১২ টাকা! তাদের তেহারিভর্তি হাঁড়ি খালি হতে বেশি সময় লাগে না। তাই তো মামুন বিরিয়ানির চারটি শাখা পরিচালনা করতে হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত মাদক সম্রাট কে? হয়তো আপনি পাবলো এস্কোবার বা এল চ্যাপোর নাম বলবেন, কিন্তু আপনি ভুল! তাঁদের জন্মের প্রায় ১০০ বছর আগে এমন একজন অবিশ্বাস্য ক্ষমতাধর নারী ছিলেন, যিনি বিশাল এক মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর কাছে একালের এস্কোবার এবং এল চ্যাপোকে ছ্যাঁচড়া মাদককারবারি মনে হবে।
৫ দিন আগে
শিশুসাহিত্যে চিলড্রেনস বুকার পুরস্কার চালু করেছে বুকার পুরস্কার ফাউন্ডেশন। আগামী বছর থেকে এই পুরস্কার চালু হবে এবং প্রথম বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে ২০২৭ সালের শুরুর দিকে। ৮ থেকে ১২ বছর বয়সী পাঠকদের জন্য লেখা সেরা কথাসাহিত্যের জন্য ৫০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৪৫ টাকা) দেওয়া
৫ দিন আগে