সম্পাদকীয়

ঋতুপর্ণ ঘোষ শুধু একজন প্রতিভাবান পরিচালকই ছিলেন না, তিনি একাধারে চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, অভিনেতা ও পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও সফল ছিলেন। সংলাপ রচনার ক্ষেত্রেও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। নব্বইয়ের দশকের গোড়া পর্যন্ত কলকাতার সিনেমায় যে বন্ধ্যত্ব চলছিল, তা কাটিয়ে উঠতে তাঁর অবদান ছিল অসামান্য।
ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্ম কলকাতায়, ১৯৬৩ সালের ৩১ আগস্ট। তাঁর কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার হাতেখড়ি হয়েছিল। ১৯৮২ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হয়ে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৮৭ সালে তিনি যোগ দিয়েছিলেন একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট হিসেবে। আশির দশকে বাংলা বিজ্ঞাপনী জগতে জনপ্রিয় এক লাইনের স্লোগান বেরিয়েছিল তাঁর হাত ধরে। তিনিই বাংলায় স্বতন্ত্র এই বিজ্ঞাপনী স্লোগানের ধারা সৃষ্টি করেছিলেন।
১৯৯২ সালে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র ‘হীরের আংটি’ মুক্তি পায়। এরপর শুধু তাঁর সফলতার পালা শুরু। জীবনে তাঁর নির্মিত ১৯টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ১২টিই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনের ওপর ‘জীবনস্মৃতি’ নামে একটি তথ্যচিত্রও নির্মাণ করেন।
২০০৪ সালে তাঁর প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র ‘রেইনকোট’ মুক্তি পায়, যেটি মনোজ বসুর ছোটগল্প ‘প্রতিহিংসা’ এবং ও হেনরির ছোট গল্পের ‘দ্য গিফট অব দ্য ম্যাজাই’ অবলম্বনে তৈরি। একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই পরিচালকের কয়েকটি সিনেমার নাম না নিলেই নয়—ঊনিশে এপ্রিল, দহন, চোখের বালি, আবহমান, নৌকাডুবি, চিত্রাঙ্গদা ইত্যাদি। তাঁর সিনেমায় অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ বচ্চন, শর্মিলা ঠাকুর, অভিষেক বচ্চন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, সোহা আলী খান, বিপাশা বসু, অর্জুন রামপাল, অজয় দেবগনসহ অন্যান্য খ্যাতনামা শিল্পী।
তিনি সম্পাদনা করেছেন জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্র ম্যাগাজিন ‘আনন্দলোক’ এবং বাংলা দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের ‘রোববার’ পাতাটি।
গুণী এই চলচ্চিত্র পরিচালক ২০১৩ সালের ৩০ মে মাত্র ৪৯ বছর বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

ঋতুপর্ণ ঘোষ শুধু একজন প্রতিভাবান পরিচালকই ছিলেন না, তিনি একাধারে চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, অভিনেতা ও পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও সফল ছিলেন। সংলাপ রচনার ক্ষেত্রেও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। নব্বইয়ের দশকের গোড়া পর্যন্ত কলকাতার সিনেমায় যে বন্ধ্যত্ব চলছিল, তা কাটিয়ে উঠতে তাঁর অবদান ছিল অসামান্য।
ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্ম কলকাতায়, ১৯৬৩ সালের ৩১ আগস্ট। তাঁর কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার হাতেখড়ি হয়েছিল। ১৯৮২ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হয়ে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৮৭ সালে তিনি যোগ দিয়েছিলেন একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট হিসেবে। আশির দশকে বাংলা বিজ্ঞাপনী জগতে জনপ্রিয় এক লাইনের স্লোগান বেরিয়েছিল তাঁর হাত ধরে। তিনিই বাংলায় স্বতন্ত্র এই বিজ্ঞাপনী স্লোগানের ধারা সৃষ্টি করেছিলেন।
১৯৯২ সালে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র ‘হীরের আংটি’ মুক্তি পায়। এরপর শুধু তাঁর সফলতার পালা শুরু। জীবনে তাঁর নির্মিত ১৯টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ১২টিই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনের ওপর ‘জীবনস্মৃতি’ নামে একটি তথ্যচিত্রও নির্মাণ করেন।
২০০৪ সালে তাঁর প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র ‘রেইনকোট’ মুক্তি পায়, যেটি মনোজ বসুর ছোটগল্প ‘প্রতিহিংসা’ এবং ও হেনরির ছোট গল্পের ‘দ্য গিফট অব দ্য ম্যাজাই’ অবলম্বনে তৈরি। একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই পরিচালকের কয়েকটি সিনেমার নাম না নিলেই নয়—ঊনিশে এপ্রিল, দহন, চোখের বালি, আবহমান, নৌকাডুবি, চিত্রাঙ্গদা ইত্যাদি। তাঁর সিনেমায় অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ বচ্চন, শর্মিলা ঠাকুর, অভিষেক বচ্চন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, সোহা আলী খান, বিপাশা বসু, অর্জুন রামপাল, অজয় দেবগনসহ অন্যান্য খ্যাতনামা শিল্পী।
তিনি সম্পাদনা করেছেন জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্র ম্যাগাজিন ‘আনন্দলোক’ এবং বাংলা দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের ‘রোববার’ পাতাটি।
গুণী এই চলচ্চিত্র পরিচালক ২০১৩ সালের ৩০ মে মাত্র ৪৯ বছর বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
সম্পাদকীয়

ঋতুপর্ণ ঘোষ শুধু একজন প্রতিভাবান পরিচালকই ছিলেন না, তিনি একাধারে চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, অভিনেতা ও পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও সফল ছিলেন। সংলাপ রচনার ক্ষেত্রেও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। নব্বইয়ের দশকের গোড়া পর্যন্ত কলকাতার সিনেমায় যে বন্ধ্যত্ব চলছিল, তা কাটিয়ে উঠতে তাঁর অবদান ছিল অসামান্য।
ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্ম কলকাতায়, ১৯৬৩ সালের ৩১ আগস্ট। তাঁর কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার হাতেখড়ি হয়েছিল। ১৯৮২ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হয়ে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৮৭ সালে তিনি যোগ দিয়েছিলেন একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট হিসেবে। আশির দশকে বাংলা বিজ্ঞাপনী জগতে জনপ্রিয় এক লাইনের স্লোগান বেরিয়েছিল তাঁর হাত ধরে। তিনিই বাংলায় স্বতন্ত্র এই বিজ্ঞাপনী স্লোগানের ধারা সৃষ্টি করেছিলেন।
১৯৯২ সালে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র ‘হীরের আংটি’ মুক্তি পায়। এরপর শুধু তাঁর সফলতার পালা শুরু। জীবনে তাঁর নির্মিত ১৯টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ১২টিই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনের ওপর ‘জীবনস্মৃতি’ নামে একটি তথ্যচিত্রও নির্মাণ করেন।
২০০৪ সালে তাঁর প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র ‘রেইনকোট’ মুক্তি পায়, যেটি মনোজ বসুর ছোটগল্প ‘প্রতিহিংসা’ এবং ও হেনরির ছোট গল্পের ‘দ্য গিফট অব দ্য ম্যাজাই’ অবলম্বনে তৈরি। একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই পরিচালকের কয়েকটি সিনেমার নাম না নিলেই নয়—ঊনিশে এপ্রিল, দহন, চোখের বালি, আবহমান, নৌকাডুবি, চিত্রাঙ্গদা ইত্যাদি। তাঁর সিনেমায় অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ বচ্চন, শর্মিলা ঠাকুর, অভিষেক বচ্চন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, সোহা আলী খান, বিপাশা বসু, অর্জুন রামপাল, অজয় দেবগনসহ অন্যান্য খ্যাতনামা শিল্পী।
তিনি সম্পাদনা করেছেন জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্র ম্যাগাজিন ‘আনন্দলোক’ এবং বাংলা দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের ‘রোববার’ পাতাটি।
গুণী এই চলচ্চিত্র পরিচালক ২০১৩ সালের ৩০ মে মাত্র ৪৯ বছর বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

ঋতুপর্ণ ঘোষ শুধু একজন প্রতিভাবান পরিচালকই ছিলেন না, তিনি একাধারে চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, অভিনেতা ও পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও সফল ছিলেন। সংলাপ রচনার ক্ষেত্রেও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। নব্বইয়ের দশকের গোড়া পর্যন্ত কলকাতার সিনেমায় যে বন্ধ্যত্ব চলছিল, তা কাটিয়ে উঠতে তাঁর অবদান ছিল অসামান্য।
ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্ম কলকাতায়, ১৯৬৩ সালের ৩১ আগস্ট। তাঁর কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার হাতেখড়ি হয়েছিল। ১৯৮২ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হয়ে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৮৭ সালে তিনি যোগ দিয়েছিলেন একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট হিসেবে। আশির দশকে বাংলা বিজ্ঞাপনী জগতে জনপ্রিয় এক লাইনের স্লোগান বেরিয়েছিল তাঁর হাত ধরে। তিনিই বাংলায় স্বতন্ত্র এই বিজ্ঞাপনী স্লোগানের ধারা সৃষ্টি করেছিলেন।
১৯৯২ সালে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র ‘হীরের আংটি’ মুক্তি পায়। এরপর শুধু তাঁর সফলতার পালা শুরু। জীবনে তাঁর নির্মিত ১৯টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ১২টিই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনের ওপর ‘জীবনস্মৃতি’ নামে একটি তথ্যচিত্রও নির্মাণ করেন।
২০০৪ সালে তাঁর প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র ‘রেইনকোট’ মুক্তি পায়, যেটি মনোজ বসুর ছোটগল্প ‘প্রতিহিংসা’ এবং ও হেনরির ছোট গল্পের ‘দ্য গিফট অব দ্য ম্যাজাই’ অবলম্বনে তৈরি। একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই পরিচালকের কয়েকটি সিনেমার নাম না নিলেই নয়—ঊনিশে এপ্রিল, দহন, চোখের বালি, আবহমান, নৌকাডুবি, চিত্রাঙ্গদা ইত্যাদি। তাঁর সিনেমায় অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ বচ্চন, শর্মিলা ঠাকুর, অভিষেক বচ্চন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, সোহা আলী খান, বিপাশা বসু, অর্জুন রামপাল, অজয় দেবগনসহ অন্যান্য খ্যাতনামা শিল্পী।
তিনি সম্পাদনা করেছেন জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্র ম্যাগাজিন ‘আনন্দলোক’ এবং বাংলা দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের ‘রোববার’ পাতাটি।
গুণী এই চলচ্চিত্র পরিচালক ২০১৩ সালের ৩০ মে মাত্র ৪৯ বছর বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন।
২ দিন আগে
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
৫ দিন আগে
১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির...
৭ দিন আগে
চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না।
৮ দিন আগেসম্পাদকীয়

আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন। বলা হয়, চিত্তরঞ্জন দাশের জীবনদর্শনে প্রভাবিত হয়েই শচীমোহন রেস্তোরাঁটির নাম দেন ‘দেশবন্ধু সুইটমিট অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’। এর উল্টো দিকে তখন ছিল ইত্তেফাক পত্রিকার অফিস।
সেখানকার সাংবাদিকেরা দেশবন্ধুর পরোটা-লুচি-ভাজি-হালুয়া খেতে যেতেন নিয়মিত। কবি-সাহিত্যিক-অভিনয়শিল্পীরাও পছন্দ করতেন এই রেস্তোরাঁর খাবার। এমনকি এফডিসিতে ফরমাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হতো দেশবন্ধুর নাশতা। এখন হয়তো মানিক মিয়া, রাজ্জাক, কবরী কিংবা শাবানাদের মতো বিখ্যাতরা সেখানে যান না কিন্তু তাতে দেশবন্ধুর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি একটুও। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখনো ঢাকাবাসীর ভিড় দেখা যায় এই রেস্তোরাঁয়। ভাবা যায়, সারা দিনই এখানকার পরোটা-ভাজি বিক্রি হতে থাকে! দুপুরে অবশ্য খাবারের তালিকায় ভাত-মাছ-মাংসও আছে। ছবি: মেহেদী হাসান

আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন। বলা হয়, চিত্তরঞ্জন দাশের জীবনদর্শনে প্রভাবিত হয়েই শচীমোহন রেস্তোরাঁটির নাম দেন ‘দেশবন্ধু সুইটমিট অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’। এর উল্টো দিকে তখন ছিল ইত্তেফাক পত্রিকার অফিস।
সেখানকার সাংবাদিকেরা দেশবন্ধুর পরোটা-লুচি-ভাজি-হালুয়া খেতে যেতেন নিয়মিত। কবি-সাহিত্যিক-অভিনয়শিল্পীরাও পছন্দ করতেন এই রেস্তোরাঁর খাবার। এমনকি এফডিসিতে ফরমাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হতো দেশবন্ধুর নাশতা। এখন হয়তো মানিক মিয়া, রাজ্জাক, কবরী কিংবা শাবানাদের মতো বিখ্যাতরা সেখানে যান না কিন্তু তাতে দেশবন্ধুর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি একটুও। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখনো ঢাকাবাসীর ভিড় দেখা যায় এই রেস্তোরাঁয়। ভাবা যায়, সারা দিনই এখানকার পরোটা-ভাজি বিক্রি হতে থাকে! দুপুরে অবশ্য খাবারের তালিকায় ভাত-মাছ-মাংসও আছে। ছবি: মেহেদী হাসান

ঋতুপর্ণ ঘোষ শুধু একজন প্রতিভাবান পরিচালকই ছিলেন না, তিনি একাধারে চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, অভিনেতা ও পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও সফল ছিলেন। সংলাপ রচনার ক্ষেত্রেও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। নব্বইয়ের দশকের গোড়া পর্যন্ত কলকাতার সিনেমায় যে বন্ধ্যত্ব চলছিল, তা কাটিয়ে উঠতে তাঁর অবদান ছিল অসামান্য।
৩০ মে ২০২৪
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
৫ দিন আগে
১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির...
৭ দিন আগে
চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না।
৮ দিন আগেকুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ও সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দা শাহীনা সোবহান।
ড. নাসের ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. আবু নাসের রাজীবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক জামানুল ইসলাম ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা বিশ্বজিৎ সাহা, কুমারখালী সাহিত্য সংসদের সভাপতি কবি রহমান আজিজ, কবি রজত হুদা ও কবি সবুর বাদশা। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কবি ও কথাসাহিত্যিক সোহেল আমিন বাবু, কবি বাবলু জোয়ার্দার, কবি ও সাংবাদিক মাহমুদ শরীফ, জিটিভির কুষ্টিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক কাজী সাইফুল, দৈনিক নয়া দিগন্তের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি (মাল্টিমিডিয়া) সোহাগ মাহমুদ প্রমুখ।
এ সাহিত্য আড্ডায় কুষ্টিয়া ও কুমারখালীর কবি-সাহিত্যিকেরা অংশ নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী জিয়াউর রহমান মানিক।

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ও সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দা শাহীনা সোবহান।
ড. নাসের ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. আবু নাসের রাজীবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক জামানুল ইসলাম ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা বিশ্বজিৎ সাহা, কুমারখালী সাহিত্য সংসদের সভাপতি কবি রহমান আজিজ, কবি রজত হুদা ও কবি সবুর বাদশা। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কবি ও কথাসাহিত্যিক সোহেল আমিন বাবু, কবি বাবলু জোয়ার্দার, কবি ও সাংবাদিক মাহমুদ শরীফ, জিটিভির কুষ্টিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক কাজী সাইফুল, দৈনিক নয়া দিগন্তের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি (মাল্টিমিডিয়া) সোহাগ মাহমুদ প্রমুখ।
এ সাহিত্য আড্ডায় কুষ্টিয়া ও কুমারখালীর কবি-সাহিত্যিকেরা অংশ নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী জিয়াউর রহমান মানিক।

ঋতুপর্ণ ঘোষ শুধু একজন প্রতিভাবান পরিচালকই ছিলেন না, তিনি একাধারে চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, অভিনেতা ও পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও সফল ছিলেন। সংলাপ রচনার ক্ষেত্রেও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। নব্বইয়ের দশকের গোড়া পর্যন্ত কলকাতার সিনেমায় যে বন্ধ্যত্ব চলছিল, তা কাটিয়ে উঠতে তাঁর অবদান ছিল অসামান্য।
৩০ মে ২০২৪
আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন।
২ দিন আগে
১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির...
৭ দিন আগে
চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না।
৮ দিন আগেসম্পাদকীয়

১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির সরদার ভবনে সরে আসে নান্না মিয়ার ব্যবসা। দোকানের নাম হয় হাজি নান্না বিরিয়ানি।
একে একে লালবাগ চৌরাস্তা, নবাবগঞ্জ বাজার, ফকিরাপুল ও নাজিমুদ্দিন রোডে এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। একই নামে শত শত ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও আসল নান্নার মোরগ পোলাওয়ের স্বাদকে টেক্কা দিতে পারেনি কেউ। তাই তো ভোজনপ্রেমীরা ঠিকই চিনে নেন আদি রেসিপিটি। মোরগ পোলাওয়ের পাশাপাশি হাজি নান্না বিরিয়ানিতে পাওয়া যায় খাসির বিরিয়ানি, খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি, বোরহানি, টিকিয়া, লাবাং ও ফিরনি। প্রতি মাসের ৫ তারিখে থাকে বিশেষ আয়োজন—আস্ত মুরগির পোলাও। ছবি: জাহিদুল ইসলাম

১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির সরদার ভবনে সরে আসে নান্না মিয়ার ব্যবসা। দোকানের নাম হয় হাজি নান্না বিরিয়ানি।
একে একে লালবাগ চৌরাস্তা, নবাবগঞ্জ বাজার, ফকিরাপুল ও নাজিমুদ্দিন রোডে এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। একই নামে শত শত ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও আসল নান্নার মোরগ পোলাওয়ের স্বাদকে টেক্কা দিতে পারেনি কেউ। তাই তো ভোজনপ্রেমীরা ঠিকই চিনে নেন আদি রেসিপিটি। মোরগ পোলাওয়ের পাশাপাশি হাজি নান্না বিরিয়ানিতে পাওয়া যায় খাসির বিরিয়ানি, খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি, বোরহানি, টিকিয়া, লাবাং ও ফিরনি। প্রতি মাসের ৫ তারিখে থাকে বিশেষ আয়োজন—আস্ত মুরগির পোলাও। ছবি: জাহিদুল ইসলাম

ঋতুপর্ণ ঘোষ শুধু একজন প্রতিভাবান পরিচালকই ছিলেন না, তিনি একাধারে চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, অভিনেতা ও পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও সফল ছিলেন। সংলাপ রচনার ক্ষেত্রেও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। নব্বইয়ের দশকের গোড়া পর্যন্ত কলকাতার সিনেমায় যে বন্ধ্যত্ব চলছিল, তা কাটিয়ে উঠতে তাঁর অবদান ছিল অসামান্য।
৩০ মে ২০২৪
আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন।
২ দিন আগে
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
৫ দিন আগে
চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না।
৮ দিন আগেসম্পাদকীয়

চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না। ব্যাপারটা ভদ্রলোক করেছিলেন ১৯৩৬ সালে, এ কথা ভুলবেন না। আর সেই যে সেই ‘উত্তরায়ণ’-এ বড়ুয়া সাহেবের জ্বর হওয়ার পরে ক্যামেরা সোজা সিঁড়ি দিয়ে উঠে বিছানায় গিয়ে আছড়ে পড়ল—সেটাই কি ভোলা যায়! কাণ্ডটা ঘটিয়েছেন ভদ্রলোক ডেভিড লিনের ‘অলিভার টুইস্ট’-এর বহু আগে। সাবজেকটিভ ক্যামেরা সম্পর্কে অনেক কথা আজকাল শুনতে পাই, বিভিন্ন পরিচালক নাকি খুব ভালোভাবে ব্যবহার করছেন।
...আমার কাছে গুলিয়ে গেছে সিনেমার প্রাচীন আর আধুনিক বলতে আপনারা কী বোঝাতে চেয়েছেন। এসব ধরনের কথা শুনলে আমার একটা কথাই মনে হয়, কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় ‘দে গরুর গা ধুইয়ে’।
...চলচ্চিত্রের সামাজিক দায়িত্ব সব সময়ে হয়েছে। হয় পজিটিভ, না হয় নেগেটিভভাবে। ছবিটাকে আমি একটা শিল্প বলি। কাজেই মনে করি সর্বশিল্পের শর্ত পালিত হচ্ছে এখানেও। আমি মনে করি না যে সত্যজিৎ রায়ের ‘চারুলতা’ চ্যাপলিনের ‘এসানে’ যুগের এক রিলের ছবিগুলোর চেয়ে বেশি সচেতন।
১৯২৫ সালে তোলা আইজেনস্টাইনের ‘স্ট্রাইক’ ছবির চেয়ে বেশি সমাজসচেতন ছবি কি আজ পর্যন্ত তোলা হয়েছে? পাবস্ট-এর ‘কামেরা ডে শেফট’ আজও পর্যন্ত আমার কাছে মনে হয় সবচেয়ে বেশি সমাজসচেতন একটি ছবি। চারু রায়ের ‘বাংলার মেয়ে’ বহু আগে তোলা—প্রথম বাংলা ছবি, যাতে আউটডোর ব্যবহৃত হয় সবচেয়ে বেশিভাবে, তাতেও সমাজচেতনা পরিপূর্ণ ছিল।
...রবিঠাকুর মশায় একটা বড় ভালো কথা বলে গিয়েছিলেন, ‘শিল্পকে শিল্প হতে হলে সর্বাগ্রে সত্যনিষ্ঠ হতে হয়, তারপরে সৌন্দর্যনিষ্ঠ’। কথাটা ভাবার মতো। যদি পারেন ভেবে দেখবেন।
সূত্র: ঋত্বিক ঘটকের গৃহীত সাক্ষাৎকার, ‘সাক্ষাৎ ঋত্বিক’, শিবাদিত্য দাশগুপ্ত ও সন্দীপন ভট্টাচার্য সম্পাদিত, পৃষ্ঠা ১৮-১৯

চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না। ব্যাপারটা ভদ্রলোক করেছিলেন ১৯৩৬ সালে, এ কথা ভুলবেন না। আর সেই যে সেই ‘উত্তরায়ণ’-এ বড়ুয়া সাহেবের জ্বর হওয়ার পরে ক্যামেরা সোজা সিঁড়ি দিয়ে উঠে বিছানায় গিয়ে আছড়ে পড়ল—সেটাই কি ভোলা যায়! কাণ্ডটা ঘটিয়েছেন ভদ্রলোক ডেভিড লিনের ‘অলিভার টুইস্ট’-এর বহু আগে। সাবজেকটিভ ক্যামেরা সম্পর্কে অনেক কথা আজকাল শুনতে পাই, বিভিন্ন পরিচালক নাকি খুব ভালোভাবে ব্যবহার করছেন।
...আমার কাছে গুলিয়ে গেছে সিনেমার প্রাচীন আর আধুনিক বলতে আপনারা কী বোঝাতে চেয়েছেন। এসব ধরনের কথা শুনলে আমার একটা কথাই মনে হয়, কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় ‘দে গরুর গা ধুইয়ে’।
...চলচ্চিত্রের সামাজিক দায়িত্ব সব সময়ে হয়েছে। হয় পজিটিভ, না হয় নেগেটিভভাবে। ছবিটাকে আমি একটা শিল্প বলি। কাজেই মনে করি সর্বশিল্পের শর্ত পালিত হচ্ছে এখানেও। আমি মনে করি না যে সত্যজিৎ রায়ের ‘চারুলতা’ চ্যাপলিনের ‘এসানে’ যুগের এক রিলের ছবিগুলোর চেয়ে বেশি সচেতন।
১৯২৫ সালে তোলা আইজেনস্টাইনের ‘স্ট্রাইক’ ছবির চেয়ে বেশি সমাজসচেতন ছবি কি আজ পর্যন্ত তোলা হয়েছে? পাবস্ট-এর ‘কামেরা ডে শেফট’ আজও পর্যন্ত আমার কাছে মনে হয় সবচেয়ে বেশি সমাজসচেতন একটি ছবি। চারু রায়ের ‘বাংলার মেয়ে’ বহু আগে তোলা—প্রথম বাংলা ছবি, যাতে আউটডোর ব্যবহৃত হয় সবচেয়ে বেশিভাবে, তাতেও সমাজচেতনা পরিপূর্ণ ছিল।
...রবিঠাকুর মশায় একটা বড় ভালো কথা বলে গিয়েছিলেন, ‘শিল্পকে শিল্প হতে হলে সর্বাগ্রে সত্যনিষ্ঠ হতে হয়, তারপরে সৌন্দর্যনিষ্ঠ’। কথাটা ভাবার মতো। যদি পারেন ভেবে দেখবেন।
সূত্র: ঋত্বিক ঘটকের গৃহীত সাক্ষাৎকার, ‘সাক্ষাৎ ঋত্বিক’, শিবাদিত্য দাশগুপ্ত ও সন্দীপন ভট্টাচার্য সম্পাদিত, পৃষ্ঠা ১৮-১৯

ঋতুপর্ণ ঘোষ শুধু একজন প্রতিভাবান পরিচালকই ছিলেন না, তিনি একাধারে চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, অভিনেতা ও পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও সফল ছিলেন। সংলাপ রচনার ক্ষেত্রেও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। নব্বইয়ের দশকের গোড়া পর্যন্ত কলকাতার সিনেমায় যে বন্ধ্যত্ব চলছিল, তা কাটিয়ে উঠতে তাঁর অবদান ছিল অসামান্য।
৩০ মে ২০২৪
আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন।
২ দিন আগে
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
৫ দিন আগে
১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির...
৭ দিন আগে