সম্পাদকীয়
সত্যেন সেনের কথা বলতে গেলে অবধারিতভাবেই উঠে আসে হেলেন করিমের নাম। কমরেড সত্যেন সেনের দৃষ্টি যখন ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে আসছিল, তখন হেলেন করিম ছিলেন অন্ধের যষ্টি। অসহায় এই মানুষটির দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল করিম পরিবার। সাংবাদিক আবদুল করিম এবং খেলাঘর, উদীচীর সদস্য হেলেন করিমই হয়ে উঠেছিলেন সত্যেন সেনের নির্ভরতার ভরসাস্থল।
স্কুলের পড়া শেষ করার আগেই সংসার পেতেছিলেন হেলেন করিম। একটা সময় সত্যেন সেনের নিকটজন সুনীল রায় কমরেডকে নিয়ে এলেন করিম পরিবারে। সমর্পণ করলেন হেলেনের হাতে।
এই বাড়িতে আসার পর থেকে বাধ্য হয়ে ঢাকা ত্যাগ করার আগপর্যন্ত হাসিমুখে সত্যেন সেনের পাশে ছিলেন হেলেন। কেবল হাত ধরে প্রিয় সঙ্গীদের কাছে নিয়ে যাওয়া–আসা নয়, মুখে মুখে যেসব কথা বলতেন সত্যেন সেন, সেগুলো দ্রুত লিখে সেই লেখাকে পাঠযোগ্য করে তোলার কাজটিও করতেন হেলেন করিম।
এ জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হতো তাঁকে। সত্যেন সেন আবদুল করিমকে ডাকতেন ‘প্রিন্স’ আর হেলেনকে ‘নিত্যদিনের মহারানী’।
সত্যেন সেনের মৃত্যুর পর ১৯৮১ সালে একটা শোকসভার আয়োজন করা হয়েছিল ঢাকায়। গণ্যমান্য অনেকেই বক্তৃতা করেছেন। একদম পেছনের সারিতে বসে ছিলেন হেলেন। সরদার ফজলুল করিম জোর করে হেলেনকে ডাকলেন কিছু বলার জন্য। ছোট ছোট কথায় স্মৃতিচারণা করলেন হেলেন।
একদিন সত্যেন সেন বলে যাচ্ছেন আর লিখে যাচ্ছেন হেলেন। সত্যেন সেন দাঁড়ি-কমা কোথায় দিতে হবে, সেটাও বলে যাচ্ছেন। সত্যেন সেন জোরে জোরে বলছিলেন, হেলেন ‘হু হু’ করে যাচ্ছিলেন। একসময় সত্যেন সেন লেখাটা পড়তে বললেন। হেলেন দেখেন, কাগজ সাদা, কিছুই লেখা হয়নি। ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন হেলেন। সত্যেন সেন সবই বুঝলেন। বললেন, ‘ঘুমাচ্ছ কেন বলো তো?’
বলে আবার শুরু থেকে বলতে শুরু করলেন।
সূত্র: সরদার ফজলুল করিম, দিনলিপি,
পৃষ্ঠা: ১৫২-১৫৩
সত্যেন সেনের কথা বলতে গেলে অবধারিতভাবেই উঠে আসে হেলেন করিমের নাম। কমরেড সত্যেন সেনের দৃষ্টি যখন ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে আসছিল, তখন হেলেন করিম ছিলেন অন্ধের যষ্টি। অসহায় এই মানুষটির দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল করিম পরিবার। সাংবাদিক আবদুল করিম এবং খেলাঘর, উদীচীর সদস্য হেলেন করিমই হয়ে উঠেছিলেন সত্যেন সেনের নির্ভরতার ভরসাস্থল।
স্কুলের পড়া শেষ করার আগেই সংসার পেতেছিলেন হেলেন করিম। একটা সময় সত্যেন সেনের নিকটজন সুনীল রায় কমরেডকে নিয়ে এলেন করিম পরিবারে। সমর্পণ করলেন হেলেনের হাতে।
এই বাড়িতে আসার পর থেকে বাধ্য হয়ে ঢাকা ত্যাগ করার আগপর্যন্ত হাসিমুখে সত্যেন সেনের পাশে ছিলেন হেলেন। কেবল হাত ধরে প্রিয় সঙ্গীদের কাছে নিয়ে যাওয়া–আসা নয়, মুখে মুখে যেসব কথা বলতেন সত্যেন সেন, সেগুলো দ্রুত লিখে সেই লেখাকে পাঠযোগ্য করে তোলার কাজটিও করতেন হেলেন করিম।
এ জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হতো তাঁকে। সত্যেন সেন আবদুল করিমকে ডাকতেন ‘প্রিন্স’ আর হেলেনকে ‘নিত্যদিনের মহারানী’।
সত্যেন সেনের মৃত্যুর পর ১৯৮১ সালে একটা শোকসভার আয়োজন করা হয়েছিল ঢাকায়। গণ্যমান্য অনেকেই বক্তৃতা করেছেন। একদম পেছনের সারিতে বসে ছিলেন হেলেন। সরদার ফজলুল করিম জোর করে হেলেনকে ডাকলেন কিছু বলার জন্য। ছোট ছোট কথায় স্মৃতিচারণা করলেন হেলেন।
একদিন সত্যেন সেন বলে যাচ্ছেন আর লিখে যাচ্ছেন হেলেন। সত্যেন সেন দাঁড়ি-কমা কোথায় দিতে হবে, সেটাও বলে যাচ্ছেন। সত্যেন সেন জোরে জোরে বলছিলেন, হেলেন ‘হু হু’ করে যাচ্ছিলেন। একসময় সত্যেন সেন লেখাটা পড়তে বললেন। হেলেন দেখেন, কাগজ সাদা, কিছুই লেখা হয়নি। ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন হেলেন। সত্যেন সেন সবই বুঝলেন। বললেন, ‘ঘুমাচ্ছ কেন বলো তো?’
বলে আবার শুরু থেকে বলতে শুরু করলেন।
সূত্র: সরদার ফজলুল করিম, দিনলিপি,
পৃষ্ঠা: ১৫২-১৫৩
১৯৭১ সালের ১ মার্চ দুপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ৩ মার্চ আসন্ন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান। এই প্রতিহিংসামূলক সিদ্ধান্তে শুধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই ক্ষুব্ধ হননি, রাস্তায় নামে বিক্ষুব্ধ সাধারণ জনতা, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
৬ দিন আগে...ভাইস চ্যান্সেলর সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেনের কথা বলতে যেয়েই অধ্যাপক রাজ্জাক বললেন: ১৯৫২-তে ভাষা আন্দোলনের সময়ে, আর কিছুর জন্য নয়, সাহসের অভাবে, হি (সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন) অকেজন্ড মাচ ট্রাবল। আমার মনে আছে যেদিন গুলিটা হলো, ইউনিভার্সিটির ঐ পুরানা দালানে (বর্তমান মেডিকেল কলেজ হসপিটাল বিল্ডিং-এর দক্ষিণ দিক)..
৭ দিন আগেযদি কেউ ভালোবাসা দিবসে তাঁর সঙ্গীর জন্য একটি কার্ড কিনে থাকেন, তাহলে সহজেই বলে দেওয়া যায়—কার্ড কেনা মানুষটি একজন পুরুষ। কারণ সাধারণত পুরুষেরাই নারীদের তুলনায় বেশি রোমান্টিক। এটি একটি সর্বজনবিদিত সত্য, তবে স্বীকৃতি খুবই কম।
২০ দিন আগেএক বছরেও শুকায়নি হৃদয়ের ক্ষত। রক্তাক্ত স্মৃতি বুকে নিয়ে ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়। তাঁদের উদ্দেশ্য শুধু ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করা নয়, বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অর্জনও প্রধান লক্ষ্য।
২২ দিন আগে