সম্পাদকীয়
সিটি কলেজে পড়তেন যখন, তখন দেবব্রত বিশ্বাসের একজন বন্ধু ছিলেন সুধীন্দ্র দত্ত নামে। সুধীন একসময় তাঁর কলকাতার বন্ধুদের নিয়ে ঠিক করলেন রবীন্দ্রনাথের ‘তাসের দেশ’ নাটকটি মঞ্চস্থ করবেন। ১৯৪৪ সালের সেই সময়টিতে ঠিক হলো নয় রাত্রি ধরে কলকাতার তিনটি প্রেক্ষাগৃহে নাটকটি মঞ্চস্থ করা হবে। সুধীন এলেন দেবব্রত বিশ্বাসের কাছে। বললেন, ‘গান গেয়ে দিতে হবে।’
রাজি না হওয়ার কোনো কারণ ছিল না। রাজপুত্রের কণ্ঠে যে গানগুলো আছে, সেগুলোই গাইতে হবে দেবব্রতকে।
সেই নাটকে যাঁরা অভিনয় করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে সরোজরঞ্জন চৌধুরী, সাগরময় ঘোষ, সুধীন্দ্র দত্ত, মঞ্জুলা দত্ত, মঞ্জু সেন, বাণী বোসেরা ছিলেন। নৃত্য পরিচালনা করেছিলেন দক্ষিণের কেলু নায়ার। সংগীত পরিচালক ছিলেন শান্তিদেব ঘোষ। গান করেছিলেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে ছিলেন রাজশ্বরী দত্ত, সন্তোষ সেনগুপ্ত, আব্দুল আহাদ, সুধীন চ্যাটার্জি, আব্দুল লতিফ প্রমুখ।
তাসের দেশের শেষ গানটি ছিল ‘ভাঙো, বাঁধ ভেঙে দাও, বাঁধ ভেঙে দাও, বাঁধ ভেঙে দাও, ভাঙো’। দু-তিন রাত অভিনয় হয়ে যাওয়ার পর পরিচালক মহাশয় এ গানটি গাইতে নির্দেশ দিলেন দেবব্রত বিশ্বাসকে। দেবব্রত জিজ্ঞেস করলেন, ‘কীভাবে গাইব? উইথ প্লেজার নাকি উইদাউট প্লেজার?’
পরিচালক বললেন, ‘উইথ প্লেজার।’
আগেকার দিনে গানটি গাওয়া হতো খুবই পেলব ভঙ্গিতে। দেবব্রত তা পাল্টে দিলেন। গণনাট্য সংঘের অনুষ্ঠানে যেভাবে গাইতেন, এবার সেভাবেই ভরাট গলায় দ্রুতলয়ে গাইলেন গানটি। দক্ষিণ ভারতীয় নৃত্যশিল্পী কেলু নায়ার প্রাণের আনন্দে স্টেজজুড়ে নেচে নেচে বেড়াচ্ছিলেন, কিন্তু অন্যরা কেউ সুবিধা করে উঠতে পারছিল না।
গান শেষ হলো। যবনিকা পড়ল।
এবং তারপর ওইভাবে কেন গানটি গাইলেন, তা নিয়ে ভর্ৎসনা করা হলো দেবব্রত বিশ্বাসকে।
দেবব্রত বললেন, ‘আমাকে তো উইথ প্লেজার গাইতে বলা হয়েছিল!’
বুঝতে অসুবিধা হয় না, এরপর আর গানটি তাঁকে দিয়ে গাওয়ানো হয়নি।
সূত্র: দেবব্রত বিশ্বাস, ব্রাত্যজনের রুদ্ধ সংগীত, পৃষ্ঠা ৬০-৬১
সিটি কলেজে পড়তেন যখন, তখন দেবব্রত বিশ্বাসের একজন বন্ধু ছিলেন সুধীন্দ্র দত্ত নামে। সুধীন একসময় তাঁর কলকাতার বন্ধুদের নিয়ে ঠিক করলেন রবীন্দ্রনাথের ‘তাসের দেশ’ নাটকটি মঞ্চস্থ করবেন। ১৯৪৪ সালের সেই সময়টিতে ঠিক হলো নয় রাত্রি ধরে কলকাতার তিনটি প্রেক্ষাগৃহে নাটকটি মঞ্চস্থ করা হবে। সুধীন এলেন দেবব্রত বিশ্বাসের কাছে। বললেন, ‘গান গেয়ে দিতে হবে।’
রাজি না হওয়ার কোনো কারণ ছিল না। রাজপুত্রের কণ্ঠে যে গানগুলো আছে, সেগুলোই গাইতে হবে দেবব্রতকে।
সেই নাটকে যাঁরা অভিনয় করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে সরোজরঞ্জন চৌধুরী, সাগরময় ঘোষ, সুধীন্দ্র দত্ত, মঞ্জুলা দত্ত, মঞ্জু সেন, বাণী বোসেরা ছিলেন। নৃত্য পরিচালনা করেছিলেন দক্ষিণের কেলু নায়ার। সংগীত পরিচালক ছিলেন শান্তিদেব ঘোষ। গান করেছিলেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে ছিলেন রাজশ্বরী দত্ত, সন্তোষ সেনগুপ্ত, আব্দুল আহাদ, সুধীন চ্যাটার্জি, আব্দুল লতিফ প্রমুখ।
তাসের দেশের শেষ গানটি ছিল ‘ভাঙো, বাঁধ ভেঙে দাও, বাঁধ ভেঙে দাও, বাঁধ ভেঙে দাও, ভাঙো’। দু-তিন রাত অভিনয় হয়ে যাওয়ার পর পরিচালক মহাশয় এ গানটি গাইতে নির্দেশ দিলেন দেবব্রত বিশ্বাসকে। দেবব্রত জিজ্ঞেস করলেন, ‘কীভাবে গাইব? উইথ প্লেজার নাকি উইদাউট প্লেজার?’
পরিচালক বললেন, ‘উইথ প্লেজার।’
আগেকার দিনে গানটি গাওয়া হতো খুবই পেলব ভঙ্গিতে। দেবব্রত তা পাল্টে দিলেন। গণনাট্য সংঘের অনুষ্ঠানে যেভাবে গাইতেন, এবার সেভাবেই ভরাট গলায় দ্রুতলয়ে গাইলেন গানটি। দক্ষিণ ভারতীয় নৃত্যশিল্পী কেলু নায়ার প্রাণের আনন্দে স্টেজজুড়ে নেচে নেচে বেড়াচ্ছিলেন, কিন্তু অন্যরা কেউ সুবিধা করে উঠতে পারছিল না।
গান শেষ হলো। যবনিকা পড়ল।
এবং তারপর ওইভাবে কেন গানটি গাইলেন, তা নিয়ে ভর্ৎসনা করা হলো দেবব্রত বিশ্বাসকে।
দেবব্রত বললেন, ‘আমাকে তো উইথ প্লেজার গাইতে বলা হয়েছিল!’
বুঝতে অসুবিধা হয় না, এরপর আর গানটি তাঁকে দিয়ে গাওয়ানো হয়নি।
সূত্র: দেবব্রত বিশ্বাস, ব্রাত্যজনের রুদ্ধ সংগীত, পৃষ্ঠা ৬০-৬১
বন্ধুত্ব শুধু পারস্পরিক ভালোবাসা নয়, বরং এটি নির্ভরতা ও স্বতঃস্ফূর্ত আন্তসম্পর্কের এক জটিল বিন্যাস। নর্দান ইলিনয় ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী ও বন্ধুত্ববিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. সুজান ডেগস-হোয়াইট বলেন, বন্ধুত্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি উপাদান হলো পারস্পরিক নির্ভরতা ও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ইচ্ছা।
১৬ ঘণ্টা আগে১৬৪৯ সালে যশোরের ফৌজদার হিসেবে নিযুক্ত হন বাংলার সুবেদার শাহ সুজার শ্যালকপুত্র মীর্জা সাফসি খান। কপোতাক্ষ নদের তীরে যে মীর্জানগর গ্রাম, সেটি কিন্তু তাঁরই নামানুসারে। সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে ফৌজদার হন নুরল্লা খাঁ। তিনি এই গ্রামে বুড়িভদ্রা নদীর তীরে সুবিস্তৃত পরিখা খনন করে আট-দশ ফুট উঁচু...
৯ দিন আগেঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার গোরকই গ্রামে রয়েছে প্রাচীন এক মন্দির। গোরক্ষনাথ মন্দির বা গোরকই মন্দির নামেই এটি পরিচিত। মন্দির প্রাঙ্গণে তিনটি শিবমন্দির, একটি কালীমন্দির ও একটি নাথমন্দির ও নাথ আশ্রমের পাশাপাশি রয়েছে বড় বড় কালো পাথর দিয়ে নির্মিত রহস্যময় এক কূপ। কথিত আছে, গুপ্ত যুগ থেকে সেন...
১২ দিন আগেআর এক বছর পর ৪০-এর কোঠায় পৌঁছাবে বয়স। হঠাৎ পদোন্নতি হলো পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করা ক্যারেন উডসের। এখন থেকে ই-মেইল লিখতে হবে তাঁকে। কিন্তু তিনি তো নিরক্ষর। কীভাবে পড়তে-লিখতে হয় জানেন না। প্রথমে বেশ লজ্জায় পড়ে যান। সবাই জেনে ফেললে কী ভাববে! তবে, সেই লজ্জা-ভয় তাঁকে আটকে রাখেনি। বরং নতুন পথ...
১৬ দিন আগে