সম্পাদকীয়
চাকরির প্রতি একটা অনীহা ছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিদেশে যাওয়ার আগে সরকারি চাকরিতে ঢুকেছিলেন সুনীল। কিন্তু বিদেশে গিয়েছিলেন ছুটি না নিয়ে। ফলে সেখান থেকেও প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ অন্যান্য সুবিধার জন্য আর ওমুখো হননি।
এ রকম একটা সময়ে বেকার জেনে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সুনীলকে নিয়ে গেলেন সন্তোষকুমার ঘোষের বাড়িতে। সন্তোষকুমার প্রস্তাব দিলেন দুর্গাপুরে আনন্দবাজারের নতুন অফিস খোলা হচ্ছে। সুনীলকে দুর্গাপুরে যেতে বললেন। সুনীল হবেন ইনচার্জ, কোয়ার্টার পাবেন, জিপগাড়ি পাবেন। তাঁর অধীনে কয়েকজন স্টাফ থাকবে।
চাকরি নেওয়ার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না সুনীল। ‘না’ করে দিলেন। তখন নীরেন্দ্রনাথ আনন্দবাজারের রবিবাসরীয় বিভাগের সম্পাদক। প্রতি সপ্তাহে তিনি সুনীলকে দিয়ে লেখাতে থাকলেন। সাগরময় ঘোষ একদিন সুনীলকে দেশ পত্রিকায় লিখতে বললেন।
আয়ওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে অনেক কবির সঙ্গে মেলামেশা হয়েছিল সুনীলের। দেশ পত্রিকায় সেই কবিদের কবিতা লেখার কথা হলো। বিংশ শতাব্দীতে ইংরেজি বাদ দিয়ে পাঁচটি ইউরোপীয় ভাষায় কবিতা নিয়ে যে আন্দোলন হয়েছে, তার সঙ্গে যুক্ত কবিদের পরিচিতি আর কবিতার ভাবানুবাদ নিয়ে কাজ শুরু হলো।
এ সময় একদিন মধ্যরাত পেরিয়ে শ্যামবাজার মোড়ে আড্ডা দেওয়ার সময় পুলিশ সুনীলকে ধরে নিয়ে গেল থানায়। ট্যাক্সিচালকের সঙ্গে তর্কাতর্কি ছিল কারণ। কিন্তু তাঁকে গুন্ডামি আর আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য দায়ী করা হলো। সারা রাত একটা কাঠের বেঞ্চে তাঁকে বসিয়ে রাখা হলো।
পরদিন থানার বড় বাবু সুনীলকে শাসাচ্ছিলেন জেল খাটাবেন বলে। তাঁর টেবিলে একটি দেশ পত্রিকা। সুনীল বিনীতভাবে বললেন, ‘আপনি দেশ পত্রিকা পড়েন? ওই পত্রিকায় আমার ধারাবাহিক অন্য দেশের কবিতা বের হচ্ছে। গুন্ডামি করা আমার কাজ নয়।’
দারোগা সাহেব অবাক হয়ে সুনীলের দিকে চেয়ে বললেন, ‘সে কি! ওগুলো তো আমি নিয়মিত পড়ি। আপনি তো লার্নেড লোক মশাই! আপনাকে ধরে এনেছে! ছি ছি ছি!’
হ্যাঁ, ছাড়া পেলেন সুনীল, স্রেফ কবিতার কারণে।
সূত্র: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, অর্ধেক জীবন, পৃষ্ঠা ২৭৭-২৭৯
চাকরির প্রতি একটা অনীহা ছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিদেশে যাওয়ার আগে সরকারি চাকরিতে ঢুকেছিলেন সুনীল। কিন্তু বিদেশে গিয়েছিলেন ছুটি না নিয়ে। ফলে সেখান থেকেও প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ অন্যান্য সুবিধার জন্য আর ওমুখো হননি।
এ রকম একটা সময়ে বেকার জেনে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সুনীলকে নিয়ে গেলেন সন্তোষকুমার ঘোষের বাড়িতে। সন্তোষকুমার প্রস্তাব দিলেন দুর্গাপুরে আনন্দবাজারের নতুন অফিস খোলা হচ্ছে। সুনীলকে দুর্গাপুরে যেতে বললেন। সুনীল হবেন ইনচার্জ, কোয়ার্টার পাবেন, জিপগাড়ি পাবেন। তাঁর অধীনে কয়েকজন স্টাফ থাকবে।
চাকরি নেওয়ার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না সুনীল। ‘না’ করে দিলেন। তখন নীরেন্দ্রনাথ আনন্দবাজারের রবিবাসরীয় বিভাগের সম্পাদক। প্রতি সপ্তাহে তিনি সুনীলকে দিয়ে লেখাতে থাকলেন। সাগরময় ঘোষ একদিন সুনীলকে দেশ পত্রিকায় লিখতে বললেন।
আয়ওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে অনেক কবির সঙ্গে মেলামেশা হয়েছিল সুনীলের। দেশ পত্রিকায় সেই কবিদের কবিতা লেখার কথা হলো। বিংশ শতাব্দীতে ইংরেজি বাদ দিয়ে পাঁচটি ইউরোপীয় ভাষায় কবিতা নিয়ে যে আন্দোলন হয়েছে, তার সঙ্গে যুক্ত কবিদের পরিচিতি আর কবিতার ভাবানুবাদ নিয়ে কাজ শুরু হলো।
এ সময় একদিন মধ্যরাত পেরিয়ে শ্যামবাজার মোড়ে আড্ডা দেওয়ার সময় পুলিশ সুনীলকে ধরে নিয়ে গেল থানায়। ট্যাক্সিচালকের সঙ্গে তর্কাতর্কি ছিল কারণ। কিন্তু তাঁকে গুন্ডামি আর আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য দায়ী করা হলো। সারা রাত একটা কাঠের বেঞ্চে তাঁকে বসিয়ে রাখা হলো।
পরদিন থানার বড় বাবু সুনীলকে শাসাচ্ছিলেন জেল খাটাবেন বলে। তাঁর টেবিলে একটি দেশ পত্রিকা। সুনীল বিনীতভাবে বললেন, ‘আপনি দেশ পত্রিকা পড়েন? ওই পত্রিকায় আমার ধারাবাহিক অন্য দেশের কবিতা বের হচ্ছে। গুন্ডামি করা আমার কাজ নয়।’
দারোগা সাহেব অবাক হয়ে সুনীলের দিকে চেয়ে বললেন, ‘সে কি! ওগুলো তো আমি নিয়মিত পড়ি। আপনি তো লার্নেড লোক মশাই! আপনাকে ধরে এনেছে! ছি ছি ছি!’
হ্যাঁ, ছাড়া পেলেন সুনীল, স্রেফ কবিতার কারণে।
সূত্র: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, অর্ধেক জীবন, পৃষ্ঠা ২৭৭-২৭৯
আপনি কি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে এই খবর পড়ছেন? সাবধান! ঘাসে পা দেবেন না কিন্তু! আজ ঘাসে পা না দেওয়ার দিন। জানা নেই? তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী এই ‘ঘাসে পা না দেওয়া দিবস’। কীভাবেই–বা এর উৎপত্তি।
১ দিন আগেবাংলার সুবেদার মীর জুমলা তাঁর আসাম অভিযানের সময় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের (তৎকালীন খিজিরপুর) সংযোগকারী সড়কের পাগলা এলাকায় শীতলক্ষ্যা-বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগস্থলে নির্মাণ করেন পাগলা সেতু।
৪ দিন আগেগান করে থাকি সেটা তো অন্যায় হতে পারে না! তো সেই দিক থেকে আমি অন্তত ক্ষমা চাইতে পারি। কারণ এটা আমি পেশা করেছি। এটা আলটিমেটলি পেশা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি কিন্তু গান শিখিনি নাম করার জন্য, যে আমার কবে সুখ্যাতি কে করবে, আমি কবে জনপ্রিয় হব তার জন্য গান শিখিনি। আমার বাবা-মা কোনো দিন আমাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে...
৫ দিন আগেমুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় একাত্তরের ১০ এপ্রিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ১৭ এপ্রিল।
৬ দিন আগে