সম্পাদকীয়
তালগাছ কাটা নিয়ে বিবাদ বেধেছিল হিন্দু-মুসলমানে। তারাশঙ্কর নিয়েছিলেন হিন্দুদের পক্ষ। রিজার্ভ ফোর্স এসে মার্চ করে গেল গ্রামে।
আগেই পাটনা যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ-টুলিশ চলে আসায় তখনই পাটনার উদ্দেশে রওনা দিলেন তারাশঙ্কর। পথে পড়ে ভাগলপুর। সেখানে থাকেন বনফুল। চিঠিপত্র চালাচালি হতো। বনফুল বহুবার নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন তারাশঙ্করকে। বলেছেন, ‘এখানে এসো, অসুখ সেরে যাবে। আমি দায়িত্ব নিচ্ছি।’
বনফুল একজন বড় ডাক্তার ছিলেন। গল্পকার বনফুল কল্পনার আশ্রয়ে গল্প লিখতে পারেন, কিন্তু কল্পনার আশ্রয় নিয়ে ডাক্তারিবিদ্যা ফলাবেন না, সে বিষয়ে ভরসা ছিল তারাশঙ্করের।
ট্রেনের থার্ড ক্লাসে করে ভাগলপুরে নামলেন রাতে। রাত পোহানোর পর একটা এক্কা করে হাজির হলেন বনফুলের বাড়িতে। তারাশঙ্করকে দেখেই তো হইহই বাধিয়ে দিলেন বনফুল। দারুণ ভোজনবিলাসী মানুষ তিনি। কলকাতায় এলে তিনি মাংস রান্না করে বহু সাহিত্যিক বন্ধুকে খাইয়েছেন। তবে বনফুল-পত্নী স্বভাবতই তাঁর চেয়ে ভালো রান্না করেন। ডিমমাখানো পাউরুটি দিয়ে চা-পর্ব শেষ হলে পত্নীর দিকে তাকিয়ে বনফুল বললেন, ‘গোটা চারেক হাঁস তৈরি করতে বলো। আর মাছ—ভালো মাছ।’
শিউরে উঠলেন তারাশঙ্কর। বললেন, ‘দোহাই মশাই, মারা যাব। আপনি জানেন না, পেটের গোলমাল নিয়ে দারুণ কষ্ট পাচ্ছি।’
বনফুল বললেন, ‘ঠিক আছে। তাহলে তো মাংসই আপনার পথ্য। শুধু পথ্যই নয়, ওষুধও বটে। ভয় করছেন কেন? আমি তো ডাক্তার।’
এরপর গেলেন ডাক্তারখানায়, ল্যাবরেটরিতে। সেখানে কাজ করার ফাঁকেই চলল লেখালেখি। সব দেখলেন তারাশঙ্কর। তারপর দুজনে ফিরলেন বাড়ি। স্নান-আহারের পর খেতে বসলেন। মাংস এল পাতে। তারাশঙ্কর ভয়ে ভয়ে যখন মাংস তুলে নিচ্ছেন, তখন বনফুল বললেন, ‘খান মশাই, আমি ডাক্তার, আমি বলছি—খান।’
চার দিন বনফুলের বাড়িতে ছিলেন তারাশঙ্কর। এ সময় ভোজনপর্বটা হয়েছে দারুণ এবং সবচেয়ে বড় কথা, এখানে থাকতে থাকতেই তারাশঙ্কর বুঝতে পারলেন, এই পথ্য দিয়েই তাঁর অসুখের উপশম হয়েছে।
সূত্র: তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, আমার সাহিত্যজীবন, পৃষ্ঠা ১৬০-১৬৬
তালগাছ কাটা নিয়ে বিবাদ বেধেছিল হিন্দু-মুসলমানে। তারাশঙ্কর নিয়েছিলেন হিন্দুদের পক্ষ। রিজার্ভ ফোর্স এসে মার্চ করে গেল গ্রামে।
আগেই পাটনা যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ-টুলিশ চলে আসায় তখনই পাটনার উদ্দেশে রওনা দিলেন তারাশঙ্কর। পথে পড়ে ভাগলপুর। সেখানে থাকেন বনফুল। চিঠিপত্র চালাচালি হতো। বনফুল বহুবার নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন তারাশঙ্করকে। বলেছেন, ‘এখানে এসো, অসুখ সেরে যাবে। আমি দায়িত্ব নিচ্ছি।’
বনফুল একজন বড় ডাক্তার ছিলেন। গল্পকার বনফুল কল্পনার আশ্রয়ে গল্প লিখতে পারেন, কিন্তু কল্পনার আশ্রয় নিয়ে ডাক্তারিবিদ্যা ফলাবেন না, সে বিষয়ে ভরসা ছিল তারাশঙ্করের।
ট্রেনের থার্ড ক্লাসে করে ভাগলপুরে নামলেন রাতে। রাত পোহানোর পর একটা এক্কা করে হাজির হলেন বনফুলের বাড়িতে। তারাশঙ্করকে দেখেই তো হইহই বাধিয়ে দিলেন বনফুল। দারুণ ভোজনবিলাসী মানুষ তিনি। কলকাতায় এলে তিনি মাংস রান্না করে বহু সাহিত্যিক বন্ধুকে খাইয়েছেন। তবে বনফুল-পত্নী স্বভাবতই তাঁর চেয়ে ভালো রান্না করেন। ডিমমাখানো পাউরুটি দিয়ে চা-পর্ব শেষ হলে পত্নীর দিকে তাকিয়ে বনফুল বললেন, ‘গোটা চারেক হাঁস তৈরি করতে বলো। আর মাছ—ভালো মাছ।’
শিউরে উঠলেন তারাশঙ্কর। বললেন, ‘দোহাই মশাই, মারা যাব। আপনি জানেন না, পেটের গোলমাল নিয়ে দারুণ কষ্ট পাচ্ছি।’
বনফুল বললেন, ‘ঠিক আছে। তাহলে তো মাংসই আপনার পথ্য। শুধু পথ্যই নয়, ওষুধও বটে। ভয় করছেন কেন? আমি তো ডাক্তার।’
এরপর গেলেন ডাক্তারখানায়, ল্যাবরেটরিতে। সেখানে কাজ করার ফাঁকেই চলল লেখালেখি। সব দেখলেন তারাশঙ্কর। তারপর দুজনে ফিরলেন বাড়ি। স্নান-আহারের পর খেতে বসলেন। মাংস এল পাতে। তারাশঙ্কর ভয়ে ভয়ে যখন মাংস তুলে নিচ্ছেন, তখন বনফুল বললেন, ‘খান মশাই, আমি ডাক্তার, আমি বলছি—খান।’
চার দিন বনফুলের বাড়িতে ছিলেন তারাশঙ্কর। এ সময় ভোজনপর্বটা হয়েছে দারুণ এবং সবচেয়ে বড় কথা, এখানে থাকতে থাকতেই তারাশঙ্কর বুঝতে পারলেন, এই পথ্য দিয়েই তাঁর অসুখের উপশম হয়েছে।
সূত্র: তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, আমার সাহিত্যজীবন, পৃষ্ঠা ১৬০-১৬৬
বন্ধুত্ব শুধু পারস্পরিক ভালোবাসা নয়, বরং এটি নির্ভরতা ও স্বতঃস্ফূর্ত আন্তসম্পর্কের এক জটিল বিন্যাস। নর্দান ইলিনয় ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী ও বন্ধুত্ববিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. সুজান ডেগস-হোয়াইট বলেন, বন্ধুত্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি উপাদান হলো পারস্পরিক নির্ভরতা ও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ইচ্ছা।
১৪ ঘণ্টা আগে১৬৪৯ সালে যশোরের ফৌজদার হিসেবে নিযুক্ত হন বাংলার সুবেদার শাহ সুজার শ্যালকপুত্র মীর্জা সাফসি খান। কপোতাক্ষ নদের তীরে যে মীর্জানগর গ্রাম, সেটি কিন্তু তাঁরই নামানুসারে। সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে ফৌজদার হন নুরল্লা খাঁ। তিনি এই গ্রামে বুড়িভদ্রা নদীর তীরে সুবিস্তৃত পরিখা খনন করে আট-দশ ফুট উঁচু...
৯ দিন আগেঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার গোরকই গ্রামে রয়েছে প্রাচীন এক মন্দির। গোরক্ষনাথ মন্দির বা গোরকই মন্দির নামেই এটি পরিচিত। মন্দির প্রাঙ্গণে তিনটি শিবমন্দির, একটি কালীমন্দির ও একটি নাথমন্দির ও নাথ আশ্রমের পাশাপাশি রয়েছে বড় বড় কালো পাথর দিয়ে নির্মিত রহস্যময় এক কূপ। কথিত আছে, গুপ্ত যুগ থেকে সেন...
১২ দিন আগেআর এক বছর পর ৪০-এর কোঠায় পৌঁছাবে বয়স। হঠাৎ পদোন্নতি হলো পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করা ক্যারেন উডসের। এখন থেকে ই-মেইল লিখতে হবে তাঁকে। কিন্তু তিনি তো নিরক্ষর। কীভাবে পড়তে-লিখতে হয় জানেন না। প্রথমে বেশ লজ্জায় পড়ে যান। সবাই জেনে ফেললে কী ভাববে! তবে, সেই লজ্জা-ভয় তাঁকে আটকে রাখেনি। বরং নতুন পথ...
১৬ দিন আগে