সম্পাদকীয়
মোহাম্মদ রফিক একাধারে ছিলেন একজন কবি, লেখক ও অধ্যাপক। মোহাম্মদ রফিকের জন্ম ১৯৪৩ সালের ২৩ অক্টোবর বাগেরহাটের বেমরতা ইউনিয়নের বর্তমান চিতলী গ্রামে। স্থানীয় বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। এরপর খুলনা জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে ঢাকার নটর ডেম কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন, কিন্তু পরে ঢাকা কলেজে মানবিক বিভাগ থেকে আইএ পাস করেন। এ সময়েই তিনি যুক্ত হন ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে। রাজশাহী সরকারি কলেজে ইংরেজিতে অনার্সসহ স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হন। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন সামরিক আদালত। একসময় জেলে যান। তাঁকে বহিষ্কৃত করা হয় রাজশাহী কলেজ থেকে। পরে মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে পাস কোর্সে বিএ পাস করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ প্রকাশ পায় ১৯৭০ সালে। সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ১ নম্বর সেক্টরের অধীনে এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। ১৯৭৬ সালে প্রকাশ পায় তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ধুলোর সংসারে এই মাটি’। কবিতা লেখার পাশাপাশি তিনি গদ্যও লিখেছেন।
তাঁর অন্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো ‘কীর্তিনাশা’ (১৯৭৯), ‘খোলা কবিতা’ ও ‘কপিলা’ (১৯৮৩), ‘গাওদিয়ায়’ (১৯৮৬), ‘স্বদেশী নিঃশ্বাস তুমিময়’ (১৯৮৮), ‘মেঘে এবং কাদায়’ (১৯৯১), ‘রূপকথা কিংবদন্তি’ (১৯৯৮), ‘মৎস্যগন্ধা’ (১৯৯৯), ‘মাতি কিসকু’ (২০০০), ‘বিষখালি সন্ধ্যা’ (২০০৩), ‘নির্বাচিত কবিতা’ (২০০৩) ও ‘কালাপানি’ (২০০৬) প্রভৃতি।
১৯৮০-এর দশকের শুরুতে সামরিক শাসকের তথাকথিত কবি হওয়ার অভিলাষের বিরুদ্ধে তাঁর রচিত ‘সব শালা কবি হবে’—কবিতাটি সে সময় অনেক জনপ্রিয়তা পায়।
কবি মোহাম্মদ রফিক শিক্ষকতা করেছেন বাজিতপুর কলেজ, চট্টগ্রাম মহিলা কলেজ এবং স্বাধীনতার পরে ঢাকা কলেজে। ১৯৭৪ সালের মার্চ মাসে যোগ দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে।
২০২৩ সালের ৬ আগস্ট তিনি বরিশালের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
মোহাম্মদ রফিক একাধারে ছিলেন একজন কবি, লেখক ও অধ্যাপক। মোহাম্মদ রফিকের জন্ম ১৯৪৩ সালের ২৩ অক্টোবর বাগেরহাটের বেমরতা ইউনিয়নের বর্তমান চিতলী গ্রামে। স্থানীয় বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। এরপর খুলনা জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে ঢাকার নটর ডেম কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন, কিন্তু পরে ঢাকা কলেজে মানবিক বিভাগ থেকে আইএ পাস করেন। এ সময়েই তিনি যুক্ত হন ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে। রাজশাহী সরকারি কলেজে ইংরেজিতে অনার্সসহ স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হন। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন সামরিক আদালত। একসময় জেলে যান। তাঁকে বহিষ্কৃত করা হয় রাজশাহী কলেজ থেকে। পরে মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে পাস কোর্সে বিএ পাস করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ প্রকাশ পায় ১৯৭০ সালে। সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ১ নম্বর সেক্টরের অধীনে এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। ১৯৭৬ সালে প্রকাশ পায় তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ধুলোর সংসারে এই মাটি’। কবিতা লেখার পাশাপাশি তিনি গদ্যও লিখেছেন।
তাঁর অন্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো ‘কীর্তিনাশা’ (১৯৭৯), ‘খোলা কবিতা’ ও ‘কপিলা’ (১৯৮৩), ‘গাওদিয়ায়’ (১৯৮৬), ‘স্বদেশী নিঃশ্বাস তুমিময়’ (১৯৮৮), ‘মেঘে এবং কাদায়’ (১৯৯১), ‘রূপকথা কিংবদন্তি’ (১৯৯৮), ‘মৎস্যগন্ধা’ (১৯৯৯), ‘মাতি কিসকু’ (২০০০), ‘বিষখালি সন্ধ্যা’ (২০০৩), ‘নির্বাচিত কবিতা’ (২০০৩) ও ‘কালাপানি’ (২০০৬) প্রভৃতি।
১৯৮০-এর দশকের শুরুতে সামরিক শাসকের তথাকথিত কবি হওয়ার অভিলাষের বিরুদ্ধে তাঁর রচিত ‘সব শালা কবি হবে’—কবিতাটি সে সময় অনেক জনপ্রিয়তা পায়।
কবি মোহাম্মদ রফিক শিক্ষকতা করেছেন বাজিতপুর কলেজ, চট্টগ্রাম মহিলা কলেজ এবং স্বাধীনতার পরে ঢাকা কলেজে। ১৯৭৪ সালের মার্চ মাসে যোগ দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে।
২০২৩ সালের ৬ আগস্ট তিনি বরিশালের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলার সুবেদার মীর জুমলা তাঁর আসাম অভিযানের সময় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের (তৎকালীন খিজিরপুর) সংযোগকারী সড়কের পাগলা এলাকায় শীতলক্ষ্যা-বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগস্থলে নির্মাণ করেন পাগলা সেতু।
২ দিন আগেগান করে থাকি সেটা তো অন্যায় হতে পারে না! তো সেই দিক থেকে আমি অন্তত ক্ষমা চাইতে পারি। কারণ এটা আমি পেশা করেছি। এটা আলটিমেটলি পেশা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি কিন্তু গান শিখিনি নাম করার জন্য, যে আমার কবে সুখ্যাতি কে করবে, আমি কবে জনপ্রিয় হব তার জন্য গান শিখিনি। আমার বাবা-মা কোনো দিন আমাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে...
৩ দিন আগেমুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় একাত্তরের ১০ এপ্রিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ১৭ এপ্রিল।
৪ দিন আগেকাশ্মীর প্রিন্সেস—৭০ বছর আগে এক ট্র্যাজেডির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এয়ার ইন্ডিয়ার এই উড়োজাহাজ। ১৯৫৫ সালের ১০ এপ্রিল মুম্বাই থেকে যাত্রীদের নিয়ে হংকংয়ের কাই তাক বিমানবন্দরে পৌঁছায় উড়োজাহাজটি। পরদিন, চীনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার কথা ছিল সেটির।
৮ দিন আগে