২৪ জানুয়ারি, ১৮৪৮। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সাটার’স ক্রিকের তীরে সোনা খুঁজে পান এক ব্যক্তি। এর মধ্যমে সূচনা হয় গোল্ড রাশের। দলে দলে স্বর্ণসন্ধনীরা ছুটে আসতে থাকেন সাটার’স ক্রিকে। আর এই সোনা খুঁজে পাওয়ার ঘটনা চিরতরে বদলে দেয় বুনো পশ্চিমের ইতিহাসের গতিপথ।
স্যাক্রামেন্টো উপত্যকার পূর্বে আমেরিকান নদীর থেকে আসা একটি খাল সাটার’স ক্রিক। ১৮৩৯ সালে মেক্সিকান ক্যালিফোর্নিয়ায় (তখন মেক্সিকোর অন্তর্ভুক্ত ছিল এই আমেরিকান রাজ্যটি) আসা সুইস অভিবাসী জন অগাস্টাস সাটারের নামে রাখা হয় ক্রিকটির নাম।
সাটার মেক্সিকোর নাগরিকত্ব পান এবং অনুদান হিসেবে সবুজ স্যাক্রামেন্টো উপত্যকায় প্রায় ৫০ হাজার একর জমি পান। যেখানে তিনি নিজের একটি ছোটখাটো সাম্রাজ্য গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেন। এখানে একটি শক্তিশালী দুর্গ তৈরি করেন, যা কালক্রমে তার গড়ে তোলা শহর নিউ হেলভেশিয়ার কেন্দ্রে পরিণত হয়। এখানে খামার করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও প্রচুর গবাদিপশু কিনে আনেন। শুধু তাই না, তার এলাকার প্রতিরক্ষার জন্য একটি কামানও আনান।
স্প্যানিশ মিশনের পদ্ধতি অনুসরণ করে, সাটার স্থানীয় রেড ইন্ডিয়ানদের দিয়ে তাঁর খামারের সমস্ত কাজ করাতে শুরু করেন। কথিত আছে, যে সব শ্রমিক অনুমতি ছাড়াই তার এলাকা ত্যাগ করত তাদের ফিরিয়ে এনে শাস্তি দেওয়া হতো।
১৮৪০-র দশকে, সাটারের দুর্গ ক্যালিফোর্নিয়ায় খামার ও র্যাঞ্চ তৈরি করতে আসা অ্যাংলো-আমেরিকান অভিবাসীদের প্রথম বিরতিস্থল হয়ে ওঠে। মেক্সিকোর প্রদেশটিকে ক্রমেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকা আমেরিকানদের নিয়ন্ত্রণে পড়া থেকে রক্ষা করার শপথ নিলেও সাটার বুঝতে পেরেছিলেন যে তার ভবিষ্যৎ প্রতিপত্তি ও সম্পদ লাভ এই অ্যাংলো বসতি স্থাপনকারীদের ওপরই নির্ভর করছে। 1
১৮৪৬ সালে মেক্সিকান ওয়ার শুরু হলে সাটার আমেরিকানদের সমর্থন দেন। আপাতদৃষ্টিতে এতে তাঁর লাভই হয় বলে মনে হয়, কারণ ১৮৪৭ সালের শরৎ নাগাদ মার্কিনিরা যুদ্ধে জয়ী হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই ক্যালিফোর্নিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে চলে আসে। সাটার ১৮৪৮ সালের জানুয়ারিতে আমেরিকান নদীর দক্ষিণ শাখা বরাবর একটি করাতকল নির্মাণের জন্য জেমস মার্শাল নামের এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেন।
মিলের চাকা ঘুরতে জলের প্রবাহ ব্যবহার করার জন্য মার্শাল একটি অগভীর নালা খননের কাজ তদারকি করেছিলেন। ১৮৪৮ সালের ২৪ জানুয়ারি সকালের ঘটনা। মার্শাল সদ্য কাটা নালার দিকে তাকাতে কালো মাটিতে জ্বলজ্বলে একটা কিছুর উপস্থিতি আবিষ্কার করলেন।
আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে চমকে উঠলেন। নালার বড় একটা অংশ জুড়ে সোনালি জ্বলজ্বলে টুকরো বা কণা দেখা যাচ্ছে, আর এগুলো স্বর্ণের মতোই মনে হচ্ছে। ছুটে গিয়ে বিষয়টি সাটারকে জানালেন।
স্বর্ণ সম্পর্কে অভিজ্ঞ একজনকে দিয়ে কণাগুলি যে সোনা তা নিশ্চিত করার পর সাটার নিঃশব্দে যতটা সম্ভব সোনা সংগ্রহ করতে শুরু করেন। আবিষ্কারটি গোপন রাখার চেষ্টা করেন তিনি। তবে এমন একটা বিষয় লুকিয়ে রাখা প্রায় অসম্ভব এক ব্যাপার। অতএব ফাঁস হয়ে গেল সাটার’স ক্রিকে স্বর্ণের খোঁজ পাওয়ার ঘটনা। যা কয়েক মাসের মধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তম গোল্ড রাশের জন্ম দিল।
আর ক্যালিফোর্নিয়ার গোল্ড রাশ সাটারের জন্য একটি বড় বিপর্যয় ডেকে আনল। এটা সত্যি গোল্ড রাশ কয়েক লাখ মানুষকে ক্যালিফোর্নিয়ায় টেনে আনে। কিন্তু প্রসপেক্টার বা স্বর্ণসন্ধানীদের সাটারের কৃষি সম্প্রদায়ে যোগদানের কোনো আগ্রহই ছিল না। এর বদলে তারা সাটারের সম্পত্তির বারোটা বাজাল স্বর্ণের খোঁজে। খাবারের জন্য তাঁর পশুদের জবাই করল আর ফসলের খেত মাড়িয়ে নষ্ট করল।
ক্যালিফোর্নিয়ার বাইরে ওরেগন, হাওয়াই এবং ল্যাটিন আমেরিকার স্বর্ণসন্ধানীরা প্রথম পৌঁছেন ক্রিকটির তীরে। গোল্ড রাশের সময় ক্যালিফোর্নিয়ায় আসা প্রায় তিন লাখ লোকের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই আসেন সমুদ্রপথে আসেন।
১৮৫২ সালের মধ্যে নিউ হেলভেশিয়া মোটামুটি এক ধ্বংসাবশেষে পরিণত হলো। সেই সঙ্গে কপাল পুড়ল সাটারের। ১৮৮০ সালে মারা যান তিনি। তবে এর আগ পর্যন্ত, অনিচ্ছাকৃতভাবে যে গোল্ড রাশ ডেকে আনেন তাতে যে ক্ষতি হয় তার জন্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়াতেই ব্যস্ত ছিলেন। যদিও এতে সফল হননি।
সূত্র: হিস্টরি চ্যানেল, উইকিপিডিয়া
২৪ জানুয়ারি, ১৮৪৮। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সাটার’স ক্রিকের তীরে সোনা খুঁজে পান এক ব্যক্তি। এর মধ্যমে সূচনা হয় গোল্ড রাশের। দলে দলে স্বর্ণসন্ধনীরা ছুটে আসতে থাকেন সাটার’স ক্রিকে। আর এই সোনা খুঁজে পাওয়ার ঘটনা চিরতরে বদলে দেয় বুনো পশ্চিমের ইতিহাসের গতিপথ।
স্যাক্রামেন্টো উপত্যকার পূর্বে আমেরিকান নদীর থেকে আসা একটি খাল সাটার’স ক্রিক। ১৮৩৯ সালে মেক্সিকান ক্যালিফোর্নিয়ায় (তখন মেক্সিকোর অন্তর্ভুক্ত ছিল এই আমেরিকান রাজ্যটি) আসা সুইস অভিবাসী জন অগাস্টাস সাটারের নামে রাখা হয় ক্রিকটির নাম।
সাটার মেক্সিকোর নাগরিকত্ব পান এবং অনুদান হিসেবে সবুজ স্যাক্রামেন্টো উপত্যকায় প্রায় ৫০ হাজার একর জমি পান। যেখানে তিনি নিজের একটি ছোটখাটো সাম্রাজ্য গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেন। এখানে একটি শক্তিশালী দুর্গ তৈরি করেন, যা কালক্রমে তার গড়ে তোলা শহর নিউ হেলভেশিয়ার কেন্দ্রে পরিণত হয়। এখানে খামার করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও প্রচুর গবাদিপশু কিনে আনেন। শুধু তাই না, তার এলাকার প্রতিরক্ষার জন্য একটি কামানও আনান।
স্প্যানিশ মিশনের পদ্ধতি অনুসরণ করে, সাটার স্থানীয় রেড ইন্ডিয়ানদের দিয়ে তাঁর খামারের সমস্ত কাজ করাতে শুরু করেন। কথিত আছে, যে সব শ্রমিক অনুমতি ছাড়াই তার এলাকা ত্যাগ করত তাদের ফিরিয়ে এনে শাস্তি দেওয়া হতো।
১৮৪০-র দশকে, সাটারের দুর্গ ক্যালিফোর্নিয়ায় খামার ও র্যাঞ্চ তৈরি করতে আসা অ্যাংলো-আমেরিকান অভিবাসীদের প্রথম বিরতিস্থল হয়ে ওঠে। মেক্সিকোর প্রদেশটিকে ক্রমেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকা আমেরিকানদের নিয়ন্ত্রণে পড়া থেকে রক্ষা করার শপথ নিলেও সাটার বুঝতে পেরেছিলেন যে তার ভবিষ্যৎ প্রতিপত্তি ও সম্পদ লাভ এই অ্যাংলো বসতি স্থাপনকারীদের ওপরই নির্ভর করছে। 1
১৮৪৬ সালে মেক্সিকান ওয়ার শুরু হলে সাটার আমেরিকানদের সমর্থন দেন। আপাতদৃষ্টিতে এতে তাঁর লাভই হয় বলে মনে হয়, কারণ ১৮৪৭ সালের শরৎ নাগাদ মার্কিনিরা যুদ্ধে জয়ী হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই ক্যালিফোর্নিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে চলে আসে। সাটার ১৮৪৮ সালের জানুয়ারিতে আমেরিকান নদীর দক্ষিণ শাখা বরাবর একটি করাতকল নির্মাণের জন্য জেমস মার্শাল নামের এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেন।
মিলের চাকা ঘুরতে জলের প্রবাহ ব্যবহার করার জন্য মার্শাল একটি অগভীর নালা খননের কাজ তদারকি করেছিলেন। ১৮৪৮ সালের ২৪ জানুয়ারি সকালের ঘটনা। মার্শাল সদ্য কাটা নালার দিকে তাকাতে কালো মাটিতে জ্বলজ্বলে একটা কিছুর উপস্থিতি আবিষ্কার করলেন।
আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে চমকে উঠলেন। নালার বড় একটা অংশ জুড়ে সোনালি জ্বলজ্বলে টুকরো বা কণা দেখা যাচ্ছে, আর এগুলো স্বর্ণের মতোই মনে হচ্ছে। ছুটে গিয়ে বিষয়টি সাটারকে জানালেন।
স্বর্ণ সম্পর্কে অভিজ্ঞ একজনকে দিয়ে কণাগুলি যে সোনা তা নিশ্চিত করার পর সাটার নিঃশব্দে যতটা সম্ভব সোনা সংগ্রহ করতে শুরু করেন। আবিষ্কারটি গোপন রাখার চেষ্টা করেন তিনি। তবে এমন একটা বিষয় লুকিয়ে রাখা প্রায় অসম্ভব এক ব্যাপার। অতএব ফাঁস হয়ে গেল সাটার’স ক্রিকে স্বর্ণের খোঁজ পাওয়ার ঘটনা। যা কয়েক মাসের মধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তম গোল্ড রাশের জন্ম দিল।
আর ক্যালিফোর্নিয়ার গোল্ড রাশ সাটারের জন্য একটি বড় বিপর্যয় ডেকে আনল। এটা সত্যি গোল্ড রাশ কয়েক লাখ মানুষকে ক্যালিফোর্নিয়ায় টেনে আনে। কিন্তু প্রসপেক্টার বা স্বর্ণসন্ধানীদের সাটারের কৃষি সম্প্রদায়ে যোগদানের কোনো আগ্রহই ছিল না। এর বদলে তারা সাটারের সম্পত্তির বারোটা বাজাল স্বর্ণের খোঁজে। খাবারের জন্য তাঁর পশুদের জবাই করল আর ফসলের খেত মাড়িয়ে নষ্ট করল।
ক্যালিফোর্নিয়ার বাইরে ওরেগন, হাওয়াই এবং ল্যাটিন আমেরিকার স্বর্ণসন্ধানীরা প্রথম পৌঁছেন ক্রিকটির তীরে। গোল্ড রাশের সময় ক্যালিফোর্নিয়ায় আসা প্রায় তিন লাখ লোকের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই আসেন সমুদ্রপথে আসেন।
১৮৫২ সালের মধ্যে নিউ হেলভেশিয়া মোটামুটি এক ধ্বংসাবশেষে পরিণত হলো। সেই সঙ্গে কপাল পুড়ল সাটারের। ১৮৮০ সালে মারা যান তিনি। তবে এর আগ পর্যন্ত, অনিচ্ছাকৃতভাবে যে গোল্ড রাশ ডেকে আনেন তাতে যে ক্ষতি হয় তার জন্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়াতেই ব্যস্ত ছিলেন। যদিও এতে সফল হননি।
সূত্র: হিস্টরি চ্যানেল, উইকিপিডিয়া
২৪ জানুয়ারি, ১৮৪৮। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সাটার’স ক্রিকের তীরে সোনা খুঁজে পান এক ব্যক্তি। এর মধ্যমে সূচনা হয় গোল্ড রাশের। দলে দলে স্বর্ণসন্ধনীরা ছুটে আসতে থাকেন সাটার’স ক্রিকে। আর এই সোনা খুঁজে পাওয়ার ঘটনা চিরতরে বদলে দেয় বুনো পশ্চিমের ইতিহাসের গতিপথ।
স্যাক্রামেন্টো উপত্যকার পূর্বে আমেরিকান নদীর থেকে আসা একটি খাল সাটার’স ক্রিক। ১৮৩৯ সালে মেক্সিকান ক্যালিফোর্নিয়ায় (তখন মেক্সিকোর অন্তর্ভুক্ত ছিল এই আমেরিকান রাজ্যটি) আসা সুইস অভিবাসী জন অগাস্টাস সাটারের নামে রাখা হয় ক্রিকটির নাম।
সাটার মেক্সিকোর নাগরিকত্ব পান এবং অনুদান হিসেবে সবুজ স্যাক্রামেন্টো উপত্যকায় প্রায় ৫০ হাজার একর জমি পান। যেখানে তিনি নিজের একটি ছোটখাটো সাম্রাজ্য গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেন। এখানে একটি শক্তিশালী দুর্গ তৈরি করেন, যা কালক্রমে তার গড়ে তোলা শহর নিউ হেলভেশিয়ার কেন্দ্রে পরিণত হয়। এখানে খামার করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও প্রচুর গবাদিপশু কিনে আনেন। শুধু তাই না, তার এলাকার প্রতিরক্ষার জন্য একটি কামানও আনান।
স্প্যানিশ মিশনের পদ্ধতি অনুসরণ করে, সাটার স্থানীয় রেড ইন্ডিয়ানদের দিয়ে তাঁর খামারের সমস্ত কাজ করাতে শুরু করেন। কথিত আছে, যে সব শ্রমিক অনুমতি ছাড়াই তার এলাকা ত্যাগ করত তাদের ফিরিয়ে এনে শাস্তি দেওয়া হতো।
১৮৪০-র দশকে, সাটারের দুর্গ ক্যালিফোর্নিয়ায় খামার ও র্যাঞ্চ তৈরি করতে আসা অ্যাংলো-আমেরিকান অভিবাসীদের প্রথম বিরতিস্থল হয়ে ওঠে। মেক্সিকোর প্রদেশটিকে ক্রমেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকা আমেরিকানদের নিয়ন্ত্রণে পড়া থেকে রক্ষা করার শপথ নিলেও সাটার বুঝতে পেরেছিলেন যে তার ভবিষ্যৎ প্রতিপত্তি ও সম্পদ লাভ এই অ্যাংলো বসতি স্থাপনকারীদের ওপরই নির্ভর করছে। 1
১৮৪৬ সালে মেক্সিকান ওয়ার শুরু হলে সাটার আমেরিকানদের সমর্থন দেন। আপাতদৃষ্টিতে এতে তাঁর লাভই হয় বলে মনে হয়, কারণ ১৮৪৭ সালের শরৎ নাগাদ মার্কিনিরা যুদ্ধে জয়ী হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই ক্যালিফোর্নিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে চলে আসে। সাটার ১৮৪৮ সালের জানুয়ারিতে আমেরিকান নদীর দক্ষিণ শাখা বরাবর একটি করাতকল নির্মাণের জন্য জেমস মার্শাল নামের এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেন।
মিলের চাকা ঘুরতে জলের প্রবাহ ব্যবহার করার জন্য মার্শাল একটি অগভীর নালা খননের কাজ তদারকি করেছিলেন। ১৮৪৮ সালের ২৪ জানুয়ারি সকালের ঘটনা। মার্শাল সদ্য কাটা নালার দিকে তাকাতে কালো মাটিতে জ্বলজ্বলে একটা কিছুর উপস্থিতি আবিষ্কার করলেন।
আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে চমকে উঠলেন। নালার বড় একটা অংশ জুড়ে সোনালি জ্বলজ্বলে টুকরো বা কণা দেখা যাচ্ছে, আর এগুলো স্বর্ণের মতোই মনে হচ্ছে। ছুটে গিয়ে বিষয়টি সাটারকে জানালেন।
স্বর্ণ সম্পর্কে অভিজ্ঞ একজনকে দিয়ে কণাগুলি যে সোনা তা নিশ্চিত করার পর সাটার নিঃশব্দে যতটা সম্ভব সোনা সংগ্রহ করতে শুরু করেন। আবিষ্কারটি গোপন রাখার চেষ্টা করেন তিনি। তবে এমন একটা বিষয় লুকিয়ে রাখা প্রায় অসম্ভব এক ব্যাপার। অতএব ফাঁস হয়ে গেল সাটার’স ক্রিকে স্বর্ণের খোঁজ পাওয়ার ঘটনা। যা কয়েক মাসের মধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তম গোল্ড রাশের জন্ম দিল।
আর ক্যালিফোর্নিয়ার গোল্ড রাশ সাটারের জন্য একটি বড় বিপর্যয় ডেকে আনল। এটা সত্যি গোল্ড রাশ কয়েক লাখ মানুষকে ক্যালিফোর্নিয়ায় টেনে আনে। কিন্তু প্রসপেক্টার বা স্বর্ণসন্ধানীদের সাটারের কৃষি সম্প্রদায়ে যোগদানের কোনো আগ্রহই ছিল না। এর বদলে তারা সাটারের সম্পত্তির বারোটা বাজাল স্বর্ণের খোঁজে। খাবারের জন্য তাঁর পশুদের জবাই করল আর ফসলের খেত মাড়িয়ে নষ্ট করল।
ক্যালিফোর্নিয়ার বাইরে ওরেগন, হাওয়াই এবং ল্যাটিন আমেরিকার স্বর্ণসন্ধানীরা প্রথম পৌঁছেন ক্রিকটির তীরে। গোল্ড রাশের সময় ক্যালিফোর্নিয়ায় আসা প্রায় তিন লাখ লোকের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই আসেন সমুদ্রপথে আসেন।
১৮৫২ সালের মধ্যে নিউ হেলভেশিয়া মোটামুটি এক ধ্বংসাবশেষে পরিণত হলো। সেই সঙ্গে কপাল পুড়ল সাটারের। ১৮৮০ সালে মারা যান তিনি। তবে এর আগ পর্যন্ত, অনিচ্ছাকৃতভাবে যে গোল্ড রাশ ডেকে আনেন তাতে যে ক্ষতি হয় তার জন্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়াতেই ব্যস্ত ছিলেন। যদিও এতে সফল হননি।
সূত্র: হিস্টরি চ্যানেল, উইকিপিডিয়া
২৪ জানুয়ারি, ১৮৪৮। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সাটার’স ক্রিকের তীরে সোনা খুঁজে পান এক ব্যক্তি। এর মধ্যমে সূচনা হয় গোল্ড রাশের। দলে দলে স্বর্ণসন্ধনীরা ছুটে আসতে থাকেন সাটার’স ক্রিকে। আর এই সোনা খুঁজে পাওয়ার ঘটনা চিরতরে বদলে দেয় বুনো পশ্চিমের ইতিহাসের গতিপথ।
স্যাক্রামেন্টো উপত্যকার পূর্বে আমেরিকান নদীর থেকে আসা একটি খাল সাটার’স ক্রিক। ১৮৩৯ সালে মেক্সিকান ক্যালিফোর্নিয়ায় (তখন মেক্সিকোর অন্তর্ভুক্ত ছিল এই আমেরিকান রাজ্যটি) আসা সুইস অভিবাসী জন অগাস্টাস সাটারের নামে রাখা হয় ক্রিকটির নাম।
সাটার মেক্সিকোর নাগরিকত্ব পান এবং অনুদান হিসেবে সবুজ স্যাক্রামেন্টো উপত্যকায় প্রায় ৫০ হাজার একর জমি পান। যেখানে তিনি নিজের একটি ছোটখাটো সাম্রাজ্য গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেন। এখানে একটি শক্তিশালী দুর্গ তৈরি করেন, যা কালক্রমে তার গড়ে তোলা শহর নিউ হেলভেশিয়ার কেন্দ্রে পরিণত হয়। এখানে খামার করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও প্রচুর গবাদিপশু কিনে আনেন। শুধু তাই না, তার এলাকার প্রতিরক্ষার জন্য একটি কামানও আনান।
স্প্যানিশ মিশনের পদ্ধতি অনুসরণ করে, সাটার স্থানীয় রেড ইন্ডিয়ানদের দিয়ে তাঁর খামারের সমস্ত কাজ করাতে শুরু করেন। কথিত আছে, যে সব শ্রমিক অনুমতি ছাড়াই তার এলাকা ত্যাগ করত তাদের ফিরিয়ে এনে শাস্তি দেওয়া হতো।
১৮৪০-র দশকে, সাটারের দুর্গ ক্যালিফোর্নিয়ায় খামার ও র্যাঞ্চ তৈরি করতে আসা অ্যাংলো-আমেরিকান অভিবাসীদের প্রথম বিরতিস্থল হয়ে ওঠে। মেক্সিকোর প্রদেশটিকে ক্রমেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকা আমেরিকানদের নিয়ন্ত্রণে পড়া থেকে রক্ষা করার শপথ নিলেও সাটার বুঝতে পেরেছিলেন যে তার ভবিষ্যৎ প্রতিপত্তি ও সম্পদ লাভ এই অ্যাংলো বসতি স্থাপনকারীদের ওপরই নির্ভর করছে। 1
১৮৪৬ সালে মেক্সিকান ওয়ার শুরু হলে সাটার আমেরিকানদের সমর্থন দেন। আপাতদৃষ্টিতে এতে তাঁর লাভই হয় বলে মনে হয়, কারণ ১৮৪৭ সালের শরৎ নাগাদ মার্কিনিরা যুদ্ধে জয়ী হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই ক্যালিফোর্নিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে চলে আসে। সাটার ১৮৪৮ সালের জানুয়ারিতে আমেরিকান নদীর দক্ষিণ শাখা বরাবর একটি করাতকল নির্মাণের জন্য জেমস মার্শাল নামের এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেন।
মিলের চাকা ঘুরতে জলের প্রবাহ ব্যবহার করার জন্য মার্শাল একটি অগভীর নালা খননের কাজ তদারকি করেছিলেন। ১৮৪৮ সালের ২৪ জানুয়ারি সকালের ঘটনা। মার্শাল সদ্য কাটা নালার দিকে তাকাতে কালো মাটিতে জ্বলজ্বলে একটা কিছুর উপস্থিতি আবিষ্কার করলেন।
আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে চমকে উঠলেন। নালার বড় একটা অংশ জুড়ে সোনালি জ্বলজ্বলে টুকরো বা কণা দেখা যাচ্ছে, আর এগুলো স্বর্ণের মতোই মনে হচ্ছে। ছুটে গিয়ে বিষয়টি সাটারকে জানালেন।
স্বর্ণ সম্পর্কে অভিজ্ঞ একজনকে দিয়ে কণাগুলি যে সোনা তা নিশ্চিত করার পর সাটার নিঃশব্দে যতটা সম্ভব সোনা সংগ্রহ করতে শুরু করেন। আবিষ্কারটি গোপন রাখার চেষ্টা করেন তিনি। তবে এমন একটা বিষয় লুকিয়ে রাখা প্রায় অসম্ভব এক ব্যাপার। অতএব ফাঁস হয়ে গেল সাটার’স ক্রিকে স্বর্ণের খোঁজ পাওয়ার ঘটনা। যা কয়েক মাসের মধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তম গোল্ড রাশের জন্ম দিল।
আর ক্যালিফোর্নিয়ার গোল্ড রাশ সাটারের জন্য একটি বড় বিপর্যয় ডেকে আনল। এটা সত্যি গোল্ড রাশ কয়েক লাখ মানুষকে ক্যালিফোর্নিয়ায় টেনে আনে। কিন্তু প্রসপেক্টার বা স্বর্ণসন্ধানীদের সাটারের কৃষি সম্প্রদায়ে যোগদানের কোনো আগ্রহই ছিল না। এর বদলে তারা সাটারের সম্পত্তির বারোটা বাজাল স্বর্ণের খোঁজে। খাবারের জন্য তাঁর পশুদের জবাই করল আর ফসলের খেত মাড়িয়ে নষ্ট করল।
ক্যালিফোর্নিয়ার বাইরে ওরেগন, হাওয়াই এবং ল্যাটিন আমেরিকার স্বর্ণসন্ধানীরা প্রথম পৌঁছেন ক্রিকটির তীরে। গোল্ড রাশের সময় ক্যালিফোর্নিয়ায় আসা প্রায় তিন লাখ লোকের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই আসেন সমুদ্রপথে আসেন।
১৮৫২ সালের মধ্যে নিউ হেলভেশিয়া মোটামুটি এক ধ্বংসাবশেষে পরিণত হলো। সেই সঙ্গে কপাল পুড়ল সাটারের। ১৮৮০ সালে মারা যান তিনি। তবে এর আগ পর্যন্ত, অনিচ্ছাকৃতভাবে যে গোল্ড রাশ ডেকে আনেন তাতে যে ক্ষতি হয় তার জন্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়াতেই ব্যস্ত ছিলেন। যদিও এতে সফল হননি।
সূত্র: হিস্টরি চ্যানেল, উইকিপিডিয়া
আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন।
৩ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
৪ দিন আগে১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির...
৫ দিন আগেচলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না।
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়
আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন। বলা হয়, চিত্তরঞ্জন দাশের জীবনদর্শনে প্রভাবিত হয়েই শচীমোহন রেস্তোরাঁটির নাম দেন ‘দেশবন্ধু সুইটমিট অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’। এর উল্টো দিকে তখন ছিল ইত্তেফাক পত্রিকার অফিস।
সেখানকার সাংবাদিকেরা দেশবন্ধুর পরোটা-লুচি-ভাজি-হালুয়া খেতে যেতেন নিয়মিত। কবি-সাহিত্যিক-অভিনয়শিল্পীরাও পছন্দ করতেন এই রেস্তোরাঁর খাবার। এমনকি এফডিসিতে ফরমাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হতো দেশবন্ধুর নাশতা। এখন হয়তো মানিক মিয়া, রাজ্জাক, কবরী কিংবা শাবানাদের মতো বিখ্যাতরা সেখানে যান না কিন্তু তাতে দেশবন্ধুর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি একটুও। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখনো ঢাকাবাসীর ভিড় দেখা যায় এই রেস্তোরাঁয়। ভাবা যায়, সারা দিনই এখানকার পরোটা-ভাজি বিক্রি হতে থাকে! দুপুরে অবশ্য খাবারের তালিকায় ভাত-মাছ-মাংসও আছে। ছবি: মেহেদী হাসান
আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন। বলা হয়, চিত্তরঞ্জন দাশের জীবনদর্শনে প্রভাবিত হয়েই শচীমোহন রেস্তোরাঁটির নাম দেন ‘দেশবন্ধু সুইটমিট অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’। এর উল্টো দিকে তখন ছিল ইত্তেফাক পত্রিকার অফিস।
সেখানকার সাংবাদিকেরা দেশবন্ধুর পরোটা-লুচি-ভাজি-হালুয়া খেতে যেতেন নিয়মিত। কবি-সাহিত্যিক-অভিনয়শিল্পীরাও পছন্দ করতেন এই রেস্তোরাঁর খাবার। এমনকি এফডিসিতে ফরমাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হতো দেশবন্ধুর নাশতা। এখন হয়তো মানিক মিয়া, রাজ্জাক, কবরী কিংবা শাবানাদের মতো বিখ্যাতরা সেখানে যান না কিন্তু তাতে দেশবন্ধুর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি একটুও। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখনো ঢাকাবাসীর ভিড় দেখা যায় এই রেস্তোরাঁয়। ভাবা যায়, সারা দিনই এখানকার পরোটা-ভাজি বিক্রি হতে থাকে! দুপুরে অবশ্য খাবারের তালিকায় ভাত-মাছ-মাংসও আছে। ছবি: মেহেদী হাসান
২৪ জানুয়ারি, ১৮৪৮। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সাটার’স ক্রিকের তীরে সোনা খুঁজে পান এক ব্যক্তি। এর মধ্যমে সূচনা হয় গোল্ড রাশের। দলে দলে স্বর্ণসন্ধনীরা ছুটে আসতে থাকেন সাটার’স ক্রিকে। আর এই সোনা খুঁজে পাওয়ার ঘটনা চিরতরে বদলে দেয় বুনো পশ্চিমের ইতিহাসের গতিপথ।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
৪ দিন আগে১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির...
৫ দিন আগেচলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না।
৬ দিন আগেকুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ও সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দা শাহীনা সোবহান।
ড. নাসের ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. আবু নাসের রাজীবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক জামানুল ইসলাম ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা বিশ্বজিৎ সাহা, কুমারখালী সাহিত্য সংসদের সভাপতি কবি রহমান আজিজ, কবি রজত হুদা ও কবি সবুর বাদশা। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কবি ও কথাসাহিত্যিক সোহেল আমিন বাবু, কবি বাবলু জোয়ার্দার, কবি ও সাংবাদিক মাহমুদ শরীফ, জিটিভির কুষ্টিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক কাজী সাইফুল, দৈনিক নয়া দিগন্তের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি (মাল্টিমিডিয়া) সোহাগ মাহমুদ প্রমুখ।
এ সাহিত্য আড্ডায় কুষ্টিয়া ও কুমারখালীর কবি-সাহিত্যিকেরা অংশ নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী জিয়াউর রহমান মানিক।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ও সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দা শাহীনা সোবহান।
ড. নাসের ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. আবু নাসের রাজীবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক জামানুল ইসলাম ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা বিশ্বজিৎ সাহা, কুমারখালী সাহিত্য সংসদের সভাপতি কবি রহমান আজিজ, কবি রজত হুদা ও কবি সবুর বাদশা। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কবি ও কথাসাহিত্যিক সোহেল আমিন বাবু, কবি বাবলু জোয়ার্দার, কবি ও সাংবাদিক মাহমুদ শরীফ, জিটিভির কুষ্টিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক কাজী সাইফুল, দৈনিক নয়া দিগন্তের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি (মাল্টিমিডিয়া) সোহাগ মাহমুদ প্রমুখ।
এ সাহিত্য আড্ডায় কুষ্টিয়া ও কুমারখালীর কবি-সাহিত্যিকেরা অংশ নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী জিয়াউর রহমান মানিক।
২৪ জানুয়ারি, ১৮৪৮। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সাটার’স ক্রিকের তীরে সোনা খুঁজে পান এক ব্যক্তি। এর মধ্যমে সূচনা হয় গোল্ড রাশের। দলে দলে স্বর্ণসন্ধনীরা ছুটে আসতে থাকেন সাটার’স ক্রিকে। আর এই সোনা খুঁজে পাওয়ার ঘটনা চিরতরে বদলে দেয় বুনো পশ্চিমের ইতিহাসের গতিপথ।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন।
৩ ঘণ্টা আগে১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির...
৫ দিন আগেচলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না।
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়
১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির সরদার ভবনে সরে আসে নান্না মিয়ার ব্যবসা। দোকানের নাম হয় হাজি নান্না বিরিয়ানি।
একে একে লালবাগ চৌরাস্তা, নবাবগঞ্জ বাজার, ফকিরাপুল ও নাজিমুদ্দিন রোডে এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। একই নামে শত শত ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও আসল নান্নার মোরগ পোলাওয়ের স্বাদকে টেক্কা দিতে পারেনি কেউ। তাই তো ভোজনপ্রেমীরা ঠিকই চিনে নেন আদি রেসিপিটি। মোরগ পোলাওয়ের পাশাপাশি হাজি নান্না বিরিয়ানিতে পাওয়া যায় খাসির বিরিয়ানি, খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি, বোরহানি, টিকিয়া, লাবাং ও ফিরনি। প্রতি মাসের ৫ তারিখে থাকে বিশেষ আয়োজন—আস্ত মুরগির পোলাও। ছবি: জাহিদুল ইসলাম
১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির সরদার ভবনে সরে আসে নান্না মিয়ার ব্যবসা। দোকানের নাম হয় হাজি নান্না বিরিয়ানি।
একে একে লালবাগ চৌরাস্তা, নবাবগঞ্জ বাজার, ফকিরাপুল ও নাজিমুদ্দিন রোডে এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। একই নামে শত শত ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও আসল নান্নার মোরগ পোলাওয়ের স্বাদকে টেক্কা দিতে পারেনি কেউ। তাই তো ভোজনপ্রেমীরা ঠিকই চিনে নেন আদি রেসিপিটি। মোরগ পোলাওয়ের পাশাপাশি হাজি নান্না বিরিয়ানিতে পাওয়া যায় খাসির বিরিয়ানি, খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি, বোরহানি, টিকিয়া, লাবাং ও ফিরনি। প্রতি মাসের ৫ তারিখে থাকে বিশেষ আয়োজন—আস্ত মুরগির পোলাও। ছবি: জাহিদুল ইসলাম
২৪ জানুয়ারি, ১৮৪৮। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সাটার’স ক্রিকের তীরে সোনা খুঁজে পান এক ব্যক্তি। এর মধ্যমে সূচনা হয় গোল্ড রাশের। দলে দলে স্বর্ণসন্ধনীরা ছুটে আসতে থাকেন সাটার’স ক্রিকে। আর এই সোনা খুঁজে পাওয়ার ঘটনা চিরতরে বদলে দেয় বুনো পশ্চিমের ইতিহাসের গতিপথ।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন।
৩ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
৪ দিন আগেচলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না।
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়
চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না। ব্যাপারটা ভদ্রলোক করেছিলেন ১৯৩৬ সালে, এ কথা ভুলবেন না। আর সেই যে সেই ‘উত্তরায়ণ’-এ বড়ুয়া সাহেবের জ্বর হওয়ার পরে ক্যামেরা সোজা সিঁড়ি দিয়ে উঠে বিছানায় গিয়ে আছড়ে পড়ল—সেটাই কি ভোলা যায়! কাণ্ডটা ঘটিয়েছেন ভদ্রলোক ডেভিড লিনের ‘অলিভার টুইস্ট’-এর বহু আগে। সাবজেকটিভ ক্যামেরা সম্পর্কে অনেক কথা আজকাল শুনতে পাই, বিভিন্ন পরিচালক নাকি খুব ভালোভাবে ব্যবহার করছেন।
...আমার কাছে গুলিয়ে গেছে সিনেমার প্রাচীন আর আধুনিক বলতে আপনারা কী বোঝাতে চেয়েছেন। এসব ধরনের কথা শুনলে আমার একটা কথাই মনে হয়, কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় ‘দে গরুর গা ধুইয়ে’।
...চলচ্চিত্রের সামাজিক দায়িত্ব সব সময়ে হয়েছে। হয় পজিটিভ, না হয় নেগেটিভভাবে। ছবিটাকে আমি একটা শিল্প বলি। কাজেই মনে করি সর্বশিল্পের শর্ত পালিত হচ্ছে এখানেও। আমি মনে করি না যে সত্যজিৎ রায়ের ‘চারুলতা’ চ্যাপলিনের ‘এসানে’ যুগের এক রিলের ছবিগুলোর চেয়ে বেশি সচেতন।
১৯২৫ সালে তোলা আইজেনস্টাইনের ‘স্ট্রাইক’ ছবির চেয়ে বেশি সমাজসচেতন ছবি কি আজ পর্যন্ত তোলা হয়েছে? পাবস্ট-এর ‘কামেরা ডে শেফট’ আজও পর্যন্ত আমার কাছে মনে হয় সবচেয়ে বেশি সমাজসচেতন একটি ছবি। চারু রায়ের ‘বাংলার মেয়ে’ বহু আগে তোলা—প্রথম বাংলা ছবি, যাতে আউটডোর ব্যবহৃত হয় সবচেয়ে বেশিভাবে, তাতেও সমাজচেতনা পরিপূর্ণ ছিল।
...রবিঠাকুর মশায় একটা বড় ভালো কথা বলে গিয়েছিলেন, ‘শিল্পকে শিল্প হতে হলে সর্বাগ্রে সত্যনিষ্ঠ হতে হয়, তারপরে সৌন্দর্যনিষ্ঠ’। কথাটা ভাবার মতো। যদি পারেন ভেবে দেখবেন।
সূত্র: ঋত্বিক ঘটকের গৃহীত সাক্ষাৎকার, ‘সাক্ষাৎ ঋত্বিক’, শিবাদিত্য দাশগুপ্ত ও সন্দীপন ভট্টাচার্য সম্পাদিত, পৃষ্ঠা ১৮-১৯
চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না। ব্যাপারটা ভদ্রলোক করেছিলেন ১৯৩৬ সালে, এ কথা ভুলবেন না। আর সেই যে সেই ‘উত্তরায়ণ’-এ বড়ুয়া সাহেবের জ্বর হওয়ার পরে ক্যামেরা সোজা সিঁড়ি দিয়ে উঠে বিছানায় গিয়ে আছড়ে পড়ল—সেটাই কি ভোলা যায়! কাণ্ডটা ঘটিয়েছেন ভদ্রলোক ডেভিড লিনের ‘অলিভার টুইস্ট’-এর বহু আগে। সাবজেকটিভ ক্যামেরা সম্পর্কে অনেক কথা আজকাল শুনতে পাই, বিভিন্ন পরিচালক নাকি খুব ভালোভাবে ব্যবহার করছেন।
...আমার কাছে গুলিয়ে গেছে সিনেমার প্রাচীন আর আধুনিক বলতে আপনারা কী বোঝাতে চেয়েছেন। এসব ধরনের কথা শুনলে আমার একটা কথাই মনে হয়, কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় ‘দে গরুর গা ধুইয়ে’।
...চলচ্চিত্রের সামাজিক দায়িত্ব সব সময়ে হয়েছে। হয় পজিটিভ, না হয় নেগেটিভভাবে। ছবিটাকে আমি একটা শিল্প বলি। কাজেই মনে করি সর্বশিল্পের শর্ত পালিত হচ্ছে এখানেও। আমি মনে করি না যে সত্যজিৎ রায়ের ‘চারুলতা’ চ্যাপলিনের ‘এসানে’ যুগের এক রিলের ছবিগুলোর চেয়ে বেশি সচেতন।
১৯২৫ সালে তোলা আইজেনস্টাইনের ‘স্ট্রাইক’ ছবির চেয়ে বেশি সমাজসচেতন ছবি কি আজ পর্যন্ত তোলা হয়েছে? পাবস্ট-এর ‘কামেরা ডে শেফট’ আজও পর্যন্ত আমার কাছে মনে হয় সবচেয়ে বেশি সমাজসচেতন একটি ছবি। চারু রায়ের ‘বাংলার মেয়ে’ বহু আগে তোলা—প্রথম বাংলা ছবি, যাতে আউটডোর ব্যবহৃত হয় সবচেয়ে বেশিভাবে, তাতেও সমাজচেতনা পরিপূর্ণ ছিল।
...রবিঠাকুর মশায় একটা বড় ভালো কথা বলে গিয়েছিলেন, ‘শিল্পকে শিল্প হতে হলে সর্বাগ্রে সত্যনিষ্ঠ হতে হয়, তারপরে সৌন্দর্যনিষ্ঠ’। কথাটা ভাবার মতো। যদি পারেন ভেবে দেখবেন।
সূত্র: ঋত্বিক ঘটকের গৃহীত সাক্ষাৎকার, ‘সাক্ষাৎ ঋত্বিক’, শিবাদিত্য দাশগুপ্ত ও সন্দীপন ভট্টাচার্য সম্পাদিত, পৃষ্ঠা ১৮-১৯
২৪ জানুয়ারি, ১৮৪৮। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সাটার’স ক্রিকের তীরে সোনা খুঁজে পান এক ব্যক্তি। এর মধ্যমে সূচনা হয় গোল্ড রাশের। দলে দলে স্বর্ণসন্ধনীরা ছুটে আসতে থাকেন সাটার’স ক্রিকে। আর এই সোনা খুঁজে পাওয়ার ঘটনা চিরতরে বদলে দেয় বুনো পশ্চিমের ইতিহাসের গতিপথ।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন।
৩ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
৪ দিন আগে১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির...
৫ দিন আগে