
সত্তর সালে বিটলস ভেঙে যাওয়াটা ছিল ভক্তকুলের জন্য বজ্রপাতের মতো। এই ভাঙনের জন্য কে দায়ী, তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। কিন্তু সত্য হলো জন লেনন, জর্জ হ্যারিসন, পল ম্যাকার্টনি আর রিঙ্গো স্টারকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হলো, তাঁরা প্রত্যেকেই তখন নিজের মতো করে পারফর্ম করে চলেছেন এবং দর্শক-শ্রোতা তা গ্রহণও করছেন।
এরপর এল ১৯৭১ সাল। রবিশঙ্করের মাথায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বসভায় হাজির করানোর একটা ভাবনা এল। সে সময় জর্জ ছিলেন নিজের ক্যারিয়ার গড়ার প্রচেষ্টায়। রবিশঙ্কর জানালেন, তিনি বাংলাদেশের জন্য তহবিল সংগ্রহে একটি কনসার্টের আয়োজন করার কথা ভাবছেন। তাঁর এই উদ্যোগে তিনি জর্জকে পাশে চান। কারণ, জর্জ যদি এই কনসার্টে অংশ নেওয়ার জন্য বন্ধুদের আহ্বান জানান, তাহলে তাঁরা তাঁর অনুরোধ রাখবেন।
জর্জ ভাবলেন। নিজের রেকর্ডিংকে কিছুদিনের জন্য বিশ্রাম দিলেন। বুঝলেন, এ সময় বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়ানো উচিত। প্রায় এক কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, কাটাচ্ছে মানবেতর জীবন। তাদের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে।
জর্জ হ্যারিসন তখন পৃথিবীবিখ্যাত শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে লাগলেন। বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, বিলি প্রেস্টন, রিঙ্গো স্টার, লিওন রাসেল সাড়া দিলেন জর্জ হ্যারিসনের আহ্বানে। অন্যদিকে রবিশঙ্করের সঙ্গে থাকলেন ওস্তাদ আলী আকবর খান, ওস্তাদ আল্লা রাখা।
১৯৭১ সালের ১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন স্কয়ারে যখন ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ শুরু হলো, তখন শুরুতেই মঞ্চে দেখা গেল জর্জ হ্যারিসনকে। হ্যারিসন বলেছিলেন, ‘ভারতীয় সংগীত আমাদের চেয়ে অনেক গভীর।’ এ কথা বলে তিনি রবিশঙ্কর ও তাঁর সহশিল্পীদের সঙ্গে দর্শক-শ্রোতাদের পরিচয় করিয়ে দেন। ‘বাংলার ধুন’ দিয়ে শুরু হয়েছিল সেই কনসার্ট।
হ্যারিসন সে কনসার্টে গান গেয়েছিলেন আটটি। তার মধ্যে একটি ছিল বব ডিলানের সঙ্গে। এখানেই ছিল ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ গানটি।
সূত্র: জর্জ হ্যারিসন সম্পর্কে বিভিন্ন বই ও সংবাদপত্র

সত্তর সালে বিটলস ভেঙে যাওয়াটা ছিল ভক্তকুলের জন্য বজ্রপাতের মতো। এই ভাঙনের জন্য কে দায়ী, তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। কিন্তু সত্য হলো জন লেনন, জর্জ হ্যারিসন, পল ম্যাকার্টনি আর রিঙ্গো স্টারকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হলো, তাঁরা প্রত্যেকেই তখন নিজের মতো করে পারফর্ম করে চলেছেন এবং দর্শক-শ্রোতা তা গ্রহণও করছেন।
এরপর এল ১৯৭১ সাল। রবিশঙ্করের মাথায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বসভায় হাজির করানোর একটা ভাবনা এল। সে সময় জর্জ ছিলেন নিজের ক্যারিয়ার গড়ার প্রচেষ্টায়। রবিশঙ্কর জানালেন, তিনি বাংলাদেশের জন্য তহবিল সংগ্রহে একটি কনসার্টের আয়োজন করার কথা ভাবছেন। তাঁর এই উদ্যোগে তিনি জর্জকে পাশে চান। কারণ, জর্জ যদি এই কনসার্টে অংশ নেওয়ার জন্য বন্ধুদের আহ্বান জানান, তাহলে তাঁরা তাঁর অনুরোধ রাখবেন।
জর্জ ভাবলেন। নিজের রেকর্ডিংকে কিছুদিনের জন্য বিশ্রাম দিলেন। বুঝলেন, এ সময় বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়ানো উচিত। প্রায় এক কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, কাটাচ্ছে মানবেতর জীবন। তাদের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে।
জর্জ হ্যারিসন তখন পৃথিবীবিখ্যাত শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে লাগলেন। বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, বিলি প্রেস্টন, রিঙ্গো স্টার, লিওন রাসেল সাড়া দিলেন জর্জ হ্যারিসনের আহ্বানে। অন্যদিকে রবিশঙ্করের সঙ্গে থাকলেন ওস্তাদ আলী আকবর খান, ওস্তাদ আল্লা রাখা।
১৯৭১ সালের ১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন স্কয়ারে যখন ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ শুরু হলো, তখন শুরুতেই মঞ্চে দেখা গেল জর্জ হ্যারিসনকে। হ্যারিসন বলেছিলেন, ‘ভারতীয় সংগীত আমাদের চেয়ে অনেক গভীর।’ এ কথা বলে তিনি রবিশঙ্কর ও তাঁর সহশিল্পীদের সঙ্গে দর্শক-শ্রোতাদের পরিচয় করিয়ে দেন। ‘বাংলার ধুন’ দিয়ে শুরু হয়েছিল সেই কনসার্ট।
হ্যারিসন সে কনসার্টে গান গেয়েছিলেন আটটি। তার মধ্যে একটি ছিল বব ডিলানের সঙ্গে। এখানেই ছিল ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ গানটি।
সূত্র: জর্জ হ্যারিসন সম্পর্কে বিভিন্ন বই ও সংবাদপত্র

সত্তর সালে বিটলস ভেঙে যাওয়াটা ছিল ভক্তকুলের জন্য বজ্রপাতের মতো। এই ভাঙনের জন্য কে দায়ী, তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। কিন্তু সত্য হলো জন লেনন, জর্জ হ্যারিসন, পল ম্যাকার্টনি আর রিঙ্গো স্টারকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হলো, তাঁরা প্রত্যেকেই তখন নিজের মতো করে পারফর্ম করে চলেছেন এবং দর্শক-শ্রোতা তা গ্রহণও করছেন।
এরপর এল ১৯৭১ সাল। রবিশঙ্করের মাথায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বসভায় হাজির করানোর একটা ভাবনা এল। সে সময় জর্জ ছিলেন নিজের ক্যারিয়ার গড়ার প্রচেষ্টায়। রবিশঙ্কর জানালেন, তিনি বাংলাদেশের জন্য তহবিল সংগ্রহে একটি কনসার্টের আয়োজন করার কথা ভাবছেন। তাঁর এই উদ্যোগে তিনি জর্জকে পাশে চান। কারণ, জর্জ যদি এই কনসার্টে অংশ নেওয়ার জন্য বন্ধুদের আহ্বান জানান, তাহলে তাঁরা তাঁর অনুরোধ রাখবেন।
জর্জ ভাবলেন। নিজের রেকর্ডিংকে কিছুদিনের জন্য বিশ্রাম দিলেন। বুঝলেন, এ সময় বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়ানো উচিত। প্রায় এক কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, কাটাচ্ছে মানবেতর জীবন। তাদের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে।
জর্জ হ্যারিসন তখন পৃথিবীবিখ্যাত শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে লাগলেন। বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, বিলি প্রেস্টন, রিঙ্গো স্টার, লিওন রাসেল সাড়া দিলেন জর্জ হ্যারিসনের আহ্বানে। অন্যদিকে রবিশঙ্করের সঙ্গে থাকলেন ওস্তাদ আলী আকবর খান, ওস্তাদ আল্লা রাখা।
১৯৭১ সালের ১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন স্কয়ারে যখন ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ শুরু হলো, তখন শুরুতেই মঞ্চে দেখা গেল জর্জ হ্যারিসনকে। হ্যারিসন বলেছিলেন, ‘ভারতীয় সংগীত আমাদের চেয়ে অনেক গভীর।’ এ কথা বলে তিনি রবিশঙ্কর ও তাঁর সহশিল্পীদের সঙ্গে দর্শক-শ্রোতাদের পরিচয় করিয়ে দেন। ‘বাংলার ধুন’ দিয়ে শুরু হয়েছিল সেই কনসার্ট।
হ্যারিসন সে কনসার্টে গান গেয়েছিলেন আটটি। তার মধ্যে একটি ছিল বব ডিলানের সঙ্গে। এখানেই ছিল ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ গানটি।
সূত্র: জর্জ হ্যারিসন সম্পর্কে বিভিন্ন বই ও সংবাদপত্র

সত্তর সালে বিটলস ভেঙে যাওয়াটা ছিল ভক্তকুলের জন্য বজ্রপাতের মতো। এই ভাঙনের জন্য কে দায়ী, তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। কিন্তু সত্য হলো জন লেনন, জর্জ হ্যারিসন, পল ম্যাকার্টনি আর রিঙ্গো স্টারকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হলো, তাঁরা প্রত্যেকেই তখন নিজের মতো করে পারফর্ম করে চলেছেন এবং দর্শক-শ্রোতা তা গ্রহণও করছেন।
এরপর এল ১৯৭১ সাল। রবিশঙ্করের মাথায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বসভায় হাজির করানোর একটা ভাবনা এল। সে সময় জর্জ ছিলেন নিজের ক্যারিয়ার গড়ার প্রচেষ্টায়। রবিশঙ্কর জানালেন, তিনি বাংলাদেশের জন্য তহবিল সংগ্রহে একটি কনসার্টের আয়োজন করার কথা ভাবছেন। তাঁর এই উদ্যোগে তিনি জর্জকে পাশে চান। কারণ, জর্জ যদি এই কনসার্টে অংশ নেওয়ার জন্য বন্ধুদের আহ্বান জানান, তাহলে তাঁরা তাঁর অনুরোধ রাখবেন।
জর্জ ভাবলেন। নিজের রেকর্ডিংকে কিছুদিনের জন্য বিশ্রাম দিলেন। বুঝলেন, এ সময় বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়ানো উচিত। প্রায় এক কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, কাটাচ্ছে মানবেতর জীবন। তাদের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে।
জর্জ হ্যারিসন তখন পৃথিবীবিখ্যাত শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে লাগলেন। বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, বিলি প্রেস্টন, রিঙ্গো স্টার, লিওন রাসেল সাড়া দিলেন জর্জ হ্যারিসনের আহ্বানে। অন্যদিকে রবিশঙ্করের সঙ্গে থাকলেন ওস্তাদ আলী আকবর খান, ওস্তাদ আল্লা রাখা।
১৯৭১ সালের ১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন স্কয়ারে যখন ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ শুরু হলো, তখন শুরুতেই মঞ্চে দেখা গেল জর্জ হ্যারিসনকে। হ্যারিসন বলেছিলেন, ‘ভারতীয় সংগীত আমাদের চেয়ে অনেক গভীর।’ এ কথা বলে তিনি রবিশঙ্কর ও তাঁর সহশিল্পীদের সঙ্গে দর্শক-শ্রোতাদের পরিচয় করিয়ে দেন। ‘বাংলার ধুন’ দিয়ে শুরু হয়েছিল সেই কনসার্ট।
হ্যারিসন সে কনসার্টে গান গেয়েছিলেন আটটি। তার মধ্যে একটি ছিল বব ডিলানের সঙ্গে। এখানেই ছিল ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ গানটি।
সূত্র: জর্জ হ্যারিসন সম্পর্কে বিভিন্ন বই ও সংবাদপত্র

‘হাজী মাখন বিরানী’ বা ‘হাজী মাখন পোলাও’—যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাদের দোকান ওই দুইটাই; পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের নাসিরুদ্দিন লেনে। না, মাখন দিয়ে তাদের পোলাও বা বিরিয়ানি রান্না করা হয় না।
৪ ঘণ্টা আগে
কমলকুমার মজুমদারের বই উচ্চারণ করে পড়লে, দাঁড়ি-কমা মেলে পড়া গেলে, বোঝা যায় যে, কী আশ্চর্য সুন্দর লেখা! কী বলব, আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে তাঁর লেখা পড়ে। হাসান আজিজুল হকের লেখাও ভালোই লাগে, তাঁর লেখাতে একটা ত্রুটি আছে।
১ দিন আগে
অভিভাবকদের জন্য দুঃসংবাদ! জনপ্রিয় অভিধান ওয়েবসাইট Dictionary. com ২০২৫ সালের জন্য বর্ষসেরা শব্দ হিসেবে এমন একটি শব্দকে বেছে নিয়েছে, যা মূলত এক ধরনের প্রলাপ!
৭ দিন আগে
পুরান ঢাকার বাসিন্দা হাজি মোহাম্মদ হানিফ ১৯৭৫ সালে শুরু করেন বিরিয়ানির ব্যবসা। নাজিরাবাজারে যে দোকানটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সেটির নাম দেন হানিফ বিরিয়ানি। অর্ধশত বছর ধরে দোকানটির খাসির বিরিয়ানি ও তার সুঘ্রাণ মন-পেট দুই-ই ভরাচ্ছে ভোজনরসিকদের।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

‘হাজী মাখন বিরানী’ বা ‘হাজী মাখন পোলাও’—যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাদের দোকান ওই দুইটাই; পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের নাসিরুদ্দিন লেনে। না, মাখন দিয়ে তাদের পোলাও বা বিরিয়ানি রান্না করা হয় না। প্রতিষ্ঠাতা আবদুল কাদেরের ছেলের নাম হাজী মাখন। তাঁর নামেই ব্যবসার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। সত্তর বছরের বেশি আবদুল কাদেরের এই ব্যবসার বয়স। পঞ্চাশের দশক থেকে তিন প্রজন্ম ধরে চলছে পারিবারিক এই ব্যবসা। একসময় ১ পয়সা কি ২ পয়সায় এক প্লেট মাখন বিরিয়ানি খাওয়া যেত। এখন খেতে হলে শ দেড়েক টাকা তো লাগবেই। পোলাওয়ের চালের সঙ্গে গরুর মাংসের মাখো মাখো এই বিরিয়ানি খেতে কিন্তু একেবারেই মাখন!
ছবি: হাসান রাজা

‘হাজী মাখন বিরানী’ বা ‘হাজী মাখন পোলাও’—যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাদের দোকান ওই দুইটাই; পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের নাসিরুদ্দিন লেনে। না, মাখন দিয়ে তাদের পোলাও বা বিরিয়ানি রান্না করা হয় না। প্রতিষ্ঠাতা আবদুল কাদেরের ছেলের নাম হাজী মাখন। তাঁর নামেই ব্যবসার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। সত্তর বছরের বেশি আবদুল কাদেরের এই ব্যবসার বয়স। পঞ্চাশের দশক থেকে তিন প্রজন্ম ধরে চলছে পারিবারিক এই ব্যবসা। একসময় ১ পয়সা কি ২ পয়সায় এক প্লেট মাখন বিরিয়ানি খাওয়া যেত। এখন খেতে হলে শ দেড়েক টাকা তো লাগবেই। পোলাওয়ের চালের সঙ্গে গরুর মাংসের মাখো মাখো এই বিরিয়ানি খেতে কিন্তু একেবারেই মাখন!
ছবি: হাসান রাজা

সত্তর সালে বিটলস ভেঙে যাওয়াটা ছিল ভক্তকুলের জন্য বজ্রপাতের মতো। এই ভাঙনের জন্য কে দায়ী, তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। কিন্তু সত্য হলো জন লেনন, জর্জ হ্যারিসন, পল ম্যাকার্টনি আর রিঙ্গো স্টারকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছিল না।
২৯ নভেম্বর ২০২১
কমলকুমার মজুমদারের বই উচ্চারণ করে পড়লে, দাঁড়ি-কমা মেলে পড়া গেলে, বোঝা যায় যে, কী আশ্চর্য সুন্দর লেখা! কী বলব, আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে তাঁর লেখা পড়ে। হাসান আজিজুল হকের লেখাও ভালোই লাগে, তাঁর লেখাতে একটা ত্রুটি আছে।
১ দিন আগে
অভিভাবকদের জন্য দুঃসংবাদ! জনপ্রিয় অভিধান ওয়েবসাইট Dictionary. com ২০২৫ সালের জন্য বর্ষসেরা শব্দ হিসেবে এমন একটি শব্দকে বেছে নিয়েছে, যা মূলত এক ধরনের প্রলাপ!
৭ দিন আগে
পুরান ঢাকার বাসিন্দা হাজি মোহাম্মদ হানিফ ১৯৭৫ সালে শুরু করেন বিরিয়ানির ব্যবসা। নাজিরাবাজারে যে দোকানটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সেটির নাম দেন হানিফ বিরিয়ানি। অর্ধশত বছর ধরে দোকানটির খাসির বিরিয়ানি ও তার সুঘ্রাণ মন-পেট দুই-ই ভরাচ্ছে ভোজনরসিকদের।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

কমলকুমার মজুমদারের বই উচ্চারণ করে পড়লে, দাঁড়ি-কমা মেলে পড়া গেলে, বোঝা যায় যে, কী আশ্চর্য সুন্দর লেখা! কী বলব, আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে তাঁর লেখা পড়ে। হাসান আজিজুল হকের লেখাও ভালোই লাগে, তাঁর লেখাতে একটা ত্রুটি আছে। লেখাতে কিন্তু একটা জিনিস থাকা উচিত বলে আমার মনে হয়—হিউমার। রসবোধ থাকা উচিত, প্রত্যেকের লেখাতেই। যে ভিক্ষা করছে তাকে যদি ফলো করি, দেখা যাবে একটা সময়ে একটা হাসির কথা বলছে, একটা সময়ে একটা ভঙ্গি করল যেটা হাসির ভঙ্গি। সব সময়ই তাকে যদি এভাবে কষ্টকরভাবে দেখি, ঠিক না। ওর লেখাতে হাসিটা নেই। কায়েস আহমেদের লেখা আমার ভালো লাগত।
মঞ্জু সরকারের লেখা ভালো। আমার ভালো লাগে। সুশান্ত মজুমদারের কিছু লেখা আছে, খুব সিরিয়াসলি লিখেছে, খুব সিরিয়াসলি। বোঝা যায় আরকি। সিরিয়াস লিখলেও এখনো পর্যন্ত বলা চলে না যে ছোটগল্প লেখক হয়েছে। মঈনুল আহসান সাবের সো সো। একটা কথা কি, এদের সময় থেকে লেখকেরা প্রচণ্ড লোভী হয়ে পড়ল, তাই যা হবার হয়েছে। লোভী লোকের দ্বারা গল্প হয় না।
সমরেশ বসু ভার্সেটাইল লেখক। ভার্সেটাইল বলছি এ জন্য যে, উনি যে-সমস্ত বিষয় নিয়ে লিখেছেন, তা ওই লোকই। যেমন, রাস্তায় পড়ে থাকাদের নিয়ে তিনটা বই আছে ওনার। তিনটা কি দুটি হবে। অথচ মনে হবে ওদেরই ভাষা। ওদেরই জীবন, অসাধারণ। অন্য বইও লিখেছেন, সুন্দর।
অমিয়ভূষণ মজুমদারের লেখা আমার প্রথমেই খুব ভালো লেগেছিল, ওনার ভাষার জন্য। এত মেদহীন ভাষা বোধ হয় কারও নেই, এটা আমার মনে হয়েছিল। আমার মনে আছে, প্রায় টেক্সটের মতো বইটা (গড় শ্রীখন্ড) পড়তাম। অনেক মোটা বই। খুব ভালো লেগেছিল বইটা পড়ে।
সূত্র: প্রশান্ত মৃধা ও হামিম কামরুল হকের গ্রহণ করা কথাসাহিত্যিক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৬০-৬১

কমলকুমার মজুমদারের বই উচ্চারণ করে পড়লে, দাঁড়ি-কমা মেলে পড়া গেলে, বোঝা যায় যে, কী আশ্চর্য সুন্দর লেখা! কী বলব, আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে তাঁর লেখা পড়ে। হাসান আজিজুল হকের লেখাও ভালোই লাগে, তাঁর লেখাতে একটা ত্রুটি আছে। লেখাতে কিন্তু একটা জিনিস থাকা উচিত বলে আমার মনে হয়—হিউমার। রসবোধ থাকা উচিত, প্রত্যেকের লেখাতেই। যে ভিক্ষা করছে তাকে যদি ফলো করি, দেখা যাবে একটা সময়ে একটা হাসির কথা বলছে, একটা সময়ে একটা ভঙ্গি করল যেটা হাসির ভঙ্গি। সব সময়ই তাকে যদি এভাবে কষ্টকরভাবে দেখি, ঠিক না। ওর লেখাতে হাসিটা নেই। কায়েস আহমেদের লেখা আমার ভালো লাগত।
মঞ্জু সরকারের লেখা ভালো। আমার ভালো লাগে। সুশান্ত মজুমদারের কিছু লেখা আছে, খুব সিরিয়াসলি লিখেছে, খুব সিরিয়াসলি। বোঝা যায় আরকি। সিরিয়াস লিখলেও এখনো পর্যন্ত বলা চলে না যে ছোটগল্প লেখক হয়েছে। মঈনুল আহসান সাবের সো সো। একটা কথা কি, এদের সময় থেকে লেখকেরা প্রচণ্ড লোভী হয়ে পড়ল, তাই যা হবার হয়েছে। লোভী লোকের দ্বারা গল্প হয় না।
সমরেশ বসু ভার্সেটাইল লেখক। ভার্সেটাইল বলছি এ জন্য যে, উনি যে-সমস্ত বিষয় নিয়ে লিখেছেন, তা ওই লোকই। যেমন, রাস্তায় পড়ে থাকাদের নিয়ে তিনটা বই আছে ওনার। তিনটা কি দুটি হবে। অথচ মনে হবে ওদেরই ভাষা। ওদেরই জীবন, অসাধারণ। অন্য বইও লিখেছেন, সুন্দর।
অমিয়ভূষণ মজুমদারের লেখা আমার প্রথমেই খুব ভালো লেগেছিল, ওনার ভাষার জন্য। এত মেদহীন ভাষা বোধ হয় কারও নেই, এটা আমার মনে হয়েছিল। আমার মনে আছে, প্রায় টেক্সটের মতো বইটা (গড় শ্রীখন্ড) পড়তাম। অনেক মোটা বই। খুব ভালো লেগেছিল বইটা পড়ে।
সূত্র: প্রশান্ত মৃধা ও হামিম কামরুল হকের গ্রহণ করা কথাসাহিত্যিক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৬০-৬১

সত্তর সালে বিটলস ভেঙে যাওয়াটা ছিল ভক্তকুলের জন্য বজ্রপাতের মতো। এই ভাঙনের জন্য কে দায়ী, তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। কিন্তু সত্য হলো জন লেনন, জর্জ হ্যারিসন, পল ম্যাকার্টনি আর রিঙ্গো স্টারকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছিল না।
২৯ নভেম্বর ২০২১
‘হাজী মাখন বিরানী’ বা ‘হাজী মাখন পোলাও’—যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাদের দোকান ওই দুইটাই; পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের নাসিরুদ্দিন লেনে। না, মাখন দিয়ে তাদের পোলাও বা বিরিয়ানি রান্না করা হয় না।
৪ ঘণ্টা আগে
অভিভাবকদের জন্য দুঃসংবাদ! জনপ্রিয় অভিধান ওয়েবসাইট Dictionary. com ২০২৫ সালের জন্য বর্ষসেরা শব্দ হিসেবে এমন একটি শব্দকে বেছে নিয়েছে, যা মূলত এক ধরনের প্রলাপ!
৭ দিন আগে
পুরান ঢাকার বাসিন্দা হাজি মোহাম্মদ হানিফ ১৯৭৫ সালে শুরু করেন বিরিয়ানির ব্যবসা। নাজিরাবাজারে যে দোকানটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সেটির নাম দেন হানিফ বিরিয়ানি। অর্ধশত বছর ধরে দোকানটির খাসির বিরিয়ানি ও তার সুঘ্রাণ মন-পেট দুই-ই ভরাচ্ছে ভোজনরসিকদের।
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অভিভাবকদের জন্য দুঃসংবাদ! জনপ্রিয় অভিধান ওয়েবসাইট Dictionary. com ২০২৫ সালের জন্য বর্ষসেরা শব্দ হিসেবে এমন একটি শব্দকে বেছে নিয়েছে, যা মূলত এক ধরনের প্রলাপ! শব্দটি হলো ‘67’ (উচ্চারণ: ‘সিক্স সেভেন’), যার কোনো সুনির্দিষ্ট অর্থ নেই। সামাজিক মাধ্যম এবং স্কুলে জেন-আলফা এই শব্দটিকে অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, জেন-জি-এর পরবর্তী প্রজন্মকে জেন-আলফা বলা হচ্ছে। মূলত ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণ করা প্রজন্মই জেনারেশন আলফা বা জেন-আলফা।
ডিকশনারি ডটকম এই শব্দটি বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে এর ব্যাপকতা এবং সাংস্কৃতিক প্রভাবকে চিহ্নিত করেছে। ডিকশনারি মিডিয়া গ্রুপের শব্দকোষ পরিচালক স্টিভ জনসন সিবিএস নিউজকে জানান, যে শব্দটিকে আপনি ভেবেছিলেন সহজে বিলীন হয়ে যাবে, সেটিই একটি সাংস্কৃতিক ঘটনা হিসেবে আরও বিস্তৃত হতে শুরু করেছে।
এই শব্দে কী বোঝায়?
‘সিক্স-সেভেন’ শব্দটি অতীতের বর্ষসেরা শব্দগুলোর থেকে আলাদা। কারণ এটি কোনো জটিল ধারণা বা বড় ঘটনার প্রতিনিধিত্ব করে না। স্টিভ জনসন এটিকে একটি ‘ইন্টারজেকশন’ বা বিস্ময়সূচক শব্দ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এ শব্দ মূলত উদ্দেশ্যহীনভাবে চিৎকার করে বলা হয়।
ডিকশনারি ডটকম-এর মতে, এই শব্দের ব্যবহার অস্পষ্ট এবং পরিবর্তনশীল। কিছু ক্ষেত্রে এটিকে ‘মোটামুটি’ বা ‘হতে পারে এটা, হতে পারে ওটা’-এমন বোঝাতে ব্যবহার করা হলেও, শব্দটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অর্থহীন।
একই সঙ্গে ডিকশনারি ডটকম এটিকে ‘ব্রেনরট স্ল্যাং’-এর উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছে, যা ইচ্ছাকৃতভাবে অর্থহীন এবং উদ্ভট। স্টিভ জনসনের মতে, এটি আসলে জেন-আলফা-এর একটি দলগত পরিচয়ের প্রতীক। এই প্রজন্মের কাছে এটি একটি ‘ইন-গ্রুপ জোক’-এর মতো। সমবয়সীদের নিজস্ব কোড ভাষায় কৌতুক করে যেভাবে বোঝানো হয় যে, ‘আমি এই প্রজন্মের অংশ, এটাই আমি।’
কীভাবে হলো এর উৎপত্তি?
এই অপ্রচলিত শব্দটির (স্ল্যাং) উৎপত্তি হয়েছে র্যাপার স্করিলার-এর গান ‘Doot Doot (6 7) ’ থেকে। পরবর্তীতে এটি বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের ভিডিও ক্লিপে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার বাস্কেটবল খেলোয়াড় লামেলো বল-এর ভিডিও ক্লিপ। ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে টিকটক এবং ইনস্টাগ্রামে এই গান বাস্কেটবল দৃশ্যের সঙ্গে ভাইরাল হতে শুরু করে এবং দ্রুত তরুণ দর্শকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় টিভি শো ‘সাউথ পার্ক’-এর একটি পর্বেও এটি স্থান পায়।
শিক্ষক ও অভিভাবকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
এই শব্দের নির্বাচন নিয়ে প্রজন্ম ভেদে প্রতিক্রিয়া বিভক্ত। স্টিভ জনসন জানান, একজন মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক তাঁকে ভোরবেলা মেসেজ করে অনুরোধ করেন, যেন তাঁরা এই শব্দটিকে বর্ষসেরা নির্বাচন না করেন। জনসন মজা করে বলেন, ‘শিক্ষকেরাও এটি ধরে ফেলেছেন!’
জনসন এই প্রবণতাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘একটি নতুন প্রজন্ম তাদের ভাষাগত শক্তিমত্তা ও প্রভাব প্রদর্শন করছে। ইংরেজি ভাষার ওপর এটি অসাধারণ প্রভাব ফেলছে। এটা উদ্যাপন করার মতো বিষয়।’ তবে অভিভাবক ও শিক্ষকদের জন্য, যারা দৈনিক সময় অসময়ে ‘সিক্স সেভেন’ চিৎকার শুনতে বাধ্য হচ্ছেন, তাঁদের প্রতিক্রিয়া অনেকাংশেই বিরক্তি এবং হতাশার মিশ্রণ!
সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা অন্যান্য শব্দ
ডিকশনারি ডট কম ২০২৫ সালের বর্ষসেরা শব্দের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), রাজনীতি এবং সমাজ সম্পর্কিত আরও কয়েকটি শব্দ বিবেচনা করেছিল। সেই সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিল:
Agentic: (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত) লক্ষ্য পূরণে স্বাধীনভাবে কাজ করতে সক্ষম।
Aura farming: ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের আকর্ষণ, স্টাইল বা ভাবমূর্তি তৈরি করা, যা অনলাইন মনোযোগ বা সামাজিক প্রভাব অর্জনের জন্য করা হয়।
Gen Z stare: জেন-জি-এর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি অভিব্যক্তি, যা উদাসীন বা নির্লিপ্ত বোঝাতে ব্যবহার করা হয়।
Overtourism: কোনো জনপ্রিয় গন্তব্যে অতিরিক্ত পর্যটকের ভিড়, যার ফলে পরিবেশগত, অর্থনৈতিক ও সমাজ-সাংস্কৃতিক নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়।
Tradwife: একজন বিবাহিত নারী যিনি ঐতিহ্যবাহী নারীসুলভ লিঙ্গ ভূমিকা মেনে নিয়ে গৃহিণী হিসেবে জীবনযাপন করেন। এটি প্রায়শই রক্ষণশীল রাজনৈতিক মূল্যবোধের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি শব্দ।

অভিভাবকদের জন্য দুঃসংবাদ! জনপ্রিয় অভিধান ওয়েবসাইট Dictionary. com ২০২৫ সালের জন্য বর্ষসেরা শব্দ হিসেবে এমন একটি শব্দকে বেছে নিয়েছে, যা মূলত এক ধরনের প্রলাপ! শব্দটি হলো ‘67’ (উচ্চারণ: ‘সিক্স সেভেন’), যার কোনো সুনির্দিষ্ট অর্থ নেই। সামাজিক মাধ্যম এবং স্কুলে জেন-আলফা এই শব্দটিকে অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, জেন-জি-এর পরবর্তী প্রজন্মকে জেন-আলফা বলা হচ্ছে। মূলত ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণ করা প্রজন্মই জেনারেশন আলফা বা জেন-আলফা।
ডিকশনারি ডটকম এই শব্দটি বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে এর ব্যাপকতা এবং সাংস্কৃতিক প্রভাবকে চিহ্নিত করেছে। ডিকশনারি মিডিয়া গ্রুপের শব্দকোষ পরিচালক স্টিভ জনসন সিবিএস নিউজকে জানান, যে শব্দটিকে আপনি ভেবেছিলেন সহজে বিলীন হয়ে যাবে, সেটিই একটি সাংস্কৃতিক ঘটনা হিসেবে আরও বিস্তৃত হতে শুরু করেছে।
এই শব্দে কী বোঝায়?
‘সিক্স-সেভেন’ শব্দটি অতীতের বর্ষসেরা শব্দগুলোর থেকে আলাদা। কারণ এটি কোনো জটিল ধারণা বা বড় ঘটনার প্রতিনিধিত্ব করে না। স্টিভ জনসন এটিকে একটি ‘ইন্টারজেকশন’ বা বিস্ময়সূচক শব্দ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এ শব্দ মূলত উদ্দেশ্যহীনভাবে চিৎকার করে বলা হয়।
ডিকশনারি ডটকম-এর মতে, এই শব্দের ব্যবহার অস্পষ্ট এবং পরিবর্তনশীল। কিছু ক্ষেত্রে এটিকে ‘মোটামুটি’ বা ‘হতে পারে এটা, হতে পারে ওটা’-এমন বোঝাতে ব্যবহার করা হলেও, শব্দটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অর্থহীন।
একই সঙ্গে ডিকশনারি ডটকম এটিকে ‘ব্রেনরট স্ল্যাং’-এর উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছে, যা ইচ্ছাকৃতভাবে অর্থহীন এবং উদ্ভট। স্টিভ জনসনের মতে, এটি আসলে জেন-আলফা-এর একটি দলগত পরিচয়ের প্রতীক। এই প্রজন্মের কাছে এটি একটি ‘ইন-গ্রুপ জোক’-এর মতো। সমবয়সীদের নিজস্ব কোড ভাষায় কৌতুক করে যেভাবে বোঝানো হয় যে, ‘আমি এই প্রজন্মের অংশ, এটাই আমি।’
কীভাবে হলো এর উৎপত্তি?
এই অপ্রচলিত শব্দটির (স্ল্যাং) উৎপত্তি হয়েছে র্যাপার স্করিলার-এর গান ‘Doot Doot (6 7) ’ থেকে। পরবর্তীতে এটি বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের ভিডিও ক্লিপে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার বাস্কেটবল খেলোয়াড় লামেলো বল-এর ভিডিও ক্লিপ। ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে টিকটক এবং ইনস্টাগ্রামে এই গান বাস্কেটবল দৃশ্যের সঙ্গে ভাইরাল হতে শুরু করে এবং দ্রুত তরুণ দর্শকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় টিভি শো ‘সাউথ পার্ক’-এর একটি পর্বেও এটি স্থান পায়।
শিক্ষক ও অভিভাবকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
এই শব্দের নির্বাচন নিয়ে প্রজন্ম ভেদে প্রতিক্রিয়া বিভক্ত। স্টিভ জনসন জানান, একজন মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক তাঁকে ভোরবেলা মেসেজ করে অনুরোধ করেন, যেন তাঁরা এই শব্দটিকে বর্ষসেরা নির্বাচন না করেন। জনসন মজা করে বলেন, ‘শিক্ষকেরাও এটি ধরে ফেলেছেন!’
জনসন এই প্রবণতাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘একটি নতুন প্রজন্ম তাদের ভাষাগত শক্তিমত্তা ও প্রভাব প্রদর্শন করছে। ইংরেজি ভাষার ওপর এটি অসাধারণ প্রভাব ফেলছে। এটা উদ্যাপন করার মতো বিষয়।’ তবে অভিভাবক ও শিক্ষকদের জন্য, যারা দৈনিক সময় অসময়ে ‘সিক্স সেভেন’ চিৎকার শুনতে বাধ্য হচ্ছেন, তাঁদের প্রতিক্রিয়া অনেকাংশেই বিরক্তি এবং হতাশার মিশ্রণ!
সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা অন্যান্য শব্দ
ডিকশনারি ডট কম ২০২৫ সালের বর্ষসেরা শব্দের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), রাজনীতি এবং সমাজ সম্পর্কিত আরও কয়েকটি শব্দ বিবেচনা করেছিল। সেই সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিল:
Agentic: (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত) লক্ষ্য পূরণে স্বাধীনভাবে কাজ করতে সক্ষম।
Aura farming: ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের আকর্ষণ, স্টাইল বা ভাবমূর্তি তৈরি করা, যা অনলাইন মনোযোগ বা সামাজিক প্রভাব অর্জনের জন্য করা হয়।
Gen Z stare: জেন-জি-এর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি অভিব্যক্তি, যা উদাসীন বা নির্লিপ্ত বোঝাতে ব্যবহার করা হয়।
Overtourism: কোনো জনপ্রিয় গন্তব্যে অতিরিক্ত পর্যটকের ভিড়, যার ফলে পরিবেশগত, অর্থনৈতিক ও সমাজ-সাংস্কৃতিক নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়।
Tradwife: একজন বিবাহিত নারী যিনি ঐতিহ্যবাহী নারীসুলভ লিঙ্গ ভূমিকা মেনে নিয়ে গৃহিণী হিসেবে জীবনযাপন করেন। এটি প্রায়শই রক্ষণশীল রাজনৈতিক মূল্যবোধের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি শব্দ।

সত্তর সালে বিটলস ভেঙে যাওয়াটা ছিল ভক্তকুলের জন্য বজ্রপাতের মতো। এই ভাঙনের জন্য কে দায়ী, তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। কিন্তু সত্য হলো জন লেনন, জর্জ হ্যারিসন, পল ম্যাকার্টনি আর রিঙ্গো স্টারকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছিল না।
২৯ নভেম্বর ২০২১
‘হাজী মাখন বিরানী’ বা ‘হাজী মাখন পোলাও’—যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাদের দোকান ওই দুইটাই; পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের নাসিরুদ্দিন লেনে। না, মাখন দিয়ে তাদের পোলাও বা বিরিয়ানি রান্না করা হয় না।
৪ ঘণ্টা আগে
কমলকুমার মজুমদারের বই উচ্চারণ করে পড়লে, দাঁড়ি-কমা মেলে পড়া গেলে, বোঝা যায় যে, কী আশ্চর্য সুন্দর লেখা! কী বলব, আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে তাঁর লেখা পড়ে। হাসান আজিজুল হকের লেখাও ভালোই লাগে, তাঁর লেখাতে একটা ত্রুটি আছে।
১ দিন আগে
পুরান ঢাকার বাসিন্দা হাজি মোহাম্মদ হানিফ ১৯৭৫ সালে শুরু করেন বিরিয়ানির ব্যবসা। নাজিরাবাজারে যে দোকানটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সেটির নাম দেন হানিফ বিরিয়ানি। অর্ধশত বছর ধরে দোকানটির খাসির বিরিয়ানি ও তার সুঘ্রাণ মন-পেট দুই-ই ভরাচ্ছে ভোজনরসিকদের।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

পুরান ঢাকার বাসিন্দা হাজি মোহাম্মদ হানিফ ১৯৭৫ সালে শুরু করেন বিরিয়ানির ব্যবসা। নাজিরাবাজারে যে দোকানটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সেটির নাম দেন হানিফ বিরিয়ানি। অর্ধশত বছর ধরে দোকানটির খাসির বিরিয়ানি ও তার সুঘ্রাণ মন-পেট দুই-ই ভরাচ্ছে ভোজনরসিকদের।
২০০৫ সালে হানিফ বিরিয়ানির প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুর পর ব্যবসার হাল ধরেন তাঁর ছেলে হাজি মোহাম্মদ ইব্রাহিম রনি। অনেকে বলেন, কয়েক বছর হানিফের স্বাদে নাকি ভাটা পড়েছিল। এই কথা এখন ডাহা মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হয় দোকানের ভিড়ভাট্টা দেখলেই। পুরান ঢাকার খ্যাতনামা সব বিরিয়ানির মধ্যে এখন হানিফ যে তাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে, তা আর বলতে হয় না।
ছবি: জাহিদুল ইসলাম

পুরান ঢাকার বাসিন্দা হাজি মোহাম্মদ হানিফ ১৯৭৫ সালে শুরু করেন বিরিয়ানির ব্যবসা। নাজিরাবাজারে যে দোকানটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সেটির নাম দেন হানিফ বিরিয়ানি। অর্ধশত বছর ধরে দোকানটির খাসির বিরিয়ানি ও তার সুঘ্রাণ মন-পেট দুই-ই ভরাচ্ছে ভোজনরসিকদের।
২০০৫ সালে হানিফ বিরিয়ানির প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুর পর ব্যবসার হাল ধরেন তাঁর ছেলে হাজি মোহাম্মদ ইব্রাহিম রনি। অনেকে বলেন, কয়েক বছর হানিফের স্বাদে নাকি ভাটা পড়েছিল। এই কথা এখন ডাহা মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হয় দোকানের ভিড়ভাট্টা দেখলেই। পুরান ঢাকার খ্যাতনামা সব বিরিয়ানির মধ্যে এখন হানিফ যে তাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে, তা আর বলতে হয় না।
ছবি: জাহিদুল ইসলাম

সত্তর সালে বিটলস ভেঙে যাওয়াটা ছিল ভক্তকুলের জন্য বজ্রপাতের মতো। এই ভাঙনের জন্য কে দায়ী, তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। কিন্তু সত্য হলো জন লেনন, জর্জ হ্যারিসন, পল ম্যাকার্টনি আর রিঙ্গো স্টারকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছিল না।
২৯ নভেম্বর ২০২১
‘হাজী মাখন বিরানী’ বা ‘হাজী মাখন পোলাও’—যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাদের দোকান ওই দুইটাই; পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের নাসিরুদ্দিন লেনে। না, মাখন দিয়ে তাদের পোলাও বা বিরিয়ানি রান্না করা হয় না।
৪ ঘণ্টা আগে
কমলকুমার মজুমদারের বই উচ্চারণ করে পড়লে, দাঁড়ি-কমা মেলে পড়া গেলে, বোঝা যায় যে, কী আশ্চর্য সুন্দর লেখা! কী বলব, আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে তাঁর লেখা পড়ে। হাসান আজিজুল হকের লেখাও ভালোই লাগে, তাঁর লেখাতে একটা ত্রুটি আছে।
১ দিন আগে
অভিভাবকদের জন্য দুঃসংবাদ! জনপ্রিয় অভিধান ওয়েবসাইট Dictionary. com ২০২৫ সালের জন্য বর্ষসেরা শব্দ হিসেবে এমন একটি শব্দকে বেছে নিয়েছে, যা মূলত এক ধরনের প্রলাপ!
৭ দিন আগে