সম্পাদকীয়
১৯৪৭ সালে মোহাম্মদ তোয়াহা এ দেশে প্রথম বামপন্থী ছাত্রসংগঠন ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ফেডারেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৫০ সালে ‘গণতান্ত্রিক যুবলীগ’ ও ‘গণনাট্য সংস্থা’ প্রতিষ্ঠা করেন। তোয়াহা ১৯৫২ সালের সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটির সদস্য ছিলেন। নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে তিনি পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৬ সালে তাঁর নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তান মজদুর ফেডারেশন গঠিত হয়। এরপর তিনি মওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক কারণে তিনি ১৯৪৮, ১৯৫২ ও ১৯৫৪ সালে কারারুদ্ধ হন।
মোহাম্মদ তোয়াহার জন্ম ১৯২২ সালের ২ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার হাজিরহাট গ্রামে। তিনি ঢাকার ফরাসগঞ্জ স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। সেখানে পড়াকালীন ফজলুল হক হলের ভিপি নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি বাম রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।
একাত্তর সালে তিনি পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সিদ্ধান্তের কারণে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। স্বাধীনতার পর তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। ১৯৭৬ সালে তাঁর ওপর আরোপিত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের পর তিনি প্রকাশ্য রাজনীতিতে ফিরে আসেন। ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মোহাম্মদ তোয়াহা। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনেও তিনি আট দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
সক্রিয় রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ছিলেন বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সমিতি ও বাংলাদেশ-উত্তর কোরিয়া মৈত্রী সমিতির সভাপতি।
রাজনীতি ও সমাজনীতি সম্পর্কে তাঁর রচিত কিছু প্রবন্ধ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কয়েক বছর আগে তাঁর জীবনীগ্রন্থ ‘স্মৃতিকথা’ নামে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি ১৯৮৭ সালের ২৯ নভেম্বর নিজ গ্রামে মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৪৭ সালে মোহাম্মদ তোয়াহা এ দেশে প্রথম বামপন্থী ছাত্রসংগঠন ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ফেডারেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৫০ সালে ‘গণতান্ত্রিক যুবলীগ’ ও ‘গণনাট্য সংস্থা’ প্রতিষ্ঠা করেন। তোয়াহা ১৯৫২ সালের সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটির সদস্য ছিলেন। নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে তিনি পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৬ সালে তাঁর নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তান মজদুর ফেডারেশন গঠিত হয়। এরপর তিনি মওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক কারণে তিনি ১৯৪৮, ১৯৫২ ও ১৯৫৪ সালে কারারুদ্ধ হন।
মোহাম্মদ তোয়াহার জন্ম ১৯২২ সালের ২ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার হাজিরহাট গ্রামে। তিনি ঢাকার ফরাসগঞ্জ স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। সেখানে পড়াকালীন ফজলুল হক হলের ভিপি নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি বাম রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।
একাত্তর সালে তিনি পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সিদ্ধান্তের কারণে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। স্বাধীনতার পর তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। ১৯৭৬ সালে তাঁর ওপর আরোপিত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের পর তিনি প্রকাশ্য রাজনীতিতে ফিরে আসেন। ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মোহাম্মদ তোয়াহা। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনেও তিনি আট দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
সক্রিয় রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ছিলেন বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সমিতি ও বাংলাদেশ-উত্তর কোরিয়া মৈত্রী সমিতির সভাপতি।
রাজনীতি ও সমাজনীতি সম্পর্কে তাঁর রচিত কিছু প্রবন্ধ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কয়েক বছর আগে তাঁর জীবনীগ্রন্থ ‘স্মৃতিকথা’ নামে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি ১৯৮৭ সালের ২৯ নভেম্বর নিজ গ্রামে মৃত্যুবরণ করেন।
আমরা অনেক নীতিনৈতিকতার বকবকানির সমাজ, রিয়্যাকশনারি সমাজ। আর গুরুত্বপূর্ণ কথা এই যে, আমি শ্লীলতার রাজনীতির বাইরে মাঠের লড়াই নিয়ে বলতে চাইছি। এখানে গল্পে-কাহিনিতে ক্ষমতাহীন ও ক্ষমতাশালী মানুষের মধ্যেকার লড়াইটা পুরো অস্তিত্ববাদী। সেটা এই অর্থে যে, এখানে ক্ষমতাহীন মানুষ তার অস্তিত্বের ফিলোসফিক্যাল...
৪ দিন আগে১৯৮০ সালে তাইওয়ান সরকার ভাবল দেশটির একটা জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘর থাকা উচিত। যেই ভাবা সেই কাজ। ঘোষণাও দেওয়া হয়ে গেল—জাদুঘর হবে। ঘোষণা দিয়ে আর তো বসে থাকা যায় না। পরের বছরই ভবনের নকশার কাজ শুরু হয়। ১৯৮৬ সালে নর্থ জেলার তাইচুং শহরে নতুন বছরের প্রথম দিনই উদ্বোধন হয় ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল সায়েন্স।
৫ দিন আগে১৮২৫ সালে রাশিয়ার সম্রাট প্রথম পাভেল তাঁর পুত্র গ্র্যান্ড ডিউক মিখাইল পাভলোভিচ ও তাঁর নববধূ এলেনা পাভলোভনাকে বিয়ের উপহার হিসেবে সেন্ট পিটার্সবার্গে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করে দেন। প্রথমে ভবনটির নাম ছিল মিখাইলোভস্কি প্রাসাদ। যদিও মৃত্যুর পর এটি হয়ে যায় তাঁর স্ত্রীর নামে—দ্য প্যালেস অব দ্য গ্র্যান্ড...
৬ দিন আগেযখন মার্কিন প্রেসিডেন্টের গদিতে ছিলেন হ্যারি এস ট্রুম্যান, তখন ১৯৪৬ সালে তাঁর এক স্বাক্ষরে কংগ্রেস আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করা হয় ন্যাশনাল এয়ার মিউজিয়াম। ১৮৭৬ সালে ফিলাডেলফিয়ায় অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর কিছু নিদর্শন এই জাদুঘরের নিদর্শনের তালিকাভুক্ত হয়। মূলত চায়নিজ ইম্পেরিয়াল কমিশন কিছু...
৮ দিন আগে