সম্পাদকীয়
আমাদের সাংবাদিকতাকে মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক চেতনার অনুবর্তী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিবেদিত থাকা উচিত। দেশপ্রেমিক সাংবাদিকতার এটাই কর্তব্য। এ ক্ষেত্রে তরুণ সাংবাদিকদের যথার্থ ইতিহাস-চেতনা অর্জন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কেননা, শাসকশ্রেণির প্রভাবশালী নানা রাজনৈতিক দলের নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক স্বার্থান্বেষী প্রপাগান্ডার ডামাডোলের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যথার্থ স্বরূপ সন্ধান করা সমকালীন বাংলাদেশে একটি দুরূহ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এ সমস্যার সহজ সমাধান নিহিত রয়েছে আমাদের ইতিহাসের দালিলিক প্রমাণের মধ্যে, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিলে মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’র ভেতর, যেখানে সুস্পষ্টভাবে অঙ্গীকার করা হয়েছিল যে স্বাধীন বাংলাদেশে ‘সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। মুক্তিযুদ্ধের এই আনুষ্ঠানিক অঙ্গীকারই এ দেশের হাজার হাজার শ্রমিক, কৃষক ও নিম্নবিত্ত মানুষকে স্বাধীনতার জন্য অস্ত্র ধরতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। রণাঙ্গনের মুক্তিযুদ্ধে এইসব মেহনতি মানুষই সবচেয়ে বেশি প্রাণ দিয়েছেন। প্রধানত তাঁদের অবদানেই বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিজয়ী সশস্ত্র স্বাধীনতাসংগ্রামের ভেতর দিয়ে উত্থিত বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের ভেতর সাম্য-ধর্মীয় কিংবা লৈঙ্গিক পরিচয়নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের ভেতর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সাম্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের অনুবর্তী সাংবাদিকতাই অতএব মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসম্মত সাংবাদিকতা। তেমনি প্রতিটি নাগরিকের জন্য ‘সামাজিক ন্যায়বিচার’ নিশ্চিত করার এবং প্রতিটি নাগরিকের ‘মানবিক মর্যাদা’ সমুন্নত রাখার রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপূরক রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি। এইসব প্রত্যয়ের প্রতি অনুগত থাকা বাংলাদেশের সাংবাদিকতার অপরিহার্য কর্তব্য। উল্টোভাবে, মুক্তিযুদ্ধের এইসব ঐতিহাসিক প্রত্যয়ের প্রতি অননুগত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রবণতাসমূহকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি হিসেবে সমাজে উন্মোচিত করা সাংবাদিকতার ইতিহাস-নির্দিষ্ট দায়। এ দায় আমাদের এড়াবার পথ নেই।
সূত্র: কথকতা, নূরুল কবীর, পৃষ্ঠা ১০৫
আমাদের সাংবাদিকতাকে মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক চেতনার অনুবর্তী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিবেদিত থাকা উচিত। দেশপ্রেমিক সাংবাদিকতার এটাই কর্তব্য। এ ক্ষেত্রে তরুণ সাংবাদিকদের যথার্থ ইতিহাস-চেতনা অর্জন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কেননা, শাসকশ্রেণির প্রভাবশালী নানা রাজনৈতিক দলের নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক স্বার্থান্বেষী প্রপাগান্ডার ডামাডোলের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যথার্থ স্বরূপ সন্ধান করা সমকালীন বাংলাদেশে একটি দুরূহ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এ সমস্যার সহজ সমাধান নিহিত রয়েছে আমাদের ইতিহাসের দালিলিক প্রমাণের মধ্যে, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিলে মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’র ভেতর, যেখানে সুস্পষ্টভাবে অঙ্গীকার করা হয়েছিল যে স্বাধীন বাংলাদেশে ‘সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। মুক্তিযুদ্ধের এই আনুষ্ঠানিক অঙ্গীকারই এ দেশের হাজার হাজার শ্রমিক, কৃষক ও নিম্নবিত্ত মানুষকে স্বাধীনতার জন্য অস্ত্র ধরতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। রণাঙ্গনের মুক্তিযুদ্ধে এইসব মেহনতি মানুষই সবচেয়ে বেশি প্রাণ দিয়েছেন। প্রধানত তাঁদের অবদানেই বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিজয়ী সশস্ত্র স্বাধীনতাসংগ্রামের ভেতর দিয়ে উত্থিত বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের ভেতর সাম্য-ধর্মীয় কিংবা লৈঙ্গিক পরিচয়নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের ভেতর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সাম্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের অনুবর্তী সাংবাদিকতাই অতএব মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসম্মত সাংবাদিকতা। তেমনি প্রতিটি নাগরিকের জন্য ‘সামাজিক ন্যায়বিচার’ নিশ্চিত করার এবং প্রতিটি নাগরিকের ‘মানবিক মর্যাদা’ সমুন্নত রাখার রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপূরক রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি। এইসব প্রত্যয়ের প্রতি অনুগত থাকা বাংলাদেশের সাংবাদিকতার অপরিহার্য কর্তব্য। উল্টোভাবে, মুক্তিযুদ্ধের এইসব ঐতিহাসিক প্রত্যয়ের প্রতি অননুগত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রবণতাসমূহকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি হিসেবে সমাজে উন্মোচিত করা সাংবাদিকতার ইতিহাস-নির্দিষ্ট দায়। এ দায় আমাদের এড়াবার পথ নেই।
সূত্র: কথকতা, নূরুল কবীর, পৃষ্ঠা ১০৫
লালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
২ দিন আগে...সাধারণ মানুষের অসীম দুঃখ-দুর্দশা আর বুর্জোয়া শাসকশ্রেণির অন্তর্গত কুৎসিত ক্ষমতালিপ্সা ও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতি উচ্ছেদ করার নির্মম কর্মকাণ্ড দেখার পর, যেকোনো পরিণত কিশোর কোনো না কোনো প্রগতিশীল বামপন্থী রাজনৈতিক ভাবাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হবে—সমসাময়িক কালে সেটাই নিতান্ত স্বাভাবিক ছিল।
৩ দিন আগে২০০১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাত্র কয়েক ঘণ্টায় অ্যানা কুর্নিকোভা ভাইরাসটি তৈরি করেন নেদারল্যান্ডসের এক তরুণ, জান ডে উইট। ভাইরাসটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার কিছু দিন পর তিনি বুঝতে পারেন—তাঁর তৈরি এই ভাইরাস অনেক মানুষকে বিপদে ফেলেছে এবং বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করেছে। তখন তিনি বিষয়টি বাবা-মাকে জানান এবং নিজেই
৬ দিন আগেসম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের রাজত্বকালে নির্মাণ করা হয় দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার নয়াবাদ গ্রামের নয়াবাদ মসজিদ। মসজিদের প্রবেশদ্বারের ওপর ফারসি ভাষায় লেখা লিপি থেকে জানা যায়, এটি ২ জ্যৈষ্ঠ, ১২০০ বঙ্গাব্দে (ইংরেজি ১৭৯৩ সালে) নির্মিত হয়। স্থানীয় জনশ্রুতি অনুযায়ী, আঠারো
৭ দিন আগে