বিশ্ব বাঁশ দিবস
আবদুল বাছেদ, ঢাকা
আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস। জীবনে নানাভাবেই বাঁশ খেয়েই চলেছি, আক্ষরিক অর্থে না হলেও ভাবগত দিক থেকে তো বটেই। এই রুঢ় জীবন বাস্তবতায় সব মানুষকেই কখনো না কখনো একটু-আধটু বাঁশ খেতেই হয়। তো বাঁশ দিবসে কাজের ফাঁকে আমার বন্ধু কফিলের সঙ্গে এই ‘বাঁশ খাওয়া’ নিয়েই আলাপ করছিলাম।
আলাপচারিতার এক ফাঁকে বন্ধু কফিল হঠাৎ গম্ভীর মুখে আমাকে জিজ্ঞেস করল, দোস্ত, তুই কি বলতে পারিস, পাণ্ডা কেন বাঁশ খায়? আমি তখন ভেবেছিলাম ও হয়তো জীববিজ্ঞানের কোনো জটিল বিষয় জানতে চাইছে অথবা আমার জানাশোনার দৌড় যাচাই করছে। আমি ভাবান্তরেই বললাম, পাণ্ডার পাচনতন্ত্রে হয়তো বাঁশ হজম করার বিশেষ এনজাইম আছে—তাই বোধহয়।
কফিল তৎক্ষণাৎ হো হো করে হেসে উঠল, যেন আমি নিরেট গাধা। এরপর ও নিজেই ব্যাখ্যা করতে শুরু করল, ঠিক যেন দর্শনের ক্লাসে বক্তৃতা দিচ্ছে। দীর্ঘ বক্তৃতায় ও আমাকে যা বোঝাল, তাতে নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবার কোনো হেতু পাইনি। কফিল বলল, ‘বোকা! পাণ্ডা বাঁশ খায় কারণ ওর কপালে সান্ডা জোটে না। এই দেশে অনেক চতুর কফিল আছে। তাঁদের কপালেই জোটে চর্বিযুক্ত সান্ডার নানা রেসিপি।’
আমি বললাম, ‘ব্যাটা, তোর নামও তো কফিল। নিজের নাম-জাতকে এভাবে শোষকদের কাতারে তুলছিস কীভাবে?’ বন্ধু কফিল বলে, ‘শুধু নাম দিয়ে কি সব হয়, আমি তো আর কামের কফিল না।’ এই বলেই কি এক আক্ষেপ তাঁর, যেন হতাশার সাগরে ডুবে গেল!
আমি ওকে আশ্বস্ত করে বললাম, ‘দোয়া করি, তোর প্লেটেও একদিন পড়ুক সান্ডার ফ্রাই!’
কফিল আমার কথার প্রতিউত্তর না দিয়ে এক মনে বলতে থাকে, ‘বুঝলি রে ব্যাটা, আমাদের দেশের জনগণ পাণ্ডার মতোই অলস আর নির্বোধ, কিন্তু আছে একদল ধূর্ত কফিল। এরা আশ্চর্য এক প্রাণী, চেহারা–সুরতে মানুষ, কিন্তু স্বভাবে হিংস্র হায়েনা, খায় শুধু সান্ডার ফ্রাই। সান্ডা না পেলে কফিলেরা রাতে ঘুমোতে পারে না।’
পাঁচ বছর পরপর এই কফিলেরা জনগণের কাছে ভোট চাইতে যায়। তখন ওদের ভাষা একেবারে ভদ্রলোকের মতো। মধুময় কণ্ঠে বলবে, ‘ভাই, একবার ভোটটা দেন, প্রতিবেলা আপনার প্লেটে থাকবে সান্ডা। রাস্তাঘাটে উন্নয়নের সান্ডা, জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধির সান্ডা, বৈদেশিক বিনিয়োগে ঝাঁকে ঝাঁকে সান্ডা।’
জনগণও তখন ভাবে, ‘আহা, এতদিন তো চতুর্মুখী বাঁশ খেয়েছি, এবার বুঝি সত্যি সত্যি সান্ডার স্বাদ পাব।’
এসে যায় ভোটের দিন। একেবারে পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবমুখর পরিবেশ। শুধু হালখাতা নেই, আছে সান্ডার লোভে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। খাই খাই রোদ, কপালে ঘাম, হাতে ব্যালট পেপার। পাশ থেকে কফিলের লোকজন বারবার মনে করিয়ে দেয়, ভুলে যাইয়েন না কিন্তু, সান্ডা মার্কায় ভোট দিলেই পাবেন এক একটি সান্ডা! জনগণও ভোট দেয়, আর মনে মনে ভাবে, এই ভোটই আমাদের বাঁশ খাওয়া থেকে মুক্তির পথ।
কিন্তু হায়! ভোটের পরদিন থেকেই অদ্ভুত ব্যাপার শুরু হয়। কফিলেরা হঠাৎই বিদেশ ভ্রমণে যায়, নতুন গাড়ি কেনে, অট্টালিকা তোলে। সান্ডার ফ্রাই সব চলে যায় পাঁচতারা হোটেলের ভোজনশালায়।
আর জনগণ খায় সেই চিরাচরিত বাঁশ। দ্রব্যমূল্যের বাজারে বাঁশ, চাকরির বাজারে বাঁশ, ট্যাক্স দিতে গিয়ে বাঁশ, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে গিয়েও বাঁশ। এর প্রতিবাদ করলে মেলে বেউড় বাঁশ, খেয়ে হয়ে যায় সবাই চুপ। যেন সেই গানের লাইনের মতো, ‘চুপ চুপ চুপ, অনামিকা চুপ, কথা বলো না...তুমি আমি বাঁশ খাই, কেউ জানে না। শুধু কথা বলো না।’ কোথাও কোনো অনামিকা আর কথা বলেও না।
তবে সান্ডার বদলে বাঁশ দেওয়া নিয়ে কফিলের যুক্তির কমতি নেই। একদিন টকশোতে কফিলকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘জনগণকে তো সান্ডা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এখন বাঁশ কেন?’
কফিল গম্ভীর মুখে বলল, ‘বাঁশে আছে ফাইবার, আছে ক্যালসিয়াম। খেলে দাঁত শক্ত হয়, শরীর হালকা থাকে। আমরা জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করি। তাই বাঁশ দিচ্ছি।’
শুনে শ্রোতারা হাততালি দেয়। কফিলের যুক্তিতে কারও কারও জেগে ওঠে দেশপ্রেম। বাঁশ খেয়ে গর্ব করে বলে, ‘আমরা আসল নাগরিক, আমরা দেশের তরে কঠিন বাঁশ খাই ও সহ্য করি!’
কফিল থামে না। দেশের রাজনীতিতে বাঁশের বহুবিধ ব্যবহার জাহির করে ঢুকে পড়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। বলতে থাকে, শুধু আমাদের দেশেই নয়, সারা দুনিয়ায় একই অবস্থা। ধনী দেশগুলো গরিব দেশগুলোকে বাঁশ দিয়ে বলে, ‘তোমাদের তো মেরুদণ্ড দুর্বল, শক্তভাবে বিশ্বমঞ্চে দাঁড়াতে পারো না। তোমাদের মেরুদণ্ডকে বাঁশ দিয়ে প্রতিস্থাপন করো, শক্তিমান হও, তবেই না বিশ্বমঞ্চে জোরগলায় দুটো কথা বলতে পারবে।’
গরিব দেশগুলো বলে, সাধু সাধু! কতই না ভুল বুঝি আপনাদের। দিন, আমাদের আরও আরও বাঁশ দিন।’
আমি এবার বন্ধু কফিলকে থামাতে বাধ্য হই। বন্ধু কফিলকে জিজ্ঞেস করি, ‘তুই কি শুধু নামের নয়, কামের কফিলও হতে চাস।’ উত্তর না দিয়ে মুচকি হাসে কফিল। আপনিও ওর মতো মুচকি হাসছেন সম-বাসনায়?
আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস। জীবনে নানাভাবেই বাঁশ খেয়েই চলেছি, আক্ষরিক অর্থে না হলেও ভাবগত দিক থেকে তো বটেই। এই রুঢ় জীবন বাস্তবতায় সব মানুষকেই কখনো না কখনো একটু-আধটু বাঁশ খেতেই হয়। তো বাঁশ দিবসে কাজের ফাঁকে আমার বন্ধু কফিলের সঙ্গে এই ‘বাঁশ খাওয়া’ নিয়েই আলাপ করছিলাম।
আলাপচারিতার এক ফাঁকে বন্ধু কফিল হঠাৎ গম্ভীর মুখে আমাকে জিজ্ঞেস করল, দোস্ত, তুই কি বলতে পারিস, পাণ্ডা কেন বাঁশ খায়? আমি তখন ভেবেছিলাম ও হয়তো জীববিজ্ঞানের কোনো জটিল বিষয় জানতে চাইছে অথবা আমার জানাশোনার দৌড় যাচাই করছে। আমি ভাবান্তরেই বললাম, পাণ্ডার পাচনতন্ত্রে হয়তো বাঁশ হজম করার বিশেষ এনজাইম আছে—তাই বোধহয়।
কফিল তৎক্ষণাৎ হো হো করে হেসে উঠল, যেন আমি নিরেট গাধা। এরপর ও নিজেই ব্যাখ্যা করতে শুরু করল, ঠিক যেন দর্শনের ক্লাসে বক্তৃতা দিচ্ছে। দীর্ঘ বক্তৃতায় ও আমাকে যা বোঝাল, তাতে নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবার কোনো হেতু পাইনি। কফিল বলল, ‘বোকা! পাণ্ডা বাঁশ খায় কারণ ওর কপালে সান্ডা জোটে না। এই দেশে অনেক চতুর কফিল আছে। তাঁদের কপালেই জোটে চর্বিযুক্ত সান্ডার নানা রেসিপি।’
আমি বললাম, ‘ব্যাটা, তোর নামও তো কফিল। নিজের নাম-জাতকে এভাবে শোষকদের কাতারে তুলছিস কীভাবে?’ বন্ধু কফিল বলে, ‘শুধু নাম দিয়ে কি সব হয়, আমি তো আর কামের কফিল না।’ এই বলেই কি এক আক্ষেপ তাঁর, যেন হতাশার সাগরে ডুবে গেল!
আমি ওকে আশ্বস্ত করে বললাম, ‘দোয়া করি, তোর প্লেটেও একদিন পড়ুক সান্ডার ফ্রাই!’
কফিল আমার কথার প্রতিউত্তর না দিয়ে এক মনে বলতে থাকে, ‘বুঝলি রে ব্যাটা, আমাদের দেশের জনগণ পাণ্ডার মতোই অলস আর নির্বোধ, কিন্তু আছে একদল ধূর্ত কফিল। এরা আশ্চর্য এক প্রাণী, চেহারা–সুরতে মানুষ, কিন্তু স্বভাবে হিংস্র হায়েনা, খায় শুধু সান্ডার ফ্রাই। সান্ডা না পেলে কফিলেরা রাতে ঘুমোতে পারে না।’
পাঁচ বছর পরপর এই কফিলেরা জনগণের কাছে ভোট চাইতে যায়। তখন ওদের ভাষা একেবারে ভদ্রলোকের মতো। মধুময় কণ্ঠে বলবে, ‘ভাই, একবার ভোটটা দেন, প্রতিবেলা আপনার প্লেটে থাকবে সান্ডা। রাস্তাঘাটে উন্নয়নের সান্ডা, জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধির সান্ডা, বৈদেশিক বিনিয়োগে ঝাঁকে ঝাঁকে সান্ডা।’
জনগণও তখন ভাবে, ‘আহা, এতদিন তো চতুর্মুখী বাঁশ খেয়েছি, এবার বুঝি সত্যি সত্যি সান্ডার স্বাদ পাব।’
এসে যায় ভোটের দিন। একেবারে পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবমুখর পরিবেশ। শুধু হালখাতা নেই, আছে সান্ডার লোভে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। খাই খাই রোদ, কপালে ঘাম, হাতে ব্যালট পেপার। পাশ থেকে কফিলের লোকজন বারবার মনে করিয়ে দেয়, ভুলে যাইয়েন না কিন্তু, সান্ডা মার্কায় ভোট দিলেই পাবেন এক একটি সান্ডা! জনগণও ভোট দেয়, আর মনে মনে ভাবে, এই ভোটই আমাদের বাঁশ খাওয়া থেকে মুক্তির পথ।
কিন্তু হায়! ভোটের পরদিন থেকেই অদ্ভুত ব্যাপার শুরু হয়। কফিলেরা হঠাৎই বিদেশ ভ্রমণে যায়, নতুন গাড়ি কেনে, অট্টালিকা তোলে। সান্ডার ফ্রাই সব চলে যায় পাঁচতারা হোটেলের ভোজনশালায়।
আর জনগণ খায় সেই চিরাচরিত বাঁশ। দ্রব্যমূল্যের বাজারে বাঁশ, চাকরির বাজারে বাঁশ, ট্যাক্স দিতে গিয়ে বাঁশ, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে গিয়েও বাঁশ। এর প্রতিবাদ করলে মেলে বেউড় বাঁশ, খেয়ে হয়ে যায় সবাই চুপ। যেন সেই গানের লাইনের মতো, ‘চুপ চুপ চুপ, অনামিকা চুপ, কথা বলো না...তুমি আমি বাঁশ খাই, কেউ জানে না। শুধু কথা বলো না।’ কোথাও কোনো অনামিকা আর কথা বলেও না।
তবে সান্ডার বদলে বাঁশ দেওয়া নিয়ে কফিলের যুক্তির কমতি নেই। একদিন টকশোতে কফিলকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘জনগণকে তো সান্ডা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এখন বাঁশ কেন?’
কফিল গম্ভীর মুখে বলল, ‘বাঁশে আছে ফাইবার, আছে ক্যালসিয়াম। খেলে দাঁত শক্ত হয়, শরীর হালকা থাকে। আমরা জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করি। তাই বাঁশ দিচ্ছি।’
শুনে শ্রোতারা হাততালি দেয়। কফিলের যুক্তিতে কারও কারও জেগে ওঠে দেশপ্রেম। বাঁশ খেয়ে গর্ব করে বলে, ‘আমরা আসল নাগরিক, আমরা দেশের তরে কঠিন বাঁশ খাই ও সহ্য করি!’
কফিল থামে না। দেশের রাজনীতিতে বাঁশের বহুবিধ ব্যবহার জাহির করে ঢুকে পড়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। বলতে থাকে, শুধু আমাদের দেশেই নয়, সারা দুনিয়ায় একই অবস্থা। ধনী দেশগুলো গরিব দেশগুলোকে বাঁশ দিয়ে বলে, ‘তোমাদের তো মেরুদণ্ড দুর্বল, শক্তভাবে বিশ্বমঞ্চে দাঁড়াতে পারো না। তোমাদের মেরুদণ্ডকে বাঁশ দিয়ে প্রতিস্থাপন করো, শক্তিমান হও, তবেই না বিশ্বমঞ্চে জোরগলায় দুটো কথা বলতে পারবে।’
গরিব দেশগুলো বলে, সাধু সাধু! কতই না ভুল বুঝি আপনাদের। দিন, আমাদের আরও আরও বাঁশ দিন।’
আমি এবার বন্ধু কফিলকে থামাতে বাধ্য হই। বন্ধু কফিলকে জিজ্ঞেস করি, ‘তুই কি শুধু নামের নয়, কামের কফিলও হতে চাস।’ উত্তর না দিয়ে মুচকি হাসে কফিল। আপনিও ওর মতো মুচকি হাসছেন সম-বাসনায়?
বিশ্ব বাঁশ দিবস
আবদুল বাছেদ, ঢাকা
আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস। জীবনে নানাভাবেই বাঁশ খেয়েই চলেছি, আক্ষরিক অর্থে না হলেও ভাবগত দিক থেকে তো বটেই। এই রুঢ় জীবন বাস্তবতায় সব মানুষকেই কখনো না কখনো একটু-আধটু বাঁশ খেতেই হয়। তো বাঁশ দিবসে কাজের ফাঁকে আমার বন্ধু কফিলের সঙ্গে এই ‘বাঁশ খাওয়া’ নিয়েই আলাপ করছিলাম।
আলাপচারিতার এক ফাঁকে বন্ধু কফিল হঠাৎ গম্ভীর মুখে আমাকে জিজ্ঞেস করল, দোস্ত, তুই কি বলতে পারিস, পাণ্ডা কেন বাঁশ খায়? আমি তখন ভেবেছিলাম ও হয়তো জীববিজ্ঞানের কোনো জটিল বিষয় জানতে চাইছে অথবা আমার জানাশোনার দৌড় যাচাই করছে। আমি ভাবান্তরেই বললাম, পাণ্ডার পাচনতন্ত্রে হয়তো বাঁশ হজম করার বিশেষ এনজাইম আছে—তাই বোধহয়।
কফিল তৎক্ষণাৎ হো হো করে হেসে উঠল, যেন আমি নিরেট গাধা। এরপর ও নিজেই ব্যাখ্যা করতে শুরু করল, ঠিক যেন দর্শনের ক্লাসে বক্তৃতা দিচ্ছে। দীর্ঘ বক্তৃতায় ও আমাকে যা বোঝাল, তাতে নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবার কোনো হেতু পাইনি। কফিল বলল, ‘বোকা! পাণ্ডা বাঁশ খায় কারণ ওর কপালে সান্ডা জোটে না। এই দেশে অনেক চতুর কফিল আছে। তাঁদের কপালেই জোটে চর্বিযুক্ত সান্ডার নানা রেসিপি।’
আমি বললাম, ‘ব্যাটা, তোর নামও তো কফিল। নিজের নাম-জাতকে এভাবে শোষকদের কাতারে তুলছিস কীভাবে?’ বন্ধু কফিল বলে, ‘শুধু নাম দিয়ে কি সব হয়, আমি তো আর কামের কফিল না।’ এই বলেই কি এক আক্ষেপ তাঁর, যেন হতাশার সাগরে ডুবে গেল!
আমি ওকে আশ্বস্ত করে বললাম, ‘দোয়া করি, তোর প্লেটেও একদিন পড়ুক সান্ডার ফ্রাই!’
কফিল আমার কথার প্রতিউত্তর না দিয়ে এক মনে বলতে থাকে, ‘বুঝলি রে ব্যাটা, আমাদের দেশের জনগণ পাণ্ডার মতোই অলস আর নির্বোধ, কিন্তু আছে একদল ধূর্ত কফিল। এরা আশ্চর্য এক প্রাণী, চেহারা–সুরতে মানুষ, কিন্তু স্বভাবে হিংস্র হায়েনা, খায় শুধু সান্ডার ফ্রাই। সান্ডা না পেলে কফিলেরা রাতে ঘুমোতে পারে না।’
পাঁচ বছর পরপর এই কফিলেরা জনগণের কাছে ভোট চাইতে যায়। তখন ওদের ভাষা একেবারে ভদ্রলোকের মতো। মধুময় কণ্ঠে বলবে, ‘ভাই, একবার ভোটটা দেন, প্রতিবেলা আপনার প্লেটে থাকবে সান্ডা। রাস্তাঘাটে উন্নয়নের সান্ডা, জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধির সান্ডা, বৈদেশিক বিনিয়োগে ঝাঁকে ঝাঁকে সান্ডা।’
জনগণও তখন ভাবে, ‘আহা, এতদিন তো চতুর্মুখী বাঁশ খেয়েছি, এবার বুঝি সত্যি সত্যি সান্ডার স্বাদ পাব।’
এসে যায় ভোটের দিন। একেবারে পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবমুখর পরিবেশ। শুধু হালখাতা নেই, আছে সান্ডার লোভে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। খাই খাই রোদ, কপালে ঘাম, হাতে ব্যালট পেপার। পাশ থেকে কফিলের লোকজন বারবার মনে করিয়ে দেয়, ভুলে যাইয়েন না কিন্তু, সান্ডা মার্কায় ভোট দিলেই পাবেন এক একটি সান্ডা! জনগণও ভোট দেয়, আর মনে মনে ভাবে, এই ভোটই আমাদের বাঁশ খাওয়া থেকে মুক্তির পথ।
কিন্তু হায়! ভোটের পরদিন থেকেই অদ্ভুত ব্যাপার শুরু হয়। কফিলেরা হঠাৎই বিদেশ ভ্রমণে যায়, নতুন গাড়ি কেনে, অট্টালিকা তোলে। সান্ডার ফ্রাই সব চলে যায় পাঁচতারা হোটেলের ভোজনশালায়।
আর জনগণ খায় সেই চিরাচরিত বাঁশ। দ্রব্যমূল্যের বাজারে বাঁশ, চাকরির বাজারে বাঁশ, ট্যাক্স দিতে গিয়ে বাঁশ, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে গিয়েও বাঁশ। এর প্রতিবাদ করলে মেলে বেউড় বাঁশ, খেয়ে হয়ে যায় সবাই চুপ। যেন সেই গানের লাইনের মতো, ‘চুপ চুপ চুপ, অনামিকা চুপ, কথা বলো না...তুমি আমি বাঁশ খাই, কেউ জানে না। শুধু কথা বলো না।’ কোথাও কোনো অনামিকা আর কথা বলেও না।
তবে সান্ডার বদলে বাঁশ দেওয়া নিয়ে কফিলের যুক্তির কমতি নেই। একদিন টকশোতে কফিলকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘জনগণকে তো সান্ডা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এখন বাঁশ কেন?’
কফিল গম্ভীর মুখে বলল, ‘বাঁশে আছে ফাইবার, আছে ক্যালসিয়াম। খেলে দাঁত শক্ত হয়, শরীর হালকা থাকে। আমরা জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করি। তাই বাঁশ দিচ্ছি।’
শুনে শ্রোতারা হাততালি দেয়। কফিলের যুক্তিতে কারও কারও জেগে ওঠে দেশপ্রেম। বাঁশ খেয়ে গর্ব করে বলে, ‘আমরা আসল নাগরিক, আমরা দেশের তরে কঠিন বাঁশ খাই ও সহ্য করি!’
কফিল থামে না। দেশের রাজনীতিতে বাঁশের বহুবিধ ব্যবহার জাহির করে ঢুকে পড়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। বলতে থাকে, শুধু আমাদের দেশেই নয়, সারা দুনিয়ায় একই অবস্থা। ধনী দেশগুলো গরিব দেশগুলোকে বাঁশ দিয়ে বলে, ‘তোমাদের তো মেরুদণ্ড দুর্বল, শক্তভাবে বিশ্বমঞ্চে দাঁড়াতে পারো না। তোমাদের মেরুদণ্ডকে বাঁশ দিয়ে প্রতিস্থাপন করো, শক্তিমান হও, তবেই না বিশ্বমঞ্চে জোরগলায় দুটো কথা বলতে পারবে।’
গরিব দেশগুলো বলে, সাধু সাধু! কতই না ভুল বুঝি আপনাদের। দিন, আমাদের আরও আরও বাঁশ দিন।’
আমি এবার বন্ধু কফিলকে থামাতে বাধ্য হই। বন্ধু কফিলকে জিজ্ঞেস করি, ‘তুই কি শুধু নামের নয়, কামের কফিলও হতে চাস।’ উত্তর না দিয়ে মুচকি হাসে কফিল। আপনিও ওর মতো মুচকি হাসছেন সম-বাসনায়?
আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস। জীবনে নানাভাবেই বাঁশ খেয়েই চলেছি, আক্ষরিক অর্থে না হলেও ভাবগত দিক থেকে তো বটেই। এই রুঢ় জীবন বাস্তবতায় সব মানুষকেই কখনো না কখনো একটু-আধটু বাঁশ খেতেই হয়। তো বাঁশ দিবসে কাজের ফাঁকে আমার বন্ধু কফিলের সঙ্গে এই ‘বাঁশ খাওয়া’ নিয়েই আলাপ করছিলাম।
আলাপচারিতার এক ফাঁকে বন্ধু কফিল হঠাৎ গম্ভীর মুখে আমাকে জিজ্ঞেস করল, দোস্ত, তুই কি বলতে পারিস, পাণ্ডা কেন বাঁশ খায়? আমি তখন ভেবেছিলাম ও হয়তো জীববিজ্ঞানের কোনো জটিল বিষয় জানতে চাইছে অথবা আমার জানাশোনার দৌড় যাচাই করছে। আমি ভাবান্তরেই বললাম, পাণ্ডার পাচনতন্ত্রে হয়তো বাঁশ হজম করার বিশেষ এনজাইম আছে—তাই বোধহয়।
কফিল তৎক্ষণাৎ হো হো করে হেসে উঠল, যেন আমি নিরেট গাধা। এরপর ও নিজেই ব্যাখ্যা করতে শুরু করল, ঠিক যেন দর্শনের ক্লাসে বক্তৃতা দিচ্ছে। দীর্ঘ বক্তৃতায় ও আমাকে যা বোঝাল, তাতে নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবার কোনো হেতু পাইনি। কফিল বলল, ‘বোকা! পাণ্ডা বাঁশ খায় কারণ ওর কপালে সান্ডা জোটে না। এই দেশে অনেক চতুর কফিল আছে। তাঁদের কপালেই জোটে চর্বিযুক্ত সান্ডার নানা রেসিপি।’
আমি বললাম, ‘ব্যাটা, তোর নামও তো কফিল। নিজের নাম-জাতকে এভাবে শোষকদের কাতারে তুলছিস কীভাবে?’ বন্ধু কফিল বলে, ‘শুধু নাম দিয়ে কি সব হয়, আমি তো আর কামের কফিল না।’ এই বলেই কি এক আক্ষেপ তাঁর, যেন হতাশার সাগরে ডুবে গেল!
আমি ওকে আশ্বস্ত করে বললাম, ‘দোয়া করি, তোর প্লেটেও একদিন পড়ুক সান্ডার ফ্রাই!’
কফিল আমার কথার প্রতিউত্তর না দিয়ে এক মনে বলতে থাকে, ‘বুঝলি রে ব্যাটা, আমাদের দেশের জনগণ পাণ্ডার মতোই অলস আর নির্বোধ, কিন্তু আছে একদল ধূর্ত কফিল। এরা আশ্চর্য এক প্রাণী, চেহারা–সুরতে মানুষ, কিন্তু স্বভাবে হিংস্র হায়েনা, খায় শুধু সান্ডার ফ্রাই। সান্ডা না পেলে কফিলেরা রাতে ঘুমোতে পারে না।’
পাঁচ বছর পরপর এই কফিলেরা জনগণের কাছে ভোট চাইতে যায়। তখন ওদের ভাষা একেবারে ভদ্রলোকের মতো। মধুময় কণ্ঠে বলবে, ‘ভাই, একবার ভোটটা দেন, প্রতিবেলা আপনার প্লেটে থাকবে সান্ডা। রাস্তাঘাটে উন্নয়নের সান্ডা, জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধির সান্ডা, বৈদেশিক বিনিয়োগে ঝাঁকে ঝাঁকে সান্ডা।’
জনগণও তখন ভাবে, ‘আহা, এতদিন তো চতুর্মুখী বাঁশ খেয়েছি, এবার বুঝি সত্যি সত্যি সান্ডার স্বাদ পাব।’
এসে যায় ভোটের দিন। একেবারে পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবমুখর পরিবেশ। শুধু হালখাতা নেই, আছে সান্ডার লোভে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। খাই খাই রোদ, কপালে ঘাম, হাতে ব্যালট পেপার। পাশ থেকে কফিলের লোকজন বারবার মনে করিয়ে দেয়, ভুলে যাইয়েন না কিন্তু, সান্ডা মার্কায় ভোট দিলেই পাবেন এক একটি সান্ডা! জনগণও ভোট দেয়, আর মনে মনে ভাবে, এই ভোটই আমাদের বাঁশ খাওয়া থেকে মুক্তির পথ।
কিন্তু হায়! ভোটের পরদিন থেকেই অদ্ভুত ব্যাপার শুরু হয়। কফিলেরা হঠাৎই বিদেশ ভ্রমণে যায়, নতুন গাড়ি কেনে, অট্টালিকা তোলে। সান্ডার ফ্রাই সব চলে যায় পাঁচতারা হোটেলের ভোজনশালায়।
আর জনগণ খায় সেই চিরাচরিত বাঁশ। দ্রব্যমূল্যের বাজারে বাঁশ, চাকরির বাজারে বাঁশ, ট্যাক্স দিতে গিয়ে বাঁশ, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে গিয়েও বাঁশ। এর প্রতিবাদ করলে মেলে বেউড় বাঁশ, খেয়ে হয়ে যায় সবাই চুপ। যেন সেই গানের লাইনের মতো, ‘চুপ চুপ চুপ, অনামিকা চুপ, কথা বলো না...তুমি আমি বাঁশ খাই, কেউ জানে না। শুধু কথা বলো না।’ কোথাও কোনো অনামিকা আর কথা বলেও না।
তবে সান্ডার বদলে বাঁশ দেওয়া নিয়ে কফিলের যুক্তির কমতি নেই। একদিন টকশোতে কফিলকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘জনগণকে তো সান্ডা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এখন বাঁশ কেন?’
কফিল গম্ভীর মুখে বলল, ‘বাঁশে আছে ফাইবার, আছে ক্যালসিয়াম। খেলে দাঁত শক্ত হয়, শরীর হালকা থাকে। আমরা জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করি। তাই বাঁশ দিচ্ছি।’
শুনে শ্রোতারা হাততালি দেয়। কফিলের যুক্তিতে কারও কারও জেগে ওঠে দেশপ্রেম। বাঁশ খেয়ে গর্ব করে বলে, ‘আমরা আসল নাগরিক, আমরা দেশের তরে কঠিন বাঁশ খাই ও সহ্য করি!’
কফিল থামে না। দেশের রাজনীতিতে বাঁশের বহুবিধ ব্যবহার জাহির করে ঢুকে পড়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। বলতে থাকে, শুধু আমাদের দেশেই নয়, সারা দুনিয়ায় একই অবস্থা। ধনী দেশগুলো গরিব দেশগুলোকে বাঁশ দিয়ে বলে, ‘তোমাদের তো মেরুদণ্ড দুর্বল, শক্তভাবে বিশ্বমঞ্চে দাঁড়াতে পারো না। তোমাদের মেরুদণ্ডকে বাঁশ দিয়ে প্রতিস্থাপন করো, শক্তিমান হও, তবেই না বিশ্বমঞ্চে জোরগলায় দুটো কথা বলতে পারবে।’
গরিব দেশগুলো বলে, সাধু সাধু! কতই না ভুল বুঝি আপনাদের। দিন, আমাদের আরও আরও বাঁশ দিন।’
আমি এবার বন্ধু কফিলকে থামাতে বাধ্য হই। বন্ধু কফিলকে জিজ্ঞেস করি, ‘তুই কি শুধু নামের নয়, কামের কফিলও হতে চাস।’ উত্তর না দিয়ে মুচকি হাসে কফিল। আপনিও ওর মতো মুচকি হাসছেন সম-বাসনায়?
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
৩ দিন আগে১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির...
৫ দিন আগেচলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না।
৬ দিন আগেবিরিয়ানি কিংবা কাবাব-পরোটা খেতে মন চাইলে পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারের কথা মনে পড়তেই পারে। এসব খেয়ে কেউ কেউ বিউটি কিংবা নূরানীর লাচ্ছি খেয়ে ভোজ শেষ করতে পারেন। আবার কেউ ধোঁয়া ওঠা গরম চা পিরিচে নিয়ে ফুঁকে ফুঁকে গলায় ঢালতে পারেন। যাঁরা নিয়মিত যান নাজিরাবাজারে, তাঁরা জানেন এসব চা-প্রেমীর ভিড় লেগে...
৭ দিন আগেকুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ও সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দা শাহীনা সোবহান।
ড. নাসের ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. আবু নাসের রাজীবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক জামানুল ইসলাম ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা বিশ্বজিৎ সাহা, কুমারখালী সাহিত্য সংসদের সভাপতি কবি রহমান আজিজ, কবি রজত হুদা ও কবি সবুর বাদশা। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কবি ও কথাসাহিত্যিক সোহেল আমিন বাবু, কবি বাবলু জোয়ার্দার, কবি ও সাংবাদিক মাহমুদ শরীফ, জিটিভির কুষ্টিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক কাজী সাইফুল, দৈনিক নয়া দিগন্তের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি (মাল্টিমিডিয়া) সোহাগ মাহমুদ প্রমুখ।
এ সাহিত্য আড্ডায় কুষ্টিয়া ও কুমারখালীর কবি-সাহিত্যিকেরা অংশ নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী জিয়াউর রহমান মানিক।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ও সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দা শাহীনা সোবহান।
ড. নাসের ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. আবু নাসের রাজীবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক জামানুল ইসলাম ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা বিশ্বজিৎ সাহা, কুমারখালী সাহিত্য সংসদের সভাপতি কবি রহমান আজিজ, কবি রজত হুদা ও কবি সবুর বাদশা। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কবি ও কথাসাহিত্যিক সোহেল আমিন বাবু, কবি বাবলু জোয়ার্দার, কবি ও সাংবাদিক মাহমুদ শরীফ, জিটিভির কুষ্টিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক কাজী সাইফুল, দৈনিক নয়া দিগন্তের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি (মাল্টিমিডিয়া) সোহাগ মাহমুদ প্রমুখ।
এ সাহিত্য আড্ডায় কুষ্টিয়া ও কুমারখালীর কবি-সাহিত্যিকেরা অংশ নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী জিয়াউর রহমান মানিক।
আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস। জীবনে নানাভাবেই বাঁশ খেয়েই চলেছি, আক্ষরিক অর্থে না হলেও ভাবগত দিক থেকে তো বটেই। এই রুঢ় জীবন বাস্তবতায় সব মানুষকেই কখনো না কখনো একটু-আধটু বাঁশ খেতেই হয়। তো বাঁশ দিবসে কাজের ফাঁকে আমার বন্ধু কফিলের সঙ্গে এই ‘বাঁশ খাওয়া’ নিয়েই আলাপ করছিলাম।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির...
৫ দিন আগেচলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না।
৬ দিন আগেবিরিয়ানি কিংবা কাবাব-পরোটা খেতে মন চাইলে পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারের কথা মনে পড়তেই পারে। এসব খেয়ে কেউ কেউ বিউটি কিংবা নূরানীর লাচ্ছি খেয়ে ভোজ শেষ করতে পারেন। আবার কেউ ধোঁয়া ওঠা গরম চা পিরিচে নিয়ে ফুঁকে ফুঁকে গলায় ঢালতে পারেন। যাঁরা নিয়মিত যান নাজিরাবাজারে, তাঁরা জানেন এসব চা-প্রেমীর ভিড় লেগে...
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়
১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির সরদার ভবনে সরে আসে নান্না মিয়ার ব্যবসা। দোকানের নাম হয় হাজি নান্না বিরিয়ানি।
একে একে লালবাগ চৌরাস্তা, নবাবগঞ্জ বাজার, ফকিরাপুল ও নাজিমুদ্দিন রোডে এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। একই নামে শত শত ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও আসল নান্নার মোরগ পোলাওয়ের স্বাদকে টেক্কা দিতে পারেনি কেউ। তাই তো ভোজনপ্রেমীরা ঠিকই চিনে নেন আদি রেসিপিটি। মোরগ পোলাওয়ের পাশাপাশি হাজি নান্না বিরিয়ানিতে পাওয়া যায় খাসির বিরিয়ানি, খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি, বোরহানি, টিকিয়া, লাবাং ও ফিরনি। প্রতি মাসের ৫ তারিখে থাকে বিশেষ আয়োজন—আস্ত মুরগির পোলাও। ছবি: জাহিদুল ইসলাম
১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির সরদার ভবনে সরে আসে নান্না মিয়ার ব্যবসা। দোকানের নাম হয় হাজি নান্না বিরিয়ানি।
একে একে লালবাগ চৌরাস্তা, নবাবগঞ্জ বাজার, ফকিরাপুল ও নাজিমুদ্দিন রোডে এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। একই নামে শত শত ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও আসল নান্নার মোরগ পোলাওয়ের স্বাদকে টেক্কা দিতে পারেনি কেউ। তাই তো ভোজনপ্রেমীরা ঠিকই চিনে নেন আদি রেসিপিটি। মোরগ পোলাওয়ের পাশাপাশি হাজি নান্না বিরিয়ানিতে পাওয়া যায় খাসির বিরিয়ানি, খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি, বোরহানি, টিকিয়া, লাবাং ও ফিরনি। প্রতি মাসের ৫ তারিখে থাকে বিশেষ আয়োজন—আস্ত মুরগির পোলাও। ছবি: জাহিদুল ইসলাম
আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস। জীবনে নানাভাবেই বাঁশ খেয়েই চলেছি, আক্ষরিক অর্থে না হলেও ভাবগত দিক থেকে তো বটেই। এই রুঢ় জীবন বাস্তবতায় সব মানুষকেই কখনো না কখনো একটু-আধটু বাঁশ খেতেই হয়। তো বাঁশ দিবসে কাজের ফাঁকে আমার বন্ধু কফিলের সঙ্গে এই ‘বাঁশ খাওয়া’ নিয়েই আলাপ করছিলাম।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
৩ দিন আগেচলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না।
৬ দিন আগেবিরিয়ানি কিংবা কাবাব-পরোটা খেতে মন চাইলে পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারের কথা মনে পড়তেই পারে। এসব খেয়ে কেউ কেউ বিউটি কিংবা নূরানীর লাচ্ছি খেয়ে ভোজ শেষ করতে পারেন। আবার কেউ ধোঁয়া ওঠা গরম চা পিরিচে নিয়ে ফুঁকে ফুঁকে গলায় ঢালতে পারেন। যাঁরা নিয়মিত যান নাজিরাবাজারে, তাঁরা জানেন এসব চা-প্রেমীর ভিড় লেগে...
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়
চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না। ব্যাপারটা ভদ্রলোক করেছিলেন ১৯৩৬ সালে, এ কথা ভুলবেন না। আর সেই যে সেই ‘উত্তরায়ণ’-এ বড়ুয়া সাহেবের জ্বর হওয়ার পরে ক্যামেরা সোজা সিঁড়ি দিয়ে উঠে বিছানায় গিয়ে আছড়ে পড়ল—সেটাই কি ভোলা যায়! কাণ্ডটা ঘটিয়েছেন ভদ্রলোক ডেভিড লিনের ‘অলিভার টুইস্ট’-এর বহু আগে। সাবজেকটিভ ক্যামেরা সম্পর্কে অনেক কথা আজকাল শুনতে পাই, বিভিন্ন পরিচালক নাকি খুব ভালোভাবে ব্যবহার করছেন।
...আমার কাছে গুলিয়ে গেছে সিনেমার প্রাচীন আর আধুনিক বলতে আপনারা কী বোঝাতে চেয়েছেন। এসব ধরনের কথা শুনলে আমার একটা কথাই মনে হয়, কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় ‘দে গরুর গা ধুইয়ে’।
...চলচ্চিত্রের সামাজিক দায়িত্ব সব সময়ে হয়েছে। হয় পজিটিভ, না হয় নেগেটিভভাবে। ছবিটাকে আমি একটা শিল্প বলি। কাজেই মনে করি সর্বশিল্পের শর্ত পালিত হচ্ছে এখানেও। আমি মনে করি না যে সত্যজিৎ রায়ের ‘চারুলতা’ চ্যাপলিনের ‘এসানে’ যুগের এক রিলের ছবিগুলোর চেয়ে বেশি সচেতন।
১৯২৫ সালে তোলা আইজেনস্টাইনের ‘স্ট্রাইক’ ছবির চেয়ে বেশি সমাজসচেতন ছবি কি আজ পর্যন্ত তোলা হয়েছে? পাবস্ট-এর ‘কামেরা ডে শেফট’ আজও পর্যন্ত আমার কাছে মনে হয় সবচেয়ে বেশি সমাজসচেতন একটি ছবি। চারু রায়ের ‘বাংলার মেয়ে’ বহু আগে তোলা—প্রথম বাংলা ছবি, যাতে আউটডোর ব্যবহৃত হয় সবচেয়ে বেশিভাবে, তাতেও সমাজচেতনা পরিপূর্ণ ছিল।
...রবিঠাকুর মশায় একটা বড় ভালো কথা বলে গিয়েছিলেন, ‘শিল্পকে শিল্প হতে হলে সর্বাগ্রে সত্যনিষ্ঠ হতে হয়, তারপরে সৌন্দর্যনিষ্ঠ’। কথাটা ভাবার মতো। যদি পারেন ভেবে দেখবেন।
সূত্র: ঋত্বিক ঘটকের গৃহীত সাক্ষাৎকার, ‘সাক্ষাৎ ঋত্বিক’, শিবাদিত্য দাশগুপ্ত ও সন্দীপন ভট্টাচার্য সম্পাদিত, পৃষ্ঠা ১৮-১৯
চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না। ব্যাপারটা ভদ্রলোক করেছিলেন ১৯৩৬ সালে, এ কথা ভুলবেন না। আর সেই যে সেই ‘উত্তরায়ণ’-এ বড়ুয়া সাহেবের জ্বর হওয়ার পরে ক্যামেরা সোজা সিঁড়ি দিয়ে উঠে বিছানায় গিয়ে আছড়ে পড়ল—সেটাই কি ভোলা যায়! কাণ্ডটা ঘটিয়েছেন ভদ্রলোক ডেভিড লিনের ‘অলিভার টুইস্ট’-এর বহু আগে। সাবজেকটিভ ক্যামেরা সম্পর্কে অনেক কথা আজকাল শুনতে পাই, বিভিন্ন পরিচালক নাকি খুব ভালোভাবে ব্যবহার করছেন।
...আমার কাছে গুলিয়ে গেছে সিনেমার প্রাচীন আর আধুনিক বলতে আপনারা কী বোঝাতে চেয়েছেন। এসব ধরনের কথা শুনলে আমার একটা কথাই মনে হয়, কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় ‘দে গরুর গা ধুইয়ে’।
...চলচ্চিত্রের সামাজিক দায়িত্ব সব সময়ে হয়েছে। হয় পজিটিভ, না হয় নেগেটিভভাবে। ছবিটাকে আমি একটা শিল্প বলি। কাজেই মনে করি সর্বশিল্পের শর্ত পালিত হচ্ছে এখানেও। আমি মনে করি না যে সত্যজিৎ রায়ের ‘চারুলতা’ চ্যাপলিনের ‘এসানে’ যুগের এক রিলের ছবিগুলোর চেয়ে বেশি সচেতন।
১৯২৫ সালে তোলা আইজেনস্টাইনের ‘স্ট্রাইক’ ছবির চেয়ে বেশি সমাজসচেতন ছবি কি আজ পর্যন্ত তোলা হয়েছে? পাবস্ট-এর ‘কামেরা ডে শেফট’ আজও পর্যন্ত আমার কাছে মনে হয় সবচেয়ে বেশি সমাজসচেতন একটি ছবি। চারু রায়ের ‘বাংলার মেয়ে’ বহু আগে তোলা—প্রথম বাংলা ছবি, যাতে আউটডোর ব্যবহৃত হয় সবচেয়ে বেশিভাবে, তাতেও সমাজচেতনা পরিপূর্ণ ছিল।
...রবিঠাকুর মশায় একটা বড় ভালো কথা বলে গিয়েছিলেন, ‘শিল্পকে শিল্প হতে হলে সর্বাগ্রে সত্যনিষ্ঠ হতে হয়, তারপরে সৌন্দর্যনিষ্ঠ’। কথাটা ভাবার মতো। যদি পারেন ভেবে দেখবেন।
সূত্র: ঋত্বিক ঘটকের গৃহীত সাক্ষাৎকার, ‘সাক্ষাৎ ঋত্বিক’, শিবাদিত্য দাশগুপ্ত ও সন্দীপন ভট্টাচার্য সম্পাদিত, পৃষ্ঠা ১৮-১৯
আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস। জীবনে নানাভাবেই বাঁশ খেয়েই চলেছি, আক্ষরিক অর্থে না হলেও ভাবগত দিক থেকে তো বটেই। এই রুঢ় জীবন বাস্তবতায় সব মানুষকেই কখনো না কখনো একটু-আধটু বাঁশ খেতেই হয়। তো বাঁশ দিবসে কাজের ফাঁকে আমার বন্ধু কফিলের সঙ্গে এই ‘বাঁশ খাওয়া’ নিয়েই আলাপ করছিলাম।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
৩ দিন আগে১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির...
৫ দিন আগেবিরিয়ানি কিংবা কাবাব-পরোটা খেতে মন চাইলে পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারের কথা মনে পড়তেই পারে। এসব খেয়ে কেউ কেউ বিউটি কিংবা নূরানীর লাচ্ছি খেয়ে ভোজ শেষ করতে পারেন। আবার কেউ ধোঁয়া ওঠা গরম চা পিরিচে নিয়ে ফুঁকে ফুঁকে গলায় ঢালতে পারেন। যাঁরা নিয়মিত যান নাজিরাবাজারে, তাঁরা জানেন এসব চা-প্রেমীর ভিড় লেগে...
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়
বিরিয়ানি কিংবা কাবাব-পরোটা খেতে মন চাইলে পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারের কথা মনে পড়তেই পারে। এসব খেয়ে কেউ কেউ বিউটি কিংবা নূরানীর লাচ্ছি খেয়ে ভোজ শেষ করতে পারেন। আবার কেউ ধোঁয়া ওঠা গরম চা পিরিচে নিয়ে ফুঁকে ফুঁকে গলায় ঢালতে পারেন। যাঁরা নিয়মিত যান নাজিরাবাজারে, তাঁরা জানেন এসব চা-প্রেমীর ভিড় লেগে থাকে পান্নু খান টি স্টোরে।
পান্নুর চা নামেই সমধিক পরিচিত কাজী আলাউদ্দিন রোডের ৩৭/২ নম্বরের ছোট দোকানটি। সাধারণ চায়ের পাশাপাশি মালাই চা, কফি চা, পনির চা, বাদাম চা—এ রকম নানা চায়ের সঙ্গে চাইলে বিস্কুট, পাউরুটি বা বাকরখানি ডুবিয়ে খেতে পারেন, এই দোকানে বসে। বসার জায়গা পাওয়াটা বেশির ভাগ সময় দুষ্কর হয়ে পড়ে। তাই দাঁড়িয়েই নিতে হয় পান্নুর চায়ের স্বাদ। ২০০৮ সালে প্রথমে নিউমার্কেটে চালু হলেও দোকানটি এখন নাজিরাবাজারে। খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এর চা।
ছবি: মেহেদী হাসান
বিরিয়ানি কিংবা কাবাব-পরোটা খেতে মন চাইলে পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারের কথা মনে পড়তেই পারে। এসব খেয়ে কেউ কেউ বিউটি কিংবা নূরানীর লাচ্ছি খেয়ে ভোজ শেষ করতে পারেন। আবার কেউ ধোঁয়া ওঠা গরম চা পিরিচে নিয়ে ফুঁকে ফুঁকে গলায় ঢালতে পারেন। যাঁরা নিয়মিত যান নাজিরাবাজারে, তাঁরা জানেন এসব চা-প্রেমীর ভিড় লেগে থাকে পান্নু খান টি স্টোরে।
পান্নুর চা নামেই সমধিক পরিচিত কাজী আলাউদ্দিন রোডের ৩৭/২ নম্বরের ছোট দোকানটি। সাধারণ চায়ের পাশাপাশি মালাই চা, কফি চা, পনির চা, বাদাম চা—এ রকম নানা চায়ের সঙ্গে চাইলে বিস্কুট, পাউরুটি বা বাকরখানি ডুবিয়ে খেতে পারেন, এই দোকানে বসে। বসার জায়গা পাওয়াটা বেশির ভাগ সময় দুষ্কর হয়ে পড়ে। তাই দাঁড়িয়েই নিতে হয় পান্নুর চায়ের স্বাদ। ২০০৮ সালে প্রথমে নিউমার্কেটে চালু হলেও দোকানটি এখন নাজিরাবাজারে। খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এর চা।
ছবি: মেহেদী হাসান
আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস। জীবনে নানাভাবেই বাঁশ খেয়েই চলেছি, আক্ষরিক অর্থে না হলেও ভাবগত দিক থেকে তো বটেই। এই রুঢ় জীবন বাস্তবতায় সব মানুষকেই কখনো না কখনো একটু-আধটু বাঁশ খেতেই হয়। তো বাঁশ দিবসে কাজের ফাঁকে আমার বন্ধু কফিলের সঙ্গে এই ‘বাঁশ খাওয়া’ নিয়েই আলাপ করছিলাম।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
৩ দিন আগে১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির...
৫ দিন আগেচলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না।
৬ দিন আগে