সম্পাদকীয়
ভাষা যদি বেড়া তৈরি করে, তাহলে সেই বেড়া টপকানোর পন্থাও আমাদের দেয় কবিতা। অন্য ভাষার কবিতার স্বাদ নেওয়ার অর্থ, সেই ভাষাভাষী মানুষের বোধবুদ্ধিরও সুবাস নেওয়া, যা আর অন্য কোনোভাবে পাওয়া সম্ভব নয়। ইউরোপের কবিতার ইতিহাসে যদি চোখ রাখি, দেখা যায় এক ভাষার কবিতা অন্য ভাষায় কী প্রবল প্রভাব ফেলেছে। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ কবির কতটা ঋণ জমা হয় অন্যান্য ভাষার কবিদের কাছে। হয়তো তাঁর নিজের ভাষার অন্য কবিদের কাছে জমা ঋণের তুলনায় যা বেশি ছাড়া কম নয়। এটাও মনে রাখতে হবে প্রতিটি দেশের প্রতিটি ভাষার কবি ক্রমেই ধুঁকতে ধুঁকতে শেষ হয়ে যাবেন, যদি না তিনি বিদেশি ভাষার কবিতার মাধ্যমে নিজেকে জারিয়ে নেন। যখন একজন কবি তাঁর নিজের দেশের মানুষের জন্য লিখছেন বা বলছেন, তাঁকে প্রভাবিত করেছে এমন বিদেশি ভাষার অসংখ্য কবির স্বরও কিন্তু তখন তাঁর মধ্যে মিশে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে তিনি নিজেও যখন বলছেন, তখন সেই স্বর অন্য ভাষার নতুনতর কবিদের মধ্যে বাহিত হচ্ছে, যাঁরাও আবার সেই নির্যাসটুকু নিয়ে নিজেদের দেশ, ভাষা এবং আত্মার নিজস্ব সম্পদে তা মেশাচ্ছেন। কিছুটা তাঁর নিজের সরাসরি প্রভাব অন্য কবিদের মধ্যে, কিছুটা তাঁর লেখার অনুবাদে, কিছুটা তাঁর নিজের ভাষার পাঠকের মধ্যে একজন কবি এক সেতু রচনা করে থাকেন। প্রত্যেক কবির কাজের বেশির ভাগটাই তাঁর ভাষাভাষী, তাঁর অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের মধ্যেই আবেদন তৈরি করে এটা ঠিকই।
এবার পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে একজন কবিকে। আমি তাঁকে কাব্যভুবনের সীমান্ত অতিক্রম করা এক মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেই দেখতে চাইছি। এ কথাটিকে পোক্ত করে তুলে ধরার জন্য কখনো কখনো একজন কবিকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত এবং আমি আজ আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি শুধু আমার গুণপনা প্রদর্শনকারী হিসেবে নয়। কবিতার সামগ্রিক তাৎপর্যের মধ্যে নিহিত একটি সময়ের প্রতীক হিসেবেই।
মার্কিন বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ কবি টি এস এলিয়ট ১৯৪৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।
ভাষা যদি বেড়া তৈরি করে, তাহলে সেই বেড়া টপকানোর পন্থাও আমাদের দেয় কবিতা। অন্য ভাষার কবিতার স্বাদ নেওয়ার অর্থ, সেই ভাষাভাষী মানুষের বোধবুদ্ধিরও সুবাস নেওয়া, যা আর অন্য কোনোভাবে পাওয়া সম্ভব নয়। ইউরোপের কবিতার ইতিহাসে যদি চোখ রাখি, দেখা যায় এক ভাষার কবিতা অন্য ভাষায় কী প্রবল প্রভাব ফেলেছে। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ কবির কতটা ঋণ জমা হয় অন্যান্য ভাষার কবিদের কাছে। হয়তো তাঁর নিজের ভাষার অন্য কবিদের কাছে জমা ঋণের তুলনায় যা বেশি ছাড়া কম নয়। এটাও মনে রাখতে হবে প্রতিটি দেশের প্রতিটি ভাষার কবি ক্রমেই ধুঁকতে ধুঁকতে শেষ হয়ে যাবেন, যদি না তিনি বিদেশি ভাষার কবিতার মাধ্যমে নিজেকে জারিয়ে নেন। যখন একজন কবি তাঁর নিজের দেশের মানুষের জন্য লিখছেন বা বলছেন, তাঁকে প্রভাবিত করেছে এমন বিদেশি ভাষার অসংখ্য কবির স্বরও কিন্তু তখন তাঁর মধ্যে মিশে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে তিনি নিজেও যখন বলছেন, তখন সেই স্বর অন্য ভাষার নতুনতর কবিদের মধ্যে বাহিত হচ্ছে, যাঁরাও আবার সেই নির্যাসটুকু নিয়ে নিজেদের দেশ, ভাষা এবং আত্মার নিজস্ব সম্পদে তা মেশাচ্ছেন। কিছুটা তাঁর নিজের সরাসরি প্রভাব অন্য কবিদের মধ্যে, কিছুটা তাঁর লেখার অনুবাদে, কিছুটা তাঁর নিজের ভাষার পাঠকের মধ্যে একজন কবি এক সেতু রচনা করে থাকেন। প্রত্যেক কবির কাজের বেশির ভাগটাই তাঁর ভাষাভাষী, তাঁর অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের মধ্যেই আবেদন তৈরি করে এটা ঠিকই।
এবার পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে একজন কবিকে। আমি তাঁকে কাব্যভুবনের সীমান্ত অতিক্রম করা এক মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেই দেখতে চাইছি। এ কথাটিকে পোক্ত করে তুলে ধরার জন্য কখনো কখনো একজন কবিকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত এবং আমি আজ আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি শুধু আমার গুণপনা প্রদর্শনকারী হিসেবে নয়। কবিতার সামগ্রিক তাৎপর্যের মধ্যে নিহিত একটি সময়ের প্রতীক হিসেবেই।
মার্কিন বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ কবি টি এস এলিয়ট ১৯৪৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।
বাংলার সুবেদার মীর জুমলা তাঁর আসাম অভিযানের সময় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের (তৎকালীন খিজিরপুর) সংযোগকারী সড়কের পাগলা এলাকায় শীতলক্ষ্যা-বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগস্থলে নির্মাণ করেন পাগলা সেতু।
১ দিন আগেগান করে থাকি সেটা তো অন্যায় হতে পারে না! তো সেই দিক থেকে আমি অন্তত ক্ষমা চাইতে পারি। কারণ এটা আমি পেশা করেছি। এটা আলটিমেটলি পেশা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি কিন্তু গান শিখিনি নাম করার জন্য, যে আমার কবে সুখ্যাতি কে করবে, আমি কবে জনপ্রিয় হব তার জন্য গান শিখিনি। আমার বাবা-মা কোনো দিন আমাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে...
২ দিন আগেমুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় একাত্তরের ১০ এপ্রিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ১৭ এপ্রিল।
৩ দিন আগেকাশ্মীর প্রিন্সেস—৭০ বছর আগে এক ট্র্যাজেডির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এয়ার ইন্ডিয়ার এই উড়োজাহাজ। ১৯৫৫ সালের ১০ এপ্রিল মুম্বাই থেকে যাত্রীদের নিয়ে হংকংয়ের কাই তাক বিমানবন্দরে পৌঁছায় উড়োজাহাজটি। পরদিন, চীনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার কথা ছিল সেটির।
৭ দিন আগে