সম্পাদকীয়
মোস্তফা কামালের ছেলেবেলা বাবার কর্মস্থল কুমিল্লা সেনানিবাসে কাটে। পড়ালেখার চেয়ে সেনানিবাসে সৈনিকদের কুচকাওয়াজ, মার্চপাস্ট ইত্যাদি বেশি করে তাঁকে টানত। এসব দেখে ক্রমেই তাঁর মধ্যে সেনাবাহিনীর সৈনিক হওয়ার স্বপ্ন মনে গেঁথে যায়। শৈশবেই স্থির করে ফেলেন সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন। ২০ বছর বয়সে হঠাৎ করেই তিনি বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। ১৯৬৮ সালে পাকিস্তানের চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে চাকরি চূড়ান্ত হওয়ার পরে মা-বাবাকে অবহিত করেন।
১৯৭১ সালের উত্তাল রাজনৈতিক সময়ে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে অভ্যন্তরীণ গোলযোগ নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোতায়েন করে। পাকিস্তানিদের চক্রান্ত বুঝতে পেরে কয়েকজন বাঙালি সৈনিককে সঙ্গে নিয়ে মেজর শাফায়াত জামিল রেজিমেন্টের অধিনায়ক
লে. কর্নেল খিজির হায়াত খানসহ সব পাকিস্তানি অফিসার ও সেনাকে গ্রেপ্তার করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গঙ্গাসাগর এলাকায় প্রতিরক্ষা অবস্থানের সময় দরুইন গ্রামে নিয়োজিত আলফা কোম্পানির ২ নম্বর প্লাটুনের একজন সেকশন কমান্ডার ছিলেন তিনি। তাঁরা মেজর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে আশুগঞ্জ, উজানিস্বর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এন্ডারসন খালের পাশ দিয়ে প্রতিরক্ষা অবস্থান নেন।
এখানে যুদ্ধরত অবস্থায় ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে তিনি শহীদ হন। পাকিস্তানি সেনারা তাঁর ওপর চড়াও হয়ে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। মোস্তফা কামাল শহীদ হওয়ার পর সেখানেই কয়েক দিন তাঁর মরদেহ পড়ে ছিল। পরে গ্রামের পরিস্থিতি শান্ত হলে স্থানীয়রা এসে তাঁকে পুকুরপাড়ে সমাহিত করেন। তাঁর অসীম সাহসী কর্মতৎপরতার জন্য যুদ্ধের সময়ই মৌখিকভাবে তাঁকে ল্যান্স নায়েকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। মোস্তফা কামালের নামানুসারে গ্রামের নাম মৌটুপীর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘কামাল নগর’।
এই অসীম সাহসী বীর ১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোলার দৌলতখান থানার পশ্চিম হাজিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
মোস্তফা কামালের ছেলেবেলা বাবার কর্মস্থল কুমিল্লা সেনানিবাসে কাটে। পড়ালেখার চেয়ে সেনানিবাসে সৈনিকদের কুচকাওয়াজ, মার্চপাস্ট ইত্যাদি বেশি করে তাঁকে টানত। এসব দেখে ক্রমেই তাঁর মধ্যে সেনাবাহিনীর সৈনিক হওয়ার স্বপ্ন মনে গেঁথে যায়। শৈশবেই স্থির করে ফেলেন সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন। ২০ বছর বয়সে হঠাৎ করেই তিনি বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। ১৯৬৮ সালে পাকিস্তানের চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে চাকরি চূড়ান্ত হওয়ার পরে মা-বাবাকে অবহিত করেন।
১৯৭১ সালের উত্তাল রাজনৈতিক সময়ে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে অভ্যন্তরীণ গোলযোগ নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোতায়েন করে। পাকিস্তানিদের চক্রান্ত বুঝতে পেরে কয়েকজন বাঙালি সৈনিককে সঙ্গে নিয়ে মেজর শাফায়াত জামিল রেজিমেন্টের অধিনায়ক
লে. কর্নেল খিজির হায়াত খানসহ সব পাকিস্তানি অফিসার ও সেনাকে গ্রেপ্তার করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গঙ্গাসাগর এলাকায় প্রতিরক্ষা অবস্থানের সময় দরুইন গ্রামে নিয়োজিত আলফা কোম্পানির ২ নম্বর প্লাটুনের একজন সেকশন কমান্ডার ছিলেন তিনি। তাঁরা মেজর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে আশুগঞ্জ, উজানিস্বর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এন্ডারসন খালের পাশ দিয়ে প্রতিরক্ষা অবস্থান নেন।
এখানে যুদ্ধরত অবস্থায় ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে তিনি শহীদ হন। পাকিস্তানি সেনারা তাঁর ওপর চড়াও হয়ে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। মোস্তফা কামাল শহীদ হওয়ার পর সেখানেই কয়েক দিন তাঁর মরদেহ পড়ে ছিল। পরে গ্রামের পরিস্থিতি শান্ত হলে স্থানীয়রা এসে তাঁকে পুকুরপাড়ে সমাহিত করেন। তাঁর অসীম সাহসী কর্মতৎপরতার জন্য যুদ্ধের সময়ই মৌখিকভাবে তাঁকে ল্যান্স নায়েকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। মোস্তফা কামালের নামানুসারে গ্রামের নাম মৌটুপীর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘কামাল নগর’।
এই অসীম সাহসী বীর ১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোলার দৌলতখান থানার পশ্চিম হাজিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
আপনি কি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে এই খবর পড়ছেন? সাবধান! ঘাসে পা দেবেন না কিন্তু! আজ ঘাসে পা না দেওয়ার দিন। জানা নেই? তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী এই ‘ঘাসে পা না দেওয়া দিবস’। কীভাবেই–বা এর উৎপত্তি।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলার সুবেদার মীর জুমলা তাঁর আসাম অভিযানের সময় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের (তৎকালীন খিজিরপুর) সংযোগকারী সড়কের পাগলা এলাকায় শীতলক্ষ্যা-বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগস্থলে নির্মাণ করেন পাগলা সেতু।
৩ দিন আগেগান করে থাকি সেটা তো অন্যায় হতে পারে না! তো সেই দিক থেকে আমি অন্তত ক্ষমা চাইতে পারি। কারণ এটা আমি পেশা করেছি। এটা আলটিমেটলি পেশা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি কিন্তু গান শিখিনি নাম করার জন্য, যে আমার কবে সুখ্যাতি কে করবে, আমি কবে জনপ্রিয় হব তার জন্য গান শিখিনি। আমার বাবা-মা কোনো দিন আমাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে...
৪ দিন আগেমুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় একাত্তরের ১০ এপ্রিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ১৭ এপ্রিল।
৫ দিন আগে