Ajker Patrika

স্বামীকে শায়েস্তা

সম্পাদকীয়
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২২, ১২: ২২
স্বামীকে শায়েস্তা

আগাথা মেরি ক্লারিসা মিলার বললে কেউ তাঁকে চিনবেন না। বলতে হবে আগাথা ক্রিস্টি। ক্রিস্টি নামটা এসেছিল স্বামীর পদবি থেকে। ২২ বছর বয়সে এক পার্টিতে আর্চিব্যল ক্রিস্টির সঙ্গে পরিচয় হয় আগাথার। তাঁকে বিয়ে করেন তিনি। ১৯১৯ সালে তাঁদের সংসারে আসে কন্যা রোজালিন্ডা। লেখালেখিতেও ততদিনে নাম করেছেন আগাথা, তাই জীবনটা চলে যাবে মসৃণভাবে—এটাই ভেবেছিলেন।

ক্রিস্টি সাহেবের মন তত দিনে একটু একটু করে বদলে গেছে। ১৯২৬ সালে জানা গেল তিনি প্রেমে পড়েছেন, আগাথার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করতে চান।
এ রকম সংবাদে অন্য মেয়েরা কী করে? কাঁদে, হা-হুতাশ করে, স্বামীর মাথায় রান্নার প্যান দিয়ে আঘাত করে কিংবা চলে যায় মায়ের বাড়ি। গোয়েন্দা পুয়ারো আর মিস মার্পলের জন্মদাত্রী আগাথা কিন্তু ধরলেন অন্য পথ।

নিজের দুই আসনের মরিস গাড়িটায় চড়ে বসলেন। অজানার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়লেন। পরদিন ভোরে সেই মরিসকে দেখা গেল সাইলেন্ট-পুল হ্রদের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। গাড়ির আসনে আগাথার ওভারকোট আর স্যুটকেস।

সাড়া পড়ে গেল পুলিশ বিভাগে। ক্রিস্টি সাহেব তো হতবাক! পুলিশ তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখতে লাগল। প্রাইভেট ডিটেকটিভরাও তদন্তে নেমে গেল। হ্রদের পানিতে ফেলা হলো জাল। কিন্তু আগাথার কোনো চিহ্ন পাওয়া গেল না।

এ সময় পুলিশের কাছে খবর এল, হ্যারোগেট শহরের একটি হোটেলে মিস নেলি নামে আগাথার মতো দেখতে এক নারী উঠেছেন। তিনি নাকি এসেছেন কেপটাউন থেকে। পুলিশের গোয়েন্দারা ছুটল সেই শহরের দিকে। ছদ্মবেশে মিস নেলিকে অনুসরণ করতে লাগল, কিন্তু কাছে-ধারে গেল না। ডেইলি নিউজ পত্রিকার রিপোর্টার এসবের ধার ধারলেন না। সোজা হোটেলে গিয়ে মিস নেলির ঘরের দরজায় দিলেন ধাক্কা। দরজা খুললে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আগাথা ক্রিস্টি?’

আগাথা বুঝলেন, আর লুকিয়ে থেকে লাভ নেই। স্বামী যে আঘাত করেছিলেন আগাথাকে, তার কষ্টটা স্বামীকে ফিরিয়ে দিতে পেরেছেন বুঝে ফিরে এসেই ক্রিস্টিকে ডিভোর্স দিলেন। 

সূত্র: আইফাক্ত ডট রু 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত