সম্পাদকীয়
বিজন ভট্টাচার্য ছিলেন নাট্যকার, নাট্য নির্দেশক ও অভিনেতা। তাঁর জন্ম রাজবাড়ী জেলার খানখানাপুরে, ১৯০৬ সালের ১৭ জুলাই।
১৯৩০ সালে কলকাতা গিয়ে প্রথমে আশুতোষ কলেজে এবং পরে রিপন কলেজে পড়াশোনা করেন। এ সময়ে তিনি মহিষবাথানে লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনে যোগ দেন। বিএ পড়ার সময় তাঁর পড়াশোনায় ইতি ঘটে। অসহযোগ আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে কারাবরণ করেন। ১৯৩৮ সালে আনন্দবাজার পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে যোগ দেন। তাঁর প্রথম গল্প ‘জালসত্ত্ব’ আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ১৯৪০ সালে। এই সময় তিনি কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়ে সার্বক্ষণিক কর্মী হন। ১৯৪৩ সালে বিখ্যাত লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের একমাত্র সন্তান হলেন কবি নবারুণ ভট্টাচার্য।
বিজন ভট্টাচার্যের প্রথম নাটক ‘আগুন’ ১৯৪৩ সালে বিখ্যাত ‘অরণী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং ওই বছরেই নাটকটি মঞ্চস্থ হলে নাট্যকার হিসেবে তাঁর সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। একই বছর ‘অরণী’তে তাঁর দ্বিতীয় নাটক ‘জবানবন্দী’ প্রকাশিত হয়। পঞ্চাশের মন্বন্তরের পটভূমিতে কৃষকসমাজের দুর্দশার চিত্র তিনি তাঁর ‘নবান্ন’ নাটকে তুলে ধরে বাংলা নাট্যধারায় এক নতুন যুগের সূচনা করেন।
ফ্যাসিবাদবিরোধী লেখক ও শিল্পী সংঘ, প্রগতি লেখক সংঘ এবং ভারতীয় গণনাট্য সংঘ গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। একসময় তিনি রাজনৈতিক মতান্তরের কারণে সংগঠন থেকে বেরিয়ে এসে ১৯৫০ সালে গঠন করেন ‘ক্যালকাটা থিয়েটার গ্রুপ’। ১৯৭০ সালে স্বপ্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন থেকেও ইস্তফা দিয়ে ‘কবচকুণ্ডল’ নাট্যপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন এবং শেষাবধি এর সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন।
বিজন ভট্টাচার্য চলচ্চিত্রেও দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করেন। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো- বাড়ি থেকে পালিয়ে, মেঘে ঢাকা তারা, সুবর্ণরেখা, পদাতিক, যুক্তি তক্কো গপ্পো ইত্যাদি। ১৯৪৮-৫০ সালে তিনি বোম্বাই চলচ্চিত্রে অভিনয় ও স্ক্রিপ্ট লেখার কাজও করেন।
মানবদরদি এই নাট্যকার ১৯৭৮ সালের ১৯ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
বিজন ভট্টাচার্য ছিলেন নাট্যকার, নাট্য নির্দেশক ও অভিনেতা। তাঁর জন্ম রাজবাড়ী জেলার খানখানাপুরে, ১৯০৬ সালের ১৭ জুলাই।
১৯৩০ সালে কলকাতা গিয়ে প্রথমে আশুতোষ কলেজে এবং পরে রিপন কলেজে পড়াশোনা করেন। এ সময়ে তিনি মহিষবাথানে লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনে যোগ দেন। বিএ পড়ার সময় তাঁর পড়াশোনায় ইতি ঘটে। অসহযোগ আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে কারাবরণ করেন। ১৯৩৮ সালে আনন্দবাজার পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে যোগ দেন। তাঁর প্রথম গল্প ‘জালসত্ত্ব’ আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ১৯৪০ সালে। এই সময় তিনি কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়ে সার্বক্ষণিক কর্মী হন। ১৯৪৩ সালে বিখ্যাত লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের একমাত্র সন্তান হলেন কবি নবারুণ ভট্টাচার্য।
বিজন ভট্টাচার্যের প্রথম নাটক ‘আগুন’ ১৯৪৩ সালে বিখ্যাত ‘অরণী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং ওই বছরেই নাটকটি মঞ্চস্থ হলে নাট্যকার হিসেবে তাঁর সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। একই বছর ‘অরণী’তে তাঁর দ্বিতীয় নাটক ‘জবানবন্দী’ প্রকাশিত হয়। পঞ্চাশের মন্বন্তরের পটভূমিতে কৃষকসমাজের দুর্দশার চিত্র তিনি তাঁর ‘নবান্ন’ নাটকে তুলে ধরে বাংলা নাট্যধারায় এক নতুন যুগের সূচনা করেন।
ফ্যাসিবাদবিরোধী লেখক ও শিল্পী সংঘ, প্রগতি লেখক সংঘ এবং ভারতীয় গণনাট্য সংঘ গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। একসময় তিনি রাজনৈতিক মতান্তরের কারণে সংগঠন থেকে বেরিয়ে এসে ১৯৫০ সালে গঠন করেন ‘ক্যালকাটা থিয়েটার গ্রুপ’। ১৯৭০ সালে স্বপ্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন থেকেও ইস্তফা দিয়ে ‘কবচকুণ্ডল’ নাট্যপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন এবং শেষাবধি এর সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন।
বিজন ভট্টাচার্য চলচ্চিত্রেও দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করেন। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো- বাড়ি থেকে পালিয়ে, মেঘে ঢাকা তারা, সুবর্ণরেখা, পদাতিক, যুক্তি তক্কো গপ্পো ইত্যাদি। ১৯৪৮-৫০ সালে তিনি বোম্বাই চলচ্চিত্রে অভিনয় ও স্ক্রিপ্ট লেখার কাজও করেন।
মানবদরদি এই নাট্যকার ১৯৭৮ সালের ১৯ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
পঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
৪ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
৮ দিন আগে...সাধারণ মানুষের অসীম দুঃখ-দুর্দশা আর বুর্জোয়া শাসকশ্রেণির অন্তর্গত কুৎসিত ক্ষমতালিপ্সা ও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতি উচ্ছেদ করার নির্মম কর্মকাণ্ড দেখার পর, যেকোনো পরিণত কিশোর কোনো না কোনো প্রগতিশীল বামপন্থী রাজনৈতিক ভাবাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হবে—সমসাময়িক কালে সেটাই নিতান্ত স্বাভাবিক ছিল।
৯ দিন আগে২০০১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাত্র কয়েক ঘণ্টায় অ্যানা কুর্নিকোভা ভাইরাসটি তৈরি করেন নেদারল্যান্ডসের এক তরুণ, জান ডে উইট। ভাইরাসটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার কিছু দিন পর তিনি বুঝতে পারেন—তাঁর তৈরি এই ভাইরাস অনেক মানুষকে বিপদে ফেলেছে এবং বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করেছে। তখন তিনি বিষয়টি বাবা-মাকে জানান এবং নিজেই
১২ দিন আগে