সম্পাদকীয়
রাধাকমল মুখোপাধ্যায় ১৮৮৯ সালের ৭ ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বহরমপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ব্যারিস্টার পিতার ব্যক্তিগত লাইব্রেরিতে ইতিহাস, সাহিত্য, আইন, সংস্কৃতসহ নানা বিষয়ের সমৃদ্ধ সংগ্রহ ছিল। বাবার এই লাইব্রেরি তাঁকে মনন ও চিন্তায় সমৃদ্ধ করতে ব্যাপক সহায়তা করেছে।
রাধাকমল মুখোপাধ্যায় কৃষ্ণনগর কলেজ থেকে ইতিহাস ও ইংরেজি বিষয়ে অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। এরপর প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এমএ পাস করেন। এমএ পাস করার পর প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি লাভ করেন।
কর্মজীবনে বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার পর লক্ষ্ণৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্বাচিত হন। ভারতের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদরূপে আমন্ত্রিত হয়ে ভারতসহ ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে বক্তৃতা করেছেন। কর্মজীবনে অর্থনীতি ও সমাজবিদ্যার অধ্যাপক হলেও তিনি একই সঙ্গে সাহিত্যিক ও সমাজবিজ্ঞানীও ছিলেন। তিনি সমাজতত্ত্বের মাধ্যমে সভ্যতার মূল্যবোধ ব্যাখ্যা করতে চেয়েছিলেন। বিজ্ঞানে অধ্যয়নের দুই বা ততোধিক ভিন্ন ক্ষেত্র সম্পর্কিত আন্তবিভাগীয় নিয়মানুবর্তিতামূলক (ট্রান্সডিসিপ্লিনারি) পদ্ধতির তিনি ছিলেন পথপ্রদর্শক।
অধ্যাপনা ও গবেষণার পাশাপাশি রাধাকমল মুখোপাধ্যায় ‘উপাসনা’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ইতিহাস ও বাংলা সাহিত্যের প্রতি তাঁর বিশেষ অনুরাগ ছিল। তার প্রমাণ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক নানা স্বাদের ও নানা ভাবনার প্রবন্ধগুলো।
সাহিত্যিক রাধাকমল মুখোপাধ্যায় রচিত গ্রন্থগুলো হলো—বর্তমান বাংলা সাহিত্য, মনোময় ভারত, তরুণের ভারত, দরিদ্রের ক্রন্দন, শাশ্বত ভিখারী, শিক্ষা সেবক, পল্লীপ্রচারক, বিশ্বভারত (দুই খণ্ড)। তাঁর লিখিত ‘বিশাল বাংলা’ বইটি এখনো মননশীল পাঠকের কাছে আগ্রহের বস্তু। এ ছাড়া তিনি ইংরেজিতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বই লিখেছেন।
তাঁর ‘বর্তমান বাংলা সাহিত্য’ গ্রন্থের ‘সাহিত্যে বাস্তবতা’ প্রবন্ধ নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল ‘প্রবাসী’ ও ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার মাধ্যমে।
১৯৬৮ সালের ২৪ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
রাধাকমল মুখোপাধ্যায় ১৮৮৯ সালের ৭ ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বহরমপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ব্যারিস্টার পিতার ব্যক্তিগত লাইব্রেরিতে ইতিহাস, সাহিত্য, আইন, সংস্কৃতসহ নানা বিষয়ের সমৃদ্ধ সংগ্রহ ছিল। বাবার এই লাইব্রেরি তাঁকে মনন ও চিন্তায় সমৃদ্ধ করতে ব্যাপক সহায়তা করেছে।
রাধাকমল মুখোপাধ্যায় কৃষ্ণনগর কলেজ থেকে ইতিহাস ও ইংরেজি বিষয়ে অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। এরপর প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এমএ পাস করেন। এমএ পাস করার পর প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি লাভ করেন।
কর্মজীবনে বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার পর লক্ষ্ণৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্বাচিত হন। ভারতের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদরূপে আমন্ত্রিত হয়ে ভারতসহ ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে বক্তৃতা করেছেন। কর্মজীবনে অর্থনীতি ও সমাজবিদ্যার অধ্যাপক হলেও তিনি একই সঙ্গে সাহিত্যিক ও সমাজবিজ্ঞানীও ছিলেন। তিনি সমাজতত্ত্বের মাধ্যমে সভ্যতার মূল্যবোধ ব্যাখ্যা করতে চেয়েছিলেন। বিজ্ঞানে অধ্যয়নের দুই বা ততোধিক ভিন্ন ক্ষেত্র সম্পর্কিত আন্তবিভাগীয় নিয়মানুবর্তিতামূলক (ট্রান্সডিসিপ্লিনারি) পদ্ধতির তিনি ছিলেন পথপ্রদর্শক।
অধ্যাপনা ও গবেষণার পাশাপাশি রাধাকমল মুখোপাধ্যায় ‘উপাসনা’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ইতিহাস ও বাংলা সাহিত্যের প্রতি তাঁর বিশেষ অনুরাগ ছিল। তার প্রমাণ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক নানা স্বাদের ও নানা ভাবনার প্রবন্ধগুলো।
সাহিত্যিক রাধাকমল মুখোপাধ্যায় রচিত গ্রন্থগুলো হলো—বর্তমান বাংলা সাহিত্য, মনোময় ভারত, তরুণের ভারত, দরিদ্রের ক্রন্দন, শাশ্বত ভিখারী, শিক্ষা সেবক, পল্লীপ্রচারক, বিশ্বভারত (দুই খণ্ড)। তাঁর লিখিত ‘বিশাল বাংলা’ বইটি এখনো মননশীল পাঠকের কাছে আগ্রহের বস্তু। এ ছাড়া তিনি ইংরেজিতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বই লিখেছেন।
তাঁর ‘বর্তমান বাংলা সাহিত্য’ গ্রন্থের ‘সাহিত্যে বাস্তবতা’ প্রবন্ধ নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল ‘প্রবাসী’ ও ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার মাধ্যমে।
১৯৬৮ সালের ২৪ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
পঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
৩ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
৭ দিন আগে...সাধারণ মানুষের অসীম দুঃখ-দুর্দশা আর বুর্জোয়া শাসকশ্রেণির অন্তর্গত কুৎসিত ক্ষমতালিপ্সা ও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতি উচ্ছেদ করার নির্মম কর্মকাণ্ড দেখার পর, যেকোনো পরিণত কিশোর কোনো না কোনো প্রগতিশীল বামপন্থী রাজনৈতিক ভাবাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হবে—সমসাময়িক কালে সেটাই নিতান্ত স্বাভাবিক ছিল।
৮ দিন আগে২০০১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাত্র কয়েক ঘণ্টায় অ্যানা কুর্নিকোভা ভাইরাসটি তৈরি করেন নেদারল্যান্ডসের এক তরুণ, জান ডে উইট। ভাইরাসটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার কিছু দিন পর তিনি বুঝতে পারেন—তাঁর তৈরি এই ভাইরাস অনেক মানুষকে বিপদে ফেলেছে এবং বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করেছে। তখন তিনি বিষয়টি বাবা-মাকে জানান এবং নিজেই
১১ দিন আগে