সম্পাদকীয়
সরদার জয়েনউদ্দীন চল্লিশের দশকের একজন গুরুত্বপূর্ণ কথাসাহিত্যিক। সেই সময়ের সামাজিক সংকট, মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, গ্রামীণ সমাজের অবহেলিত মানুষের দুঃখ-বেদনা তাঁর সাহিত্যের মূল উপজীব্য বিষয় ছিল।
প্রথম জীবনে সামরিক বাহিনীতে কেরানি পদে চাকরি করেন। পরে দৈনিক সংবাদ, ইত্তেফাক ও অবজারভার পত্রিকায় কাজ করেছেন। তিনি সাহিত্যে আবির্ভূত হয়েছিলেন ছোটগল্প ‘নয়ান ঢুলী’ লেখার মধ্য দিয়ে। ‘নয়ান ঢুলী’ পঞ্চাশের মন্বন্তরে বিপর্যস্ত দারিদ্র্যপীড়িত এক ঢুলীর জীবনের করুণ কাহিনি—‘এক ঘর এক বাড়ি। ঘর তো নয় ঝুপড়ি।’ যে ঘর থেকে রাতে আকাশের তারা গোনা যায়। নয়ান ঢুলী অর্থের অভাবে স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে পারে না। বহু কষ্টে টাকা জোগাড় করে ডাক্তারের কাছে গেলে উল্টো ডাক্তার চুরির টাকা বলে তাকে
সন্দেহ করে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়। নয়ান ঢুলী জেল থেকে ছাড়া পেয়ে দেখে স্ত্রী-কন্যা দুজনই বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। অবিবেচক সমাজের ধনী-গরিবের এক চিরন্তন বৈষম্য ফুটে উঠেছে এই গল্পে।
তিনি গ্রামীণ সমাজকে দেখেছেন খুব কাছ থেকে। ফলে গ্রামের মানুষের প্রতি অকৃত্রিম দরদ ফুটে উঠেছে তাঁর গল্প-উপন্যাসগুলোতে। একই সঙ্গে গ্রামীণ জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, দহন-নিপীড়ন, অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মুখচ্ছবি প্রতিফলিত হয়েছে তাঁর রচনাগুলোতে।
তাঁর উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘আদিগন্ত’, ‘পান্নামতি’, ‘নীল রং রক্ত’, ‘অনেক সূর্যের আশা’, ‘বেগম শেফালী মীর্জা’, ‘শ্রীমান তালেব আলী ও শ্রীমতী কখ’ এবং ‘বিধ্বস্ত রোদের ঢেউ’। উল্লেখযোগ্য ছোট গল্পগুলো হলো: ‘বীরকন্যার বিয়ে’, ‘খরস্রোত’, ‘বেলা ব্যানার্জীর প্রেম’, ‘অষ্টপ্রহর’।
তিনি জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক ও আলোড়ন সৃষ্টিকারী শিশু ও কিশোরদের পত্রিকা অধুনালুপ্ত ‘সেতারা’ ও ‘শাহীন’-এর সম্পাদক ছিলেন। ‘অনেক সূর্যের আশা’ উপন্যাসের জন্য জয়েনউদ্দীন ১৯৬৭ সালে আদমজী পুরস্কার লাভ করেন। আর কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমিসহ বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হন।
বিশিষ্ট এই কথাসাহিত্যিক ১৯৮৬ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
সরদার জয়েনউদ্দীন চল্লিশের দশকের একজন গুরুত্বপূর্ণ কথাসাহিত্যিক। সেই সময়ের সামাজিক সংকট, মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, গ্রামীণ সমাজের অবহেলিত মানুষের দুঃখ-বেদনা তাঁর সাহিত্যের মূল উপজীব্য বিষয় ছিল।
প্রথম জীবনে সামরিক বাহিনীতে কেরানি পদে চাকরি করেন। পরে দৈনিক সংবাদ, ইত্তেফাক ও অবজারভার পত্রিকায় কাজ করেছেন। তিনি সাহিত্যে আবির্ভূত হয়েছিলেন ছোটগল্প ‘নয়ান ঢুলী’ লেখার মধ্য দিয়ে। ‘নয়ান ঢুলী’ পঞ্চাশের মন্বন্তরে বিপর্যস্ত দারিদ্র্যপীড়িত এক ঢুলীর জীবনের করুণ কাহিনি—‘এক ঘর এক বাড়ি। ঘর তো নয় ঝুপড়ি।’ যে ঘর থেকে রাতে আকাশের তারা গোনা যায়। নয়ান ঢুলী অর্থের অভাবে স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে পারে না। বহু কষ্টে টাকা জোগাড় করে ডাক্তারের কাছে গেলে উল্টো ডাক্তার চুরির টাকা বলে তাকে
সন্দেহ করে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়। নয়ান ঢুলী জেল থেকে ছাড়া পেয়ে দেখে স্ত্রী-কন্যা দুজনই বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। অবিবেচক সমাজের ধনী-গরিবের এক চিরন্তন বৈষম্য ফুটে উঠেছে এই গল্পে।
তিনি গ্রামীণ সমাজকে দেখেছেন খুব কাছ থেকে। ফলে গ্রামের মানুষের প্রতি অকৃত্রিম দরদ ফুটে উঠেছে তাঁর গল্প-উপন্যাসগুলোতে। একই সঙ্গে গ্রামীণ জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, দহন-নিপীড়ন, অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মুখচ্ছবি প্রতিফলিত হয়েছে তাঁর রচনাগুলোতে।
তাঁর উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘আদিগন্ত’, ‘পান্নামতি’, ‘নীল রং রক্ত’, ‘অনেক সূর্যের আশা’, ‘বেগম শেফালী মীর্জা’, ‘শ্রীমান তালেব আলী ও শ্রীমতী কখ’ এবং ‘বিধ্বস্ত রোদের ঢেউ’। উল্লেখযোগ্য ছোট গল্পগুলো হলো: ‘বীরকন্যার বিয়ে’, ‘খরস্রোত’, ‘বেলা ব্যানার্জীর প্রেম’, ‘অষ্টপ্রহর’।
তিনি জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক ও আলোড়ন সৃষ্টিকারী শিশু ও কিশোরদের পত্রিকা অধুনালুপ্ত ‘সেতারা’ ও ‘শাহীন’-এর সম্পাদক ছিলেন। ‘অনেক সূর্যের আশা’ উপন্যাসের জন্য জয়েনউদ্দীন ১৯৬৭ সালে আদমজী পুরস্কার লাভ করেন। আর কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমিসহ বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হন।
বিশিষ্ট এই কথাসাহিত্যিক ১৯৮৬ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
আপনি কি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে এই খবর পড়ছেন? সাবধান! ঘাসে পা দেবেন না কিন্তু! আজ ঘাসে পা না দেওয়ার দিন। জানা নেই? তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী এই ‘ঘাসে পা না দেওয়া দিবস’। কীভাবেই–বা এর উৎপত্তি।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলার সুবেদার মীর জুমলা তাঁর আসাম অভিযানের সময় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের (তৎকালীন খিজিরপুর) সংযোগকারী সড়কের পাগলা এলাকায় শীতলক্ষ্যা-বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগস্থলে নির্মাণ করেন পাগলা সেতু।
৩ দিন আগেগান করে থাকি সেটা তো অন্যায় হতে পারে না! তো সেই দিক থেকে আমি অন্তত ক্ষমা চাইতে পারি। কারণ এটা আমি পেশা করেছি। এটা আলটিমেটলি পেশা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি কিন্তু গান শিখিনি নাম করার জন্য, যে আমার কবে সুখ্যাতি কে করবে, আমি কবে জনপ্রিয় হব তার জন্য গান শিখিনি। আমার বাবা-মা কোনো দিন আমাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে...
৪ দিন আগেমুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় একাত্তরের ১০ এপ্রিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ১৭ এপ্রিল।
৫ দিন আগে