ইশতিয়াক হাসান

একবার ভাবুন তো, আপনার বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে শহরের পরিচিত প্রায় সবাইকে এক ছাদের নিচে পেয়ে গেলে কেমন হবে? এমনকি ডাকঘর, মুদি দোকান আর পুলিশ স্টেশনে পৌঁছে যেতে পারবেন লিফটে চড়লেই। অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনাটি সত্যি যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার হুইটারের বেলায়। শহরের প্রায় ৩০০ বাসিন্দার শতকরা ৮৫ শতাংশের বাস ১৪ তলা একটি দালানে।
আলাস্কার শীতল ওই শহর হুইটারের বিখ্যাত ওই দালানের নাম বেগিচ টাওয়ার। ১৯৫০-এর দশকে এটি ছিল একটি সেনা ব্যারাক। চৌদ্দতলা দালানটিতে ১৫০টি দুই ও তিন কামরার অ্যাপার্টমেন্ট আছে। এ ছাড়া আছে ডরমিটরি। বেগিচ টাওয়ার ছাড়াও অবশ্য শহরে অল্প কয়েকটা দালান আছে। সেখানে কিছু মানুষও বাস করে। তবে সংখ্যাটা একেবারেই কম।

পাহাড়মাঝের শহর হুইটারে স্থলপথে পৌঁছাতে পরবেন কেবল চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি সুড়ঙ্গের মাধ্যমে। সেটির দুয়ার আবার বন্ধ হয়ে যায় রাত ১০টার দিকে। অর্থাৎ সকাল হওয়ার আগ পর্যন্ত শহরে প্রবেশ বা শহর থেকে বের হতে পারবেন না বড় কোনো বিপদ ছাড়া। ট্রেন কিংবা গাড়িতে যেভাবেই আসতে চান না কেন, শহরে প্রবেশ করতে হবে ওই সুড়ঙ্গ দিয়েই। অবশ্য আশপাশের বসতিগুলো থেকে ইঞ্জিনের নৌকা বা ট্রলারে চেপেও পৌঁছা যায় শহরটিতে।
প্রিন্স উইলিয়াম প্রণালির ‘প্যাসেজ কেনেলে’র তীরে অবস্থিত শহরটি। প্রমোদতরী ও বড় জাহাজগুলো ভেড়ার জন্য এখানে একটি পোতাশ্রয় আছে। হুইটার থেকে প্রমোদতরীতে চেপে পর্যটকেরা ঘুরতে পারেন আশপাশের এলাকায়।
শহরের পুলিশ স্টেশনটি ওই দালানেই—এটি তো আগেই জেনেছেন, এখন জানবেন বেগিচ টাওয়ারেই পাবেন একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, লন্ড্রিও। বেগিচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছিল সামরিক ঘাঁটি হিসেবেই। তখন এর বন্দরটি ব্যবহার করা হতো আলাস্কা রাজ্যের নানা জিনিসপত্র আনা-নেওয়া করতে।
গরমের দিনে জায়গাটিতে অনেক পর্যটকই আসেন। তবে শীতের সময় বরফে ছেয়ে যায় গোটা শহর। সেই সঙ্গে থাকে ঝোড়ো, শীতল হাওয়া। কাজেই বাইরে থেকে লোকজন আসা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। শহরের বাসিন্দারাও বের হতে পারেন কম। বছরের মোটামুটি ছয় মাসই বরফ পড়ে এই শহরে। বাকি ছয় মাস আবার নিয়মিত পাবেন বৃষ্টির দেখা।
খুব বেশি নিঃসঙ্গ বোধ করলে হুইটারের বাসিন্দারা মেইনার্ড পর্বতের সুড়ঙ্গ ধরে যেতে পারেন সবচেয়ে কাছের শহর অঙ্কোরেজে। শহরটি থেকে হুইটারের দূরত্ব প্রায় ৬০ মাইল। তবে ছুটির দিন ছাড়া সাধারণত হুইটারের বাসিন্দারা সেখানে যাওয়ার সুযোগ পান কমই।
শহরের বাসিন্দাদের বড় একটি অংশের কাজ বরফ পরিষ্কার, দালানটির দেখভাল করা কিংবা শহরের প্রশাসনিক কাজ সম্পাদন। তবে বাণিজ্যিকভাবে মাছ আহরণ করা হয় এই এলাকা থেকে। তাই কিছু মৎস্যজীবীরও দেখা পাবেন এখানে। তেমনি গরমের মৌসুমে আসেন শৌখিন মৎস্যশিকারিরা।
‘লোকজন শহরটাকে অদ্ভুত ভাবেন।’ বলেন এর বাসিন্দা অ্যান। ‘ঠিক, আলাস্কার সবচেয়ে অদ্ভুত শহর হিসেবেই এটি পরিচিত।’ একমত তাঁর স্বামী ও হুইটারের মেয়র ডেভ ডেকেসন।
ডেভ, অ্যানা ও তাঁদের ১৮ বছরের মেয়ে জেনেসা বলেন, বেশির ভাগ প্রয়োজনীয় জিনিস তাঁদের বাসস্থান মানে বেগিচ টাওয়ারেই পেয়ে যান তাঁরা। তাই এখান থেকে বাইরে কোথাও যাওয়ার খুব বেশি প্রয়োজন নেই তাঁদের।
২০২১ সালে জেনেসা আলাস্কার হুইটারে এক দালানের নিচে তাঁদের জীবনের নানা বিষয় নিয়ে পোস্ট করা শুরু করেন টুইটারে। দ্রুতই তাঁর ভিডিওগুলোর ভিউ বাড়তে থাকে। ব্যাস, এর মাধ্যমেই হঠাৎ পৃথিবীর মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়ে যায় এক দালানের ছোট্ট শহরটি।
শহরটিতে একটি বিদ্যালয়ও আছে। এটি বেগিচ টাওয়ারের সঙ্গে সংযুক্ত একটি সুড়ঙ্গের মাধ্যমে। সেখানে মোটামুটি ৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী জনা পঞ্চাশেক ছাত্র-ছাত্রী আছে। লিন্ডসের এর্ক নামের এক নারী দক্ষিণ ডাকোটা থেকে এখানে এসেছেন ছোট্ট শহরের একমাত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করাতে। তাঁকে সাহায্য করেন ভিক্টর শেন। স্নাতক করা ভিক্টরের জন্ম ও বেড়ে ওঠা হুইটারে। ফিরে এসেছেন, কারণ এটাই তাঁর বাড়ি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারি ব্যুরোর দেওয়া তথ্যে শহরটির আয়তন ১৯.৭ বর্গমাইল বা ৫১ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে ৩২ বর্গকিলোমিটার ডাঙ্গা আর ১৯ বর্গ কিলোমিটার জলভাগ।
হুইটার পরিচালনায় মেয়রকে সহায়তা করেন ছয়জন কাউন্সিল সদস্য। এই সদস্যরাই ফি বছর মেয়র নির্বাচিত করেন। ১৯৭৪ সালে হুইটার পুলিশ বিভাগ গঠিত হয়। তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। তবে গরমের মৌসুমে যখন শহরে পর্যটকের আগমন ঘটে, তখন অস্থায়ীভাবে কিছু স্থানীয় অধিবাসীকে নিয়োগ দেওয়া হয় ওই তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাহায্য করতে। বেগিচ টাওয়ারের দোতলায় অবস্থিত পুলিশ স্টেশনটিতে কাউকে আটকে রাখা বা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোনো কামরা নেই। অবশ্য এখানে সেরকম কোনো বড় ঝামেলা সাধারণত পাকায়ও না।
কানাডার আশ্চর্য এই শহরের গল্প শুনে সেখানে যেতে ইচ্ছা করছে? কোনো সমস্যা নেই। বেগিচ টাওয়ারে পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও আছে। মুফতে পর্যটকেরা কাছের চুগাচ জাতীয় উদ্যান ও হিমবাহের সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগও পেয়ে যান।
সিবিসি নিউজ, নিউজ. কম. এইউ, উইকিপিডিয়া

একবার ভাবুন তো, আপনার বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে শহরের পরিচিত প্রায় সবাইকে এক ছাদের নিচে পেয়ে গেলে কেমন হবে? এমনকি ডাকঘর, মুদি দোকান আর পুলিশ স্টেশনে পৌঁছে যেতে পারবেন লিফটে চড়লেই। অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনাটি সত্যি যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার হুইটারের বেলায়। শহরের প্রায় ৩০০ বাসিন্দার শতকরা ৮৫ শতাংশের বাস ১৪ তলা একটি দালানে।
আলাস্কার শীতল ওই শহর হুইটারের বিখ্যাত ওই দালানের নাম বেগিচ টাওয়ার। ১৯৫০-এর দশকে এটি ছিল একটি সেনা ব্যারাক। চৌদ্দতলা দালানটিতে ১৫০টি দুই ও তিন কামরার অ্যাপার্টমেন্ট আছে। এ ছাড়া আছে ডরমিটরি। বেগিচ টাওয়ার ছাড়াও অবশ্য শহরে অল্প কয়েকটা দালান আছে। সেখানে কিছু মানুষও বাস করে। তবে সংখ্যাটা একেবারেই কম।

পাহাড়মাঝের শহর হুইটারে স্থলপথে পৌঁছাতে পরবেন কেবল চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি সুড়ঙ্গের মাধ্যমে। সেটির দুয়ার আবার বন্ধ হয়ে যায় রাত ১০টার দিকে। অর্থাৎ সকাল হওয়ার আগ পর্যন্ত শহরে প্রবেশ বা শহর থেকে বের হতে পারবেন না বড় কোনো বিপদ ছাড়া। ট্রেন কিংবা গাড়িতে যেভাবেই আসতে চান না কেন, শহরে প্রবেশ করতে হবে ওই সুড়ঙ্গ দিয়েই। অবশ্য আশপাশের বসতিগুলো থেকে ইঞ্জিনের নৌকা বা ট্রলারে চেপেও পৌঁছা যায় শহরটিতে।
প্রিন্স উইলিয়াম প্রণালির ‘প্যাসেজ কেনেলে’র তীরে অবস্থিত শহরটি। প্রমোদতরী ও বড় জাহাজগুলো ভেড়ার জন্য এখানে একটি পোতাশ্রয় আছে। হুইটার থেকে প্রমোদতরীতে চেপে পর্যটকেরা ঘুরতে পারেন আশপাশের এলাকায়।
শহরের পুলিশ স্টেশনটি ওই দালানেই—এটি তো আগেই জেনেছেন, এখন জানবেন বেগিচ টাওয়ারেই পাবেন একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, লন্ড্রিও। বেগিচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছিল সামরিক ঘাঁটি হিসেবেই। তখন এর বন্দরটি ব্যবহার করা হতো আলাস্কা রাজ্যের নানা জিনিসপত্র আনা-নেওয়া করতে।
গরমের দিনে জায়গাটিতে অনেক পর্যটকই আসেন। তবে শীতের সময় বরফে ছেয়ে যায় গোটা শহর। সেই সঙ্গে থাকে ঝোড়ো, শীতল হাওয়া। কাজেই বাইরে থেকে লোকজন আসা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। শহরের বাসিন্দারাও বের হতে পারেন কম। বছরের মোটামুটি ছয় মাসই বরফ পড়ে এই শহরে। বাকি ছয় মাস আবার নিয়মিত পাবেন বৃষ্টির দেখা।
খুব বেশি নিঃসঙ্গ বোধ করলে হুইটারের বাসিন্দারা মেইনার্ড পর্বতের সুড়ঙ্গ ধরে যেতে পারেন সবচেয়ে কাছের শহর অঙ্কোরেজে। শহরটি থেকে হুইটারের দূরত্ব প্রায় ৬০ মাইল। তবে ছুটির দিন ছাড়া সাধারণত হুইটারের বাসিন্দারা সেখানে যাওয়ার সুযোগ পান কমই।
শহরের বাসিন্দাদের বড় একটি অংশের কাজ বরফ পরিষ্কার, দালানটির দেখভাল করা কিংবা শহরের প্রশাসনিক কাজ সম্পাদন। তবে বাণিজ্যিকভাবে মাছ আহরণ করা হয় এই এলাকা থেকে। তাই কিছু মৎস্যজীবীরও দেখা পাবেন এখানে। তেমনি গরমের মৌসুমে আসেন শৌখিন মৎস্যশিকারিরা।
‘লোকজন শহরটাকে অদ্ভুত ভাবেন।’ বলেন এর বাসিন্দা অ্যান। ‘ঠিক, আলাস্কার সবচেয়ে অদ্ভুত শহর হিসেবেই এটি পরিচিত।’ একমত তাঁর স্বামী ও হুইটারের মেয়র ডেভ ডেকেসন।
ডেভ, অ্যানা ও তাঁদের ১৮ বছরের মেয়ে জেনেসা বলেন, বেশির ভাগ প্রয়োজনীয় জিনিস তাঁদের বাসস্থান মানে বেগিচ টাওয়ারেই পেয়ে যান তাঁরা। তাই এখান থেকে বাইরে কোথাও যাওয়ার খুব বেশি প্রয়োজন নেই তাঁদের।
২০২১ সালে জেনেসা আলাস্কার হুইটারে এক দালানের নিচে তাঁদের জীবনের নানা বিষয় নিয়ে পোস্ট করা শুরু করেন টুইটারে। দ্রুতই তাঁর ভিডিওগুলোর ভিউ বাড়তে থাকে। ব্যাস, এর মাধ্যমেই হঠাৎ পৃথিবীর মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়ে যায় এক দালানের ছোট্ট শহরটি।
শহরটিতে একটি বিদ্যালয়ও আছে। এটি বেগিচ টাওয়ারের সঙ্গে সংযুক্ত একটি সুড়ঙ্গের মাধ্যমে। সেখানে মোটামুটি ৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী জনা পঞ্চাশেক ছাত্র-ছাত্রী আছে। লিন্ডসের এর্ক নামের এক নারী দক্ষিণ ডাকোটা থেকে এখানে এসেছেন ছোট্ট শহরের একমাত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করাতে। তাঁকে সাহায্য করেন ভিক্টর শেন। স্নাতক করা ভিক্টরের জন্ম ও বেড়ে ওঠা হুইটারে। ফিরে এসেছেন, কারণ এটাই তাঁর বাড়ি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারি ব্যুরোর দেওয়া তথ্যে শহরটির আয়তন ১৯.৭ বর্গমাইল বা ৫১ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে ৩২ বর্গকিলোমিটার ডাঙ্গা আর ১৯ বর্গ কিলোমিটার জলভাগ।
হুইটার পরিচালনায় মেয়রকে সহায়তা করেন ছয়জন কাউন্সিল সদস্য। এই সদস্যরাই ফি বছর মেয়র নির্বাচিত করেন। ১৯৭৪ সালে হুইটার পুলিশ বিভাগ গঠিত হয়। তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। তবে গরমের মৌসুমে যখন শহরে পর্যটকের আগমন ঘটে, তখন অস্থায়ীভাবে কিছু স্থানীয় অধিবাসীকে নিয়োগ দেওয়া হয় ওই তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাহায্য করতে। বেগিচ টাওয়ারের দোতলায় অবস্থিত পুলিশ স্টেশনটিতে কাউকে আটকে রাখা বা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোনো কামরা নেই। অবশ্য এখানে সেরকম কোনো বড় ঝামেলা সাধারণত পাকায়ও না।
কানাডার আশ্চর্য এই শহরের গল্প শুনে সেখানে যেতে ইচ্ছা করছে? কোনো সমস্যা নেই। বেগিচ টাওয়ারে পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও আছে। মুফতে পর্যটকেরা কাছের চুগাচ জাতীয় উদ্যান ও হিমবাহের সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগও পেয়ে যান।
সিবিসি নিউজ, নিউজ. কম. এইউ, উইকিপিডিয়া
ইশতিয়াক হাসান

একবার ভাবুন তো, আপনার বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে শহরের পরিচিত প্রায় সবাইকে এক ছাদের নিচে পেয়ে গেলে কেমন হবে? এমনকি ডাকঘর, মুদি দোকান আর পুলিশ স্টেশনে পৌঁছে যেতে পারবেন লিফটে চড়লেই। অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনাটি সত্যি যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার হুইটারের বেলায়। শহরের প্রায় ৩০০ বাসিন্দার শতকরা ৮৫ শতাংশের বাস ১৪ তলা একটি দালানে।
আলাস্কার শীতল ওই শহর হুইটারের বিখ্যাত ওই দালানের নাম বেগিচ টাওয়ার। ১৯৫০-এর দশকে এটি ছিল একটি সেনা ব্যারাক। চৌদ্দতলা দালানটিতে ১৫০টি দুই ও তিন কামরার অ্যাপার্টমেন্ট আছে। এ ছাড়া আছে ডরমিটরি। বেগিচ টাওয়ার ছাড়াও অবশ্য শহরে অল্প কয়েকটা দালান আছে। সেখানে কিছু মানুষও বাস করে। তবে সংখ্যাটা একেবারেই কম।

পাহাড়মাঝের শহর হুইটারে স্থলপথে পৌঁছাতে পরবেন কেবল চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি সুড়ঙ্গের মাধ্যমে। সেটির দুয়ার আবার বন্ধ হয়ে যায় রাত ১০টার দিকে। অর্থাৎ সকাল হওয়ার আগ পর্যন্ত শহরে প্রবেশ বা শহর থেকে বের হতে পারবেন না বড় কোনো বিপদ ছাড়া। ট্রেন কিংবা গাড়িতে যেভাবেই আসতে চান না কেন, শহরে প্রবেশ করতে হবে ওই সুড়ঙ্গ দিয়েই। অবশ্য আশপাশের বসতিগুলো থেকে ইঞ্জিনের নৌকা বা ট্রলারে চেপেও পৌঁছা যায় শহরটিতে।
প্রিন্স উইলিয়াম প্রণালির ‘প্যাসেজ কেনেলে’র তীরে অবস্থিত শহরটি। প্রমোদতরী ও বড় জাহাজগুলো ভেড়ার জন্য এখানে একটি পোতাশ্রয় আছে। হুইটার থেকে প্রমোদতরীতে চেপে পর্যটকেরা ঘুরতে পারেন আশপাশের এলাকায়।
শহরের পুলিশ স্টেশনটি ওই দালানেই—এটি তো আগেই জেনেছেন, এখন জানবেন বেগিচ টাওয়ারেই পাবেন একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, লন্ড্রিও। বেগিচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছিল সামরিক ঘাঁটি হিসেবেই। তখন এর বন্দরটি ব্যবহার করা হতো আলাস্কা রাজ্যের নানা জিনিসপত্র আনা-নেওয়া করতে।
গরমের দিনে জায়গাটিতে অনেক পর্যটকই আসেন। তবে শীতের সময় বরফে ছেয়ে যায় গোটা শহর। সেই সঙ্গে থাকে ঝোড়ো, শীতল হাওয়া। কাজেই বাইরে থেকে লোকজন আসা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। শহরের বাসিন্দারাও বের হতে পারেন কম। বছরের মোটামুটি ছয় মাসই বরফ পড়ে এই শহরে। বাকি ছয় মাস আবার নিয়মিত পাবেন বৃষ্টির দেখা।
খুব বেশি নিঃসঙ্গ বোধ করলে হুইটারের বাসিন্দারা মেইনার্ড পর্বতের সুড়ঙ্গ ধরে যেতে পারেন সবচেয়ে কাছের শহর অঙ্কোরেজে। শহরটি থেকে হুইটারের দূরত্ব প্রায় ৬০ মাইল। তবে ছুটির দিন ছাড়া সাধারণত হুইটারের বাসিন্দারা সেখানে যাওয়ার সুযোগ পান কমই।
শহরের বাসিন্দাদের বড় একটি অংশের কাজ বরফ পরিষ্কার, দালানটির দেখভাল করা কিংবা শহরের প্রশাসনিক কাজ সম্পাদন। তবে বাণিজ্যিকভাবে মাছ আহরণ করা হয় এই এলাকা থেকে। তাই কিছু মৎস্যজীবীরও দেখা পাবেন এখানে। তেমনি গরমের মৌসুমে আসেন শৌখিন মৎস্যশিকারিরা।
‘লোকজন শহরটাকে অদ্ভুত ভাবেন।’ বলেন এর বাসিন্দা অ্যান। ‘ঠিক, আলাস্কার সবচেয়ে অদ্ভুত শহর হিসেবেই এটি পরিচিত।’ একমত তাঁর স্বামী ও হুইটারের মেয়র ডেভ ডেকেসন।
ডেভ, অ্যানা ও তাঁদের ১৮ বছরের মেয়ে জেনেসা বলেন, বেশির ভাগ প্রয়োজনীয় জিনিস তাঁদের বাসস্থান মানে বেগিচ টাওয়ারেই পেয়ে যান তাঁরা। তাই এখান থেকে বাইরে কোথাও যাওয়ার খুব বেশি প্রয়োজন নেই তাঁদের।
২০২১ সালে জেনেসা আলাস্কার হুইটারে এক দালানের নিচে তাঁদের জীবনের নানা বিষয় নিয়ে পোস্ট করা শুরু করেন টুইটারে। দ্রুতই তাঁর ভিডিওগুলোর ভিউ বাড়তে থাকে। ব্যাস, এর মাধ্যমেই হঠাৎ পৃথিবীর মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়ে যায় এক দালানের ছোট্ট শহরটি।
শহরটিতে একটি বিদ্যালয়ও আছে। এটি বেগিচ টাওয়ারের সঙ্গে সংযুক্ত একটি সুড়ঙ্গের মাধ্যমে। সেখানে মোটামুটি ৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী জনা পঞ্চাশেক ছাত্র-ছাত্রী আছে। লিন্ডসের এর্ক নামের এক নারী দক্ষিণ ডাকোটা থেকে এখানে এসেছেন ছোট্ট শহরের একমাত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করাতে। তাঁকে সাহায্য করেন ভিক্টর শেন। স্নাতক করা ভিক্টরের জন্ম ও বেড়ে ওঠা হুইটারে। ফিরে এসেছেন, কারণ এটাই তাঁর বাড়ি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারি ব্যুরোর দেওয়া তথ্যে শহরটির আয়তন ১৯.৭ বর্গমাইল বা ৫১ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে ৩২ বর্গকিলোমিটার ডাঙ্গা আর ১৯ বর্গ কিলোমিটার জলভাগ।
হুইটার পরিচালনায় মেয়রকে সহায়তা করেন ছয়জন কাউন্সিল সদস্য। এই সদস্যরাই ফি বছর মেয়র নির্বাচিত করেন। ১৯৭৪ সালে হুইটার পুলিশ বিভাগ গঠিত হয়। তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। তবে গরমের মৌসুমে যখন শহরে পর্যটকের আগমন ঘটে, তখন অস্থায়ীভাবে কিছু স্থানীয় অধিবাসীকে নিয়োগ দেওয়া হয় ওই তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাহায্য করতে। বেগিচ টাওয়ারের দোতলায় অবস্থিত পুলিশ স্টেশনটিতে কাউকে আটকে রাখা বা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোনো কামরা নেই। অবশ্য এখানে সেরকম কোনো বড় ঝামেলা সাধারণত পাকায়ও না।
কানাডার আশ্চর্য এই শহরের গল্প শুনে সেখানে যেতে ইচ্ছা করছে? কোনো সমস্যা নেই। বেগিচ টাওয়ারে পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও আছে। মুফতে পর্যটকেরা কাছের চুগাচ জাতীয় উদ্যান ও হিমবাহের সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগও পেয়ে যান।
সিবিসি নিউজ, নিউজ. কম. এইউ, উইকিপিডিয়া

একবার ভাবুন তো, আপনার বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে শহরের পরিচিত প্রায় সবাইকে এক ছাদের নিচে পেয়ে গেলে কেমন হবে? এমনকি ডাকঘর, মুদি দোকান আর পুলিশ স্টেশনে পৌঁছে যেতে পারবেন লিফটে চড়লেই। অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনাটি সত্যি যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার হুইটারের বেলায়। শহরের প্রায় ৩০০ বাসিন্দার শতকরা ৮৫ শতাংশের বাস ১৪ তলা একটি দালানে।
আলাস্কার শীতল ওই শহর হুইটারের বিখ্যাত ওই দালানের নাম বেগিচ টাওয়ার। ১৯৫০-এর দশকে এটি ছিল একটি সেনা ব্যারাক। চৌদ্দতলা দালানটিতে ১৫০টি দুই ও তিন কামরার অ্যাপার্টমেন্ট আছে। এ ছাড়া আছে ডরমিটরি। বেগিচ টাওয়ার ছাড়াও অবশ্য শহরে অল্প কয়েকটা দালান আছে। সেখানে কিছু মানুষও বাস করে। তবে সংখ্যাটা একেবারেই কম।

পাহাড়মাঝের শহর হুইটারে স্থলপথে পৌঁছাতে পরবেন কেবল চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি সুড়ঙ্গের মাধ্যমে। সেটির দুয়ার আবার বন্ধ হয়ে যায় রাত ১০টার দিকে। অর্থাৎ সকাল হওয়ার আগ পর্যন্ত শহরে প্রবেশ বা শহর থেকে বের হতে পারবেন না বড় কোনো বিপদ ছাড়া। ট্রেন কিংবা গাড়িতে যেভাবেই আসতে চান না কেন, শহরে প্রবেশ করতে হবে ওই সুড়ঙ্গ দিয়েই। অবশ্য আশপাশের বসতিগুলো থেকে ইঞ্জিনের নৌকা বা ট্রলারে চেপেও পৌঁছা যায় শহরটিতে।
প্রিন্স উইলিয়াম প্রণালির ‘প্যাসেজ কেনেলে’র তীরে অবস্থিত শহরটি। প্রমোদতরী ও বড় জাহাজগুলো ভেড়ার জন্য এখানে একটি পোতাশ্রয় আছে। হুইটার থেকে প্রমোদতরীতে চেপে পর্যটকেরা ঘুরতে পারেন আশপাশের এলাকায়।
শহরের পুলিশ স্টেশনটি ওই দালানেই—এটি তো আগেই জেনেছেন, এখন জানবেন বেগিচ টাওয়ারেই পাবেন একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, লন্ড্রিও। বেগিচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছিল সামরিক ঘাঁটি হিসেবেই। তখন এর বন্দরটি ব্যবহার করা হতো আলাস্কা রাজ্যের নানা জিনিসপত্র আনা-নেওয়া করতে।
গরমের দিনে জায়গাটিতে অনেক পর্যটকই আসেন। তবে শীতের সময় বরফে ছেয়ে যায় গোটা শহর। সেই সঙ্গে থাকে ঝোড়ো, শীতল হাওয়া। কাজেই বাইরে থেকে লোকজন আসা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। শহরের বাসিন্দারাও বের হতে পারেন কম। বছরের মোটামুটি ছয় মাসই বরফ পড়ে এই শহরে। বাকি ছয় মাস আবার নিয়মিত পাবেন বৃষ্টির দেখা।
খুব বেশি নিঃসঙ্গ বোধ করলে হুইটারের বাসিন্দারা মেইনার্ড পর্বতের সুড়ঙ্গ ধরে যেতে পারেন সবচেয়ে কাছের শহর অঙ্কোরেজে। শহরটি থেকে হুইটারের দূরত্ব প্রায় ৬০ মাইল। তবে ছুটির দিন ছাড়া সাধারণত হুইটারের বাসিন্দারা সেখানে যাওয়ার সুযোগ পান কমই।
শহরের বাসিন্দাদের বড় একটি অংশের কাজ বরফ পরিষ্কার, দালানটির দেখভাল করা কিংবা শহরের প্রশাসনিক কাজ সম্পাদন। তবে বাণিজ্যিকভাবে মাছ আহরণ করা হয় এই এলাকা থেকে। তাই কিছু মৎস্যজীবীরও দেখা পাবেন এখানে। তেমনি গরমের মৌসুমে আসেন শৌখিন মৎস্যশিকারিরা।
‘লোকজন শহরটাকে অদ্ভুত ভাবেন।’ বলেন এর বাসিন্দা অ্যান। ‘ঠিক, আলাস্কার সবচেয়ে অদ্ভুত শহর হিসেবেই এটি পরিচিত।’ একমত তাঁর স্বামী ও হুইটারের মেয়র ডেভ ডেকেসন।
ডেভ, অ্যানা ও তাঁদের ১৮ বছরের মেয়ে জেনেসা বলেন, বেশির ভাগ প্রয়োজনীয় জিনিস তাঁদের বাসস্থান মানে বেগিচ টাওয়ারেই পেয়ে যান তাঁরা। তাই এখান থেকে বাইরে কোথাও যাওয়ার খুব বেশি প্রয়োজন নেই তাঁদের।
২০২১ সালে জেনেসা আলাস্কার হুইটারে এক দালানের নিচে তাঁদের জীবনের নানা বিষয় নিয়ে পোস্ট করা শুরু করেন টুইটারে। দ্রুতই তাঁর ভিডিওগুলোর ভিউ বাড়তে থাকে। ব্যাস, এর মাধ্যমেই হঠাৎ পৃথিবীর মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়ে যায় এক দালানের ছোট্ট শহরটি।
শহরটিতে একটি বিদ্যালয়ও আছে। এটি বেগিচ টাওয়ারের সঙ্গে সংযুক্ত একটি সুড়ঙ্গের মাধ্যমে। সেখানে মোটামুটি ৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী জনা পঞ্চাশেক ছাত্র-ছাত্রী আছে। লিন্ডসের এর্ক নামের এক নারী দক্ষিণ ডাকোটা থেকে এখানে এসেছেন ছোট্ট শহরের একমাত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করাতে। তাঁকে সাহায্য করেন ভিক্টর শেন। স্নাতক করা ভিক্টরের জন্ম ও বেড়ে ওঠা হুইটারে। ফিরে এসেছেন, কারণ এটাই তাঁর বাড়ি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারি ব্যুরোর দেওয়া তথ্যে শহরটির আয়তন ১৯.৭ বর্গমাইল বা ৫১ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে ৩২ বর্গকিলোমিটার ডাঙ্গা আর ১৯ বর্গ কিলোমিটার জলভাগ।
হুইটার পরিচালনায় মেয়রকে সহায়তা করেন ছয়জন কাউন্সিল সদস্য। এই সদস্যরাই ফি বছর মেয়র নির্বাচিত করেন। ১৯৭৪ সালে হুইটার পুলিশ বিভাগ গঠিত হয়। তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। তবে গরমের মৌসুমে যখন শহরে পর্যটকের আগমন ঘটে, তখন অস্থায়ীভাবে কিছু স্থানীয় অধিবাসীকে নিয়োগ দেওয়া হয় ওই তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাহায্য করতে। বেগিচ টাওয়ারের দোতলায় অবস্থিত পুলিশ স্টেশনটিতে কাউকে আটকে রাখা বা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোনো কামরা নেই। অবশ্য এখানে সেরকম কোনো বড় ঝামেলা সাধারণত পাকায়ও না।
কানাডার আশ্চর্য এই শহরের গল্প শুনে সেখানে যেতে ইচ্ছা করছে? কোনো সমস্যা নেই। বেগিচ টাওয়ারে পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও আছে। মুফতে পর্যটকেরা কাছের চুগাচ জাতীয় উদ্যান ও হিমবাহের সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগও পেয়ে যান।
সিবিসি নিউজ, নিউজ. কম. এইউ, উইকিপিডিয়া

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
৬ ঘণ্টা আগে
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
৩ দিন আগে
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
৪ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

একবার ভাবুন তো, আপনার বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে শহরের পরিচিত প্রায় সবাইকে এক ছাদের নিচে পেয়ে গেলে কেমন হবে? এমনকি ডাকঘর, মুদি দোকান আর পুলিশ স্টেশনে পৌঁছে যেতে পারবেন লিফটে চড়লেই। অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনাটি সত্যি যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার হুইটারের বেলায়। শহরের প্রায় ৩০০ বাসিন্দার শতকরা ৮৫ শতাংশের বাস ১৪ ত
২২ জানুয়ারি ২০২৩
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
৩ দিন আগে
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
৪ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন। এমন আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ব ১৬ বছর বয়সী এই কিশোর বুঝে উঠতে পারছে না, কী তার ভুল। পুলিশের নির্দেশ মানার পর হাতে পড়ল হাতকড়া।
টাকি অ্যালেনকে কিশোর বয়সে এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা দিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। অ্যালেনের হাতে থাকা চিপসকে বন্দুক হিসেবে শনাক্ত করেছে এক এআই সিস্টেম!
স্থানীয় গণমাধ্যম ডব্লিউএমএআর-২ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টাকি অ্যালেন বলে, ‘হঠাৎ দেখি প্রায় আটটা পুলিশ কার এসে গেল। তারপর সবাই বন্দুক তাক করে আমাকে মাটিতে শুতে বলছে।’
অ্যালেন বলতে থাকে, ‘ফুটবল অনুশীলনের পর এক প্যাকেট ডোরিটোস চিপস খেয়ে খালি প্যাকেটটি পকেটে রেখে দিই। এর ২০ মিনিট পরই এই ঘটনা। একজন অফিসার আমাকে হাঁটু গেড়ে বসতে বলেন, তারপর আমাকে আটক করে হাতকড়া পরান।
তবে বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ বিবিসি নিউজের কাছে দাবি করে, অ্যালেনকে হাতকড়া পরানো হয়েছিল, গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, কোনো হুমকি নেই নিশ্চিত হওয়ার পর বিষয়টি নিরাপদে সমাধান করা হয়।
এই ঘটনার পর থেকে ফুটবল অনুশীলন শেষে স্কুলের ভেতরে চলে যায় অ্যালেন। সে জানায়, বাইরে যাওয়া নিরাপদ নয়, বিশেষ করে চিপস খাওয়া বা কিছু পান করা।
বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ জানায়, সেই মুহূর্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যথোপযুক্ত ও আনুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাদের কর্মকর্তারা।
বিভাগটি আরও জানায়, এআই সতর্কবার্তাটি মানব পর্যালোচকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা এতে কোনো হুমকি পাননি। এই বার্তা স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে পাঠানো হলেও তিনি এ তথ্যটি দেখেননি এবং স্কুলের নিরাপত্তা টিমকে জানান। তারা পুলিশকে ডাকে।
অভিভাবকদের উদ্দেশে এক চিঠিতে স্কুলের প্রিন্সিপাল কেট স্মিথ বলেন, স্কুলের নিরাপত্তা দল দ্রুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এবং কোনো অস্ত্র না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রাথমিক সতর্কতা বাতিল করে।
তিনি আরও জানান, ‘আমাদের স্কুল রিসোর্স অফিসারকে (এসআরও) বিষয়টি জানানো হলে তিনি অতিরিক্ত সহায়তার জন্য স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা স্কুলে এসে ওই শিক্ষার্থীকে তল্লাশি করেন এবং দ্রুত নিশ্চিত হন যে তার কাছে কোনো অস্ত্র নেই।’
এআই টুল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওমনিলার্ট এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা বিবিসি নিউজকে জানায়, ‘ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের উদ্বেগ জানাতে চাই।’
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের সিস্টেম প্রথমে এমন কিছু শনাক্ত করে যা দেখতে আগ্নেয়াস্ত্রের মতো লাগছিল। ছবিটি পরে তাদের পর্যালোচনা দল যাচাই করে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই তথ্য ও ছবি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুলের নিরাপত্তা দলের কাছে মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হয়।
নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, তাদের সিস্টেমে ‘সমাধান হয়েছে’ বলে চিহ্নিত হওয়ার পরই এ বিষয়ে তাদের সম্পৃক্ততা শেষ হয়। তাদের সিস্টেম ‘যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, সেভাবেই কাজ করেছে।’
অ্যালেন মন্তব্য করেছে, ‘আমার মনে হয় না কোনো চিপসের প্যাকেটকে কখনো বন্দুক হিসেবে ভুল ধরা উচিত।’
এই ঘটনায় স্কুলগুলোতে এমন প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছে অনেকে। স্থানীয় রাজনীতিবিদেরা ঘটনাটি নিয়ে আরও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বাল্টিমোর কাউন্টির স্থানীয় কাউন্সিলর ইজি পাকোটা ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি তাদের এআই-চালিত অস্ত্র শনাক্তকরণ ব্যবস্থার প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করতে।’

চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন। এমন আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ব ১৬ বছর বয়সী এই কিশোর বুঝে উঠতে পারছে না, কী তার ভুল। পুলিশের নির্দেশ মানার পর হাতে পড়ল হাতকড়া।
টাকি অ্যালেনকে কিশোর বয়সে এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা দিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। অ্যালেনের হাতে থাকা চিপসকে বন্দুক হিসেবে শনাক্ত করেছে এক এআই সিস্টেম!
স্থানীয় গণমাধ্যম ডব্লিউএমএআর-২ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টাকি অ্যালেন বলে, ‘হঠাৎ দেখি প্রায় আটটা পুলিশ কার এসে গেল। তারপর সবাই বন্দুক তাক করে আমাকে মাটিতে শুতে বলছে।’
অ্যালেন বলতে থাকে, ‘ফুটবল অনুশীলনের পর এক প্যাকেট ডোরিটোস চিপস খেয়ে খালি প্যাকেটটি পকেটে রেখে দিই। এর ২০ মিনিট পরই এই ঘটনা। একজন অফিসার আমাকে হাঁটু গেড়ে বসতে বলেন, তারপর আমাকে আটক করে হাতকড়া পরান।
তবে বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ বিবিসি নিউজের কাছে দাবি করে, অ্যালেনকে হাতকড়া পরানো হয়েছিল, গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, কোনো হুমকি নেই নিশ্চিত হওয়ার পর বিষয়টি নিরাপদে সমাধান করা হয়।
এই ঘটনার পর থেকে ফুটবল অনুশীলন শেষে স্কুলের ভেতরে চলে যায় অ্যালেন। সে জানায়, বাইরে যাওয়া নিরাপদ নয়, বিশেষ করে চিপস খাওয়া বা কিছু পান করা।
বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ জানায়, সেই মুহূর্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যথোপযুক্ত ও আনুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাদের কর্মকর্তারা।
বিভাগটি আরও জানায়, এআই সতর্কবার্তাটি মানব পর্যালোচকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা এতে কোনো হুমকি পাননি। এই বার্তা স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে পাঠানো হলেও তিনি এ তথ্যটি দেখেননি এবং স্কুলের নিরাপত্তা টিমকে জানান। তারা পুলিশকে ডাকে।
অভিভাবকদের উদ্দেশে এক চিঠিতে স্কুলের প্রিন্সিপাল কেট স্মিথ বলেন, স্কুলের নিরাপত্তা দল দ্রুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এবং কোনো অস্ত্র না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রাথমিক সতর্কতা বাতিল করে।
তিনি আরও জানান, ‘আমাদের স্কুল রিসোর্স অফিসারকে (এসআরও) বিষয়টি জানানো হলে তিনি অতিরিক্ত সহায়তার জন্য স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা স্কুলে এসে ওই শিক্ষার্থীকে তল্লাশি করেন এবং দ্রুত নিশ্চিত হন যে তার কাছে কোনো অস্ত্র নেই।’
এআই টুল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওমনিলার্ট এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা বিবিসি নিউজকে জানায়, ‘ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের উদ্বেগ জানাতে চাই।’
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের সিস্টেম প্রথমে এমন কিছু শনাক্ত করে যা দেখতে আগ্নেয়াস্ত্রের মতো লাগছিল। ছবিটি পরে তাদের পর্যালোচনা দল যাচাই করে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই তথ্য ও ছবি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুলের নিরাপত্তা দলের কাছে মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হয়।
নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, তাদের সিস্টেমে ‘সমাধান হয়েছে’ বলে চিহ্নিত হওয়ার পরই এ বিষয়ে তাদের সম্পৃক্ততা শেষ হয়। তাদের সিস্টেম ‘যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, সেভাবেই কাজ করেছে।’
অ্যালেন মন্তব্য করেছে, ‘আমার মনে হয় না কোনো চিপসের প্যাকেটকে কখনো বন্দুক হিসেবে ভুল ধরা উচিত।’
এই ঘটনায় স্কুলগুলোতে এমন প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছে অনেকে। স্থানীয় রাজনীতিবিদেরা ঘটনাটি নিয়ে আরও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বাল্টিমোর কাউন্টির স্থানীয় কাউন্সিলর ইজি পাকোটা ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি তাদের এআই-চালিত অস্ত্র শনাক্তকরণ ব্যবস্থার প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করতে।’

একবার ভাবুন তো, আপনার বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে শহরের পরিচিত প্রায় সবাইকে এক ছাদের নিচে পেয়ে গেলে কেমন হবে? এমনকি ডাকঘর, মুদি দোকান আর পুলিশ স্টেশনে পৌঁছে যেতে পারবেন লিফটে চড়লেই। অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনাটি সত্যি যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার হুইটারের বেলায়। শহরের প্রায় ৩০০ বাসিন্দার শতকরা ৮৫ শতাংশের বাস ১৪ ত
২২ জানুয়ারি ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
৬ ঘণ্টা আগে
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
৪ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান গেয়ে হাস্যরসাত্মক বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
গত সপ্তাহের রোববার সকালে ল্যুভর মিউজিয়াম খোলার পরই চোরেরা একটি ট্রাক মিউজিয়ামের অ্যাপোলো গ্যালারির নিচে থামায়। এই ট্রাকে লাগানো ছিল বোকার কোম্পানির তৈরি একটি ভাঁজযোগ্য মই। দিনের আলোয় তারা সেই মই বেয়ে ওপরে উঠে যায়, জানালা কেটে ভেতরে ঢোকে এবং ডিসপ্লে কেস ভেঙে গয়না চুরি করে।
পুরো অপারেশনটি শেষ করতে চোরদের সময় লেগেছিল মাত্র সাত মিনিট। চুরি হওয়া অলংকারগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দেওয়া একটি পান্না ও হীরার নেকলেস এবং সম্রাজ্ঞী ইউজিনির মুকুট। এই মুকুটে প্রায় ২ হাজার হীরা খচিত।
জার্মানির ডর্টমুন্ডের কাছে অবস্থিত লিফটিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি বোকারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলেক্সান্ডার বোক এবং তাঁর স্ত্রী রোববার খবরটি দেখার সময়ই ব্যবহৃত মইটি চিনতে পারেন।
সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলেক্সান্ডার বোক জানান, তাঁর স্ত্রী, যিনি কোম্পানির বিপণন প্রধানও, তিনিই প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘যখন পরিষ্কার হলো যে চুরির ঘটনায় কেউ আহত হয়নি, তখন আমরা বিষয়টিকে একটু হালকা চালে নিই।’
আলেক্সান্ডার স্বীকার করেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ! সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সর্বাধিক পরিদর্শন করা জাদুঘরটির খ্যাতি কাজে লাগিয়ে আমাদের কোম্পানির জন্য কিছুটা দৃষ্টি আকর্ষণ করার এ-ই সুযোগ।’ তবে তিনি এ-ও স্পষ্ট করেন, ‘এই অপরাধ অবশ্যই নিন্দনীয়, এটা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
এই সুযোগে বোকার দ্রুতই একটি প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ল্যুভরের বাইরে লাগানো সেই মইয়ের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছে: ‘যখন আপনার দ্রুত ফেরার তাড়া থাকে!’
বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তাদের তৈরি ‘Agilo’ নামের ডিভাইসটি ২৩০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক মোটর এবং ‘ফিসফিসানির মতো শান্ত’ শব্দের ইঞ্জিনের সাহায্যে ৪০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত মালপত্র বহন করতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চোরেরা মইটির ডেমোনস্ট্রেশন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল এবং প্রদর্শনের সময়ই এটি তারা চুরি করে নিয়ে যায়। তারা গাড়ির লাইসেন্স প্লেট ও গ্রাহকের লেবেলিং পর্যন্ত সরিয়ে ফেলেছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোকারের পোস্টগুলো সাধারণত ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার বার দেখা হয়। তবে এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে ৪৩ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে। যদিও প্রচারণার প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকে এটিকে ‘স্মার্ট’ ও মজার বলে অভিহিত করেছেন, আবার অনেকে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আলেক্সান্ডার বোক বলেন, তিনি জানেন এটি ‘খুবই সূক্ষ্ম ভেদরেখা’, কিন্তু কেউ আহত না হওয়ায় তাঁরা এই পথে এগিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই প্রচারণার অর্থ অপরাধকে সমর্থন করা নয়।
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা নিঃসন্দেহে সিরিয়াস কোম্পানি। জার্মানিতে আমাদের ৬২০ জন কর্মচারী আছে। সবকিছু জার্মানিতেই তৈরি হয়। আমরা নিরাপত্তার পক্ষে।’

প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান গেয়ে হাস্যরসাত্মক বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
গত সপ্তাহের রোববার সকালে ল্যুভর মিউজিয়াম খোলার পরই চোরেরা একটি ট্রাক মিউজিয়ামের অ্যাপোলো গ্যালারির নিচে থামায়। এই ট্রাকে লাগানো ছিল বোকার কোম্পানির তৈরি একটি ভাঁজযোগ্য মই। দিনের আলোয় তারা সেই মই বেয়ে ওপরে উঠে যায়, জানালা কেটে ভেতরে ঢোকে এবং ডিসপ্লে কেস ভেঙে গয়না চুরি করে।
পুরো অপারেশনটি শেষ করতে চোরদের সময় লেগেছিল মাত্র সাত মিনিট। চুরি হওয়া অলংকারগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দেওয়া একটি পান্না ও হীরার নেকলেস এবং সম্রাজ্ঞী ইউজিনির মুকুট। এই মুকুটে প্রায় ২ হাজার হীরা খচিত।
জার্মানির ডর্টমুন্ডের কাছে অবস্থিত লিফটিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি বোকারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলেক্সান্ডার বোক এবং তাঁর স্ত্রী রোববার খবরটি দেখার সময়ই ব্যবহৃত মইটি চিনতে পারেন।
সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলেক্সান্ডার বোক জানান, তাঁর স্ত্রী, যিনি কোম্পানির বিপণন প্রধানও, তিনিই প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘যখন পরিষ্কার হলো যে চুরির ঘটনায় কেউ আহত হয়নি, তখন আমরা বিষয়টিকে একটু হালকা চালে নিই।’
আলেক্সান্ডার স্বীকার করেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ! সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সর্বাধিক পরিদর্শন করা জাদুঘরটির খ্যাতি কাজে লাগিয়ে আমাদের কোম্পানির জন্য কিছুটা দৃষ্টি আকর্ষণ করার এ-ই সুযোগ।’ তবে তিনি এ-ও স্পষ্ট করেন, ‘এই অপরাধ অবশ্যই নিন্দনীয়, এটা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
এই সুযোগে বোকার দ্রুতই একটি প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ল্যুভরের বাইরে লাগানো সেই মইয়ের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছে: ‘যখন আপনার দ্রুত ফেরার তাড়া থাকে!’
বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তাদের তৈরি ‘Agilo’ নামের ডিভাইসটি ২৩০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক মোটর এবং ‘ফিসফিসানির মতো শান্ত’ শব্দের ইঞ্জিনের সাহায্যে ৪০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত মালপত্র বহন করতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চোরেরা মইটির ডেমোনস্ট্রেশন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল এবং প্রদর্শনের সময়ই এটি তারা চুরি করে নিয়ে যায়। তারা গাড়ির লাইসেন্স প্লেট ও গ্রাহকের লেবেলিং পর্যন্ত সরিয়ে ফেলেছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোকারের পোস্টগুলো সাধারণত ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার বার দেখা হয়। তবে এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে ৪৩ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে। যদিও প্রচারণার প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকে এটিকে ‘স্মার্ট’ ও মজার বলে অভিহিত করেছেন, আবার অনেকে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আলেক্সান্ডার বোক বলেন, তিনি জানেন এটি ‘খুবই সূক্ষ্ম ভেদরেখা’, কিন্তু কেউ আহত না হওয়ায় তাঁরা এই পথে এগিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই প্রচারণার অর্থ অপরাধকে সমর্থন করা নয়।
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা নিঃসন্দেহে সিরিয়াস কোম্পানি। জার্মানিতে আমাদের ৬২০ জন কর্মচারী আছে। সবকিছু জার্মানিতেই তৈরি হয়। আমরা নিরাপত্তার পক্ষে।’

একবার ভাবুন তো, আপনার বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে শহরের পরিচিত প্রায় সবাইকে এক ছাদের নিচে পেয়ে গেলে কেমন হবে? এমনকি ডাকঘর, মুদি দোকান আর পুলিশ স্টেশনে পৌঁছে যেতে পারবেন লিফটে চড়লেই। অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনাটি সত্যি যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার হুইটারের বেলায়। শহরের প্রায় ৩০০ বাসিন্দার শতকরা ৮৫ শতাংশের বাস ১৪ ত
২২ জানুয়ারি ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
৬ ঘণ্টা আগে
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
৩ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
এই ঘটনা অনলাইন শপ থেকে কেনা শিশুদের পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিন ধরে পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে কিশোরটিকে নর্থ আইল্যান্ডের টরাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরটি ভর্তির প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি (৫ x ২ মিলিমিটার আকারের) শক্তিশালী নিওডিমিয়াম চুম্বক গিলে ফেলেছিল। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, এই চুম্বকগুলো তার অন্ত্রের ভেতরে চারটি সরলরেখায় জড়ো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, চুম্বকীয় শক্তির কারণে অন্ত্রের বিভিন্ন অংশ একসঙ্গে আটকে যাওয়ায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে টিস্যু মারা যায়।
সার্জনরা দ্রুত অপারেশন করে মৃত টিস্যু অপসারণ করেন এবং আটকে থাকা চুম্বকগুলো বের করে আনেন। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন, কিশোরটির ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের অংশ ক্যাসেম-এর চারটি জায়গায় টিস্যু মারা গিয়েছিল। আট দিন হাসপাতালে থাকার পর শিশুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনের লেখক ড. বিনুরা লেখামালেজ, লুসিন্ডা ডানক্যান-ওয়ার এবং নিকোলা ডেভিস সতর্ক করেছেন, এই ঘটনা কেবল চুম্বক গিলে ফেলার বিপদই নয়, বরং শিশুদের জন্য অনলাইন শপের বিপদকেও তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, এই শক্তিশালী চুম্বকগুলো নিউজিল্যান্ডে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ।
চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, চুম্বক গিলে ফেলার জন্য অস্ত্রোপচার ভবিষ্যতে অন্ত্রে বাধা, পেটে হার্নিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এদিকে, চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট টেমু এই ঘটনা জানার পর দুঃখ প্রকাশ করেছে। একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমরা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছি এবং নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালের লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
টেমু আরও জানায়, তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে চুম্বকগুলো টেমু থেকেই কেনা হয়েছিল কি না। তবে তারা প্রাসঙ্গিক পণ্য তালিকা খতিয়ে দেখছে। অবৈধ পণ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাজারেও টেমু ইতিমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
এই ঘটনা অনলাইন শপ থেকে কেনা শিশুদের পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিন ধরে পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে কিশোরটিকে নর্থ আইল্যান্ডের টরাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরটি ভর্তির প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি (৫ x ২ মিলিমিটার আকারের) শক্তিশালী নিওডিমিয়াম চুম্বক গিলে ফেলেছিল। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, এই চুম্বকগুলো তার অন্ত্রের ভেতরে চারটি সরলরেখায় জড়ো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, চুম্বকীয় শক্তির কারণে অন্ত্রের বিভিন্ন অংশ একসঙ্গে আটকে যাওয়ায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে টিস্যু মারা যায়।
সার্জনরা দ্রুত অপারেশন করে মৃত টিস্যু অপসারণ করেন এবং আটকে থাকা চুম্বকগুলো বের করে আনেন। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন, কিশোরটির ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের অংশ ক্যাসেম-এর চারটি জায়গায় টিস্যু মারা গিয়েছিল। আট দিন হাসপাতালে থাকার পর শিশুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনের লেখক ড. বিনুরা লেখামালেজ, লুসিন্ডা ডানক্যান-ওয়ার এবং নিকোলা ডেভিস সতর্ক করেছেন, এই ঘটনা কেবল চুম্বক গিলে ফেলার বিপদই নয়, বরং শিশুদের জন্য অনলাইন শপের বিপদকেও তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, এই শক্তিশালী চুম্বকগুলো নিউজিল্যান্ডে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ।
চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, চুম্বক গিলে ফেলার জন্য অস্ত্রোপচার ভবিষ্যতে অন্ত্রে বাধা, পেটে হার্নিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এদিকে, চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট টেমু এই ঘটনা জানার পর দুঃখ প্রকাশ করেছে। একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমরা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছি এবং নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালের লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
টেমু আরও জানায়, তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে চুম্বকগুলো টেমু থেকেই কেনা হয়েছিল কি না। তবে তারা প্রাসঙ্গিক পণ্য তালিকা খতিয়ে দেখছে। অবৈধ পণ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাজারেও টেমু ইতিমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

একবার ভাবুন তো, আপনার বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে শহরের পরিচিত প্রায় সবাইকে এক ছাদের নিচে পেয়ে গেলে কেমন হবে? এমনকি ডাকঘর, মুদি দোকান আর পুলিশ স্টেশনে পৌঁছে যেতে পারবেন লিফটে চড়লেই। অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনাটি সত্যি যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার হুইটারের বেলায়। শহরের প্রায় ৩০০ বাসিন্দার শতকরা ৮৫ শতাংশের বাস ১৪ ত
২২ জানুয়ারি ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
৬ ঘণ্টা আগে
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
৩ দিন আগে
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
৪ দিন আগে