
দূর থেকে হঠাৎ দেখলে চোখ কয়েকবার কচলেও নিতে পারেন, ভুল দেখেছেন ভেবে। তবে একটু ভালোভাবে খেয়াল করলেই বুঝবেন কল্পকথার কোনো মুরগি-দানো হাজির হয়নি। এটি মুরগির আকারের বিশাল এক কাঠামো। ফিলিপাইনের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত এই দালানটি আসলে একটি হোটেল। কাজেই চাইলে মুরগির ভেতরে থাকতেও পারবেন।
ফিলিপাইনের নেগ্রোস অক্সিডেন্টাল দ্বীপের পাহাড়ি এলাকায় পাবেন হোটেলটিকে। ক্যাম্পুয়েস্টোহান হাইল্যান্ড রিসোর্টে অবস্থিত এই ভবনটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুরগি আকৃতির ভবন হিসেবে।
এই ছয় তলা ভবনটির উচ্চতা প্রায় ৩৫ মিটার (১১৪ ফুটেরও বেশি)। ভেতরে আছে ১৫টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ। তবে মজার বিষয় হলো, এর কোনো কক্ষেই জানালা নেই। মুরগির পালকের নকশা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই জানালা শূন্য রাখা হয়েছে হোটেলটিকে।
হোটেলটির নির্মাতা রিকার্ডো কানো গুয়াপো তান, যিনি নেগ্রোস অক্সিডেন্টালের একজন সাবেক রাজনীতিবিদ। বয়স সত্তরের কোঠায়, কিন্তু মন এখনো শিশুর মতো। তিনি বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল এমন কিছু তৈরি করা যা মানুষকে অবাক করবে এবং আমার জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে।’
তান এই ভবনটি উৎসর্গ করেছেন ফিলিপাইনের গেম ফাউল বা মোরগ লড়াইয়ের শিল্পকে, যা নেগ্রোস অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত। এখানে মুরগি পালন এবং স্থানীয়ভাবে সবং নামে পরিচিত মোরগ লড়াই বহুদিনের ঐতিহ্য। যদিও এটি বিতর্কিত খেলা, তবুও এটি লক্ষাধিক মানুষের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম। এই এলাকায় গেম ফাইল প্রজনন খামার আছে দুই হাজারের মতো।
ফিলিপাইনের বিভিন্ন মোরগ লড়াইয়ের মাঠে লাখ লাখ পেসো অর্জিত হয়, যেখানে উত্তেজিত দর্শকেরা লড়াইরত মোরগগুলিকে চিৎকার করে উৎসাহিত করে যতক্ষণ না একটি মারা যায়। যদিও পশু অধিকার সংগঠনগুলির প্রতিবাদ রয়েছে।
‘মোরগ লড়াই আমাদের প্রদেশের জন্য বিশাল অর্থনৈতিক গুরুত্ব বহন করে। আমি চাই ফিলিপাইনের এই মুরগি আকৃতির ভবনটি আমাদের গর্বের প্রতীক হয়ে উঠুক।’ বলেন তান।
ছোটবেলার কথা স্মরণ করে তান বলেন, বড়দিনের সময় সকালে মোরগের ডাক পরিবারের জন্য ‘মিসা দে গ্যালো’ বা ‘রোস্টার’স মাস’ নামে পরিচিত ভোরের প্রার্থনায় যোগ দেওয়ার কথা মনে করিয়ে দিত।
রিসোর্টের জায়গাটি ছিল একসময় একটি শান্ত পাহাড়ি এলাকা। তানের স্ত্রী অনিতা, কয়েক দশক আগে কিনেছিলেন। কিন্তু ২০১০ সালে পাঁচ হেক্টর জমি উন্নয়নের পর ক্যাম্পুয়েস্টোহান রিসোর্ট তৈরি করা হয়। যেখানে রয়েছে দুটি বিশাল ওয়েভ পুল, একটি রেস্তোরাঁ, একটি ক্যাফে এবং শত শত ডাইনোসর ও কার্টুন চরিত্রের মূর্তি। পুরো পরিবার নিয়ে আনন্দ করতে চাইলে এটি আদর্শ জায়গা।
এখন নিশ্চয় জানতে চাইবেন এই মুরগি-হোটেলে থাকতে কেমন খরচ গুনতে হবে? ভাড়া খুব বেশি নয়। চারজনের একটি কক্ষের ভাড়া প্রায় ৮০ ডলার বা সাড়ে নয় হাজার টাকা। আর যদি সাতজনের একটি দল নিয়ে আসেন, তবে ভাড়া হবে ১২০ ডলার বা ১৪ হাজার টাকার বেশি।

এই রিসোর্টে যেতে হলে প্রথমে ম্যানিলা বা সেবু থেকে একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে বাচোলড-সিলায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসতে হবে। সেখান থেকে ১৭ মাইল পথ গাড়িতে পাড়ি দিয়ে পৌঁছে যাবেন পাহাড়চূড়ার রিসোর্টে।
তবে ওই হোটেলে রাত কাটাতে চাইলে লম্বা লাইনে পড়তে হবে আপনাকে। শীতের ছুটিতে এই হোটেল এখন পুরোপুরি বুকড। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত এখানে থাকার একটি কামরাও ফাঁকা নেই।
এবার ফিলিপাইনে ঘুরতে গেলে ক্যাম্পুয়েস্টোহান রিসোর্টে একবার ঢুঁ মারতে ভুলবেন না। আর আগে থেকে বুক করে গেলে এখানে থাকার সুযোগও মিলতে পারে। বিশাল এক মুরগির ভেতরে রাত কাটানোর অভিজ্ঞতা যে মোটেই সাধারণ কিছু হবে না বুঝতেই পারছেন।

দূর থেকে হঠাৎ দেখলে চোখ কয়েকবার কচলেও নিতে পারেন, ভুল দেখেছেন ভেবে। তবে একটু ভালোভাবে খেয়াল করলেই বুঝবেন কল্পকথার কোনো মুরগি-দানো হাজির হয়নি। এটি মুরগির আকারের বিশাল এক কাঠামো। ফিলিপাইনের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত এই দালানটি আসলে একটি হোটেল। কাজেই চাইলে মুরগির ভেতরে থাকতেও পারবেন।
ফিলিপাইনের নেগ্রোস অক্সিডেন্টাল দ্বীপের পাহাড়ি এলাকায় পাবেন হোটেলটিকে। ক্যাম্পুয়েস্টোহান হাইল্যান্ড রিসোর্টে অবস্থিত এই ভবনটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুরগি আকৃতির ভবন হিসেবে।
এই ছয় তলা ভবনটির উচ্চতা প্রায় ৩৫ মিটার (১১৪ ফুটেরও বেশি)। ভেতরে আছে ১৫টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ। তবে মজার বিষয় হলো, এর কোনো কক্ষেই জানালা নেই। মুরগির পালকের নকশা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই জানালা শূন্য রাখা হয়েছে হোটেলটিকে।
হোটেলটির নির্মাতা রিকার্ডো কানো গুয়াপো তান, যিনি নেগ্রোস অক্সিডেন্টালের একজন সাবেক রাজনীতিবিদ। বয়স সত্তরের কোঠায়, কিন্তু মন এখনো শিশুর মতো। তিনি বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল এমন কিছু তৈরি করা যা মানুষকে অবাক করবে এবং আমার জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে।’
তান এই ভবনটি উৎসর্গ করেছেন ফিলিপাইনের গেম ফাউল বা মোরগ লড়াইয়ের শিল্পকে, যা নেগ্রোস অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত। এখানে মুরগি পালন এবং স্থানীয়ভাবে সবং নামে পরিচিত মোরগ লড়াই বহুদিনের ঐতিহ্য। যদিও এটি বিতর্কিত খেলা, তবুও এটি লক্ষাধিক মানুষের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম। এই এলাকায় গেম ফাইল প্রজনন খামার আছে দুই হাজারের মতো।
ফিলিপাইনের বিভিন্ন মোরগ লড়াইয়ের মাঠে লাখ লাখ পেসো অর্জিত হয়, যেখানে উত্তেজিত দর্শকেরা লড়াইরত মোরগগুলিকে চিৎকার করে উৎসাহিত করে যতক্ষণ না একটি মারা যায়। যদিও পশু অধিকার সংগঠনগুলির প্রতিবাদ রয়েছে।
‘মোরগ লড়াই আমাদের প্রদেশের জন্য বিশাল অর্থনৈতিক গুরুত্ব বহন করে। আমি চাই ফিলিপাইনের এই মুরগি আকৃতির ভবনটি আমাদের গর্বের প্রতীক হয়ে উঠুক।’ বলেন তান।
ছোটবেলার কথা স্মরণ করে তান বলেন, বড়দিনের সময় সকালে মোরগের ডাক পরিবারের জন্য ‘মিসা দে গ্যালো’ বা ‘রোস্টার’স মাস’ নামে পরিচিত ভোরের প্রার্থনায় যোগ দেওয়ার কথা মনে করিয়ে দিত।
রিসোর্টের জায়গাটি ছিল একসময় একটি শান্ত পাহাড়ি এলাকা। তানের স্ত্রী অনিতা, কয়েক দশক আগে কিনেছিলেন। কিন্তু ২০১০ সালে পাঁচ হেক্টর জমি উন্নয়নের পর ক্যাম্পুয়েস্টোহান রিসোর্ট তৈরি করা হয়। যেখানে রয়েছে দুটি বিশাল ওয়েভ পুল, একটি রেস্তোরাঁ, একটি ক্যাফে এবং শত শত ডাইনোসর ও কার্টুন চরিত্রের মূর্তি। পুরো পরিবার নিয়ে আনন্দ করতে চাইলে এটি আদর্শ জায়গা।
এখন নিশ্চয় জানতে চাইবেন এই মুরগি-হোটেলে থাকতে কেমন খরচ গুনতে হবে? ভাড়া খুব বেশি নয়। চারজনের একটি কক্ষের ভাড়া প্রায় ৮০ ডলার বা সাড়ে নয় হাজার টাকা। আর যদি সাতজনের একটি দল নিয়ে আসেন, তবে ভাড়া হবে ১২০ ডলার বা ১৪ হাজার টাকার বেশি।

এই রিসোর্টে যেতে হলে প্রথমে ম্যানিলা বা সেবু থেকে একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে বাচোলড-সিলায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসতে হবে। সেখান থেকে ১৭ মাইল পথ গাড়িতে পাড়ি দিয়ে পৌঁছে যাবেন পাহাড়চূড়ার রিসোর্টে।
তবে ওই হোটেলে রাত কাটাতে চাইলে লম্বা লাইনে পড়তে হবে আপনাকে। শীতের ছুটিতে এই হোটেল এখন পুরোপুরি বুকড। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত এখানে থাকার একটি কামরাও ফাঁকা নেই।
এবার ফিলিপাইনে ঘুরতে গেলে ক্যাম্পুয়েস্টোহান রিসোর্টে একবার ঢুঁ মারতে ভুলবেন না। আর আগে থেকে বুক করে গেলে এখানে থাকার সুযোগও মিলতে পারে। বিশাল এক মুরগির ভেতরে রাত কাটানোর অভিজ্ঞতা যে মোটেই সাধারণ কিছু হবে না বুঝতেই পারছেন।

দূর থেকে হঠাৎ দেখলে চোখ কয়েকবার কচলেও নিতে পারেন, ভুল দেখেছেন ভেবে। তবে একটু ভালোভাবে খেয়াল করলেই বুঝবেন কল্পকথার কোনো মুরগি-দানো হাজির হয়নি। এটি মুরগির আকারের বিশাল এক কাঠামো। ফিলিপাইনের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত এই দালানটি আসলে একটি হোটেল। কাজেই চাইলে মুরগির ভেতরে থাকতেও পারবেন।
ফিলিপাইনের নেগ্রোস অক্সিডেন্টাল দ্বীপের পাহাড়ি এলাকায় পাবেন হোটেলটিকে। ক্যাম্পুয়েস্টোহান হাইল্যান্ড রিসোর্টে অবস্থিত এই ভবনটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুরগি আকৃতির ভবন হিসেবে।
এই ছয় তলা ভবনটির উচ্চতা প্রায় ৩৫ মিটার (১১৪ ফুটেরও বেশি)। ভেতরে আছে ১৫টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ। তবে মজার বিষয় হলো, এর কোনো কক্ষেই জানালা নেই। মুরগির পালকের নকশা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই জানালা শূন্য রাখা হয়েছে হোটেলটিকে।
হোটেলটির নির্মাতা রিকার্ডো কানো গুয়াপো তান, যিনি নেগ্রোস অক্সিডেন্টালের একজন সাবেক রাজনীতিবিদ। বয়স সত্তরের কোঠায়, কিন্তু মন এখনো শিশুর মতো। তিনি বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল এমন কিছু তৈরি করা যা মানুষকে অবাক করবে এবং আমার জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে।’
তান এই ভবনটি উৎসর্গ করেছেন ফিলিপাইনের গেম ফাউল বা মোরগ লড়াইয়ের শিল্পকে, যা নেগ্রোস অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত। এখানে মুরগি পালন এবং স্থানীয়ভাবে সবং নামে পরিচিত মোরগ লড়াই বহুদিনের ঐতিহ্য। যদিও এটি বিতর্কিত খেলা, তবুও এটি লক্ষাধিক মানুষের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম। এই এলাকায় গেম ফাইল প্রজনন খামার আছে দুই হাজারের মতো।
ফিলিপাইনের বিভিন্ন মোরগ লড়াইয়ের মাঠে লাখ লাখ পেসো অর্জিত হয়, যেখানে উত্তেজিত দর্শকেরা লড়াইরত মোরগগুলিকে চিৎকার করে উৎসাহিত করে যতক্ষণ না একটি মারা যায়। যদিও পশু অধিকার সংগঠনগুলির প্রতিবাদ রয়েছে।
‘মোরগ লড়াই আমাদের প্রদেশের জন্য বিশাল অর্থনৈতিক গুরুত্ব বহন করে। আমি চাই ফিলিপাইনের এই মুরগি আকৃতির ভবনটি আমাদের গর্বের প্রতীক হয়ে উঠুক।’ বলেন তান।
ছোটবেলার কথা স্মরণ করে তান বলেন, বড়দিনের সময় সকালে মোরগের ডাক পরিবারের জন্য ‘মিসা দে গ্যালো’ বা ‘রোস্টার’স মাস’ নামে পরিচিত ভোরের প্রার্থনায় যোগ দেওয়ার কথা মনে করিয়ে দিত।
রিসোর্টের জায়গাটি ছিল একসময় একটি শান্ত পাহাড়ি এলাকা। তানের স্ত্রী অনিতা, কয়েক দশক আগে কিনেছিলেন। কিন্তু ২০১০ সালে পাঁচ হেক্টর জমি উন্নয়নের পর ক্যাম্পুয়েস্টোহান রিসোর্ট তৈরি করা হয়। যেখানে রয়েছে দুটি বিশাল ওয়েভ পুল, একটি রেস্তোরাঁ, একটি ক্যাফে এবং শত শত ডাইনোসর ও কার্টুন চরিত্রের মূর্তি। পুরো পরিবার নিয়ে আনন্দ করতে চাইলে এটি আদর্শ জায়গা।
এখন নিশ্চয় জানতে চাইবেন এই মুরগি-হোটেলে থাকতে কেমন খরচ গুনতে হবে? ভাড়া খুব বেশি নয়। চারজনের একটি কক্ষের ভাড়া প্রায় ৮০ ডলার বা সাড়ে নয় হাজার টাকা। আর যদি সাতজনের একটি দল নিয়ে আসেন, তবে ভাড়া হবে ১২০ ডলার বা ১৪ হাজার টাকার বেশি।

এই রিসোর্টে যেতে হলে প্রথমে ম্যানিলা বা সেবু থেকে একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে বাচোলড-সিলায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসতে হবে। সেখান থেকে ১৭ মাইল পথ গাড়িতে পাড়ি দিয়ে পৌঁছে যাবেন পাহাড়চূড়ার রিসোর্টে।
তবে ওই হোটেলে রাত কাটাতে চাইলে লম্বা লাইনে পড়তে হবে আপনাকে। শীতের ছুটিতে এই হোটেল এখন পুরোপুরি বুকড। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত এখানে থাকার একটি কামরাও ফাঁকা নেই।
এবার ফিলিপাইনে ঘুরতে গেলে ক্যাম্পুয়েস্টোহান রিসোর্টে একবার ঢুঁ মারতে ভুলবেন না। আর আগে থেকে বুক করে গেলে এখানে থাকার সুযোগও মিলতে পারে। বিশাল এক মুরগির ভেতরে রাত কাটানোর অভিজ্ঞতা যে মোটেই সাধারণ কিছু হবে না বুঝতেই পারছেন।

দূর থেকে হঠাৎ দেখলে চোখ কয়েকবার কচলেও নিতে পারেন, ভুল দেখেছেন ভেবে। তবে একটু ভালোভাবে খেয়াল করলেই বুঝবেন কল্পকথার কোনো মুরগি-দানো হাজির হয়নি। এটি মুরগির আকারের বিশাল এক কাঠামো। ফিলিপাইনের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত এই দালানটি আসলে একটি হোটেল। কাজেই চাইলে মুরগির ভেতরে থাকতেও পারবেন।
ফিলিপাইনের নেগ্রোস অক্সিডেন্টাল দ্বীপের পাহাড়ি এলাকায় পাবেন হোটেলটিকে। ক্যাম্পুয়েস্টোহান হাইল্যান্ড রিসোর্টে অবস্থিত এই ভবনটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুরগি আকৃতির ভবন হিসেবে।
এই ছয় তলা ভবনটির উচ্চতা প্রায় ৩৫ মিটার (১১৪ ফুটেরও বেশি)। ভেতরে আছে ১৫টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ। তবে মজার বিষয় হলো, এর কোনো কক্ষেই জানালা নেই। মুরগির পালকের নকশা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই জানালা শূন্য রাখা হয়েছে হোটেলটিকে।
হোটেলটির নির্মাতা রিকার্ডো কানো গুয়াপো তান, যিনি নেগ্রোস অক্সিডেন্টালের একজন সাবেক রাজনীতিবিদ। বয়স সত্তরের কোঠায়, কিন্তু মন এখনো শিশুর মতো। তিনি বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল এমন কিছু তৈরি করা যা মানুষকে অবাক করবে এবং আমার জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে।’
তান এই ভবনটি উৎসর্গ করেছেন ফিলিপাইনের গেম ফাউল বা মোরগ লড়াইয়ের শিল্পকে, যা নেগ্রোস অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত। এখানে মুরগি পালন এবং স্থানীয়ভাবে সবং নামে পরিচিত মোরগ লড়াই বহুদিনের ঐতিহ্য। যদিও এটি বিতর্কিত খেলা, তবুও এটি লক্ষাধিক মানুষের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম। এই এলাকায় গেম ফাইল প্রজনন খামার আছে দুই হাজারের মতো।
ফিলিপাইনের বিভিন্ন মোরগ লড়াইয়ের মাঠে লাখ লাখ পেসো অর্জিত হয়, যেখানে উত্তেজিত দর্শকেরা লড়াইরত মোরগগুলিকে চিৎকার করে উৎসাহিত করে যতক্ষণ না একটি মারা যায়। যদিও পশু অধিকার সংগঠনগুলির প্রতিবাদ রয়েছে।
‘মোরগ লড়াই আমাদের প্রদেশের জন্য বিশাল অর্থনৈতিক গুরুত্ব বহন করে। আমি চাই ফিলিপাইনের এই মুরগি আকৃতির ভবনটি আমাদের গর্বের প্রতীক হয়ে উঠুক।’ বলেন তান।
ছোটবেলার কথা স্মরণ করে তান বলেন, বড়দিনের সময় সকালে মোরগের ডাক পরিবারের জন্য ‘মিসা দে গ্যালো’ বা ‘রোস্টার’স মাস’ নামে পরিচিত ভোরের প্রার্থনায় যোগ দেওয়ার কথা মনে করিয়ে দিত।
রিসোর্টের জায়গাটি ছিল একসময় একটি শান্ত পাহাড়ি এলাকা। তানের স্ত্রী অনিতা, কয়েক দশক আগে কিনেছিলেন। কিন্তু ২০১০ সালে পাঁচ হেক্টর জমি উন্নয়নের পর ক্যাম্পুয়েস্টোহান রিসোর্ট তৈরি করা হয়। যেখানে রয়েছে দুটি বিশাল ওয়েভ পুল, একটি রেস্তোরাঁ, একটি ক্যাফে এবং শত শত ডাইনোসর ও কার্টুন চরিত্রের মূর্তি। পুরো পরিবার নিয়ে আনন্দ করতে চাইলে এটি আদর্শ জায়গা।
এখন নিশ্চয় জানতে চাইবেন এই মুরগি-হোটেলে থাকতে কেমন খরচ গুনতে হবে? ভাড়া খুব বেশি নয়। চারজনের একটি কক্ষের ভাড়া প্রায় ৮০ ডলার বা সাড়ে নয় হাজার টাকা। আর যদি সাতজনের একটি দল নিয়ে আসেন, তবে ভাড়া হবে ১২০ ডলার বা ১৪ হাজার টাকার বেশি।

এই রিসোর্টে যেতে হলে প্রথমে ম্যানিলা বা সেবু থেকে একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে বাচোলড-সিলায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসতে হবে। সেখান থেকে ১৭ মাইল পথ গাড়িতে পাড়ি দিয়ে পৌঁছে যাবেন পাহাড়চূড়ার রিসোর্টে।
তবে ওই হোটেলে রাত কাটাতে চাইলে লম্বা লাইনে পড়তে হবে আপনাকে। শীতের ছুটিতে এই হোটেল এখন পুরোপুরি বুকড। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত এখানে থাকার একটি কামরাও ফাঁকা নেই।
এবার ফিলিপাইনে ঘুরতে গেলে ক্যাম্পুয়েস্টোহান রিসোর্টে একবার ঢুঁ মারতে ভুলবেন না। আর আগে থেকে বুক করে গেলে এখানে থাকার সুযোগও মিলতে পারে। বিশাল এক মুরগির ভেতরে রাত কাটানোর অভিজ্ঞতা যে মোটেই সাধারণ কিছু হবে না বুঝতেই পারছেন।

নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
১ মিনিট আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
১ দিন আগে
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
৩ দিন আগে
ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
এই ঘটনা অনলাইন শপ থেকে কেনা শিশুদের পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিন ধরে পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে কিশোরটিকে নর্থ আইল্যান্ডের টরাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরটি ভর্তির প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি (৫ x ২ মিলিমিটার আকারের) শক্তিশালী নিওডিমিয়াম চুম্বক গিলে ফেলেছিল। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, এই চুম্বকগুলো তার অন্ত্রের ভেতরে চারটি সরলরেখায় জড়ো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, চুম্বকীয় শক্তির কারণে অন্ত্রের বিভিন্ন অংশ একসঙ্গে আটকে যাওয়ায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে টিস্যু মারা যায়।
সার্জনরা দ্রুত অপারেশন করে মৃত টিস্যু অপসারণ করেন এবং আটকে থাকা চুম্বকগুলো বের করে আনেন। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন, কিশোরটির ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের অংশ ক্যাসেম-এর চারটি জায়গায় টিস্যু মারা গিয়েছিল। আট দিন হাসপাতালে থাকার পর শিশুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনের লেখক ড. বিনুরা লেখামালেজ, লুসিন্ডা ডানক্যান-ওয়ার এবং নিকোলা ডেভিস সতর্ক করেছেন, এই ঘটনা কেবল চুম্বক গিলে ফেলার বিপদই নয়, বরং শিশুদের জন্য অনলাইন শপের বিপদকেও তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, এই শক্তিশালী চুম্বকগুলো নিউজিল্যান্ডে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ।
চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, চুম্বক গিলে ফেলার জন্য অস্ত্রোপচার ভবিষ্যতে অন্ত্রে বাধা, পেটে হার্নিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এদিকে, চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট টেমু এই ঘটনা জানার পর দুঃখ প্রকাশ করেছে। একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমরা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছি এবং নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালের লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
টেমু আরও জানায়, তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে চুম্বকগুলো টেমু থেকেই কেনা হয়েছিল কি না। তবে তারা প্রাসঙ্গিক পণ্য তালিকা খতিয়ে দেখছে। অবৈধ পণ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাজারেও টেমু ইতিমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
এই ঘটনা অনলাইন শপ থেকে কেনা শিশুদের পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিন ধরে পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে কিশোরটিকে নর্থ আইল্যান্ডের টরাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরটি ভর্তির প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি (৫ x ২ মিলিমিটার আকারের) শক্তিশালী নিওডিমিয়াম চুম্বক গিলে ফেলেছিল। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, এই চুম্বকগুলো তার অন্ত্রের ভেতরে চারটি সরলরেখায় জড়ো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, চুম্বকীয় শক্তির কারণে অন্ত্রের বিভিন্ন অংশ একসঙ্গে আটকে যাওয়ায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে টিস্যু মারা যায়।
সার্জনরা দ্রুত অপারেশন করে মৃত টিস্যু অপসারণ করেন এবং আটকে থাকা চুম্বকগুলো বের করে আনেন। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন, কিশোরটির ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের অংশ ক্যাসেম-এর চারটি জায়গায় টিস্যু মারা গিয়েছিল। আট দিন হাসপাতালে থাকার পর শিশুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনের লেখক ড. বিনুরা লেখামালেজ, লুসিন্ডা ডানক্যান-ওয়ার এবং নিকোলা ডেভিস সতর্ক করেছেন, এই ঘটনা কেবল চুম্বক গিলে ফেলার বিপদই নয়, বরং শিশুদের জন্য অনলাইন শপের বিপদকেও তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, এই শক্তিশালী চুম্বকগুলো নিউজিল্যান্ডে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ।
চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, চুম্বক গিলে ফেলার জন্য অস্ত্রোপচার ভবিষ্যতে অন্ত্রে বাধা, পেটে হার্নিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এদিকে, চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট টেমু এই ঘটনা জানার পর দুঃখ প্রকাশ করেছে। একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমরা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছি এবং নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালের লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
টেমু আরও জানায়, তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে চুম্বকগুলো টেমু থেকেই কেনা হয়েছিল কি না। তবে তারা প্রাসঙ্গিক পণ্য তালিকা খতিয়ে দেখছে। অবৈধ পণ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাজারেও টেমু ইতিমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

দূর থেকে হঠাৎ দেখলে চোখ কয়েকবার কচলেও নিতে পারেন, ভুল দেখেছেন ভেবে। তবে একটু ভালোভাবে খেয়াল করলেই বুঝবেন কল্পকথার কোনো মুরগি-দানো হাজির হয়নি। এটি মুরগির আকারের বিশাল এক কাঠামো। ফিলিপাইনের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত এই দালানটি আসলে একটি হোটেল। কাজেই চাইলে মুরগির ভেতরে থাকতেও পারবেন।
২৭ নভেম্বর ২০২৪
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
১ দিন আগে
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
৩ দিন আগে
ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আপনি কি আপনার স্ত্রীকে ‘মোটু বা গুলুমুলু’ ডাকেন? তাহলে এখনই সাবধান হয়ে যান। কারণ, তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ওই ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের ওই ব্যক্তি তাঁর মোবাইল ফোনের কনট্যাক্টে স্ত্রীর নাম সেভ করেছিলেন ‘চাবি’ নাম দিয়ে। এই ঘটনাকে আদালত ‘অসম্মানজনক’ ও ‘বিবাহের জন্য ক্ষতিকর’ বলে রায় দিয়েছেন।
পশ্চিম তুরস্কের উশাক প্রদেশের ওই নারী এই ঘটনার পর স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। অন্যদিকে স্বামী পাল্টা মামলা করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁদের সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে, তবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
আদালতের শুনানিতে ওই নারী জানান, তাঁর স্বামী বারবার তাঁকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠাতেন। এক বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘দূর হও, তোমাকে আর দেখতে চাই না।’ আরেকটিতে বলেছিলেন, ‘তোমার মুখ শয়তানকে দেখাও গে।’ এ ছাড়া তিনি নিজের বাবার অস্ত্রোপচারের খরচ বাবদ স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা দাবি করেন।
শুনানির সময় আদালতে সবচেয়ে আলোচিত হয় স্বামীর ফোনে স্ত্রীর নাম ‘তোম্বিক—তুর্কি ভাষার এই শব্দের অর্থ মোটা) নামে সংরক্ষিত থাকার বিষয়টি। ওই নারীর দাবি, এই ডাকনাম তাঁকে অপমান করেছে এবং তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে। আদালত তাঁর দাবিকে সমর্থন করে জানায়, ওই নাম ও বার্তাগুলো ‘মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতা’র শামিল।
অন্যদিকে স্বামী দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী অন্য এক পুরুষকে বাড়িতে এনেছিলেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যক্তি কেবল একটি বই পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে কোনো অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ মেলেনি। আদালত রায়ে বলে, স্বামীর অপমানজনক ভাষা ও অর্থনৈতিক চাপ ছিল আরও গুরুতর। তাই মূল দায় তাঁরই।
তুর্কি আইনে কারও মর্যাদা বা ব্যক্তিগত সম্মান আঘাত করে এমন ভাষা বা আচরণের জন্য, সেটা বার্তা মারফত হোক বা সরাসরি, দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। শেষ পর্যন্ত দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা পরকীয়ার অভিযোগ খারিজ করা হয়। স্বামীকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একজন লিখেছেন, ‘মোটু বা গুলুমুলু ডাক আসলে বেশ মিষ্টি শোনায়। মোটা হওয়া কোনো অপরাধ না, আর মোটা বলে ডাকা সব সময় অপমানও নয়।’ আরেকজন বলেছেন, ‘এটা ন্যায্য রায়। স্বামী তাঁর স্ত্রীকে একের পর এক অপমানজনক বার্তা পাঠিয়েছে—সেখানেই সীমা অতিক্রম করেছে।’ তৃতীয় এক ব্যক্তি মজা করে লিখেছেন, ‘আমার বন্ধুদের নম্বরগুলো এখনই যাচাই করব, যেন কোনো আপত্তিকর কিছু না থাকে।’
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। গত মে মাসে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক ব্যক্তি প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন। কারণ, প্রেমিকার ফোনটি তাঁদের প্রথমবার একসঙ্গে যাওয়া এক হোটেলের কামরায় ওয়াইফাইয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয়ে যায়।
এর ফলে ওই পুরুষি মনে করেন, এর মানে ওই নারী আগে অন্য কারও সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে প্রতারণা করেছেন। অপমানিত হয়ে ওউ নারী স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য।

আপনি কি আপনার স্ত্রীকে ‘মোটু বা গুলুমুলু’ ডাকেন? তাহলে এখনই সাবধান হয়ে যান। কারণ, তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ওই ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের ওই ব্যক্তি তাঁর মোবাইল ফোনের কনট্যাক্টে স্ত্রীর নাম সেভ করেছিলেন ‘চাবি’ নাম দিয়ে। এই ঘটনাকে আদালত ‘অসম্মানজনক’ ও ‘বিবাহের জন্য ক্ষতিকর’ বলে রায় দিয়েছেন।
পশ্চিম তুরস্কের উশাক প্রদেশের ওই নারী এই ঘটনার পর স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। অন্যদিকে স্বামী পাল্টা মামলা করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁদের সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে, তবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
আদালতের শুনানিতে ওই নারী জানান, তাঁর স্বামী বারবার তাঁকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠাতেন। এক বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘দূর হও, তোমাকে আর দেখতে চাই না।’ আরেকটিতে বলেছিলেন, ‘তোমার মুখ শয়তানকে দেখাও গে।’ এ ছাড়া তিনি নিজের বাবার অস্ত্রোপচারের খরচ বাবদ স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা দাবি করেন।
শুনানির সময় আদালতে সবচেয়ে আলোচিত হয় স্বামীর ফোনে স্ত্রীর নাম ‘তোম্বিক—তুর্কি ভাষার এই শব্দের অর্থ মোটা) নামে সংরক্ষিত থাকার বিষয়টি। ওই নারীর দাবি, এই ডাকনাম তাঁকে অপমান করেছে এবং তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে। আদালত তাঁর দাবিকে সমর্থন করে জানায়, ওই নাম ও বার্তাগুলো ‘মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতা’র শামিল।
অন্যদিকে স্বামী দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী অন্য এক পুরুষকে বাড়িতে এনেছিলেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যক্তি কেবল একটি বই পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে কোনো অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ মেলেনি। আদালত রায়ে বলে, স্বামীর অপমানজনক ভাষা ও অর্থনৈতিক চাপ ছিল আরও গুরুতর। তাই মূল দায় তাঁরই।
তুর্কি আইনে কারও মর্যাদা বা ব্যক্তিগত সম্মান আঘাত করে এমন ভাষা বা আচরণের জন্য, সেটা বার্তা মারফত হোক বা সরাসরি, দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। শেষ পর্যন্ত দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা পরকীয়ার অভিযোগ খারিজ করা হয়। স্বামীকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একজন লিখেছেন, ‘মোটু বা গুলুমুলু ডাক আসলে বেশ মিষ্টি শোনায়। মোটা হওয়া কোনো অপরাধ না, আর মোটা বলে ডাকা সব সময় অপমানও নয়।’ আরেকজন বলেছেন, ‘এটা ন্যায্য রায়। স্বামী তাঁর স্ত্রীকে একের পর এক অপমানজনক বার্তা পাঠিয়েছে—সেখানেই সীমা অতিক্রম করেছে।’ তৃতীয় এক ব্যক্তি মজা করে লিখেছেন, ‘আমার বন্ধুদের নম্বরগুলো এখনই যাচাই করব, যেন কোনো আপত্তিকর কিছু না থাকে।’
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। গত মে মাসে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক ব্যক্তি প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন। কারণ, প্রেমিকার ফোনটি তাঁদের প্রথমবার একসঙ্গে যাওয়া এক হোটেলের কামরায় ওয়াইফাইয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয়ে যায়।
এর ফলে ওই পুরুষি মনে করেন, এর মানে ওই নারী আগে অন্য কারও সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে প্রতারণা করেছেন। অপমানিত হয়ে ওউ নারী স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য।

দূর থেকে হঠাৎ দেখলে চোখ কয়েকবার কচলেও নিতে পারেন, ভুল দেখেছেন ভেবে। তবে একটু ভালোভাবে খেয়াল করলেই বুঝবেন কল্পকথার কোনো মুরগি-দানো হাজির হয়নি। এটি মুরগির আকারের বিশাল এক কাঠামো। ফিলিপাইনের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত এই দালানটি আসলে একটি হোটেল। কাজেই চাইলে মুরগির ভেতরে থাকতেও পারবেন।
২৭ নভেম্বর ২০২৪
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
১ মিনিট আগে
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
৩ দিন আগে
ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
মঙ্গলবার এনডিটিভি জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল বেশ কিছু দিন আগে ঘটলেও সম্প্রতি প্রকাশিত একটি তদন্ত প্রতিবেদন এই মৃত্যুর ভয়াবহ অবহেলাটিকে সামনে এনেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রিস্টিয়ান একটি রাইডিং মাওয়ার চালানোর সময় পড়ে যায় এবং তখনই তাকে একটি ব্রাউন স্নেক ছোবল দেয়। এটি বিশ্বের অন্যতম মারাত্মক বিষধর সাপ। কামড়ের পর ট্রিস্টিয়ানের বাবা কেরড ফ্রাহাম ও আরও দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কামড়ের দাগ খুঁজলেও স্পষ্ট কিছু না পেয়ে বিষয়টিকে হালকাভাবে নেন। কেরড মনে করেছিলেন, ছেলে হয়তো মদ্যপ ছিল, তাই অসুস্থ দেখাচ্ছে। পরে তিনি ছেলেকে বলেন, ‘ঘুমিয়ে নাও, সকালে ভালো লাগবে।’
কিন্তু পরদিন সকালেই ট্রিস্টিয়ানকে বাড়ির বাইরে একটি স্লিপিং ব্যাগের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তে দেখা যায়, তার ডান গোড়ালিতে দুটি চিহ্ন ছিল, যা সাপের কামড়ের সঙ্গে মিলে যায়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ব্রাউন স্নেকের বিষে তার দেহে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল।
করনারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যদি ট্রিস্টিয়ান সময়মতো চিকিৎসা পেত, তবে তার মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হতো।’
এই ঘটনাটি সাপের কামড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে।
এদিকে কেরড ফ্রাহামের বিরুদ্ধে প্রথমে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হলেও গত বছর সেই মামলা রহস্যজনকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
মঙ্গলবার এনডিটিভি জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল বেশ কিছু দিন আগে ঘটলেও সম্প্রতি প্রকাশিত একটি তদন্ত প্রতিবেদন এই মৃত্যুর ভয়াবহ অবহেলাটিকে সামনে এনেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রিস্টিয়ান একটি রাইডিং মাওয়ার চালানোর সময় পড়ে যায় এবং তখনই তাকে একটি ব্রাউন স্নেক ছোবল দেয়। এটি বিশ্বের অন্যতম মারাত্মক বিষধর সাপ। কামড়ের পর ট্রিস্টিয়ানের বাবা কেরড ফ্রাহাম ও আরও দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কামড়ের দাগ খুঁজলেও স্পষ্ট কিছু না পেয়ে বিষয়টিকে হালকাভাবে নেন। কেরড মনে করেছিলেন, ছেলে হয়তো মদ্যপ ছিল, তাই অসুস্থ দেখাচ্ছে। পরে তিনি ছেলেকে বলেন, ‘ঘুমিয়ে নাও, সকালে ভালো লাগবে।’
কিন্তু পরদিন সকালেই ট্রিস্টিয়ানকে বাড়ির বাইরে একটি স্লিপিং ব্যাগের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তে দেখা যায়, তার ডান গোড়ালিতে দুটি চিহ্ন ছিল, যা সাপের কামড়ের সঙ্গে মিলে যায়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ব্রাউন স্নেকের বিষে তার দেহে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল।
করনারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যদি ট্রিস্টিয়ান সময়মতো চিকিৎসা পেত, তবে তার মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হতো।’
এই ঘটনাটি সাপের কামড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে।
এদিকে কেরড ফ্রাহামের বিরুদ্ধে প্রথমে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হলেও গত বছর সেই মামলা রহস্যজনকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

দূর থেকে হঠাৎ দেখলে চোখ কয়েকবার কচলেও নিতে পারেন, ভুল দেখেছেন ভেবে। তবে একটু ভালোভাবে খেয়াল করলেই বুঝবেন কল্পকথার কোনো মুরগি-দানো হাজির হয়নি। এটি মুরগির আকারের বিশাল এক কাঠামো। ফিলিপাইনের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত এই দালানটি আসলে একটি হোটেল। কাজেই চাইলে মুরগির ভেতরে থাকতেও পারবেন।
২৭ নভেম্বর ২০২৪
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
১ মিনিট আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
১ দিন আগে
ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে বিশ্বাসী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর ওই ব্যক্তি গত সেপ্টেম্বরে একটি বোর্ডিং হাউসে স্ত্রীকে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন। এরপর তিনি পুলিশে অভিযোগ করলেও পরে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য গ্রামের প্রবীণদের কাছে যান। প্রবীণেরা ‘মোওয়া সারাপু’ নামে একটি ঐতিহ্যবাহী মিলন-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিরোধ মেটানোর সিদ্ধান্ত নেন।
‘মোওয়া সারাপু’ রীতিটি তোলাকি সম্প্রদায়ের শতাব্দীপ্রাচীন প্রথা, যার অর্থ ‘ছাড় দেওয়া ও শান্তি স্থাপন করা’। এই রীতির লক্ষ্য প্রতিশোধ নয়, বরং সামাজিক ভারসাম্য ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামের প্রবীণ, উভয় পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। সবার সামনেই ওই নারীর প্রেমিক তাঁর স্বামীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কাপড়, একটি তামার পাত্র এবং ৫০ লাখ রুপিয়া (প্রায় ৩৬ হাজার টাকা) দেন।
গ্রামপ্রধান সফরুদ্দিন জানান, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই দম্পতির বিবাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়। পরে নারীটির স্বামী ও প্রেমিক পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন করেন। এভাবে স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের হাতে সমর্পণ করেন স্বামীটি।
তোলাকি প্রবীণদের মতে, এই রীতি কোনো সম্পর্ককে ছোট করার জন্য নয়, বরং নৈতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতেই এমন প্রথা পালন করা হয়। তবে তাঁরা সতর্ক করে বলেন—কোনো নারী যদি এমন রীতি মেনে আবারও অন্য পুরুষকে বেছে নেয়, তবে তা তাঁর ও পরিবারের জন্য লজ্জার কারণ হবে।

ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে বিশ্বাসী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর ওই ব্যক্তি গত সেপ্টেম্বরে একটি বোর্ডিং হাউসে স্ত্রীকে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন। এরপর তিনি পুলিশে অভিযোগ করলেও পরে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য গ্রামের প্রবীণদের কাছে যান। প্রবীণেরা ‘মোওয়া সারাপু’ নামে একটি ঐতিহ্যবাহী মিলন-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিরোধ মেটানোর সিদ্ধান্ত নেন।
‘মোওয়া সারাপু’ রীতিটি তোলাকি সম্প্রদায়ের শতাব্দীপ্রাচীন প্রথা, যার অর্থ ‘ছাড় দেওয়া ও শান্তি স্থাপন করা’। এই রীতির লক্ষ্য প্রতিশোধ নয়, বরং সামাজিক ভারসাম্য ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামের প্রবীণ, উভয় পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। সবার সামনেই ওই নারীর প্রেমিক তাঁর স্বামীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কাপড়, একটি তামার পাত্র এবং ৫০ লাখ রুপিয়া (প্রায় ৩৬ হাজার টাকা) দেন।
গ্রামপ্রধান সফরুদ্দিন জানান, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই দম্পতির বিবাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়। পরে নারীটির স্বামী ও প্রেমিক পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন করেন। এভাবে স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের হাতে সমর্পণ করেন স্বামীটি।
তোলাকি প্রবীণদের মতে, এই রীতি কোনো সম্পর্ককে ছোট করার জন্য নয়, বরং নৈতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতেই এমন প্রথা পালন করা হয়। তবে তাঁরা সতর্ক করে বলেন—কোনো নারী যদি এমন রীতি মেনে আবারও অন্য পুরুষকে বেছে নেয়, তবে তা তাঁর ও পরিবারের জন্য লজ্জার কারণ হবে।

দূর থেকে হঠাৎ দেখলে চোখ কয়েকবার কচলেও নিতে পারেন, ভুল দেখেছেন ভেবে। তবে একটু ভালোভাবে খেয়াল করলেই বুঝবেন কল্পকথার কোনো মুরগি-দানো হাজির হয়নি। এটি মুরগির আকারের বিশাল এক কাঠামো। ফিলিপাইনের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত এই দালানটি আসলে একটি হোটেল। কাজেই চাইলে মুরগির ভেতরে থাকতেও পারবেন।
২৭ নভেম্বর ২০২৪
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
১ মিনিট আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
১ দিন আগে
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
৩ দিন আগে