Ajker Patrika

বেড়াতে গিয়ে ফুরাল অর্থ, সাজালেন নিজেকে ‘অপহরণের নাটক’

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২: ০২
Thumbnail image

থাইল্যান্ডের পাতায়ায় বেড়াতে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সেখানে গিয়ে অর্থ ফুরিয়ে গেল তাঁর। তবে দেশে না এসে মজা করে আরও কয়েকটা দিন সেখানে কাটানোর জন্য এক ফন্দি আঁটলেন। সঙ্গীদের নিয়ে নিজের অপহরণের নাটক সাজালেন! এমন আশ্চর্য অভিযোগ উঠেছে এক ব্রিটিশ নাগরিকের বিরুদ্ধে। 

ইংল্যান্ডের পোর্টসমাউথের বাসিন্দা ৪৮ বছর বয়স্ক ইয়ান রবি ডে। থাইল্যান্ডের পাতায়ায় বেড়াতে গিয়ে বেশ মজাতেই কাটছিল সময়। কিন্তু অর্থ ফুরিয়ে যাওয়ার পর আরও কিছুটা দিন সেখানে আরাম-আয়েশে কাটানোর ইচ্ছা পেয়ে বসল তাঁকে। ইংল্যান্ডে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আরও অর্থ পাঠাতে বললেন। কিন্তু সেখানে পার্টি করে অর্থ উড়ানোটা মোটেই ভালো চোখে দেখছিল না পরিবার। অতএব সরাসরি না করে দিল। 

পরিস্থিতি এমন দাঁড়াল, হয় তাঁকে ভ্রমণের ইতি টেনে বাড়ি ফিরতে হবে, নতুবা যেভাবে হোক অর্থ জোগাড় করতে হবে। দ্বিতীয়টা করার সিদ্ধান্ত নিলেন। অনেক ভেবেচিন্তে থাইল্যান্ডে আরও কিছুদিন অবসর বিনোদন কাটানোর যে উপায় খুঁজে বের করলেন, তা রীতিমতো পিলে চমকানো। ভ্রমণসঙ্গীদের তাঁকে মারধর করতে এবং মুখোশধারী দুর্বৃত্ত হিসেবে উপস্থিত হতে রাজি করালেন। উদ্দেশ্য, অপহরণের নাটক সাজিয়ে পরিবার থেকে মুক্তিপণ হিসেবে অর্থ আদায় করা। 

লোকটি সম্ভবত একবারও ভাবতে পারেননি, ইন্টারপোল এই অপহরণ মামলায় জড়িত হবে। ফল তা-ই হয়েছিল। আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা দ্রুতই পাতায়ার একটি হোটেলে তাঁর উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। ঘরের দরজা ভেঙে পুলিশের দলটি যখন ভেতরে প্রবেশ করে, তখন তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল একটি চমক। তারা বন্দী, অসহায় এক ব্যক্তির পরিবর্তে পেল প্রচুর মদ খেয়ে টালমাটাল অবস্থায় থাকা একজনকে। আর তাঁর সঙ্গে এই পার্টিতে রয়েছেন সেই ‘অপহরণকারী’রা।

থাইল্যান্ডের পুলিশ কর্মকর্তা সোরসাক সায়েংচা সাংবাদিকদের বলেন ‘তিনি নিজের ওপর আক্রমণের ছবি পাঠিয়েছিলেন। তারপর ক্ষতসহ নিজের এমন ছবি পাঠান, যেন মনে হয় তাঁকে মারধর করা হয়েছে। বন্ধুদের তাঁকে ঘুষি মেরে মুখে দাগ তৈরি করে দিতে রাজি করান। পরে ‘ফেসটাইমে’ নিজের পরিবারকে ভিডিও কল করেন। তাঁর অনুরোধে তিন বন্ধু এমন আচরণ করেছিলেন, যেন তাঁরা তাঁকে জিম্মি করে অপহরণ করেছেন। 

‘যখন পরিবার তাঁকে আর সাহায্য করতে অসম্মতি জানায়, তখন তিনি অপহরণের নাটক সাজান।’ বলেন সায়েংচা, ‘তবে তাঁর পরিবার উদ্বিগ্ন ছিল এবং তারা যুক্তরাজ্যে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বিষয়টি ইন্টারপোলকে জানানো হয়। ইন্টারপোল থাই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং আমরা লোকটিকে খুঁজে বের করেছি। যখন সেখানে পৌঁছালাম তাঁরা একটা পার্টি করছিলেন।’ 

২৬ জানুয়ারি পুলিশ যখন খুঁজে পায়, তখন তিনি আরও তিনজন বিদেশির সঙ্গে মাদক দিয়ে নেশা করছিলেন। অননুমোদিত আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ড্রাগস এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা থাকার অভিযোগে হোটেলের ওই কামরায় থাকা সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, ডেইলি মেইল, দ্যা সান

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত