আয়তাকার কাঠামোটি দেখে যে কারও মনে হবে, এটি মানুষের তৈরি একটি সুইমিংপুল। কিন্তু যদি বলা হয় এতে কোনো মানুষের হাত পড়েনি, প্রাকৃতিকভাবেই এটি এমন, তখন নিশ্চয় চোখ কপালে উঠবে। সত্যিই কি তাই? এটা এমন নিখুঁত আকারই-বা পেল কেমন করে?
আয়ারল্যান্ডের অ্যারন দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বড় দ্বীপ ইনিশ মোর। গ্যালওয়ে বে বা উপসাগরের তীরে অবস্থিত ওই দ্বীপেই দেখা পাবেন আশ্চর্য এই পুলের। তবে এটার আকার এমন যে দেখে মনে হবে বিশাল কোনো যন্ত্র দিয়ে চুনাপাথর কেটে এমন একটি পুল তৈরি করা হয়েছে।
ওয়র্মহোল বা সার্পেন্টস লেয়ার নামে অনেকেই চিনলেও এর প্রকৃত নাম পুল না বিপেইসট। স্থানীয় গেইলিক লোকগাথায় বর্ণনা করা সাগরে বসবাস করা সামুদ্রিক সরীসৃপ পেইসট বা অয়লিফেইস্ট থেকে এসেছে এই নাম। ওয়র্মহোল বা সার্পেন্টস লেয়ার নামে পরিচিতি পাওয়ার কারণও মোটামুটি একই।
এই পুলকে ঘিরে যেসব কিংবদন্তি ডালপালা মেলেছে এর একটি হলো পাহাড়ের নিচে বা গুহায় বসবাসকারী বিশাল এক কীট গর্ত করে বের হয় আসে। তখনই জন্ম হয় এই সুইমিংপুলের। আবার এটাও প্রচলিত আছে, একসময় কোনো একটি সরীসৃপের আবাসস্থল ছিল জায়গাটি। কেউ কেউ এটাও বলেন প্রাচীন কোনো সভ্যতার কাজ এটি।
তবে পুলটি তৈরির ব্যাপারে মুখে মুখে প্রচলিত এসব কিংবদন্তি বা গল্পগাথার কোনোটিরই বাস্তব ভিত্তি নেই। বরং চুনাপাথরের গভীর ক্ষয়ের কারণেই এর জন্ম বলে মনে করা হয়। কাকতালীয়ভাবে এই ক্ষয়টা একে নিখুঁত এক আকৃতি দিয়েছে।
জলাধারটির দৈর্ঘ্য ১৫ ফুটের মতো, চওড়ায় ১০ ফুট। ডুন আইংগাসা নামের প্রাচীন এক পুরাকীর্তি এলাকার দক্ষিণের পাহাড়ি পাথুরে পথ ধরে হেঁটে সেখানে পৌঁছানো যায়। ২০১৭ সালে রেড বুল ডাইভিং ওয়ার্ল্ড সিরিজের ভেন্যু হওয়ার পর থেকে ক্লিফ ডাইভার থেকে শুরু করে সাধারণ পর্যটকদের কাছে আরও বেশি জনপ্রিয়তা পায় জায়গাটি।
পুলটির গভীরতা কত তা নিয়ে মতভেদ আছে। কোনো কোনো সূত্রের দাবি এটি সর্বোচ্চ ২০ মিটার গভীর। তবে অন্য সূত্র আবার বলছে এটি আরও অনেক বেশি গভীর। এর সঙ্গে কয়েকটি ভূগর্ভস্থ চ্যানেল বা নালার মাধ্যমে সাগরের যোগাযোগ রয়েছে। ওই পথে সমুদ্র থেকে পানি আসে এবং ফিরে যায়। তাই এখানে সাঁতার কাটাটা যেমন চ্যালেঞ্জিং তেমন বিপজ্জনক। এখানে স্রোতও থাকে অনেক বেশি। এতে সাগরের স্রোতে কোনো সাঁতারু সাগরে ভেসে যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। কখনো কখনো জোয়ারের সময় ঢেউ আছড়ে পড়ে ওপর থেকেও পানিতে ভরাট হয়ে যায় পুলটি।
এবার বরং কীভাবে দ্বীপটিতে এবং প্রাকৃতিক এই সুইমিং পুলে পৌঁছাতে পারবেন জেনে নেওয়া যাক। পশ্চিম আয়ারল্যান্ডের শহর গ্যালওয়ে থেকে ফেরি যায় অ্যারন দ্বীপপুঞ্জের দিকে। এগুলোই পর্যটকদের নামিয়ে দেয় ইনিশমোরের ঘাটে। তারপর হেঁটে কিংবা সাইকেলে পৌঁছে যেতে পারবেন পোল না বিপেইসটের কাছে।
ইনিশমোর দ্বীপের ওয়র্মহোল কিংবা ডুন আইংগাসা ভ্রমণ করতে গেলে ভালো এক জোড়া ট্র্যাকিংয়ের জুতা লাগবে। এখানে মাটি অসমতল হওয়ায় ভারসাম্য রাখতে সতর্ক হওয়াটা জরুরি। অনেকেই ওয়র্মহোলের বেশি কাছাকাছি চলে গেলেও এ ক্ষেত্রে জোয়ার-ভাটার সময় জেনে যাওয়া উচিত। ওপর থেকে জায়গাটা দেখাই নিরাপদ। সে ক্ষেত্রে সুইমিংপুলটির চমৎকার ছবিও নিতে পারবেন ঝুঁকি ছাড়াই।
কাজেই ভ্রমণ এবং রোমাঞ্চপ্রেমীরা আশ্চর্য এই সুইমিংপুল দেখার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না আশা করি। সেখানে অনেককে হয়তো সাঁতার কাটতেও দেখবেন। তবে লেখাটি পড়ার পর সেখানে সাঁতার কাটার লোভটা যে সামলে রাখাটাই নিরাপদ তা নিশ্চয় আপনার বুঝতে বাকি নেই।
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, দ্য আইরিশ রোড ট্রিপ, আয়ারল্যান্ড বিফোর ডাই
আয়তাকার কাঠামোটি দেখে যে কারও মনে হবে, এটি মানুষের তৈরি একটি সুইমিংপুল। কিন্তু যদি বলা হয় এতে কোনো মানুষের হাত পড়েনি, প্রাকৃতিকভাবেই এটি এমন, তখন নিশ্চয় চোখ কপালে উঠবে। সত্যিই কি তাই? এটা এমন নিখুঁত আকারই-বা পেল কেমন করে?
আয়ারল্যান্ডের অ্যারন দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বড় দ্বীপ ইনিশ মোর। গ্যালওয়ে বে বা উপসাগরের তীরে অবস্থিত ওই দ্বীপেই দেখা পাবেন আশ্চর্য এই পুলের। তবে এটার আকার এমন যে দেখে মনে হবে বিশাল কোনো যন্ত্র দিয়ে চুনাপাথর কেটে এমন একটি পুল তৈরি করা হয়েছে।
ওয়র্মহোল বা সার্পেন্টস লেয়ার নামে অনেকেই চিনলেও এর প্রকৃত নাম পুল না বিপেইসট। স্থানীয় গেইলিক লোকগাথায় বর্ণনা করা সাগরে বসবাস করা সামুদ্রিক সরীসৃপ পেইসট বা অয়লিফেইস্ট থেকে এসেছে এই নাম। ওয়র্মহোল বা সার্পেন্টস লেয়ার নামে পরিচিতি পাওয়ার কারণও মোটামুটি একই।
এই পুলকে ঘিরে যেসব কিংবদন্তি ডালপালা মেলেছে এর একটি হলো পাহাড়ের নিচে বা গুহায় বসবাসকারী বিশাল এক কীট গর্ত করে বের হয় আসে। তখনই জন্ম হয় এই সুইমিংপুলের। আবার এটাও প্রচলিত আছে, একসময় কোনো একটি সরীসৃপের আবাসস্থল ছিল জায়গাটি। কেউ কেউ এটাও বলেন প্রাচীন কোনো সভ্যতার কাজ এটি।
তবে পুলটি তৈরির ব্যাপারে মুখে মুখে প্রচলিত এসব কিংবদন্তি বা গল্পগাথার কোনোটিরই বাস্তব ভিত্তি নেই। বরং চুনাপাথরের গভীর ক্ষয়ের কারণেই এর জন্ম বলে মনে করা হয়। কাকতালীয়ভাবে এই ক্ষয়টা একে নিখুঁত এক আকৃতি দিয়েছে।
জলাধারটির দৈর্ঘ্য ১৫ ফুটের মতো, চওড়ায় ১০ ফুট। ডুন আইংগাসা নামের প্রাচীন এক পুরাকীর্তি এলাকার দক্ষিণের পাহাড়ি পাথুরে পথ ধরে হেঁটে সেখানে পৌঁছানো যায়। ২০১৭ সালে রেড বুল ডাইভিং ওয়ার্ল্ড সিরিজের ভেন্যু হওয়ার পর থেকে ক্লিফ ডাইভার থেকে শুরু করে সাধারণ পর্যটকদের কাছে আরও বেশি জনপ্রিয়তা পায় জায়গাটি।
পুলটির গভীরতা কত তা নিয়ে মতভেদ আছে। কোনো কোনো সূত্রের দাবি এটি সর্বোচ্চ ২০ মিটার গভীর। তবে অন্য সূত্র আবার বলছে এটি আরও অনেক বেশি গভীর। এর সঙ্গে কয়েকটি ভূগর্ভস্থ চ্যানেল বা নালার মাধ্যমে সাগরের যোগাযোগ রয়েছে। ওই পথে সমুদ্র থেকে পানি আসে এবং ফিরে যায়। তাই এখানে সাঁতার কাটাটা যেমন চ্যালেঞ্জিং তেমন বিপজ্জনক। এখানে স্রোতও থাকে অনেক বেশি। এতে সাগরের স্রোতে কোনো সাঁতারু সাগরে ভেসে যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। কখনো কখনো জোয়ারের সময় ঢেউ আছড়ে পড়ে ওপর থেকেও পানিতে ভরাট হয়ে যায় পুলটি।
এবার বরং কীভাবে দ্বীপটিতে এবং প্রাকৃতিক এই সুইমিং পুলে পৌঁছাতে পারবেন জেনে নেওয়া যাক। পশ্চিম আয়ারল্যান্ডের শহর গ্যালওয়ে থেকে ফেরি যায় অ্যারন দ্বীপপুঞ্জের দিকে। এগুলোই পর্যটকদের নামিয়ে দেয় ইনিশমোরের ঘাটে। তারপর হেঁটে কিংবা সাইকেলে পৌঁছে যেতে পারবেন পোল না বিপেইসটের কাছে।
ইনিশমোর দ্বীপের ওয়র্মহোল কিংবা ডুন আইংগাসা ভ্রমণ করতে গেলে ভালো এক জোড়া ট্র্যাকিংয়ের জুতা লাগবে। এখানে মাটি অসমতল হওয়ায় ভারসাম্য রাখতে সতর্ক হওয়াটা জরুরি। অনেকেই ওয়র্মহোলের বেশি কাছাকাছি চলে গেলেও এ ক্ষেত্রে জোয়ার-ভাটার সময় জেনে যাওয়া উচিত। ওপর থেকে জায়গাটা দেখাই নিরাপদ। সে ক্ষেত্রে সুইমিংপুলটির চমৎকার ছবিও নিতে পারবেন ঝুঁকি ছাড়াই।
কাজেই ভ্রমণ এবং রোমাঞ্চপ্রেমীরা আশ্চর্য এই সুইমিংপুল দেখার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না আশা করি। সেখানে অনেককে হয়তো সাঁতার কাটতেও দেখবেন। তবে লেখাটি পড়ার পর সেখানে সাঁতার কাটার লোভটা যে সামলে রাখাটাই নিরাপদ তা নিশ্চয় আপনার বুঝতে বাকি নেই।
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, দ্য আইরিশ রোড ট্রিপ, আয়ারল্যান্ড বিফোর ডাই
হিমাচল প্রদেশের সিরমৌর জেলার শিল্লাই গ্রামের ট্রান্স-গিরি অঞ্চলে প্রাচীন রীতিনীতির অনুসরণে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক ব্যতিক্রমী বিবাহ অনুষ্ঠান—এক নারী বিয়ে করেছেন দুই ভাইকে। হাট্টি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পলিয়ান্ড্রি বিয়েতে শত শত অতিথি অংশ নেন।
২ দিন আগেশিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্রেডিট তথা পরীক্ষার খাতায় বেশি নম্বর দেওয়ার বিনিময়ে রক্ত দান করতে বাধ্য করেছেন এক ফুটবল কোচ। তাইওয়ানের একটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ফুটবল কোচ এমনই অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে...
২ দিন আগেআজকের ডিজিটাল দুনিয়ায় আমাদের দৈনন্দিন যোগাযোগের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে ইমোজি। ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আমরা মনের ভাব প্রকাশে ইমোজি ব্যবহার করি। ভাষার সীমা পেরিয়ে এই ছোট ছোট ডিজিটাল চিহ্নগুলো আবেগ প্রকাশের কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আনন্দ থেকে শুরু করে দুঃখ—সব অনুভূতিই এখন বোঝ
৫ দিন আগেপরিত্যক্ত একটি নকিয়া ফোনের সূত্র ধরে পরিচয় পাওয়া গেছে ১০ বছর আগে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির। ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে আমির খান নামের ওই ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার হয়। মরদেহের পাশে থাকা ফোনটির সূত্র ধরেই তাঁর পরিচয় উদ্ধার করা হয়। খবর এনডিটিভির।
৬ দিন আগে