
গুপ্তধন কথাটি শুনলে মনে হয় কেবল রূপকথার গল্পের মাঝেই এর অস্তিত্ব রয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, গল্পের মতো কিছু গুপ্তধন আধুনিক যুগে খুঁজে পাওয়া গেছে, যা বহন করে ইতিহাসের সাক্ষী। এগুলোর মূল্যও নেহাত কম নয়।
ইংল্যান্ডের পূর্বে সংরক্ষিত এলাকা দ্য ওয়াশের একটি মোহনার কোথাও কিং জনের মধ্যযুগীয় রাজকীয় রত্নভান্ডার রয়েছে। ১২১৬ সালে তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা ধনসম্পদ সংবলিত ট্রেনে করে উপসাগর পার হওয়ার সময় জোয়ারের কবলে পড়েন এবং অমূল্য রত্ন সংবলিত মালবাহী ট্রেনটি ভেসে যায়। এরপর গুপ্তধন শিকারিদের স্বপ্ন থেকে যায় সেসব রত্ন খুঁজে বের করার। কেউ কেউ দাবি করেন, তাঁরা উদ্ধার করেছেন এসব গুপ্তধন। যদিও সপক্ষে প্রমাণ খুব কম। তবে কয়েকটি গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার সত্যিকারের ঘটনা রয়েছে, যা আশা জাগানিয়া।
সাটন হু
স্টাফোর্ডশায়ার হোর্ড নামেও পরিচিত সাটন হু ভান্ডার কখনো হারিয়েই যায়নি। বরং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে একজন অ্যাংলো-স্যাক্সনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অংশ হিসেবে অনেক জায়গা জুড়ে সমাহিত করা হয়েছিল। মনে করা হয়, তিনি ছিলেন রেডওয়াল্ড (যিনি ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে মারা যান)। জমির মালিক এডিথ প্রিটি, ১৯৩৯ সালের গ্রীষ্মে অপেশাদার প্রত্নতাত্ত্বিক ব্যাসিল ব্রাউনকে জায়গাটি দেখতে বলেছিলেন। সেখানকার ঢিবির নিচে সপ্তম শতাব্দীর প্রথম দিকের একটি জাহাজের ছাপ পাওয়া যায়, যার কেন্দ্রে একটি বিশেষ সমাধিকক্ষ ছিল। ক্ষয়িষ্ণু ধরনের মাটির কারণে জাহাজ ও দেহ উভয়ই অদৃশ্য হয়ে গেলেও সমাহিত করা রেডওয়াল্ডের ২৬৩টি নিদর্শনে অবশিষ্টাংশ থেকে যায়। এর মধ্যে ছিল রৌপ্য বাইজেন্টিয়ামের বাটি, গ্রিক লিপি খোদাই করা চামচ, একটি বড় রুপার থালা, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান একটি ঢাল, ফ্রান্সের মুদ্রার একটি পার্স এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি তলোয়ার ও গৃহস্থালির জিনিসপত্র। এ ছাড়া রাজার পায়ের কাছে একটি বর্ম রাখা হয়েছিল। সব থেকে আইকনিক ছিল রাজার শিরস্ত্রাণ, যা অ্যাংলো-স্যাক্সন যুগের মুখের প্রতীক।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে এই সম্পদের সন্ধান মেলে। ফলে ঝুঁকি বিবেচনায় এসব গুপ্তধন লন্ডনের একটি অব্যবহৃত আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের গভীরে লুকিয়ে রাখা হয়। ১৯৫১ সাল পর্যন্ত সেগুলো সর্বজনীন প্রদর্শনে যায়নি। তবে বর্তমানে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে নিদর্শনগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত।
দ্য আলফ্রেড জুয়েল
১৬৯৩ সালে একটি খেত চাষ করার সময়, সমারসেটের একজন বাসিন্দা অ্যাংলো-স্যাক্সন জুয়েলারির একটি অসাধারণ টুকরো খুঁজে পান, যা এখন ‘আলফ্রেড জুয়েল’ নামে পরিচিত। আড়াই ইঞ্চি পরিমাপের টুকরাটির গোড়ায় একটি প্রাণীর মাথা রয়েছে। প্রাণীর মুখের ভেতরে একটি ছোট গর্ত যেখানে একটি কাঠের বা হাতির দাঁতের রড সুরক্ষিত করা হতো। এর ওপরে খোদাই করা সমতল পিঠের সঙ্গে একটি সোনার ফ্রেম। এটি কোনো পাঠ নির্দেশনায় ব্যবহৃত হতো বলে মনে করা হয়। আলফ্রেড জুয়েলটি ইংরেজ ইতিহাসের অন্যতম উল্লেখযোগ্য রাজার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার কারণে অনন্য রয়ে গেছে। এর প্রান্তের চারপাশে সোনার ফ্রেমে লেখা শিলালিপি রয়েছে। যেখানে লেখা, ‘আলফ্রেড আমাকে এটি তৈরি করার আদেশ দিয়েছেন।’
আলফ্রেড হলেন ওয়েসেক্সের রাজা আলফ্রেড দ্য গ্রেট (৮৪৮-৮৯৯), যিনি একজন যোদ্ধা, পণ্ডিত এবং শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক হিসাবে স্মরণীয়। রত্নটি অ্যাথেলনি গ্রাম থেকে মাত্র আট মাইল দূরে পাওয়া গিয়েছিল, যা আলফ্রেড ভাইকিংদের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধে একটি ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। ১৭১৮ সাল পর্যন্ত এটি ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল, পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে দান করা হয়। এটি এখন অক্সফোর্ডের অ্যাশমোলিয়ান মিউজিয়ামে রয়েছে।
দ্য লুইস চেজম্যান
মনে করেন আপনি একদিন সমুদ্র সৈকতে হাঁটছেন এবং একটি পুরোনো বোতলের ছিপি কিংবা সামুদ্রিক শৈবাল খুঁজে পাওয়ার পরিবর্তে, সুন্দরভাবে খোদাই করা মধ্যযুগীয় দাবার সেটের একটি বাক্স খুঁজে পেলেন। শুনতে অদ্ভুত হলেও এটি ঘটেছিল। ১৮৩১ সালে আবিষ্কৃত হওয়ার আগে এই দাবার অংশ স্কটল্যান্ডের আইল অব লুইসের একটি সৈকতে প্রায় ৬০০ বছর লুকানো অবস্থায় ছিল। প্রচলিত আছে, ম্যালকম ম্যাকলিওড নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা এটি খুঁজে পান। আইল অব লুইস স্কটল্যান্ডের আউটার হেব্রাইডের অংশ। ভাইকিংরা ৮ম শতাব্দীতে আউটার হেব্রাইডে এসেছিল। এলাকাটি ১২৬৬ সাল পর্যন্ত নরওয়েজীয় শাসনের অধীনে ছিল। ধারণা করা হয়, লুইস চেজম্যান ১১ শতকে নরওয়েতে তৈরি হয়েছিল, যা স্থানীয় সংস্কৃতি এবং শিল্পকে প্রতিফলিত করে। দাবাগুলো হাতির এবং তিমির দাঁত দিয়ে তৈরি। দাবার টুকরোগুলো নতুন ছিল, গুরুত্বপূর্ণ কাউকে উপহার দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল সম্ভবত। তবে কীভাবে সেগুলো সৈকতে আসে তা রহস্য রয়ে গেছে।
রডারিক রিরি নামের এক ব্যক্তি এগুলো অধিগ্রহণ করেন এবং সেটগুলো ভেঙে টুকরো হিসেবে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ব্রিটিশ মিউজিয়াম ৮২টি কিনেছিল আর স্কটল্যান্ডের ন্যাশনাল মিউজিয়াম দ্বারা অধিগ্রহণ করা হয় আরও ১১টি। ছয়টি লুইস-এ প্রদর্শন করা হয়েছে। আর বেশ কয়েকটি টুকরো নিখোঁজ রয়েছে।
দ্য ইংলিশ করনেশন স্পুন
ইংলিশ করনেশন স্পুন মধ্যযুগীয় ধাতব কাজের সেরা উদাহরণগুলোর মধ্যে একটি। চামচটি ১২ শতকের কোনো এক সময় তৈরি করা হয়েছিল এবং সম্ভবত একটি আনুষ্ঠানিক বস্তু হিসাবে ব্যবহারের জন্য হেনরি দ্বিতীয় বা তাঁর পুত্র রিচার্ড প্রথম এর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল। ১৬০৩ সাল নাগাদ, এটি সার্বভৌমকে অভিষিক্ত করতে পবিত্র তেলে অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যখন রাজারা ঈশ্বরের দ্বারা নিযুক্ত বলে বিবেচিত হতো। ১৬৪৯ সালে বিপ্লবের সময় চামচটি নতুন সরকারের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য এটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ক্লেমেন্ট কিনার্সলি নামে এক ব্যক্তি মাত্র ১৬ শিলিং দিয়ে এটি কিনেছিলেন। কিনার্সলি জাতির জন্য চামচটি সংরক্ষণ করেছিলেন। তিনি প্রথম চার্লসের পোশাক, আসবাবপত্র এবং গৃহসজ্জার সামগ্রী নিয়ে কাজ করত যারা তাঁদের একজন ছিলেন। চার্লস দ্বিতীয়র কাছে ফেরত দিয়েছিলেন এটি। ইংলিশ করনেশন স্পুন এখন টাওয়ার অব লন্ডনে ‘আধুনিক’ রাজকীয় রত্নগুলোর সঙ্গে রাখা হয়েছে।
দ্য মেরি রোজ
মেরি রোজ ১৫১০ সালে নির্মিত হয়েছিল, ভার্জিন মেরি এবং টিউডর রাজবংশের প্রতীকের জন্য নামকরণ করা হয়েছিল। গুঞ্জন আছে, হেনরি অষ্টম প্রকৃতপক্ষে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ডিজাইন করতে সাহায্য করেছিলেন, যেটি আটটি ভারী কামান বহন করতে পারে। বিপর্যয়ের আগে জাহাজটি ৩৪ বছর ধরে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৫৪৫ সালের ১৯ জুলাই, ফরাসি নৌবহর ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে সোলেন্টে প্রবেশ করে। মেরি রোজ, অন্যান্য ৮০টি ইংরেজ জাহাজের সঙ্গে যাত্রা করেছিল। যুদ্ধজাহাজটি বাঁক নেওয়ার সময় স্টারবোর্ডের দিক থেকে গুলি চালানো শুরু করলে একটি দমকা বাতাস আসে এবং মুহূর্তেই পানি প্রবেশ করে। কয়েক মিনিটের মধ্যে তলিয়ে যায় মেরি রোজ। জাহাজে থাকা ৫০০ জনের মধ্যে মাত্র ৩৫ জন বেঁচে ছিলেন। এর ৪০০ বছর পর ১৯৬৫ সালে, আলেকজান্ডার ম্যাককি এটিকে খুঁজে বের করার লক্ষ্যে প্রজেক্ট সোলেন্ট শিপস উদ্যোগ শুরু করেন। ম্যাককি এবং তাঁর ডুবুরি দল ছয় বছর ধ্বংসস্তূপের সন্ধানে কাটিয়েছে। তাঁদের প্রথম সাফল্য আসে ১৯৬৮ সালে, যখন তাঁরা সমুদ্রতটে একটি অদ্ভুত আকৃতির সন্ধান পায়। তবে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তাঁরা আত্মবিশ্বাসী হতে পারেননি যে, মেরি রোজকেই খুঁজে পেয়েছেন। জাহাজটি পুনরুদ্ধার করার আগে ১১ বছর কেটে যায় সতর্কতার সঙ্গে খনন ও উদ্ধার পরিকল্পনায়।
১৯৮২ সালের ১১ অক্টোবর, মেরি রোজের কাঠাম ধীরে ধীরে জল থেকে বেরিয়ে আসার দৃশ্য যুক্তরাজ্যের লাখ লাখ মানুষ টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার দেখেছিল। বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষণের কাজ করার পর, এটি এখন পোর্টসমাউথের একটি জাদুঘরে রাখা হয়েছে, যেখানে জাহাজ এবং এর সঙ্গে পাওয়া অনেক নিদর্শন উভয়ই দেখা যায়। জাহাজের কিছু অংশ সমুদ্রতটে রয়ে গেছে এবং প্রত্নতাত্ত্বিকেরা এর হারিয়ে যাওয়া সম্পদ খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।

গুপ্তধন কথাটি শুনলে মনে হয় কেবল রূপকথার গল্পের মাঝেই এর অস্তিত্ব রয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, গল্পের মতো কিছু গুপ্তধন আধুনিক যুগে খুঁজে পাওয়া গেছে, যা বহন করে ইতিহাসের সাক্ষী। এগুলোর মূল্যও নেহাত কম নয়।
ইংল্যান্ডের পূর্বে সংরক্ষিত এলাকা দ্য ওয়াশের একটি মোহনার কোথাও কিং জনের মধ্যযুগীয় রাজকীয় রত্নভান্ডার রয়েছে। ১২১৬ সালে তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা ধনসম্পদ সংবলিত ট্রেনে করে উপসাগর পার হওয়ার সময় জোয়ারের কবলে পড়েন এবং অমূল্য রত্ন সংবলিত মালবাহী ট্রেনটি ভেসে যায়। এরপর গুপ্তধন শিকারিদের স্বপ্ন থেকে যায় সেসব রত্ন খুঁজে বের করার। কেউ কেউ দাবি করেন, তাঁরা উদ্ধার করেছেন এসব গুপ্তধন। যদিও সপক্ষে প্রমাণ খুব কম। তবে কয়েকটি গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার সত্যিকারের ঘটনা রয়েছে, যা আশা জাগানিয়া।
সাটন হু
স্টাফোর্ডশায়ার হোর্ড নামেও পরিচিত সাটন হু ভান্ডার কখনো হারিয়েই যায়নি। বরং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে একজন অ্যাংলো-স্যাক্সনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অংশ হিসেবে অনেক জায়গা জুড়ে সমাহিত করা হয়েছিল। মনে করা হয়, তিনি ছিলেন রেডওয়াল্ড (যিনি ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে মারা যান)। জমির মালিক এডিথ প্রিটি, ১৯৩৯ সালের গ্রীষ্মে অপেশাদার প্রত্নতাত্ত্বিক ব্যাসিল ব্রাউনকে জায়গাটি দেখতে বলেছিলেন। সেখানকার ঢিবির নিচে সপ্তম শতাব্দীর প্রথম দিকের একটি জাহাজের ছাপ পাওয়া যায়, যার কেন্দ্রে একটি বিশেষ সমাধিকক্ষ ছিল। ক্ষয়িষ্ণু ধরনের মাটির কারণে জাহাজ ও দেহ উভয়ই অদৃশ্য হয়ে গেলেও সমাহিত করা রেডওয়াল্ডের ২৬৩টি নিদর্শনে অবশিষ্টাংশ থেকে যায়। এর মধ্যে ছিল রৌপ্য বাইজেন্টিয়ামের বাটি, গ্রিক লিপি খোদাই করা চামচ, একটি বড় রুপার থালা, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান একটি ঢাল, ফ্রান্সের মুদ্রার একটি পার্স এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি তলোয়ার ও গৃহস্থালির জিনিসপত্র। এ ছাড়া রাজার পায়ের কাছে একটি বর্ম রাখা হয়েছিল। সব থেকে আইকনিক ছিল রাজার শিরস্ত্রাণ, যা অ্যাংলো-স্যাক্সন যুগের মুখের প্রতীক।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে এই সম্পদের সন্ধান মেলে। ফলে ঝুঁকি বিবেচনায় এসব গুপ্তধন লন্ডনের একটি অব্যবহৃত আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের গভীরে লুকিয়ে রাখা হয়। ১৯৫১ সাল পর্যন্ত সেগুলো সর্বজনীন প্রদর্শনে যায়নি। তবে বর্তমানে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে নিদর্শনগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত।
দ্য আলফ্রেড জুয়েল
১৬৯৩ সালে একটি খেত চাষ করার সময়, সমারসেটের একজন বাসিন্দা অ্যাংলো-স্যাক্সন জুয়েলারির একটি অসাধারণ টুকরো খুঁজে পান, যা এখন ‘আলফ্রেড জুয়েল’ নামে পরিচিত। আড়াই ইঞ্চি পরিমাপের টুকরাটির গোড়ায় একটি প্রাণীর মাথা রয়েছে। প্রাণীর মুখের ভেতরে একটি ছোট গর্ত যেখানে একটি কাঠের বা হাতির দাঁতের রড সুরক্ষিত করা হতো। এর ওপরে খোদাই করা সমতল পিঠের সঙ্গে একটি সোনার ফ্রেম। এটি কোনো পাঠ নির্দেশনায় ব্যবহৃত হতো বলে মনে করা হয়। আলফ্রেড জুয়েলটি ইংরেজ ইতিহাসের অন্যতম উল্লেখযোগ্য রাজার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার কারণে অনন্য রয়ে গেছে। এর প্রান্তের চারপাশে সোনার ফ্রেমে লেখা শিলালিপি রয়েছে। যেখানে লেখা, ‘আলফ্রেড আমাকে এটি তৈরি করার আদেশ দিয়েছেন।’
আলফ্রেড হলেন ওয়েসেক্সের রাজা আলফ্রেড দ্য গ্রেট (৮৪৮-৮৯৯), যিনি একজন যোদ্ধা, পণ্ডিত এবং শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক হিসাবে স্মরণীয়। রত্নটি অ্যাথেলনি গ্রাম থেকে মাত্র আট মাইল দূরে পাওয়া গিয়েছিল, যা আলফ্রেড ভাইকিংদের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধে একটি ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। ১৭১৮ সাল পর্যন্ত এটি ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল, পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে দান করা হয়। এটি এখন অক্সফোর্ডের অ্যাশমোলিয়ান মিউজিয়ামে রয়েছে।
দ্য লুইস চেজম্যান
মনে করেন আপনি একদিন সমুদ্র সৈকতে হাঁটছেন এবং একটি পুরোনো বোতলের ছিপি কিংবা সামুদ্রিক শৈবাল খুঁজে পাওয়ার পরিবর্তে, সুন্দরভাবে খোদাই করা মধ্যযুগীয় দাবার সেটের একটি বাক্স খুঁজে পেলেন। শুনতে অদ্ভুত হলেও এটি ঘটেছিল। ১৮৩১ সালে আবিষ্কৃত হওয়ার আগে এই দাবার অংশ স্কটল্যান্ডের আইল অব লুইসের একটি সৈকতে প্রায় ৬০০ বছর লুকানো অবস্থায় ছিল। প্রচলিত আছে, ম্যালকম ম্যাকলিওড নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা এটি খুঁজে পান। আইল অব লুইস স্কটল্যান্ডের আউটার হেব্রাইডের অংশ। ভাইকিংরা ৮ম শতাব্দীতে আউটার হেব্রাইডে এসেছিল। এলাকাটি ১২৬৬ সাল পর্যন্ত নরওয়েজীয় শাসনের অধীনে ছিল। ধারণা করা হয়, লুইস চেজম্যান ১১ শতকে নরওয়েতে তৈরি হয়েছিল, যা স্থানীয় সংস্কৃতি এবং শিল্পকে প্রতিফলিত করে। দাবাগুলো হাতির এবং তিমির দাঁত দিয়ে তৈরি। দাবার টুকরোগুলো নতুন ছিল, গুরুত্বপূর্ণ কাউকে উপহার দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল সম্ভবত। তবে কীভাবে সেগুলো সৈকতে আসে তা রহস্য রয়ে গেছে।
রডারিক রিরি নামের এক ব্যক্তি এগুলো অধিগ্রহণ করেন এবং সেটগুলো ভেঙে টুকরো হিসেবে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ব্রিটিশ মিউজিয়াম ৮২টি কিনেছিল আর স্কটল্যান্ডের ন্যাশনাল মিউজিয়াম দ্বারা অধিগ্রহণ করা হয় আরও ১১টি। ছয়টি লুইস-এ প্রদর্শন করা হয়েছে। আর বেশ কয়েকটি টুকরো নিখোঁজ রয়েছে।
দ্য ইংলিশ করনেশন স্পুন
ইংলিশ করনেশন স্পুন মধ্যযুগীয় ধাতব কাজের সেরা উদাহরণগুলোর মধ্যে একটি। চামচটি ১২ শতকের কোনো এক সময় তৈরি করা হয়েছিল এবং সম্ভবত একটি আনুষ্ঠানিক বস্তু হিসাবে ব্যবহারের জন্য হেনরি দ্বিতীয় বা তাঁর পুত্র রিচার্ড প্রথম এর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল। ১৬০৩ সাল নাগাদ, এটি সার্বভৌমকে অভিষিক্ত করতে পবিত্র তেলে অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যখন রাজারা ঈশ্বরের দ্বারা নিযুক্ত বলে বিবেচিত হতো। ১৬৪৯ সালে বিপ্লবের সময় চামচটি নতুন সরকারের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য এটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ক্লেমেন্ট কিনার্সলি নামে এক ব্যক্তি মাত্র ১৬ শিলিং দিয়ে এটি কিনেছিলেন। কিনার্সলি জাতির জন্য চামচটি সংরক্ষণ করেছিলেন। তিনি প্রথম চার্লসের পোশাক, আসবাবপত্র এবং গৃহসজ্জার সামগ্রী নিয়ে কাজ করত যারা তাঁদের একজন ছিলেন। চার্লস দ্বিতীয়র কাছে ফেরত দিয়েছিলেন এটি। ইংলিশ করনেশন স্পুন এখন টাওয়ার অব লন্ডনে ‘আধুনিক’ রাজকীয় রত্নগুলোর সঙ্গে রাখা হয়েছে।
দ্য মেরি রোজ
মেরি রোজ ১৫১০ সালে নির্মিত হয়েছিল, ভার্জিন মেরি এবং টিউডর রাজবংশের প্রতীকের জন্য নামকরণ করা হয়েছিল। গুঞ্জন আছে, হেনরি অষ্টম প্রকৃতপক্ষে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ডিজাইন করতে সাহায্য করেছিলেন, যেটি আটটি ভারী কামান বহন করতে পারে। বিপর্যয়ের আগে জাহাজটি ৩৪ বছর ধরে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৫৪৫ সালের ১৯ জুলাই, ফরাসি নৌবহর ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে সোলেন্টে প্রবেশ করে। মেরি রোজ, অন্যান্য ৮০টি ইংরেজ জাহাজের সঙ্গে যাত্রা করেছিল। যুদ্ধজাহাজটি বাঁক নেওয়ার সময় স্টারবোর্ডের দিক থেকে গুলি চালানো শুরু করলে একটি দমকা বাতাস আসে এবং মুহূর্তেই পানি প্রবেশ করে। কয়েক মিনিটের মধ্যে তলিয়ে যায় মেরি রোজ। জাহাজে থাকা ৫০০ জনের মধ্যে মাত্র ৩৫ জন বেঁচে ছিলেন। এর ৪০০ বছর পর ১৯৬৫ সালে, আলেকজান্ডার ম্যাককি এটিকে খুঁজে বের করার লক্ষ্যে প্রজেক্ট সোলেন্ট শিপস উদ্যোগ শুরু করেন। ম্যাককি এবং তাঁর ডুবুরি দল ছয় বছর ধ্বংসস্তূপের সন্ধানে কাটিয়েছে। তাঁদের প্রথম সাফল্য আসে ১৯৬৮ সালে, যখন তাঁরা সমুদ্রতটে একটি অদ্ভুত আকৃতির সন্ধান পায়। তবে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তাঁরা আত্মবিশ্বাসী হতে পারেননি যে, মেরি রোজকেই খুঁজে পেয়েছেন। জাহাজটি পুনরুদ্ধার করার আগে ১১ বছর কেটে যায় সতর্কতার সঙ্গে খনন ও উদ্ধার পরিকল্পনায়।
১৯৮২ সালের ১১ অক্টোবর, মেরি রোজের কাঠাম ধীরে ধীরে জল থেকে বেরিয়ে আসার দৃশ্য যুক্তরাজ্যের লাখ লাখ মানুষ টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার দেখেছিল। বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষণের কাজ করার পর, এটি এখন পোর্টসমাউথের একটি জাদুঘরে রাখা হয়েছে, যেখানে জাহাজ এবং এর সঙ্গে পাওয়া অনেক নিদর্শন উভয়ই দেখা যায়। জাহাজের কিছু অংশ সমুদ্রতটে রয়ে গেছে এবং প্রত্নতাত্ত্বিকেরা এর হারিয়ে যাওয়া সম্পদ খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।

গুপ্তধন কথাটি শুনলে মনে হয় কেবল রূপকথার গল্পের মাঝেই এর অস্তিত্ব রয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, গল্পের মতো কিছু গুপ্তধন আধুনিক যুগে খুঁজে পাওয়া গেছে, যা বহন করে ইতিহাসের সাক্ষী। এগুলোর মূল্যও নেহাত কম নয়।
ইংল্যান্ডের পূর্বে সংরক্ষিত এলাকা দ্য ওয়াশের একটি মোহনার কোথাও কিং জনের মধ্যযুগীয় রাজকীয় রত্নভান্ডার রয়েছে। ১২১৬ সালে তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা ধনসম্পদ সংবলিত ট্রেনে করে উপসাগর পার হওয়ার সময় জোয়ারের কবলে পড়েন এবং অমূল্য রত্ন সংবলিত মালবাহী ট্রেনটি ভেসে যায়। এরপর গুপ্তধন শিকারিদের স্বপ্ন থেকে যায় সেসব রত্ন খুঁজে বের করার। কেউ কেউ দাবি করেন, তাঁরা উদ্ধার করেছেন এসব গুপ্তধন। যদিও সপক্ষে প্রমাণ খুব কম। তবে কয়েকটি গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার সত্যিকারের ঘটনা রয়েছে, যা আশা জাগানিয়া।
সাটন হু
স্টাফোর্ডশায়ার হোর্ড নামেও পরিচিত সাটন হু ভান্ডার কখনো হারিয়েই যায়নি। বরং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে একজন অ্যাংলো-স্যাক্সনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অংশ হিসেবে অনেক জায়গা জুড়ে সমাহিত করা হয়েছিল। মনে করা হয়, তিনি ছিলেন রেডওয়াল্ড (যিনি ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে মারা যান)। জমির মালিক এডিথ প্রিটি, ১৯৩৯ সালের গ্রীষ্মে অপেশাদার প্রত্নতাত্ত্বিক ব্যাসিল ব্রাউনকে জায়গাটি দেখতে বলেছিলেন। সেখানকার ঢিবির নিচে সপ্তম শতাব্দীর প্রথম দিকের একটি জাহাজের ছাপ পাওয়া যায়, যার কেন্দ্রে একটি বিশেষ সমাধিকক্ষ ছিল। ক্ষয়িষ্ণু ধরনের মাটির কারণে জাহাজ ও দেহ উভয়ই অদৃশ্য হয়ে গেলেও সমাহিত করা রেডওয়াল্ডের ২৬৩টি নিদর্শনে অবশিষ্টাংশ থেকে যায়। এর মধ্যে ছিল রৌপ্য বাইজেন্টিয়ামের বাটি, গ্রিক লিপি খোদাই করা চামচ, একটি বড় রুপার থালা, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান একটি ঢাল, ফ্রান্সের মুদ্রার একটি পার্স এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি তলোয়ার ও গৃহস্থালির জিনিসপত্র। এ ছাড়া রাজার পায়ের কাছে একটি বর্ম রাখা হয়েছিল। সব থেকে আইকনিক ছিল রাজার শিরস্ত্রাণ, যা অ্যাংলো-স্যাক্সন যুগের মুখের প্রতীক।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে এই সম্পদের সন্ধান মেলে। ফলে ঝুঁকি বিবেচনায় এসব গুপ্তধন লন্ডনের একটি অব্যবহৃত আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের গভীরে লুকিয়ে রাখা হয়। ১৯৫১ সাল পর্যন্ত সেগুলো সর্বজনীন প্রদর্শনে যায়নি। তবে বর্তমানে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে নিদর্শনগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত।
দ্য আলফ্রেড জুয়েল
১৬৯৩ সালে একটি খেত চাষ করার সময়, সমারসেটের একজন বাসিন্দা অ্যাংলো-স্যাক্সন জুয়েলারির একটি অসাধারণ টুকরো খুঁজে পান, যা এখন ‘আলফ্রেড জুয়েল’ নামে পরিচিত। আড়াই ইঞ্চি পরিমাপের টুকরাটির গোড়ায় একটি প্রাণীর মাথা রয়েছে। প্রাণীর মুখের ভেতরে একটি ছোট গর্ত যেখানে একটি কাঠের বা হাতির দাঁতের রড সুরক্ষিত করা হতো। এর ওপরে খোদাই করা সমতল পিঠের সঙ্গে একটি সোনার ফ্রেম। এটি কোনো পাঠ নির্দেশনায় ব্যবহৃত হতো বলে মনে করা হয়। আলফ্রেড জুয়েলটি ইংরেজ ইতিহাসের অন্যতম উল্লেখযোগ্য রাজার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার কারণে অনন্য রয়ে গেছে। এর প্রান্তের চারপাশে সোনার ফ্রেমে লেখা শিলালিপি রয়েছে। যেখানে লেখা, ‘আলফ্রেড আমাকে এটি তৈরি করার আদেশ দিয়েছেন।’
আলফ্রেড হলেন ওয়েসেক্সের রাজা আলফ্রেড দ্য গ্রেট (৮৪৮-৮৯৯), যিনি একজন যোদ্ধা, পণ্ডিত এবং শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক হিসাবে স্মরণীয়। রত্নটি অ্যাথেলনি গ্রাম থেকে মাত্র আট মাইল দূরে পাওয়া গিয়েছিল, যা আলফ্রেড ভাইকিংদের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধে একটি ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। ১৭১৮ সাল পর্যন্ত এটি ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল, পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে দান করা হয়। এটি এখন অক্সফোর্ডের অ্যাশমোলিয়ান মিউজিয়ামে রয়েছে।
দ্য লুইস চেজম্যান
মনে করেন আপনি একদিন সমুদ্র সৈকতে হাঁটছেন এবং একটি পুরোনো বোতলের ছিপি কিংবা সামুদ্রিক শৈবাল খুঁজে পাওয়ার পরিবর্তে, সুন্দরভাবে খোদাই করা মধ্যযুগীয় দাবার সেটের একটি বাক্স খুঁজে পেলেন। শুনতে অদ্ভুত হলেও এটি ঘটেছিল। ১৮৩১ সালে আবিষ্কৃত হওয়ার আগে এই দাবার অংশ স্কটল্যান্ডের আইল অব লুইসের একটি সৈকতে প্রায় ৬০০ বছর লুকানো অবস্থায় ছিল। প্রচলিত আছে, ম্যালকম ম্যাকলিওড নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা এটি খুঁজে পান। আইল অব লুইস স্কটল্যান্ডের আউটার হেব্রাইডের অংশ। ভাইকিংরা ৮ম শতাব্দীতে আউটার হেব্রাইডে এসেছিল। এলাকাটি ১২৬৬ সাল পর্যন্ত নরওয়েজীয় শাসনের অধীনে ছিল। ধারণা করা হয়, লুইস চেজম্যান ১১ শতকে নরওয়েতে তৈরি হয়েছিল, যা স্থানীয় সংস্কৃতি এবং শিল্পকে প্রতিফলিত করে। দাবাগুলো হাতির এবং তিমির দাঁত দিয়ে তৈরি। দাবার টুকরোগুলো নতুন ছিল, গুরুত্বপূর্ণ কাউকে উপহার দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল সম্ভবত। তবে কীভাবে সেগুলো সৈকতে আসে তা রহস্য রয়ে গেছে।
রডারিক রিরি নামের এক ব্যক্তি এগুলো অধিগ্রহণ করেন এবং সেটগুলো ভেঙে টুকরো হিসেবে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ব্রিটিশ মিউজিয়াম ৮২টি কিনেছিল আর স্কটল্যান্ডের ন্যাশনাল মিউজিয়াম দ্বারা অধিগ্রহণ করা হয় আরও ১১টি। ছয়টি লুইস-এ প্রদর্শন করা হয়েছে। আর বেশ কয়েকটি টুকরো নিখোঁজ রয়েছে।
দ্য ইংলিশ করনেশন স্পুন
ইংলিশ করনেশন স্পুন মধ্যযুগীয় ধাতব কাজের সেরা উদাহরণগুলোর মধ্যে একটি। চামচটি ১২ শতকের কোনো এক সময় তৈরি করা হয়েছিল এবং সম্ভবত একটি আনুষ্ঠানিক বস্তু হিসাবে ব্যবহারের জন্য হেনরি দ্বিতীয় বা তাঁর পুত্র রিচার্ড প্রথম এর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল। ১৬০৩ সাল নাগাদ, এটি সার্বভৌমকে অভিষিক্ত করতে পবিত্র তেলে অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যখন রাজারা ঈশ্বরের দ্বারা নিযুক্ত বলে বিবেচিত হতো। ১৬৪৯ সালে বিপ্লবের সময় চামচটি নতুন সরকারের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য এটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ক্লেমেন্ট কিনার্সলি নামে এক ব্যক্তি মাত্র ১৬ শিলিং দিয়ে এটি কিনেছিলেন। কিনার্সলি জাতির জন্য চামচটি সংরক্ষণ করেছিলেন। তিনি প্রথম চার্লসের পোশাক, আসবাবপত্র এবং গৃহসজ্জার সামগ্রী নিয়ে কাজ করত যারা তাঁদের একজন ছিলেন। চার্লস দ্বিতীয়র কাছে ফেরত দিয়েছিলেন এটি। ইংলিশ করনেশন স্পুন এখন টাওয়ার অব লন্ডনে ‘আধুনিক’ রাজকীয় রত্নগুলোর সঙ্গে রাখা হয়েছে।
দ্য মেরি রোজ
মেরি রোজ ১৫১০ সালে নির্মিত হয়েছিল, ভার্জিন মেরি এবং টিউডর রাজবংশের প্রতীকের জন্য নামকরণ করা হয়েছিল। গুঞ্জন আছে, হেনরি অষ্টম প্রকৃতপক্ষে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ডিজাইন করতে সাহায্য করেছিলেন, যেটি আটটি ভারী কামান বহন করতে পারে। বিপর্যয়ের আগে জাহাজটি ৩৪ বছর ধরে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৫৪৫ সালের ১৯ জুলাই, ফরাসি নৌবহর ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে সোলেন্টে প্রবেশ করে। মেরি রোজ, অন্যান্য ৮০টি ইংরেজ জাহাজের সঙ্গে যাত্রা করেছিল। যুদ্ধজাহাজটি বাঁক নেওয়ার সময় স্টারবোর্ডের দিক থেকে গুলি চালানো শুরু করলে একটি দমকা বাতাস আসে এবং মুহূর্তেই পানি প্রবেশ করে। কয়েক মিনিটের মধ্যে তলিয়ে যায় মেরি রোজ। জাহাজে থাকা ৫০০ জনের মধ্যে মাত্র ৩৫ জন বেঁচে ছিলেন। এর ৪০০ বছর পর ১৯৬৫ সালে, আলেকজান্ডার ম্যাককি এটিকে খুঁজে বের করার লক্ষ্যে প্রজেক্ট সোলেন্ট শিপস উদ্যোগ শুরু করেন। ম্যাককি এবং তাঁর ডুবুরি দল ছয় বছর ধ্বংসস্তূপের সন্ধানে কাটিয়েছে। তাঁদের প্রথম সাফল্য আসে ১৯৬৮ সালে, যখন তাঁরা সমুদ্রতটে একটি অদ্ভুত আকৃতির সন্ধান পায়। তবে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তাঁরা আত্মবিশ্বাসী হতে পারেননি যে, মেরি রোজকেই খুঁজে পেয়েছেন। জাহাজটি পুনরুদ্ধার করার আগে ১১ বছর কেটে যায় সতর্কতার সঙ্গে খনন ও উদ্ধার পরিকল্পনায়।
১৯৮২ সালের ১১ অক্টোবর, মেরি রোজের কাঠাম ধীরে ধীরে জল থেকে বেরিয়ে আসার দৃশ্য যুক্তরাজ্যের লাখ লাখ মানুষ টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার দেখেছিল। বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষণের কাজ করার পর, এটি এখন পোর্টসমাউথের একটি জাদুঘরে রাখা হয়েছে, যেখানে জাহাজ এবং এর সঙ্গে পাওয়া অনেক নিদর্শন উভয়ই দেখা যায়। জাহাজের কিছু অংশ সমুদ্রতটে রয়ে গেছে এবং প্রত্নতাত্ত্বিকেরা এর হারিয়ে যাওয়া সম্পদ খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।

গুপ্তধন কথাটি শুনলে মনে হয় কেবল রূপকথার গল্পের মাঝেই এর অস্তিত্ব রয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, গল্পের মতো কিছু গুপ্তধন আধুনিক যুগে খুঁজে পাওয়া গেছে, যা বহন করে ইতিহাসের সাক্ষী। এগুলোর মূল্যও নেহাত কম নয়।
ইংল্যান্ডের পূর্বে সংরক্ষিত এলাকা দ্য ওয়াশের একটি মোহনার কোথাও কিং জনের মধ্যযুগীয় রাজকীয় রত্নভান্ডার রয়েছে। ১২১৬ সালে তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা ধনসম্পদ সংবলিত ট্রেনে করে উপসাগর পার হওয়ার সময় জোয়ারের কবলে পড়েন এবং অমূল্য রত্ন সংবলিত মালবাহী ট্রেনটি ভেসে যায়। এরপর গুপ্তধন শিকারিদের স্বপ্ন থেকে যায় সেসব রত্ন খুঁজে বের করার। কেউ কেউ দাবি করেন, তাঁরা উদ্ধার করেছেন এসব গুপ্তধন। যদিও সপক্ষে প্রমাণ খুব কম। তবে কয়েকটি গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার সত্যিকারের ঘটনা রয়েছে, যা আশা জাগানিয়া।
সাটন হু
স্টাফোর্ডশায়ার হোর্ড নামেও পরিচিত সাটন হু ভান্ডার কখনো হারিয়েই যায়নি। বরং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে একজন অ্যাংলো-স্যাক্সনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অংশ হিসেবে অনেক জায়গা জুড়ে সমাহিত করা হয়েছিল। মনে করা হয়, তিনি ছিলেন রেডওয়াল্ড (যিনি ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে মারা যান)। জমির মালিক এডিথ প্রিটি, ১৯৩৯ সালের গ্রীষ্মে অপেশাদার প্রত্নতাত্ত্বিক ব্যাসিল ব্রাউনকে জায়গাটি দেখতে বলেছিলেন। সেখানকার ঢিবির নিচে সপ্তম শতাব্দীর প্রথম দিকের একটি জাহাজের ছাপ পাওয়া যায়, যার কেন্দ্রে একটি বিশেষ সমাধিকক্ষ ছিল। ক্ষয়িষ্ণু ধরনের মাটির কারণে জাহাজ ও দেহ উভয়ই অদৃশ্য হয়ে গেলেও সমাহিত করা রেডওয়াল্ডের ২৬৩টি নিদর্শনে অবশিষ্টাংশ থেকে যায়। এর মধ্যে ছিল রৌপ্য বাইজেন্টিয়ামের বাটি, গ্রিক লিপি খোদাই করা চামচ, একটি বড় রুপার থালা, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান একটি ঢাল, ফ্রান্সের মুদ্রার একটি পার্স এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি তলোয়ার ও গৃহস্থালির জিনিসপত্র। এ ছাড়া রাজার পায়ের কাছে একটি বর্ম রাখা হয়েছিল। সব থেকে আইকনিক ছিল রাজার শিরস্ত্রাণ, যা অ্যাংলো-স্যাক্সন যুগের মুখের প্রতীক।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে এই সম্পদের সন্ধান মেলে। ফলে ঝুঁকি বিবেচনায় এসব গুপ্তধন লন্ডনের একটি অব্যবহৃত আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের গভীরে লুকিয়ে রাখা হয়। ১৯৫১ সাল পর্যন্ত সেগুলো সর্বজনীন প্রদর্শনে যায়নি। তবে বর্তমানে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে নিদর্শনগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত।
দ্য আলফ্রেড জুয়েল
১৬৯৩ সালে একটি খেত চাষ করার সময়, সমারসেটের একজন বাসিন্দা অ্যাংলো-স্যাক্সন জুয়েলারির একটি অসাধারণ টুকরো খুঁজে পান, যা এখন ‘আলফ্রেড জুয়েল’ নামে পরিচিত। আড়াই ইঞ্চি পরিমাপের টুকরাটির গোড়ায় একটি প্রাণীর মাথা রয়েছে। প্রাণীর মুখের ভেতরে একটি ছোট গর্ত যেখানে একটি কাঠের বা হাতির দাঁতের রড সুরক্ষিত করা হতো। এর ওপরে খোদাই করা সমতল পিঠের সঙ্গে একটি সোনার ফ্রেম। এটি কোনো পাঠ নির্দেশনায় ব্যবহৃত হতো বলে মনে করা হয়। আলফ্রেড জুয়েলটি ইংরেজ ইতিহাসের অন্যতম উল্লেখযোগ্য রাজার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার কারণে অনন্য রয়ে গেছে। এর প্রান্তের চারপাশে সোনার ফ্রেমে লেখা শিলালিপি রয়েছে। যেখানে লেখা, ‘আলফ্রেড আমাকে এটি তৈরি করার আদেশ দিয়েছেন।’
আলফ্রেড হলেন ওয়েসেক্সের রাজা আলফ্রেড দ্য গ্রেট (৮৪৮-৮৯৯), যিনি একজন যোদ্ধা, পণ্ডিত এবং শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক হিসাবে স্মরণীয়। রত্নটি অ্যাথেলনি গ্রাম থেকে মাত্র আট মাইল দূরে পাওয়া গিয়েছিল, যা আলফ্রেড ভাইকিংদের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধে একটি ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। ১৭১৮ সাল পর্যন্ত এটি ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল, পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে দান করা হয়। এটি এখন অক্সফোর্ডের অ্যাশমোলিয়ান মিউজিয়ামে রয়েছে।
দ্য লুইস চেজম্যান
মনে করেন আপনি একদিন সমুদ্র সৈকতে হাঁটছেন এবং একটি পুরোনো বোতলের ছিপি কিংবা সামুদ্রিক শৈবাল খুঁজে পাওয়ার পরিবর্তে, সুন্দরভাবে খোদাই করা মধ্যযুগীয় দাবার সেটের একটি বাক্স খুঁজে পেলেন। শুনতে অদ্ভুত হলেও এটি ঘটেছিল। ১৮৩১ সালে আবিষ্কৃত হওয়ার আগে এই দাবার অংশ স্কটল্যান্ডের আইল অব লুইসের একটি সৈকতে প্রায় ৬০০ বছর লুকানো অবস্থায় ছিল। প্রচলিত আছে, ম্যালকম ম্যাকলিওড নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা এটি খুঁজে পান। আইল অব লুইস স্কটল্যান্ডের আউটার হেব্রাইডের অংশ। ভাইকিংরা ৮ম শতাব্দীতে আউটার হেব্রাইডে এসেছিল। এলাকাটি ১২৬৬ সাল পর্যন্ত নরওয়েজীয় শাসনের অধীনে ছিল। ধারণা করা হয়, লুইস চেজম্যান ১১ শতকে নরওয়েতে তৈরি হয়েছিল, যা স্থানীয় সংস্কৃতি এবং শিল্পকে প্রতিফলিত করে। দাবাগুলো হাতির এবং তিমির দাঁত দিয়ে তৈরি। দাবার টুকরোগুলো নতুন ছিল, গুরুত্বপূর্ণ কাউকে উপহার দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল সম্ভবত। তবে কীভাবে সেগুলো সৈকতে আসে তা রহস্য রয়ে গেছে।
রডারিক রিরি নামের এক ব্যক্তি এগুলো অধিগ্রহণ করেন এবং সেটগুলো ভেঙে টুকরো হিসেবে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ব্রিটিশ মিউজিয়াম ৮২টি কিনেছিল আর স্কটল্যান্ডের ন্যাশনাল মিউজিয়াম দ্বারা অধিগ্রহণ করা হয় আরও ১১টি। ছয়টি লুইস-এ প্রদর্শন করা হয়েছে। আর বেশ কয়েকটি টুকরো নিখোঁজ রয়েছে।
দ্য ইংলিশ করনেশন স্পুন
ইংলিশ করনেশন স্পুন মধ্যযুগীয় ধাতব কাজের সেরা উদাহরণগুলোর মধ্যে একটি। চামচটি ১২ শতকের কোনো এক সময় তৈরি করা হয়েছিল এবং সম্ভবত একটি আনুষ্ঠানিক বস্তু হিসাবে ব্যবহারের জন্য হেনরি দ্বিতীয় বা তাঁর পুত্র রিচার্ড প্রথম এর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল। ১৬০৩ সাল নাগাদ, এটি সার্বভৌমকে অভিষিক্ত করতে পবিত্র তেলে অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যখন রাজারা ঈশ্বরের দ্বারা নিযুক্ত বলে বিবেচিত হতো। ১৬৪৯ সালে বিপ্লবের সময় চামচটি নতুন সরকারের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য এটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ক্লেমেন্ট কিনার্সলি নামে এক ব্যক্তি মাত্র ১৬ শিলিং দিয়ে এটি কিনেছিলেন। কিনার্সলি জাতির জন্য চামচটি সংরক্ষণ করেছিলেন। তিনি প্রথম চার্লসের পোশাক, আসবাবপত্র এবং গৃহসজ্জার সামগ্রী নিয়ে কাজ করত যারা তাঁদের একজন ছিলেন। চার্লস দ্বিতীয়র কাছে ফেরত দিয়েছিলেন এটি। ইংলিশ করনেশন স্পুন এখন টাওয়ার অব লন্ডনে ‘আধুনিক’ রাজকীয় রত্নগুলোর সঙ্গে রাখা হয়েছে।
দ্য মেরি রোজ
মেরি রোজ ১৫১০ সালে নির্মিত হয়েছিল, ভার্জিন মেরি এবং টিউডর রাজবংশের প্রতীকের জন্য নামকরণ করা হয়েছিল। গুঞ্জন আছে, হেনরি অষ্টম প্রকৃতপক্ষে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ডিজাইন করতে সাহায্য করেছিলেন, যেটি আটটি ভারী কামান বহন করতে পারে। বিপর্যয়ের আগে জাহাজটি ৩৪ বছর ধরে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৫৪৫ সালের ১৯ জুলাই, ফরাসি নৌবহর ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে সোলেন্টে প্রবেশ করে। মেরি রোজ, অন্যান্য ৮০টি ইংরেজ জাহাজের সঙ্গে যাত্রা করেছিল। যুদ্ধজাহাজটি বাঁক নেওয়ার সময় স্টারবোর্ডের দিক থেকে গুলি চালানো শুরু করলে একটি দমকা বাতাস আসে এবং মুহূর্তেই পানি প্রবেশ করে। কয়েক মিনিটের মধ্যে তলিয়ে যায় মেরি রোজ। জাহাজে থাকা ৫০০ জনের মধ্যে মাত্র ৩৫ জন বেঁচে ছিলেন। এর ৪০০ বছর পর ১৯৬৫ সালে, আলেকজান্ডার ম্যাককি এটিকে খুঁজে বের করার লক্ষ্যে প্রজেক্ট সোলেন্ট শিপস উদ্যোগ শুরু করেন। ম্যাককি এবং তাঁর ডুবুরি দল ছয় বছর ধ্বংসস্তূপের সন্ধানে কাটিয়েছে। তাঁদের প্রথম সাফল্য আসে ১৯৬৮ সালে, যখন তাঁরা সমুদ্রতটে একটি অদ্ভুত আকৃতির সন্ধান পায়। তবে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তাঁরা আত্মবিশ্বাসী হতে পারেননি যে, মেরি রোজকেই খুঁজে পেয়েছেন। জাহাজটি পুনরুদ্ধার করার আগে ১১ বছর কেটে যায় সতর্কতার সঙ্গে খনন ও উদ্ধার পরিকল্পনায়।
১৯৮২ সালের ১১ অক্টোবর, মেরি রোজের কাঠাম ধীরে ধীরে জল থেকে বেরিয়ে আসার দৃশ্য যুক্তরাজ্যের লাখ লাখ মানুষ টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার দেখেছিল। বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষণের কাজ করার পর, এটি এখন পোর্টসমাউথের একটি জাদুঘরে রাখা হয়েছে, যেখানে জাহাজ এবং এর সঙ্গে পাওয়া অনেক নিদর্শন উভয়ই দেখা যায়। জাহাজের কিছু অংশ সমুদ্রতটে রয়ে গেছে এবং প্রত্নতাত্ত্বিকেরা এর হারিয়ে যাওয়া সম্পদ খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।

প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
১ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
১ দিন আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ দিন আগে
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান গেয়ে হাস্যরসাত্মক বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
গত সপ্তাহের রোববার সকালে ল্যুভর মিউজিয়াম খোলার পরই চোরেরা একটি ট্রাক মিউজিয়ামের অ্যাপোলো গ্যালারির নিচে থামায়। এই ট্রাকে লাগানো ছিল বোকার কোম্পানির তৈরি একটি ভাঁজযোগ্য মই। দিনের আলোয় তারা সেই মই বেয়ে ওপরে উঠে যায়, জানালা কেটে ভেতরে ঢোকে এবং ডিসপ্লে কেস ভেঙে গয়না চুরি করে।
পুরো অপারেশনটি শেষ করতে চোরদের সময় লেগেছিল মাত্র সাত মিনিট। চুরি হওয়া অলংকারগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দেওয়া একটি পান্না ও হীরার নেকলেস এবং সম্রাজ্ঞী ইউজিনির মুকুট। এই মুকুটে প্রায় ২ হাজার হীরা খচিত।
জার্মানির ডর্টমুন্ডের কাছে অবস্থিত লিফটিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি বোকারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলেক্সান্ডার বোক এবং তাঁর স্ত্রী রোববার খবরটি দেখার সময়ই ব্যবহৃত মইটি চিনতে পারেন।
সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলেক্সান্ডার বোক জানান, তাঁর স্ত্রী, যিনি কোম্পানির বিপণন প্রধানও, তিনিই প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘যখন পরিষ্কার হলো যে চুরির ঘটনায় কেউ আহত হয়নি, তখন আমরা বিষয়টিকে একটু হালকা চালে নিই।’
আলেক্সান্ডার স্বীকার করেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ! সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সর্বাধিক পরিদর্শন করা জাদুঘরটির খ্যাতি কাজে লাগিয়ে আমাদের কোম্পানির জন্য কিছুটা দৃষ্টি আকর্ষণ করার এ-ই সুযোগ।’ তবে তিনি এ-ও স্পষ্ট করেন, ‘এই অপরাধ অবশ্যই নিন্দনীয়, এটা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
এই সুযোগে বোকার দ্রুতই একটি প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ল্যুভরের বাইরে লাগানো সেই মইয়ের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছে: ‘যখন আপনার দ্রুত ফেরার তাড়া থাকে!’
বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তাদের তৈরি ‘Agilo’ নামের ডিভাইসটি ২৩০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক মোটর এবং ‘ফিসফিসানির মতো শান্ত’ শব্দের ইঞ্জিনের সাহায্যে ৪০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত মালপত্র বহন করতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চোরেরা মইটির ডেমোনস্ট্রেশন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল এবং প্রদর্শনের সময়ই এটি তারা চুরি করে নিয়ে যায়। তারা গাড়ির লাইসেন্স প্লেট ও গ্রাহকের লেবেলিং পর্যন্ত সরিয়ে ফেলেছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোকারের পোস্টগুলো সাধারণত ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার বার দেখা হয়। তবে এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে ৪৩ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে। যদিও প্রচারণার প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকে এটিকে ‘স্মার্ট’ ও মজার বলে অভিহিত করেছেন, আবার অনেকে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আলেক্সান্ডার বোক বলেন, তিনি জানেন এটি ‘খুবই সূক্ষ্ম ভেদরেখা’, কিন্তু কেউ আহত না হওয়ায় তাঁরা এই পথে এগিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই প্রচারণার অর্থ অপরাধকে সমর্থন করা নয়।
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা নিঃসন্দেহে সিরিয়াস কোম্পানি। জার্মানিতে আমাদের ৬২০ জন কর্মচারী আছে। সবকিছু জার্মানিতেই তৈরি হয়। আমরা নিরাপত্তার পক্ষে।’

প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান গেয়ে হাস্যরসাত্মক বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
গত সপ্তাহের রোববার সকালে ল্যুভর মিউজিয়াম খোলার পরই চোরেরা একটি ট্রাক মিউজিয়ামের অ্যাপোলো গ্যালারির নিচে থামায়। এই ট্রাকে লাগানো ছিল বোকার কোম্পানির তৈরি একটি ভাঁজযোগ্য মই। দিনের আলোয় তারা সেই মই বেয়ে ওপরে উঠে যায়, জানালা কেটে ভেতরে ঢোকে এবং ডিসপ্লে কেস ভেঙে গয়না চুরি করে।
পুরো অপারেশনটি শেষ করতে চোরদের সময় লেগেছিল মাত্র সাত মিনিট। চুরি হওয়া অলংকারগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দেওয়া একটি পান্না ও হীরার নেকলেস এবং সম্রাজ্ঞী ইউজিনির মুকুট। এই মুকুটে প্রায় ২ হাজার হীরা খচিত।
জার্মানির ডর্টমুন্ডের কাছে অবস্থিত লিফটিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি বোকারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলেক্সান্ডার বোক এবং তাঁর স্ত্রী রোববার খবরটি দেখার সময়ই ব্যবহৃত মইটি চিনতে পারেন।
সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলেক্সান্ডার বোক জানান, তাঁর স্ত্রী, যিনি কোম্পানির বিপণন প্রধানও, তিনিই প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘যখন পরিষ্কার হলো যে চুরির ঘটনায় কেউ আহত হয়নি, তখন আমরা বিষয়টিকে একটু হালকা চালে নিই।’
আলেক্সান্ডার স্বীকার করেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ! সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সর্বাধিক পরিদর্শন করা জাদুঘরটির খ্যাতি কাজে লাগিয়ে আমাদের কোম্পানির জন্য কিছুটা দৃষ্টি আকর্ষণ করার এ-ই সুযোগ।’ তবে তিনি এ-ও স্পষ্ট করেন, ‘এই অপরাধ অবশ্যই নিন্দনীয়, এটা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
এই সুযোগে বোকার দ্রুতই একটি প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ল্যুভরের বাইরে লাগানো সেই মইয়ের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছে: ‘যখন আপনার দ্রুত ফেরার তাড়া থাকে!’
বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তাদের তৈরি ‘Agilo’ নামের ডিভাইসটি ২৩০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক মোটর এবং ‘ফিসফিসানির মতো শান্ত’ শব্দের ইঞ্জিনের সাহায্যে ৪০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত মালপত্র বহন করতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চোরেরা মইটির ডেমোনস্ট্রেশন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল এবং প্রদর্শনের সময়ই এটি তারা চুরি করে নিয়ে যায়। তারা গাড়ির লাইসেন্স প্লেট ও গ্রাহকের লেবেলিং পর্যন্ত সরিয়ে ফেলেছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোকারের পোস্টগুলো সাধারণত ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার বার দেখা হয়। তবে এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে ৪৩ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে। যদিও প্রচারণার প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকে এটিকে ‘স্মার্ট’ ও মজার বলে অভিহিত করেছেন, আবার অনেকে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আলেক্সান্ডার বোক বলেন, তিনি জানেন এটি ‘খুবই সূক্ষ্ম ভেদরেখা’, কিন্তু কেউ আহত না হওয়ায় তাঁরা এই পথে এগিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই প্রচারণার অর্থ অপরাধকে সমর্থন করা নয়।
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা নিঃসন্দেহে সিরিয়াস কোম্পানি। জার্মানিতে আমাদের ৬২০ জন কর্মচারী আছে। সবকিছু জার্মানিতেই তৈরি হয়। আমরা নিরাপত্তার পক্ষে।’

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে এই সম্পদের সন্ধান মেলে। ফলে ঝুঁকি বিবেচনায় এসব গুপ্তধন লন্ডনের একটি অব্যবহৃত আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের গভীরে লুকিয়ে রাখা হয়...
০৭ আগস্ট ২০২২
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
১ দিন আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ দিন আগে
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
এই ঘটনা অনলাইন শপ থেকে কেনা শিশুদের পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিন ধরে পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে কিশোরটিকে নর্থ আইল্যান্ডের টরাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরটি ভর্তির প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি (৫ x ২ মিলিমিটার আকারের) শক্তিশালী নিওডিমিয়াম চুম্বক গিলে ফেলেছিল। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, এই চুম্বকগুলো তার অন্ত্রের ভেতরে চারটি সরলরেখায় জড়ো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, চুম্বকীয় শক্তির কারণে অন্ত্রের বিভিন্ন অংশ একসঙ্গে আটকে যাওয়ায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে টিস্যু মারা যায়।
সার্জনরা দ্রুত অপারেশন করে মৃত টিস্যু অপসারণ করেন এবং আটকে থাকা চুম্বকগুলো বের করে আনেন। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন, কিশোরটির ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের অংশ ক্যাসেম-এর চারটি জায়গায় টিস্যু মারা গিয়েছিল। আট দিন হাসপাতালে থাকার পর শিশুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনের লেখক ড. বিনুরা লেখামালেজ, লুসিন্ডা ডানক্যান-ওয়ার এবং নিকোলা ডেভিস সতর্ক করেছেন, এই ঘটনা কেবল চুম্বক গিলে ফেলার বিপদই নয়, বরং শিশুদের জন্য অনলাইন শপের বিপদকেও তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, এই শক্তিশালী চুম্বকগুলো নিউজিল্যান্ডে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ।
চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, চুম্বক গিলে ফেলার জন্য অস্ত্রোপচার ভবিষ্যতে অন্ত্রে বাধা, পেটে হার্নিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এদিকে, চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট টেমু এই ঘটনা জানার পর দুঃখ প্রকাশ করেছে। একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমরা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছি এবং নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালের লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
টেমু আরও জানায়, তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে চুম্বকগুলো টেমু থেকেই কেনা হয়েছিল কি না। তবে তারা প্রাসঙ্গিক পণ্য তালিকা খতিয়ে দেখছে। অবৈধ পণ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাজারেও টেমু ইতিমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
এই ঘটনা অনলাইন শপ থেকে কেনা শিশুদের পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিন ধরে পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে কিশোরটিকে নর্থ আইল্যান্ডের টরাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরটি ভর্তির প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি (৫ x ২ মিলিমিটার আকারের) শক্তিশালী নিওডিমিয়াম চুম্বক গিলে ফেলেছিল। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, এই চুম্বকগুলো তার অন্ত্রের ভেতরে চারটি সরলরেখায় জড়ো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, চুম্বকীয় শক্তির কারণে অন্ত্রের বিভিন্ন অংশ একসঙ্গে আটকে যাওয়ায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে টিস্যু মারা যায়।
সার্জনরা দ্রুত অপারেশন করে মৃত টিস্যু অপসারণ করেন এবং আটকে থাকা চুম্বকগুলো বের করে আনেন। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন, কিশোরটির ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের অংশ ক্যাসেম-এর চারটি জায়গায় টিস্যু মারা গিয়েছিল। আট দিন হাসপাতালে থাকার পর শিশুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনের লেখক ড. বিনুরা লেখামালেজ, লুসিন্ডা ডানক্যান-ওয়ার এবং নিকোলা ডেভিস সতর্ক করেছেন, এই ঘটনা কেবল চুম্বক গিলে ফেলার বিপদই নয়, বরং শিশুদের জন্য অনলাইন শপের বিপদকেও তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, এই শক্তিশালী চুম্বকগুলো নিউজিল্যান্ডে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ।
চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, চুম্বক গিলে ফেলার জন্য অস্ত্রোপচার ভবিষ্যতে অন্ত্রে বাধা, পেটে হার্নিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এদিকে, চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট টেমু এই ঘটনা জানার পর দুঃখ প্রকাশ করেছে। একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমরা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছি এবং নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালের লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
টেমু আরও জানায়, তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে চুম্বকগুলো টেমু থেকেই কেনা হয়েছিল কি না। তবে তারা প্রাসঙ্গিক পণ্য তালিকা খতিয়ে দেখছে। অবৈধ পণ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাজারেও টেমু ইতিমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে এই সম্পদের সন্ধান মেলে। ফলে ঝুঁকি বিবেচনায় এসব গুপ্তধন লন্ডনের একটি অব্যবহৃত আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের গভীরে লুকিয়ে রাখা হয়...
০৭ আগস্ট ২০২২
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
১ দিন আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ দিন আগে
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আপনি কি আপনার স্ত্রীকে ‘মোটু বা গুলুমুলু’ ডাকেন? তাহলে এখনই সাবধান হয়ে যান। কারণ, তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ওই ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের ওই ব্যক্তি তাঁর মোবাইল ফোনের কনট্যাক্টে স্ত্রীর নাম সেভ করেছিলেন ‘চাবি’ নাম দিয়ে। এই ঘটনাকে আদালত ‘অসম্মানজনক’ ও ‘বিবাহের জন্য ক্ষতিকর’ বলে রায় দিয়েছেন।
পশ্চিম তুরস্কের উশাক প্রদেশের ওই নারী এই ঘটনার পর স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। অন্যদিকে স্বামী পাল্টা মামলা করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁদের সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে, তবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
আদালতের শুনানিতে ওই নারী জানান, তাঁর স্বামী বারবার তাঁকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠাতেন। এক বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘দূর হও, তোমাকে আর দেখতে চাই না।’ আরেকটিতে বলেছিলেন, ‘তোমার মুখ শয়তানকে দেখাও গে।’ এ ছাড়া তিনি নিজের বাবার অস্ত্রোপচারের খরচ বাবদ স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা দাবি করেন।
শুনানির সময় আদালতে সবচেয়ে আলোচিত হয় স্বামীর ফোনে স্ত্রীর নাম ‘তোম্বিক—তুর্কি ভাষার এই শব্দের অর্থ মোটা) নামে সংরক্ষিত থাকার বিষয়টি। ওই নারীর দাবি, এই ডাকনাম তাঁকে অপমান করেছে এবং তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে। আদালত তাঁর দাবিকে সমর্থন করে জানায়, ওই নাম ও বার্তাগুলো ‘মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতা’র শামিল।
অন্যদিকে স্বামী দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী অন্য এক পুরুষকে বাড়িতে এনেছিলেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যক্তি কেবল একটি বই পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে কোনো অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ মেলেনি। আদালত রায়ে বলে, স্বামীর অপমানজনক ভাষা ও অর্থনৈতিক চাপ ছিল আরও গুরুতর। তাই মূল দায় তাঁরই।
তুর্কি আইনে কারও মর্যাদা বা ব্যক্তিগত সম্মান আঘাত করে এমন ভাষা বা আচরণের জন্য, সেটা বার্তা মারফত হোক বা সরাসরি, দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। শেষ পর্যন্ত দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা পরকীয়ার অভিযোগ খারিজ করা হয়। স্বামীকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একজন লিখেছেন, ‘মোটু বা গুলুমুলু ডাক আসলে বেশ মিষ্টি শোনায়। মোটা হওয়া কোনো অপরাধ না, আর মোটা বলে ডাকা সব সময় অপমানও নয়।’ আরেকজন বলেছেন, ‘এটা ন্যায্য রায়। স্বামী তাঁর স্ত্রীকে একের পর এক অপমানজনক বার্তা পাঠিয়েছে—সেখানেই সীমা অতিক্রম করেছে।’ তৃতীয় এক ব্যক্তি মজা করে লিখেছেন, ‘আমার বন্ধুদের নম্বরগুলো এখনই যাচাই করব, যেন কোনো আপত্তিকর কিছু না থাকে।’
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। গত মে মাসে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক ব্যক্তি প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন। কারণ, প্রেমিকার ফোনটি তাঁদের প্রথমবার একসঙ্গে যাওয়া এক হোটেলের কামরায় ওয়াইফাইয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয়ে যায়।
এর ফলে ওই পুরুষি মনে করেন, এর মানে ওই নারী আগে অন্য কারও সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে প্রতারণা করেছেন। অপমানিত হয়ে ওউ নারী স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য।

আপনি কি আপনার স্ত্রীকে ‘মোটু বা গুলুমুলু’ ডাকেন? তাহলে এখনই সাবধান হয়ে যান। কারণ, তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ওই ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের ওই ব্যক্তি তাঁর মোবাইল ফোনের কনট্যাক্টে স্ত্রীর নাম সেভ করেছিলেন ‘চাবি’ নাম দিয়ে। এই ঘটনাকে আদালত ‘অসম্মানজনক’ ও ‘বিবাহের জন্য ক্ষতিকর’ বলে রায় দিয়েছেন।
পশ্চিম তুরস্কের উশাক প্রদেশের ওই নারী এই ঘটনার পর স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। অন্যদিকে স্বামী পাল্টা মামলা করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁদের সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে, তবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
আদালতের শুনানিতে ওই নারী জানান, তাঁর স্বামী বারবার তাঁকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠাতেন। এক বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘দূর হও, তোমাকে আর দেখতে চাই না।’ আরেকটিতে বলেছিলেন, ‘তোমার মুখ শয়তানকে দেখাও গে।’ এ ছাড়া তিনি নিজের বাবার অস্ত্রোপচারের খরচ বাবদ স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা দাবি করেন।
শুনানির সময় আদালতে সবচেয়ে আলোচিত হয় স্বামীর ফোনে স্ত্রীর নাম ‘তোম্বিক—তুর্কি ভাষার এই শব্দের অর্থ মোটা) নামে সংরক্ষিত থাকার বিষয়টি। ওই নারীর দাবি, এই ডাকনাম তাঁকে অপমান করেছে এবং তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে। আদালত তাঁর দাবিকে সমর্থন করে জানায়, ওই নাম ও বার্তাগুলো ‘মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতা’র শামিল।
অন্যদিকে স্বামী দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী অন্য এক পুরুষকে বাড়িতে এনেছিলেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যক্তি কেবল একটি বই পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে কোনো অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ মেলেনি। আদালত রায়ে বলে, স্বামীর অপমানজনক ভাষা ও অর্থনৈতিক চাপ ছিল আরও গুরুতর। তাই মূল দায় তাঁরই।
তুর্কি আইনে কারও মর্যাদা বা ব্যক্তিগত সম্মান আঘাত করে এমন ভাষা বা আচরণের জন্য, সেটা বার্তা মারফত হোক বা সরাসরি, দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। শেষ পর্যন্ত দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা পরকীয়ার অভিযোগ খারিজ করা হয়। স্বামীকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একজন লিখেছেন, ‘মোটু বা গুলুমুলু ডাক আসলে বেশ মিষ্টি শোনায়। মোটা হওয়া কোনো অপরাধ না, আর মোটা বলে ডাকা সব সময় অপমানও নয়।’ আরেকজন বলেছেন, ‘এটা ন্যায্য রায়। স্বামী তাঁর স্ত্রীকে একের পর এক অপমানজনক বার্তা পাঠিয়েছে—সেখানেই সীমা অতিক্রম করেছে।’ তৃতীয় এক ব্যক্তি মজা করে লিখেছেন, ‘আমার বন্ধুদের নম্বরগুলো এখনই যাচাই করব, যেন কোনো আপত্তিকর কিছু না থাকে।’
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। গত মে মাসে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক ব্যক্তি প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন। কারণ, প্রেমিকার ফোনটি তাঁদের প্রথমবার একসঙ্গে যাওয়া এক হোটেলের কামরায় ওয়াইফাইয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয়ে যায়।
এর ফলে ওই পুরুষি মনে করেন, এর মানে ওই নারী আগে অন্য কারও সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে প্রতারণা করেছেন। অপমানিত হয়ে ওউ নারী স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে এই সম্পদের সন্ধান মেলে। ফলে ঝুঁকি বিবেচনায় এসব গুপ্তধন লন্ডনের একটি অব্যবহৃত আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের গভীরে লুকিয়ে রাখা হয়...
০৭ আগস্ট ২০২২
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
১ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
১ দিন আগে
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
মঙ্গলবার এনডিটিভি জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল বেশ কিছু দিন আগে ঘটলেও সম্প্রতি প্রকাশিত একটি তদন্ত প্রতিবেদন এই মৃত্যুর ভয়াবহ অবহেলাটিকে সামনে এনেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রিস্টিয়ান একটি রাইডিং মাওয়ার চালানোর সময় পড়ে যায় এবং তখনই তাকে একটি ব্রাউন স্নেক ছোবল দেয়। এটি বিশ্বের অন্যতম মারাত্মক বিষধর সাপ। কামড়ের পর ট্রিস্টিয়ানের বাবা কেরড ফ্রাহাম ও আরও দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কামড়ের দাগ খুঁজলেও স্পষ্ট কিছু না পেয়ে বিষয়টিকে হালকাভাবে নেন। কেরড মনে করেছিলেন, ছেলে হয়তো মদ্যপ ছিল, তাই অসুস্থ দেখাচ্ছে। পরে তিনি ছেলেকে বলেন, ‘ঘুমিয়ে নাও, সকালে ভালো লাগবে।’
কিন্তু পরদিন সকালেই ট্রিস্টিয়ানকে বাড়ির বাইরে একটি স্লিপিং ব্যাগের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তে দেখা যায়, তার ডান গোড়ালিতে দুটি চিহ্ন ছিল, যা সাপের কামড়ের সঙ্গে মিলে যায়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ব্রাউন স্নেকের বিষে তার দেহে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল।
করনারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যদি ট্রিস্টিয়ান সময়মতো চিকিৎসা পেত, তবে তার মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হতো।’
এই ঘটনাটি সাপের কামড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে।
এদিকে কেরড ফ্রাহামের বিরুদ্ধে প্রথমে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হলেও গত বছর সেই মামলা রহস্যজনকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
মঙ্গলবার এনডিটিভি জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল বেশ কিছু দিন আগে ঘটলেও সম্প্রতি প্রকাশিত একটি তদন্ত প্রতিবেদন এই মৃত্যুর ভয়াবহ অবহেলাটিকে সামনে এনেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রিস্টিয়ান একটি রাইডিং মাওয়ার চালানোর সময় পড়ে যায় এবং তখনই তাকে একটি ব্রাউন স্নেক ছোবল দেয়। এটি বিশ্বের অন্যতম মারাত্মক বিষধর সাপ। কামড়ের পর ট্রিস্টিয়ানের বাবা কেরড ফ্রাহাম ও আরও দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কামড়ের দাগ খুঁজলেও স্পষ্ট কিছু না পেয়ে বিষয়টিকে হালকাভাবে নেন। কেরড মনে করেছিলেন, ছেলে হয়তো মদ্যপ ছিল, তাই অসুস্থ দেখাচ্ছে। পরে তিনি ছেলেকে বলেন, ‘ঘুমিয়ে নাও, সকালে ভালো লাগবে।’
কিন্তু পরদিন সকালেই ট্রিস্টিয়ানকে বাড়ির বাইরে একটি স্লিপিং ব্যাগের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তে দেখা যায়, তার ডান গোড়ালিতে দুটি চিহ্ন ছিল, যা সাপের কামড়ের সঙ্গে মিলে যায়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ব্রাউন স্নেকের বিষে তার দেহে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল।
করনারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যদি ট্রিস্টিয়ান সময়মতো চিকিৎসা পেত, তবে তার মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হতো।’
এই ঘটনাটি সাপের কামড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে।
এদিকে কেরড ফ্রাহামের বিরুদ্ধে প্রথমে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হলেও গত বছর সেই মামলা রহস্যজনকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে এই সম্পদের সন্ধান মেলে। ফলে ঝুঁকি বিবেচনায় এসব গুপ্তধন লন্ডনের একটি অব্যবহৃত আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের গভীরে লুকিয়ে রাখা হয়...
০৭ আগস্ট ২০২২
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
১ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
১ দিন আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ দিন আগে