আজকের পত্রিকা ডেস্ক
চীনের পূর্বাঞ্চলের হংঝো শহরে এক যুবক একটি জিমের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, জিমের মালিক তাঁর কাছ থেকে প্রায় ৯ লাখ (৮ লাখ ৭১ হাজার ২৭৩) ইউয়ান নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন। জিন নামের ওই ব্যক্তির অভিযোগ, তিনি ৩০০ বছরের জন্য সদস্যপদ নিয়েছিলেন!
হংকং থেকে প্রকাশিত সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, জিন জানান—তিনি হংঝো শহরের বিনজিয়াং জেলায় অবস্থিত রানইয়ান জিমের সঙ্গে ২৬টি চুক্তি করেছিলেন। এসব চুক্তির মধ্যে ছিল একাধিক সদস্যপদ ও ব্যক্তিগত কোচিং সেশন। জিন স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে এই কেলেঙ্কারি ফাঁস করেছেন।
জিন বলেন, ‘১০ মে থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত আমি জিমের প্রায় ১ হাজার ২০০টি কোচিং লেসন ও সদস্যপদ কিনেছি। এসব লেসন ও সদস্যপদের মোট মেয়াদ ৩০০ বছর এবং খরচ হয়েছে ৮ লাখ ৭১ হাজার ২৭৩ ইউয়ান।’ তিনি আরও জানান, তিনি ৩ বছর ধরে এই জিমে ব্যয়াম করছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি টাকা।
জিনের আরও জানান, গত ৯ মে জিমের এক বিক্রয় কর্মকর্তা তাঁকে জানিয়েছিলেন, চলতি গ্রাহকদের জন্য একটি বিশেষ প্রমোশন চলছে। এক বছরের সদস্যপদ কার্ড ৮ হাজার ৮৮৮ ইউয়ানে কিনলে জিম সেটি নতুন গ্রাহকদের কাছে ১৬ হাজার ৬৬৬ ইউয়ানে বিক্রি করতে পারবেন। বিক্রয়কর্মী জানিয়েছিলেন, এই বিক্রির ১০ শতাংশ লাভ জিম রাখবে, বাকি টাকা গ্রাহকের হবে।
প্রথমে জিন সন্দিহান ছিলেন, কিন্তু বিক্রয়কর্মী তাঁকে আশ্বস্ত করেন। জিন বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন, যদি দুই মাসের মধ্যে বিক্রি না হয়, সব টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’
বেশি মুনাফার লোভে জিন প্রথমে দুটি সদস্যপদ কার্ড কেনেন। পরে বিক্রয়কর্মীদের প্রলোভনে আরও সদস্যপদ কার্ড ও ব্যক্তিগত কোচিং সেশন কিনতে থাকেন। তাঁর খরচ হয়ে যায় ৩ লাখ ইউয়ান (প্রায় ৪২ হাজার ডলার)।
জুলাইয়ের ১৫ তারিখে জিম থেকে মূলধনের কিছু অংশ ফেরত পাওয়ার কথা ছিল জিনের। কিন্তু টাকা না পেয়ে জিন জিজ্ঞেস করলে বিক্রয় কর্মকর্তা জানায়, জিমের অর্থ বিভাগ লেনদেনটি যাচাই করছে। এরপর জুলাইয়ের শেষের দিকে জিন জানতে পারেন, জিমের ব্যবস্থাপনা এবং সব বিক্রয়কর্মী উধাও!
ঝেজিয়াং টিভি অনুসন্ধান করে দেখেছে, জিমটি এখনো খোলা। তবে শুধু রিসেপশন ও প্রশাসনিক কর্মীরা আছেন। জিন জানান, পরে তিনি লক্ষ্য করেন, চুক্তিপত্রে বিক্রয় কর্মকর্তার প্রতিশ্রুত রিটার্নের কোনো উল্লেখ নেই। এ ছাড়া চুক্তিতে লেখা ছিল, সদস্যপদ কার্ড অন্য কাউকে হস্তান্তর করা যাবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি স্বীকার করি, আমি প্রভাবিত হয়েছি। আমি বিশ্বাস করেছিলাম, আমি মাত্র এক ধাপ দূরে ছিলাম আমার টাকা ফেরত পাওয়ার।’ জিন আরও জানিয়েছেন, তিনি ব্যয়াম করতে ভালোবাসেন এবং সদস্যপদ ও লেসনগুলোকে ‘স্বাস্থ্য বিনিয়োগ’ হিসেবে দেখেন। তিনি বলেন, ‘আমি আসলে ৩০০ বছর ব্যবহার করার আশা করিনি। আমার চোখে এটি ছিল স্বাস্থ্য সম্পর্কে একটি প্রতিশ্রুতি।’
তাঁর এই অভিজ্ঞতা চীনের সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। একজন অনলাইন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘তিনি জিম কার্ড কিনলেন তাঁর নাতি-নাতনিদের জন্য!’ অন্যজন মন্তব্য করেছেন, ‘যখন একজন ব্যক্তির সম্পদ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটে না, তখন অতিরিক্ত সম্পদ কোনো না কোনোভাবে সমাজের কাছে ফিরে আসে।’
চীনের পূর্বাঞ্চলের হংঝো শহরে এক যুবক একটি জিমের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, জিমের মালিক তাঁর কাছ থেকে প্রায় ৯ লাখ (৮ লাখ ৭১ হাজার ২৭৩) ইউয়ান নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন। জিন নামের ওই ব্যক্তির অভিযোগ, তিনি ৩০০ বছরের জন্য সদস্যপদ নিয়েছিলেন!
হংকং থেকে প্রকাশিত সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, জিন জানান—তিনি হংঝো শহরের বিনজিয়াং জেলায় অবস্থিত রানইয়ান জিমের সঙ্গে ২৬টি চুক্তি করেছিলেন। এসব চুক্তির মধ্যে ছিল একাধিক সদস্যপদ ও ব্যক্তিগত কোচিং সেশন। জিন স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে এই কেলেঙ্কারি ফাঁস করেছেন।
জিন বলেন, ‘১০ মে থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত আমি জিমের প্রায় ১ হাজার ২০০টি কোচিং লেসন ও সদস্যপদ কিনেছি। এসব লেসন ও সদস্যপদের মোট মেয়াদ ৩০০ বছর এবং খরচ হয়েছে ৮ লাখ ৭১ হাজার ২৭৩ ইউয়ান।’ তিনি আরও জানান, তিনি ৩ বছর ধরে এই জিমে ব্যয়াম করছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি টাকা।
জিনের আরও জানান, গত ৯ মে জিমের এক বিক্রয় কর্মকর্তা তাঁকে জানিয়েছিলেন, চলতি গ্রাহকদের জন্য একটি বিশেষ প্রমোশন চলছে। এক বছরের সদস্যপদ কার্ড ৮ হাজার ৮৮৮ ইউয়ানে কিনলে জিম সেটি নতুন গ্রাহকদের কাছে ১৬ হাজার ৬৬৬ ইউয়ানে বিক্রি করতে পারবেন। বিক্রয়কর্মী জানিয়েছিলেন, এই বিক্রির ১০ শতাংশ লাভ জিম রাখবে, বাকি টাকা গ্রাহকের হবে।
প্রথমে জিন সন্দিহান ছিলেন, কিন্তু বিক্রয়কর্মী তাঁকে আশ্বস্ত করেন। জিন বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন, যদি দুই মাসের মধ্যে বিক্রি না হয়, সব টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’
বেশি মুনাফার লোভে জিন প্রথমে দুটি সদস্যপদ কার্ড কেনেন। পরে বিক্রয়কর্মীদের প্রলোভনে আরও সদস্যপদ কার্ড ও ব্যক্তিগত কোচিং সেশন কিনতে থাকেন। তাঁর খরচ হয়ে যায় ৩ লাখ ইউয়ান (প্রায় ৪২ হাজার ডলার)।
জুলাইয়ের ১৫ তারিখে জিম থেকে মূলধনের কিছু অংশ ফেরত পাওয়ার কথা ছিল জিনের। কিন্তু টাকা না পেয়ে জিন জিজ্ঞেস করলে বিক্রয় কর্মকর্তা জানায়, জিমের অর্থ বিভাগ লেনদেনটি যাচাই করছে। এরপর জুলাইয়ের শেষের দিকে জিন জানতে পারেন, জিমের ব্যবস্থাপনা এবং সব বিক্রয়কর্মী উধাও!
ঝেজিয়াং টিভি অনুসন্ধান করে দেখেছে, জিমটি এখনো খোলা। তবে শুধু রিসেপশন ও প্রশাসনিক কর্মীরা আছেন। জিন জানান, পরে তিনি লক্ষ্য করেন, চুক্তিপত্রে বিক্রয় কর্মকর্তার প্রতিশ্রুত রিটার্নের কোনো উল্লেখ নেই। এ ছাড়া চুক্তিতে লেখা ছিল, সদস্যপদ কার্ড অন্য কাউকে হস্তান্তর করা যাবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি স্বীকার করি, আমি প্রভাবিত হয়েছি। আমি বিশ্বাস করেছিলাম, আমি মাত্র এক ধাপ দূরে ছিলাম আমার টাকা ফেরত পাওয়ার।’ জিন আরও জানিয়েছেন, তিনি ব্যয়াম করতে ভালোবাসেন এবং সদস্যপদ ও লেসনগুলোকে ‘স্বাস্থ্য বিনিয়োগ’ হিসেবে দেখেন। তিনি বলেন, ‘আমি আসলে ৩০০ বছর ব্যবহার করার আশা করিনি। আমার চোখে এটি ছিল স্বাস্থ্য সম্পর্কে একটি প্রতিশ্রুতি।’
তাঁর এই অভিজ্ঞতা চীনের সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। একজন অনলাইন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘তিনি জিম কার্ড কিনলেন তাঁর নাতি-নাতনিদের জন্য!’ অন্যজন মন্তব্য করেছেন, ‘যখন একজন ব্যক্তির সম্পদ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটে না, তখন অতিরিক্ত সম্পদ কোনো না কোনোভাবে সমাজের কাছে ফিরে আসে।’
বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
৪ দিন আগেউত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে
৫ দিন আগেথাইল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় চনবুরি প্রদেশে গত সোমবার (৬ অক্টোবর) শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জল-মহিষ উৎসব। শতাধিক বছরের পুরোনো এই উৎসবের লক্ষ্য হলো—মহিষদের সম্মান জানানো ও কৃষিক্ষেত্রে তাঁদের বিলুপ্তি রোধ করা। যন্ত্রচালিত কৃষিকাজে ট্রাক্টরের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে বর্তমানে মহিষের অবদান অনেকটাই কমে...
৭ দিন আগেভারতের উত্তর প্রদেশের সীতাপুর জেলায় এক স্বামীর অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনার ঝড়। লোধসা গ্রামের বাসিন্দা মেরাজ নামের ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, তাঁর স্ত্রী নাসিমুন প্রতিরাতে সাপের রূপ ধারণ করে এবং তাঁকে কামড়ানোর চেষ্টা করে। অদ্ভুত এই অভিযোগে রীতিমতো হতবাক স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ...
৮ দিন আগে