ইমরান খান
বিমান, হেলিকপ্টার বা স্পিডবোট নয়; সামান্য ট্রলারে চড়ে স্বয়ং এমপি এসেছেন বানভাসির দুয়ারে। এই আনন্দের উচ্ছ্বাস তাৎক্ষণিক সামলে নেওয়া কি গ্রামের বোকাসোকা মানুষের কাজ? এমপি মহোদয়ের খাতির যত্নে পড়ে গেল হুড়োহুড়ি। এই হুড়োহুড়ি কাছে বাঁধ মেরামত কি এমন জরুরি কাজ! তাইতো বাঁধের কাজ রেখে ছুটে এলেন নানা শ্রেণি, পেশার—কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ।
কত দিন পরে নেতার মুখদর্শন। সেই মুখ পুড়ছে রোদে। এই দৃশ্য কি আর সহ্য করা যায়? এমপি বাসা থেকে বেরোনোর সময় তাড়াহুড়োয় সানস্ক্রিন দিতে ভুলে গেছেন। তাই এমন দৃশ্য সইতে না পেরে তাঁর উদ্দেশ্যে দোআঁশ সানস্ক্রিন এগিয়ে দেন নরম মনের কয়রাবাসী।
এসি রুম রেখে জনতার এমপি এসেছেন কাদা-জলে। ভোটারদের জন্য এ কি কম আনন্দের? এই আনন্দে আত্মহারা হয়ে গ্রামের বোকাসোকা লোকজন কি থেকে কি করে ফেলেছে হয়তো নিজেরাই বুঝতে পারেনি। তবে এলাকার দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য মেনে কাঁদা ছুড়ে সংবর্ধনা জানাতে কিন্তু তাঁরা ভুল করেনি।
কিন্তু এত আদরের নেতার উদ্দেশ্যে ছুড়ে দেওয়া মৌখিক ও কর্দমাক্ত শুভেচ্ছার মাত্রা সইতে না পেরে উল্টো পথে গেলেন। শুধু কর্দমা সংবর্ধনায় সম্মান দেখানো পূর্ণতা না পেলে অবুঝ আমজনতারই বা কি করার আছে, বলুন। তাঁদের কাছে তো তাৎক্ষণিকভাবে আর কিছু ছিল না।
এই দফার আদরে কিন্তু সিক্ত হয়েছে এমপি মহোদয়ের হৃদয় মোবারক। তবে সম্মান প্রদর্শন অস্বীকার করায় কয়রার মানুষের হৃদয়ে আজ রক্তক্ষরণ। হাতের পুরো জোর দিয়েই তো সবাই শ্রদ্ধাঞ্জলি ছুড়েছে। চেষ্টায় ত্রুটি না থাকার প্রমাণ তো ভিডিওতেই আছে।
গণমাধ্যম মাঝখানে বাগড়া না দিলে তো হয়েই গেল। কেন ভাই, বাঁধ মেরামতের মাঝেও কেন ক্যামেরা নিয়ে আসতে হবে। তবে, জনতার এমপিদের সম্মান তো আর কচু পাতার পানি না যে, হালকা বাতাসেই পরে গেল। শুধু কাদাঞ্জলি কেন, কাদার জায়গায় অন্য কিছু ছুড়লেও সম্মান একটুও কমতো না। তবে করুণা করে হলেও নেতাকে কিন্তু কোদাল হাতে দুই-চারটা ছবি তোলার সুযোগ দেওয়াই যেত।
কুম্ভীলকবৃত্তির অকালে এই সংবর্ধনার সংস্কৃতি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লেও প্রথম স্থান কিন্তু কয়রারই। এমন অর্জনে অনন্য অবদান রাখায় রাজপথের এমপি মহোদয়কে কর্দমাক্ত ক্রেস্ট ও কর্দমাসিক্ত উত্তরীয় পরিয়ে সংবর্ধনা দিতেই হয়।
বিমান, হেলিকপ্টার বা স্পিডবোট নয়; সামান্য ট্রলারে চড়ে স্বয়ং এমপি এসেছেন বানভাসির দুয়ারে। এই আনন্দের উচ্ছ্বাস তাৎক্ষণিক সামলে নেওয়া কি গ্রামের বোকাসোকা মানুষের কাজ? এমপি মহোদয়ের খাতির যত্নে পড়ে গেল হুড়োহুড়ি। এই হুড়োহুড়ি কাছে বাঁধ মেরামত কি এমন জরুরি কাজ! তাইতো বাঁধের কাজ রেখে ছুটে এলেন নানা শ্রেণি, পেশার—কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ।
কত দিন পরে নেতার মুখদর্শন। সেই মুখ পুড়ছে রোদে। এই দৃশ্য কি আর সহ্য করা যায়? এমপি বাসা থেকে বেরোনোর সময় তাড়াহুড়োয় সানস্ক্রিন দিতে ভুলে গেছেন। তাই এমন দৃশ্য সইতে না পেরে তাঁর উদ্দেশ্যে দোআঁশ সানস্ক্রিন এগিয়ে দেন নরম মনের কয়রাবাসী।
এসি রুম রেখে জনতার এমপি এসেছেন কাদা-জলে। ভোটারদের জন্য এ কি কম আনন্দের? এই আনন্দে আত্মহারা হয়ে গ্রামের বোকাসোকা লোকজন কি থেকে কি করে ফেলেছে হয়তো নিজেরাই বুঝতে পারেনি। তবে এলাকার দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য মেনে কাঁদা ছুড়ে সংবর্ধনা জানাতে কিন্তু তাঁরা ভুল করেনি।
কিন্তু এত আদরের নেতার উদ্দেশ্যে ছুড়ে দেওয়া মৌখিক ও কর্দমাক্ত শুভেচ্ছার মাত্রা সইতে না পেরে উল্টো পথে গেলেন। শুধু কর্দমা সংবর্ধনায় সম্মান দেখানো পূর্ণতা না পেলে অবুঝ আমজনতারই বা কি করার আছে, বলুন। তাঁদের কাছে তো তাৎক্ষণিকভাবে আর কিছু ছিল না।
এই দফার আদরে কিন্তু সিক্ত হয়েছে এমপি মহোদয়ের হৃদয় মোবারক। তবে সম্মান প্রদর্শন অস্বীকার করায় কয়রার মানুষের হৃদয়ে আজ রক্তক্ষরণ। হাতের পুরো জোর দিয়েই তো সবাই শ্রদ্ধাঞ্জলি ছুড়েছে। চেষ্টায় ত্রুটি না থাকার প্রমাণ তো ভিডিওতেই আছে।
গণমাধ্যম মাঝখানে বাগড়া না দিলে তো হয়েই গেল। কেন ভাই, বাঁধ মেরামতের মাঝেও কেন ক্যামেরা নিয়ে আসতে হবে। তবে, জনতার এমপিদের সম্মান তো আর কচু পাতার পানি না যে, হালকা বাতাসেই পরে গেল। শুধু কাদাঞ্জলি কেন, কাদার জায়গায় অন্য কিছু ছুড়লেও সম্মান একটুও কমতো না। তবে করুণা করে হলেও নেতাকে কিন্তু কোদাল হাতে দুই-চারটা ছবি তোলার সুযোগ দেওয়াই যেত।
কুম্ভীলকবৃত্তির অকালে এই সংবর্ধনার সংস্কৃতি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লেও প্রথম স্থান কিন্তু কয়রারই। এমন অর্জনে অনন্য অবদান রাখায় রাজপথের এমপি মহোদয়কে কর্দমাক্ত ক্রেস্ট ও কর্দমাসিক্ত উত্তরীয় পরিয়ে সংবর্ধনা দিতেই হয়।
ডেনমার্কের একটি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সেখানকার মাংসাশী প্রাণীদের খাদ্য হিসেবে ছোট পোষা প্রাণী দান করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
১ দিন আগেচীনের ঐতিহ্যবাহী শাওলিন মঠে নতুন বিধিনিষেধ চালু হওয়ার পর ৩০ জনেরও বেশি সন্ন্যাসী ও কর্মচারী মঠ ছেড়ে চলে গেছেন। নতুন নিযুক্ত মঠাধ্যক্ষ শি ইয়েইনলে কঠোর নিয়ম চালু করায় এই পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। নতুন নিয়মে মোবাইল ব্যবহারের সময় কমানো, কঠোর খাদ্যাভ্যাস এবং দীর্ঘ কর্মঘণ্টা বাধ্যতামূলক করা...
১ দিন আগেবিশ্বের সবচেয়ে বড় হাঁ বা ‘সবচেয়ে বড় মুখ খোলার’ রেকর্ড নিজের দখলে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার তরুণ আইজ্যাক জনসন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মুখ খোলা অবস্থায় তাঁর ওপরের দাঁত থেকে নিচের দাঁত পর্যন্ত দূরত্ব ১০ দশমিক ১৯৬ সেন্টিমিটার বা ৪ দশমিক ০১৪ ইঞ্চি, যা একটি বেসবলের...
৩ দিন আগেফ্রান্সের হাউত-ভোজ এলাকায় কয়েকজন কৃষক নিজেদের জমিতে অবৈধভাবে বসতি গড়ে তোলা স্কোয়াটারদের (যাযাবর গোষ্ঠী) তাড়াতে এক অদ্ভুত ও তীব্র পন্থা গ্রহণ করেছেন। তাঁরা ট্র্যাক্টরের সাহায্যে মল ও পানি মিশিয়ে একধরনের তরল বর্জ্য স্কোয়াটারদের ক্যারাভ্যানের (গাড়ির বহর) ওপর ছিটিয়ে দিয়েছেন। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক...
৪ দিন আগে