ডিজনিল্যান্ড শিশুদের এক আনন্দরাজ্য। এর মজার মজার সব রাইডে চড়তে এবং ভেতরে ঘুরে বেড়াতে শিশুদের পাশাপাশি ভালোবাসেন বড়রাও। ১৯৫৫ সালের আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যানাহেইমে প্রথমবারের মতো দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ডিজনিল্যান্ড।
১৬০ একর এলাকায় ডিজনিল্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেন অ্যানিমেশন জগতের জাদুকর ওয়াল্ট ডিজনি। এর পেছনে খরচ হয় এক কোটি ৭০ লাখ ডলার বা প্রায় ২০০ কোটি টাকা। অনেকে এর সাফল্য নিয়ে সন্দিহান হলেও দ্রুতই এটি মন জয় করে নেয় শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী মানুষের, দেখে লাভের মুখ। বর্তমানে বছরে এক কোটি ৮০ লাখের বেশি দর্শক আসেন এখানে, খরচ করেন ৩০০ কোটি ডলারের বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে ১৯০১ সালে জন্ম ওয়াল্ট ডিজনির। কিছুদিন শিল্পী হিসেবে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন কাজ করার পর অ্যানিমেটেড কার্টুন তৈরিতে মন দেন। লস অ্যাঞ্জেলসে একটি স্টুডিও স্থাপন করেন। ১৯২৮ সালে তাঁর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র স্টিমবোট উইলিতে আত্মপ্রকাশ ঘটে মিকি মাউস চরিত্রটির। দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা পেতে সময় লাগেনি চরিত্রটির।
এটি ছিল প্রথম অ্যানিমেটেড ছবি যেখানে শব্দ ব্যবহার করা হয়। মিকির কণ্ঠ দিয়েছিলেন ওয়াল্ট ডিজনি স্বয়ং। তারপর থেকে ডিজনি কার্টুনগুলির চাহিদা হু হু করে বাড়তে থাকে। কিন্তু শৈল্পিক দিক থেকে নিখুঁত এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা করায় কোম্পানিটি আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই যাচ্ছিল।
ডিজনির প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য কার্টুন স্নো হোয়াইট অ্যান্ড সেভেন ডুয়ার্ফের (১৯৩৮) কাজ করতে সময় নেন তিন বছর। এটি বাণিজ্যিকভাবে দারুণ সফলতা পায়। এরপর একে একে মুক্তি পায় পিনোকিও (১৯৪০), ডাম্বো (১৯৪১) এবং বাম্বি (১৯৪২)।
১৯৪৬ সালে মুক্তি পাওয়া সং অব দ্য সাউথে বাস্তবের শিল্পীদের সঙ্গে অ্যানিমেটেড চরিত্রদের আশ্চর্য এক সমন্বয় ঘটান। প্রথম মুভি স্টুডিও হিসেবে টেলিভিশনর জন্য সরাসরি চলচ্চিত্র তৈরি করে ডিজনি।
১৯৫০-র দশকের গোড়ার দিকে লস অ্যাঞ্জেলসের কাছে বিশাল একটি অ্যামিউজম্যান্ট বা বিনোদন পার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা শুরু করেন। তিনি চেয়েছিলেন এমন একটি কিছু করতে যেখানে বিনোদনের পাশাপাশি শেখারও সুযোগ থাকবে। আর শিশুদের পাশাপাশি তাঁদের মা-বাবাদেরও আকৃষ্ট করবে এটি।
এ লক্ষ্যে লস অ্যাঞ্জেলসের ২৫ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে অরেঞ্জ কাউন্টির অ্যানাহেইমের খামার এলাকায় কেনা হলো জমি। ১৯৫৪ সালে শুরু হলো ওয়াল্ট ডিজনির সাধের বিনোদন পার্ক নির্মাণের কাজ। ১৯৫৫ সালের গ্রীষ্মে নির্বাচিত কিছু অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হলো ১৭ জুলাইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য।
দুর্ভাগ্যবশত, পাসটি জাল হয়ে যায় এবং খোলার দিনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এমন হাজার হাজার মানুষ ডিজনিল্যান্ডে ঢুকে পড়ে। কিন্তু এত সাধারণ জনতার জন্য প্রস্তুত ছিল না পার্কটি। খাবার ও পানীয়ে টান পড়ে, মার্ক টোয়েন নামের স্টিমবোটটি অতিরিক্ত মানুষে ঠেসে থাকায় ডোবার উপক্রম হয়।
তবে দ্রুতই প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে ডিজনিল্যান্ড। ক্যাসল, মি. টোড’স ওয়াইল্ড রাইড, স্নো হোয়াইট’স অ্যাডভেঞ্চারস, স্পেস স্টেশন, জাঙ্গল ক্রুজের মতো রাইডগুলো বিপুল শিশু এবং তাঁদের মা-বাবাকে টেনে আনে পার্কটিতে। বিশেষ অনুষ্ঠান এবং নতুন নতুন সব আকর্ষণীয় রাইড বা শৈল্পিক স্থাপনা বারবার তাঁদের আসতে বাধ্য করে পার্কটিতে।
১৯৬৫ সালে ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোর কাছে আরও বড় একটি ডিজনি থিম পার্ক ও রিসোর্ট তৈরির কাজ শুরু হয়। তবে পরের বছর অর্থাৎ ১৯৬৬ সালের ডিসেম্বরে মারা যান ডিজনি। ১৯৭১ সালের ১ অক্টোবর তাঁর সম্মানে চালু হয় অরল্যান্ডোর ডিজনি ওয়ার্ল্ড। দ্রুত এটি পরিণত হয় ফ্লোরিডার সবচেয়ে বেশি পর্যটক আকর্ষী বিনোদন কেন্দ্রে।
১৯৮৩ সালে জাপানে উদ্বোধন হয় ডিজনিল্যান্ড টোকিওর, আর ১৯৯২ সালে যাত্রা শুরু হয় ডিজনিল্যান্ড প্যারিস বা ইউরোডিজনির। এদিকে ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে হংকংয়ে দ্বার খুলে ডিজনিল্যান্ডের এবং চীনের সাংহাই ডিজনিল্যান্ডের যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালে।
ডিজনিল্যান্ড অনেকের কাছেই এক আবেগের নাম। যেমন ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা ডুগ মার্শা। তিনি জানান, ১৯৯০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি গিয়েছেন ডিজনিল্যান্ডে। একটা সময় প্রতিদিন যেতেন। বয়স হওয়ার পরও দুই সপ্তাহে অন্তত একবার প্রিয় জায়গাটিতে না গেলে চলেই না তাঁর।
সূত্র: হিস্ট্রি ডট কম, উইকিপিডিয়া, ডয়চে ভেলে
ডিজনিল্যান্ড শিশুদের এক আনন্দরাজ্য। এর মজার মজার সব রাইডে চড়তে এবং ভেতরে ঘুরে বেড়াতে শিশুদের পাশাপাশি ভালোবাসেন বড়রাও। ১৯৫৫ সালের আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যানাহেইমে প্রথমবারের মতো দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ডিজনিল্যান্ড।
১৬০ একর এলাকায় ডিজনিল্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেন অ্যানিমেশন জগতের জাদুকর ওয়াল্ট ডিজনি। এর পেছনে খরচ হয় এক কোটি ৭০ লাখ ডলার বা প্রায় ২০০ কোটি টাকা। অনেকে এর সাফল্য নিয়ে সন্দিহান হলেও দ্রুতই এটি মন জয় করে নেয় শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী মানুষের, দেখে লাভের মুখ। বর্তমানে বছরে এক কোটি ৮০ লাখের বেশি দর্শক আসেন এখানে, খরচ করেন ৩০০ কোটি ডলারের বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে ১৯০১ সালে জন্ম ওয়াল্ট ডিজনির। কিছুদিন শিল্পী হিসেবে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন কাজ করার পর অ্যানিমেটেড কার্টুন তৈরিতে মন দেন। লস অ্যাঞ্জেলসে একটি স্টুডিও স্থাপন করেন। ১৯২৮ সালে তাঁর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র স্টিমবোট উইলিতে আত্মপ্রকাশ ঘটে মিকি মাউস চরিত্রটির। দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা পেতে সময় লাগেনি চরিত্রটির।
এটি ছিল প্রথম অ্যানিমেটেড ছবি যেখানে শব্দ ব্যবহার করা হয়। মিকির কণ্ঠ দিয়েছিলেন ওয়াল্ট ডিজনি স্বয়ং। তারপর থেকে ডিজনি কার্টুনগুলির চাহিদা হু হু করে বাড়তে থাকে। কিন্তু শৈল্পিক দিক থেকে নিখুঁত এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা করায় কোম্পানিটি আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই যাচ্ছিল।
ডিজনির প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য কার্টুন স্নো হোয়াইট অ্যান্ড সেভেন ডুয়ার্ফের (১৯৩৮) কাজ করতে সময় নেন তিন বছর। এটি বাণিজ্যিকভাবে দারুণ সফলতা পায়। এরপর একে একে মুক্তি পায় পিনোকিও (১৯৪০), ডাম্বো (১৯৪১) এবং বাম্বি (১৯৪২)।
১৯৪৬ সালে মুক্তি পাওয়া সং অব দ্য সাউথে বাস্তবের শিল্পীদের সঙ্গে অ্যানিমেটেড চরিত্রদের আশ্চর্য এক সমন্বয় ঘটান। প্রথম মুভি স্টুডিও হিসেবে টেলিভিশনর জন্য সরাসরি চলচ্চিত্র তৈরি করে ডিজনি।
১৯৫০-র দশকের গোড়ার দিকে লস অ্যাঞ্জেলসের কাছে বিশাল একটি অ্যামিউজম্যান্ট বা বিনোদন পার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা শুরু করেন। তিনি চেয়েছিলেন এমন একটি কিছু করতে যেখানে বিনোদনের পাশাপাশি শেখারও সুযোগ থাকবে। আর শিশুদের পাশাপাশি তাঁদের মা-বাবাদেরও আকৃষ্ট করবে এটি।
এ লক্ষ্যে লস অ্যাঞ্জেলসের ২৫ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে অরেঞ্জ কাউন্টির অ্যানাহেইমের খামার এলাকায় কেনা হলো জমি। ১৯৫৪ সালে শুরু হলো ওয়াল্ট ডিজনির সাধের বিনোদন পার্ক নির্মাণের কাজ। ১৯৫৫ সালের গ্রীষ্মে নির্বাচিত কিছু অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হলো ১৭ জুলাইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য।
দুর্ভাগ্যবশত, পাসটি জাল হয়ে যায় এবং খোলার দিনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এমন হাজার হাজার মানুষ ডিজনিল্যান্ডে ঢুকে পড়ে। কিন্তু এত সাধারণ জনতার জন্য প্রস্তুত ছিল না পার্কটি। খাবার ও পানীয়ে টান পড়ে, মার্ক টোয়েন নামের স্টিমবোটটি অতিরিক্ত মানুষে ঠেসে থাকায় ডোবার উপক্রম হয়।
তবে দ্রুতই প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে ডিজনিল্যান্ড। ক্যাসল, মি. টোড’স ওয়াইল্ড রাইড, স্নো হোয়াইট’স অ্যাডভেঞ্চারস, স্পেস স্টেশন, জাঙ্গল ক্রুজের মতো রাইডগুলো বিপুল শিশু এবং তাঁদের মা-বাবাকে টেনে আনে পার্কটিতে। বিশেষ অনুষ্ঠান এবং নতুন নতুন সব আকর্ষণীয় রাইড বা শৈল্পিক স্থাপনা বারবার তাঁদের আসতে বাধ্য করে পার্কটিতে।
১৯৬৫ সালে ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোর কাছে আরও বড় একটি ডিজনি থিম পার্ক ও রিসোর্ট তৈরির কাজ শুরু হয়। তবে পরের বছর অর্থাৎ ১৯৬৬ সালের ডিসেম্বরে মারা যান ডিজনি। ১৯৭১ সালের ১ অক্টোবর তাঁর সম্মানে চালু হয় অরল্যান্ডোর ডিজনি ওয়ার্ল্ড। দ্রুত এটি পরিণত হয় ফ্লোরিডার সবচেয়ে বেশি পর্যটক আকর্ষী বিনোদন কেন্দ্রে।
১৯৮৩ সালে জাপানে উদ্বোধন হয় ডিজনিল্যান্ড টোকিওর, আর ১৯৯২ সালে যাত্রা শুরু হয় ডিজনিল্যান্ড প্যারিস বা ইউরোডিজনির। এদিকে ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে হংকংয়ে দ্বার খুলে ডিজনিল্যান্ডের এবং চীনের সাংহাই ডিজনিল্যান্ডের যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালে।
ডিজনিল্যান্ড অনেকের কাছেই এক আবেগের নাম। যেমন ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা ডুগ মার্শা। তিনি জানান, ১৯৯০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি গিয়েছেন ডিজনিল্যান্ডে। একটা সময় প্রতিদিন যেতেন। বয়স হওয়ার পরও দুই সপ্তাহে অন্তত একবার প্রিয় জায়গাটিতে না গেলে চলেই না তাঁর।
সূত্র: হিস্ট্রি ডট কম, উইকিপিডিয়া, ডয়চে ভেলে
চুরি গেছে গাড়ি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন যুক্তরাজ্যের এক দম্পতি। তথ্যপ্রযুক্তির বদৌলতে গাড়ি কোথায় আছে সে তথ্য বের করে ফেলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ এতটাই ‘ব্যস্ত’ যে, কোথায় আছে গাড়িটি সে তথ্য থাকার পর এ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া সময় বা সুযোগ তাদের নেই। এ অবস্থা দেখে গাড়ি উদ্ধারে নিজেরাই
৬ দিন আগেসাইপ্রাসের লিমাসলের বাসিন্দা লিউবভ সিরিকের (২০) একটি অদ্ভুত খাদ্যাভ্যাস সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচিত হয়েছে। বেশির ভাগ মানুষ চা পান করতে ভালোবাসেন, কিন্তু মার্কেটিং ব্র্যান্ড ম্যানেজার হিসেবে কাজ করা লিউবভ পছন্দ করেন চা-পাতা ও টি-ব্যাগ। তাঁর মতে, এটি ‘সুস্বাদু’ এবং তিনি দিনে দুবার...
১৬ মে ২০২৫সময়টা ১৮৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরের সকাল। এক সুসজ্জিত ব্যক্তি সান ফ্রান্সিসকোর ‘দ্য সান ফ্রান্সিসকো ইভনিং বুলেটিনের’ কার্যালয়ে প্রবেশ করে একটি ঘোষণাপত্র জমা দেন, যেখানে নিজেকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট’ বলে ঘোষণা করেন। ওই ব্যক্তি ছিলেন জোশুয়া নর্টন।
২২ এপ্রিল ২০২৫আজ ফোর টুয়েন্টি (৪২০) দিবস। সংখ্যাটা পড়েই ভাবছেন প্রতারকদের দিবস আজ? না না। এই ফোর টুয়েন্টি সেই ফোর টুয়েন্টি নয়। পশ্চিমা বিশ্বে এই সংখ্যা গাঁজা সংস্কৃতির কোড ভাষা।
২০ এপ্রিল ২০২৫