আচ্ছা, কোন প্রাণীর আক্রমণে কিংবা এর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, বলুন তো? আপনি নিশ্চয় সিংহ, কুমির, বাঘ, হাতি, সাপ কিংবা বাঘের কথা ভেবে বসে আছেন। স্বাভাবিক; কারণ, এদের আক্রমণে কেউ মারা গেলে আমাদের চোখে পড়ে বেশি। যেমন শেরপুর-জামালপুর অঞ্চলে হাতির আক্রমণে মানুষ মারা যাওয়ার খবর আসছে (অবশ্য হাতিরও প্রাণ যাচ্ছে)। হলিউডের সিনেমাগুলোতেও আমরা বড় শত্রু হিসেবে দেখি হাঙর কিংবা অ্যানাকোন্ডার মতো প্রাণীগুলোকে।
কিন্তু শুনে অবাক হবেন, আপাতদৃষ্টে যাদের ভয়ংকর প্রাণী হিসেবে ভাবি আমরা, এদের অনেকগুলোর অবস্থান তালিকার নিচের দিকেই। আবার বাঘ কিংবা হাঙরের এই তালিকায় স্থানই হয়নি; কারণ, এদের আক্রমণে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা আদপে খুব একটি বেশি নয়। এ ক্ষেত্রে সবার ওপরে থাকা প্রাণীটি মোটেই এমন বিশাল কিছু নয়। সে হলো আমাদের অতি পরিচিত পুঁচকে মশা। এখন তাহলে কোন প্রাণীর কারণে কেমনসংখ্যক মানুষ মারা যায়, তা জেনে নেওয়া যাক। তবে আমরা তালিকাটি করেছি উল্টো দিক থেকে।
সিংহ
অনেকের হয়তো ধারণা ছিল, তালিকায় একেবারে ওপরের দিকে থাকবে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ ও ভারতের জঙ্গলে বিচরণ করা প্রাণীটি। বিশেষ করে এর গর্জন শুনলে যে কারও অন্তরাত্মা কেঁপে উঠতে বাধ্য। সাভোর মানুষখেকোসহ কুখ্যাত কিছু মানুষখেকো সিংহের কথা শোনা গেলেও সিংহের আক্রমণে মানুষ মারা যাওয়ার সংখ্যা খুব বেশি নয়। বিবিসি সায়েন্স ফোকাসের হিসেবে বছরে সংখ্যাটি ২০০-এর আশপাশে। কোনো কোনো সূত্রের দাবি, সংখ্যাটি আরও অনেক কম।
এদের নখ খুব ধারালো। কামড়ে হাড় চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেলা থেকে শুরু করে খুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। সাধারণত ছোট দলে ভাগ হয়ে শিকার করে এরা। কোনো দলের কাছাকাছি চলে গেলে আক্রমণ করতে পারে। সঙ্গে বাচ্চা থাকলে এরা খুব বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
জলহস্তী
জলহস্তীর আক্রমণে প্রতিবছর মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যাটা একেবারে কম নয়, শ পাঁচেক মানুষকে প্রাণ হারাতে হয় এদের হাতে। একেকটি পুরুষ জলহস্তীর ওজন হতে পারে ১৫০০ কেজি। প্রায় আধা মিটার লম্বা ধারালো শ্বদন্তের একটি কামড়ে একজন মানুষের শরীর দুই টুকরো হয়ে যেতে পারে। বলা হয় একটি জলহস্তীর কামড়ের শক্তি সিংহের কামড়ের তিন গুণ।
জলহস্তীর এলাকায় কোনো মানুষ চলে এলে আক্রমণ করে বসা এদের জন্য খুব স্বাভাবিক। কখনো কখনো অন্য কোনো প্রাণী ভেবে নৌকা আক্রমণ ও উল্টে দেওয়ার অভ্যাস আছে এদের।
হাতি
হাতির আক্রমণে মৃত্যু হওয়া মানুষের সংখ্যা ৫০০ থেকে ৬০০। পা দিয়ে মাড়িয়ে, শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে আছাড় মেরে কিংবা দাঁত দিয়ে খুঁচিয়ে মানুষ মারার রেকর্ড আছে হাতিদের। তেমনি মানুষের কারণে প্রাণ যায় হাতিদেরও। বুনো হাতির দেখা পাওয়া যায় আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশে।
হাতি-মানুষ সংঘাতে দায় আছে মানুষেরও। হাতির বিচরণের জায়গাগুলোয় মানুষের বসতি ও চাষবাদের জন্য ব্যবহৃত হওয়ায় মানুষের সঙ্গে সংঘাত বাড়ছে এদের।
কুমির
প্রতিবছর কুমিরের আক্রমণে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম নয়, হাজারের মতো। এদের দাঁতগুলোই জানিয়ে দেয়, কতটা বিপজ্জনক হতে পারে সরীসৃপটি। নীল ক্রোকোডাইলের কামড়কে ধরা হয় পৃথিবীর তাবৎ প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কামড় হিসেবে। তেমনি লোনাপানির কুমিরের কামড়ও প্রচণ্ড শক্তিশালী।
এসকারিস রাউন্ডওয়র্ম
এই গুবরে পোকারা সরাসরি মানুষ মারে না। তবে বহু মানুষের মৃত্যুর জন্য এরাই দায়ী। এটি অন্য প্রাণীর দেহে বাস করে তার ক্ষতি করে। কোনো মানুষ দুর্ঘটনাবশত তাদের ডিম খেয়ে ফেললে মানুষের শরীরের প্রবেশের সুযোগ পায়। এটি মানুষের শরীরের খাদ্যনালির নিচের অংশে অবস্থান করে খাবার খায় এবং নতুন প্রাণীর জন্ম দেয়। এতে যে রোগের সৃষ্টি হয়, তার নাম এসকারিয়াসিস। এই রোগে প্রতিবছর প্রায় আড়াই হাজার মানুষ মারা যান।
মাকড়সা
লেজ দিয়ে হুল ফুটিয়ে শিকারের শরীরে বিষ ঢুকিয়ে দেয় মাকড়সারা। অবশ্য এদের সবাই এমন ক্ষতিকর নয়। ২৬০০ প্রজাতির মাকড়সার মধ্যে কেবল ২৫ জাতের মাকড়সা মানুষকে মারার মতো বিষ থাকে। এদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর বলা চলে ডেথস্টকারকে। উত্তর আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের মরু এলাকায় মৃত্যুর বার্তাবাহী এই হলুদ প্রাণীর দেখা মেলে। এদের শরীরে যে পরিমাণ বিষ থাকে, তা শিশু, বৃদ্ধ কিংবা শারীরিক জটিলতায় ভোগা মানুষদের মারার জন্য যথেষ্ট। প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষও এদের হুলে মারা যেতে পারেন, তবে আশঙ্কা কম। মাকড়ার কামড়ে প্রতিবছর মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ২৬০০ থেকে ৩৩০০।
গুপ্তঘাতক বাগ
অ্যাসাসিন বাগ বা গুপ্তঘাতক ছারপোকা ছাগাস রোগ ছড়ানোর জন্য দায়ী। রক্তচোষা এই কীট মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় বড় বিপদের কারণ। এ ধরনের পোকার কামড়ে কিংবা এদের দ্বারা সংক্রামিত কোনো খাবার খেলে এ রোগ হয়। প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, এ রোগে হার্ট, পরিপাকতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হয়। ভয়ংকর ব্যাপার হলো, এ রোগ মাতৃগর্ভে মা থেকে শিশুর শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। এ রোগে বছরে ১০ হাজারের মতো মানুষ মারা যান।
কুকুর
কুকুর মানুষের বড় বন্ধু হিসেবে পরিচিত। তবে এরা কখনো কখনো বড় শত্রুও হয়ে উঠতে পারে। সেটি র্যাবিস বা জলাতঙ্ক রোগ ছড়ানোর মাধ্যমে। এমনিতে সরাসরি কুকুরের আক্রমণে কারও মৃত্যুর খবর শোনা যায় না বললেই চলে, তবে কুকুরের কামড়ে হওয়া জলাতঙ্ক রোগে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা কম নয়। সাধারণত এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে জলাতঙ্কজনিত মৃত্যুর হার বেশি। প্রতিবছর জলাতঙ্কে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৯ হাজারের মতো।
ওয়ার্ল্ড হেথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, জলাতঙ্কের কারণে যত মানুষ মারা যান, তার বেশির ভাগই কুকুরের কারণে। মোট জলাতঙ্ক রোগের ৯৯ শতাংশ হয় কুকুরের কামড়ে।
সাপ
এই বিষধর সরীসৃপদের প্রতি ইন্ডিয়ানা জোনসের যে ভীতি ছিল, তা একেবারে অমূলক নয়। বিপজ্জনক সব সাপ আছে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। বিভিন্নভাবে সাপের আক্রমণে মারা যেতে পারে মানুষ। উদাহরণ হিসেবে ব্ল্যাক মামবা এক কামড়ে শরীরে দুই ফোঁটা বিষ ঢুকিয়ে মারতে পারে মানুষকে, আবার খুব বড় আকারের অজগরের পক্ষে এমনকি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে পর্যন্ত গিলে ফেলা সম্ভব। বছরে সাপের আক্রমণে মৃত্যু হওয়া মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার। এদের বেশির ভাগ মারা যায় বিষধর সাপের কামড়ে।
স্বাদুপানির শামুক
সিসটোসোমায়োসিস সিসটোসোমা ধরনের পরজীবী কৃমি দ্বারা সৃষ্টি রোগ। এটি স্নেইল ফিভাব নামেও পরিচিত। এটি মূত্রনালি অথবা অন্ত্রগুলোকে আক্রান্ত করতে পারে। পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, রক্ত পায়খানা অথবা মূত্রে রক্ত চিহ্ন অথবা উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে সংক্রমিতরা যকৃতের ক্ষতি, কিডনি অকার্যকর, বন্ধ্যত্ব, মূত্রাশয় ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে। সংক্রমিত মিঠাপানির শামুক দ্বারা এই পরজীবীগুলো ছড়ায়। ওয়ার্ল্ড হেথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, প্রতিবছর দুই লাখ মানুষ এর আক্রমণে মারা যায়।
মশা
মশাকে কারও পছন্দ করার কারণ নেই। মশা নানা ধরনের রোগ ছড়ায়, এটাও সত্যি। তবে আমরা যেটা কল্পনাও করতে পারি না, কোনো প্রাণী যদি আমাদের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর হয়, সেটি মশা। খুদে এই উড়ুক্কু প্রাণী বছরজুড়ে সাড়ে সাত লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। আর এই মৃত্যুগুলোর বড় একটি অংশ আসে ম্যালেরিয়ার কারণে। এটির প্রভাব সবচেয়ে বেশি আফ্রিকায়। পৃথিবীর মোট ম্যালেরিয়া সংক্রমণের ৯৫ শতাংশ ও মৃত্যুর ৯৬ শতাংশ আফ্রিকায়। আরও যেসব বড় রোগের বাহক ছোট্ট এই প্রাণী, এর মধ্যে আছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, জিকা, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস ইত্যাদি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেঙ্গু। এ বছর ইতিমধ্যে এডিস মশার কারণে সৃষ্টি হওয়া ডেঙ্গু জ্বরে বাংলাদেশে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ১০০-তে পৌঁছেছে।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, বিবিসি ওয়াইল্ডলাইফ ম্যাগাজিন
আচ্ছা, কোন প্রাণীর আক্রমণে কিংবা এর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, বলুন তো? আপনি নিশ্চয় সিংহ, কুমির, বাঘ, হাতি, সাপ কিংবা বাঘের কথা ভেবে বসে আছেন। স্বাভাবিক; কারণ, এদের আক্রমণে কেউ মারা গেলে আমাদের চোখে পড়ে বেশি। যেমন শেরপুর-জামালপুর অঞ্চলে হাতির আক্রমণে মানুষ মারা যাওয়ার খবর আসছে (অবশ্য হাতিরও প্রাণ যাচ্ছে)। হলিউডের সিনেমাগুলোতেও আমরা বড় শত্রু হিসেবে দেখি হাঙর কিংবা অ্যানাকোন্ডার মতো প্রাণীগুলোকে।
কিন্তু শুনে অবাক হবেন, আপাতদৃষ্টে যাদের ভয়ংকর প্রাণী হিসেবে ভাবি আমরা, এদের অনেকগুলোর অবস্থান তালিকার নিচের দিকেই। আবার বাঘ কিংবা হাঙরের এই তালিকায় স্থানই হয়নি; কারণ, এদের আক্রমণে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা আদপে খুব একটি বেশি নয়। এ ক্ষেত্রে সবার ওপরে থাকা প্রাণীটি মোটেই এমন বিশাল কিছু নয়। সে হলো আমাদের অতি পরিচিত পুঁচকে মশা। এখন তাহলে কোন প্রাণীর কারণে কেমনসংখ্যক মানুষ মারা যায়, তা জেনে নেওয়া যাক। তবে আমরা তালিকাটি করেছি উল্টো দিক থেকে।
সিংহ
অনেকের হয়তো ধারণা ছিল, তালিকায় একেবারে ওপরের দিকে থাকবে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ ও ভারতের জঙ্গলে বিচরণ করা প্রাণীটি। বিশেষ করে এর গর্জন শুনলে যে কারও অন্তরাত্মা কেঁপে উঠতে বাধ্য। সাভোর মানুষখেকোসহ কুখ্যাত কিছু মানুষখেকো সিংহের কথা শোনা গেলেও সিংহের আক্রমণে মানুষ মারা যাওয়ার সংখ্যা খুব বেশি নয়। বিবিসি সায়েন্স ফোকাসের হিসেবে বছরে সংখ্যাটি ২০০-এর আশপাশে। কোনো কোনো সূত্রের দাবি, সংখ্যাটি আরও অনেক কম।
এদের নখ খুব ধারালো। কামড়ে হাড় চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেলা থেকে শুরু করে খুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। সাধারণত ছোট দলে ভাগ হয়ে শিকার করে এরা। কোনো দলের কাছাকাছি চলে গেলে আক্রমণ করতে পারে। সঙ্গে বাচ্চা থাকলে এরা খুব বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
জলহস্তী
জলহস্তীর আক্রমণে প্রতিবছর মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যাটা একেবারে কম নয়, শ পাঁচেক মানুষকে প্রাণ হারাতে হয় এদের হাতে। একেকটি পুরুষ জলহস্তীর ওজন হতে পারে ১৫০০ কেজি। প্রায় আধা মিটার লম্বা ধারালো শ্বদন্তের একটি কামড়ে একজন মানুষের শরীর দুই টুকরো হয়ে যেতে পারে। বলা হয় একটি জলহস্তীর কামড়ের শক্তি সিংহের কামড়ের তিন গুণ।
জলহস্তীর এলাকায় কোনো মানুষ চলে এলে আক্রমণ করে বসা এদের জন্য খুব স্বাভাবিক। কখনো কখনো অন্য কোনো প্রাণী ভেবে নৌকা আক্রমণ ও উল্টে দেওয়ার অভ্যাস আছে এদের।
হাতি
হাতির আক্রমণে মৃত্যু হওয়া মানুষের সংখ্যা ৫০০ থেকে ৬০০। পা দিয়ে মাড়িয়ে, শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে আছাড় মেরে কিংবা দাঁত দিয়ে খুঁচিয়ে মানুষ মারার রেকর্ড আছে হাতিদের। তেমনি মানুষের কারণে প্রাণ যায় হাতিদেরও। বুনো হাতির দেখা পাওয়া যায় আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশে।
হাতি-মানুষ সংঘাতে দায় আছে মানুষেরও। হাতির বিচরণের জায়গাগুলোয় মানুষের বসতি ও চাষবাদের জন্য ব্যবহৃত হওয়ায় মানুষের সঙ্গে সংঘাত বাড়ছে এদের।
কুমির
প্রতিবছর কুমিরের আক্রমণে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম নয়, হাজারের মতো। এদের দাঁতগুলোই জানিয়ে দেয়, কতটা বিপজ্জনক হতে পারে সরীসৃপটি। নীল ক্রোকোডাইলের কামড়কে ধরা হয় পৃথিবীর তাবৎ প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কামড় হিসেবে। তেমনি লোনাপানির কুমিরের কামড়ও প্রচণ্ড শক্তিশালী।
এসকারিস রাউন্ডওয়র্ম
এই গুবরে পোকারা সরাসরি মানুষ মারে না। তবে বহু মানুষের মৃত্যুর জন্য এরাই দায়ী। এটি অন্য প্রাণীর দেহে বাস করে তার ক্ষতি করে। কোনো মানুষ দুর্ঘটনাবশত তাদের ডিম খেয়ে ফেললে মানুষের শরীরের প্রবেশের সুযোগ পায়। এটি মানুষের শরীরের খাদ্যনালির নিচের অংশে অবস্থান করে খাবার খায় এবং নতুন প্রাণীর জন্ম দেয়। এতে যে রোগের সৃষ্টি হয়, তার নাম এসকারিয়াসিস। এই রোগে প্রতিবছর প্রায় আড়াই হাজার মানুষ মারা যান।
মাকড়সা
লেজ দিয়ে হুল ফুটিয়ে শিকারের শরীরে বিষ ঢুকিয়ে দেয় মাকড়সারা। অবশ্য এদের সবাই এমন ক্ষতিকর নয়। ২৬০০ প্রজাতির মাকড়সার মধ্যে কেবল ২৫ জাতের মাকড়সা মানুষকে মারার মতো বিষ থাকে। এদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর বলা চলে ডেথস্টকারকে। উত্তর আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের মরু এলাকায় মৃত্যুর বার্তাবাহী এই হলুদ প্রাণীর দেখা মেলে। এদের শরীরে যে পরিমাণ বিষ থাকে, তা শিশু, বৃদ্ধ কিংবা শারীরিক জটিলতায় ভোগা মানুষদের মারার জন্য যথেষ্ট। প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষও এদের হুলে মারা যেতে পারেন, তবে আশঙ্কা কম। মাকড়ার কামড়ে প্রতিবছর মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ২৬০০ থেকে ৩৩০০।
গুপ্তঘাতক বাগ
অ্যাসাসিন বাগ বা গুপ্তঘাতক ছারপোকা ছাগাস রোগ ছড়ানোর জন্য দায়ী। রক্তচোষা এই কীট মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় বড় বিপদের কারণ। এ ধরনের পোকার কামড়ে কিংবা এদের দ্বারা সংক্রামিত কোনো খাবার খেলে এ রোগ হয়। প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, এ রোগে হার্ট, পরিপাকতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হয়। ভয়ংকর ব্যাপার হলো, এ রোগ মাতৃগর্ভে মা থেকে শিশুর শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। এ রোগে বছরে ১০ হাজারের মতো মানুষ মারা যান।
কুকুর
কুকুর মানুষের বড় বন্ধু হিসেবে পরিচিত। তবে এরা কখনো কখনো বড় শত্রুও হয়ে উঠতে পারে। সেটি র্যাবিস বা জলাতঙ্ক রোগ ছড়ানোর মাধ্যমে। এমনিতে সরাসরি কুকুরের আক্রমণে কারও মৃত্যুর খবর শোনা যায় না বললেই চলে, তবে কুকুরের কামড়ে হওয়া জলাতঙ্ক রোগে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা কম নয়। সাধারণত এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে জলাতঙ্কজনিত মৃত্যুর হার বেশি। প্রতিবছর জলাতঙ্কে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৯ হাজারের মতো।
ওয়ার্ল্ড হেথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, জলাতঙ্কের কারণে যত মানুষ মারা যান, তার বেশির ভাগই কুকুরের কারণে। মোট জলাতঙ্ক রোগের ৯৯ শতাংশ হয় কুকুরের কামড়ে।
সাপ
এই বিষধর সরীসৃপদের প্রতি ইন্ডিয়ানা জোনসের যে ভীতি ছিল, তা একেবারে অমূলক নয়। বিপজ্জনক সব সাপ আছে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। বিভিন্নভাবে সাপের আক্রমণে মারা যেতে পারে মানুষ। উদাহরণ হিসেবে ব্ল্যাক মামবা এক কামড়ে শরীরে দুই ফোঁটা বিষ ঢুকিয়ে মারতে পারে মানুষকে, আবার খুব বড় আকারের অজগরের পক্ষে এমনকি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে পর্যন্ত গিলে ফেলা সম্ভব। বছরে সাপের আক্রমণে মৃত্যু হওয়া মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার। এদের বেশির ভাগ মারা যায় বিষধর সাপের কামড়ে।
স্বাদুপানির শামুক
সিসটোসোমায়োসিস সিসটোসোমা ধরনের পরজীবী কৃমি দ্বারা সৃষ্টি রোগ। এটি স্নেইল ফিভাব নামেও পরিচিত। এটি মূত্রনালি অথবা অন্ত্রগুলোকে আক্রান্ত করতে পারে। পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, রক্ত পায়খানা অথবা মূত্রে রক্ত চিহ্ন অথবা উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে সংক্রমিতরা যকৃতের ক্ষতি, কিডনি অকার্যকর, বন্ধ্যত্ব, মূত্রাশয় ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে। সংক্রমিত মিঠাপানির শামুক দ্বারা এই পরজীবীগুলো ছড়ায়। ওয়ার্ল্ড হেথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, প্রতিবছর দুই লাখ মানুষ এর আক্রমণে মারা যায়।
মশা
মশাকে কারও পছন্দ করার কারণ নেই। মশা নানা ধরনের রোগ ছড়ায়, এটাও সত্যি। তবে আমরা যেটা কল্পনাও করতে পারি না, কোনো প্রাণী যদি আমাদের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর হয়, সেটি মশা। খুদে এই উড়ুক্কু প্রাণী বছরজুড়ে সাড়ে সাত লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। আর এই মৃত্যুগুলোর বড় একটি অংশ আসে ম্যালেরিয়ার কারণে। এটির প্রভাব সবচেয়ে বেশি আফ্রিকায়। পৃথিবীর মোট ম্যালেরিয়া সংক্রমণের ৯৫ শতাংশ ও মৃত্যুর ৯৬ শতাংশ আফ্রিকায়। আরও যেসব বড় রোগের বাহক ছোট্ট এই প্রাণী, এর মধ্যে আছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, জিকা, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস ইত্যাদি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেঙ্গু। এ বছর ইতিমধ্যে এডিস মশার কারণে সৃষ্টি হওয়া ডেঙ্গু জ্বরে বাংলাদেশে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ১০০-তে পৌঁছেছে।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, বিবিসি ওয়াইল্ডলাইফ ম্যাগাজিন
আচ্ছা, কোন প্রাণীর আক্রমণে কিংবা এর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, বলুন তো? আপনি নিশ্চয় সিংহ, কুমির, বাঘ, হাতি, সাপ কিংবা বাঘের কথা ভেবে বসে আছেন। স্বাভাবিক; কারণ, এদের আক্রমণে কেউ মারা গেলে আমাদের চোখে পড়ে বেশি। যেমন শেরপুর-জামালপুর অঞ্চলে হাতির আক্রমণে মানুষ মারা যাওয়ার খবর আসছে (অবশ্য হাতিরও প্রাণ যাচ্ছে)। হলিউডের সিনেমাগুলোতেও আমরা বড় শত্রু হিসেবে দেখি হাঙর কিংবা অ্যানাকোন্ডার মতো প্রাণীগুলোকে।
কিন্তু শুনে অবাক হবেন, আপাতদৃষ্টে যাদের ভয়ংকর প্রাণী হিসেবে ভাবি আমরা, এদের অনেকগুলোর অবস্থান তালিকার নিচের দিকেই। আবার বাঘ কিংবা হাঙরের এই তালিকায় স্থানই হয়নি; কারণ, এদের আক্রমণে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা আদপে খুব একটি বেশি নয়। এ ক্ষেত্রে সবার ওপরে থাকা প্রাণীটি মোটেই এমন বিশাল কিছু নয়। সে হলো আমাদের অতি পরিচিত পুঁচকে মশা। এখন তাহলে কোন প্রাণীর কারণে কেমনসংখ্যক মানুষ মারা যায়, তা জেনে নেওয়া যাক। তবে আমরা তালিকাটি করেছি উল্টো দিক থেকে।
সিংহ
অনেকের হয়তো ধারণা ছিল, তালিকায় একেবারে ওপরের দিকে থাকবে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ ও ভারতের জঙ্গলে বিচরণ করা প্রাণীটি। বিশেষ করে এর গর্জন শুনলে যে কারও অন্তরাত্মা কেঁপে উঠতে বাধ্য। সাভোর মানুষখেকোসহ কুখ্যাত কিছু মানুষখেকো সিংহের কথা শোনা গেলেও সিংহের আক্রমণে মানুষ মারা যাওয়ার সংখ্যা খুব বেশি নয়। বিবিসি সায়েন্স ফোকাসের হিসেবে বছরে সংখ্যাটি ২০০-এর আশপাশে। কোনো কোনো সূত্রের দাবি, সংখ্যাটি আরও অনেক কম।
এদের নখ খুব ধারালো। কামড়ে হাড় চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেলা থেকে শুরু করে খুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। সাধারণত ছোট দলে ভাগ হয়ে শিকার করে এরা। কোনো দলের কাছাকাছি চলে গেলে আক্রমণ করতে পারে। সঙ্গে বাচ্চা থাকলে এরা খুব বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
জলহস্তী
জলহস্তীর আক্রমণে প্রতিবছর মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যাটা একেবারে কম নয়, শ পাঁচেক মানুষকে প্রাণ হারাতে হয় এদের হাতে। একেকটি পুরুষ জলহস্তীর ওজন হতে পারে ১৫০০ কেজি। প্রায় আধা মিটার লম্বা ধারালো শ্বদন্তের একটি কামড়ে একজন মানুষের শরীর দুই টুকরো হয়ে যেতে পারে। বলা হয় একটি জলহস্তীর কামড়ের শক্তি সিংহের কামড়ের তিন গুণ।
জলহস্তীর এলাকায় কোনো মানুষ চলে এলে আক্রমণ করে বসা এদের জন্য খুব স্বাভাবিক। কখনো কখনো অন্য কোনো প্রাণী ভেবে নৌকা আক্রমণ ও উল্টে দেওয়ার অভ্যাস আছে এদের।
হাতি
হাতির আক্রমণে মৃত্যু হওয়া মানুষের সংখ্যা ৫০০ থেকে ৬০০। পা দিয়ে মাড়িয়ে, শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে আছাড় মেরে কিংবা দাঁত দিয়ে খুঁচিয়ে মানুষ মারার রেকর্ড আছে হাতিদের। তেমনি মানুষের কারণে প্রাণ যায় হাতিদেরও। বুনো হাতির দেখা পাওয়া যায় আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশে।
হাতি-মানুষ সংঘাতে দায় আছে মানুষেরও। হাতির বিচরণের জায়গাগুলোয় মানুষের বসতি ও চাষবাদের জন্য ব্যবহৃত হওয়ায় মানুষের সঙ্গে সংঘাত বাড়ছে এদের।
কুমির
প্রতিবছর কুমিরের আক্রমণে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম নয়, হাজারের মতো। এদের দাঁতগুলোই জানিয়ে দেয়, কতটা বিপজ্জনক হতে পারে সরীসৃপটি। নীল ক্রোকোডাইলের কামড়কে ধরা হয় পৃথিবীর তাবৎ প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কামড় হিসেবে। তেমনি লোনাপানির কুমিরের কামড়ও প্রচণ্ড শক্তিশালী।
এসকারিস রাউন্ডওয়র্ম
এই গুবরে পোকারা সরাসরি মানুষ মারে না। তবে বহু মানুষের মৃত্যুর জন্য এরাই দায়ী। এটি অন্য প্রাণীর দেহে বাস করে তার ক্ষতি করে। কোনো মানুষ দুর্ঘটনাবশত তাদের ডিম খেয়ে ফেললে মানুষের শরীরের প্রবেশের সুযোগ পায়। এটি মানুষের শরীরের খাদ্যনালির নিচের অংশে অবস্থান করে খাবার খায় এবং নতুন প্রাণীর জন্ম দেয়। এতে যে রোগের সৃষ্টি হয়, তার নাম এসকারিয়াসিস। এই রোগে প্রতিবছর প্রায় আড়াই হাজার মানুষ মারা যান।
মাকড়সা
লেজ দিয়ে হুল ফুটিয়ে শিকারের শরীরে বিষ ঢুকিয়ে দেয় মাকড়সারা। অবশ্য এদের সবাই এমন ক্ষতিকর নয়। ২৬০০ প্রজাতির মাকড়সার মধ্যে কেবল ২৫ জাতের মাকড়সা মানুষকে মারার মতো বিষ থাকে। এদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর বলা চলে ডেথস্টকারকে। উত্তর আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের মরু এলাকায় মৃত্যুর বার্তাবাহী এই হলুদ প্রাণীর দেখা মেলে। এদের শরীরে যে পরিমাণ বিষ থাকে, তা শিশু, বৃদ্ধ কিংবা শারীরিক জটিলতায় ভোগা মানুষদের মারার জন্য যথেষ্ট। প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষও এদের হুলে মারা যেতে পারেন, তবে আশঙ্কা কম। মাকড়ার কামড়ে প্রতিবছর মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ২৬০০ থেকে ৩৩০০।
গুপ্তঘাতক বাগ
অ্যাসাসিন বাগ বা গুপ্তঘাতক ছারপোকা ছাগাস রোগ ছড়ানোর জন্য দায়ী। রক্তচোষা এই কীট মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় বড় বিপদের কারণ। এ ধরনের পোকার কামড়ে কিংবা এদের দ্বারা সংক্রামিত কোনো খাবার খেলে এ রোগ হয়। প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, এ রোগে হার্ট, পরিপাকতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হয়। ভয়ংকর ব্যাপার হলো, এ রোগ মাতৃগর্ভে মা থেকে শিশুর শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। এ রোগে বছরে ১০ হাজারের মতো মানুষ মারা যান।
কুকুর
কুকুর মানুষের বড় বন্ধু হিসেবে পরিচিত। তবে এরা কখনো কখনো বড় শত্রুও হয়ে উঠতে পারে। সেটি র্যাবিস বা জলাতঙ্ক রোগ ছড়ানোর মাধ্যমে। এমনিতে সরাসরি কুকুরের আক্রমণে কারও মৃত্যুর খবর শোনা যায় না বললেই চলে, তবে কুকুরের কামড়ে হওয়া জলাতঙ্ক রোগে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা কম নয়। সাধারণত এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে জলাতঙ্কজনিত মৃত্যুর হার বেশি। প্রতিবছর জলাতঙ্কে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৯ হাজারের মতো।
ওয়ার্ল্ড হেথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, জলাতঙ্কের কারণে যত মানুষ মারা যান, তার বেশির ভাগই কুকুরের কারণে। মোট জলাতঙ্ক রোগের ৯৯ শতাংশ হয় কুকুরের কামড়ে।
সাপ
এই বিষধর সরীসৃপদের প্রতি ইন্ডিয়ানা জোনসের যে ভীতি ছিল, তা একেবারে অমূলক নয়। বিপজ্জনক সব সাপ আছে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। বিভিন্নভাবে সাপের আক্রমণে মারা যেতে পারে মানুষ। উদাহরণ হিসেবে ব্ল্যাক মামবা এক কামড়ে শরীরে দুই ফোঁটা বিষ ঢুকিয়ে মারতে পারে মানুষকে, আবার খুব বড় আকারের অজগরের পক্ষে এমনকি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে পর্যন্ত গিলে ফেলা সম্ভব। বছরে সাপের আক্রমণে মৃত্যু হওয়া মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার। এদের বেশির ভাগ মারা যায় বিষধর সাপের কামড়ে।
স্বাদুপানির শামুক
সিসটোসোমায়োসিস সিসটোসোমা ধরনের পরজীবী কৃমি দ্বারা সৃষ্টি রোগ। এটি স্নেইল ফিভাব নামেও পরিচিত। এটি মূত্রনালি অথবা অন্ত্রগুলোকে আক্রান্ত করতে পারে। পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, রক্ত পায়খানা অথবা মূত্রে রক্ত চিহ্ন অথবা উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে সংক্রমিতরা যকৃতের ক্ষতি, কিডনি অকার্যকর, বন্ধ্যত্ব, মূত্রাশয় ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে। সংক্রমিত মিঠাপানির শামুক দ্বারা এই পরজীবীগুলো ছড়ায়। ওয়ার্ল্ড হেথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, প্রতিবছর দুই লাখ মানুষ এর আক্রমণে মারা যায়।
মশা
মশাকে কারও পছন্দ করার কারণ নেই। মশা নানা ধরনের রোগ ছড়ায়, এটাও সত্যি। তবে আমরা যেটা কল্পনাও করতে পারি না, কোনো প্রাণী যদি আমাদের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর হয়, সেটি মশা। খুদে এই উড়ুক্কু প্রাণী বছরজুড়ে সাড়ে সাত লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। আর এই মৃত্যুগুলোর বড় একটি অংশ আসে ম্যালেরিয়ার কারণে। এটির প্রভাব সবচেয়ে বেশি আফ্রিকায়। পৃথিবীর মোট ম্যালেরিয়া সংক্রমণের ৯৫ শতাংশ ও মৃত্যুর ৯৬ শতাংশ আফ্রিকায়। আরও যেসব বড় রোগের বাহক ছোট্ট এই প্রাণী, এর মধ্যে আছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, জিকা, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস ইত্যাদি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেঙ্গু। এ বছর ইতিমধ্যে এডিস মশার কারণে সৃষ্টি হওয়া ডেঙ্গু জ্বরে বাংলাদেশে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ১০০-তে পৌঁছেছে।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, বিবিসি ওয়াইল্ডলাইফ ম্যাগাজিন
আচ্ছা, কোন প্রাণীর আক্রমণে কিংবা এর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, বলুন তো? আপনি নিশ্চয় সিংহ, কুমির, বাঘ, হাতি, সাপ কিংবা বাঘের কথা ভেবে বসে আছেন। স্বাভাবিক; কারণ, এদের আক্রমণে কেউ মারা গেলে আমাদের চোখে পড়ে বেশি। যেমন শেরপুর-জামালপুর অঞ্চলে হাতির আক্রমণে মানুষ মারা যাওয়ার খবর আসছে (অবশ্য হাতিরও প্রাণ যাচ্ছে)। হলিউডের সিনেমাগুলোতেও আমরা বড় শত্রু হিসেবে দেখি হাঙর কিংবা অ্যানাকোন্ডার মতো প্রাণীগুলোকে।
কিন্তু শুনে অবাক হবেন, আপাতদৃষ্টে যাদের ভয়ংকর প্রাণী হিসেবে ভাবি আমরা, এদের অনেকগুলোর অবস্থান তালিকার নিচের দিকেই। আবার বাঘ কিংবা হাঙরের এই তালিকায় স্থানই হয়নি; কারণ, এদের আক্রমণে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা আদপে খুব একটি বেশি নয়। এ ক্ষেত্রে সবার ওপরে থাকা প্রাণীটি মোটেই এমন বিশাল কিছু নয়। সে হলো আমাদের অতি পরিচিত পুঁচকে মশা। এখন তাহলে কোন প্রাণীর কারণে কেমনসংখ্যক মানুষ মারা যায়, তা জেনে নেওয়া যাক। তবে আমরা তালিকাটি করেছি উল্টো দিক থেকে।
সিংহ
অনেকের হয়তো ধারণা ছিল, তালিকায় একেবারে ওপরের দিকে থাকবে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ ও ভারতের জঙ্গলে বিচরণ করা প্রাণীটি। বিশেষ করে এর গর্জন শুনলে যে কারও অন্তরাত্মা কেঁপে উঠতে বাধ্য। সাভোর মানুষখেকোসহ কুখ্যাত কিছু মানুষখেকো সিংহের কথা শোনা গেলেও সিংহের আক্রমণে মানুষ মারা যাওয়ার সংখ্যা খুব বেশি নয়। বিবিসি সায়েন্স ফোকাসের হিসেবে বছরে সংখ্যাটি ২০০-এর আশপাশে। কোনো কোনো সূত্রের দাবি, সংখ্যাটি আরও অনেক কম।
এদের নখ খুব ধারালো। কামড়ে হাড় চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেলা থেকে শুরু করে খুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। সাধারণত ছোট দলে ভাগ হয়ে শিকার করে এরা। কোনো দলের কাছাকাছি চলে গেলে আক্রমণ করতে পারে। সঙ্গে বাচ্চা থাকলে এরা খুব বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
জলহস্তী
জলহস্তীর আক্রমণে প্রতিবছর মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যাটা একেবারে কম নয়, শ পাঁচেক মানুষকে প্রাণ হারাতে হয় এদের হাতে। একেকটি পুরুষ জলহস্তীর ওজন হতে পারে ১৫০০ কেজি। প্রায় আধা মিটার লম্বা ধারালো শ্বদন্তের একটি কামড়ে একজন মানুষের শরীর দুই টুকরো হয়ে যেতে পারে। বলা হয় একটি জলহস্তীর কামড়ের শক্তি সিংহের কামড়ের তিন গুণ।
জলহস্তীর এলাকায় কোনো মানুষ চলে এলে আক্রমণ করে বসা এদের জন্য খুব স্বাভাবিক। কখনো কখনো অন্য কোনো প্রাণী ভেবে নৌকা আক্রমণ ও উল্টে দেওয়ার অভ্যাস আছে এদের।
হাতি
হাতির আক্রমণে মৃত্যু হওয়া মানুষের সংখ্যা ৫০০ থেকে ৬০০। পা দিয়ে মাড়িয়ে, শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে আছাড় মেরে কিংবা দাঁত দিয়ে খুঁচিয়ে মানুষ মারার রেকর্ড আছে হাতিদের। তেমনি মানুষের কারণে প্রাণ যায় হাতিদেরও। বুনো হাতির দেখা পাওয়া যায় আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশে।
হাতি-মানুষ সংঘাতে দায় আছে মানুষেরও। হাতির বিচরণের জায়গাগুলোয় মানুষের বসতি ও চাষবাদের জন্য ব্যবহৃত হওয়ায় মানুষের সঙ্গে সংঘাত বাড়ছে এদের।
কুমির
প্রতিবছর কুমিরের আক্রমণে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম নয়, হাজারের মতো। এদের দাঁতগুলোই জানিয়ে দেয়, কতটা বিপজ্জনক হতে পারে সরীসৃপটি। নীল ক্রোকোডাইলের কামড়কে ধরা হয় পৃথিবীর তাবৎ প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কামড় হিসেবে। তেমনি লোনাপানির কুমিরের কামড়ও প্রচণ্ড শক্তিশালী।
এসকারিস রাউন্ডওয়র্ম
এই গুবরে পোকারা সরাসরি মানুষ মারে না। তবে বহু মানুষের মৃত্যুর জন্য এরাই দায়ী। এটি অন্য প্রাণীর দেহে বাস করে তার ক্ষতি করে। কোনো মানুষ দুর্ঘটনাবশত তাদের ডিম খেয়ে ফেললে মানুষের শরীরের প্রবেশের সুযোগ পায়। এটি মানুষের শরীরের খাদ্যনালির নিচের অংশে অবস্থান করে খাবার খায় এবং নতুন প্রাণীর জন্ম দেয়। এতে যে রোগের সৃষ্টি হয়, তার নাম এসকারিয়াসিস। এই রোগে প্রতিবছর প্রায় আড়াই হাজার মানুষ মারা যান।
মাকড়সা
লেজ দিয়ে হুল ফুটিয়ে শিকারের শরীরে বিষ ঢুকিয়ে দেয় মাকড়সারা। অবশ্য এদের সবাই এমন ক্ষতিকর নয়। ২৬০০ প্রজাতির মাকড়সার মধ্যে কেবল ২৫ জাতের মাকড়সা মানুষকে মারার মতো বিষ থাকে। এদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর বলা চলে ডেথস্টকারকে। উত্তর আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের মরু এলাকায় মৃত্যুর বার্তাবাহী এই হলুদ প্রাণীর দেখা মেলে। এদের শরীরে যে পরিমাণ বিষ থাকে, তা শিশু, বৃদ্ধ কিংবা শারীরিক জটিলতায় ভোগা মানুষদের মারার জন্য যথেষ্ট। প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষও এদের হুলে মারা যেতে পারেন, তবে আশঙ্কা কম। মাকড়ার কামড়ে প্রতিবছর মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ২৬০০ থেকে ৩৩০০।
গুপ্তঘাতক বাগ
অ্যাসাসিন বাগ বা গুপ্তঘাতক ছারপোকা ছাগাস রোগ ছড়ানোর জন্য দায়ী। রক্তচোষা এই কীট মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় বড় বিপদের কারণ। এ ধরনের পোকার কামড়ে কিংবা এদের দ্বারা সংক্রামিত কোনো খাবার খেলে এ রোগ হয়। প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, এ রোগে হার্ট, পরিপাকতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হয়। ভয়ংকর ব্যাপার হলো, এ রোগ মাতৃগর্ভে মা থেকে শিশুর শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। এ রোগে বছরে ১০ হাজারের মতো মানুষ মারা যান।
কুকুর
কুকুর মানুষের বড় বন্ধু হিসেবে পরিচিত। তবে এরা কখনো কখনো বড় শত্রুও হয়ে উঠতে পারে। সেটি র্যাবিস বা জলাতঙ্ক রোগ ছড়ানোর মাধ্যমে। এমনিতে সরাসরি কুকুরের আক্রমণে কারও মৃত্যুর খবর শোনা যায় না বললেই চলে, তবে কুকুরের কামড়ে হওয়া জলাতঙ্ক রোগে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা কম নয়। সাধারণত এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে জলাতঙ্কজনিত মৃত্যুর হার বেশি। প্রতিবছর জলাতঙ্কে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৯ হাজারের মতো।
ওয়ার্ল্ড হেথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, জলাতঙ্কের কারণে যত মানুষ মারা যান, তার বেশির ভাগই কুকুরের কারণে। মোট জলাতঙ্ক রোগের ৯৯ শতাংশ হয় কুকুরের কামড়ে।
সাপ
এই বিষধর সরীসৃপদের প্রতি ইন্ডিয়ানা জোনসের যে ভীতি ছিল, তা একেবারে অমূলক নয়। বিপজ্জনক সব সাপ আছে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। বিভিন্নভাবে সাপের আক্রমণে মারা যেতে পারে মানুষ। উদাহরণ হিসেবে ব্ল্যাক মামবা এক কামড়ে শরীরে দুই ফোঁটা বিষ ঢুকিয়ে মারতে পারে মানুষকে, আবার খুব বড় আকারের অজগরের পক্ষে এমনকি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে পর্যন্ত গিলে ফেলা সম্ভব। বছরে সাপের আক্রমণে মৃত্যু হওয়া মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার। এদের বেশির ভাগ মারা যায় বিষধর সাপের কামড়ে।
স্বাদুপানির শামুক
সিসটোসোমায়োসিস সিসটোসোমা ধরনের পরজীবী কৃমি দ্বারা সৃষ্টি রোগ। এটি স্নেইল ফিভাব নামেও পরিচিত। এটি মূত্রনালি অথবা অন্ত্রগুলোকে আক্রান্ত করতে পারে। পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, রক্ত পায়খানা অথবা মূত্রে রক্ত চিহ্ন অথবা উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে সংক্রমিতরা যকৃতের ক্ষতি, কিডনি অকার্যকর, বন্ধ্যত্ব, মূত্রাশয় ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে। সংক্রমিত মিঠাপানির শামুক দ্বারা এই পরজীবীগুলো ছড়ায়। ওয়ার্ল্ড হেথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, প্রতিবছর দুই লাখ মানুষ এর আক্রমণে মারা যায়।
মশা
মশাকে কারও পছন্দ করার কারণ নেই। মশা নানা ধরনের রোগ ছড়ায়, এটাও সত্যি। তবে আমরা যেটা কল্পনাও করতে পারি না, কোনো প্রাণী যদি আমাদের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর হয়, সেটি মশা। খুদে এই উড়ুক্কু প্রাণী বছরজুড়ে সাড়ে সাত লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। আর এই মৃত্যুগুলোর বড় একটি অংশ আসে ম্যালেরিয়ার কারণে। এটির প্রভাব সবচেয়ে বেশি আফ্রিকায়। পৃথিবীর মোট ম্যালেরিয়া সংক্রমণের ৯৫ শতাংশ ও মৃত্যুর ৯৬ শতাংশ আফ্রিকায়। আরও যেসব বড় রোগের বাহক ছোট্ট এই প্রাণী, এর মধ্যে আছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, জিকা, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস ইত্যাদি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেঙ্গু। এ বছর ইতিমধ্যে এডিস মশার কারণে সৃষ্টি হওয়া ডেঙ্গু জ্বরে বাংলাদেশে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ১০০-তে পৌঁছেছে।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, বিবিসি ওয়াইল্ডলাইফ ম্যাগাজিন
ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৪ দিন আগেবিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১১ দিন আগেউত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে
১২ দিন আগেথাইল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় চনবুরি প্রদেশে গত সোমবার (৬ অক্টোবর) শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জল-মহিষ উৎসব। শতাধিক বছরের পুরোনো এই উৎসবের লক্ষ্য হলো—মহিষদের সম্মান জানানো ও কৃষিক্ষেত্রে তাঁদের বিলুপ্তি রোধ করা। যন্ত্রচালিত কৃষিকাজে ট্রাক্টরের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে বর্তমানে মহিষের অবদান অনেকটাই কমে...
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে বিশ্বাসী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর ওই ব্যক্তি গত সেপ্টেম্বরে একটি বোর্ডিং হাউসে স্ত্রীকে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন। এরপর তিনি পুলিশে অভিযোগ করলেও পরে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য গ্রামের প্রবীণদের কাছে যান। প্রবীণেরা ‘মোওয়া সারাপু’ নামে একটি ঐতিহ্যবাহী মিলন-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিরোধ মেটানোর সিদ্ধান্ত নেন।
‘মোওয়া সারাপু’ রীতিটি তোলাকি সম্প্রদায়ের শতাব্দীপ্রাচীন প্রথা, যার অর্থ ‘ছাড় দেওয়া ও শান্তি স্থাপন করা’। এই রীতির লক্ষ্য প্রতিশোধ নয়, বরং সামাজিক ভারসাম্য ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামের প্রবীণ, উভয় পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। সবার সামনেই ওই নারীর প্রেমিক তাঁর স্বামীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কাপড়, একটি তামার পাত্র এবং ৫০ লাখ রুপিয়া (প্রায় ৩৬ হাজার টাকা) দেন।
গ্রামপ্রধান সফরুদ্দিন জানান, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই দম্পতির বিবাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়। পরে নারীটির স্বামী ও প্রেমিক পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন করেন। এভাবে স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের হাতে সমর্পণ করেন স্বামীটি।
তোলাকি প্রবীণদের মতে, এই রীতি কোনো সম্পর্ককে ছোট করার জন্য নয়, বরং নৈতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতেই এমন প্রথা পালন করা হয়। তবে তাঁরা সতর্ক করে বলেন—কোনো নারী যদি এমন রীতি মেনে আবারও অন্য পুরুষকে বেছে নেয়, তবে তা তাঁর ও পরিবারের জন্য লজ্জার কারণ হবে।
ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে বিশ্বাসী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর ওই ব্যক্তি গত সেপ্টেম্বরে একটি বোর্ডিং হাউসে স্ত্রীকে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন। এরপর তিনি পুলিশে অভিযোগ করলেও পরে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য গ্রামের প্রবীণদের কাছে যান। প্রবীণেরা ‘মোওয়া সারাপু’ নামে একটি ঐতিহ্যবাহী মিলন-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিরোধ মেটানোর সিদ্ধান্ত নেন।
‘মোওয়া সারাপু’ রীতিটি তোলাকি সম্প্রদায়ের শতাব্দীপ্রাচীন প্রথা, যার অর্থ ‘ছাড় দেওয়া ও শান্তি স্থাপন করা’। এই রীতির লক্ষ্য প্রতিশোধ নয়, বরং সামাজিক ভারসাম্য ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামের প্রবীণ, উভয় পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। সবার সামনেই ওই নারীর প্রেমিক তাঁর স্বামীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কাপড়, একটি তামার পাত্র এবং ৫০ লাখ রুপিয়া (প্রায় ৩৬ হাজার টাকা) দেন।
গ্রামপ্রধান সফরুদ্দিন জানান, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই দম্পতির বিবাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়। পরে নারীটির স্বামী ও প্রেমিক পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন করেন। এভাবে স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের হাতে সমর্পণ করেন স্বামীটি।
তোলাকি প্রবীণদের মতে, এই রীতি কোনো সম্পর্ককে ছোট করার জন্য নয়, বরং নৈতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতেই এমন প্রথা পালন করা হয়। তবে তাঁরা সতর্ক করে বলেন—কোনো নারী যদি এমন রীতি মেনে আবারও অন্য পুরুষকে বেছে নেয়, তবে তা তাঁর ও পরিবারের জন্য লজ্জার কারণ হবে।
আচ্ছা, কোন প্রাণীর আক্রমণে কিংবা এর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, বলুন তো? আপনি নিশ্চয় সিংহ, কুমির, হাতি, হাঙর কিংবা বাঘের কথা ভেবে বসে আছেন। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, তালিকায় সবার ওপরে থাকা প্রাণীটি মোটেই এমন বিশাল কিছু নয়। সে হলো আমাদের অতি পরিচিত পুঁচকে মশা।
১৬ জুলাই ২০২৩বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১১ দিন আগেউত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে
১২ দিন আগেথাইল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় চনবুরি প্রদেশে গত সোমবার (৬ অক্টোবর) শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জল-মহিষ উৎসব। শতাধিক বছরের পুরোনো এই উৎসবের লক্ষ্য হলো—মহিষদের সম্মান জানানো ও কৃষিক্ষেত্রে তাঁদের বিলুপ্তি রোধ করা। যন্ত্রচালিত কৃষিকাজে ট্রাক্টরের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে বর্তমানে মহিষের অবদান অনেকটাই কমে...
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার বাবা, দাদা এবং কখনো কখনো গোত্রের নাম পর্যন্ত অনুসরণ করে। পশ্চিমা দেশগুলোতেও এমন দীর্ঘ নামের ঐতিহ্য রয়েছে।
যেমন প্রখ্যাত শিল্পীর পুরো নাম পাবলো দিয়েগো হোসে ফ্রান্সিসকো দে পাওলা হুয়ান নেপোমুসেনো মারিয়া দে লোস রেমেদিওস সিপ্রিয়ানো দে লা সান্তিসিমা ত্রিনিদাদ রুইজ ওয়াই পিকাসো! তবে পিকাসোর নামের এই আশ্চর্য দৈর্ঘ্যও নিউজিল্যান্ডের লরেন্স ওয়াটকিন্সের নামের কাছে নস্যি। লরেন্স ওয়াটকিন্স বর্তমানে বিশ্বের দীর্ঘতম নামের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ধারণ করে আছেন।
২,২৫৩ শব্দের নাম
১৯৯০ সালের মার্চে, নিউজিল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী লরেন্স তাঁর নামের সঙ্গে ২ হাজারটির বেশি মধ্যনাম যুক্ত করার জন্য আইনগতভাবে নিজের নাম পরিবর্তন করেন। তাঁর পুরো নামে বর্তমানে মোট ২ হাজার ২৫৩টি অনন্য শব্দ রয়েছে। এই নাম তাঁকে দীর্ঘতম ব্যক্তিগত নামের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস খেতাব এনে দিয়েছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর এই অস্বাভাবিক ইচ্ছার কারণ ব্যাখ্যা করেন: ‘আমি সব সময় অদ্ভুত এবং অস্বাভাবিক রেকর্ডগুলোর প্রতি মুগ্ধ ছিলাম। আমি সত্যিই সেই দৃশ্যের অংশ হতে চেয়েছিলাম। আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বইটি আগাগোড়া পড়ি এবং দেখি এমন কোনো রেকর্ড আছে কি না যা ভাঙতে পারি। আমার মনে হয়েছিল, বর্তমান রেকর্ডধারীর চেয়ে বেশি নাম যোগ করার রেকর্ডটিই কেবল আমার পক্ষে ভাঙা সম্ভব।’
লরেন্সের নাম পরিবর্তনের এ প্রক্রিয়াটি ছিল দীর্ঘ এবং কঠিন। সেই সময়ে কম্পিউটারের সীমিত ব্যবহারের কারণে পুরো নামের তালিকা টাইপ করতে তাঁকে কয়েক শ ডলার খরচ করতে হয়েছিল। প্রথমে জেলা আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলেও রেজিস্ট্রার জেনারেল তা বাতিল করে দেন। কিন্তু তিনি দমে যাননি। নিউজিল্যান্ডের হাইকোর্টে আপিল করেন এবং আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেয়।
তবে এই ঘটনার পরপরই আইন প্রণেতারা দ্রুত দুটি আইন পরিবর্তন করেন, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এত সংখ্যক মধ্যনাম যোগ করতে না পারে। শুরুতে এই রেকর্ড ২ হাজার ৩১০টি নাম হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেও গিনেসের হালনাগাদকৃত নির্দেশিকা অনুসারে তা পরে ২ হাজার ২৫৩টি নামে সংশোধন করা হয়।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, লরেন্স সেই সময় সিটি লাইব্রেরিতে কাজ করতেন এবং লাইব্রেরির বই থেকে নাম সংগ্রহ করতেন বা সহকর্মীদের কাছ থেকে সুপারিশ নিতেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় নাম হলো— AZ 2000, যার অর্থ হলো আমার নামের আদ্যক্ষর A থেকে Z পর্যন্ত আছে এবং আমার মোট ২ হাজারটি নাম আছে।’
তবে এর জন্য মাঝেমধ্যে লরেন্সকে বেশ ভোগান্তিও পোহাতে হয়। মানুষ সহজে বিশ্বাস করতে চায় না। প্রধান সমস্যা হয় সরকারি দপ্তরগুলোতে গেলে। কারণ, সরকারি কোনো পরিচয়পত্রে তাঁর পুরো নাম ধরানো সম্ভব হয় না!
বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার বাবা, দাদা এবং কখনো কখনো গোত্রের নাম পর্যন্ত অনুসরণ করে। পশ্চিমা দেশগুলোতেও এমন দীর্ঘ নামের ঐতিহ্য রয়েছে।
যেমন প্রখ্যাত শিল্পীর পুরো নাম পাবলো দিয়েগো হোসে ফ্রান্সিসকো দে পাওলা হুয়ান নেপোমুসেনো মারিয়া দে লোস রেমেদিওস সিপ্রিয়ানো দে লা সান্তিসিমা ত্রিনিদাদ রুইজ ওয়াই পিকাসো! তবে পিকাসোর নামের এই আশ্চর্য দৈর্ঘ্যও নিউজিল্যান্ডের লরেন্স ওয়াটকিন্সের নামের কাছে নস্যি। লরেন্স ওয়াটকিন্স বর্তমানে বিশ্বের দীর্ঘতম নামের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ধারণ করে আছেন।
২,২৫৩ শব্দের নাম
১৯৯০ সালের মার্চে, নিউজিল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী লরেন্স তাঁর নামের সঙ্গে ২ হাজারটির বেশি মধ্যনাম যুক্ত করার জন্য আইনগতভাবে নিজের নাম পরিবর্তন করেন। তাঁর পুরো নামে বর্তমানে মোট ২ হাজার ২৫৩টি অনন্য শব্দ রয়েছে। এই নাম তাঁকে দীর্ঘতম ব্যক্তিগত নামের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস খেতাব এনে দিয়েছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর এই অস্বাভাবিক ইচ্ছার কারণ ব্যাখ্যা করেন: ‘আমি সব সময় অদ্ভুত এবং অস্বাভাবিক রেকর্ডগুলোর প্রতি মুগ্ধ ছিলাম। আমি সত্যিই সেই দৃশ্যের অংশ হতে চেয়েছিলাম। আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বইটি আগাগোড়া পড়ি এবং দেখি এমন কোনো রেকর্ড আছে কি না যা ভাঙতে পারি। আমার মনে হয়েছিল, বর্তমান রেকর্ডধারীর চেয়ে বেশি নাম যোগ করার রেকর্ডটিই কেবল আমার পক্ষে ভাঙা সম্ভব।’
লরেন্সের নাম পরিবর্তনের এ প্রক্রিয়াটি ছিল দীর্ঘ এবং কঠিন। সেই সময়ে কম্পিউটারের সীমিত ব্যবহারের কারণে পুরো নামের তালিকা টাইপ করতে তাঁকে কয়েক শ ডলার খরচ করতে হয়েছিল। প্রথমে জেলা আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলেও রেজিস্ট্রার জেনারেল তা বাতিল করে দেন। কিন্তু তিনি দমে যাননি। নিউজিল্যান্ডের হাইকোর্টে আপিল করেন এবং আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেয়।
তবে এই ঘটনার পরপরই আইন প্রণেতারা দ্রুত দুটি আইন পরিবর্তন করেন, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এত সংখ্যক মধ্যনাম যোগ করতে না পারে। শুরুতে এই রেকর্ড ২ হাজার ৩১০টি নাম হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেও গিনেসের হালনাগাদকৃত নির্দেশিকা অনুসারে তা পরে ২ হাজার ২৫৩টি নামে সংশোধন করা হয়।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, লরেন্স সেই সময় সিটি লাইব্রেরিতে কাজ করতেন এবং লাইব্রেরির বই থেকে নাম সংগ্রহ করতেন বা সহকর্মীদের কাছ থেকে সুপারিশ নিতেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় নাম হলো— AZ 2000, যার অর্থ হলো আমার নামের আদ্যক্ষর A থেকে Z পর্যন্ত আছে এবং আমার মোট ২ হাজারটি নাম আছে।’
তবে এর জন্য মাঝেমধ্যে লরেন্সকে বেশ ভোগান্তিও পোহাতে হয়। মানুষ সহজে বিশ্বাস করতে চায় না। প্রধান সমস্যা হয় সরকারি দপ্তরগুলোতে গেলে। কারণ, সরকারি কোনো পরিচয়পত্রে তাঁর পুরো নাম ধরানো সম্ভব হয় না!
আচ্ছা, কোন প্রাণীর আক্রমণে কিংবা এর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, বলুন তো? আপনি নিশ্চয় সিংহ, কুমির, হাতি, হাঙর কিংবা বাঘের কথা ভেবে বসে আছেন। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, তালিকায় সবার ওপরে থাকা প্রাণীটি মোটেই এমন বিশাল কিছু নয়। সে হলো আমাদের অতি পরিচিত পুঁচকে মশা।
১৬ জুলাই ২০২৩ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৪ দিন আগেউত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে
১২ দিন আগেথাইল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় চনবুরি প্রদেশে গত সোমবার (৬ অক্টোবর) শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জল-মহিষ উৎসব। শতাধিক বছরের পুরোনো এই উৎসবের লক্ষ্য হলো—মহিষদের সম্মান জানানো ও কৃষিক্ষেত্রে তাঁদের বিলুপ্তি রোধ করা। যন্ত্রচালিত কৃষিকাজে ট্রাক্টরের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে বর্তমানে মহিষের অবদান অনেকটাই কমে...
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
উত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে নাচছেন।
ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘আমাদের পরিচালক বয়স্কদের ওষুধ খাওয়াতে যা যা করা দরকার, সবই করছেন।’ ভিডিওতে ওই নারীকে প্রাণবন্তভাবে নাচতে দেখা যায়। হাঁটু পর্যন্ত কালো মোজা পরিহিত অবস্থায় কোমর দোলাতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর নীল ইউনিফর্ম পরা অন্য এক কর্মী এক প্রবীণ পুরুষের কাছে গিয়ে তাঁকে ওষুধ খাওয়ান।
নার্সিং হোমটির অনলাইন প্রোফাইল অনুযায়ী, এটি নব্বইয়ের দশকে জন্ম নেওয়া এক পরিচালকের উদ্যোগে পরিচালিত আনন্দমুখর অবসর নিবাস, যারা প্রবীণদের সুখী রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রোফাইলে আরও লেখা আছে, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো, বার্ধক্যের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।’
ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। এক নেটিজেন মন্তব্য করেন, ‘এখন কি প্রবীণ যত্ন খাতে ইঙ্গিতপূর্ণ নাচও ঢুকে পড়েছে?’ জবাবে নার্সিং হোমের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট লিখেছে, ‘সবকিছুই ইঙ্গিতপূর্ণ নাচের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।’
গত ২৫ সেপ্টেম্বর নানগুও মেট্রোপলিস ডেইলিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নার্সিং হোমের পরিচালক জানান, ভিডিওতে থাকা নারী আসলে প্রবীণ যত্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী। তিনি স্বীকার করেন যে ভিডিওটি ‘অনুপযুক্ত’ ছিল, তবে ভবিষ্যতে ওই সিনিয়র কর্মীকে আরও সতর্ক হতে বলা হবে। পরিচালক আরও বলেন, ‘যদিও ওই নারী মাঝেমধ্যে প্রচারণামূলক ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি কোনো পেশাদার নৃত্যশিল্পী নন। সাধারণত এই হোমে বিনোদনের জন্য তাস খেলা ও গান গাওয়ার মতো প্রচলিত আয়োজন করা হয়।’
অন্য এক কর্মী পরে জানান, ওই নাচের ভিডিওগুলোর উদ্দেশ্য ছিল চীনের নার্সিং হোমগুলোকে নিয়ে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করা। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখাতে চেয়েছিলাম যে নার্সিং হোম কোনো নিস্তেজ জায়গা নয়। এখানেও প্রাণবন্ততা আছে, প্রবীণেরাও প্রাণবন্ত হতে পারেন। তবে এখন বুঝতে পারছি, এই পদ্ধতির ভালো-মন্দ দুটোই আছে।’
জনরোষ বাড়তে থাকায় নার্সিং হোমটির সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে পরে শতাধিক এই সম্পর্কিত ভিডিও মুছে ফেলা হয়। আনইয়াং সিভিল অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর প্রবীণ সেবা বিভাগ জানিয়েছে, ঘটনাটির বিস্তারিত তদন্ত করা হবে এবং ফলাফল জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশটির প্রবীণ জনগোষ্ঠী দ্রুত বাড়ছে। ২০২৪ সালের শেষে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩১ কোটি, যা মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ।
তথ্যসূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
উত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে নাচছেন।
ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘আমাদের পরিচালক বয়স্কদের ওষুধ খাওয়াতে যা যা করা দরকার, সবই করছেন।’ ভিডিওতে ওই নারীকে প্রাণবন্তভাবে নাচতে দেখা যায়। হাঁটু পর্যন্ত কালো মোজা পরিহিত অবস্থায় কোমর দোলাতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর নীল ইউনিফর্ম পরা অন্য এক কর্মী এক প্রবীণ পুরুষের কাছে গিয়ে তাঁকে ওষুধ খাওয়ান।
নার্সিং হোমটির অনলাইন প্রোফাইল অনুযায়ী, এটি নব্বইয়ের দশকে জন্ম নেওয়া এক পরিচালকের উদ্যোগে পরিচালিত আনন্দমুখর অবসর নিবাস, যারা প্রবীণদের সুখী রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রোফাইলে আরও লেখা আছে, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো, বার্ধক্যের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।’
ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। এক নেটিজেন মন্তব্য করেন, ‘এখন কি প্রবীণ যত্ন খাতে ইঙ্গিতপূর্ণ নাচও ঢুকে পড়েছে?’ জবাবে নার্সিং হোমের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট লিখেছে, ‘সবকিছুই ইঙ্গিতপূর্ণ নাচের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।’
গত ২৫ সেপ্টেম্বর নানগুও মেট্রোপলিস ডেইলিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নার্সিং হোমের পরিচালক জানান, ভিডিওতে থাকা নারী আসলে প্রবীণ যত্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী। তিনি স্বীকার করেন যে ভিডিওটি ‘অনুপযুক্ত’ ছিল, তবে ভবিষ্যতে ওই সিনিয়র কর্মীকে আরও সতর্ক হতে বলা হবে। পরিচালক আরও বলেন, ‘যদিও ওই নারী মাঝেমধ্যে প্রচারণামূলক ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি কোনো পেশাদার নৃত্যশিল্পী নন। সাধারণত এই হোমে বিনোদনের জন্য তাস খেলা ও গান গাওয়ার মতো প্রচলিত আয়োজন করা হয়।’
অন্য এক কর্মী পরে জানান, ওই নাচের ভিডিওগুলোর উদ্দেশ্য ছিল চীনের নার্সিং হোমগুলোকে নিয়ে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করা। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখাতে চেয়েছিলাম যে নার্সিং হোম কোনো নিস্তেজ জায়গা নয়। এখানেও প্রাণবন্ততা আছে, প্রবীণেরাও প্রাণবন্ত হতে পারেন। তবে এখন বুঝতে পারছি, এই পদ্ধতির ভালো-মন্দ দুটোই আছে।’
জনরোষ বাড়তে থাকায় নার্সিং হোমটির সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে পরে শতাধিক এই সম্পর্কিত ভিডিও মুছে ফেলা হয়। আনইয়াং সিভিল অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর প্রবীণ সেবা বিভাগ জানিয়েছে, ঘটনাটির বিস্তারিত তদন্ত করা হবে এবং ফলাফল জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশটির প্রবীণ জনগোষ্ঠী দ্রুত বাড়ছে। ২০২৪ সালের শেষে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩১ কোটি, যা মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ।
তথ্যসূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
আচ্ছা, কোন প্রাণীর আক্রমণে কিংবা এর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, বলুন তো? আপনি নিশ্চয় সিংহ, কুমির, হাতি, হাঙর কিংবা বাঘের কথা ভেবে বসে আছেন। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, তালিকায় সবার ওপরে থাকা প্রাণীটি মোটেই এমন বিশাল কিছু নয়। সে হলো আমাদের অতি পরিচিত পুঁচকে মশা।
১৬ জুলাই ২০২৩ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৪ দিন আগেবিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১১ দিন আগেথাইল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় চনবুরি প্রদেশে গত সোমবার (৬ অক্টোবর) শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জল-মহিষ উৎসব। শতাধিক বছরের পুরোনো এই উৎসবের লক্ষ্য হলো—মহিষদের সম্মান জানানো ও কৃষিক্ষেত্রে তাঁদের বিলুপ্তি রোধ করা। যন্ত্রচালিত কৃষিকাজে ট্রাক্টরের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে বর্তমানে মহিষের অবদান অনেকটাই কমে...
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
থাইল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় চনবুরি প্রদেশে গত সোমবার (৬ অক্টোবর) শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জল-মহিষ উৎসব। শতাধিক বছরের পুরোনো এই উৎসবের লক্ষ্য হলো—মহিষদের সম্মান জানানো ও কৃষিক্ষেত্রে তাঁদের বিলুপ্তি রোধ করা। যন্ত্রচালিত কৃষিকাজে ট্রাক্টরের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে বর্তমানে মহিষের অবদান অনেকটাই কমে গেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, চনবুরির এই জল-মহিষ দৌড় উৎসবের ইতিহাস দেড় শ বছরের পুরোনো। নির্ধারিত স্থানে ফুলের মালা ও সাজসজ্জায় সজ্জিত মহিষদের সঙ্গে অংশ নেয় অসংখ্য স্থানীয় মানুষ। ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত মহিষ-আরোহীদের দেখতেও ভিড় জমে পর্যটকদের।
রাজধানী ব্যাংকক থেকে ঘণ্টাখানেক দূরের এই উৎসব এখন শুধু বিনোদন নয়, বরং থাই সংস্কৃতির একটি জীবন্ত ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়ভাবে ‘কোয়াই’ নামে পরিচিত থাই জল-মহিষ অতীতে ছিল কৃষকের শক্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। কিন্তু যান্ত্রিক চাষাবাদের ফলে এদের সংখ্যা দ্রুত কমে যাচ্ছে। তাই সরকার ও স্থানীয় কৃষকেরা এখন সংরক্ষণ ও প্রজনন কর্মসূচির মাধ্যমে মহিষ রক্ষায় সচেষ্ট হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক থাওয়াচাই ডেং-এনগামের পরিবার ৩০টি মহিষ পালন করে। তিনি বলেন, ‘মহিষ মাঠে কাজ করতে পারলেও তারা যন্ত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারে না। তারপরও মহিষ আমাদের পরিবারের মতো। মানুষ মহিষ লালন করে, আর মহিষ মানুষকে বাঁচায়।’
ডেং-এনগামের পাঁচ বছর বয়সী কালো মহিষ ‘টড’ এই বছর প্রথমবারের মতো সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে এবং সবার মন জয় করেছে। মূলত মহিষের শিং, খুর ও দেহের গঠন দেখেই বিচারকেরা তার সৌন্দর্য বিচার করেন।
এখন মহিষ শুধু কৃষিকাজে নয়, উৎসব ও প্রদর্শনীর প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই উৎসবে থাকে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, ফুলে সাজানো মহিষের শোভাযাত্রা এবং ১০০ মিটারের দৌড় প্রতিযোগিতা। চনবুরির পশুপালন কেন্দ্রের সহকারী কর্মকর্তা পাপাদা স্রিসোফন বলেন, ‘প্রতি বছর উৎসব বড় হচ্ছে। এই আয়োজন না থাকলে কৃষকেরা মহিষ পালনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।’
উল্লেখ্য, থাই সরকার ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর ‘১৪ মে’ দিনটিকে ‘থাই মহিষ সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।
থাইল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় চনবুরি প্রদেশে গত সোমবার (৬ অক্টোবর) শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জল-মহিষ উৎসব। শতাধিক বছরের পুরোনো এই উৎসবের লক্ষ্য হলো—মহিষদের সম্মান জানানো ও কৃষিক্ষেত্রে তাঁদের বিলুপ্তি রোধ করা। যন্ত্রচালিত কৃষিকাজে ট্রাক্টরের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে বর্তমানে মহিষের অবদান অনেকটাই কমে গেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, চনবুরির এই জল-মহিষ দৌড় উৎসবের ইতিহাস দেড় শ বছরের পুরোনো। নির্ধারিত স্থানে ফুলের মালা ও সাজসজ্জায় সজ্জিত মহিষদের সঙ্গে অংশ নেয় অসংখ্য স্থানীয় মানুষ। ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত মহিষ-আরোহীদের দেখতেও ভিড় জমে পর্যটকদের।
রাজধানী ব্যাংকক থেকে ঘণ্টাখানেক দূরের এই উৎসব এখন শুধু বিনোদন নয়, বরং থাই সংস্কৃতির একটি জীবন্ত ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়ভাবে ‘কোয়াই’ নামে পরিচিত থাই জল-মহিষ অতীতে ছিল কৃষকের শক্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। কিন্তু যান্ত্রিক চাষাবাদের ফলে এদের সংখ্যা দ্রুত কমে যাচ্ছে। তাই সরকার ও স্থানীয় কৃষকেরা এখন সংরক্ষণ ও প্রজনন কর্মসূচির মাধ্যমে মহিষ রক্ষায় সচেষ্ট হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক থাওয়াচাই ডেং-এনগামের পরিবার ৩০টি মহিষ পালন করে। তিনি বলেন, ‘মহিষ মাঠে কাজ করতে পারলেও তারা যন্ত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারে না। তারপরও মহিষ আমাদের পরিবারের মতো। মানুষ মহিষ লালন করে, আর মহিষ মানুষকে বাঁচায়।’
ডেং-এনগামের পাঁচ বছর বয়সী কালো মহিষ ‘টড’ এই বছর প্রথমবারের মতো সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে এবং সবার মন জয় করেছে। মূলত মহিষের শিং, খুর ও দেহের গঠন দেখেই বিচারকেরা তার সৌন্দর্য বিচার করেন।
এখন মহিষ শুধু কৃষিকাজে নয়, উৎসব ও প্রদর্শনীর প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই উৎসবে থাকে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, ফুলে সাজানো মহিষের শোভাযাত্রা এবং ১০০ মিটারের দৌড় প্রতিযোগিতা। চনবুরির পশুপালন কেন্দ্রের সহকারী কর্মকর্তা পাপাদা স্রিসোফন বলেন, ‘প্রতি বছর উৎসব বড় হচ্ছে। এই আয়োজন না থাকলে কৃষকেরা মহিষ পালনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।’
উল্লেখ্য, থাই সরকার ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর ‘১৪ মে’ দিনটিকে ‘থাই মহিষ সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।
আচ্ছা, কোন প্রাণীর আক্রমণে কিংবা এর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, বলুন তো? আপনি নিশ্চয় সিংহ, কুমির, হাতি, হাঙর কিংবা বাঘের কথা ভেবে বসে আছেন। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, তালিকায় সবার ওপরে থাকা প্রাণীটি মোটেই এমন বিশাল কিছু নয়। সে হলো আমাদের অতি পরিচিত পুঁচকে মশা।
১৬ জুলাই ২০২৩ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৪ দিন আগেবিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১১ দিন আগেউত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে
১২ দিন আগে