ইশতিয়াক হাসান

অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনের ক্রোকোসরাস কোভ নামের পার্কটিতে নানা ধরনের সরীসৃপের দেখা পাবেন। তবে এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণের নাম কেইজ অব ডেথ। কাচের মতো দেখতে প্লাস্টিকের ছোট্ট এক খাঁচায় চেপে নামবেন পানির নিচে। যেখানে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ালদর্শন এক কুমির। তবে আগেই বলে রাখছি, দুর্বলচিত্তদের কেইজ অব ডেথ বা মৃত্যু খাঁচায় চেপে ভ্রমণ না করাটাই মনে হয় ভালো হবে।
অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটরির রাজধানী ডারউইনের প্রাণকেন্দ্রে ২০০৮ সালের জুলাইয়ে উদ্বোধন হয় ক্রোকোসরাস কোভের। শহরের দুই ব্যবসায়ী ডাগ গ্যাম্বল ও মিক বার্নস প্রায় পতিত এক জায়গাকে রূপ দেন আজকের বড় পর্যটন আকর্ষণে। প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ ডলার ছিল তাঁদের সেই সময়কার বিনিয়োগ।
তবে ক্রোকোসরাস কোভের আজকের এই জনপ্রিয়তার মূলে নিঃসন্দেহে কেইজ অব ডেথ। এতে দেড় ইঞ্চি পুরু একটি কাচ-প্লাস্টিকের খাঁচায় চেপে পানির তলে নামবেন আপনি। সেখানে আপনার অপেক্ষায় থাকবে পার্কের ভয়ালদর্শন লোনাজলের কুমিরগুলোর একটি। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় যেটি, সেটির দৈর্ঘ্য ১৮ ফুট। অধীর আগ্রহ নিয়ে চমৎকার একটি ভোজের অপেক্ষায় থাকে এই কুমিরগুলো।
কুমিরের খাবারটা আটকানো থাকে খাঁচার নিচে কিংবা ওপর থেকে খাঁচার পাশে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। কাজেই বুঝতেই পারছেন, দাঁত বের করে থাকা ভয়ালদর্শন প্রাণীটা খাঁচার গায়ে মুখ ঘষতে থাকা কিংবা ছোটখাটো একটা ঢুঁ মারাটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। অবশ্য পার্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, দেড় ইঞ্চি চওড়া খাঁচার দেয়াল বিশাল সরীসৃপদের যেকোনো আক্রমণ মোকাবিলার মতো করে তৈরি। ছোটখাটো দুর্বিপাক ছাড়া ডেথ অব কেউজে করে নেমে বড় দুর্ঘটনায় পড়েছেন এমন নজিরও নেই। তার পরও দুই হাজার পাউন্ডের সরীসৃপটির ধারালো দাঁত যখন এত কাছ থেকে দেখবেন, তখন অতি সাহসী মানুষটিরও বুকে কাঁপন ধরে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিশালদেহী সরীসৃপের সান্নিধ্যে আপনি থাকবেন ১৫ মিনিট।
কেইজ অব ডেথে যে কুমিরগুলো পর্যটকদের রোমাঞ্চিত করে সেগুলোর হলো ওয়েনডেল, বারু, লিও, উইলিয়াম ও কেট। সাধারণত সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে ক্রোকোসরাস কোভ। মৃত্যুখাঁচায় একবারে নামতে পারেন সর্বোচ্চ দুজন। পার্কের তিনতলা মূল দালানটির আয়তন ৫ হাজার বর্গমিটার।
এখন বরং মৃত্যুখাঁচা ছাড়া আর কী আছে পার্কটিতে, সে সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক। ধারণা করা হয়, এক জায়গায় এত বেশি অস্ট্রেলিয়ান সরীসৃপের দেখা মেলে না পৃথিবীর আর কোথাও। এখানে ৭০ প্রজাতির বেশি অস্ট্রেলীয় সরীসৃপের কাছাকাছি আসার সুযোগ পাবেন। এই সরীসৃপদের একটি বড় অংশের বাসস্থান নর্দার্ন টেরিটরির টপ অ্যান্ড ও কিম্বার্লি এলাকায়। পার্কের সাম্প্রতিক বড় আকর্ষণ একটি মরু এলাকা, যেখানে রেড সেন্টার এলাকার বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর দেখা পাবেন।
পার্কে স্বাদু পানির হুইপরেদের (একধরনের স্টিংরে) সঙ্গে সময় কাটানোরও সুযোগ পাবেন। অভিজ্ঞ গাইডদের তদারকিতে ছয় ফুটি একটি হুইপরেকে নিজ হাতে খাওয়াতেও পারবেন। এদিকে শিশুদের জন্য আছে দুই ঘণ্টার জুনিয়র রেপটাইল রেঞ্জার প্রোগ্রাম। যেখানে পার্কের সরীসৃপদের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা লোকদের সঙ্গে সরীসৃপদের অন্দরমহলে ঘুরে বেড়াতে পারে তারা, খাওয়াতে পারে কুমিরের বাচ্চাদের।
পার্কটি গোড়াপত্তনের সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীদের মনোযোগ আকৃষ্ট করলেও প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা মানুষেরা অভিযোগ করেন, এখানে খেলার নামে কুমিরদের হয়রানি করা হয়। তবে এটা এখানে পর্যটক আসায় বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি কখনোই। কুমিরের সঙ্গে কেবল দেড় ইঞ্চি দূরত্বে থাকার রোমাঞ্চ হাতছাড়া করতে চান না সাহসীরা।
এবার বরং পার্কটি ভ্রমণে কিংবা মৃত্যুখাঁচায় চড়ে পানির নিচে নামায় কেমন খরচ পড়বে জেনে নেওয়া যাক। ডেথ অব কেইজে চড়াসহ একজনের পার্কে সারা দিন সময় কাটানোর জন্য পড়বে ১৮৫ ডলার বা সাড়ে ১৯ হাজার টাকা। দুজন হলে মোট খরচ পড়বে ২৮৫ ডলার বা ৩০ হাজার ২০০ টাকা। আর শুধু পার্ক ভ্রমণ এবং এর ৯টি শো দেখার জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের পড়বে ৩৮ ডলার বা ৪ হাজার টাকার মতো।
কাজেই পাঠক আপনি যদি রোমাঞ্চপ্রেমী হন, পরবর্তী অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে ডেথ অব কেইজে চেপে বসার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না আশা করি। আর ডারউইনে যদি যানই, ক্রোকোসরাস কোভ ছাড়াও এখানে দেখার অনেক কিছুই আছে। ডারউইনকে বলতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত কিছু জাতীয় উদ্যানের প্রবেশদ্বার। এর মধ্যে অন্যতম কাকাডু ন্যাশনাল পার্ক। ২০ হাজার বর্গকিলোমিটারের পার্কটি বন্যপ্রাণী, প্রকৃতির পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসীদের সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। তা ছাড়া যেতে পারেন লিচফিল্ড ন্যাশনাল পার্কে। এখানকার পাথুরে গর্ত আর জলপ্রপাতগুলো মশহুর। ডারউইন থেকে কিছুটা দূরে অ্যাডিলেড নদীতে নৌকাভ্রমণে গিয়ে লোনাপানির কুমিরদের দেখতে পাবেন প্রাকৃতিক পরিবেশে।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, ক্রোকোসরাস কোভ ডট কম

অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনের ক্রোকোসরাস কোভ নামের পার্কটিতে নানা ধরনের সরীসৃপের দেখা পাবেন। তবে এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণের নাম কেইজ অব ডেথ। কাচের মতো দেখতে প্লাস্টিকের ছোট্ট এক খাঁচায় চেপে নামবেন পানির নিচে। যেখানে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ালদর্শন এক কুমির। তবে আগেই বলে রাখছি, দুর্বলচিত্তদের কেইজ অব ডেথ বা মৃত্যু খাঁচায় চেপে ভ্রমণ না করাটাই মনে হয় ভালো হবে।
অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটরির রাজধানী ডারউইনের প্রাণকেন্দ্রে ২০০৮ সালের জুলাইয়ে উদ্বোধন হয় ক্রোকোসরাস কোভের। শহরের দুই ব্যবসায়ী ডাগ গ্যাম্বল ও মিক বার্নস প্রায় পতিত এক জায়গাকে রূপ দেন আজকের বড় পর্যটন আকর্ষণে। প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ ডলার ছিল তাঁদের সেই সময়কার বিনিয়োগ।
তবে ক্রোকোসরাস কোভের আজকের এই জনপ্রিয়তার মূলে নিঃসন্দেহে কেইজ অব ডেথ। এতে দেড় ইঞ্চি পুরু একটি কাচ-প্লাস্টিকের খাঁচায় চেপে পানির তলে নামবেন আপনি। সেখানে আপনার অপেক্ষায় থাকবে পার্কের ভয়ালদর্শন লোনাজলের কুমিরগুলোর একটি। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় যেটি, সেটির দৈর্ঘ্য ১৮ ফুট। অধীর আগ্রহ নিয়ে চমৎকার একটি ভোজের অপেক্ষায় থাকে এই কুমিরগুলো।
কুমিরের খাবারটা আটকানো থাকে খাঁচার নিচে কিংবা ওপর থেকে খাঁচার পাশে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। কাজেই বুঝতেই পারছেন, দাঁত বের করে থাকা ভয়ালদর্শন প্রাণীটা খাঁচার গায়ে মুখ ঘষতে থাকা কিংবা ছোটখাটো একটা ঢুঁ মারাটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। অবশ্য পার্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, দেড় ইঞ্চি চওড়া খাঁচার দেয়াল বিশাল সরীসৃপদের যেকোনো আক্রমণ মোকাবিলার মতো করে তৈরি। ছোটখাটো দুর্বিপাক ছাড়া ডেথ অব কেউজে করে নেমে বড় দুর্ঘটনায় পড়েছেন এমন নজিরও নেই। তার পরও দুই হাজার পাউন্ডের সরীসৃপটির ধারালো দাঁত যখন এত কাছ থেকে দেখবেন, তখন অতি সাহসী মানুষটিরও বুকে কাঁপন ধরে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিশালদেহী সরীসৃপের সান্নিধ্যে আপনি থাকবেন ১৫ মিনিট।
কেইজ অব ডেথে যে কুমিরগুলো পর্যটকদের রোমাঞ্চিত করে সেগুলোর হলো ওয়েনডেল, বারু, লিও, উইলিয়াম ও কেট। সাধারণত সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে ক্রোকোসরাস কোভ। মৃত্যুখাঁচায় একবারে নামতে পারেন সর্বোচ্চ দুজন। পার্কের তিনতলা মূল দালানটির আয়তন ৫ হাজার বর্গমিটার।
এখন বরং মৃত্যুখাঁচা ছাড়া আর কী আছে পার্কটিতে, সে সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক। ধারণা করা হয়, এক জায়গায় এত বেশি অস্ট্রেলিয়ান সরীসৃপের দেখা মেলে না পৃথিবীর আর কোথাও। এখানে ৭০ প্রজাতির বেশি অস্ট্রেলীয় সরীসৃপের কাছাকাছি আসার সুযোগ পাবেন। এই সরীসৃপদের একটি বড় অংশের বাসস্থান নর্দার্ন টেরিটরির টপ অ্যান্ড ও কিম্বার্লি এলাকায়। পার্কের সাম্প্রতিক বড় আকর্ষণ একটি মরু এলাকা, যেখানে রেড সেন্টার এলাকার বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর দেখা পাবেন।
পার্কে স্বাদু পানির হুইপরেদের (একধরনের স্টিংরে) সঙ্গে সময় কাটানোরও সুযোগ পাবেন। অভিজ্ঞ গাইডদের তদারকিতে ছয় ফুটি একটি হুইপরেকে নিজ হাতে খাওয়াতেও পারবেন। এদিকে শিশুদের জন্য আছে দুই ঘণ্টার জুনিয়র রেপটাইল রেঞ্জার প্রোগ্রাম। যেখানে পার্কের সরীসৃপদের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা লোকদের সঙ্গে সরীসৃপদের অন্দরমহলে ঘুরে বেড়াতে পারে তারা, খাওয়াতে পারে কুমিরের বাচ্চাদের।
পার্কটি গোড়াপত্তনের সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীদের মনোযোগ আকৃষ্ট করলেও প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা মানুষেরা অভিযোগ করেন, এখানে খেলার নামে কুমিরদের হয়রানি করা হয়। তবে এটা এখানে পর্যটক আসায় বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি কখনোই। কুমিরের সঙ্গে কেবল দেড় ইঞ্চি দূরত্বে থাকার রোমাঞ্চ হাতছাড়া করতে চান না সাহসীরা।
এবার বরং পার্কটি ভ্রমণে কিংবা মৃত্যুখাঁচায় চড়ে পানির নিচে নামায় কেমন খরচ পড়বে জেনে নেওয়া যাক। ডেথ অব কেইজে চড়াসহ একজনের পার্কে সারা দিন সময় কাটানোর জন্য পড়বে ১৮৫ ডলার বা সাড়ে ১৯ হাজার টাকা। দুজন হলে মোট খরচ পড়বে ২৮৫ ডলার বা ৩০ হাজার ২০০ টাকা। আর শুধু পার্ক ভ্রমণ এবং এর ৯টি শো দেখার জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের পড়বে ৩৮ ডলার বা ৪ হাজার টাকার মতো।
কাজেই পাঠক আপনি যদি রোমাঞ্চপ্রেমী হন, পরবর্তী অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে ডেথ অব কেইজে চেপে বসার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না আশা করি। আর ডারউইনে যদি যানই, ক্রোকোসরাস কোভ ছাড়াও এখানে দেখার অনেক কিছুই আছে। ডারউইনকে বলতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত কিছু জাতীয় উদ্যানের প্রবেশদ্বার। এর মধ্যে অন্যতম কাকাডু ন্যাশনাল পার্ক। ২০ হাজার বর্গকিলোমিটারের পার্কটি বন্যপ্রাণী, প্রকৃতির পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসীদের সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। তা ছাড়া যেতে পারেন লিচফিল্ড ন্যাশনাল পার্কে। এখানকার পাথুরে গর্ত আর জলপ্রপাতগুলো মশহুর। ডারউইন থেকে কিছুটা দূরে অ্যাডিলেড নদীতে নৌকাভ্রমণে গিয়ে লোনাপানির কুমিরদের দেখতে পাবেন প্রাকৃতিক পরিবেশে।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, ক্রোকোসরাস কোভ ডট কম
ইশতিয়াক হাসান

অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনের ক্রোকোসরাস কোভ নামের পার্কটিতে নানা ধরনের সরীসৃপের দেখা পাবেন। তবে এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণের নাম কেইজ অব ডেথ। কাচের মতো দেখতে প্লাস্টিকের ছোট্ট এক খাঁচায় চেপে নামবেন পানির নিচে। যেখানে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ালদর্শন এক কুমির। তবে আগেই বলে রাখছি, দুর্বলচিত্তদের কেইজ অব ডেথ বা মৃত্যু খাঁচায় চেপে ভ্রমণ না করাটাই মনে হয় ভালো হবে।
অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটরির রাজধানী ডারউইনের প্রাণকেন্দ্রে ২০০৮ সালের জুলাইয়ে উদ্বোধন হয় ক্রোকোসরাস কোভের। শহরের দুই ব্যবসায়ী ডাগ গ্যাম্বল ও মিক বার্নস প্রায় পতিত এক জায়গাকে রূপ দেন আজকের বড় পর্যটন আকর্ষণে। প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ ডলার ছিল তাঁদের সেই সময়কার বিনিয়োগ।
তবে ক্রোকোসরাস কোভের আজকের এই জনপ্রিয়তার মূলে নিঃসন্দেহে কেইজ অব ডেথ। এতে দেড় ইঞ্চি পুরু একটি কাচ-প্লাস্টিকের খাঁচায় চেপে পানির তলে নামবেন আপনি। সেখানে আপনার অপেক্ষায় থাকবে পার্কের ভয়ালদর্শন লোনাজলের কুমিরগুলোর একটি। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় যেটি, সেটির দৈর্ঘ্য ১৮ ফুট। অধীর আগ্রহ নিয়ে চমৎকার একটি ভোজের অপেক্ষায় থাকে এই কুমিরগুলো।
কুমিরের খাবারটা আটকানো থাকে খাঁচার নিচে কিংবা ওপর থেকে খাঁচার পাশে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। কাজেই বুঝতেই পারছেন, দাঁত বের করে থাকা ভয়ালদর্শন প্রাণীটা খাঁচার গায়ে মুখ ঘষতে থাকা কিংবা ছোটখাটো একটা ঢুঁ মারাটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। অবশ্য পার্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, দেড় ইঞ্চি চওড়া খাঁচার দেয়াল বিশাল সরীসৃপদের যেকোনো আক্রমণ মোকাবিলার মতো করে তৈরি। ছোটখাটো দুর্বিপাক ছাড়া ডেথ অব কেউজে করে নেমে বড় দুর্ঘটনায় পড়েছেন এমন নজিরও নেই। তার পরও দুই হাজার পাউন্ডের সরীসৃপটির ধারালো দাঁত যখন এত কাছ থেকে দেখবেন, তখন অতি সাহসী মানুষটিরও বুকে কাঁপন ধরে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিশালদেহী সরীসৃপের সান্নিধ্যে আপনি থাকবেন ১৫ মিনিট।
কেইজ অব ডেথে যে কুমিরগুলো পর্যটকদের রোমাঞ্চিত করে সেগুলোর হলো ওয়েনডেল, বারু, লিও, উইলিয়াম ও কেট। সাধারণত সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে ক্রোকোসরাস কোভ। মৃত্যুখাঁচায় একবারে নামতে পারেন সর্বোচ্চ দুজন। পার্কের তিনতলা মূল দালানটির আয়তন ৫ হাজার বর্গমিটার।
এখন বরং মৃত্যুখাঁচা ছাড়া আর কী আছে পার্কটিতে, সে সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক। ধারণা করা হয়, এক জায়গায় এত বেশি অস্ট্রেলিয়ান সরীসৃপের দেখা মেলে না পৃথিবীর আর কোথাও। এখানে ৭০ প্রজাতির বেশি অস্ট্রেলীয় সরীসৃপের কাছাকাছি আসার সুযোগ পাবেন। এই সরীসৃপদের একটি বড় অংশের বাসস্থান নর্দার্ন টেরিটরির টপ অ্যান্ড ও কিম্বার্লি এলাকায়। পার্কের সাম্প্রতিক বড় আকর্ষণ একটি মরু এলাকা, যেখানে রেড সেন্টার এলাকার বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর দেখা পাবেন।
পার্কে স্বাদু পানির হুইপরেদের (একধরনের স্টিংরে) সঙ্গে সময় কাটানোরও সুযোগ পাবেন। অভিজ্ঞ গাইডদের তদারকিতে ছয় ফুটি একটি হুইপরেকে নিজ হাতে খাওয়াতেও পারবেন। এদিকে শিশুদের জন্য আছে দুই ঘণ্টার জুনিয়র রেপটাইল রেঞ্জার প্রোগ্রাম। যেখানে পার্কের সরীসৃপদের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা লোকদের সঙ্গে সরীসৃপদের অন্দরমহলে ঘুরে বেড়াতে পারে তারা, খাওয়াতে পারে কুমিরের বাচ্চাদের।
পার্কটি গোড়াপত্তনের সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীদের মনোযোগ আকৃষ্ট করলেও প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা মানুষেরা অভিযোগ করেন, এখানে খেলার নামে কুমিরদের হয়রানি করা হয়। তবে এটা এখানে পর্যটক আসায় বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি কখনোই। কুমিরের সঙ্গে কেবল দেড় ইঞ্চি দূরত্বে থাকার রোমাঞ্চ হাতছাড়া করতে চান না সাহসীরা।
এবার বরং পার্কটি ভ্রমণে কিংবা মৃত্যুখাঁচায় চড়ে পানির নিচে নামায় কেমন খরচ পড়বে জেনে নেওয়া যাক। ডেথ অব কেইজে চড়াসহ একজনের পার্কে সারা দিন সময় কাটানোর জন্য পড়বে ১৮৫ ডলার বা সাড়ে ১৯ হাজার টাকা। দুজন হলে মোট খরচ পড়বে ২৮৫ ডলার বা ৩০ হাজার ২০০ টাকা। আর শুধু পার্ক ভ্রমণ এবং এর ৯টি শো দেখার জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের পড়বে ৩৮ ডলার বা ৪ হাজার টাকার মতো।
কাজেই পাঠক আপনি যদি রোমাঞ্চপ্রেমী হন, পরবর্তী অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে ডেথ অব কেইজে চেপে বসার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না আশা করি। আর ডারউইনে যদি যানই, ক্রোকোসরাস কোভ ছাড়াও এখানে দেখার অনেক কিছুই আছে। ডারউইনকে বলতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত কিছু জাতীয় উদ্যানের প্রবেশদ্বার। এর মধ্যে অন্যতম কাকাডু ন্যাশনাল পার্ক। ২০ হাজার বর্গকিলোমিটারের পার্কটি বন্যপ্রাণী, প্রকৃতির পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসীদের সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। তা ছাড়া যেতে পারেন লিচফিল্ড ন্যাশনাল পার্কে। এখানকার পাথুরে গর্ত আর জলপ্রপাতগুলো মশহুর। ডারউইন থেকে কিছুটা দূরে অ্যাডিলেড নদীতে নৌকাভ্রমণে গিয়ে লোনাপানির কুমিরদের দেখতে পাবেন প্রাকৃতিক পরিবেশে।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, ক্রোকোসরাস কোভ ডট কম

অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনের ক্রোকোসরাস কোভ নামের পার্কটিতে নানা ধরনের সরীসৃপের দেখা পাবেন। তবে এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণের নাম কেইজ অব ডেথ। কাচের মতো দেখতে প্লাস্টিকের ছোট্ট এক খাঁচায় চেপে নামবেন পানির নিচে। যেখানে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ালদর্শন এক কুমির। তবে আগেই বলে রাখছি, দুর্বলচিত্তদের কেইজ অব ডেথ বা মৃত্যু খাঁচায় চেপে ভ্রমণ না করাটাই মনে হয় ভালো হবে।
অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটরির রাজধানী ডারউইনের প্রাণকেন্দ্রে ২০০৮ সালের জুলাইয়ে উদ্বোধন হয় ক্রোকোসরাস কোভের। শহরের দুই ব্যবসায়ী ডাগ গ্যাম্বল ও মিক বার্নস প্রায় পতিত এক জায়গাকে রূপ দেন আজকের বড় পর্যটন আকর্ষণে। প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ ডলার ছিল তাঁদের সেই সময়কার বিনিয়োগ।
তবে ক্রোকোসরাস কোভের আজকের এই জনপ্রিয়তার মূলে নিঃসন্দেহে কেইজ অব ডেথ। এতে দেড় ইঞ্চি পুরু একটি কাচ-প্লাস্টিকের খাঁচায় চেপে পানির তলে নামবেন আপনি। সেখানে আপনার অপেক্ষায় থাকবে পার্কের ভয়ালদর্শন লোনাজলের কুমিরগুলোর একটি। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় যেটি, সেটির দৈর্ঘ্য ১৮ ফুট। অধীর আগ্রহ নিয়ে চমৎকার একটি ভোজের অপেক্ষায় থাকে এই কুমিরগুলো।
কুমিরের খাবারটা আটকানো থাকে খাঁচার নিচে কিংবা ওপর থেকে খাঁচার পাশে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। কাজেই বুঝতেই পারছেন, দাঁত বের করে থাকা ভয়ালদর্শন প্রাণীটা খাঁচার গায়ে মুখ ঘষতে থাকা কিংবা ছোটখাটো একটা ঢুঁ মারাটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। অবশ্য পার্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, দেড় ইঞ্চি চওড়া খাঁচার দেয়াল বিশাল সরীসৃপদের যেকোনো আক্রমণ মোকাবিলার মতো করে তৈরি। ছোটখাটো দুর্বিপাক ছাড়া ডেথ অব কেউজে করে নেমে বড় দুর্ঘটনায় পড়েছেন এমন নজিরও নেই। তার পরও দুই হাজার পাউন্ডের সরীসৃপটির ধারালো দাঁত যখন এত কাছ থেকে দেখবেন, তখন অতি সাহসী মানুষটিরও বুকে কাঁপন ধরে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিশালদেহী সরীসৃপের সান্নিধ্যে আপনি থাকবেন ১৫ মিনিট।
কেইজ অব ডেথে যে কুমিরগুলো পর্যটকদের রোমাঞ্চিত করে সেগুলোর হলো ওয়েনডেল, বারু, লিও, উইলিয়াম ও কেট। সাধারণত সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে ক্রোকোসরাস কোভ। মৃত্যুখাঁচায় একবারে নামতে পারেন সর্বোচ্চ দুজন। পার্কের তিনতলা মূল দালানটির আয়তন ৫ হাজার বর্গমিটার।
এখন বরং মৃত্যুখাঁচা ছাড়া আর কী আছে পার্কটিতে, সে সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক। ধারণা করা হয়, এক জায়গায় এত বেশি অস্ট্রেলিয়ান সরীসৃপের দেখা মেলে না পৃথিবীর আর কোথাও। এখানে ৭০ প্রজাতির বেশি অস্ট্রেলীয় সরীসৃপের কাছাকাছি আসার সুযোগ পাবেন। এই সরীসৃপদের একটি বড় অংশের বাসস্থান নর্দার্ন টেরিটরির টপ অ্যান্ড ও কিম্বার্লি এলাকায়। পার্কের সাম্প্রতিক বড় আকর্ষণ একটি মরু এলাকা, যেখানে রেড সেন্টার এলাকার বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর দেখা পাবেন।
পার্কে স্বাদু পানির হুইপরেদের (একধরনের স্টিংরে) সঙ্গে সময় কাটানোরও সুযোগ পাবেন। অভিজ্ঞ গাইডদের তদারকিতে ছয় ফুটি একটি হুইপরেকে নিজ হাতে খাওয়াতেও পারবেন। এদিকে শিশুদের জন্য আছে দুই ঘণ্টার জুনিয়র রেপটাইল রেঞ্জার প্রোগ্রাম। যেখানে পার্কের সরীসৃপদের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা লোকদের সঙ্গে সরীসৃপদের অন্দরমহলে ঘুরে বেড়াতে পারে তারা, খাওয়াতে পারে কুমিরের বাচ্চাদের।
পার্কটি গোড়াপত্তনের সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীদের মনোযোগ আকৃষ্ট করলেও প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা মানুষেরা অভিযোগ করেন, এখানে খেলার নামে কুমিরদের হয়রানি করা হয়। তবে এটা এখানে পর্যটক আসায় বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি কখনোই। কুমিরের সঙ্গে কেবল দেড় ইঞ্চি দূরত্বে থাকার রোমাঞ্চ হাতছাড়া করতে চান না সাহসীরা।
এবার বরং পার্কটি ভ্রমণে কিংবা মৃত্যুখাঁচায় চড়ে পানির নিচে নামায় কেমন খরচ পড়বে জেনে নেওয়া যাক। ডেথ অব কেইজে চড়াসহ একজনের পার্কে সারা দিন সময় কাটানোর জন্য পড়বে ১৮৫ ডলার বা সাড়ে ১৯ হাজার টাকা। দুজন হলে মোট খরচ পড়বে ২৮৫ ডলার বা ৩০ হাজার ২০০ টাকা। আর শুধু পার্ক ভ্রমণ এবং এর ৯টি শো দেখার জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের পড়বে ৩৮ ডলার বা ৪ হাজার টাকার মতো।
কাজেই পাঠক আপনি যদি রোমাঞ্চপ্রেমী হন, পরবর্তী অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে ডেথ অব কেইজে চেপে বসার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না আশা করি। আর ডারউইনে যদি যানই, ক্রোকোসরাস কোভ ছাড়াও এখানে দেখার অনেক কিছুই আছে। ডারউইনকে বলতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত কিছু জাতীয় উদ্যানের প্রবেশদ্বার। এর মধ্যে অন্যতম কাকাডু ন্যাশনাল পার্ক। ২০ হাজার বর্গকিলোমিটারের পার্কটি বন্যপ্রাণী, প্রকৃতির পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসীদের সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। তা ছাড়া যেতে পারেন লিচফিল্ড ন্যাশনাল পার্কে। এখানকার পাথুরে গর্ত আর জলপ্রপাতগুলো মশহুর। ডারউইন থেকে কিছুটা দূরে অ্যাডিলেড নদীতে নৌকাভ্রমণে গিয়ে লোনাপানির কুমিরদের দেখতে পাবেন প্রাকৃতিক পরিবেশে।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, ক্রোকোসরাস কোভ ডট কম

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১৭ ঘণ্টা আগে
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
৪ দিন আগে
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
৫ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনের ক্রোকোসরাস কোভ নামের পার্কটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ‘কেইজ অব ডেথ’। কাচের মতো দেখতে প্লাস্টিকের ছোট্ট এক খাঁচায় চেপে নামবেন পানির নিচে। যেখানে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ালদর্শন এক কুমির। তবে আগেই বলে রাখছি দুর্বলচিত্তদের কেইজ অব ডেথ বা মৃত্যুখাঁচায় চেপে ভ্রমণ না করাটাই মনে হয় ভালো হব
২৯ এপ্রিল ২০২৩
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
৪ দিন আগে
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
৫ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন। এমন আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ব ১৬ বছর বয়সী এই কিশোর বুঝে উঠতে পারছে না, কী তার ভুল। পুলিশের নির্দেশ মানার পর হাতে পড়ল হাতকড়া।
টাকি অ্যালেনকে কিশোর বয়সে এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা দিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। অ্যালেনের হাতে থাকা চিপসকে বন্দুক হিসেবে শনাক্ত করেছে এক এআই সিস্টেম!
স্থানীয় গণমাধ্যম ডব্লিউএমএআর-২ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টাকি অ্যালেন বলে, ‘হঠাৎ দেখি প্রায় আটটা পুলিশ কার এসে গেল। তারপর সবাই বন্দুক তাক করে আমাকে মাটিতে শুতে বলছে।’
অ্যালেন বলতে থাকে, ‘ফুটবল অনুশীলনের পর এক প্যাকেট ডোরিটোস চিপস খেয়ে খালি প্যাকেটটি পকেটে রেখে দিই। এর ২০ মিনিট পরই এই ঘটনা। একজন অফিসার আমাকে হাঁটু গেড়ে বসতে বলেন, তারপর আমাকে আটক করে হাতকড়া পরান।
তবে বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ বিবিসি নিউজের কাছে দাবি করে, অ্যালেনকে হাতকড়া পরানো হয়েছিল, গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, কোনো হুমকি নেই নিশ্চিত হওয়ার পর বিষয়টি নিরাপদে সমাধান করা হয়।
এই ঘটনার পর থেকে ফুটবল অনুশীলন শেষে স্কুলের ভেতরে চলে যায় অ্যালেন। সে জানায়, বাইরে যাওয়া নিরাপদ নয়, বিশেষ করে চিপস খাওয়া বা কিছু পান করা।
বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ জানায়, সেই মুহূর্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যথোপযুক্ত ও আনুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাদের কর্মকর্তারা।
বিভাগটি আরও জানায়, এআই সতর্কবার্তাটি মানব পর্যালোচকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা এতে কোনো হুমকি পাননি। এই বার্তা স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে পাঠানো হলেও তিনি এ তথ্যটি দেখেননি এবং স্কুলের নিরাপত্তা টিমকে জানান। তারা পুলিশকে ডাকে।
অভিভাবকদের উদ্দেশে এক চিঠিতে স্কুলের প্রিন্সিপাল কেট স্মিথ বলেন, স্কুলের নিরাপত্তা দল দ্রুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এবং কোনো অস্ত্র না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রাথমিক সতর্কতা বাতিল করে।
তিনি আরও জানান, ‘আমাদের স্কুল রিসোর্স অফিসারকে (এসআরও) বিষয়টি জানানো হলে তিনি অতিরিক্ত সহায়তার জন্য স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা স্কুলে এসে ওই শিক্ষার্থীকে তল্লাশি করেন এবং দ্রুত নিশ্চিত হন যে তার কাছে কোনো অস্ত্র নেই।’
এআই টুল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওমনিলার্ট এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা বিবিসি নিউজকে জানায়, ‘ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের উদ্বেগ জানাতে চাই।’
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের সিস্টেম প্রথমে এমন কিছু শনাক্ত করে যা দেখতে আগ্নেয়াস্ত্রের মতো লাগছিল। ছবিটি পরে তাদের পর্যালোচনা দল যাচাই করে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই তথ্য ও ছবি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুলের নিরাপত্তা দলের কাছে মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হয়।
নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, তাদের সিস্টেমে ‘সমাধান হয়েছে’ বলে চিহ্নিত হওয়ার পরই এ বিষয়ে তাদের সম্পৃক্ততা শেষ হয়। তাদের সিস্টেম ‘যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, সেভাবেই কাজ করেছে।’
অ্যালেন মন্তব্য করেছে, ‘আমার মনে হয় না কোনো চিপসের প্যাকেটকে কখনো বন্দুক হিসেবে ভুল ধরা উচিত।’
এই ঘটনায় স্কুলগুলোতে এমন প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছে অনেকে। স্থানীয় রাজনীতিবিদেরা ঘটনাটি নিয়ে আরও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বাল্টিমোর কাউন্টির স্থানীয় কাউন্সিলর ইজি পাকোটা ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি তাদের এআই-চালিত অস্ত্র শনাক্তকরণ ব্যবস্থার প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করতে।’

চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন। এমন আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ব ১৬ বছর বয়সী এই কিশোর বুঝে উঠতে পারছে না, কী তার ভুল। পুলিশের নির্দেশ মানার পর হাতে পড়ল হাতকড়া।
টাকি অ্যালেনকে কিশোর বয়সে এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা দিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। অ্যালেনের হাতে থাকা চিপসকে বন্দুক হিসেবে শনাক্ত করেছে এক এআই সিস্টেম!
স্থানীয় গণমাধ্যম ডব্লিউএমএআর-২ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টাকি অ্যালেন বলে, ‘হঠাৎ দেখি প্রায় আটটা পুলিশ কার এসে গেল। তারপর সবাই বন্দুক তাক করে আমাকে মাটিতে শুতে বলছে।’
অ্যালেন বলতে থাকে, ‘ফুটবল অনুশীলনের পর এক প্যাকেট ডোরিটোস চিপস খেয়ে খালি প্যাকেটটি পকেটে রেখে দিই। এর ২০ মিনিট পরই এই ঘটনা। একজন অফিসার আমাকে হাঁটু গেড়ে বসতে বলেন, তারপর আমাকে আটক করে হাতকড়া পরান।
তবে বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ বিবিসি নিউজের কাছে দাবি করে, অ্যালেনকে হাতকড়া পরানো হয়েছিল, গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, কোনো হুমকি নেই নিশ্চিত হওয়ার পর বিষয়টি নিরাপদে সমাধান করা হয়।
এই ঘটনার পর থেকে ফুটবল অনুশীলন শেষে স্কুলের ভেতরে চলে যায় অ্যালেন। সে জানায়, বাইরে যাওয়া নিরাপদ নয়, বিশেষ করে চিপস খাওয়া বা কিছু পান করা।
বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ জানায়, সেই মুহূর্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যথোপযুক্ত ও আনুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাদের কর্মকর্তারা।
বিভাগটি আরও জানায়, এআই সতর্কবার্তাটি মানব পর্যালোচকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা এতে কোনো হুমকি পাননি। এই বার্তা স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে পাঠানো হলেও তিনি এ তথ্যটি দেখেননি এবং স্কুলের নিরাপত্তা টিমকে জানান। তারা পুলিশকে ডাকে।
অভিভাবকদের উদ্দেশে এক চিঠিতে স্কুলের প্রিন্সিপাল কেট স্মিথ বলেন, স্কুলের নিরাপত্তা দল দ্রুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এবং কোনো অস্ত্র না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রাথমিক সতর্কতা বাতিল করে।
তিনি আরও জানান, ‘আমাদের স্কুল রিসোর্স অফিসারকে (এসআরও) বিষয়টি জানানো হলে তিনি অতিরিক্ত সহায়তার জন্য স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা স্কুলে এসে ওই শিক্ষার্থীকে তল্লাশি করেন এবং দ্রুত নিশ্চিত হন যে তার কাছে কোনো অস্ত্র নেই।’
এআই টুল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওমনিলার্ট এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা বিবিসি নিউজকে জানায়, ‘ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের উদ্বেগ জানাতে চাই।’
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের সিস্টেম প্রথমে এমন কিছু শনাক্ত করে যা দেখতে আগ্নেয়াস্ত্রের মতো লাগছিল। ছবিটি পরে তাদের পর্যালোচনা দল যাচাই করে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই তথ্য ও ছবি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুলের নিরাপত্তা দলের কাছে মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হয়।
নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, তাদের সিস্টেমে ‘সমাধান হয়েছে’ বলে চিহ্নিত হওয়ার পরই এ বিষয়ে তাদের সম্পৃক্ততা শেষ হয়। তাদের সিস্টেম ‘যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, সেভাবেই কাজ করেছে।’
অ্যালেন মন্তব্য করেছে, ‘আমার মনে হয় না কোনো চিপসের প্যাকেটকে কখনো বন্দুক হিসেবে ভুল ধরা উচিত।’
এই ঘটনায় স্কুলগুলোতে এমন প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছে অনেকে। স্থানীয় রাজনীতিবিদেরা ঘটনাটি নিয়ে আরও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বাল্টিমোর কাউন্টির স্থানীয় কাউন্সিলর ইজি পাকোটা ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি তাদের এআই-চালিত অস্ত্র শনাক্তকরণ ব্যবস্থার প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করতে।’

অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনের ক্রোকোসরাস কোভ নামের পার্কটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ‘কেইজ অব ডেথ’। কাচের মতো দেখতে প্লাস্টিকের ছোট্ট এক খাঁচায় চেপে নামবেন পানির নিচে। যেখানে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ালদর্শন এক কুমির। তবে আগেই বলে রাখছি দুর্বলচিত্তদের কেইজ অব ডেথ বা মৃত্যুখাঁচায় চেপে ভ্রমণ না করাটাই মনে হয় ভালো হব
২৯ এপ্রিল ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১৭ ঘণ্টা আগে
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
৫ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান গেয়ে হাস্যরসাত্মক বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
গত সপ্তাহের রোববার সকালে ল্যুভর মিউজিয়াম খোলার পরই চোরেরা একটি ট্রাক মিউজিয়ামের অ্যাপোলো গ্যালারির নিচে থামায়। এই ট্রাকে লাগানো ছিল বোকার কোম্পানির তৈরি একটি ভাঁজযোগ্য মই। দিনের আলোয় তারা সেই মই বেয়ে ওপরে উঠে যায়, জানালা কেটে ভেতরে ঢোকে এবং ডিসপ্লে কেস ভেঙে গয়না চুরি করে।
পুরো অপারেশনটি শেষ করতে চোরদের সময় লেগেছিল মাত্র সাত মিনিট। চুরি হওয়া অলংকারগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দেওয়া একটি পান্না ও হীরার নেকলেস এবং সম্রাজ্ঞী ইউজিনির মুকুট। এই মুকুটে প্রায় ২ হাজার হীরা খচিত।
জার্মানির ডর্টমুন্ডের কাছে অবস্থিত লিফটিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি বোকারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলেক্সান্ডার বোক এবং তাঁর স্ত্রী রোববার খবরটি দেখার সময়ই ব্যবহৃত মইটি চিনতে পারেন।
সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলেক্সান্ডার বোক জানান, তাঁর স্ত্রী, যিনি কোম্পানির বিপণন প্রধানও, তিনিই প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘যখন পরিষ্কার হলো যে চুরির ঘটনায় কেউ আহত হয়নি, তখন আমরা বিষয়টিকে একটু হালকা চালে নিই।’
আলেক্সান্ডার স্বীকার করেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ! সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সর্বাধিক পরিদর্শন করা জাদুঘরটির খ্যাতি কাজে লাগিয়ে আমাদের কোম্পানির জন্য কিছুটা দৃষ্টি আকর্ষণ করার এ-ই সুযোগ।’ তবে তিনি এ-ও স্পষ্ট করেন, ‘এই অপরাধ অবশ্যই নিন্দনীয়, এটা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
এই সুযোগে বোকার দ্রুতই একটি প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ল্যুভরের বাইরে লাগানো সেই মইয়ের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছে: ‘যখন আপনার দ্রুত ফেরার তাড়া থাকে!’
বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তাদের তৈরি ‘Agilo’ নামের ডিভাইসটি ২৩০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক মোটর এবং ‘ফিসফিসানির মতো শান্ত’ শব্দের ইঞ্জিনের সাহায্যে ৪০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত মালপত্র বহন করতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চোরেরা মইটির ডেমোনস্ট্রেশন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল এবং প্রদর্শনের সময়ই এটি তারা চুরি করে নিয়ে যায়। তারা গাড়ির লাইসেন্স প্লেট ও গ্রাহকের লেবেলিং পর্যন্ত সরিয়ে ফেলেছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোকারের পোস্টগুলো সাধারণত ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার বার দেখা হয়। তবে এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে ৪৩ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে। যদিও প্রচারণার প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকে এটিকে ‘স্মার্ট’ ও মজার বলে অভিহিত করেছেন, আবার অনেকে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আলেক্সান্ডার বোক বলেন, তিনি জানেন এটি ‘খুবই সূক্ষ্ম ভেদরেখা’, কিন্তু কেউ আহত না হওয়ায় তাঁরা এই পথে এগিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই প্রচারণার অর্থ অপরাধকে সমর্থন করা নয়।
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা নিঃসন্দেহে সিরিয়াস কোম্পানি। জার্মানিতে আমাদের ৬২০ জন কর্মচারী আছে। সবকিছু জার্মানিতেই তৈরি হয়। আমরা নিরাপত্তার পক্ষে।’

প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান গেয়ে হাস্যরসাত্মক বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
গত সপ্তাহের রোববার সকালে ল্যুভর মিউজিয়াম খোলার পরই চোরেরা একটি ট্রাক মিউজিয়ামের অ্যাপোলো গ্যালারির নিচে থামায়। এই ট্রাকে লাগানো ছিল বোকার কোম্পানির তৈরি একটি ভাঁজযোগ্য মই। দিনের আলোয় তারা সেই মই বেয়ে ওপরে উঠে যায়, জানালা কেটে ভেতরে ঢোকে এবং ডিসপ্লে কেস ভেঙে গয়না চুরি করে।
পুরো অপারেশনটি শেষ করতে চোরদের সময় লেগেছিল মাত্র সাত মিনিট। চুরি হওয়া অলংকারগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দেওয়া একটি পান্না ও হীরার নেকলেস এবং সম্রাজ্ঞী ইউজিনির মুকুট। এই মুকুটে প্রায় ২ হাজার হীরা খচিত।
জার্মানির ডর্টমুন্ডের কাছে অবস্থিত লিফটিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি বোকারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলেক্সান্ডার বোক এবং তাঁর স্ত্রী রোববার খবরটি দেখার সময়ই ব্যবহৃত মইটি চিনতে পারেন।
সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলেক্সান্ডার বোক জানান, তাঁর স্ত্রী, যিনি কোম্পানির বিপণন প্রধানও, তিনিই প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘যখন পরিষ্কার হলো যে চুরির ঘটনায় কেউ আহত হয়নি, তখন আমরা বিষয়টিকে একটু হালকা চালে নিই।’
আলেক্সান্ডার স্বীকার করেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ! সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সর্বাধিক পরিদর্শন করা জাদুঘরটির খ্যাতি কাজে লাগিয়ে আমাদের কোম্পানির জন্য কিছুটা দৃষ্টি আকর্ষণ করার এ-ই সুযোগ।’ তবে তিনি এ-ও স্পষ্ট করেন, ‘এই অপরাধ অবশ্যই নিন্দনীয়, এটা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
এই সুযোগে বোকার দ্রুতই একটি প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ল্যুভরের বাইরে লাগানো সেই মইয়ের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছে: ‘যখন আপনার দ্রুত ফেরার তাড়া থাকে!’
বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তাদের তৈরি ‘Agilo’ নামের ডিভাইসটি ২৩০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক মোটর এবং ‘ফিসফিসানির মতো শান্ত’ শব্দের ইঞ্জিনের সাহায্যে ৪০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত মালপত্র বহন করতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চোরেরা মইটির ডেমোনস্ট্রেশন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল এবং প্রদর্শনের সময়ই এটি তারা চুরি করে নিয়ে যায়। তারা গাড়ির লাইসেন্স প্লেট ও গ্রাহকের লেবেলিং পর্যন্ত সরিয়ে ফেলেছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোকারের পোস্টগুলো সাধারণত ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার বার দেখা হয়। তবে এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে ৪৩ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে। যদিও প্রচারণার প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকে এটিকে ‘স্মার্ট’ ও মজার বলে অভিহিত করেছেন, আবার অনেকে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আলেক্সান্ডার বোক বলেন, তিনি জানেন এটি ‘খুবই সূক্ষ্ম ভেদরেখা’, কিন্তু কেউ আহত না হওয়ায় তাঁরা এই পথে এগিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই প্রচারণার অর্থ অপরাধকে সমর্থন করা নয়।
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা নিঃসন্দেহে সিরিয়াস কোম্পানি। জার্মানিতে আমাদের ৬২০ জন কর্মচারী আছে। সবকিছু জার্মানিতেই তৈরি হয়। আমরা নিরাপত্তার পক্ষে।’

অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনের ক্রোকোসরাস কোভ নামের পার্কটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ‘কেইজ অব ডেথ’। কাচের মতো দেখতে প্লাস্টিকের ছোট্ট এক খাঁচায় চেপে নামবেন পানির নিচে। যেখানে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ালদর্শন এক কুমির। তবে আগেই বলে রাখছি দুর্বলচিত্তদের কেইজ অব ডেথ বা মৃত্যুখাঁচায় চেপে ভ্রমণ না করাটাই মনে হয় ভালো হব
২৯ এপ্রিল ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১৭ ঘণ্টা আগে
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
৪ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
এই ঘটনা অনলাইন শপ থেকে কেনা শিশুদের পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিন ধরে পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে কিশোরটিকে নর্থ আইল্যান্ডের টরাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরটি ভর্তির প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি (৫ x ২ মিলিমিটার আকারের) শক্তিশালী নিওডিমিয়াম চুম্বক গিলে ফেলেছিল। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, এই চুম্বকগুলো তার অন্ত্রের ভেতরে চারটি সরলরেখায় জড়ো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, চুম্বকীয় শক্তির কারণে অন্ত্রের বিভিন্ন অংশ একসঙ্গে আটকে যাওয়ায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে টিস্যু মারা যায়।
সার্জনরা দ্রুত অপারেশন করে মৃত টিস্যু অপসারণ করেন এবং আটকে থাকা চুম্বকগুলো বের করে আনেন। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন, কিশোরটির ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের অংশ ক্যাসেম-এর চারটি জায়গায় টিস্যু মারা গিয়েছিল। আট দিন হাসপাতালে থাকার পর শিশুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনের লেখক ড. বিনুরা লেখামালেজ, লুসিন্ডা ডানক্যান-ওয়ার এবং নিকোলা ডেভিস সতর্ক করেছেন, এই ঘটনা কেবল চুম্বক গিলে ফেলার বিপদই নয়, বরং শিশুদের জন্য অনলাইন শপের বিপদকেও তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, এই শক্তিশালী চুম্বকগুলো নিউজিল্যান্ডে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ।
চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, চুম্বক গিলে ফেলার জন্য অস্ত্রোপচার ভবিষ্যতে অন্ত্রে বাধা, পেটে হার্নিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এদিকে, চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট টেমু এই ঘটনা জানার পর দুঃখ প্রকাশ করেছে। একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমরা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছি এবং নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালের লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
টেমু আরও জানায়, তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে চুম্বকগুলো টেমু থেকেই কেনা হয়েছিল কি না। তবে তারা প্রাসঙ্গিক পণ্য তালিকা খতিয়ে দেখছে। অবৈধ পণ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাজারেও টেমু ইতিমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
এই ঘটনা অনলাইন শপ থেকে কেনা শিশুদের পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিন ধরে পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে কিশোরটিকে নর্থ আইল্যান্ডের টরাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরটি ভর্তির প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি (৫ x ২ মিলিমিটার আকারের) শক্তিশালী নিওডিমিয়াম চুম্বক গিলে ফেলেছিল। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, এই চুম্বকগুলো তার অন্ত্রের ভেতরে চারটি সরলরেখায় জড়ো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, চুম্বকীয় শক্তির কারণে অন্ত্রের বিভিন্ন অংশ একসঙ্গে আটকে যাওয়ায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে টিস্যু মারা যায়।
সার্জনরা দ্রুত অপারেশন করে মৃত টিস্যু অপসারণ করেন এবং আটকে থাকা চুম্বকগুলো বের করে আনেন। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন, কিশোরটির ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের অংশ ক্যাসেম-এর চারটি জায়গায় টিস্যু মারা গিয়েছিল। আট দিন হাসপাতালে থাকার পর শিশুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনের লেখক ড. বিনুরা লেখামালেজ, লুসিন্ডা ডানক্যান-ওয়ার এবং নিকোলা ডেভিস সতর্ক করেছেন, এই ঘটনা কেবল চুম্বক গিলে ফেলার বিপদই নয়, বরং শিশুদের জন্য অনলাইন শপের বিপদকেও তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, এই শক্তিশালী চুম্বকগুলো নিউজিল্যান্ডে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ।
চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, চুম্বক গিলে ফেলার জন্য অস্ত্রোপচার ভবিষ্যতে অন্ত্রে বাধা, পেটে হার্নিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এদিকে, চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট টেমু এই ঘটনা জানার পর দুঃখ প্রকাশ করেছে। একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমরা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছি এবং নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালের লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
টেমু আরও জানায়, তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে চুম্বকগুলো টেমু থেকেই কেনা হয়েছিল কি না। তবে তারা প্রাসঙ্গিক পণ্য তালিকা খতিয়ে দেখছে। অবৈধ পণ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাজারেও টেমু ইতিমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনের ক্রোকোসরাস কোভ নামের পার্কটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ‘কেইজ অব ডেথ’। কাচের মতো দেখতে প্লাস্টিকের ছোট্ট এক খাঁচায় চেপে নামবেন পানির নিচে। যেখানে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ালদর্শন এক কুমির। তবে আগেই বলে রাখছি দুর্বলচিত্তদের কেইজ অব ডেথ বা মৃত্যুখাঁচায় চেপে ভ্রমণ না করাটাই মনে হয় ভালো হব
২৯ এপ্রিল ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১৭ ঘণ্টা আগে
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
৪ দিন আগে
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
৫ দিন আগে