আজকের পত্রিকা ডেস্ক
জাপানে ছোটখাটো বিরোধ বা ঝামেলা মেটাতে এখন আর পুলিশের দরকার নেই। দরকার নেই আদালতেরও নয়। কারণ, এবার বাজারে নেমেছে একেবারে ভিন্নধর্মী সেবা। নাম ‘রেন্টাল কোওয়াইহিতো।’ জাপানি ভাষায় এর মানে দাঁড়ায়—‘ভাড়ায় পাওয়া ভয়ংকর মানুষ।’ যেমন নাম, তেমনি কাজ।
হংকং থেকে প্রকাশিত সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সংস্থার কাজই হলো গ্রাহকের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে সাহস ও শক্তি জোগানো। কেউ যদি সহকর্মীর খোঁচাখুঁচিতে বিরক্ত হন, প্রতিবেশী যদি রাতভর শব্দ করে ঘুমের বারোটা বাজানোর মতো কাজ করেন, কিংবা বাচ্চাকে স্কুলে কেউ বুলিং করে, তাহলে ফোন করতে হবে এই প্রতিষ্ঠানে। মুহূর্তের মধ্যেই হাজির হবে ট্যাটুভরা দেহ, ন্যাড়া মাথা, চোখে কড়া চাহনির এক ‘ভয়ংকর’ মানুষ।
প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তাদের পাঠানো লোককে দেখেই বিপরীত পক্ষ সাধারণত আধঘণ্টার মধ্যেই নতি স্বীকার করে। শুধু অফিস বা বাসার ঝামেলা নয়, প্রেমঘটিত গোলযোগেও এই ভাড়াটে বাহিনী কাজে আসে। কারও প্রেমিক বা প্রেমিকা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লে তাদের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া যেতে পারে এই ‘ভয়ংকর’ সঙ্গীদের।
আবার সাবেক ব্যবসায়িক অংশীদার বা নিয়োগকর্তা যদি টাকা মেরে দেন, সেই পাওনাও আদায় করে আনে তারা। শুনে মনে হতে পারে সিনেমার গল্প, কিন্তু জাপানে এখন এটা একেবারেই বাস্তব ব্যবসা। সম্প্রতি এক্সের এক ব্যবহারকারী, সংস্থাটির ওয়েবসাইটের কিছু স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। সেটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। পোস্টটিতে লাইক পড়ে ৩ লাখের বেশি, রিপোস্ট হয় ৩৬ হাজারবার। নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও অনেকেই সেবাটিকে ‘সময়োপযোগী’ বলে প্রশংসা করেছেন।
প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তারা কোনোভাবেই গ্যাংস্টার ভাড়া করে না এবং কোনো বেআইনি কাজও করে না। সবকিছুই নাকি আইনের মধ্যে থেকে করা হয়। তবে তাদের পারিশ্রমিক কিন্তু একেবারেই ‘সস্তা’ নয়। আধঘণ্টার সেবার জন্য খরচ পড়বে ২০ হাজার জাপানি ইয়েন, যা প্রায় ১৪০ মার্কিন ডলার। আর তিন ঘণ্টার সেবা চাইলে গুনতে হবে ৩৪০ ডলার। শহরের বাইরে কাজ হলে গ্রাহককেই বহন করতে হবে যাতায়াত খরচ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এটি খুবই দরকারি সেবা। কারণ মানুষের স্বভাব হলো দুর্বলকে হয়রানি করা আর শক্তিশালীদের ভয় করা।’ আরেকজন রসিকতা করে লিখেছেন, ‘কৌতূহল হচ্ছে, যদি দুই পক্ষই সমানভাবে ভাড়ায় ভয়ংকর মানুষ নিয়ে আসে, তখন কী হবে?’
সব মিলিয়ে জাপানের এই অভিনব ব্যবসা এখন রীতিমতো আলোচনায়। কারও কাছে এটি আধুনিক সমাজের বাস্তবতা, কারও কাছে সিনেমার কাহিনির মতো এক মজার উদ্যোগ। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত—‘ভাড়ায় পাওয়া ভয়ংকর মানুষ’ ইতিমধ্যেই জাপানি সমাজে শক্ত অবস্থান নিতে শুরু করেছে।
জাপানে ছোটখাটো বিরোধ বা ঝামেলা মেটাতে এখন আর পুলিশের দরকার নেই। দরকার নেই আদালতেরও নয়। কারণ, এবার বাজারে নেমেছে একেবারে ভিন্নধর্মী সেবা। নাম ‘রেন্টাল কোওয়াইহিতো।’ জাপানি ভাষায় এর মানে দাঁড়ায়—‘ভাড়ায় পাওয়া ভয়ংকর মানুষ।’ যেমন নাম, তেমনি কাজ।
হংকং থেকে প্রকাশিত সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সংস্থার কাজই হলো গ্রাহকের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে সাহস ও শক্তি জোগানো। কেউ যদি সহকর্মীর খোঁচাখুঁচিতে বিরক্ত হন, প্রতিবেশী যদি রাতভর শব্দ করে ঘুমের বারোটা বাজানোর মতো কাজ করেন, কিংবা বাচ্চাকে স্কুলে কেউ বুলিং করে, তাহলে ফোন করতে হবে এই প্রতিষ্ঠানে। মুহূর্তের মধ্যেই হাজির হবে ট্যাটুভরা দেহ, ন্যাড়া মাথা, চোখে কড়া চাহনির এক ‘ভয়ংকর’ মানুষ।
প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তাদের পাঠানো লোককে দেখেই বিপরীত পক্ষ সাধারণত আধঘণ্টার মধ্যেই নতি স্বীকার করে। শুধু অফিস বা বাসার ঝামেলা নয়, প্রেমঘটিত গোলযোগেও এই ভাড়াটে বাহিনী কাজে আসে। কারও প্রেমিক বা প্রেমিকা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লে তাদের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া যেতে পারে এই ‘ভয়ংকর’ সঙ্গীদের।
আবার সাবেক ব্যবসায়িক অংশীদার বা নিয়োগকর্তা যদি টাকা মেরে দেন, সেই পাওনাও আদায় করে আনে তারা। শুনে মনে হতে পারে সিনেমার গল্প, কিন্তু জাপানে এখন এটা একেবারেই বাস্তব ব্যবসা। সম্প্রতি এক্সের এক ব্যবহারকারী, সংস্থাটির ওয়েবসাইটের কিছু স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। সেটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। পোস্টটিতে লাইক পড়ে ৩ লাখের বেশি, রিপোস্ট হয় ৩৬ হাজারবার। নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও অনেকেই সেবাটিকে ‘সময়োপযোগী’ বলে প্রশংসা করেছেন।
প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তারা কোনোভাবেই গ্যাংস্টার ভাড়া করে না এবং কোনো বেআইনি কাজও করে না। সবকিছুই নাকি আইনের মধ্যে থেকে করা হয়। তবে তাদের পারিশ্রমিক কিন্তু একেবারেই ‘সস্তা’ নয়। আধঘণ্টার সেবার জন্য খরচ পড়বে ২০ হাজার জাপানি ইয়েন, যা প্রায় ১৪০ মার্কিন ডলার। আর তিন ঘণ্টার সেবা চাইলে গুনতে হবে ৩৪০ ডলার। শহরের বাইরে কাজ হলে গ্রাহককেই বহন করতে হবে যাতায়াত খরচ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এটি খুবই দরকারি সেবা। কারণ মানুষের স্বভাব হলো দুর্বলকে হয়রানি করা আর শক্তিশালীদের ভয় করা।’ আরেকজন রসিকতা করে লিখেছেন, ‘কৌতূহল হচ্ছে, যদি দুই পক্ষই সমানভাবে ভাড়ায় ভয়ংকর মানুষ নিয়ে আসে, তখন কী হবে?’
সব মিলিয়ে জাপানের এই অভিনব ব্যবসা এখন রীতিমতো আলোচনায়। কারও কাছে এটি আধুনিক সমাজের বাস্তবতা, কারও কাছে সিনেমার কাহিনির মতো এক মজার উদ্যোগ। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত—‘ভাড়ায় পাওয়া ভয়ংকর মানুষ’ ইতিমধ্যেই জাপানি সমাজে শক্ত অবস্থান নিতে শুরু করেছে।
বিমা জালিয়াতি এবং পর্নোগ্রাফি রাখার দায়ে এক ব্রিটিশ ভাসকুলার সার্জনকে দুই বছর আট মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৪৯ বছর বয়সী নীল হপার, ২০১৯ সালে নিজের পা কেটে মিথ্যা বিমা দাবি করেছিলেন। এই কাণ্ড ঘটানোর আগে তিনি শত শত অঙ্গচ্ছেদের অস্ত্রোপচার করেছিলেন। সেই সব অপরাধের বিস্তারিত বিবরণ আদালতের নথিতে প্রকাশ..
৪ দিন আগেভারতের রাজস্থানের পাহাড়ি গ্রাম পিপলোডির এক কৃষক মোর সিং। ৬০ বছর বয়সী মোর সিং নিজে কখনো স্কুলে যাননি। কিন্তু তিলে তিলে গড়া নিজের একমাত্র বাড়িটি দান করে দিয়েছেন গ্রামের শিশুদের জন্য। এই অনন্য অবদানের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে রীতিমতো হিরো বনে গেছেন মোর সিং।
৫ দিন আগেদক্ষিণ চীনের এক ব্যক্তি তাঁর ১০ বছরের মেয়ে ও ৮ বছরের ছেলেকে ৮০০ কিলোমিটার হাঁটিয়েছেন। দীর্ঘ এই হণ্ঠন যাত্রার উদ্দেশ্য ছিল সন্তানদের মানসিকভাবে শক্ত করা। তাঁদের এই অভিযানের প্রশংসা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
৮ দিন আগেচীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুনান প্রদেশের রাজধানী চাংশার এক আবাসিক এলাকা লাল ব্যানার টাঙিয়ে স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। ব্যানারে ওই নারী ব্যঙ্গ করে তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবীকে স্বামীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক তৈরি করায় ‘কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করেছেন।
৯ দিন আগে