সেন্ট মার্টিন

কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে স্পিডবোট উল্টে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক এক সদস্যের (মেম্বার) মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ১৭ পর্যটকসহ ২৩ জনকে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা উদ্ধার করেন। আজ শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া ফিরোজা বেগম (৫৫) সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের স

কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে আগামীকাল বুধবার পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে। বিশ্ব পর্যটন দিবস সামনে রেখে পর্যটক যাতায়াতের জন্য প্রায় ছয় মাস পর জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান কমোডর (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেছেন, ‘বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের বেশির ভাগই ভ্রমণে আগ্রহ প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। কিন্তু এ দ্বীপে ভ্রমণের সুযোগ বছরে ছয় মাস, বাকি সময় সাগর পাড়ি দিয়ে তারা সেন্টমার্টিন যেতে পার

নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাসজুড়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে শুরু হয় পর্যটন মৌসুম। এ সময় পর্যটকের ভিড় বেশি থাকে দ্বীপটিতে। মৌসুমে এখন থেকে আর চাইলেই যাওয়া যাচ্ছে না সেন্ট মার্টিন। সেখানে ভ্রমণে বেশ কিছু নিয়মকানুন মানতে হবে এখন থেকে। এক প্রজ্ঞাপনে তেমনটিই জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

আমি বলব এটা সঠিক নয়। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি। সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দখল নেওয়া নিয়ে আমরা বাংলাদেশের কারও সঙ্গে কখনো কোনো আলোচনা করিনি। বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বকে আমরা মূল্যায়ন করি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমর্থনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের সম্পর্ককে

কক্সবাজারের মহেশখালীতে গ্যাসের দুটি ভাসমান টার্মিনাল (এফএসআরইউ) রয়েছে। এখান থেকে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় গ্যাস সরবরাহ করা হয়। ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার আগের দিন জাহাজে থাকা ভাসমান এই টার্মিনাল দুটি গভীর সমুদ্রে নিরাপদ জায়গায় সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি নিরাপদ জায়গায় সরানো গেলেও, সিস্টেম জটিলত

মৎস্য, খনিজ সম্পদ আর পর্যটন থেকে সেন্ট মার্টিনের চেয়ে বেশি আয় দেশের আর কোনো পর্যটন এলাকা থেকে আসে না। জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখলেও এ দ্বীপের নিরাপত্তার জন্য এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি বেড়িবাঁধ ও চারদিকে সড়ক নির্মাণ। কিন্তু আশ্বাসের পর আশ্বাস দিয়েও

কক্সবাজারের টেকনাফে মোখার আঘাতের পর অনেকে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন খোলা আকাশের নিচে। মোখার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে দুই দিন পার হলেও অর্থাভাবে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না। ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এখনো রোদবৃষ্টিতে উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার।

কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান। সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিদর্শনসহ ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। 

গত রোববার যে অবস্থাডা হয়েছিল, তা জীবনে কখনো দেহি নাই। যে ভয়ে-আতঙ্কে ছিলাম বলার মতো নই। যেভাবে বাতাসগুলো ছুটছিল, তা গাছের আগাগুলো দেহেন বুঝতে পারবেন। বাড়িগুলো দেহেন কেমন হয়ে গেছে। দাঁড়ানোর মতো সাহস কারও ছিল না এহেনে।

ঝড়ের আগের রাতে গিয়েছিলেন আশ্রয়কেন্দ্রে। ফিরে এসে দেখেন সব তছনছ। ঘূর্ণিঝড় মোখায় ভেঙেছে ঘর। ঘরের সামনে পড়ে আছে গাছ। পরিবারের সদস্যরা তাই ভাগ হয়ে কেউ ঘর মেরামতের কাজে লেগে গেলেন কেউ আবার গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার। আজ সোমবার রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে টেকনাফের উত্তর চৌধুরীপাড়া জেটিঘাটে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ইতিমধ্যে দুর্বল হয়ে মিয়ানমারের স্থলভাগের ওপর অবস্থান করছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, উপকূল অতিক্রমরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও সামান্য দুর্বল হয়েছে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ সকাল ৬টা থেকে কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন ও মিয়ানমারের সিটুয়ে উপকূল অতিক্রম শুরু করে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ ইতিমধ্যে সেন্ট মার্টিনের আঘাত হেনেছে। স্বাভাবিক অবস্থা থেকে সাগরের উচ্চতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে বৃষ্টি ও বাতাসের গতিবেগও। সেন্ট মার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সকাল ৯টার পর থেকেই বাতাসের গতিবেগ বেড়ে গেছে

ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে বাঁচতে টেকনাফ উপজেলার উপকূল ও সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে প্রায় ২৫ হাজার লোককে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন

ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার আগেই সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ছাড়তে চায় অনেকেই। তবে সাগর উত্তাল থাকার কারণে প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ত্যাগ করার কোনো উপায় নেই...

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ উপকূলে আঘাত হানলে সবার আগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে তা আছড়ে পড়বে। তাই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দেশের পর্যটনের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন আট বর্গকিলোমিটার দ্বীপটিকে ঘিরে